flesh part 7+8

flesh part 7+8
Papilion skyscraper

ওয়াটসন আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আর মাংস গুলো খা*চ্ছে………….।
অন্যদিকে খেতে খেতে দ্বে-ই হিউন নামের একজন ব্যবসায়ী টিভিতে খবর দেখছিলেন,
তার কানে ফোন, –
– “হ্যালো”
– “স্যার আমেরিকায়, ড. সেহজান এর ল্যাব সিলগালা করা হয়েছে।”
শুনেই,দ্বে-ই-হিউন এর মুখ থেকে খাবার পড়ে গেছে,সেও ঘামছে।
ঘামবেই বা না কেন!

বিলিয়ন ডলার বিজনেস টয় গুলোতে।।
স্পেশাল টয়গুলোর দাম প্রায় এক থেকে তিন মিলিয়ন ডলার।
এই টয় গুলো সাধারণ মানুষ পায় না।
অনেক বেশি বিত্তশালী লোক গুলোর সৌখিনতায় ব্যবহার হয়।
টয় গুলোর ব্রেস্ট,যো*নি, ঠোঁট সব কিছু অরিজিনাল অর্থাৎ মেয়েদের প্রকৃত অঙ্গ গুলোই পুতুল গুলোতে ব্যবহার হয়।
সেগুলোই বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

প্রতি বছরেই সতেরো থেকে ত্রিশ বছরের বয়সী অনেক মেয়েই নিখোঁজ হয়,চীন,কোরিয়া,ভারত সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে,যাদের পরে আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রশাসন বা পরিবার আর জানতেই পারে না,কি হয়েছিলো তাদের সাথে।
নিখোঁজ এই মানুষ গুলোর যেন আকাশ ছোয়া মূল্য।
কিডনি,চোখ,মস্তক,যকৃৎ সহ সব কিছু ব্যবহার করে হাসপাতাল গুলোতে চলছে ভয়াবহ বাণিজ্য।
অন্যদিকে স্ত*ন যো*নি গুলো কেমিক্যালের মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে পুতুল গুলোতে।
সেদ্ধ করা মাংসের রস দিয়ে হয়তো বানানো হচ্ছে মহামূল্যবান সুগন্ধি বা পারফিউম।।
সব কিছু নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট থেকেই চলছে।
এই সিন্ডিকেটকে কোনো দেশ বা শাসকের ধরা-ছোয়ার সাধ্যে নেই।

ওয়াটসন -জন্ম সুত্রে আমেরিকান হলেও,চাকরীর সুবাদে দীর্ঘদিন কোরিয়ায় কাটিয়েছিলেন।
পরিবার বলতে কেউ নেই।
ক্রাইম বিভাগে কাজ করায়, পরিবার বানানোর সুযোগটাও আসেনি,কারন মৃত্যু সব সময় ওয়াটসনের বন্ধু।
কিন্তু শারীরিক চাহিদা? সেটা চলবে কিভাবে,একদিন নিজের রুমে কল গার্ল নিয়ে আসে ওয়াটসন,আর তারপর মেয়েটা কোনভাবে রুমেই মারা যায় ,ওয়াটসন ভয় পেয়ে যায়।
সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেইফ এলিসকে ওয়াটসন নিজের বাসায় ডাকে।
শেইফ এলিস তখন কোরিয়াতেই ছিলো কোনো রেস্টুরেন্টের কাজে।
-এরপর এলিস এসে দেখে মেয়েটা ম*রে পড়ে আছে,এলিস ওয়াটসনের গায়ে হাত রেখে বললো, “তুমি বাহিরে ঘুরে আসো,আমি দেখছি”

ওয়াটসন অবাক হয়ে গেলো, – “এই লা*শকে তুমি কি করবে?”
“কিভাবে লা*শ টা গায়েব করবে, না তা করে,আমাকে বাইরে যেতে বলছো।”
এলিস ওয়াটসনকে জোর করেই পাঠালো।।
কিছু ঘন্টা পর এসে দেখে,লাশ টা নেই।
খাবারের টেবিলে খাবার রান্না করে রাখা।
মাংস ভেজে রাখা আছে। দেখতে লোভনীয়।
ওয়াটসন মুখে দিলো, যেন পুরো শরীর শিউরে উঠলো,এত স্বাদ, যেন মুখেই আলাদা একটা নেশা তৈরি করে দিয়েছে। নেশা নেশা লাগছে।
লাশের কথা জিজ্ঞেস করতেই – এলিস ওয়াটসনকে ফ্রিজের কাছে নিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখালো,অনেক সুন্দর করে কিছু বিফের মাংস কে*টে রেখে দেয়া।

