তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৩
তাবাস্সুম খাতুন
দুপুর দুইটা বেজে চার মিনিট। বাড়ির তিন কর্তা ড্রইং রুমের সোফায় বসে আছে। গিন্নিরা দুপুরের খাবার খাচ্ছে ডাইনিং টেবিলে বসে।পিহু, মিহু, তাজ সবাই নিজেদের রুমে ঘুমাচ্ছে। জারা, রাত্রি, সামিয়া এক সাথে বসে গল্প করছে উপরের রুমে। নিশান আর সিমি নিজেদের রুমে অবস্থান করছে। এমনি একটা সময়ের মধ্যে জিহান সেলিনা চৌধুরী কে ধরে চৌধুরী ম্যানশনের ভিতরে প্রবেশ করলো। সেলিনা চৌধুরী নিজের শাড়ি দিয়ে মুখের এক পাশ সহ হাত ঢেকে রাখছে। পা মাটিতে ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। জ্বলে যাচ্ছে তাই জিহান ধীরে ধীরে সেলিনা চৌধুরী কে আনছে। জিহান সেলিনা কে নিয়ে ড্রইং রুমের দিকে যেতেই সবার দৃষ্টি পরে তাঁদের দুইজনের দিকে। সবাই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে জিহানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ঘোমটা দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখা মহিলা টিকে দেখে। জিহান ধীরে ধীরে সেলিনা কে নিয়ে গিয়ে বসালো সোফায়। সে নিজেও বসলো তার পাশে। সালাউদ্দিন জিহানের উদেশ্য বললো,,,
“জিহান কে ওটা?”
জিহান তার দিকে তাকিয়ে শান্ত কণ্ঠে বললো,,,
“বড়ো মামী।”
বড়ো মামী কথাটা সবার কানে ঢুকতেই সবাই আঁতকে উঠলো। কি হয়েছে তার? এইভাবে কেন মুখ ঢেকে আছে। রোজিনা, কিয়া, মেহেরিমা খাবার ছেড়ে উঠে আসলো। রোজিনা এসে সেলিনার মাথার কাপড় খুলে ফেললো। সাথে সাথে সবাই চোখ বুজে ফেললো একদম ঝলসে গেছে কেমন একটা অবস্থা। রোজিনা বলে উঠল,,,
“বড়ো আফা এ এ কি অবস্থা আপনার? আপনি কই ছিলেন? কিভাবে হলো এইগুলো?”
সেলিনা মাথা নত করে বসে আছে কোন জবাব দিচ্ছে না। জিহান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,,,
“নিশান করেছে এমন অবস্থা। সিমি কে বারবার আঘাত করতে চাওয়ার জন্য এই অবস্থা হয়েছে।”
রোজিনার চোখে পানি চিকচিক করছে সে কান্না ভেজা কণ্ঠে বললো,,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“করেছে তাই কি হয়েছে? সিমি তো তার মেয়ে হয় করতেই পারে। তাই বলে এইভাবে শাস্তি দেবে। এইগুলো অন্যায় করেছে সে।”
রোজিনার কথা শুনে তাজউদ্দিন বললো,,,
“দেখো রোজিনা সেলিনা নিজের পাপের শাস্তি পাচ্ছে। ও পথ ভুলে গেসিলো তাই নিশান তাকে পথে ফেরাতে চেয়েছে এইটাই তার প্রাপ্য।”
রোজিনা উঁচু গলায় বললো,,,
“কিসের প্রাপ্য বড়ো ভাই আপনিও ভুলে যাচ্ছেন? বড়ো আফা এত বছর ধরে সংসার তাকে বেঁধে রেখেছে। হ্যা সে ভুল করেছে পথ ভুলেছে তাই বলে তাকে পুড়িয়ে মারতে হবে? বুজালে কি সে বুঝতো না? আরে ভাই সামান্য কিছু করতে পারতো না বুজলে!তাই বলে এত বড়ো যদি কিছু হয়ে যেত?”
কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেলিনা রোজিনার হাত জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কান্না করতে লাগলো। ফুঁফাতে ফুঁফাতে বললো,,,
“আমি সত্যি অন্যায় করেছি মেজো। আমাকে মাফ কর তুই আমি অন্ধ ছিলাম দশ বছর আগের সামান্য কথা আমি ধরেছিলাম। আমি ভুল করেছি সত্যি আমার এইগুলো প্রাপ্য আমাকে মাফ কর।”
রোজিনা সেলিনা কে জড়িয়ে ধরে বললো,,,
“তুমি কেন মাফ চাইছো বড়ো আফা? আমি জানি তুমি কোন খারাপ কিছু করতে পারবে না। তুমি পথ ভুলেছো। সঠিক এসেছো আবার এইটাই অনেক আর কিছু লাগবে না।”
সেলিনা এখনো কান্না করছে আর রোজিনা এইটা ঐটা বুজিয়ে চুপ করাচ্ছে। প্রতিটা মানুষের চোখের কোনে পানি জমছে সবাই সপ্তপর্ণে মুছে নিলো চোখের পানি। এইদিকে নিশান আর সিমি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসছে। জিহান মূলত নিশান কে বলে দিয়েছিলো যে সিমি কে নিয়ে নিচে আশার কথা। সিমি তার মা আর বড়ো আম্মুকে এইভাবে কান্না করতে দেখে বিষয় টা কিছু বুজতে পারলো না। সে নিশানের দিকে তাকালো তো আবার সবার দিকে তাকালো। নিশান সিমির হাত ধরে ড্রইং রুমে আসলো। সবার চোখ তাদের দিকে গেলো। এইদিকে সিমি সেলিনার এই অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলো। সে নিশানের হাত ছাড়িয়ে তার বড়ো আম্মুর কাছে গিয়ে বললো,,,
“একি অবস্থা বড়ো আম্মু তোমার? কি হয়েছে এইসব কিভাবে হলো?”
সেলিনা হেসে বললো,,,
“আমার পাপের শাস্তি রে মা এইগুলো।”
সিমি কিছু বলতে যাবে এর আগে নিশান বলে উঠলো,,,
“তোকে এইখানে নিয়ে এসেছি তার মানে এই না যে তুই কান্না করবি? চোখ থেকে যদি এক ফোঁটা পানি বাহির হয়। তো শাস্তি টা কয়েক ফোঁটা বেশি হবে।”
নিশানের কথা শুনে কেউ কিছু বললো না। শুধু তাজউদ্দিন বললো,,,
“বালের নিয়ম দিসে। মানুষের সাথে সুখ দুঃখের কথা বললে কি ইমোশনাল হয়ে যাই না। থাক তোরা আমি গেলাম, এইসব নিয়ম আমার দ্বারা দেখা সম্ভব না।”
বলে যেতে নিলেই নিশান বলে উঠলো,,,
“বালের নিয়ম হলেও ঐটা একমাত্র আমার বউ এর জন্য বরাদ্ধ বাকি কাউকে তো আর বলছি না। কাঁদো কাঁদো সবাই কাঁদো তাতে আমার বাল ছিঁরাও যাই আসে না।”
তাজউদ্দিন কিছু na বলে বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো। সবাই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এইদিকে সেলিনা সিমির হাত ধরে কান্না ভেজা কণ্ঠে বললো,,,
“সিমি মামুনি মাফ করিস আমাকে, আমি জেনে না জেনে অনেক অন্যায় করেছি।এর জন্য আমি ক্ষমা পাওয়ায় যোগ্য না। তোর সন্মান আমি নষ্ট করতে চেয়েছি মাফ করিস আমাকে। হয়তো মাফ করার যোগ্যতা নেই আমার মধ্যে। মাফ করতে হবে না শুধু মনের মধ্যে কোন ঘৃণা রাখবি না মামুনি। ওই জঙ্গলের ঘটনা ও আমার জন্য হয়েছে। সত্যি আমি অনেক অনেক দুঃখিত করবি না আমাকে ক্ষমা আমি খারাপ।”
এইদিকে সেলিনাr কথা শুনে সিমির চোখ পানিতে টুইটুম্বর হয়ে গেছে। সে নাক টেনে সেলিনাকে বললো,,,
“আমি তোমাকে ঘৃণা ও করি না বড়ো আম্মু। আর না কোন রাগ মনে পুষে রেখেছি তুমি যে বুজতে পেরেছো এইটাই অনেক। তুমি আমার কাছে সেই আগের মতোই অনেক উপরের স্থানে বসে আছো আমার বড়ো আম্মু রূপে আমি ক্ষ…!,”
কথা শেষ করার আগেই নিশান হুট্ করে সিমি কে কোলে তুলে নিয়ে কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো। এইদিকে প্রতিটা সদস্য অবাক নয়নে নিশানের যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে। নিশান কাউকে তৌক্কা না করে সিমি কে নিয়ে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো। সিমি হাত পা ছুড়াছুরি করতে লাগলো। নিশান সিমি কে বেডে ফেলে দিলো। সিমি উঠে বসে নিশান কে বললো,,,
“সমস্যা কি আপনার? সবার সামনে এইভাবে কেন কোলে করে তুলে আনলেন আমাকে?”
