না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২৪

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২৪
মাইশা জান্নাত নূরা

বিকেলবেলা…
সূর্য এখন আস্তে আস্তে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে। নদীর নদীর ধারে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে নিশা আর সারফারাজ।
নিশার পরনে রয়েছে স্লিভলেস শর্ট টপস যা হাঁটুর খানিকটা উপর পর্যন্ত বিরাজ করছে। নিচে শরীরের রঙের টাইচ পড়েছে। হালকা মেকআপ, ন্যুড লিপস্টিক আর কাঁধ ছোঁয়া সিল্কি চুলগুলো বাতাসে উড়ায় নিশাকে যথেষ্ট সুন্দর দেখাচ্ছে। উচ্চতা চোখে পড়ার মতো হওয়া সত্ত্বেও হাই-হিল পরায় উচ্চতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিশার। বাম হাতে ছোট্ট পার্টস ব্যাগ ধরে আছে সে৷ নিশার চোখে-মুখে রহস্য ও আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট ফুটে আছে।
সারফারাজের পরনে রয়েছে বরাবরের মতোই ওর প্রিয় সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পাজামা। পায়ে রয়েছে অর্ধখোলা সু। বাম হাতে ব্র্যান্ডের ঘড়ি। সারফারাজ ওর তীক্ষ্ণ নীল মণিবিশিষ্ট চোখজোড়া স্থির করে রেখেছে নিশার উপর। চোয়াল শক্ত হয়ে আছে, কপালের ও ঘাড়ের সূক্ষ্ণ র*গ গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যা ওর ভিতরে বহমান তীব্র রাগের প্রতিচ্ছবি হয়ে ফুটে আছে লোক সম্মুখে৷
নিশা নিঃশব্দে হেসে বললো…..

—“আপনার মুখোমুখি কখনও এভাবে হতে হবে ভাবি নি এমপি সাহেব। আসলে, আমি আপনাকে নিজের ভাসুর বানাতে চেয়েছিলাম। অর্থ্যাৎ আপনার আদরের ভোলা-ভালা ছোটভাই তেজওয়ার খান তেজের বউ হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সম্মান না আমার পাওয়া হলো আর না আপনার…!”
সারফারাজ ওর চোয়াল শক্ত রেখে ধাঁ*রা*লো কন্ঠে বললো…..
—“আমার ছোট ভাইয়ের সম্পর্কে ঐ ধরণের কথা বলার সাহস তুমি কোথায় পেলে নিশা? আমার ভাই একজন মেয়ে বা*জ? ক্লাবে ক্লাবে ঘোরে, ড্রিংকস করে? এসবের কোনো প্রমাণ আছে তোমার কাছে?”
নিশা ওর ঠোঁটে বাঁকা হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বললো…..
—“আপনার কি মনে হয়, শক্ত কোনো প্রমাণ ছাড়া আমি এমন অভিযোগ তুলতাম আপনার সামনে?”
সারফারাজ নিশার দিকে এক পা এগিয়ে এলো। এতোটা কাছে যে নিশার নিঃশ্বাসের গরম হাওয়া টের পাওয়া সম্ভব। সারফারাজ হি*স*হি*সি*য়ে বললো….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—“দেখাও তবে প্রমাণ। আর যদি দেখাতে না পারো মনে রেখো, এই নদীর ধারেই তোমাকে জীবন্ত কবর দিয়ে দিতে এই এমপি সাহেব ইউসুফ খানের এক মুহূর্তও সময় লাগবে না।”
নিশা এবার একবার শুকনো ঢোক গি*ললো। নিশার বুকের ভেতর ভ*য় কাজ করলেও নিজের চোখে-মুখে সেটার ছাপ স্পষ্ট হতে দিলো না সে। নিশা দৃঢ় কন্ঠে বললো…..
—“চলুন এমপি সাহেব, সামনা-সামনি দেখাবো যা দেখানোর।”
অতঃপর সারফারাজ গাড়ির ড্রাইভিং সিটে উঠে বসলো। আর নিশাও নিঃশব্দে ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে বসলো। নিশা লোকেশন বলে দিলে সারফারাজ গাড়ি স্টার্ট করে সেই পথে রওনা হলো।
নিশার চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিয়ৎক্ষণ পূর্বের ঘটনা…..

