৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫+১৬

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫+১৬
সারা চৌধুরী

নবদীগন্তের সুচনা হয়েছে ধরনীতে..তবে আজকের সুচনা বেশ অন্যরকম..শীতের শুরু..তারিদিকে কুয়াশা আচ্ছন্ন..কাচের জানালা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে শিশিরের বিন্দু বিন্দু পানি..ভেসে আসছে বাড়ির সকলের কথা বলার আওয়াজ..সারা আড়ামোড়া খেয়ে চোখ মেলে তাকালো..বালিশ এর নিচে হাতরে নিজের এন্ড্রাইয়েড মোবাইল টা নিলো..ফোনের স্ক্রীন চালু করতে ভেসে উঠলো তার আর শুভ্রর একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকার এক সুন্দর দৃশ্য..এটা তো সারাকে স্কুলে ভর্তি করানোর দিন ফাতিহা লুকিয়ে তুলেছিলো..সারা মুচকি হাসলো..তার ছোট্ট মনে শুভ্র নামের মানুষের ভরপুর রাজত্ব চলে..সময় বহমান..ঠিক নদীর উতলা স্রোতের মতো..নদীর স্রোত যেমন আমরা আটকে রাখতে পারি না ঠিক তেমনই সময় ও কোনো ভাবে আটকে রাখা যায় না আর সুখের সময় হলে তো আরো তাড়াতাড়ি বয়ে যায়..!

সারা তালুকদার বাড়িতে এসে তিনমাস হয়ে গেলো..এই তিনমাস সারার জিবনে এক সুন্দর অধ্যায় হয়ে সারাজীবন থাকবে..যেখানে ফারুক তালুকদার আর মিসেস আনিতার মতো বাবাই আর মা পেয়েছে আনিস তালুকদার আর সুমনার আব্বু আম্মু পেয়েছে মনিরার মতো ফুফু পেয়েছে অন্তু শ্রাবন এর মতো দুটো ভাই পেয়েছে..আর সব শেষে ফাতিহা আর আনিশার মতো দুটো বেস্ট ফ্রেন্ড এর মতো বোন পেয়েছে.. এ বাড়ির সকলে সারার সাথে ভালো ভাবে কথা বল্লেও শান্তা সারা কে দু-চোখে সহ্য করতে পারে না..আর সারা তো শুভ্রকে আর অরুকে নিজের কাছেই পাই না তবুও সারা অনেক খুশি..,!
সারা তার কোমর সমান চুল গুলো হাত খোপা করে ফ্রেশ হয়ে দরজা খুলে শিড়ি দিয়ে নামতে থাকলো..চোখে ঘূম ভরপুর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল নয়টা..আজ শুক্রবার হওয়াই সবাই বাড়িতে…সারাকে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে সোফাই বসে থাকা ফারুক তালুকদার বলে উঠলো…

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“গুড মর্নিং মামনি ঘুম ভেঙেছে..!
-“জি বাবাই..!
সারা ফারুক তালুকদার এর দিকে তাকিয়ে সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলে। ঠিক তখনই শান্তা সিড়ি দিয়ে নামতে যায় আর সারার গাউন এ চেপে ধরে পা দিয়ে ফলে সারা এক পা এগোতেই উবুড় হয়ে পড়ে যায় নিচে..ঘটনার আকর্ষিকতায় সারা কিছু বুজে উঠতে পারে না..শ্রাবন এসে সারাকে ধরে তুলে দাড় করায়..সারার বেশি লাগে দুই সিড়ির পর থেকে পড়লে কারোর ই লাগে না..শান্তা এক্টা ডেভিল হাসি দেই মনে মনে তারপর বলে উঠে একি সারা দেখে হাটতে পারো আমি পড়ে যেতাম তোমার জন্য…শান্তার কথা শুনে শ্রাবন একটা ধমক দেই শান্তাকে..তারপর সারাকে নিয়ে টেবিল এ চলে যায়..!