এলিস ওয়াটসনের দিকে তাকিয়ে বললো, “এটা মেয়েটার লাশ,তুমি বিফ না,সেই মেয়েটার মাংস খেয়েছো।”
সেই যে মাং*স খাওয়ার নেশা হলো,আজও কাটে নি।
ওয়াটসনের সাথে কোরিয়ায় দ্ব-ই হিউন এর সাথে পরিচিতির সুবাদে,
-কোনো এক সন্ধ্যায় পার্টিতে দ্বে-ই-হিউন ওয়াটসনকে একটা পুতুল গিফট করে, ওয়াটসন খুশি হয়ে যায়,যাক রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত কাউকে ধরে ঘুমানো যাবে।
পুতুলটা দেখে ওয়াটসন সাময়িক ঘাবড়ে যায়।এত সুন্দর আর বাস্তব পুতুল বানানো কিভাবে সম্ভব।
এরপর প্রায় দুই থেকে তিন মাস কেটে যায়।

একদিন ওয়াটসন খেয়াল করলো পুতুলের যো*নি ঘামছে কেমন যেন পঁচন ধরার মতো অবস্থা।
ওয়াটসনের সন্দেহ হলো, আর সন্দেহই ঠিক,পুতুলের যোনি মানুষের মাংস দিয়ে তৈরি।।
সেই সুত্র ধরে ধরেই ওয়াটসন আমেরিকায় আসে আর এখন ড. সেহজান এর সামনে বসে আছে………..।
হঠাৎ ওয়াটসন এর ফোনে কল বেঁজে উঠলো, কল দেখেই ওয়াটসনের হাত কাঁপছে, যেন ওয়াটসন এর সাধ্য নেই কলটা রিসিভ করে কথা বলার,যিনি কল দিয়েছেন,বলা যায় কোরিয়ায় তার ভয়ে পিঁপড়ের-ও সাহস হয় না চিনির কণা চুরি করতে।
ভিডিও কলে কোরিয়া থেকে দ্বে-ই হিউন, ওয়াটসন তার ফোন ড. সেহজান এর দিকে মুখ করে ধরলেন, ড. সেহজান ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে,চুপচাপ কোনো কথা নেই।
ফোনের ওপার থেকে দ্বে-ই হিউন নিজেও কোনো কথা বলছে না, তারা যেন চোখে চোখ রেখে একে অন্যকে দেখছে, দ্বে-ই হিউন কি তাহলে প্রতিশোধ নেয়ার জন্যেই ওয়াটসনকে পাঠিয়েছিলো?
নাকি ঘটনা অন্যকিছু-

হঠাৎ,
দ্বে-ই হিউন ঠোঁটের এক কোণে হাসি সাজিয়ে নিয়ে -হাহ হাহ হা করে উচ্চ হাসিতে ফেঁটে পড়লে,
ড. সেহজান আরো জোরে হাসতে লাগলেন,
ড. সেহজান এর চোখে, মুখে, কণ্ঠে হাসির উত্তাপ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে লাগলো,
ভিডিও কল থেকে দ্বে-ই হিউন, গম্ভীর ভয়ংকর গলায়, যেন জিতে গেছে,জয়ের উচ্ছ্বাস, যেন সব শত্রুর বিপক্ষের সাথে কয়েক শত বছরের লড়াইয়ে জিতে যাওয়া রাগান্বিত হাসি-
ড. সেহজান এর দিকে তাকিয়ে-
উৎকণ্ঠা গলায় বললো-

