৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১১+১২

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১১+১২
সারা চৌধুরী

সারার স্যালাইন চলছে..চোখ বেয়ে পড়ছে ধারাবিহীন নোনাজল..সে এই শোক টা নিতে পারি নি..লজ্জাই কস্টে পাথর প্রায় হয়ে গেছে সে..শুভ্র তখন সারাকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে..তারপর ডাক্তার কে কল দেই সাথে সাথে..ডাক্তার এসে চেকাপ করে সারাকে..অনেক্ষন দেখার পরে সারাকে সেলাইন দিয়ে দেই তারপর বলে…
-রোগীর হয়তো কোনো কারনে খুব কস্ট পেয়েছে যার কারনে স্ট্রোক ও করতে পারতো কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকায় ভালোর উপর দিয়ে গেছে বলে দম ছাড়ে ডাক্তার ইলিয়াস শুভ্রর পারিবারিক ডাক্তার সে…!
ডাক্তারের কথা শুনে শুভ্র কিছুটা অবাক হয় এত টুকু কারনে একটা মেয়ে এত কস্ট পেতে পারে তার ধারনা ছিলোনা..শুভ্র ডাক্তার কে বলে এখন কি করবো….ডাক্তার ঈলিয়াস তখন বলে….

-আমার মনে হয় মেয়েটাকে তার পরিবার এর কাছে নিয়ে জাও..অনেক সময় এমন হলে একটা হাসি খুশি পরিবার এ মিশে থাকলে ঠিক হয়ে যায় বলে ডাক্তার চলে যায়..!
এদিকে শুভ্র চিন্তায় পড়ে যায়..কি করবে সে..জানে মেয়েটাকে মাত্র চুক্তিতে বিয়ে করছে।।কিন্তু মেয়েটা অসুস্থ হলে তার মেয়ের কে খেয়াল রাখবে..শুভ্র আর ভাবতে পারছে.. সারার মাথার কাছে বসে অরুর দোলনায় ঘুমন্ত অরুর দিকে তাকালো তারপর বিড়বিড় করে বললো..
-“বাবার চেয়ে শক্তিশালী কোনো পুরুষ হয় না আর মায়ের চেয়ে যত্নবান কোনো নারী হয় না”-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমি চাই আমার অরু কখোনো এই দুইটার অভাব না পাক..আমি জানি সারা অরুকে খুব ভালো ভাবে মায়ের মতো আগলে রাখবে..শুভ্র আর কিছু ভাবতে পারলো পকেট থেকে ফোনটা বের করে সারার দিকে একবার তাকালো কি সুন্দর মা-মেয়ে দুজন ঘুমাচ্ছে আর সে চিন্তায় পড়েছে.. মুচকি হাসলো শুভ্র সারার কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে উঠে ফোনের ডায়াল প্যাড থেকে “বাবা” নাম টা সেভ করা ছিলো..কল লাগালো তার বাবার ফোন এ..
প্রায় পঁচিশ মিনিট কথা বলে রুমে এসে তৃপ্তির একটা হাসি হাসলো..সে যানতো তার বাবা-মা কোনো দিন ও দ্বি-মত করবে না আজকেই নিয়ে যেতে বলছে..শুভ্র মা তো সারার অসুস্থতার কথা শুনে না জানা অচেনা মেয়ের জন্যই এখানে চলে আসতে চাইছিলো…শুভ্র বলছে সারা একটু সুস্থ হলেই তারা সিলেট আসবে…!
শুভ্র ফোনটা চার্জ এ দিয়ে সোফাই বসে অফিসের কাজ গুলা করতে থাকলো…!

দেখতে দেখতে কেটে গেছে দুইটা দিন..শুভ্র আজ সিলেট যাবে..হয়তো এবার থেকে সেখানেই থাকবে..শুভ্র নিজের ঢাকার ব্যাবসা নিজের বাবার হাতে তুলে দেই তারপর সিলেট এর উদ্দেশ্য রওনা দেই..সারা আগের চেয়ে সুস্থ হয়েছে কিন্তু মন মরে গেছে তার আগের মতো হাসে না সারা কিন্তু অরুকে সব সময় ঠিক মতো কেয়ার করে শুভ্র এতেই খুশি..শুভ্রদের ট্রেন রাত এগারোটায়..যদিও শুভ্র গাড়িতে যেতে চেয়েছিলো তবে সারা ট্রেন এ যেতে চেয়েছে..সারা নাকি আগে কখোনো ট্রেন এ যায়নি।শুভ্র অবাক হলোনা কারন সে জানে সারা কে তার মামা-মামি বাড়ি থেকে বের হতে দিতো না..!