সারা শ্রাবন কে নিজের বড় ভাই মনে করে..কখন কি লাগবে না লাগবে..কখন কি প্রয়োজন বাড়ির কেও না বুজলেও শ্রাবন বুজে যায়..সারা মনে মনে ভাবে প্রথমে শ্রাবন ভাইকে রাগী মনে হলেও মন টা অনেক ভালো..শ্রাবন ও সারাকে সব সময় প্রটেক করে.. শুভ্র সারার থেকে দূরত্ব বজায় রাখে.. কারন সেও বুঝতে পেরেছে সারার বয়স তার তুলনায় অনেক কম..আর শুভ্র কারোর কথা অমান্য করে না বলে সারার থেকে দুরুত্ব বজায় রেখে চলে..!
সকালের ব্রেকফাস্ট শেষ এ সবাই চা খেতে বসেছে যদিও সারা খাই না তবুও সোফাই সবার সাথে বসেছে শুভ্র তার সামনা সামনি সোফাই অরুকে কোলে নিয়ে বসে আছে..সারা বর্তমানে দশম শ্রেনিতে পড়ছে ফারুক তালুকদার স্কুলে কথা বলে তাকে নাইন এর পরিক্ষা দেওয়ানো হয়েছিলো আর এখন পাশ করে দশম শ্রেনিতে..মিসেস সুমনা চা দিয়ে যাওয়ার পর সবাই চা খাচ্ছিলো ঠিক তখনই..

অন্তু বলে উঠে বড় ভাইয়া শুনো..সবাই অন্তুর দিকে তাকালে অন্তু শ্রাবন এর দিকে তাকিয়ে বলে..বড়ো ভাইয়া কালকে সন্ধ্যায় পড়ার সময় ফাতিহা আপি তোমার লাঠি লুকিয়ে রাখছে যাতে তুমি ভয় দেখাতে না পারো..এদিকে সবাই ফাতিহার দিকে তাকালে ফারিয়া চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে বসে আছে..শ্রাবন গম্ভীর কন্ঠে ফাতিহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে..
-“ফাতু এগুলা কি সত্যি..অন্তু কি ঠিক বলছে..!

ফারুক তালুকদার আর আনিস তালুকদার উঠে যে যার রুমে চলে গেলো কারন তারা যানে প্রতিদিন এই কয়টার কোনো না কোনো বিচার বসবেই তাই মাথা না ঘামিয়ে ঘরে চলে গেলো তারা।এদিকে ফাতিহা কটমট করে অন্তুর দিকে তাকিয়ে আছে..শ্রাবন ধমকে উঠে বললো..যা বই নিয়ে বস আমি এসে পড়া ধরবো না হলে ওই লাঠি আজ তোর পিঠে ভাংবো..ফাতিহা ভয়ে ভয়ে উঠে দাড়ালো দাঁড়িয়ে বললো ভাইয়া পরে বসি একটু..শ্রাবন আবার ধমক দিয়ে বলে তুরা চার টাই যা..অন্তু এবার বললো আমি তো তোমার উপকার করলাম আমি কেন পড়বো..শ্রাবন ভ্রু কুচকে রাগী চোখ নিয়ে তাকাতেই অন্তু ঢোক গিললো তারপর বললো আনিশা আপি কাল তোমার সেই লাঠি বাইরে ফেলে দিয়েছে..আনিশা এতক্ষন সুন্দর করে বসে টিভি দেখছিলো অন্তুর কথা শুনে তার ভিষম লেগে গেলো..শ্রাবন আনিশাকে একটা ধমক দিতেই সারা মিনমিনিয়ে বলে উঠে…

-“ভাইয়া তুমি আপুকে বকিও না আপু এখোনো কার্টুন দেখে ভাত খাই..!
সারার কথা শুনে সবাই হেসে ফেলে এদিকে আনিশার ফাটছে..জানে আজ শ্রাবন ভাই চার টা এক টারো ছাড়বে না..প্রতিদিন অফিস থেকে বাড়ি এসে সন্ধ্যায় সবাই বই নিয়ে বসানো শ্রাবণ এর কাজ..কারন তাকে ছাড়া কাওকে ভয় পাই না চার জনের একটাও..শ্রাবন সারার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে কি কি করছিলে সব বলো নইতো একটা মাইর ও বাইরে পড়বে না তোমাদের সব কইটারে পিটাবো সকাল সকাল..সারার এখন মাটি ফেড়ে পাতাল এ চলে যেতে ইচ্ছা করছে সামনে শুভ্র বসে অরুকে কোলে নিয়ে মোবাইল দেখছে..সারার ভাবনার মাঝেই শ্রাবন আর এক ধমক দেই কি হলো বলো…সারা এবার শ্রাবন এর রাগী দৃষ্টি দেখে সব বলতে থাকে যদিও ফাতিহা আর আনিশা না বলতে ইশারা করছিলো তাও সারা ভয়ে বলে দেই….

