Violent love part 49

Violent love part 49
Mariam akter juthi

“আরিশ জুথিকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসে বিছানার উপর বসিয়ে নিজে মেঝেতে বসে জুথির পা দুটো কোলের মধ্যে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে পা দুটোতে চুমু খেয়ে বলল,
‘আমার পাখির সোনা পাও! – বলে পা দুটোতে এক এক করে আবারও চুমু খেলো।
তবে আরিশ জুথির পায়ে চুমু খেতে জুথি আরিশের থেকে পাও সরিয়ে এনে বলল,

‘ছোবেন না আপনি আমায়।
‘মৌ আমি,
‘হ্যাঁ জানি তো! এখন আপনি বলবেন আপনি এসব ইচ্ছে করে করেননি ভুল করে হয়ে গেছে তাই তো? কিন্তু শুনুন! আমি আর আপনার সাথে কথা বলবো না বলবো না মানে কথা বলবো না। এখন জোর করবেন তাইতো? স্বামী অধিকার খাটাবেন তো!
জুথি কথাগুলো বলতে আরিশ দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে বলল,
‘না, তুই আমার কাছে নিজের ইচ্ছায় আসবি। — বলে উঠে সেখান থেকে চলে আসতে নিলে দরজায় নক করার শব্দ পেয়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘দরজা খোলাই।
আরিশ কথাটা বলতে লুসিয়ান দরজাটা ঢেলে ভিতরে এসে বলল,
‘ভাই তমর সথে কথা ছল।
লুসিয়ান কথাটা বলতে আরিশ একবার জুথির দিকে তাকিয়ে ফের লুসিয়ানের দিক তাকিয়ে বলল,
‘আচ্ছা তুই বাগানে যা আমি আসছি।
লুসিয়ান চলে যেতে আরিশ জুথির কাছে এসে ওর মাথায় হাত রেখে বলল,
‘সরি মৌ খুব করে সরি। – আরিশ আরো কিছু বলতে নিলে জুথি অন্যদিক মুখ ঘুরিয়ে নিতে আরিশ আর কিছু বলতে চেয়ে বলল না। চুপচাপ হেঁটে বাগানে চলে আসে লুসিয়ানের কাছে। আরিশ লসিয়ানের কাছে এগিয়ে ওর কাঁধে হাত রেখে বলল,

‘কি করতে চাস তুই এখন?
‘ভাই! উইভ গট আ ফ্লাইট টুমোর। আই ডোন্ট নো হোয়াট টু ডু। – মাথার চুল দুই হাতে দুপাশ থেকে খামচে ধরে।
‘বাবাই কে বলেছিস?
‘ইয়েস!
‘কি বলেছে?
‘ড্যাড সেড টু টক টু এভরিওয়ান, বাট মম টোল্ড ড্যাড নট টু। ইয়োর আঙ্কল অ্যান্ড আন্টি উইল নেভার ম্যারিড। দেয়ার ডটার টু আ বয় ইন আ ফারঅ্যাওয়ে কান্ট্রি। দে ওন্ট সেন্ড দেয়ার ডটার টু আ ডিসট্যান্ট ল্যান্ড। আই ডোন্ট ফিল গুড, ব্রাদার। ইট’স ইমপসিবল টু লিভ উইদআউট হার।

~ অর্থ: বাবা বলেছে সবার সাথে কথা বলবে, কিন্তু মম বাবাকে নিষেধ করে বলেছে। তোমার চাচা চাচি কখনো দূর দেশে ছেলের সাথে উনাদের মেয়ের বিয়ে বিয়ে দেবেন না। উনাদের মেয়েকে দূর দেশে পাঠাবেন না। আমার ভালো লাগছে না ভাই। ওকে ওকে ছাড়া থাকা সম্ভব নয়।
‘আমার বোনকে ভালো রাখতে পারবি? আমার মত রাগ সামলাতে না পেরে আবার কষ্ট দিবি না তো?
আরিশ কথাটা বলতে লুসিয়ান আরিশের দিক তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেলে তাচ্ছিল্য কন্ঠে বলল,