নিশা প্রায় ৩ মাস হলো একটা মহিলা কর্ম সংস্থান খুলেছে। সেখানে ওর আন্ডারে ৫০ + নারী কর্মী কাজ করে। নকশী কাঁথা সেলাই করে, বেতের ও বাঁশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসপত্র বানায়। এখানে সেই সকল নারীরা কাজ পেয়েছে যারা নিজেদের সংসার জীবন নিয়ে অসুখী, নিজের স্বামীর আয়ের পাশপাশি নিজেও কিছু করতে চায় সংসারের উন্নতির কথা চিন্তা করে তারাই।
নিশার এমন চিন্তাধারা ও কাজের পিছনে বড় উদ্দেশ্য ছিলো। নিশার মতো মেয়ে নিজেদের ফেমাসিটি সবার সামনে বাড়ানোর জন্যই মূলত এসব করে থাকে। নিশা এবার ঠিক করেছিলো ওর আন্ডারে কর্মরত সবাইকে জামা-কাপড় কিনে দিবে তাদের নিজেদের পরিধানের উপযুক্ত হবে এমন৷ তাই নিশা সুপার সপিং মলের পাশেই থাকা এই গলির ভিতরে অবস্থান করা সস্তার কাপড়ের দোকানে এসেছে।

কেনাকাটা শেষ হলে দোকান থেকে বের হতেই নিশার নজরে পড়লো ওর সামনেই আরেকটা হাঁড়ি-পাতিলের দোকান থেকে বের হতে থাকা তেজের উপর। তেজের পাশেই আরো একটি মেয়ে ছিলো। যথেষ্ট দূরত্ব থাকায় তেজ ও মেয়েটির মধ্যকার কথপোকথন নিশা শুনতে পারছে না। নিশার চোখ-মুখ শক্ত হয়ে এলো, কপালে একটা ভাঁজ স্পষ্ট হলো। নিশা তৎক্ষনাৎ ওর ফোন থেকে তেজকে কল করলো। নিশা দেখলো তেজ ওর কল স্বযত্নে কেটে দিয়ে আবারও সেই মেয়ের সাথে অন্য দোকানের ভিতর চলে গেলো। নিশা শক্ত কন্ঠে বললো…..
—”তুমি আমাকে পাত্তা দাও না এদিকে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরো! আমি তোমার আসল রূপ তোমার পরিবারের সামনে খোলাসা করবো। আর সেটা আজই। তুমি যে একটা প্লেবয়, শত মেয়েকে বেডপার্টনার বানিয়েছো, দামী দামী ব্রান্ডের ড্রিংকস সেবন করো সব জানাবো।”

এই বলে নিশা সরাসরি সারফারাজকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বললো…..
‘আপনার ছোট ভাই তেজ একটা মেয়ে বা*জ, নেশা করে, ক্লাবে যায়। জানি বিশ্বাস হবে না আপনার আমার মুখের কথার। তাই আমি শক্ত প্রমাণ দিতে প্রস্তুত। এক্ষুণি (……) এই ঠিকানায় চলে আসুন। আমি অপেক্ষা করছি আপনার।’
অতঃপর নিশা ওর একজন ফ্রেন্ডকে তেজের উপর নজর রাখতে বললো যতোক্ষণ না সে এখানে আবারও ফিরে আসছে।
নিশার বলা ঠিকানায় এসে গাড়ির ব্রেক কষলো সারফারাজ। তৎক্ষণাৎ নিশার ধ্যন ভাঙলো। সারফারাজ বললো….

—”কোথায় তোমার প্রমাণ?”
নিশা গাড়ির ভিতরে থাকা অবস্থাতেই সামনে ও আশেপাশে নজর বুলালো। তখুনি একটা ইলেকট্রনিকস এর দোকান থেকে তেজ আর ইলমাকে বের হতে দেখে নিশা আঙুল ইশারায় বললো….
—”ঐযে ঐদিকে দেখুন। চিনতে পারেন কিনা নিজের ভাইকে সম্পূর্ণ নতুনরূপে। সেটাও একজন মেয়ের সাথে ঘুরাফেরা করা অবস্থায়।”

