তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ২০
নীল মণি
“কী রে, কী নিতে গিয়েছিলি? তবে ফাঁকা হাতে ফিরলি কেন?”
দুই পকেটে হাত গুঁজে, ঠোঁটের কোণে এক বিষণ্ণ মুচকি হাসি নিয়ে এগিয়ে আসছিল জায়ান, ঠিক তখনই মেহজাবীন বেগমের বলা কোথা গুলো বাতাস ছিঁড়ে কানে এলো।
জায়ানের সেই ক্ষীণ হাসি যদিও নির্বিকার, তবুও ইউভানের চোখ তা এড়াতে পারেনি।
মায়ের প্রশ্নে জায়ান শান্ত স্বরে জবাব দিল,
“আমি ভেবেছিলাম জিনিসটা হারিয়ে ফেলেছি, অথচ তা তো আমার কাছেই ছিল…”
“হ্যাঁরে, তিয়াশা আম্মুকে দেখা যাচ্ছে না, কোথায় সে?”
“আসছে। ওয়াশরুম গেছে , একটু সময় লাগবে,”
জায়ান পুনরায় ইউভির পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই ইউভান জানতে চাইল তার ভাইয়ার
এই মুচকি হাসির কারণ টা কী ?
কিন্তু জায়ান চুপ, উত্তর এড়িয়ে গেল। সে কীভাবে বলবে, তার বেসারমির কথা,কি ভাবে তৈরি করেছে গলায় এক গভীর ছাপ নীরব কুন্ঠিত প্রতিচ্ছবি যা সে ভুলেও বলতে পারবে না।
ওদিকে, তিয়াশা একা দাঁড়িয়ে দ্বিধায় দুলছে।
বাইরে এই অবস্থায় যাবে কি ভাবে বুঝে উঠতে পারছে না। রাগে চোখ জ্বলে উঠছে তার। জায়ানের ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে নিজের গলার দিকে তাকিয়ে হতচকিত চমকে উঠল।
“বদমাইস অসভ্য লোক … কী করেছে গলাটার! আমি এখন বাইরে যাব কীভাবে? অসভ্য পুরুষ মানুষ না কি পশু? আমার প্রতি এতটুকু মায়া দয়া নেই লোকটার হে আল্লাহ্, এই মানুষটাকেই কেন আমার ভাগ্যে বসিয়ে দিলে? শালার বাচ্চা, হিংস্র বাঘের মতো আচরণ।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তিয়াশাকে ডেকে আনতে বললেন রুহেনা বেগম, অনুর উদ্দেশ্যে।
কিন্তু তার আগেই তিয়াশা নিজেই বেরিয়ে এলো। গলায় তার চুড়িদারের ওড়নাটি যত্নসহকারে জড়ানো ছিল চোখে মুখে স্পষ্ট অস্বস্তির ছায়া।
রুহেনা বেগম প্রশ্ন করতেই, তিয়াশা সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দিল,
“ঠান্ডা লেগেছে একটু।”
রুহেনা বেগম মনে মনে বিস্ময়ে ভেবে উঠলেন—
মেয়েটার মাথাটা একেবারেই বিগড়ে গেল নাকি? এই দগদগে গরমে আবার ঠান্ডা লাগে।
তিয়াশার এই আচরণ দেখে জায়ান নির্লিপ্তভাবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসেই চলেছে।
তিয়াশা হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে জায়ানের দিকে বিদ্যুৎঝলক দৃষ্টিতে তাকাল।
রাগে দাঁত কষে ফিসফিস করে বলল,
“কি অসভ্য লোক! আমাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে একেই আগে চলে এসেছে, আর এখন কিনা মুচকি হাসি দিচ্ছে।”
ঠিক তখনই অয়ন বলল,
“তিয়াশা, চলো যাওয়া যাক তাহলে।”
অয়নের সেই উক্তি কানে গেল জায়ানেরও।
সে মনে মনে ব্যঙ্গ হেসে বলল,
“নে, নিয়ে দেখা একবার! এমন এক ডোজ দিয়ে এসেছি, তোর সাত পুরুষের সাধ্য নেই ওকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার।”
তিয়াশার দৃষ্টি তখনও স্থির, তীক্ষ্ণ জায়ানের দিকেই নিবদ্ধ।
সেই দৃষ্টিকে একটুও সরিয়ে না নিয়েই, সেদিকেই তাকিয়ে থেকেই অয়নকে জবাব দিল,
