flesh part 11+12

flesh part 11+12
Papilion skyscraper

ফিলা হেটে চলে যাচ্ছে-
অনেক বড় একটা ক্ষোভ-রাগ নিজের আত্মা থেকে নেমে বের হয়ে গেছে।
উইলহেম এর দেহ পড়ে আছে,ফিলা তাকায়নি পর্যন্ত।
তাকাবেই কেন? ফিলার তো এমন জীবন হবার কথা ছিলো না।
ফিলা ছোট থেকেই ছিলো সৌখিন- এই গ্রামেই ফিলার বড় হয়ে ওঠা।
ছোট বেলায় একবার ফিলার মা রান্নার করার সময়-ফিলা কিচেনে গেলে ফিলার হাতে তেল ছিঁটে লেগে ফোসকা পড়ে কালো হয়ে গেলে,ফিলা কাঁদতে কাঁদতে শেষ।

পরে ফিলার বাবা সেই কালো দাগ সার্জারি করে সারিয়ে দিয়েছিলেন।।
শুধু তাই নয় ফিলাকে ফিলার বাবা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষ ফিলার হাতও ধরার সাহস পায়নি।
এমন নয় ফিলার পুরুষ বিপরীত -মানসিকতা ছিলো।
প্রেম, পছন্দের ছেলের সাথে মেলা-মেশা মানেই চরিত্রহীন নয়,কিন্তু ফিলার ইচ্ছে ছিলো আকাশ ছোয়া ছন্দের মতো,সব কিছু সাজানো,ফিলার হাত ছুঁতে হলে ফিলার ছন্দে -মেলানো সুর যার আছে এমন কাউকেই লাগবে।
ফিলা সব সময় পুরো দেহো পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতো।
তেঁইশ বছর বয়স পর্যন্ত ফিলার সুন্দর রুপ কোনো ছেলে দেখেইনি বলা যায়।
ফিলার নখের রঙ ছিলো আকাশী মেঘলা সাদা রঙের মতো।
ফিলার চোখের মণিও আকাশী নীল রঙের মতো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ফিলার অদ্ভুত এক গুণ ছিলো-সে রাতেও ভয়ংকর সুন্দর প্যাঁচা পাখির মতো- দেখতে পেতো।
ফিলা অন্যের শরীরের ঘামের গন্ধ সহ্য করতে পারতো না। মাছে উদ্ভট গন্ধ থাকায় ফিলা মাছ খেতো না,বেশির সময় দুধ আর ফল খেত, ফিলা মনে করতো খাবারের জন্যে শরীরে আলাদা ঘ্রাণ তৈরি হয়।।
অবশ্য ফিলার গাঁয়ের ঘ্রাণ ছিলো অসম্ভব সুন্দর।
ফিলা হাটলে যেন মনে হতো চোখের সামনে বসন্তের সব ফুল একসাথে ফুঁটে উঠেছে।
ফিলা নিজের কতো যত্ন করতো,তা বর্ণনা করতে গেলে,মায়া লেগে যাবে। ফিলা প্রায় রাতে, টাওয়েল তেলে ভিজিয়ে চুল গুলো টাওয়েলে মুড়িয়ে রেখে ঘুমাতো।
একবার তো ঠান্ডা লেগে জ্বরও হয়েছিলো,ফিলা অনেক বকাও খেতো এমন উদ্ভট কাজের জন্যে।
ফিলা পোশাক পড়তো সিল্ক কাপড়ের যাতে স্কিনের কোনো রুক্ষতা না আসে।।
ফিলার শরীর এত মোলায়েম ছিলো,।

