flesh part 9+10
Papilion skyscraper
সুন্দরের ঢেউয়ে মানুষ ভেসে যায় প্রাচীনকাল
থেকেই।
রমণীর রুপে- প্রেমে পড়ে পুরুষেরা রাজ্য, সম্পর্ক কতবার ত্যাগ করেছে,তার হিসেব দিতে গেলে শুধু নাম দিয়েই বই লেখা যাবে।
“তুমি চাঁদের মতো সুন্দর,তোমার চোখ হরিণের মতো” -এই উপমা পাওয়া সুন্দর নারীদের দেখে হয়তো সাধারণ কোনো পুরুষ গলে যেতে পারে।
কিন্তু সব জয় করে আসা মস্তিষ্কের উত্তাপে-
পুড়ে যাওয়া পুরুষদের -এত সহজ সুন্দরের মোহে আটকানো যায় না।
পৃথিবীতে এমন কোনো রমণীর জন্ম হয়নি যাকে দেখে -সেরা জ্ঞানী ক্ষমতাসীন মানুষ গুলো সবাই একসাথে গলে যাবে।
একটি নির্দিষ্ট কোনো সুন্দরের মোহে -সব ধরনের পুরুষকে আটকানো যায় না,
সেটা উইলহেম এর মতো সাইকোলজিস্ট এর থেকে আর কে ভালো বুঝবে।
কিছু পুরুষ -নারীর চোখেই সব সুন্দর খুঁজে পায়,আবার কিছু পুরুষ –
রমণীর প্রণয়নী নদীর স্রোতেই সব সুন্দর খুঁজে পায়।
প্রকৃত পক্ষে,মানসিকতা ভেদে বা চরিত্রের পার্থক্যে পুরুষের পছন্দের ধরণ আলাদা হয়ে থাকে।
তাই নির্দিষ্ট কোনো রমণী সব রুচির পুরুষকে আকৃষ্ট করতে পারে না, কারণ পৃথিবীর কোনো রমণীই উত্তম সুন্দর হতে পারে না।
আবার বলা যায়,পুরুষের চোখ ছাড়া নারীর কোনো সৌন্দর্য নেই।
পুরুষের চোখ যদি বলে,এই নারী সুন্দর, তবেই নাকি নারী সুন্দর।।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাতে খাবার শেষে- মৃদু অন্ধকারের সভায় –
সিংহাসনে ফিলাকে দেখা ছিলো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি।
ফিলাকে পোশাক পড়িয়ে-
শুধু চোখ আর চুলের সুন্দর দিয়ে-
সভার সবাইকে মোহে ফেলা যেত না,
অথবা শুধু নগ্ন দেহের অঙ্গের ভাঁজের সুন্দর -দেখিয়েও সবাইকে মোহে আটকানো যেত না।।
কোনো এক নির্দিষ্ট মেয়ের সৌন্দর্য দিয়েও সবাইকে একসাথে ঘায়েল করা যেত না।
তাই ফিলার সৃষ্টি হওয়ার দরকার ছিলো,যে কিনা প্রতি বিন্দুতেই সুন্দরের উপমা নিয়ে জন্ম নেবে।
যে পুরুষ রমণীর চোখ দেখেই প্রেমে পড়ে,-
সে ফিলার চোখ দেখলেই থেমে যাবে।
যে পুরুষ চুলের ঘ্রাণ আর ঠোঁটের মায়ায় পড়ে,
সেই পুরুষও ফিলাকে দেখে প্রেমে পড়বে।
যে পুরুষের তীক্ষ্ণ কামনার লোভ রয়েছে,সেই পুরুষ ফিলার চোখ, প্রণয়নী নদীর রঙের নেশায় হারিয়ে যাবে।
সভায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষমতাসীন মানুষ গুলোর চোখে আর ব্রেইনে- ফিলাকে কাছে নেয়ার ঝড় চলছে।
কেউ ফিলার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,কেউ ঠোঁটের দিকে,কেউ ফিলার চওড়া বক্ষের দিকে,
কেউ নগ্ন দেহের ভেজা সুন্দরের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি উইলহেম শুধু এই সুন্দরের মোহে নেই।
কারণ ফিলার দিকে একবারের জন্যেও আমি তাকাইনি।।
সবাই ঘামছে,কেউ কথা বলছে না,স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে-
সভায়, তাদের পড়োনের পোশাক -কালো কাপড়ের স্যুটের ভেতর থেকে শার্টের ওপর বাধা টাই টাও –