Hello Sir, Mr. wilhelm Wundt-
The psychologist.
“You are safe now. We protect you ever in everywhere. Korea is waiting, that will be your new Era.”
ওয়াটসনের মুখ থেকে মাংসের থেতলানো অংশ গুলো অজান্তেই পড়ে গেছে।
ওয়াটসন ঠিক কার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, বুঝতে পারছে না।
কেমিস্ট ড. সেহজান নাকি সাইকোলোজিস্ট “Wilhelm Wundt”।
ফোনটার ডিসপ্লেতে ক্লিক করে- Mr. Wilhelm Wundt” কলটা কেটে দিলেন।
চেয়ারে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস নিলাম , – “আমি ড.সেহজান না,
সাইকোলজিস্ট ” Wilhelm Wundt”
পকেট থেকে সিগারেট বের করে মুখে নিলাম।।
স্মোকের প্রথম টানে আমার জয়ের উল্লাস।
ওয়াটসনের রেখে দেয়া প্লেট থেকে এক টুকরো মাংস মুখে নিয়ে খেলাম।

– ” ওয়াটসন,ভালো রান্নাও করতেও পারো দেখছি”
– “জ্বি স্যার,একা থাকি তো,পরিবার নেই,তাই স্যার রান্না নিজেই করি”
– “ওয়াটসন টিভিটা অন করো,নিউজ দেখাও”
ওয়াটসন টিভি অন করলেন-
ড. সেহজান নামের একজন কেমিস্টকে গ্রেফতার করেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর টিম।

এরপর ওয়াটসন আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বলতে লাগলো, “স্যার, কোরিয়া থেকে দ্বে-ই হিউন আপনার পুতুল বানানোর বিষয়টি আগে থেকে জানতে পেরেছিলো,আপনার এমন কর্মকাণ্ডে দ্বে-ই হিউন অবাক হয়েছিলেন।
নিখোঁজ মামলায় যেন আপনি সুরক্ষিত থাকেন,তাই আমাকে কোরিয়া থেকে এখানে কৌশলে পাঠানো হয়েছে, ক্ষমতাবলেই আপনার কেইস গুলো আমি হ্যান্ডেল করছি,কারন মিডিয়া সহ দেশের অনেক বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এবং পলিটিশিয়ানদের মেয়েরা আপনার পুতুলের অংশ হয়েছে আর এখানেই যত সমস্যা শুরু হয়েছে,কেউ বসে নেই,প্রশাসনের ওপর,গভার্নমেন্ট ওপর অতিরিক্ত প্রেশারে আপনি পর্যন্ত পৌছে যাওয়া কঠিন কিছু না।
ওয়াটসন পুরো কেইসটি- ড. সেহজান এর ওপর তদন্ত চালিয়েছে। আর ড. সেহজান হিসেবে ওয়াটসন আমাকেই জানতো আমি এই নামে পরিচিতিও ছিলাম,কিন্তু তার টিম ল্যাব থেকে অন্য একজন সেহজানকে গ্রেফতার করায় ওয়াটসন অবাক হয়ে যায়।

ওয়াটসন জানেই না,আমি আমার নিরপত্তার জন্যে অনেক আগেই পরিচয় নিয়ে গেইম খেলে আসছি।
কোম্পানির ল্যাবে ড. সেহজান হিসেবে আমার মুখ পরিচিত থাকলেও কাগজ কলমে ল্যাবের মালিকানায় আরো এক চেহারার ড. সেহজান ছিলেন।
টয় বানানো কেইসে এবং একান্ন মেয়ের মিসিং হওয়ার কেইসে ড. সেহজান ফেসে যায়।
প্রমান সব তারদিকেই।
আমিতো মুখোশের আড়ালের একজন সাধারন ব্যক্তি মাত্র,হা হা হা।
মূলত টয় বানানোর কেইসে ল্যাব থেকে সেহজান কে গ্রেফতার করা হয়,সেই সাথে একান্না মেয়ের নিখোঁজ হবার কেইস টাকে জুড়ে দেয়া হয়,যাতে এই কেইসের সমাধান হয়ে গেছে,এটাই সবাইকে বুঝানো হয়।
ফিলার তৈরি হওয়ার গল্প থাকুক সবার আড়ালে।