-“আসলে ভাইয়া আমরা কাল পড়ার সময় আমাদের কারোর পড়া মুখস্ত হচ্ছিলো না তাই ফাতিহা আপু লাঠি লুকিয়ে রাখে আর আনিশা আপু তো সেইটা ফালাই দেই জানালা দিয়ে..কিন্তু আপনি তো আর কাল পড়া ধরেন নাই তাই আর লাঠি খুজেন নাই..!
সারার কথা শেষ হতেই শ্রাবন আনিশা আর ফাতিহার দিকে রেগে তাকাই..আনিশা সারার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে উঠে…

-“বান্ধুবী তোর ব্যাবহারটা আর ভুলবো না।।
-“বান্ধুবী তোর ব্যাবহারটা আর ভুলবো না..!
-“জানতাম না তুই আমাদের ফাসাই দিয়ে হবি
দেওয়ানা..!
-“হাই বান্ধুবি তোর ব্যাবহার টা আজও ভুলি নি..!
-“বান্ধুবী তোর ব্যাবহার টা আজও ভুলি নি..!
-“জানতাম না তোর আর অন্তুর মনে এতো সয়তানি..!

শুভ্র এ কয়দিন খেয়াল করছে সারা সব সময় মন মরা হয়ে থাকে আগের মতো হাসি খুশি মেয়েটা এই কদিনে হটাৎ চুপ-চাপ হয়ে গেছে..যা সবার চোখে পড়ছে.. কেও এর কারন জিজ্ঞাসা করলেও সারার একটাই উত্তর কিছুই হয় নি এমনিতেই এমন মনে হচ্ছে..শুভ্র দুদিনের জন্য ঢাকা গেছিলো এসে এসে দেখে সারা আরো বেশি মন মরা হয়ে গেছে.. এদিকে শুভ্র এক তিল পরিমান স্বস্তি পাচ্ছে না..নিজের প্রতি নিজেই বিরক্ত কিছুই বুঝতে পারছে না..শুভ্র অনেক বার সারার কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেছে এতে সারা প্রচন্ড রেগে গেছে শুভ্র উপর এই টা খুব চিন্তিত শুভ্র..!
শুভ্র নিজের রুমে রকিং চেয়ারে বসে দুলছে..দুই আঙুল ভাজ করে কপালে দেওয়া..রাত গভীর এগারোটা বেজে গেছে..শুভ্রর চোখে ঘুম ধরা দিচ্ছে না..শুভ্র সারার চিন্তায় মশগুল..যে মেয়েটা শুভ্রর অনুপস্থিতে উতলা হয়ে যেতো সে এখন শুভ্র কে সহ্য করতেই পারছে না।

শুভ্র বিষয় টা নিয়ে খুব চিন্তিত..সে জানে সারা এখোনো ঘুমাই নি কাল রাতেও যখন নিচে গিয়ে রুমে উকি দিয়েছিলো দেখছিলো মোবাইল চালাচ্ছে..সারা নিজের ইচ্ছাই নিচে রুম নিছে একা থাকবে বলে..শুভ্র এতেও বেশ অবাক..না শুভ্র আর ভাবতে পারছে না মানষিক অশান্তি তে থাকা যায় না..শুভ্র মাথায় বুদ্ধি আসলো..সে এখনি যাবে সারার রুমে সব কিছু খোলাশা করবে।। নইতো শুভ্র শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না..শুভ্র জানেনা কেন সারার জন্য চিন্তা হচ্ছে তার..সে তো এখোনো বলছে আগেও বলছে সে সারাকে ভালোবাসে না..ভালোবাসা হয় মনের মিল এ.. আর শুভ্র আর সারার মনের মিল হবে না..সাথে বয়সের ফাড়াক বারো বছরের..!