“আমি ইউভির ভাইয়ার সঙ্গেই যাব অয়ন ভাই।”
অয়ন ও আর কিছু বলতে পারলো না নিজের গাড়ি তে গিয়ে বসল ।
তিয়াশার এই জবাবে জায়ানের মুখে অল্প একটু অখুশির রেখা ফুটে উঠল,
তবুও নিজের মনে সে নিজেকেই সান্ত্বনা দিল
“আমার সঙ্গে না হোক, অন্তত অয়নের সঙ্গে তো যাচ্ছে না।”
এইদিকে নেহাও হঠাৎ জেদ চেপে বসলো,সেও ইউভির গাড়িতেই যাবে, কিন্তু ইউভি তো মোটেই নিতে রাজি না। কিন্তু নাছোড় বন্দা মেয়ে যেয়েই ছাড়বে
শেষমেশ স্থির হলো ইউভির গাড়িতে যাবে অনন্যা, আরোহী, নেহা এবং তিয়াশা।জায়ানের গাড়িতে যাবে –
আকাশ , বৃষ্টি, রায়ান, মারিয়া।
বাকিরা যে যার গাড়িতে, নিজেদের পরিবার নিয়ে একে একে বেরিয়ে পড়ল চৌধুরী বাড়ির মূল ফটক পেরিয়ে।
জায়ানের বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা একদিন বাদে যাবে।
আর বৃষ্টির প্রিয় বান্ধবী তন্নী কোনো অজানা কারণে যাত্রা বাতিল করেছে।
নেহা যখন গাড়িতে উঠে সামনের সিটে বসার জন্য এগোলো, তখনই অনন্যা এগিয়ে এসে বলল,
“আপু, আপনি সামনের সিটে বসতে পারবেন না। এই সিট তো সবসময় আমার জন্য বরাদ্দ আমি সামনে ছাড়া বসতেই পারি না, আপনি জানেন না?”
নেহা একটু চমকে উঠল। মুখে অসন্তোষ স্পষ্ট, তবু বলল,
“আজ একদিন পেছনে বসো না?”
ইউভির ভেতরে কিন্তু অন্যরকম হালকা ঝড়।
সে তো বরং চায়, অনন্যা তার সেই হৃদয়পাখি, তার পাশেই বসুক। একটানা ছয়-সাত ঘণ্টার পথ, আর সামনে বসা মানেই তো একটু বেশি কথা, একটু বেশি চোখাচোখি… একটু বেশি থাকা।
ঠিক তখনই তিয়াশা হালকা হেসে বলল,
“আরে নেহা আপু, আজ পেছনেই বসো না, অনু তো সবসময় সামনেই বসে ওর একচেটিয়া সিট এইটা!”
নেহা হাত ঝাঁকি দিয়ে বোলে উঠল –
ধ্যাত ভালো লাগে না
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হল অনন্যাই বসবে সামনে।
ইউভির মুখে প্রকাশ নেই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে যেন তার জয়! তার হৃদয়পাখি এই গোটা পথ তার পাশে থাকবে এর চেয়ে মধুর কিছু আর কী-ই বা হতে পারে, মুচকি হাসি দিতে দিতে বলল আহা কি শান্তি
কিন্তু নেহা মুখ ফুলিয়ে, চুপচাপ গিয়ে পেছনের সিটে বসে পড়ল। মুখে কিছু না বললেও, দৃষ্টি কেমন এক গুমোট অভিমান টেনে রেখেছে।
আরোহী হালকা হেসে তিয়াশার কানে কানে বলল,
“তোর নেহা আপু তো কুপোকাত রে… হি হি হি হি!”
“এই তুই চুপ করবি সুনলে আরও ক্ষেপে যাবে ।”
তারপর কিছুটা নিচু গলায়, দুষ্টুমি মেশানো কণ্ঠে বলল,
“আর দোস্ত, যেটা ওড়না দিয়ে ঢাকতে চাচ্ছিস, সেটা ভালো করে ঢাক। আমি কিন্তু হালকা দেখে ফেলেছি!”
তিয়াশা চমকে উঠল!
তার মুখের ভেতর দিয়ে যেন এক লজ্জার ঝড় বয়ে গেল।
আরোহী দেখে ফেলেছে?!
ওই গলার দাগ… ইস্!
সে তাড়াতাড়ি ওড়নাটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিল।
কিন্তু শুধু আরোহী না, সেই মিরর গ্লাস দিয়ে ইউভিও দেখে ফেলেছে ওটা।
এক ঝলকে, একবারেই বুঝে গিয়েছে এ তার ভাইয়ার কাজ।
ভেতরে ভেতরে রাগে গা টানটান হয়ে গেল ইউভির, তবু… সে তো কিছু বলতে পারে না।
ভাইয়া তার!