যেন উঁকি দিয়ে- দিয়ে ফিলার দিকে তাকাচ্ছে।।
আর টাইকে ফিলার থেকে আটকে রাখতেই যেন তারা বার বার একটু পর পর টাই ঠিক করছে,
গলার টাই যেন তাদের গলা চে*পে ধরেছে।
সভার প্রত্যেকের গলার স্বর নাকি শ্বাস – নাকি দুটোই আটকে গেছে বুঝা যাচ্ছে না।।
ফিলার এই রুপ,এই মায়া – আমাদের চোখ কোনো দিনও শান্তি ভাবে গ্রহণ করতে পারবে না।
নগ্ন দেহে গলার ওপর হালকা ধুসর রঙ্গের ডায়মন্ডের নেকলেস ফিলার গলা জড়িয়ে সেঁজে আছে।
পুরো নগ্নতায় শুধু গলার ওপর মোড়ানো এই নেকলেস নগ্নতার সুন্দর কিভাবে বাড়াতে পারে ফিলাকে না দেখলে বোঝা যাবে না।
পৃথিবীর সব কবিরাও যদি ফিলার বর্ণনা দিতে ব্যস্ত হয়,ফিলার এক চোখের মিট মিটি করে তাকানোর লোভনীয় চাহুনির বর্ণনা দিয়ে শেষ করতে পারবে পারবে না।
ঘোরে পড়লে মানুষ আত্ম-বিকেন্দ্রীভূত হয়ে যায়।।
মস্তিষ্ক সচল থাকা ছাড়া কোনো কাজের সিদ্ধান্তই নেয়া যায় না।
হাতে ছুড়ি নিয়ে সবচেয়ে কঠোর ব্যক্তি- প্রসাশন প্রধান মি. লুইস এর তিনটে আঙ্গুল কে*টে নিলাম।
মি. লুইসের আঙ্গুল থেকে টুপ টুপ করে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়ছে,তিনি টেরও পাচ্ছেন না,এক খেয়ালে সে ফিলাকেই দেখছে।
– “হ্যা,মুখ্যম সময় এটাই।”
পেপারস গুলো হাতে নিলাম-
আরেকবার পেপারস গুলো পড়ে নিলাম- :
“এই মর্মে আমরা অবগত করছি,ড. উইলহেম এর ওপর আনীত সকল অভিযোগ তুলে নিয়ে তার মৃতু*দণ্ড অকার্যকর করা হচ্ছে,তাকে সম্মানের সহিত মুক্তি দিয়ে তার সব কিছু তাকে ফিরিয়ে দেয়া হলো।
ড. উইলহেম শুধু একটি নির্দিষ্ট দেশ নয়, তিনি পৃথিবীর উন্নত সম্পদ।
ড. উইলহেম এর মালিকানায় সকল হসপিটাল,বিশ্ববিদ্যালয় সহ টয় কোম্পানি,পারফিউম কোম্পানি সব কিছুর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলো,এবং এগুলো উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়ার হবে।
ড. উইলহেম আজকে পর থেকে নিজস্ব স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারবে,তাকে কোনো দেশের প্রশাসন বা সরকার হেনস্তা করতে পারবে না।
শুধু তাই নয়,যে কোনো প্রয়োজনের সব দেশের সরকার তাকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে বলে,আমরা নিশ্চিত করছি।
এ মর্মে আমরা আরো ঘোষণা করছি,ড. উইলহেম এর বিষয়য়ে এই প্রত্যয়ন পত্রটি আজীবন অপরিবর্তিত থাকবে এবং এর বিরুদ্ধে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না।
আমরা এই বিষয়ে সজ্ঞানে সম্মতি প্রদান করে স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত করছি”
– “পড়া হয়ে গেলো, সব কিছু ঠিক আছে।”
এরপর এক-এক করে প্রেসিডেন্ট,সেনা প্রধান,ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর সংস্থা গুলোর প্রধান সহ অন্যান্য পৃথিবীর প্রধান প্রধান ক্ষমতাসীন লোকদের থেকে স্বাক্ষর নিলাম।
সবাই নিজের অজান্তেই স্বাক্ষর দিলেন।
এবার নিশ্চই বোঝা হয়ে গেছে,ফিলাকে এত সুন্দর ভাবে কেন সৃষ্টি করেছি।
ফিলার প্রতি বিন্দুতে যদি সুন্দরের পর্যাপ্ততা না থাকতো,