নিশান সিমির দিকে ঝুঁকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,,,
“তোকে বলছিলাম না? যেন চোখে এক ফোঁটা পানিও না আসে? ”
সিমি নিজের চোখে হাত দিলো পানি নেই se হাত নিশানের দিকে ধরে বললো,,,
“কোথায় পানি?”
নিশান দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“তোর চোখ তো পানি তে ভর্তি।”
সিমি কপাল কুঁচকে বললো,,,
“চোখে আছে বাইরে তো আসি নি।”
নিশান সিমির গাল জোরে চেপে ধরে বললো,,,
“তর্ক মারাস আমার সাথে?”
সিমির গাল ব্যাথা করছে নিশান খুব জোরেই সিমির গাল ধরে রেখেছে। সে হাত দিয়ে নিশানের হাত ছাড়াতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। নিশান আরো জোরে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“Mind it ইশু, তোর সাথে যে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি, আর দুটো সুন্দর বাণী শুনিয়েছি বলে মনে করিস না আমি ভালো? তোকে জ্যান্ত কবর যেমন দিতে পেরেছি। তো পুরো দাফন টাই করতে পারবো। So be, careful বারবার এইসব মনে করাবো না আমি।”
বলে সিমি কে চেলে দিয়ে নিজের ফোন হাতে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। এইদিকে সিমি বেডে উবুড় হয়ে শুয়ে থেকে কান্না করতে লাগলো। কি নিষ্ঠুর সত্যিই তো কেন সে তার সাথে দুটো সুন্দর কথা বলছে বলে ভাবছে সে ভালো? সিমির এইটা ভেবে আরো কান্না লাগছে সে উঠে বসলো হাঁটু তে মুখ গুঁজে দিয়ে বিড়বিড় করলো,,,,
“তার মানে নিশান ভাই আপনি আমাকে ভালোবাসেন না? আমাদের সম্পর্ক সামান্য শারীরিক ভাবে কাছে আসা যার জন্য দুইটা সুন্দর বাণী বলা? সত্যিই আপনি এমন, তবে কেন আসলেন?”
বলে হুঁ হুঁ করে কান্না করতে লাগলো। বুকটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে নিশান ভাই তাকে ভালো বাসেনা। কাছে আশার জন্য দুইটা বাণী শোনাই ছি এইটা ভাবতেই কষ্ট লাগছে তার প্রচুর। এর মধ্যে তার ফোনে একটা নোটিফিকেশন আসলো। সিমি নিজের ফোন হাতে নিয়ে চেক করলো মেসেজ টা আসছে হোয়াটস্যাপ থেকে আনকন নাম্বার। সিমি হোয়াটস্যাপ এপ্স এ ঢুকে মেসেজ ওপেন করলো সেইখানেই লেখা আছে,,
“আপনার স্বামী তানভীর চৌধুরী নিশান অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক আছে তার।খারাপ জায়গায় যাওয়া আসা করে। হয়তো আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। আমার কাছে প্রমান আছে সবকিছুর আপনি আমার সাথে এই ঠিকানায় দেখা করেন বিকাল চারটার সময়। আমি থাকবো। বিশ্বাস করে আসতে পারেন কোন বিপদে পড়বেন না।”
এই মেসেজের নিচে ঠিকানা দেওয়া আছে। ঠিকানা টা একটা কপি শপের। চৌধুরী ম্যানশন থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিটের রাস্তা। সিমি বারবার মেসেজ টা পড়তে লাগলো। তার মাথায় ঘুরছে সত্যিই কি নিশান অন্য মেয়েদের সাথে জড়িয়ে আছে? খারাপ জায়গায় যাই? এইটা কি আদাও সত্যি? সে তো মাত্র তাকে বললো তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া আর কিছু নেই!তার মানে অন্যের সাথে আছে? এইসব প্রশ্ন সিমির মাথায় বারবার ঘুরতে লাগলো। সে যাবে আজকে যাবে এর উদ্ঘাটন সে করবে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল সে দেখবে।নিশান নিজেই বলেছে শুধু জাস্ট শারীরিক সম্পর্ক। আর কিছু না। সিমি নিজের চোখের পানি মুছে নিলো। নিজেকে স্ট্রং করতে লাগলো সে যাবে আর সবকিছু শুনবে দেখবে।সে ভাবতে লাগলো সবার চুরি করে বেরোবে কিভাবে বাড়ি থেকে? আর নিশানই বা এখন কোথায় গেলো?