সেদ্ধ করা গরম ডিমের সাদা অংশ যেমন নরম,তেমন নরম।
যেন কারোর হাতের নখ ফিলার শরীরে লাগলেই,শরীর কেটে যাবে।
ফিলার শরীরের এই নরম, কোমলতা আর কিভাবে বোঝানো যায়,হয়তো ভাষা নেই।
পুরো শরীরে একটা পশমের গুটি পর্যন্ত নেই।
ফিলার শরীরে সূর্যের আলো পড়লে যেন,আলো প্রতিফলিত হবে,যেমন প্রতিফলিত হয় সাদা চিক-চিক করা বালুতে।
ফিলার ওপরের ঠোট-আর নিচের ঠোঁট দুটোই একই রঙের ছিলো,স্বচ্ছ লাল রঙের।
ফিলা অনেক বেশিই পছন্দ করতো নিজের শরীরে যত্ন নিতে।
অথচ হঠাৎ এক ঘটনায় সব বদলে গেছে।
পুরো সুন্দর হারিয়ে গেছে।

এ কষ্ট ঠিক কতোটা হতে পারে,সেটা দেখানো যাবে না। ফিলার জমিয়ে রাখা সুন্দরের এই রাজ্য একনিমিষেই শেষ।
ফিলা সাইকো হয়ে গেছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করার কেউ নেই।
এত সব যত্নের দাম এত নিষ্ঠুর পরিণতি কেন হলো,এর জবাব কেউ দিতে আসেনি।
তাই ফিলা নিজেই জবাব খুঁজতে বের হয়েছে।
ফিলা সুইজারল্যান্ড এর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলোজিতে পড়াশোনা শেষ করে নিজের গ্রামে এসেছে কিছুদিন থাকার জন্যে।।
কয়েকদিন পরেই ফিলা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোতে জয়েন করবে।
কিন্তু কে জানতো, ফিলার নিজের সাথে ঘটনাটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম কেইস হবে।
সুইজারল্যান্ড এর গ্রাম গুলো অন্যরকম ভাবে সাজানো,বেশ দূরে দূরে ছোট ছোট কাঠের স্বচ্ছ সুন্দর বাড়ি। বিশাল বড় বন ভূমি।

সেদিন দুপুর বেলা ফিলা বাসা থেকে বের হয়ে -সবুজ ভূমির মাঠে হাটছিলো।।
হঠাৎ কয়েকজন এসে পেছন থেকে ফিলাকে ঝাপটে ধরে,তারপর ফিলা আর কিছুই বলতে পারেনি,হঠাৎ যন্ত্রণায় সজাগ হয়ে দেখে ফিলার মাতৃ অঙ্গ কাটা।
ফিলা সম্পূর্ণ সাইকো হয়ে গিয়েছে।।যে দেহে একটা মাছি পড়তে দিতো না,সেই সাজানো দেহ আজকে মৃত দেহের মতো।
ফিলা প্রায় এখানে আসে,কি যেন,ভাবে।।
ফিলার চাহিদা বদলে গিয়েছে,অনেক কান্না কাটি হয়েছে, এবার ফিলারই যা করার করতে হবে।
হয়তো ফিলার মতো আরো অনেকের সাথেই এমন হচ্ছে-”
ফিলা ভালো ভাবে আন্দাজ করতে পেরেছিলো,যেহেতু ফিলাকে রেই*পড করা হয়নি,তারমানে বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যে নিয়েই এই কাজটি করা হয়েছে।।

ফিলা ভাবছিলো,ঠিক কি হতে পারে।
কে আছে,এই কাজের পেছনে।।
ভাবতে ভাবতে ফিলা সেই জায়গাতে আসলো,যেখানে ঘটনা ঘটেছে।
চারদিকে তাকালো,হঠাৎ ফিলার মনে হলো এটা গ্রামের সবচেয়ে গহীন জায়গা,এখানে পরিচিত লোক ছাড়া কেউ আসতে পারে না।।
অসম্ভব কেউ আসতেই পারে না।।
ফিলার এই রহস্যের প্রথম সুত্র বের করে ফেললো-তার মানে সেদিন যারা ফিলার সাথে এটা করেছে তাদের কেউ এই গ্রামেরই হবে।
তখন থেকেই ফিলা এই গ্রামেই স্থায়ী ভাবে থাকছে,প্রতিদিন গ্রামের এ কোণা থেকে ওই কোণা ঘুরে বেড়ায়।
যে লোক এই কাজের সাথে জড়িত, সে ফিলাকে দেখলে একটু হলেও অস্বাভাবিক আচারণ করবে।।ফিলা সারাদিন খুঁজতো।