সময় মতো ট্রেন এ উঠে পড়লো শুভ্র সারা..শুভ্র এক হাত দিয়ে লাগেচ নিছে আর অন্য হাতে সারার হাত শক্ত করে ধরেছে যেনো ছেড়েদিলেই হারিয়ে যাবে..সারার কোলে ছোট্ট অরু..ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সারার মুখের দিকে.. শুভ্র নিজেদের জন্য একটা আলাদা কেবিন নিয়েছে..! ট্রেন চলতে শুরু করলো সারা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে চারিপাশে ফেলে চলে যাওয়া অন্ধকার প্রকৃতি দেখছে..শুভ্র সারার কাছ থেকে অরুকে নিয়ে তারপর সারাকে এক হাতের বাহুডরে নিলো তারপর সারার হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দিলো..সারা শুভ্রর দিকে তাকাতেই শুভ্র হেসে বললো খুলে দেখো…!

সারা ব্যাগ খুলে দেখলো.. তার ভিতরে চকলেট চিপ্স ভাজা,বিস্কুট.. চাটনি. কোলড্রিংস সব আছে..সারা মনে মনে অনেক খুশি হলো কিন্তু সেই খুশি বাইরে প্রকাশ পেলো না..মুখে কিঞ্চিত হাসি টেনে বললো এগুলা কখন আনলেন..শুভ্র টুপ করে সারার কপালে চুমু খেলো সারা তব্দা খেয়ে গেলো..শুভ্র তারপর ফিসফিস করে বললো কাল রাতে তোমার শাশুড়ী বলেছে এগুলা কিনে রাখতে ট্রেন এ তোমার লাগবে…তাই আমি আগেই কিনে রাখছিলাম নাও খাওয়া শুরু করো..সারার ঠোঁটে এবার এক চওড়া হাসি ফুটলো এক করে খাওয়া বের করে খাওয়া শুরু করলো সে…!

দীর্ঘ দুই বছর পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে তাও একেবারে..নিজের ব্যাবসা এবার সিলেট এ থেকেই সামলাবে শুভ্র…সিলেট জেলার শিবগঞ্জে শুভ্র বাড়ি..বিশাল বড় তিনতলা বাড়ি..আব্রাহাম তালুকদার এ বাড়ি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন..তার নাম অনুশারে বাড়ির মেইন গেট এ বড় বড় করে লেখা ❝তালুকদার নীড়❞.. শুভ্রর বাবা চাচারা তিন ভাই এক বোন.. শুভ্রর বড় বাবা ইশতিয়াক তালুকদার অনেক বছর ধরে বিদেশ থাকেন যোগাযোগ থাকলেও দেশে আসেন না কোনোদিন…শুভ্র বড় চাচি আমেরিকান নাম লেচি আর তার চাচতো বোন অরিনা লেচি..শুভ্রর বাবা মেজো..নাম ফারুক তালুকদার..শুভ্র মা মিসেস আনিতা.. শুভ্র একটা ছোট বোন আছে নাম ফাতিহা তালুকদার.. বয়স সতেরো..ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ছে।।

শুভ্রর ছোট চাচা.. আনিস তালুকদার..স্ত্রী সুমনা খাতুন..তাদের দুই এক মেয়ে এক ছেলে..মেয়ে আনিসা তালুকদার বয়স ষোলো..এবার মাধ্যমিক দিবে..আর ছেলে অন্তু তালুকদার বয়স বারো ক্লাস সিক্স এ পড়ে..শুভ্রর একটা ফুফি..এই পরিবারেই সে থাকে স্বামি মারা গেছে অনেক বছর আগে..তখন থেকেই এখানে থাকে নাম মনিরা তালুকদার..তার এক ছেলে এক মেয়ে.. ছেলে শ্রাবন তালুকদার বয়স ছাব্বিশ.. শুভ্র আর শ্রাবন পিঠাপিঠি..শ্রাবন বর্তমানে ব্যাংক এ চাকরি করে..সে কোনো মতেই ব্যাবসা করতে রাজি ছিলো না তাই আর কেও জোর করে নাই.. আর মেয়ে শান্তা তালুকদার..বয়স উনিশ..উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়েছে!
শুভ্র বাড়ি ফিরছে শুনে রান্না করতে বিজি আনিতা ও সুমনা আর হাতে হাতে কাজ করে দিচ্ছে মনিরা..এ বাড়ির সকলেরই চোখের মনি শুভ্র..কখোনো কারোর সাথে উচু গলাই জোর করে কথা বলে নাই।।যতই রাগ হোক তাও কারোর মুখের কথা বলে নাই..!

শুভ্র দের ট্রেন এসে থামলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে.. শুভ্র সারার হাত ধরে লাগেজ নিয়ে বের হয়ে এলো স্টেশন থেকে তারপর একটা গাড়ি ঠিক করে উঠে পড়লো গাড়িতে.. গন্তব্য শিবগঞ্জ তালুকদার বাড়ি..!গাড়িতে উঠে সারা আবারো ঘুমিয়ে গেলো শুভ্রর কাধে মাথা রেখে..তারপর রাস্তার ঝাকুনিতে হালকা চোখ মেলে শুভ্র কে বললো…..