টয় কোম্পানির ল্যাব ড. সেহজান এর নামেই চলতো। তাই টয়গুলোতে মানুষের মাংস ব্যবহারের অভিযোগে ড. সেহজানকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেহজান আমারই লোক।
সেহজান আমার বানানো ফিলার কথা জানেই না।
অর্নি আমার বোন নয়, অর্নি ড. সেহজানের বোন।
সেদিন আমিই ড. সেহজানের গাড়ি নিয়ে অর্নিকে পার্ক থেকে তুলে নেই, আর সিসি ক্যামেরায় ইচ্ছে করেই ধরা দেই।

যাতে একান্ন খুনের রহস্য- ওয়াটসন তার টিমকে ঘোল খাইয়ে দ্রুত সমাধান করা উপায় হিসেবে দেখাতে পারে।
সবাই আমাকে ড. সেহজান হিসেবেই চিনে।
একই পরিচয়ে আমরা দুজন।
এতদিন আসলে সেহজানের চেহারা কেউ চিনতো না। আমাকেই সবাই চিনতো।
যেন ভৌতিক ঘটনার মতো চেহারা বদলে গেছে,সবাই অবাক হলেও প্রমাণহীন কথার ভিত্তি নেই।
পুরো প্রশাসন জানতো,সেহজান নামে যে কেমিস্ট গ্রেফতার হয়েছে,সে আসল আসামি নয়।
কিন্তু প্রমাণ নেই। আর ক্ষমতার দখলে সব কিছু চুপসে আছে।
ওয়াটসনের টিম -ড. সেহজান এর নামে পরিচালিত পুরো কোম্পানিটিকেই বাজেয়াপ্ত করে দেয়।
আমি হেটে হেটে জানালার সামনে দাড়ালাম,পুরো শহর দেখা যায়।
যতদূর চোখ যায়, তাকালাম, আমি সাইকোলোজিস্ট “Wilhelm Wundt.”
পুরো পৃথিবীতে-* সাতটি ইউনিভার্সিটি,

*তেষট্টি টি হসপিটাল, তিনটি টয় কোম্পানি, একটি পারফিউম কোম্পানির একক মালিকানা আমার।
হাজার হাজার আমার স্টুডেন্ট পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।যাদের মানুষের মাংসই প্রিয় খাবার,মানুষের মাংসের চর্বি দিয়ে বানানো পারফিউম তাদের প্রিয় পারফিউম।
সাইকোলোজি মানুষকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির- রাস্তা তৈরির বিশেষজ্ঞ বানায়।।
এত সহজ গল্পে অন্তত “Wilhelm Wundt” হেরে যায় না।
হঠাৎ,আস্মিক ভাবে-
বুম-ম-ম-ম।
ওয়াটসন আর “Wilhelm Wundt” ফ্লাট-
আগুনে ব্লাস্ট হয়ে গেলো,
ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে,
নিমিষেই যেন সব বুদ্ধি,জ্ঞান,শেষ হয়ে গেলো।।

কেউ একজন দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে দালানের নিচ থেকে ওপরে তাকিয়ে তাকিয়ে জ্বলন্ত আগুন দেখে হাসছে।
এরপর লোকটি কোনো একজন কে কল দিয়ে-
এক পা দু পা করে হেটে চলে গেলেন…
– “হ্যালো, সাইকোলজিস্ট “Wilhelm Wundt” আর বেচে নেই” “মিশন সাক্সিডেড” “শীঘ্রই আমি চীনে ফিরছি”-
দূর থেকে,একটু বেশিই দূরে থেকে-
*শেইফ এলিস – অফিসারকে “মিশন সাক্সিডেড” বলতে শুনে, তিরষ্কার করে বলতে লাগলো
” চীনের অফিসার গুলো এত বোকা-
হা হা হা”……..