একদিন দুপুরে সেই জায়গায় ফিলা বসে আছে,বসে বসে কাঁচা চিংড়ি মাছ খাচ্ছিলো,এভাবেই দুপুরে যেখানে যা পায় তা দিয়ে খাওয়া সেড়ে নেয়।।
ফিলা এখানে বসে থাকে, সচারাচর এউ জায়গায় কেউ আসে না।।
তাই যখনি কেউ আসে, তাদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকায়,তাদের দিকে ধীরে হেটে হেটে সামনে এগোয়।
ফিলা তাদের চোখে লক্ষ রাখে,
কারণ ফিলা জানে,সেদিন যেই লোক গুলো ফিলার সাথে এমন করেছে, তারা অবশ্যই ফিলাকে দেখলে চমকে যাবে,তাদের চোখের ভয় থাকবে,ফিলা শুধু এমন চোখ গুলোই খুঁজছে।।
অনেকবার ব্যর্থ হয়েছে ফিলা,কিন্তু আর কোনো উপায়ও নেই।
কিন্তু একদিন তো পেয়েই গেলো-
কিছু লোক এদিকেই আসছে, ফিলা উঠে দাঁড়ালো, তাদের সামনে গেলো, সেই একই অভিনয়-
লোকদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্যে।
ফিলা লোক গুলোর সামনে এগিয়ে গেলো-
সামনে যেতেই ফিলা অন্যলোকদের থেকে আলাদা ভাব-সাব সহ চেহারায় একটা আতঙ্ক লক্ষ করলো,ফিলার সন্দেহ বাড়তে থাকলো-

– “সেদিন তোরাই আমার সাথে সেই অমানবিক কাজ টা করেছিলি,আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোরা নিশ্চিত আসবি এখানে।।”
ফিলার কথা শুনে লোক গুলো হাসতে লাগলো-
“মিথ্যে বলার জায়গা পাস না? আমরা সেদিন মুখোস পড়া ছিলাম,তুই চিনবি কিভাবে?
কিন্তু তুই বেচে আছিস কিভাবে?”
এই বলেই লোকগুলো ফিলার কাছে আসতে লাগলো-
অবশেষে ফিলার তীক্ষ্ণ বুদ্ধির খোঁচা ঠিক জায়গায় লেগেছে।
ফিলা রিভলবার বের করেই,একজনের পায়ে গুলি করলো,আরেকজন দৌড় দিতেই তার অণ্ড*কোষে লা*থি মারলো ফিলা।

লোকটা ব্যা*থায় কাতরাতে কাতরাতে
শুয়ে পড়লো।।
এরপর দুজনকে তুলে নিলো।
প্রায় ৩ ঘন্টা পর……
ফিলা সামনে আসলো,ওরা দুজন চেয়ারে বাধা।
ওরা দুজন অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলো,গায়ে কিছু ছিলো না,তবে ছোট একটা জাঙ্গিয়া বা হাফ প্যান্ট ছিলো।
ফিলার এইসবের আর মোহ নেই,
ফিলার কোনো পছন্দ নেই,অপছন্দ নেই,ফিলার নাকে কোনো সুগন্ধ নেই,দুর্গন্ধ নেই।
শুধু একটাই চিন্তা-অনেক মেয়েকে বাচানোর দায়িত্ব এখন ফিলার ওপর।
এই যন্ত্রণা আর কোনো মেয়ে সহ্য না করুক।
অন্ধকার রুমে দুয়াত বা ল্যাম্প জ্বালানো হলো-