ফিলাকে কামনাময়ী বানাতে -যদি ফিলার মুখে সেই উষ্ণ ঘ্রাণের অর*গাজম থেকে তৈরি পানি না ছেটাতাম-
তাহলে হয়তো ফিলার সৌন্দর্য এত ভয়ংকর ভাবে লোভ ধরাতে পারতো না।
পুরুষেরা- পোশাকে ঢেকে রাখা সৌন্দর্যের কাছে দুর্বল।
তাই ফিলাকে নগ্ন রেখেছি, কোনো চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না,সব রুপ ঢেলে সাজিয়েছি।
এরপর-আমি প্রস্তুত-সভা থেকে বের হবো-
তার আগে আরো একটি কাজ-
আমি জানি, অবচেতনতায় তারা সবাই আমার নিয়ন্ত্রণে।
সবাইকে উদ্দ্যেশ্য করে বললাম,আপনারা
নিজেদের পোশাক খুলে নগ্ন হয়ে দাঁড়ান।
বলার সাথে সাথেই সবাই পোশাক খুলে ফেললো,তাদের চোখ শুধু ফিলার দিকেই।
যেন আমি বললেই ওরা ফিলার কাছে ছুটে যাবে।
বদ্ধ রুমে একসাথে এত জনের হার্টবিট কাঁপছে,সব হার্টিবিটের শব্দ তীব্র তুখোড় ভাবে শুনছি,এ শব্দ শুনতে অন্য রকম ভয়ংকর লাগবেই।
সভায় উপস্থিত সবার উদ্দ্যেশ্যে বললাম,
“ফিলাকে স্পর্শ করতে চান আপনারা?”
কেউ কথা বলছে না
তারপর কাউকে নির্দিষ্ট না করেই , ফিস ফিস শব্দে বললাম, “ফিলা আপনাকে কাছে ডাকছে, ফিলার ঠোঁট ছুয়ে দেখার জন্যে হলেও ফিলার কাছে যান,ওইতো ফিলা আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে।”
কথা শুনেই –
যেন সবাই সজাগ হয়ে গেলো,
তিরানব্বই জন পুরুষ একসাথে- ফিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো,কেউ ফিলার পায়ে চুমু দিচ্ছে কেউ ফিলার হাতে,কেউ ফিলার চুল ছিঁড়ে নিচ্ছে।
আমি দরজার সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি,
রুম থেকে বের হয়ে বাহিরে থাকা সেনা- সৈন্য বা প্রশাসনের লোক গুলোর মধ্যে উত্তেজনা দেখলাম।।
সবাই যেন অস্থির, ভেতরে কি হচ্ছে জানার জন্যে।
আমার পথ আটকালে আমি পেপারস দেখালাম,এরপর আমাকে যেতে দেয়া হয়।
আমি চলে আসলাম ফিলাকে রেখে।
জানি না,কেন আমার মায়া হচ্ছিলো,
আমি জানি,ফিলাকে এতক্ষণে ওই পুরুষ গুলো ছিঁড়ে ফেলেছে।
ফিলার অস্তিত্ব নেই।
আর কোনো দিনও ফিলাকে দেখা হবে না।
পুতুলের প্রেমেও পড়া যায়,এখন কেন যানি মনে হচ্ছে।।
কেন জানি মনে হচ্ছে আমি সব ছেড়ে ফিলার কাছে আবার ফিরে আসি।
ফিলা যেন সভায় কষ্টে কাতরাছে,
এত ভিড়ে ফিলার মায়াবী চাহুনি আমার চোখে ভাসছে।
ফিলার আমার হয়ে থাকবে,প্রতিক্ষণ।
এরপর আমেরিকার, নদী,সাগর,ঘন জঙ্গল, বরফের পাহাড় পাড়ি দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে চলে আসি।
কেউ আমাকে খুঁজে পাবে না।।আত্মগোপন হোক বা আত্মবিয়োগ।আমি নতুন ঠিকানা খুঁজছি।
চলতে চলতে, নতুন এক দেশ, সুইজারল্যান্ড।
আগেই পরিকল্পনা ছিলো।
সুইজারল্যান্ড এর সহজ সরল এক গ্রামে এসেছি,এখান থেকেই শুরু হবে আমার নতুন চাহিদা।
প্রায় এক বছর চলে গিয়েছে-এখান থেকেই আমি সব কিছুর খোঁজ- খবর রাখি।
গ্রামের বাইরেও আমার যাওয়া হয় না।।
হসপিটাল, বিশ্ববিদ্যালয় টয় কোম্পানি সুন্দরভাবেই পরিচালিত হচ্ছে।
আমি শুধু খোঁজ খবর নেই।
আর চলবেই না বা কেন?