‘ভাই, আর ইউ কমপেয়ারিং ইয়োরসেলফ টু মি? ডু ইউ থিঙ্ক ইউ অ্যান্ড আই আর দ্য সেম? নো ওয়ান ক্যান লাভ দ্য ওয়ে ইউ ডু। ইফ এনিওয়ান কুড আন্ডারস্ট্যান্ড দ্য ডেপথ অব ইয়োর লাভ… দেন ওয়েল, এনিওয়ে, আই ক্যান গিভ ইউ ওয়ান প্রমিস! ইয়োর সিস্টার উইল নেভার বি ইন পেইন বিকজ অব মি। আই ওন’ট লেট হার সাফার।
~অর্থ: ভাই তুমি তোমার সাথে আমার তুলনা করছো? তোমার সাথে আমার যায়? তোমার মত করে কেউ কাউকে ভালবাসতে পারবে? তোমার ভালবাসার গভীরতা যদি কেউ বুঝতো! তবে.. যাইহোক একটা কথা দিতে পারি তোমাকে। তোমার বোন আমার কাছে কোনদিনও কষ্টে থাকবে না। আমি ওকে কষ্ট পেতে দিব না।
লসিয়ান এর কথা শেষ হতে আরিশ তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল,

‘আমি যেরকম শিখিয়ে দিয়েছিলাম বলেছিস?
‘ইয়েস! বাবাহ ইয়োর সিস্টার ইজ সামথিং এলস! শি অ্যাকচুয়ালি গেভ মি টু স্ল্যাপস অন মাই চীকস জাস্ট ফর সেইং দ্যাট!
~অর্থ: হুম। বাবাহ তোমার বোন ভারী বিপদজনক। ওই কথা বলতে আমার গালে দুইটা থাপ্পড় মেরেছে।
লুসিয়ানের কথায় আরিশ বাঁহাতের আঙ্গুলে মুখ টিপে হেসে উঠতে লুসিয়ান দুঃখ প্রকাশ করে বলল,
‘ভাই তমি হসছ?
‘কই না তো!
‘ভাই হসো না ত!
আরিশ লুসিয়ান কে সিরিয়াস হাতে দেখে হাসি রেখে লুসিয়ানের কাঁধে হাত রেখে বলল,
“আমাদের বাগানে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জায়গা আছে। যেরকম বলেছি শুধু কাজটা সেরকম করবি, বাকিটা আমি দেখে নিব”

দু’ভাই আরো বেশ কিছুক্ষন নিজেদের মধ্যে কথা বলে দুজনে সেখান থেকে চলে আসে। আরিশ বাগান থেকে রুমে এসে জুথিকে রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে যেতে দেখে পুনরায় তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে নিজেও না খেয়ে দরজা লক করে বিছানায় এসে ঘুমন্ত জুথিকে টেনে বুকের মধ্য নিয়ে আবারো নিঃশ্বাস ফেলে জুথির কপালে চুমু খেয়ে পুনরায় এরকম কয়েকটা চুমু খেয়ে। নিজে নিজেই হেসে জুথির মাথায় কপাল ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে যায়।
“সারাদিনের দৌড়ঝাপ ক্লান্ত শরীরে বাবা চাচাদের সাথে বাড়ি ফিরল রাদিফ। রাদিফ বসার ঘরে সোফায় গায়ে এলিয়ে দিতে রোদ ইস্তুভূত করে কোনরকম জরতা কাটিয়ে রাদিফের কাছে এগিয়ে জিজ্ঞেস করে বলল,
‘ঠান্ডা পানি দিয়ে লেবুর শরবত করে দিব?