মৃদু আগুনের আলোর একপাশে ফিলা-অন্যপাশে ওরা দুজন।।
ফিলার হাতে ব্লে*ড- ঠাস করে,ওদের একজনের রানের মাংসের ওপর ব্লে*ড দিয়ে পোজ দিলো-
রানের মাংস হা করে আছে-ফিলা হা করে যাওয়া মাংসের মধ্যে নিজের বাম হাতের মধ্য আঙুল ঢুকিয়ে দিলো,আঙুলে লাল রঙের গুড়ো মরিচ ছিলো।
লোকটার মুখে কাপড় গুজে দেয়া।
এরপর সেই ব্লে*ড টা আগুনের ওপর ধরলো,ব্লেড অতিরিক্ত তাপে গলতে শুরু করলো, ব্লেডের সিসা গলে গলে ফোটা গুলো হা করা মাংসের ভেতরে টুপ টুপ করে পড়ছে, সিসা গুলো রানের হাড়ের মধ্যে গিয়ে লাগছিলো। মাংস জ্বলসে যাচ্ছে।।

তারপর খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ফিলা নিজেই ব্লেডের সিসা গুলো মাংস থেকে তুলে পরিষ্কার করে,আবার সেলাই দিয়ে দিলো।
ফিলা এবার পাশে বসে থাকা অন্যজনের কাছে গেলো-
লোকটাকে চেয়ার থেকে ফেলে দিলো,সব জামা কাপড় খুলে নিলো।।
ফিলার চোখে সেদিন দুপুরের দৃশ্য ভাসছে-
রাগে চোখ আর মন আরো বেশি উত্তপ্ত হয়ে আছে ফিলার।
এরপর বৃদ্ধা আঙুলের মতো মোটা একটা রড
আগুনে তাপ দিচ্ছিলো, গরম রডের ভাপে মনে হচ্ছিলো পুরো রুম যেন গরম হয়ে গেছে।
লোকটার হাত-পা বাধা,পোশাক খুলে লোকটাকে উলটো করে ঝুলানো হলো,
হাত -পা গুটিয়ে বেধে শুধু নিতম্ব পজিশন করে রেখে,ফিলা উত্তপ্ত লোহা হাতে নিয়ে প্রথমে লোকটার চোখের সামনে ধরে,এরপর রডের মাথা লোকটার পায়ু পথে ঢুকিয়ে দিলো।।

চিৎকারে চারপাশ কেঁপে উঠলেও এই শব্দ গলার বাহিরে আসেনি,মুখে কাপড় ঢুকানো ছিলো।
ফিলার সাথে সেদিন যা হয়েছিলো,তার তুলনায় এই যন্ত্রণা কিছুই না।।
এভাবে প্রায় প্রতিদিন অত্যাচার চলছিলো।
ফিলা কখনোই ওদের কিছু জিজ্ঞেস করতো না।
এরপর একদিন – ফিলা জিজ্ঞেস করলো, “কার কথায় এমনটা করেছিলি? ”
ওরা দুজন দ্বিতীয়বার না ভেবে বলে দিলো,ওরা জানে না,তারা কে ছিলো,মুখোস পড়া এক লোক আমাদের দুজনকে দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে বলেছে কাজটা করে দিতে।।

এত টাকার লোভ সামলাতে পারেনি,আমরা জানি না,কে টাকা গুলো দিয়েছে।
ফিলা কোনো রহস্যই কিনারা করতে পারছিলো না,হঠাৎ ফিলার টনক নড়লো, টাকার কথা মনে পড়তে।
ফিলা লোক গুলোর কাছে গিয়ে-টাকা গুলো কোথায় রেখেছে জানতে চাইলে ওরা বলে দিলো।
তারপর ফিলা টাকা গুলো সোজা এখানে নিয়ে আসলো, ফিলা টাকা গুলো হাতাচ্ছিলো,এই টাকা ফিলার পুরো জীবিনের সাজানো অনুভূতির দাম।
অদ্ভুত হাসি পাচ্ছিলো ফিলার।
ফিলা টাকা গুলো হাতে নিয়ে ওড়াতে ওড়াতে হঠাৎ খেয়াল হলো টাকা গুলো নতুন।
ফিলা টাকার নাম্বার চেক করলো,অদ্ভুত ভাবে সব কিছু জেনে মিলে যাচ্ছে।
দুজনকে দেয়া টাকার সব সিরিয়াল নাম্বার ধারাবাহিক-
মানে –