সবাই চুক্তিতে সাইন করেছে।
তারচেয়ে বড় ঘটনা হচ্ছে,-
ফিলার রুমে থাকা সেই তিরানব্বই জনের সবাইকে নগ্ন বানিয়ে ভিডিও করে নিয়েছিলাম।
তারা তাদের বাসায় ফেরার আগেই সেই ভিডিও বার্তা তারা পেয়ে গিয়েছিলো।
-“ইয়েজ,দিজ ইজ দ্যা ব্লাক মেইল”
তারপর আর কার সাধ্য আছে,আমাকে ধরার।
ফিলার রুম থেকে বের হওয়ার সময় দরজায় বড় করে বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলাম-
লেখা ছিলো,
“HELLO WORLD ,REMEMBER THAT I AM A PSYCHOLOGIST”
সুইজারল্যান্ড আসার পর থেকে প্রায় সকালেই আমি -প্রকৃতির ঝর্ণার পানির কোলাহলে সাথে -সবুজ পাহাড়ের মাটি ছিড়ে নিচে নেমে পড়া পানির নিচে-পাথরের ওপর ছোট ছোট বিভিন্ন রঙের শৈবাল দেখতে চলে আসি।
এত সুন্দর জায়গায় একা দাঁড়িয়ে থাকতে কেমন যেন বিরক্তি লাগে।
এই প্রথম নি:সঙ্গ অনুভব করছি।
হঠাৎ একটা গলার জোরে চিৎকার -শুনালাম।
কোন এক মেয়ে দূর থেকে কাউকে উদ্দেশ্য করে বলছে ” ফিলা রোদের তাপ বেড়ে গিয়েছে,চল ফিরতে হবে”
পুরো শরীর কেঁপে উঠলো,ধুম করে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম।
হাত পা কাঁপছে,বুকের ধুক ধুক বেড়ে গেছে।
“ফিলা! কোথায় ফিলা।”
মেয়েটা প্রচণ্ড ক্ষুধায় নিজের পি*রিয়ডের র*ক্ত – শুকনো রুটির সাথে ভরিয়ে ভরিয়ে খা*চ্ছিলো।
একদিন মেয়েটার মায়ের সাথে প্রতিবেশীর কথা কা*টাকাটি হয়েছিলো-
সেদিন রাতেই মেয়েটা -প্রতিবেশী মহিলার ঘরে ঢুকে ঘুমের মধ্যে গলা চিপে ধরে –
মহিলাকে ‘হা’ করিয়ে মুখের মধ্যে সাপের কতগুলো বা*চ্চা ঢুকিয়ে দিয়ে- মুখ চেপে ধরে রেখেছিলো।
বীভৎস চিন্তার এই মেয়েটি এখানেই থেমে নেই,
প্রায় রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় বাড়ির পাশের ডোবার পঁচা পানিতে-
হাটু পর্যন্ত ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
পায়ের পাতা থেকে হাটু পর্যন্ত-
পানির মধ্যে কয়েক হাজার জোঁকগুলো মেয়েটার পায়ে চুপসে কাঁমড়ে বসে রক্ত চুষে খাচ্ছে ।
এভাবেই প্রায় রাতেই জোঁকগুলোকে র*ক্ত খাওয়ায় মেয়েটা।
কতোবার যে পানির তৃষ্ণা মেটাতে নিজেই নিজের প্রসাব খেয়েছে,হিসাব নেই।
যেন মনে হয়,মেয়েটা জানেই না,কিসে ভালো আর কিসে খারাপ রয়েছে।
ভালো খারাপ বা যত্নের প্রকাশ দিয়েই বা কি হবে?
