বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৩
shanta moni

~ রোদ ভয়ে ধর ধর করে কাপছে” মনে হচ্ছে প্রান পাখি এখনি উড়ে যাবে” ভয়ে ভয়ে শুভ্র দিকে তাকায় শুভ্রর দৃষ্টি শান্ত” রোদ ভয়ে ঘামছে গলা শুকিয়ে গেছে”
রোদ শুভ্র চোখে চোখ রাখে,,কিন্তু ভয়ে বেশি ক্ষন চোখ রাখতে পারে না ভয়ে আবার মাথা নিচু করে নেয়”
~শুভ্র নিজের হুসে আসতেই,,রাগে চোয়াল শক্ত করে নেয়” রেগে গিয়ে রোদ সামনে দাড়ায়,,হাত ধরে টানতে টানতে নিচের ড্রয়িং রুমে নিয়ে আসে “তার পর চিৎকার করে হেনা বেগম ডাকে” হেনা বেগম নিজের রুমে শুয়ে ছিলেন” হটাৎ এমন চিৎকার শুনে নিচে চলে আসেন” শুভ্র চিৎকারে বাড়ির সবাই জড়ো হয়”

হেনা খান আসতেই শুভ্র রোদ কে ধাক্কা দেয়”
রোদ টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে যায়”
হেনা বেগম রেগে গিয়ে বলেন ~
~ কি হচ্ছে শুভ্র এই সব কেমন অসভ্যতা~
শুভ্র রাগান্বিত হয়ে বলে ~
এই মেয়ের সাহস হয় কি করে আমার রুমে যাবার,,,আমার জিনিস পত্র হাত দিবার”
তোমার কথায় আমি ওকে এই বাড়িতে থাকতে দিছি”
দাদি” কিন্তু ওর এতো বড়ো কলিজা কে দিছে ওরে আমার রুমে যাবার”আমার জিনিস পত্র হাত দিবার
হেনা বেগম বলেন
এই সব কি বলছিস শুভ্র তুই ”
শুভ্র বলে~

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আজকের পর থেকে আমি যদি এই মেয়ে আমার আসে পাশে দেখি ” তো ওকে আমি বাড়ির থেকে বের করবো না””ডিরেক্ট গুলি করে মারবো বলে দিলাম”
হেনা বেগম রাগান্বিত হয়ে বলেন~
কি সব বলছিস, তুই শুভ্র আর ভুলে যাস” না তোর আর রোদ এর সম্পর্ক কি `
শুভ্র তাচ্ছিল্য হেসে বলে~
ভুলে যাইনি দাদি” অলরেডি সে সম্পর্ক আমি ভুলে গেছি অনেক আগেই ~
কথা গুলো বলে ধপ ধপ পা ফেলে চলে যায়”শুভ্র
রোদ এখনো ফ্লোরে পড়ে আছে” অশ্রু সিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছে” শুভ্র যাওয়ার দিকে~
হেনা বেগম রোদ কে ফ্লোর থেকে তুলে!
রোদ এর হাত শুভ্র এতো শক্ত ভাবে ধরে নিয়ে আসছিল,, যার কারনে হাতে লাল দাগ পড়ে আছে”
হেনা বেগম রোদ এর মাথায় হাত ভুলিয়ে বলে ”
চিন্তা করিসনা আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে!
রোদ টলমল চোখে হেনা বেগম দিকে তাকায় ~
হেনা বেগম বলে উঠেন ~ আচ্ছা রোদ তোকে না বলেছিলাম শুভ্র সামনে না৷ যেতে তাহলে কেনো তুই
ওর রুমে গেলি’
রোদ যখন কিছু বলতে যাবে,তখন পিছন থেকে হাসি বেগম রাগি চোখে তাকান”

~রোদ কিছু না বলে মাথা নিচু করে নেয়” হেনা বেগম
বলে উঠে ~ আচ্ছা যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়~
মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে রোদ রুমে চলে যায় ”
বিকাল ৪:৩০
নিলয় বাসা থেকে সেজে গুজে টিপটপ হয়ে বেড় হচ্ছে”
উদ্দেশ্য তার বাহিরে ঘুরতে যাবে” আর ব্লগ ভিডিও করবে” কাধে ক্যামেরা জুলানো বাসা থেকে গেট অবধি আসতে আসতে ফোন ক্যামেরায় নিজেকে দেখতে ব্যস্ত
ছিল” হটাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে ধপাস করে পড়ে যায়” আর যার সাথে ধাক্কা লেগেছে সে নিলয় উপরে,,,,
নিলয় রেগে গিয়ে বলে ~
বালে কপাল পড়ে যাবার শনি কি আমার সাথে লেগে আছে,,দুনিয়ায় এতো মানুষ থাকতে,,,
গায়ের উপরে আবার কোন সকিনা পড়লো~মনে তো হচ্ছে কোনো আলুর বস্তুা গায়ে পড়ে আছে”
নিলা রেগে উঠে দাড়ায়” নিলয় উঠে দাড়ায়”
নিলা রেগে গিয়ে বলে ~
এই যে মিস্টার চোখ কি পকেটে নিয়ে হাটেন” মানুষ জন কি চোখে পড়ে নাহ! আর আলুর বস্তুা কাকে বলছেন হ্যা ( রাগি চোখে তাকিয়ে)