ওয়াটসন হাঁপাচ্ছে, এখনো চোখের সামনে পুরো ফ্লাট আগুনে ব্লাস্ট হয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে ভাসছে।
বাসার পেছনে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে আছে,আমি আর ওয়াটসন দাঁড়িয়ে আছি,
– ” স্যার,একটুর জন্যে বেচে গেছি,আচ্ছা,স্যার আমিই তো আপনার সব কেইস হ্যান্ডেল করলাম,আর ড. সেহজানকেও তো আটক করা হয়েছে,তাহলে আপনাকে আবার কে মারতে চাইছে?”
– “শোনো ওয়াটসন, হি ওয়াজ চাইনিজ ডিটেকটিভ মি. সাও জুন”
– “স্যার,আমি পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই।”
আমি হেসে দিলাম,কি জানতেও চাও ওয়াটসন বলো, –

“স্যার, ড. সেহজান আর আপনার বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন প্লিজ।”
– “ওয়াটসন,তুমি নিশ্চই জানো,পৃথিবীতে একই রকম দেখতে ৭ জন আছে।”
হ্যাঁ,ড.সেহজান আমার মতো কৃত্তিম দ্বিতীয় একজন। যেহেতু সেহজান আর আমি দেখতে একই, তাই সেহজান এর পরিচয়েই আমি ল্যাব চালাতাম।
আমার আসল পরিচয় খুব কম লোকেই জানে।
পুরো কেসটি ড. সেহজান এর নামেই চলছে।
যদিও আমার নাম “Wilhelm wundt ” পুরো দুনিয়া জানলেও,একই চেহারার ড. সেহজান এর পরিচিতি কম।

– “জ্বি স্যার বুঝতে পেরেছি”-এই বলে হেলিকপ্টারে উঠতেই চমকে যায় ওয়াটসন, – “একি শেইফ এলিস, তুমি এখানে কিভাবে? তুমি না নিখোঁজ ছিলে? এখানে কিভাবে?”
“আমি তো তোমার লাশ -স্যারের ল্যাবেও দেখেছিলাম”
শেইফ এলিস ওয়াটসনের দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে বললো, – “ওয়াটসন তুমি কি এবার নাটক বন্ধ করবে? আসলে পরিচয়ে ফেরো।”
– “ওহ,হ্যাঁ,তাহলে আসল পরিচয়ে ফেরা যাক।”
সব বুঝিয়ে বলছি, কোরিয়ায় দ্বে-ই হিউন হচ্ছেন-স্যার ” Wilhelm wundt ” এর সহকারী,স্যারের কাছের কেউ।
কোরিয়ায় নিজের ব্যবসায় আধিপত্য সহ পলিটিক্যাল পাওয়ার ফুল একজন ব্যক্তি হচ্ছে দ্বে-ই হিউন, মূলত তিনি স্যার মানে “উইলহেম” এর ব্যবসায়ের দেখা শোনা করেন।
আমি ওয়াটসন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর।

-দ্বে-ই -হিউন এর দেখা শোনা করার দায়িত্ব আমার।
দ্বে-ই হিউন এর কথায় কোরিয়ান গভার্নমেন্ট পর্যন্ত ওঠা-বসা করে।
দ্বে-ই হিউন সব সময় স্যার উইলহেমকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন,তাই দ্বে-ই হিউন আমাকে পাঠিয়েছেন এখানে।
শেইফ এলিসের সাথে আমার সেই ইউনিভার্সিটি থেকেই পরিচয়। শেইফ এলিস,আমি, দ্বে-ই হিউন সবাই একই সুতোয় গাঁথা।
অন্য ক্রাইম ব্যুরো ডিপার্টমেন্ট উইলহেম স্যারের কেইসটাতে নজর দেয়ার আগেই আমরা নাটকীয় ভাবেই পুরো কেইস সমাধান করে ফেলি।।
শহরে হঠাৎ করে মেয়েদের এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ায়,সাথে আবার কয়েকটা দেশে পুতুল গুলোতে মানুষের মাংসের ব্যবহারের প্রমাণ –

স্যারের জন্যে বিপদজনক ছিলো।
তাই শেইফ এলিসের উধাও হয়ে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে শেইফ এলিসকে নিখোঁজ মেয়েদের তালিকায় ফেলে,এলিসের সুত্র ধরে কেইস সমাধান করার নাটক বানাই।
এলিসের বাথরুমের কমোডে মানুষের মাংসের উচ্ছিষ্ট পাওয়া,টেবিলের ড্রিংক্স,খাবার সব কিছুই পরিকল্পিত ভাবেই সাজানো ছিলো।