অবশিষ্ট তো কিছুই নেই,
সেদিনের দুপুরবেলাটা সব কিছু পালটে দিয়েছিলো।
মেয়েটার বাসা পাহাড় ঘেষা উঁচু-নিচু সমতল ভুমির বিশাল এক গ্রামে।
মরুভূমির মতো ঝর্ণা,পাহাড় আর নদীর ফাঁকে ফাঁকে জনমানবহীন বিশাল সমতল মাঠে-
হঠাৎ শরীরের কোনো এক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো জ্বলন অনুভব করতেই মেয়েটা জেগে উঠে-
নিজের ভয়ংকর অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
যন্ত্রণার আর্তনাদ কতো কষ্টের হতে পারে মেয়েটাকে না দেখলে জানা যাবে না।
মেয়েটার মাতৃ অঙ্গ কেউ কে*টে নিয়ে মেয়েটাকে খোলা মাঠে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে।
হয়তো লোকজন আশে পাশে চলে আসায়,মেয়েটার শরীরের অংশটি ঠিক ভাবে কা*টতে পারেনি।
আর এভাবেই মেয়েটাকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে।
ভাগ্যের অ-স্থির চক্রের নিয়মের জন্যে মেয়েটা হয়তো বেঁচে গিয়েছিলো।
কান্নায় চোখ থেকে পানি পড়তে পড়তে কতোবার যে মেয়েটার গলা শুকিয়ে গিয়েছে,অথচ ওই শুকনো গলা ভেজাতে পানি হাতে মেয়েটার পাশে কেউ আসেনি।
কোনো দেবতা নামক পুরুষ এসেও মেয়েটার পাশে দাঁড়ায়নি।
আচ্ছা,মেয়েটা নিজের পি*রিয়ডের র*ক্ত যদি নিজেই খায়,ক্ষতি কোথায়? নিষেধ কোথায়?
তাছাড়া মাতৃ অঙ্গ যার আছে,তার মাতৃ অঙ্গ থেকে র*ক্ত বের হয়,আর সেখান থেকে বের হওয়া র*ক্ত হয়তো অপবিত্র,খাওয়া যায় না।
কিন্তু? মেয়েটার তো মাতৃ অঙ্গ-ই নেই।
হ্যাঁ, যদি মন চায়,মেয়েটা নিজের র*ক্ত খাবে।
তাতে কেউ কিছু বলতে পারবে না,
না,একদম কারোর কিছু বলার অধিকার নেই।
একজন তরুণী তার উত্তেজনা দাঁতে কামড় দিয়েও আটকে রাখতে পারে না।
পুরো শরীরের উত্তেজনার স্রোতের ঝড় চলতে থাকে।।
অথচ এই ঝড় -মেয়েটা নিজের যোনাঙ্গহীন শরীরে কিভাবে আটকাবে!