নিলয় বিরক্ত হয়ে বলে ~
আমি না হয়’ চোখ পকেটে নিয়ে হাটি খালাম্মা ~আপনি আপনার চোখ তো আপনার চোখের যায়গা ছিল” তো আপনি এতো যায়গা থাকতে আলুর বস্তুার মতো শরীর নিয়ে এসে ~,আমার মতো একটা বাচ্চা ছেলের উপর
কেনো পড়লেন ~আর কতক্ষন থাকলে হয়তো~আমাকে এখন ঢাকা মেডিকেল ভর্তি করাতে হতো~ আল্লাহ বাঁচাইছে~
আল্লাহ তুমি আমাকে বাঁচিয়েছো হাজার হাজার শুকরিয়া ~আমি রাস্তার পোলা পান গো ~পাঁচ টাকার চকলেট কিনে বিলাবো আমিন~
নিলা রাগান্বিত হয়ে বলে~
এই আপনি কাকে আলুর বস্তুা বলছেন হ্যা ~
নিজেকে বাচ্চা দাবি করছে আবার,দেখতে তো পুড়ো জলহস্তির মত ~আর আমি না আপনি আলুর বস্তুা হাতি গরু ছাগল মহিষ ভ্যাড়া সব আপনি
বলেই রেগে বাড়ির দিকে হাঁটা দেয় ~

নিলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে ~
নিলা বাড়ির ভিতরে ডুকে সোজা হেনা বেগম রুম এ চলে যায়!
হেনা বেগম সাথে কথা বলে তার পর রোদ এর রুমে যায়!
রোদ বেলকনিতে বসে আছে,,, নিলা পেছন থেকে চোখ চেপে ধরে ~
রোদ হেসে বলে নিলা চোখ ছাড় ”
নিলা হেসে উঠে তার পর বলে, আচ্ছা তুই বুঝলি কি করে আমি ~
রোদ হেসে বলে ~ কারন তুই আমার জানে জিগার দোস্ত তাই~
নিলাও হেসে দেয়” তার পর বলে
~শোন রোদ যার জন্য তোর কাছে আসা ~

~কালকে কলেজ এ নবীন বরন অনুষ্ঠান~
~আর তুই ও যাচ্ছিস~
রোদ বলে~
বাসায় অনেক কাজ আমার যাওয়া হবে না ~আর নানু
যেতে দিব না আমায়~
~ নিলা বিরক্ত হয়ে বলে ~
জানতাম আমি তুই এই অযুহাত দিবি~
তাই দাদি কাছ থেকে আমি অনুমতি নিয়ে তোর কাছে আসছি` শোন আমি এখন আর কোনো কথা শুনতে চাই না ~ তুই কালকে যাবি মানে যাবি~
রোদ চুপ করে আছে~ কারন এই মেয়ে যখন বলেছে তো তাকে নিয়ে ছাড়বে~
রোদ আস্তে করে বলে~আচ্ছা ঠিক আছে যাবো~
নিলা খুশিতে রোদকে জড়িয়ে ধরে ~তার পর বলে ~

Thanks you দোস্ত
শোন কালকে সবাই নিল শাড়ি পড়ে যাবে ~তো আমরাও ম্যাচিং ম্যাচিং শাড়ি পড়বো ওকে~
রোদ ভ্রু কুচকে বলে~শাড়ি তো আমার নেই~আর শাড়ি পড়ে গেলে,,, নানু দেখলে সমস্যা হবে~
আরে তুই চাপ নিস নাহ ~ সেটা আমি দেখে নিব` তুই শুধু সকাল সকাল রেডি থাকিস ওকে~
আমি তোকে নিতে আসবো,,তার পড় আমাদের বাসা থেকে রেডি হয়ে কলেজ যাবো~আর আমাদের দুজনের ম্যাচিং শাড়ি আমি কিনে রাখছি~তুই চাপ নিস না কিচ্ছু হবে না~~
রোদ আস্তে করে বলে ~আচ্ছা ঠিক আছে ~
এই একটা মানুষ আর তার নানু আর বড় মামা তাকে ভালোবাসে,,যার জন্য এতো কিছু সহ্য করেও এই বাড়িতে পড়ে আছে~