শুভ্র একটা হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো তারপর হাটা দিলো নিচ তলায় সারার রুমের দিকে..কিন্তু হটাৎ তার পা আপনা আপনি থেমে গেলো..তার বিবেক বাধা দিচ্ছে..এতো রাতে একটা মেয়ের রুমে যাওয়ার জন্য.. কিন্তু মন সে তো অবাধ্য.. মন বলছে শুভ্র তুই যা ও তোর বিয়ে করা বউ কোনো ভয় নেই..শুভ্র নিজের মনের কথায় শুনলো এক নিশ্বাসে সারার রুমের সামনে এসে দাড়ালো.. তারপর নিরবে কয়েকটা শ্বাস নিলো..হাতের আঙুল দিয়ে দরজায় আস্তে করে ধাক্কা দিলো..চাপানো দরজা সাথে সাথে খুলে গেলো..শুভ্র আস্তে করে ঘরে ঢুকে গেলো..সারার রুম ছোট সবুজ ড্রিম লাইটের আলো আলোকিত. একটা আলমারি.. একটা বিছানা আর পড়ার টেবিল বাদে রুমে কিছুই নেই..শুভ্র রুমে ঢুকেই বিছানার দিকে তাকালো না বিছানাই বালিস ছাড়া কিছুই নেই..শুভ্র ভাবলো ওয়াশরুম তাই অপেক্ষা করলো কিন্তু যখন দেখলো তাও নেই তখন শুভ্রর কপাল কুচকে আসলো কি মনে করে বারান্দার দিকে গিয়ে দেখলো সারা আপন মনে মেঘে ঢাকা আকাশ চারিদিকে কনকনে শীতের হিম শীতল বাতাসের মধ্যে কোনো শীতের পোশাক ছাড়ায় চকচকে রুপালী চাদের দিকে তাকিয়ে আছে..শুভ্র কিছুটা এগুতেই শুনতে পেলো সারার কন্ঠে গুনগুন…শুভ্র কপাল কুচকালো..সারার ঠিক একহাত পিছনে গিয়ে বুকে হাত বেধে দাড়ালো..সারা শুভ্রর উপস্থিতি বুজতে পারলো না..আপন মনে চাদের দিকে তাকিয়ে আছে তো আছেই..!

শুভ্র সারার ঘাড়ে এক হাত দিতেই সারার ভড়কে পিছন ঘুরে দাড়ালো শুভ্রকে দেখেই চোখের পানি হাতের তালু দিয়ে মুছে নিলো..তারপর চোখ মুখ শক্ত করে নিলো সাথে সাথে..শুভ্র অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সারার দিকে দুই দিনেই কেমন অগোছালো লাগছে সারাকে..সারার শুভ্রর দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠে..
-“ক..ক..কেন এসে…!

আর বলতে পারে না সারা তার আগেই শুভ্র নিজের এক হাত দিয়ে সারার মুখ চেপে ধরে কোলে তুলে নেই..সারা ছূটার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে..শুভ্র রুম থেকে বেরিয়ে দরজা চাপিয়ে দিয়ে শিড়ি বেয়ে উঠতে থাকে সারাকে কোলে নিয়ে..সারা শুভ্রর সাথে পারছে না..শুভ্রর কাছে সে নিতান্তই বাচ্চা..কয়েক সিড়ি উঠতেই সারা শুভ্রর যে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরছে সেই হাত কামড়ে ধরে..শুভ্র দাঁড়িয়ে যায়..লম্বা একটা দম নিয়ে ব্যাথা হজম করে নেই.. সোজা নিজের রুমে চলে যায় শুভ্র..গিয়েই দরজা লাগিয়ে সব কইটা ছিটকানি দিয়ে দেই তারপর সারা কে চেলে দেই খাটের উপর..!