সারফারাজ নিশার ইশারা লক্ষ্য করে সেদিকে তাকালো। তেজের সেই চিরচেনা রূপটা এখন নেই। তেজের পরণে নেই সেই ঢোলাঢিলা ফুলহাতা শার্ট ও প্যন্ট, চুলগুলোও নেই তেলচিট চিটে অবস্থায়, চোখে নেই সেই বড় ফ্রেমের চশমাটা। রয়েছে একটা ওলিভ গ্রিণ শার্ট, প্যন্ট, চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা। পুরোপুরি বদলে যাওয়া স্মার্ট, হ্যান্ডসাম লুক নিয়ে চলাচল করছে তেজ ইলমার সঙ্গে হাসতে হাসতে।
সারফারাজের বুকের ভেতরটা কেমন যেনো করে উঠলো। দু’হাতে ধরা স্টিয়ারিং এর বাঁধন আরো শক্ত হয়ে এলো। সারফারাজের শিরা-উপশিরায় তাজা রক্ত যেনো ফুটতে শুরু করলো। তীক্ষ্ণ গাড় নীল মণিজোড়ার চারপাশে থাকা সাদা অংশ হালকা রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। ঠোঁটের ফাঁ*ক দিয়ে বেরিয়ে এলো কেবল ‘তেজ’ শব্দটি।
নিশা দৃঢ় কন্ঠে বললো….

—“আপনার আরেক ভাই আছে না, নির্ঝর মেবি নাম তার? সেও জানে তেজের আসল রূপ সম্পর্কে। ওরা যখন খান বাড়িতে থাকে না তখন ওরা আপনাদের বাংলো বাড়িতে গিয়ে উঠে। সেখানে আমিও কয়েকবার গিয়েছিলাম।”
সারফারাজ পরপরই শক্ত কন্ঠে বললো….
—“আউট।”
নিশা হতভম্ব হয়ে সারফারাজের দিকে তাকিয়ে বললো….
—“হোয়াট?”
সারফারাজ গর্জে উঠে বললো….
—“I said get out. গাড়ি থেকে নামো। এক্ষুণি।”

সারফারাজের বলা কথায় নিশা কেঁ*পে উঠলো। তৎক্ষণাৎ নিজের ব্যাগটা হাতে নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে নেমে পড়লো নিশা। পরপরই চোখের পলকে সারফারাজ গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে।
নিশা সারফারাজের যাওয়ার পানে একপলক দেখে বাঁকা হেসে বললো……
—“আগুনে পরিমাণের থেকে বেশিই ঘি ঢালা হয়ে গিয়েছে আমার। এবার তেজ বেইবি, কি হবে তোমার? আমার বলা কথাগুলোকে হালকাভাবে নিয়েছিলে তো তুমি। ভেবেছিলে খালি কলসিই বাজে বেশি। তোমার আসল রূপ আমি যেভাবে তোমার বড় ভাইয়ের চোখের সামনে তুলে ধরেছি এখন তুমি আর নিস্তার পাবে না। তুমি আমার হতে চাও না তো, তাই আমিও তোমাকে কারোর হতে দেবো না। শান্তিতে বাঁচতেও দেবো না তোমায়।”

২-৩ দিন ধরে কমোর ব্যথার জন্য ঘর-ড্রয়িংরুম ছাড়া আর কোথাও যেতে পারে নি নির্ঝর। কেমন দম ব*ন্ধ*কর অনুভূতি হচ্ছে ওর সকাল থেকেই। তেজ আর ইলমা বেড়িয়ে যাওয়ার পর পরই ওদের পারিবারিক ডাক্তার এসে নির্ঝরকে চেক-আপ করে ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করে দিয়েছিলেন। পাশপাশি আরো কিছু ঔষধ লিখে দিয়েছিলেন। সার্ভেন্টকে দিয়ে দুপুরের আগেই সেই ঔষধ গুলো আনিয়ে নিয়ে খেয়ে নিয়েছিলো জন্য এখন ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে নির্ঝরের।
প্রকৃতির বাতাস শরীরে লাগাতে ও প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নিতে একটু আগেই ছাদে উঠেছে নির্ঝর। বাগান সাইডে একদম কর্ণারে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে।
সেইসময় সারফারাজ গাড়ি নিয়ে বাংলোর মূল গেইট পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো। গাড়ি থেকে নামতেই একজন মধ্যবয়সের পুরুষ সার্ভেন্ট ওর সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললেন….