রাদিফ রোদের আলতো কথায় চোখের উপর দিয়ে রাখা হাতটা সরিয়ে রোদের দিক তাকিয়ে বলল,
‘দে। – রোদ রাদিফের থেকে সম্মতি পেয়ে রান্নাঘরে গিয়ে সুন্দর করে ঠান্ডা পানির লেবুর শরবত বানিয়ে রাদিফের হাতে এনে দিতে রাদিফ সেটা খেয়ে বড় করে একটা নিশ্বাস ফেলতে পাশ থেকে মাহমুদ খান বলে উঠলেন,
‘রোদ আম্মা, আমার ছেলে আপনার সম্পর্কে স্বামী বলে আপনি শুধু তাকেই শরবত বানিয়ে দিলেন? আমিও তো আপনার সম্পর্কে শ্বশুর হই আমাকেও তো একটু দিতে পারতেন?
মাহমুদ খান কথাটা বলতে রোদ কেসে উঠে বিষম খেতে। পিছন থেকে লিনা খান তিন গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত এনে বাকি তিনজনের হাতে দিতে বললেন,

‘তুমিও পারো! রোদ কতটুকু মেয়ে বলতো? এই বয়সে কি সংসার সামলানো বোঝে? তাছাড়া আমরা তো আছিই‍? বলে উনি রান্নাঘরে চলে যান, বড়জা ছোট জায়েদের সাথে রাতের খাবারের সাজাতে। উনারা সব খাবার টেবিলে রেডি করে সবাইকে ডাকতে সাফওয়ান খান থেকে সবাই যে যার মত ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার খেতে বসতে সানজিদা খান আরিশ জুথিকে দেখতে না পেয়ে বললেন,
‘আরিশ মৌ কে ডাকো নি? ওরা খাবেনা?
উনার কথায় রোদ নরম কন্ঠে বলল,
‘না বড়মা, আরিশ ভাই কিছুক্ষণ আগেই আমি নিজে আসার সময় বলেছে। জুথি ঘুমিয়ে গেছে, সেও খাবে না।
‘খাবে না? এত বড় রাত না খেয়ে থাকবে দুজন?
উনার কথায় সাফওয়ান খান বললেন,

‘তুমি খাও, ওরা খিদে পেলে এসে খেয়ে নিবে।
সাফওয়ান খান কথাটা বলতে সানজিদা খান সবাইকে খাইয়ে পরে নিজেরা খেতে বসতে ফারি কে দেখতে না পেয়ে উনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন,
‘ফারি কই? ও খাবে না?
সানজিদা খানের কথায় মোমেনা খান চারপাশ দেখে বললেন,
‘হ্যাঁ তাই তো! মেয়েটাকে তো সন্ধ্যার পর থেকে নিচে দেখলাম না। শরীর ঠিক আছে তো?
‘ওর কথা বাদ দাও! ‘মেহজাবিন খান’
‘এটা কেমন কথা?

‘হ্যাঁ বড় ভাবি ওকে এখানে আসতে হবে না। আমি খেয়ে ওর রুমে খাবার দিয়ে আসবো। – মেহজাবিন খান কথাটা বলতে কেউ কিছু বুঝতে না পারলেও ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন ঠিকই বুঝলেন। উনি কেন ফারিকে টেবিলে খাবার খেতে ডাকছেন না। উনারা খাবার খাওয়া শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে রেখে বসার ঘরে এসে জিরানোর জন্য সোফায় বসতে ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন মেহজাবিন খানের উদ্দেশ্য বললেন,
‘মেহজাবিন আপু? আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। – উনি কথাটা বলতে মেহজাবিন খান হাসি দিলেন, উনার মনে যেটাই থাকুক। ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন এখন খান বাড়ির গেস্ট। সে সাপেক্ষে উনি নতুন কোন সম্পর্ক হয়তো উনাদের সাথে করবে না। তাই বলে গেস্টের সাথে খারাপ ব্যবহার উনি সেটা কখনোই করবেনা। তাই উনি হাসি দিয়েই বললেন,
‘হ্যাঁ আপু বলেন!