রুমে পানি শেষ হয়ে যাওয়াই পানি খেতে বেরিয়েছিলো শান্তা..এভাবে শুভ্র কে সারা কে কোলে নিয়ে উপরে আসতে দেখে রাগে ফেটে যাচ্ছিলো সে..পর মুহুর্তেই একটা কুটিল বিশ্রি হাসি হেসে মৃদু স্বরে শিষ দিতে দিতে নিচে নেমে যায় সে..ডাইনিং টেবিল থেকে গ্লাস এ পানি ঢেলে ঢক ঢক করে খেয়ে নেই তার পর বিড়বিড় করে বলে…
-“বেচারি বোকা সারা..আসলেই বোকা..ইশ আমার চাল গুলো কিভাবে গিলেছে..শুভ্র ভাই শুধু শান্তার.. শান্তা তালুকদার এর.. যে কেড়ে নিতে আসবে তাকেই সরাবো রাস্তা থেকে..শুভ্র দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো দরজা বন্ধ..শান্তা আবারো হাসলো..সে জানে সারা বোকা অনেক..কিন্তু শুভ্রর অনুপস্থিতির সুজোগ এ সারাকে সে ভালোই টোপ দিয়েছে..শুভ্র চাইলেও আর সারা তার সাথে ফ্রী হবে না..বলে হেসে সিড়ি বেয়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো শান্তা..!
শুভ্র সারার দিকে তাকাতেই সারা মুখ ঘুরিয়ে নিলো শুভ্রর দিক থেকে..শুভ্র কিছুটা গম্ভির স্বরে সারা কে জিজ্ঞেস করলো..

-“কি হয়েছে..আমি করছি তোমার…?
সারা নিশ্চুপ…!
-“কি হলো জবাব দেও..শুভ্র কিছুটা চেচিয়ে বলে উঠে..!
সারা এবার শুভ্রর দিকে তাকায় চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে রিতি মতো ফুফাচ্ছে মেয়েটা।শুভ্র বেশ অবাক হলো সে ভালো করেই যানে শুভ্র সামনে সারা রাগ দেখাতে পারে না..শুভ্র সারার পাশে গিয়ে বসে সারার থুতনি ধরে উচু করলো তার মুখ তারপর চোখে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞাসা করলো কি হয়েছে আমাকে বলো..না বললে বুজবো কি করে..সারা কেদেই যাচ্ছে.. শুভ্র এবার সারার আরো কাছে গিয়ে সাফাকে দুই হাতের বন্ধনে নিয়ে নিলো সারার মিখ ঠেকেছে শুভ্র বুকে সারা সরে আসতে চাইলেও শুভ্র জোরে চেপে ধরে রইলো..শুভ্র আবার জিজ্ঞাসা করলো…

-“পিচ্চি পাখি বলো কি হয়ছে..আমারি মন খারাপ লাগছে..বলো প্লিজ..!
সারা কেদেই যাচ্ছে কিছুক্ষন পর পর কেপে উঠছে শুভ্র বুঝলো গুরুতর কিছু একটা হয়েছে..শুভ্র আবার জিজ্ঞাসা করলো…
-“পিচ্চি পাখি প্লিজ বলো.. দেখি কি হয়েছে বলো না জান..!
সারার বেশ লজ্জা লাগলো শুভ্রর মুখে জান ডাক শুনে তবুও মন টা তার বিশন খারাপ..কথা বলতে পারছে না.. বুকটা কস্টে ফেটে যাচ্ছে..!

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৩+১৪

-“শুভ্র বুজলো সারা একটু লজ্জা পেয়েছে তাই সারাকে ছেড়ে দিয়ে সারাকে নিজের কোলে বসালো..সারার ছোট্ট শরীর শুভ্রর কাছে এক আকাশ প্রশান্তি..শুভ্র সারার মুখের দিকে তাকিয়ে আবার বলে উঠলো…
-“বলোনা জান..আমার ই খুব কস্ট হচ্ছে প্রমিচ আমি সব সমস্যা সমাধান করবো বিশ্বাস করো আমারে বলো প্লিজ…!
সারা এবার আর না বলে থাকতে পারলো না কান্না করতে করতে ভাঙা গলাই বলে উঠলো…

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৭+১৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here