Ad09660,ad09661,ad09662,ad09663,….
ফিলা নিশ্চিত ছিলো,এত গুলো টাকা একসাথে মানে এই টাকা কোনো ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে।।
ফিলা ইনভেস্টিগেটর হওয়ায় টাকা গুলো কোন ব্যাংক থেকে ক্যাশ করা হয়েছে,সেটা জানার জন্যে সেন্ট্রাল ব্যাংকে গেলো,
সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে ইনফরমেশন নিয়ে জানতে পারলো,সুইজারল্যান্ড এর একটি অন্যতম প্রাইভেট ব্যাংক।
সেখানে গেলো- ব্যাংকের ম্যানেজারকে টাকার নোট দেখাতে প্রথমে তিনি তথ্য দিতে না চাইলেও পরে দিলেন,শহরের একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এই কোডের টাকা তুলে নিয়েছে।
ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে ফিলা সোজা চলে গেলো-
সেই লোকের বাসায়।
নিজের বসার রুমে লোকটি বসে আছে-

ফিলা ভেতরে ঢুকলেন-
ফিলাকে দেখেই লোকটি চমকে উঠলেন।
লোকটির পাশে আরো একজন বসে ছিলো-
২য় লোকটি বসা থেকে উঠে এসে –
ফিলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো-
“হ্যালো,মিস ফিলা,আমি ওয়াটসন “-

২য় লোকটি বসা থেকে উঠে এসে –
ফিলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো-
“হ্যালো,মিস ফিলা,আমি ওয়াটসন। ”
“নাইস টু মিট ইউ, মি. ওয়াটসন,আপনার আলোচনা শেষ হলে আমি কি ওনার সাথে কথা বলতে পারি?”
-“হ্যাঁ,অবশ্যই” -এই বলেই ওয়াটসন চলে যাচ্ছে…….।
ফিলা সোফা টেনে এনে লোকটির সামনে বসলো,

ফিলার পড়োনে সিল্ক সুতোর পিচ্ছিল ফেব্রিক্স এর কালো ঢিলা জগার্স ,
আর গায়ে কালো টিশার্ট।
ক্রাইম অফিসার দের এমন পোশাক পড়ার অনুমুতি শুধু ফিলাই পেয়েছে।
নায়িকা হাওয়ার জায়গায় ক্রাইম ব্যুরো অফিসার।এই হিসাবই তো অনেক ক্রিমিনাল মেলাতে পারে না।
ফিলাকে দেখে ঠাস করে ফিদা হয়ে গলে পড়ে যায় কতো ক্রিমিনাল। ফিলার কঠোরতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন আসবে না এটাও সবাই জানে।
এবার ফিলা লোকটাকে বলতে লাগলো- “বলুন,ব্যাংক থেকে দুই মিলিয়ন ডলার ক্যাশ করে কাকে দিয়েছেন? ”
– “আমি বৈধ ভাবেই ক্যাশ করেছি,তাছাড়া আমার বৈধ ব্যবসায় আছে,সব কিছু ঠিক আছে,এইযে দেখুন ডকুমেন্টস।।”