যাতে নিজেদের বানানো গল্পের রহস্য নিজেরাই সমাধান করতে পারি এবং তা যেন যুক্তি সংগত হয়।
এলিসের নিখোঁজ হওয়াকে ড. সেহজান এর সাথে যুক্ত করে দেই, কারণ মানুষ জানে ড. সেহজান এর সাথে এলিসের ভালো সম্পর্ক,কিন্তু আসলে ড. সেহজান নয়,এলিসের সাথে ভালো সম্পর্ক স্যার “উইলহেম” এর সাথে।
এতে করে পুরো একান্নটা মেয়ের নিখোঁজ হবার কেইস এর দায় সেহজান এর ওপর পড়লে,সেহজান নিজেও স্বীকার করে নিবে,ব্যাস,কেইস সমাধান,অন্য কোনো টিম তাহলে আর নতুন করে তদন্তের জন্যে আসবে না।
ওয়াটসনকে থামিয়ে দিয়ে,শেইফ এলিস জিজ্ঞেস করলো, “ওয়াটসন স্যারের রুমে ফ্রিজে তুমি আমার লা*শ দেখে হেসেছিলে কেন? যদি সেই লা*শ টা সত্যিই আমি হতাম? ”

এলিসের কথা শুনে ওয়াটসন হাসলো, একজন সাইকোলজিস্ট,পুতুল বানানো যার পেশা,তার ফ্রিজে তোমার মত চেহারার দু’ একটা পুতুল থাকবে না, এমন হয় নাকি!
আমি ফ্রিজে শেইফ এলিসের পুতুলের লাশ দেখে হেসেছিলাম।
তোমার লাশ মূলত বানানো হয়েছিলো,যদি আমি মানে ওয়াটসন ছাড়াও কোনো ভাবে অন্য অফিসার চলে আসলে,যেন সত্যিই তারা এখানে শেইফ এলিসের লাশ দেখতে পায়,এবং শেইফ এলিসের নিখোঁজ হওয়াটা যেন সত্য প্রমাণিত হয়।

কিন্তু তার আর দরকার হয়নি,কোনো অফিসারই আসেনি।।
শেইফ জোড়ে একটা শ্বাস নিলেন, অবশেষে সব কিছু এখন স্বাভাবিক।।
আমি দূরে তাকিয়ে আছি- একা একা খেলতে খুব একটা আনন্দ নেই।
আমি ওয়াটসনের দিকে তাকালাম, – “ওয়াটসন ফ্লাইট রেডি করো,চীনে যাবো, সাও জুন এর সাথে দেখা হলো না আমার।”
-“ঠিক আছে স্যার,আমি ব্যবস্থা করছি।”

এরপর অনেক কিছু,মানে অনেক কিছু ঘটে,
তারপর আরো কিছু সময় কাটে-
প্রায় দু বছর চলে যায়-
ভারত,চায়না,যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া সহ আরো অনেক দেশ একসাথে সাইনিং অর্ডার দেয়-
সাইকোলজিস্ট “উইলহেম এর ফাঁ*সি কার্যকর করতে হবে।
” উইলহেম” কে আটক করা হলো,পুরো পৃথিবীর ক্ষমতাশীল দেশগুলোর গভার্নমেন্ট উইলহেম এর ডোনেশন করা অর্থের ওপর টিকে আছে,

অথচ উইলহেম এর ওপর- অবশেষে তারাই ফাঁ*সির আদেশ দিচ্ছেন।। তবে এত সহজ নয়।
উইলহেম কে জিজ্ঞেস করা হলো,তার শেষ ইচ্ছে কি!
উইলহেম জানালো,সে মৃ*ত্যুর আগে ভারত,যুক্তরাষ্ট্র,চায়না,কোরিয়া সহ অন্যান্য আরো বেশ কিছু দেশের প্রেসিডেন্ট, সকল দেশের সেনা প্রধান সহ প্রশাসন বিভাগের প্রধান,আন্তর্জাতিক ক্রাইম ব্যুরো এর প্রধান সবাইকে এক সাথে নিয়ে সে কিছু কথা বলতে চায়।
অর্থ্যাৎ একটা নির্দিষ্ট কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেলে ডিনারের ব্যবস্থা করা হোক।
এই ইচ্ছে শোনার পর কেউ একবারেরর জন্যেও না বলার সাহস পায়নি।
যার কোনো ক্ষমতা নেই,শক্তি নেই,শুধু নাম ছাড়া আর কোনো পরিচয় নেই,সেই উইলহেমকে এখনো সবাই ভয় পায়।