কিন্তু মনেই মনে তার প্রশ্ন জেগে উঠছে,
“এই কী অবস্থা করলেন ভাইয়া আমার বোনটার!”
ঢাকা থেকে রাঙামাটির ছয়-সাত ঘণ্টার দীর্ঘ রাস্তা।
মহাসড়কের ধারে ধারে ঘুম জড়ানো গাঁয়ের ঘরবাড়ি, রোদে আধা-শুকনো সরিষার মাঠ, আর মাঝে মাঝে ছায়াঘেরা গাছের সারি রাস্তার দুই পাশে জেগে উঠছিল সিনেমার দৃশ্যের মতো।
যে গাড়িগুলোতে সকালের ঘুম ভাঙা চোখ, মোচড় খাওয়া মন, আর নতুন জায়গায় যাওয়ার একরাশ উত্তেজনা নিয়ে বসে আছে সবাই, সেগুলো যেন বাস্তব আর কল্পনার মাঝামাঝি এক পুলকিত নদী পার হচ্ছে।
জানালার কাঁচ ছুঁয়ে ছুটে চলা বাতাসে শুকনো মাটির গন্ধ আর দূর পাহাড়ের নীলছায়া মিশে আছে।
পথে হঠাৎ হঠাৎ ট্রাকের হর্ণ, পাখির ডাক, বা ও নামা না জানা ছোট্ট ঝোপের ফাঁকে চুপ করে বসে থাকা গরু-ছাগলের দল সব কিছু মিলে রাস্তাটা যেন কেবল যাত্রার নয়, বরং উপলব্ধির।
সামনের দিকে যত এগোচ্ছে গাড়িগুলো, ততই পিছনে পড়ে থাকছে শহরের কোলাহল, পারিবারিক ব্যস্ততা, আর কিছু অপ্রকাশ্য অভিমান।
এই দীর্ঘ পথ যেন হৃদয়ের ভিতর জমে থাকা অতল ভাবনার এক অনন্ত সফর।
গাড়ির জানালার পাশে বসে ছিল তিয়াশা। চুপচাপ। বাইরের প্রকৃতি যেন ছুটে চলেছে, অথচ তার মন আটকে আছে গলার ওপরে শক্ত করে পেঁচানো সেই ওড়নার বাঁধনে। বাতাস লাগছে, চোখের পলকে ছায়া পাল্টাচ্ছে, তবু তার ভিতরটা থমকে আছে একটা অনুচ্চারিত লজ্জা আর একরাশ ক্ষোভের।
রাঙামাটির সেই বাগান বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর ২:৩০ টা পেরিয়ে গেল ।
শুধু জায়ানের গাড়িটা পৌঁছাতে একটু দেরি হয়ে গেল এই ছ সাত ঘণ্টার টানা পথের মাঝে কয়েকবার বমি করে শরীরটা ভেঙে পড়েছিল বৃষ্টির। বারবার গাড়ি থামাতে হয়েছে। জানালার কাচে মাথা ঠেকিয়ে চুপ করে বসে থাকা সেই কাতর মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, শরীরের চেয়ে মনের ক্লান্তিই যেন বেশি ।
এতটা পথ সবাই ই খুব ক্লান্ত , কিন্তু বাগান বাড়ির দিকে তাকাতেই সেই ক্লান্তি নিমেষেই উধাও হয়ে গেল
আর তখনই সামনে খুলে গেল এক বিস্ময়ের দরজা।
বিশাল বহুল চৌধুরী পরিবারের সেই বাগানবাড়ি যে একবার দেখে, সে ভুলতে পারে না। যেন কোনো ছবির বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা এক জীবন্ত দৃশ্য।
নানা জাতের ফুলে ভরা সেই বাগান গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গাঁদা, গোলাপ সব রঙের আর সুবাসের মিলন। বাগানের একপাশ দিয়ে পাথরের খাঁজ বেয়ে নেমে গেছে ছোট্ট এক ঝরনা, যার টুপটাপ শব্দে ভরে আছে চারদিকের বাতাস।
সারি সারি ফলের গাছ আম, কাঁঠাল, সফেদা, জামরুল, কামরাঙা, চুইংগাম ফল থেকে শুরু করে বিদেশি অ্যাভোকাডো পর্যন্ত সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে জ্বলজ্বল করছে রোদের সোনালি ছটা।
বাগানজুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে রঙিন প্রজাপতি, গুনগুন করছে মৌমাছি, আর দূরে কোথাও কাঠঠোকরার ঠকঠক আওয়াজ এক নিঃশব্দ গ্রামীণ সংগীত যেন।