ফিলা চেক করে দেখে, “হ্যাঁ তাই তো,সবই তো ঠিক আছে”- ফিলা অনেক অবাক হয়েছে যায়।
ফিলা বাম হাতের মাঝ তিন আঙ্গুলের প্রতি আঙ্গুলের তালুর পৃষ্ঠে একটা করে কাঁথা সেলানো সুঁই একধরনের স্কিন আঠা দিয়ে আটকে রাখে।
ফিলা লোকটার মুখ চেপে ধরলো, চেপে ধরায় লোকটার ঠোঁট মাছের ঠোঁটের মতো হয়ে গেলে
লোকটার ওপরের ঠোঁট আঙুল দিয়ে টেনে ধরে –
ঠোঁটের মাঝ খানে নাকের নিচে সুঁই ঢুকিয়ে দিলো –
সুঁই সামনের দাঁতের ওপরিভাগ দিয়ে ঢুকে সোজা গলার তালুতে গিয়ে লাগে।
আরো একটা সুঁই কানের পেছনে গাল আর ঘাড়ের জয়েনের অংশ দিয়ে ঢুকিয়ে জোড়ে চাপ দিয়ে ধরে ফিলা লোকটাকে বলছে- ” ভান ধরছিস কেন?
তোর কি মনে হয়, ডলার গুলো তুই ব্যাংক থেকে তুলেছিস বলে,আমি এখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে এসেছি?”
“টাকা গুলো যাদের কে দিয়েছিলি আমার মাতৃঅংশ কা*টার জন্যে,ওরা আমার কাছে জিম্মি,এবার সত্যিটা বল।”
লোকটার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো, কোনো রকম ভাবে বললো, আমি জানি না,কে আমাকে টাকা দিয়েছে,আমি শুধু কাজ করেছি।”

ফিলা লোকটাকে বেধে ফেললো-
লোকটার থুতনি বেয়ে বেয়ে রক্ত পড়ছিলো,গালে ছোট ছোট দাড়ি ছিলো।
ফিলা লাইটারের আগুন লোকটার থুতনি নিচে ধরলো, দাড়ি গুলো পুড়ে গিয়ে চামড়া জ্বলসে যাচ্ছে।
লোকটা চিৎকার করছে,চিৎকারে মুখ থেকে আরো রক্ত বের হচ্ছে।।
“ফিলা আবার বললো,আমাকে বিস্তারিত বল,
লোকটা বলতে শুরু করলো, ” আমি ডলার সরাসরি পাইনি,কিছুদিন আগে একজন আমার কোম্পানির শেয়ার কিনতে আসে,
সে আমাকে তিন মিলিয়ন ডলার অফার করে,লোকটি শেয়ার কেনার পর আমাকে শেয়ার মালিকানা হস্তান্তর করে দিবে,আর বিনিময়ে দুজন লোককে দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে দিতে হবে,মাঝ থেকে আমার ১ মিলিয়ন ডলার লাভ হবে। ”

আমি কোনো কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যাই।
আমি ডলার ব্যাংক থেকে ক্যাশ করে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসি, এরপর আর কিছুই জানি না।”
ফিলা সব শুনে বললো, “তাহলে যে তোর শেয়ার কিনেছে,তার ঠিকানা দে”
লোকটি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলো- “তাকে কিছুদিন আগে মে*রে ফেলা হয়েছে।।”
ফিলার চোখে নিরাশার ছাপ,এত কিছুর পর আবার যেন সব ঘোলা হয়ে গেলো।
যে লোকটি শেয়ার কিনেছিলো,তার ঠিকানা সহ সব কাগজ সঙ্গে নিয়ে ফিলা বের হয়ে যেতে লাগলো।
বাসা থেকে বের হতেই –

-“ওহ! মি. ওয়াটসন আপনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন?”
– “আসলে মিস ফিলা,আমি নিজেও ইনভেস্টিগেটের জন্যেই এসেছে,আপনি এসে আমাকে এমন তাড়া দিলেন,আমি ইনভেস্টিগেট রেখেই চলে এলাম,লোকটির সাথে আলোচনা শেষ হলেই চলে যাবো।
“কিন্তু মিস ফিলা,আপনি তো লোকটার সাথে কথা বলার অবস্থা রাখেন নি”
“মিস ফিলা একটি প্রশ্ন- আপনি তিন মিলিয়ন ডলারের জন্যে এত টর্চার করলেন,কিন্তু আমি তো এখানে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলা নিয়ে এসেছি।”
উনি কয়েকটি ব্যাংক থেকে মোট ৫০ মিলিয়ন ডলার উত্তোলন করেছেন গত ১ বছরে”।
ফিলা সব শুনে অবাক হয়ে গেলো, ওয়াটসনকে কিছুই বললো না,এই প্রথম ওয়াটসনের সাথে ফিলার দেখা। তারপর ফিলা চলে এলো।