অবশেষে, উইলহেম এর আবদার রাখার আয়োজন চলছে।
আজ রাতে ডিনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে,-
প্রেসিডেন্ট, সেনা প্রধান সহ অনেক সংস্থার প্রধানরা এসেছেন।
সবাই খাওয়া শেষে বসে আছে-এরপর আমি আসলাম-সবার মনোযোগ নেয়ার জন্যে কথা শুরু করলাম,পৃথিবীর সেরা –
সাইকোলোজিস্ট উইলহেম কথা বলছে, তার গলার শব্দ শুনে মনোযোগ দিবে না,এমন মানুষ পৃথিবীতে আসেনি-
“সবাইকে আমার শেষ শুভেচ্ছা,এই শেষ ডিনারে আরো এক চমক আছে,আমাকে যে কারনে ফাঁ*সির আদেশ দেয়া হয়েছিলো, সেই মৃত রমণীকে কি আপনারা দেখতে চান না?.যার শরীরের প্রতিটা অঙ্গ মানুষের মাংসের তৈরি।
ওর নাম রেখেছি ” ফিলা”-

হঠাৎ সবার মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেলো,সবাই যেন কেমন ভয়ের সাথে নিজেদের আগ্রহ -আমার কথার দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আপনাদের দেখা পৃথিবীতে যে কোনো সুন্দরীর চেয়ে আমার বানানো ফিলা সবচেয়ে বেশি সুন্দর।
সবাই যেন দেখার জন্যে আকুল হয়ে যাচ্ছে।
আমি তাদের কে একটি নির্দিষ্ট রুমে আসার আমন্ত্রণ জানালাম।
রাজা যেমন সবার উচুতে একটা সিংহাসনে বসে থাকে,পাশে মন্ত্রী দাঁড়িয়ে থাকে।
আর সম্মুখে সকল সভা-মণ্ডলীরা থাকে।

ঠিক তেমন একটা রুমে মৃদু রঙের আলোয় পুরো রুম আলোকিত।
মাথার ওপরে ডায়মন্ড রঙ এবং গোল্ড রঙের ঝার-বাতি।
রুমে ঢোকার পর থেকেই একটা উষ্ণ ভাব হচ্ছে,
রুমের সাজ দেখেই সবার চোখে এতক্ষণে খুশির নেশা লেগে গেছে-
আলো একমাত্র উপায় মানুষের মস্তিষ্ককে প্রলুব্ধ করার।
সিংহাসনে কেউ একজন বসে আছে। তাকে ঢেকে রাখা হয়েছে,আর সিংহাসনের পাশে আমি দাঁড়িয়ে আছি-
সবাইকে বললাম, চোখ বন্ধ করুন।
এরপর আমি সিংহাসনের ওপর থেকে চাদর সরিয়ে নিলাম।
আমার হাত পা কাঁপছে- কোনো ভাবেই আমি সিংহাসনের দিকে তাকাইনি।
চারপাশ ঘোলাটে অন্ধকার।

শুধু সিংহাসনেই স্পট লাইট করা আছে।
সবাইকে চোখ খুলতে বললাম।
শুধু বললাম,যেখানে আছেন,সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকবেন।
মুহুর্তেই পুরো রুম থমথমে অবস্থা,সবার চোখ সিংহাসনের দিকে-
কোনো এক রমণী পোশাক হীন উলঙ্গ বসে আছে-
সিংহাসনের সিটের দু-পাশের সাথে –
মেয়েটা নিজের দু’পা চাপিয়ে
মেরুদণ্ড টান করে দু’পায়ের রান ফাঁকা করে বসে আছে।
সামনে যে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে,তার চোখ সোজা মেয়েটার লোভনীয় তীক্ষ্ণ ধাঁড়ালো ছুড়ির মতো বাকা উজ্জ্বল যো*নির দিকেই পড়বে।