‘আসলে আমি আপনার কাছে কিছু চাইতাম‌। যদি, — ওনার কথা শেষ হওয়ার আগেই মেহজাবিন খান বললেন,
‘দেখেন আপু আমার কাছে আপনি এমন কিছু চাইবেন না। যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না।
‘আমরা হয়তো দূর দেশে থাকি তবে আমার ছেলেটা খুব ভালো। আপনার ছোট মেয়ে,
‘না আপা, আপনার প্রস্তাবটা ভালো। তবে আমার মেয়েকে আমি বিদেশী ছেলের কাছে বিয়ে দিব না। — মেহজাবিন খান কথাটা বলতে ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন আর কথা বাড়ালেন না। তপ্ত নিশ্বাস ফেললেন। উনি চেয়ে না পেলে দ্বিতীয়বার আর কথা বাড়ান না। কারণ ওনার কাছে আত্মসম্মান টা অনেক। যদিও চাওয়াটা ওনার স্বভাবে নেই, বিশ্বের নামকরা বিলাসবহুল ধনী ‘জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’ স্ত্রী উনি। কোন কিছুর অভাব নেই।

কোন জিনিস চাওয়ার আগেই সামনে হাজির হয়। সেখানে আজ দ্বিতীয়বারের মতো চাইলেন ছেলের জন্য। তবে ওনার আবদার মেনে যদি মেহজাবিন খান ওনার মেয়েকে ওনাদের কাছে দিতেন তাহলে ইন্দিয়া ত্যাইনিন উনার সবটুকু দিয়ে ফারিকে আগলে রাখতেন। ইন্দ্রিয়া মুখটা ছোট করে সেখান থেকে চলে যেতে দোতলা করিডরের রেলিং ধরে দাঁড়ানো লুসিয়ান ওদের কথায় বাঁকা হেসে সেখান থেকে রুমে চলে যায়।
“রোদ রুমে এসে বিছানা ঘোজাতে, রাদিফ ততক্ষণে রুমে এসে দরজা নক করে বিছানার কাছে রোদের পাশে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে দুটো কিটক্যাট চকলেট বের করে দিতে। রোদ চকলেট দুটো দেখে বেশ অবাক হলো। তবে সেটা রাদিফ কে বুঝতে দিল না। নিজের মধ্যেই রাখল। রাদিফ রোদকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর হাত দুটো তুলে চকলেট গুলো দিয়ে বলল,

‘তোর জন্য।
‘,,,,,। — রোদ তখনও মাথা নিচু করে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে দেখে, রাদিফ রোদের থেকে সরে আসতে নিলে রোদ বলল,
‘রাদিফ ভাই?
‘হুম।
‘,,,,,,।
‘কি বলবি বল?
‘এ এ একটু আদর দিবেন? -চোখ মুখ খিচে কথাটা বলল।
‘হুম।
‘,,,,,।
রোদ তখনো চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে দেখে রাদিফ রোদের দুই বাহুতে হাত রেখে মুচকি হেসে বলল,
‘কোথায় আদর দিব?

‘জ ব ন ম মা,, – রোদকে তোতলাতে দেখে রাদিফ রোদের কপালে আলতো চুমু দিয়ে বলল,
‘রোদ আমি জানিনা তো কে কোনদিনও ভালোবাসবো কিনা। তবে আমি চাইবো তোকে ভালবাসতে। তোকে বউয়ের প্রাপ্ত টুকু দেওয়ার। নির্দ্বিধায় কিছুর ইচ্ছে হলে অবশ্যই আমাকে বলবি।
‘অ আমি, এই আদ,
‘ঠিক আছে ভীষণ আদর দিব। লাইট লিভিয়ে আয়।

Violent love part 48

রোদ আর দাড়িয়ে রাদিফের কথা সহ্য করতে পারল না। ও বুঝাতে চাইলো কি? আর রাদিফ বুঝল কি? রোদ লজ্জা প্লাস ভয়ে দু’হাতে চোখ মুখ ঢেকে রাখতে রাদিফ নিজেই বাতিটা নিভিয়ে রোদকে নিজের সাথে একটু একটু করে মিশিয়ে নিল। ভালোবাসা সুখ সুখ জিনিসে দুজন নিতান্তই হারিয়ে গেল। তাদের বৈধ ভালবাসার অন্তরালে।

Violent love last part

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here