ফিলা শেয়ার কেনা লোকটির ঠিকানায় গেলো,হ্যাঁ,সত্যিই লোকটি খুন হয়েছে।
ফিলা ভাবছিলো,ঠিক কি ভাবে সামনে আগাবে এই কেইসে।
ফিলার মতো একটা সাধারণ মেয়ের মাতৃ অংশের জন্যে এত ডলার কে খরচ করতে পারে,তাছাড়া এত বুদ্ধিমত্তার সাথেই কেন সে কাজ গুলো করেছে।
কোনো প্রমাণ নেই, আচ্ছা! তার মানে তিনি কি জানতেন,আমি সাইকোলজিস্ট,আর ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর হিসেবে জয়েন করেছি।।

হয়তো তাই এত জটিল ভাবে আমার কাছ পর্যন্ত পৌছেছে।
তারমানে আমাকে তাদের মে*রে ফেলারও কোনো উদ্দ্যেশ্য ছিলো না!…
তাহলে ঠিক কেন,আমার সাথে এটা করা হয়েছিলো,কোনো উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
আমি হাটতে হাটতে লোকটির রুম চেক করছিলাম,।
রুমের মধ্যে বেশ কিছু পুতুল রাখা,পুতুল গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর,একদম মানুষের মতো।
ফিলা কিছু মুহূর্তের জন্যে ভুলেই গিয়েছিলো,সে এখানে তদন্তের জন্যে এসেছে।
ফিলার চোখ হঠাৎ একটা মেয়ে পুতুলে আটকে গিয়েছে, ফিলা চমকে যাচ্ছে,কেমন যেন মাথা ভন-ভন করছে,এটা কিভাবে সম্ভব-

পুতুলের হাতে একটা ব্রেসলেট,এটির ওপরে প্লাটিনাম মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো ছোটো একটা পুতুল।
ফিলা ঘামছে, ফিলার নিজের হাতের দিকে তাকালো, ফিলার নিজের হাতেও একটা ব্রেসলেট,ঠিক পুতুলের হাতের ব্রেসলেট এর মতো দেখতে।
“এটা কি করে সম্ভব,এই ব্রেসলেট তো আমার আইডল সাইকোলজিস্ট উইলহেম স্যারের দেয়া উপহার।”
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মাননা নেয়ার সময় সেরা শিক্ষার্থী হওয়ায়-
সাইকোলজিস্ট উইলহেম এর সাথে হাত মিলিয়েছিলো,সেটাই ছিলো ফিলার প্রথম কারোর হাত ধরা।
উইলহেম অনেকক্ষণ ফিলার হাত ধরে রেখেছিলেন,এরপর ফিলা হাত সরাতে চাইলে,উইলহেম হেসে দিয়ে পকেট থেকে একটা ব্রেসলেট বের করে ফিলার হাতে পড়িয়ে দিলেন,ব্রেসলেট পড়াতে গিয়ে উইলহেম এর নখের খোঁচায় ফিলার হাত কেটে যায় হালকা।
উইলহেম ফিলার এই কোমলতা দেখে অবাক হয়ে গিয়ে বলেছিলো, “সুন্দরকে যদি কেনা যেত,আমি তোমাকে কিনে নিতাম”