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসেছে শান্তা।।আকাশি রঙয়ের হলদে কারুকাজ করা পাড় দেওয়া একটা সুতি শাড়ী পরেছে সে..চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে..ঠোঁটে দিয়েছে লাল টকটকে লিপিস্টিক দিয়েছে..পরিপাটি হয়ে শিড়ি দিয়ে নামছে শান্তা..শুভ্র ভাই তাকে বলেছিলো আকাশি রঙ এ তাকে ভালো মানাই..আর এই শাড়ি টাও গিফট করেছিলো..শান্তা মনে মনে হাসে সে দিন শুভ্র ভাই ফোন এ বলেছিলো…
-আচ্ছা শান্ত তোর কথাই হলো আমি যেদিন বাড়ি আসবো সেদিন তুই আমার দেয়া শাড়ি টা পড়িস..!
সেদিন শান্তা সবার সামনে কিছু না বল্লেও রুমে এসে প্রায় এক ঘন্টা আনন্দে নেচেছিলো…সেতো সেই ক্লাস টেন থেকে শুভ্র ভাইকে পছন্দ করে..বাড়িতে থাকতে সব সময় তার আশে পাশে থাকতো..শুভ্র বিরক্ত হতো কি বুজা জেতো না..খুব কম কথা বলতো কিন্তু ঠোঁটে সব সময় হাসি লেপ্টে থাকতো..শুভ্রর বাম গালে টোল পড়া দেখে শান্তা নিজের পঞ্চাদশী মনে সেদিন প্রেম অনুভব করেছিলো..তার পর তা ধীরে গভির থেকে গভীর হতে থাকে..!দু বছর আগে শুভ্র ভাই যখন একেবারে ঢাকা চলে গেছিলো সেদিন রুমে বসে কি কান্না টাই না কেদেছিলো শান্তা..নিজের অতীত ভেবে একটু হাসলো তারপর নিচে নেমে আসলো..শুভ্র ভাইয়ের আসার সময় হয়ে গেছে….

শুভ্র গাড়ি থেকে নেমে অরু কে কোলে নিয়ে সারার হাত ধরে বের করে আনলো..বাড়ির সদর দরজায় সবাই দাঁড়িয়ে আছে তাদের জন্য.. সবাই জানে সারার সাথে শুভ্রর নাম মাত্র বিয়ে শুধুমাত্র অরুকে দেখার জন্য চুক্তির বিয়ে..কিন্তু শান্তা সেটা জানে না..যখন শুনলো শুভ্র ভাই বিয়ে করছে সাথে সাথে তার এই দুই বছর দেখা সপ্ন খসে পড়ে গেলো.. চোখ ধরে এলো তার..শুভ্র সারাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো..সারা আন্তরিক ভাবে সবাইকে সালাম করলো শুভ্র মা আনিতার সারাকে খুব মনে ধরে গেলো..মেয়েটাকে সুন্দরী বলা চলে বউমা হিসাবে মন্দ নয় কিন্তু বয়স টা অল্প..!

শুভ্র শান্তার সামনে এসে বলে শান্তু তোর ভাবি আর আর পরিচয় হো..শান্তা চোখে পানি নিয়ে সারার সাথে পরিচিত হলো..কিন্তু মনে মনে রেফে ফেটে পড়লো..তার শুভ্র ভাইকে কেড়ে নিলো এই মেয়ে একে তো শান্তি তে থাকতে দিবো না..!
শুভ্র আর দেরি করলো না অরুকে মিসেস আনিতার কোলে দিয়ে নিজের রুমে জাওয়ার কথা বললো..মিসেস আনিতা এসে রুমের চাবি দিলেন..শুভ্র যাওয়ার পর থেকে রুম তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন তিনি.. আজ সকালে সব পরিষ্কার করেছে।শুভ্র সারার হাত ধরে ল্যাগেচ গুলো নিয়ে দুতলায় উঠে এলো..তারপর রুমে গিয়ে সারাকে বললো ফ্রেশ হয়ে নিতে..!