যেন- কোনো হাত,কোনো মুখ
যো*নিতে স্পর্শ করতে গেলেই -হাত,মুখ কে*টে রক্তপাত শুরু হয়ে যাবে।
পেটের দিকে তাকালে নাভীর গভীরতায় পুরুষ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাবে না।
মরুভূমির শুকনো ঝলমলে বালিগুলো-
দুপুরের রোদের তাপে যতটা উত্তাপ ছড়ায়,
সেই উত্তাপে- তাকালে চোখে যেমন কম্পন লাগে,
তারচেয়ে অনেক বেশি চোখ ঝলসে যাওয়া উত্তাপের কম্পন-
সিংহাসনে বসে থাকা মেয়েটার পেটের চামড়া-দেখার পর শুরু হয়েছে।
সিংহাসনের দুই বাহুর ওপর মেয়েটা তার দুই বাহু রেখেছে,বস্ত্র হীন শরীরে টান টান স্ত*ন -যেন একটুও ঝুলে থাকার অবস্থা নেই।

কোনো মেয়ে উত্তেজনায় আপ্লুত হলে যেভাবে স্ত*ন ফুলে থাকে,তার থেকে কয়েক গুণ বেশি ফুলে আছে।
স্ত*নের ভারে যেন বগলের নিচের অংশের মাংস পর্যন্ত ফুলে আছে।
এত কঠিন টান টান নরম মসৃণ স্ত*ন -মানুষের চোখ কোনো দিন দেখেনি, স্ত*নের নি*পল এর গোলাপি অংশের দিকে তাকালেই চোখ খসে পড়ে যাবে।
সব কিছু প্রস্তুত,শুধু দরকার –
কোনো পুরুষের জিহবার বিষাক্তহীন কামঁড়।
এমন সুন্দর,এমন কামনাময়ী, এমন উষ্ণতা ছড়ানো
রমণী আর কেউই না,সিংহাসনে আমার ভালোবাসার ” ফিলা”। আমি ছাড়া এই প্রথম ফিলাকে কেউ দেখছে। সবাই নির্জীবের মতো দাঁড়িয়ে আছে।

এমন অবস্থায় আমার হাতে থাকা এক ঘটি আঁঠালো ঘন কেমিক্যাল ফিলার মুখে ছুড়ে মারলাম।
এটি শুধু কেমিক্যাল না,একশত মেয়ের থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় বের হওয়া যো*নির অর*গাজম।
অর*গাজমের রঙ পৃথিবীর কোনো পানির রঙের সাথে তুলনা হবে না।
এই রঙ চোখে পড়লেও -মনে কামনা চলে আসবে।
অরগ*জম গুলো টুপ টুপ করে –
ফিলার কঁপালের চুল গুলোকে ভিজিয়ে -ভিজিয়ে চোখের পাতার ওপর থেকে নেমে – চোখ ভিজিয়ে শুষ্ক ঠোঁটে আসতেই-ফিলার ঠোঁট জবা ফুলের মতো লাল হয়ে গেলো,লাল রঙের ভেজা ঠোঁট দেখলে এমনিতেই বুকের ধুঁক-ধুঁক বেড়ে যায়।

flesh part 5+6

ফিলার ঠোঁট ধুয়ে- ধুয়ে আঁঠালো অর*গাজম গুলো ঠোঁট থেকে এক ফোঁটা করে ফিলার দুই স্তনের মাঝে টিপ টিপ করে পড়ছে, স্ত*ন ভিজে যাচ্ছে।।
শেষ অব্দি ভেজা অরগাজম গুলো নাভীতে গিয়ে জমছে,নাভী ভরে গিয়ে উপচে পড়া অর*গাজম ফিলার যো*নিতে গড়াতেই- যেন ফিলা কেঁপে কেঁপে উঠলো।
এত বড় আয়োজন যা করার জন্যে করেছি,সেটা করার সময় এখন।
আমি আস্তে আস্তে ফিলার পাশ থেকে নিচে নামলাম…

flesh part 9+10

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here