চৌধুরী পরিবারের এই বাগানবাড়িটা শুধু একটা বাড়ি নয় এটা একটা অনুভব, একটা ঐতিহ্য, একটা প্রাচীন সৌন্দর্যের নিঃশব্দ অহংকার।
সবাই যে যার রূমে চলে যায় , আগে থেকেই ঠিক করা সবার ছিল রুম , বিশাল বহু বাগান বাড়িটাও এত মেহমান এর মাঝে ছোট।
তিয়াশা, বৃষ্টি, আরোহী, অনন্যা, নেহা এক রুমে।
জায়ন , আকাশ, ইউভি এক রুমে ।
অয়ন , নয়ন , রিক, রায়ান।
আর বাকি সবার রুম আলাদা আলাদা ।
ইউভি দাড়িয়ে ছিল বাইরে , জায়ন এর জন্য ।
বৃষ্টিকে সুরাইয়া বেগম এসে রুমে নিয়ে যায় । এদিকে মেহজাবীন বেগম ,রূহেনা বেগম বুঝে ঊঠতে পারছে না বৃষ্টির এত অসুস্থতার কারন , এর আগেও তো বহূ বার এসেছে তারা তখন তো সে কখনোই অসুস্থ হয়ে পড়েনি।
ভাবনা চিন্তা ছেড়ে যে যার কর্মে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
” ভাইয়া ”
জায়ন সদর দরজায় প্রবেশ করার আগেই ইউভির গলা শুনে দাড়িয়ে পড়ল ।
পেছন ফিরে ভ্রু কুচকে তাকাল , বুঝতে পারছে না হঠাৎ এরকম ভাবে জায়ন কে ডাকার মনে ।
” ব ব বলছিলাম যে।”
” হুমম বল , কি হলো এরকম কাপাকাপি করছিস কেন আবার ?”
” ভাইয়া আসলে বলছিলাম যে আমার বোন টা অনেক ছোট , ইয়ে মানে এই গুলো হারাম।”
জায়ন একটু এগিয়ে ইউভির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলল –
” মানে ?”
“ইয়ে মানে ওই যে ওই যে…”
শব্দ আর মুখ ফুটে উচ্চারণ হচ্ছে না —
” আরে কি বলবি তো।”
ইউভি চোখ মুখ বন্ধ করে বলে উঠলো –
” আমি বনুর গলায় দাগ দেখেছি।”
এবার জায়ন অন্য দিকে তাকিয়ে বলল —
” তোর চোখ কে সামলে রাখ ভাই , নইলে ভবিষ্যত এ অন্ধ হয়ে যাবি ভাই ।
আর আমার ফিলিংস সবই হালাল , কোন কিছু হারাম না, আমিও জানি তোর বনু অনেক ছোট, যেটুকো সে সামলাতে পারবে আমায় এখন সেটুকুই দাবি রাখব সরি নিজেই নিয়ে নেব। তাও এই সমাজের জন্য হালাল জিনিশ টা হালাল ভাবেই তোলা আছে চিন্তা করিস না।
আমি চাইবো না আমার কিটি ক্যাট এর দিকে কেউ আঙুল তুলুক , সেই ব্যক্তি আঙুল তোলার আগে তার আঙ্গুল কেটে তাজ বানিয়ে তোর বনুর মাথায় পরাবো।”
“ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড ভাই?”
আবারো ইউভি মনে মনে ভেবে বসল কেন যে বলতে এসেছিল । নিজেই নিজেকে গালি দিচ্ছিল মনে মনে।
ইউভি ধীর কন্ঠে জবাব দিল —
“জী ভাইয়া।”
জায়ন ফিরে যেতে লাগল কিন্তু কি একটা ভেবে একটু বাঁকা হাসি দিয়ে ইউভি কে বলল —
” আর তোর মনে হয় আমি কিছু করলে তোর বোন চলার মত অবস্থায় থাকতো?”
এই লোকের মুখে ট্যাক্স নেই একটুও , ব্যাটা আমার বোন রে নিয়েই আমার সামনে বলে । উফফ যা তা লোক মাইরি,
ইউভি দাঁত পিষে পিছন থেকেই বলল —
তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ১৯
” ভাইয়া তুমি দিন দিন লাগাম ছাড়া বেহায়া কথা বার্তা শুরু করসো।”
জায়ন চলে যেতে যেতে ইউভি কানে জায়ন এর কথা ভেসে আসলো –
” লাগাম ছাড়ালে তুই মামা হয়ে জেতি, আর তোর বনু কে দেখলে বেহায়া হয়ে যাই, তুই ও হবি তোর হৃদয় পাখি আরেকটু বড় হলে ডোন্ট ওয়ারি।”