সারা রুমের চারিদিকে চোখ বোলালো।। না এই রুম টা মোটেও ঢাকার মতো না তার থেকে দ্বিগুন বড়.. অফ হোয়াইট রঙে রঙিন ঘর..এক পাশে বিশাল বিছানা তার পাশে রাখা বেড সাইট টেবিল..
ঘরের দক্ষিন পাশে বিশাল বেলকোনি..ফুলে ভরা..ঘরের এক কোনে সোফা রাখা তার সামনে টি -টেবিল.. বিছানার অন্য পাশে দুইটা আলমারি একটা ড্রেসিং টেবিল আর এক পাশে পড়ার টেবিল…সারার এক কথায় শুভ্র রুম টা খুব পছন্দ হলো..সারা ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে বের হলো..কোমর সমান চুল ছেড়ে দেয়া টুপ টুপ করে পানি পড়ছে শুভ্র সোফাই বসে ছিলো।সারার দিকে চোখ যেতেই তার চোখ আটকে গেলো..গোসলের পরেও যে একটা মেয়েকে এতো সুন্দর লাগে সে আগে কখোনো দেখেনি..শুভ্র শুকনো ঢোক গিললো তার পর বিড় বিড় করে বললো..হাইরে পিচ্চি পাখি এই শুভ্র দিন দিন তোমার মধ্যে মাতাল হয়ে যাচ্ছে কেমন নেশালো লাগে তোমাকে ইশ..!
সারা চুল মুছে নিলো তারপর শুভ্রর সামনে এসে টাওয়েল টা শুভ্রর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো আপনি প্লিজএকটু এটা বারান্দায় দিয়ে আসুন৷ কথাটা শুভ্রর কানে গেলো কি সারা জানে না..শুভ্র উঠে সারাকে খাটের উপর সুইয়ে দিলো..সারা ভড়কে গেলো..কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠলো…

-ক…ক…কি করছেন…!
শুভ্র এবার সারার মুখের কাছে এলো নাকে নাক ঘসা দিয়ে বললো কেমন জানি পাগল পাগল লাগছে নিজেকে প্লিজ একটু সহ্য করো..সারা কিছু বলতে যাবে তার আগেই দরজায় কেও কড়া নাড়লো..শুভ্র বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকালো…এমন এমন টাইম এ বিরক্ত করে বলার মতো না..সারা ও লজ্জায় বারান্দায় চলে গেলো আর শুভ্র চলে গেলো দরজা খুলতে…!
দরজা খুলতেই মিসেস আনিতা রুমে প্রবেশ করলো হাতে কয়েকটা সুতির শাড়ী..শুভ্র জিজ্ঞাসা করতেই মিসেস আনিতা বলে উঠে নতুন বউ দের শাড়ি পড়তে হয়..?
শুভ্র এতে বেশ বিরক্ত যে মেয়েকে এমনি দেখলেই তার দুনিয়া থমকে যায় সে নাকি শাড়ী পরে থাকবে তার সামনে..শুভ্র তাই কাঠ কাঠ গলায় বলে উঠলো..

-আম্মু ও ছোট আর তুমি জানো ওকে কেন এনেছি..ওর একটা পরিবার চাই আর একটা কারন তুমি জানো..তাই আমি চাইনা এসব রিচুয়াল পালন করা হোক আর একটাও কথা শুনবো না আম্মু মাফ করো..!
-মিসেস আনিতা বুজলো ছেলের কথা তারপর বললো কিন্তু তোর আব্বু কি মানবে..?
-আব্বুকে বলেই বিয়েটা করেছি যা আব্বুও জানে তাই ও যেমন থাকতে চাই থাকুক এসব শাড়ি ও সামলাতে পারবে না..!
-মিসেস আনিতা কিছু বললো না সে জানে তার ছেলে যা বলে তাই করে..সবার সামনে রাগ না দেখালেও নিজের রাগ নিজের উপর ঝাড়ে..তাই আর কথা না বাড়িয়ে বললো খেতে আই সবাই অপেক্ষা করছে..!
-আচ্ছা যাও আসছি..!

মিসেস আনিতা চলে যেতেই শুভ্র ফ্রেশ হয়ে এসে সারার হাত ধরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো..
শান্তা প্রায় পনেরো মিনিট ধরে রুমে বসে কাদছে..তার এ মনে শুভ্র ভাইয়ের জন্য আলাদা রাজ্য ছিলো কিন্তু তার শুভ্র ভাই তাকে ঠকালো..শান্তার চোখ বেয়ে পড়ছে অগনিত নোনাজল চোখের কাজল লেপ্টে গেছে আকাশী শাড়ি রুমে এসেই ছিড়ে ফেলেছে….তার হৃদয় পুড়ে যাচ্ছে..কান্না থামছে না চোখ লাল হয়ে গেছে.. তখন তার মা মনিরা খাবার জন্য ডাকতে আসলো।।

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৯+১০

শান্তা চোখ মুছে দরজা খুলে ওয়াশরুমে চলে গেলো আর আর তার মা মনিরা কে বল্লো তুমি জাও আসছি…মনিরা বুজলো না তার মেয়ে এমন কেন করছে..তার মেয়ে তো শুভ্র ভাই বলতে অজ্ঞান..ঠিক তখনই মনিরার নজর যাই খাটের নিচে মনিরা আতকে উঠে খাটের নিচে তাকাতেই….

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৩+১৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here