জিহান মাত্র নিচে থেকে উপরে আসলো নিজের রুমে। রুমে ঢুকে বউ কে খুঁজে না পেয়ে জিহান জারাদের রুমে গেলো। সেইখানে সামিয়া বসে গল্প করছে। জিহান ভিতরে ঢুকে সামিয়া কে উদ্দেশ্য করে বললো,,,
“সারারাত সারাদিন পরে জামাই বাড়ি ফিরলো এখন। আর তুমি অন্য রুমে বসে গল্প করছো স্বামীর খেজমত বাদ দিয়ে!”
সামিয়া ভ্রু কুঁচকে জিহান কে বললো,,,
“তো বাড়ি ফেরেন নি কেন? জামাই সাহেব। আপনাকে তো আর আমি ভয় দেখায় নি যে এই কারণে বাড়ি ফিরেন নি।”
জিহান — “ভয় দাও নি মানে। আমার কল্পনা তে এসে আমাকে ঝাঁটা নিয়ে তারা করছিলে তুমি।”
জিহানের কথা শুনে রাত্রি সামিয়া কে ধাক্কা মেরে বললো,,,
“ভাবি এমন টা করতে পারলে তুমি? ভাইয়া কে শেষমেষ ঝাঁটা দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে গেলে?”
সামিয়া একই টোনে বললো,,,
“বেশ করেছি। আপনার জন্য আমার ঝাঁটাই যথেষ্ট।”
জিহান ফাজলামো বাদ দিয়ে শান্ত কণ্ঠে বললো,,,
“উঠে আসো আমি ক্লান্ত ঘুমাবো।”
সামিয়া — “তো ঘুমাবেন তো ঘুমান। আমাকে কেন ডাকছেন?”
জিহান কোন কথা না বলে সামিয়ার হাত ধরে টান দিলো।সামিয়া যেতে চাইলো না। জিহান সোজা সামিয়া কে কোলে তুলে নিয়ে সোজা নিজের রুমের দিকে হাঁটা ধরলো। সামিয়া হাত পা ছুড়াছুরি করতে লাগলো। এইদিকে জারা আর রাত্রি ওদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে একসাথে বলে উঠলো,,,
“আমাদের কবে হবে?”
এইদিকে জিহান সামিয়াকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লক করে দিলো। সামিয়া কে বেডে বসাতে সামিয়া রাগানিত্ব কণ্ঠে বলে উঠলো,,,
“বারবার কোলে নেন কেন? আমি কি খোঁড়া।”
জিহান — “অবশ্যই খোঁড়া নয়তো এত টানার পরেও যদি না আসো তো খোঁড়া উপাধি তো পাবেই।”
বলে সেও বেডে বসলো আচমকা সামিয়ার কোলে শুয়ে পড়লো। সামিয়া অবাক হয়ে গেলো। জিহান সামিয়ার পেটের কাছে মুখ গুঁজে দিয়ে সামিয়া কে জড়িয়ে ধরলো। জিহানের গরম নিশ্বাস সামিয়ার জামা ভেদ করে উদরে পড়ছে। সামিয়ার যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। আলাদা এক অনুভূতি কাজ করছে। সামিয়া নার্ভাস কণ্ঠে বলে উঠলো,,,
“কি করছেন আপনি? আমার অস্বস্তি হচ্ছে সরে যান আমার থেকে।”
জিহান স্লো ভয়েসে বলে উঠলো,,,
তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩২
“জান কাল সারারাত আমি ঘুমাই নি। এখন ঘুমাবো ডিসটার্ব করবে না একদম।”
জিহানের কথা বলাতে সামিয়ার উদরে জিহানের নিশ্বাস বারবার উপচে পড়ছে। সামিয়া আর কিছু বলতে পারলো না জায়গায় ফ্রিজ হয়ে বসে রইলো। তার কথা বলার কোন শক্তি নেই। আলাদা আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যে। জিহান সামিয়া কে জড়িয়ে ধরেই ঘুমের রাজ্যে পারি জমালো। আর এইদিকে সামিয়া ঐভাবেই বসে রইলো।