নিলা বলে `~আচ্ছা রোদ তোদের বাসায় আসার সময়
একটা হাদারাম কে বেড়িয়ে যেতে দেখলাম ~কাধে ক্যামেরা নিয়ে কে ওইটা ~
রোদ বলে তুই কার কথা বলছিস ~ কিছুই তো বুঝতে পারছি না ~হাদারাম আবার কে ~
নিলা তার পর সব বলে ~সব কিছু শুনে রোদ হেসে দেয়~
আরে ওটা তো নিলয় ভাইয়ান~
অবাক হয়ে নিলা বলে ~
রোদ শুভ ভাই কি দেশে আসছে ~
রোদ আস্তে করে বলে~
হুম আসছে~নিলা বলে তোকে কিছু করেনিতো `
রোদ তাচ্ছিল্য হেঁসে বলে আমায় আবার কি করবে কি সব বলিস~

`নিলা বলে~সত্যি বলছিস তো রোদ
~রোদ মুখে হাসি টেনে বলে ‘ আরে বাবা সত্যি বলছি ~
~আর তুই এখন বাসায় যাহ ~সন্ধ্যা হয়ে আসছে~
নিলা চলে যায় ~~বাসায়~
রাত ১২:৩০
শুভ্র আর অয়ন ~শুভ্র রুমে অফিসের কিছু জরুরি কাজ করেছিল~
এমন সময় নিলয় রুমে আসে ~তার পর শুভ্র কে বলে
~Bro তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো~
~~শুভ্র ট্যাপটপের দিকে তাকিয়ে বলে ~~শুনছি আমি কি বলবি বল ~~
~ Bro আমি বিজনেস থাকতে পারবো না ~~
~~শুভ্র শান্ত কন্ঠে বলে ~~কেনো কি করবি তাহলে ~
~বাংলা সিনেমার নায়ক জসিম এর মতো চানাচুর বিক্রি করবি! রাস্তায় রাস্তায়~

নিলয় হেসে দিয়ে বলে ~Bro তোমার আইডিয়া খারাপ না~তবে এতে অনেক কষ্ট ~আমি টিকটক ভিডিও বানাবো আর ব্লগ ভিডিও করবো ~~
অয়ন পাশ থেকে বলে উঠে
তোর মাথা থেকে এখনো এই ব্লগ ভিডিও বানানোর ভুত নামেনি~হ্যা ~~
~~Bro তোমরা এই ভাবে বলো না বাংলাদেশে কত বড় বড় এটার কনটেন্ট ক্রেটার আছে~ আর এটা ও তো একটা বিজনেস ~
অয়ন নিলয় কে ব্যাঙ্গ করে বলে ~

~~ তুই কি নিয়ে কন্টেন ভানাবি শুনি~
~নিলয় খুশিতে গদগদ হয়ে বলে ~
~তোমার আর শুভ্র ভাই বাসর রাতের খাট ভাঙা ব্লগ ভিডিও বানাবো ~ তার পর দেখবে একদিন ভাইরাল ~
কথা শেষ করে যখন সামনের দিকে তাকায় ~
দেখে শুভ্র রাগি চোখে তাকিয়ে আছে ~
নিলয় ভয়ে আমতা আমতা করে বলে ~

~Bro আমি তো ম জা ক…রে বলছি~
~আমি আসলে ব্লগ ভিডিও বানাবো এই নাহ থুক্কূ
~~তোমাদের সাথে বিজনেস কাজ দেখা শোনা
করবো~বলেই পিছন ফিরে দেয় দৌড় ~আর বলতে থাকে ` ব্লগ ভিডিও পড়ে বানাবো ~আগে জানে বাইচা লই মাবুদ_

_অয়ন নিলয় এর হটাৎ ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া দেখে ফিক করে হেসে দেয়~
~~,আসলে এই নিলয় টা ও না এখনো বাচ্চা আছে মনে হচ্ছে ~সেই আগের মতো চঞ্চল দুষ্ট ~
অয়ন হাঁসলেও শুভ্রর মুখে গম্ভীরতা সাফ ~সে আগের নেয় ~কাজ করছে ~অয়ন ও নিজের কাজে মনোযোগ দেয়~
দুপুর ১১:০০
ওয়াশরুম থেকে বেড় হয়ে আসছিলো রোদ~

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২

~ হটাৎ কারো শক্ত হাতের টানে ভিতরে একটা অন্ধকার রুমে চলে যায় ~
~~অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না~~
~~ভয়ে কেপে উঠে রোদ যেই না চিৎকার করতে যাবে
~~এমন সময় মুখ চেপে ধরে ~~

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here