—”আসসালামু আলাইকুম বড় সাহেব, কেমন আছেন আপনি?”
সারফারাজ বললো….
—”ওয়ালাইকুম আসসালাম রহমত চাচা। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এদিকে সব ঠিকঠাক তো?”
রহমত বললেন….
—”জ্বি, বড় সাহেব সব ঠিকঠাকই আছে।”
—”নির্ঝর আছে ভিতর?”
—”জ্বি, মেজো সাহেব আর ছোট সাহেব তো কয়দিন ধরে এখানেই আছেন৷”
—”আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি গিয়ে আপনার কাজ করুন। আমি একটু আমার ছোট্ট ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে নেই।”
রহমত মাথা নাড়িয়ে চলে গেলেন। সারফারাজ বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করে আরেকজন সার্ভেন্টকে নির্ঝরের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন….

—”ছোট সাহেবকে তো একটু আগেই ছাদের দিকে যেতে দেখছিলাম, বড় সাহেব।”
সিঁড়ি বেয়ে উপরে ছাদে আসতেই সারফারাজ নির্ঝরকে অপর পাশ হয়ে রেলিং এর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর কাছে এগিয়ে এলো। সারফারাজ নির্ঝরের কাঁধ স্পর্শ করতেই নির্ঝর ভয়ে ‘এই কেএএ’ বলে সামনের দিকে ঘুরতেই সারফারাজকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর চোখ কপালে উঠে যাওয়ার উপক্রম হলো। নির্ঝর শুকনো ঢোক গি*লে বললো….
—”ব-বড় ভাইয়া, তু-তুমি?”
সারফারাজের চোখে-মুখে সেই পূর্বের ন্যয় রাগের ছাপ স্পষ্ট ফুটে আছে। সারফারাজ বললো….

—”ক’দিন হলো এখানে এসেছিস তোরা?”
নির্ঝরের কপালে ইতিমধ্যেই বিন্দু-বিন্দু ঘামের কণা জমতে শুরু করেছে। নির্ঝরের সবকিছু কেমন যেনো এলো-মেলো লাগছে। আমতা আমতা স্বরে বললো…..
—”এইতো ৩-৪দিন হবে।”
—”এতোদিন বাড়ি না ফিরে এখানে থেকে কি কাজ করছিলি তোরা?”
নির্ঝরের ভ*য়ে কলিজা শুকিয়ে আসছে একটু একটু করে। কি বলবে বুঝতে উঠতে পারছে না সে। সারফারাজ আবারও বললো…..
—”তেজ কোথায়?”
—”তে-তেজ ভাই! তে-তেজ ভাই কই?”
সারফারাজ দাঁতে দাঁত পি*ষে বললো….
—”আমি তোকে এই প্রশ্নটা করেছি নির্ঝর।”
নির্ঝর পারছে না তো কেঁদেই ফেলবে এবার। কোনোরকমে বললো….
—”আমি জানি না বড় ভাইয়া, তেজ ভাই কোথায় গিয়েছে! আ-আমায় ব….!”
নির্ঝর পুরো কথা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই সারফারাজ নির্ঝরের গলা চেপে ধরে ওর পিঠ রেলিং এর সাথে ঠেকিয়ে সেদিকে কিছুটা ঝুঁকিয়ে রাগী স্বরে বললো……

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২৩ (৪)

—”একটা মিথ্যে কথা বললে এক্ষুণি তোকে শ্বাসরোধ করে মে*রে এখান থেকে নিচে ফে*লে দিবো জা*নো**…!”
নির্ঝরের নিঃশ্বাস আটকে গিয়েছে। দু’চোখের কর্নিশ বেয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় অশ্রুরা ঝড়ে পড়ছে। একটু শ্বাস নেওয়ার চেষ্টায় নির্ঝর নিজের গলা থেকে সারফারাজের শক্ত হাতখানা সরানোর বৃথা চেষ্টা করছে। কিয়ৎক্ষণ পর সারফারাজ নির্ঝরের গলা নিজেই ছেড়ে দিলো। তৎক্ষনাৎ নির্ঝর সেখানেই ধ*প করে বসে পড়লো। গলায় হাত রেখে জোড়ে জোড়ে কাঁশতে শুরু করলো নির্ঝর। সারফারাজ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে শব্দ করে নিঃশ্বাস ফেলছে। হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে। ফলস্বরূপ দু’হাতের সূক্ষ্ম র*গ গুলো ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। দুই ভাইয়ের এতো বড় ধোঁ*কা কিভাবে সে নিজে সামলে উঠবে! কিভাবেই বা নিজের সহজ-সরল পরিবারের সামনে এদের দু’জনের সত্যরূপ তুলে ধরবে সারফারাজ!

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২৪ (২)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here