হয়তো তাই পঁচা ডোবায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে জোঁকগুলোকে নিজের রক্ত খাইয়ে-খাইয়ে উত্তেজনা শিথিল করে।
মেয়েটার কাছে পানি আর প্রসাবের মধ্যেও কোনো তফাৎ নেই।।
মাতৃ অঙ্গ ছাড়া তো আর সেটাকে প্রসাব বলা যায় না।
ক্ষু*ধা লাগলেই কখনো বিড়াল,কখনো পোকামাকড়, কখনো গাছের লতা পাতা রা*ন্না করে বা আগুনে পু*ড়িয়ে খেয়ে নেয়।
একদিন রাতে হঠাৎ চিৎকারে পুরো গ্রাম কেঁপে ওঠে।
সবাই বুঝতে পারে,সব হারানো মেয়েটিই চিৎকার করছে।
মেয়েটি হঠাৎ খেয়াল করলো,তার মাতৃ অংশের কিছুটা মাংস পঁচন ধরেছে।
মেয়েটা দেখে ভয় পেয়ে গেলো,এমনিতেই আবার টন টন করে ব্যাথা হচ্ছিলো,ছোট ছোট এই ব্যাথা মেয়েটার সহ্য হয়েছে গেছে।
মাংসে পঁচন দেখে মেয়েটা ঘাবড়ে গিয়েছে,
প্রাচীন পদ্ধতিতে মাংস পঁচন আটকাতে বিশেষ কৌশল ব্যবহার হতো,মেয়েটা চোখে মুখে সাহস নিয়েই সেটা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে,
যন্ত্রণা হয়তো মেয়েটাকে আর থামাতে পারবে না।
লোহার চ্যাপ্টা ছোট একটা থালা নিয়ে-
মেয়েটা আগুনে গরম করতে লাগলো,মেয়েটার হাত কাঁপছে, আগুনে লোহা লাল হয়ে গিয়েছে,
তারপর একটা চিমটা দিয়ে লোহাটা ধরলো-
নগ্ন অবস্থায় মেয়েটা বসে আছে,উত্তপ্ত লোহার চ্যাপ্টা থালা জোরে নিজের মাতৃ অংশের ওপর চেপে ধরলো-
ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে মাংস পুঁড়ে যাচ্ছে।
এই দৃশ্য দেখতে গেলে চোখও পুড়ে যাবে।
রক্তে,পুঁজে ভেজা মাতৃ অংশ একদম শুকিয়ে গেছে।
আর এই চিৎকারেই পুরো গ্রামের লোকেরা কান্না করে উঠেছে। মেয়েটা বেহুশ হয়ে পড়ে আছে।
বাঁচতে হবে, অনেক কারনেই বাঁচতে হবে-।
মেয়েটা খুঁজছে,কাউকে খুঁজছে।
যার কোনো কিছু হারানোর নেই,
তার অনেক কিছু পাওয়ার আছে।।
কয়েকমাস কেটে যাচ্ছে।
প্রায় সকালের মতো আজকেও
মেয়েটা ঝর্ণার জ্বলে ভেসে আসা বহমান নদীর স্রোতে আটকে থাকা বড় একটা পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে –
বস্ত্রহীন সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় সুর্যের
উত্তাপ বিহীন আলোয় নিজেকে স্পর্শ করাচ্ছে।।
পুরো শরীরে সব জায়গায় যেন আলো চুমু খাচ্ছে, মেয়েটার মুখে হাসি,শুধু এই সকালের সূর্যের সামনেই মেয়েটার হাসি ফুটে ওঠে।
চোখ বুঝে -দুহাত মেলে দিয়ে নিজের সব গোপনত্ব সূর্যের কাছে বিলিয়ের দেয়াই মানেই-মেয়েটার কাছে জীবন উপভোগ।।
হঠাৎ একটা গলা থেকে জোরে চিৎকার আসলো-
কোন এক মেয়ে দূর থেকে-
নগ্ন অবস্থায় পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে ডেকে বললো –
” ফিলা-
ফিলা শুনতে পাচ্ছিস, রোদের তাপ বেড়ে গিয়েছে,চল ফিরতে হবে”
“পোশাক পড়ে নে।” “ফিলা চলে আয়।”
ফিলা,পাথর থেকে নেমে গায়ে পোশাক জড়িয়ে হেটে যাচ্ছে”
দূর থেকে উইলহেম তাকিয়ে তাকিয়ে ফিলার হেটে যাওয়া দেখছিল.
উইলহেম দৌড়ে এসে ফিলার সামনে দাড়ালো-ফিলার রাস্তা আটকিয়ে -উইলহেম ফিলাকে বলতে লাগলো-
– ” যে সুন্দর -পুরো পৃথিবী থেকে লুকাতে মানুষের এত আয়োজন,সেই সুন্দর তুমি এভাবে প্রকৃতির কাছে বিলিয়ে দিয়ে জীবন উপভোগ করছো?”
flesh part 7+8
” আমি মুগ্ধ তোমার এই জীবন ধারায়”
হঠাৎ-
ঠাস! বিকট আওয়াজ,চারদিক কাঁপছে।
যেন নদীর স্রোত বয়ে চলা বন্ধ করে দিয়েছে।।
উইলহেম এর মুখ অন্ধকারে ঢেকে গেলো-
উইলহেম মাটিতে লুটিয়ে পড়লো,র*ক্ত নদীর দিকে বইছে,
ফিলা উইলহেমকে গুলি করেছে, ……..