ফিলা কথা গুলো শুনে হাসতে হাসতে চলে এলো।
আর তাই ফিলা মানতেই পারছিলো না-
উইলহেম স্যারের সাথে এই নিকৃষ্ট লোকের যোগাযোগ থাকতে পারে।
ফিলা পুতুলটা স্পর্শ করতে লাগলো।
পুতুলটির সাথে সে*ক্স করা হতো,
ফিলা পুতুলের দিকে তাকাতেই ফিলার
মুহুর্তেই মন খারাপ হয়ে গেলো,পুতুলের চেয়েও ফিলার মূল্য কম।
ফিলা পুতুল হবারও যোগ্য না।
ভাবতে ভাবতে ফিলার চোখে পানি।
অজান্তেই ফিলা পুতুলের যো*নি তে হাত দিলো।
কেমন যেন অদ্ভুত লাগলো, তারপর আরো কয়েক বার হাত দিলো,মনেই হচ্ছে না এটা সিলিকন কেমিক্যাল দিয়ে বানানো।

অজানা একটা সন্দেহ ভর করছে মাথায়,ফিলা পুতুলটি নিয়ে ল্যাবে চলে এলেন।
এরপর ল্যাব টেস্ট করাতেই ফিলা অবাক হয়ে যায়, পুতুলের যো*নির মাংস কোনো মেয়ের।
ফিলার ঘাবড়ে যায়,তাহলে কি ঠিক এর জন্যেই ফিলার মাতৃ অংশ কা*টার চেষ্টা হয়েছিলো?
ভাবতেই ফিলার শরীর কেঁপে উঠলো-
না জানি, এমন কতো পুতুলেই মানুষের যৌ*নাঙ্গ ব্যবহার হয়েছে।
ফিলার চোখ থেকে পানি পড়ছে……..।
ফিলা রেডি হচ্ছে,যুক্তরাষ্ট্রে যাবে,ফিলার রহস্য হয়তো সেখানেই সমাধান হবে।

হঠাৎ ফোন কল,ক্রাইম ইন্টিলিজেন্স সংস্থার প্রধান কোনাল রায় কল রিসিভ করলেন, ওপাশ থেকে কেউ একজন বলছেন, – ” মি. কোনাল, আমাকে সত্য বলুন অফিসার সিন্দ্রো শেট্টি এখন কোথায়?”
– “স্যার, সিন্দ্রো এতক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের পথে,সে ফ্লাইটে উঠে গেছে।”
– ওপাশ থেকে লোকটি, চেঁচিয়ে দিয়ে বলে উঠলো, “মি. কোনাল, সিন্দ্রো শেট্টিকে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া থেকে আটকান,তাকে ফিরিয়ে আনুন, আপনি নিজেও জানেন, সিন্দ্রো শেট্টি ভয়ংকর রকমের সাইকো কিলার, সিন্দ্রোকে এমন অপারেশনে পাঠানো উচিৎ হয়নি আপনার, সিন্দ্রোর হাতে ভারতীয় হাজারের বেশি ক্রিমিনাল খু*ন হয়েছে। ”
সিন্দ্রো শেট্টি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে -তিনি ভারতীয় সর*কারকে ধু*মড়ে মুচ*ড়ে দিতে পারে মুহুর্তেই।।

“প্রমাণ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একশন নিলে সরকার থেকে আমাদের ওপর চাপ আসবে।”
“মি. কোনাল, আমি যুক্তরাষ্ট্র এয়ারপোর্টে যোগাযোগ করে সিন্দ্রোকে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছি” -এই বলেই ওপাশ থেকে ফোন কেটে দিলো।
সুইজারল্যান্ড থেকে অনেক দূরে, ভারত উপমহাদেশ থেকেও অনেক প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে-
ফিলার মতো ক্রাইম ইন্টিলিজেন্স সংস্থার একজন কর্মকর্তা সিন্দ্রো শেট্টি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে-
প্রায় ৬ ঘন্টা পর আবার কোনালের কাছে ফোন আসে, ” মি. কোনাল এয়ারপোর্টে সিন্দ্রোকে নামতে দেখা যায়নি। সিন্দ্রো কোথায়?”…….।

সিন্দ্রো একজন ভারতীয় প্রশাসন অফিসার।
পরিবার বলতে সিন্দ্রো আর সিন্দ্রোর বোন অনয়া ছিলো।
খুব আর্থিক সংকটেই ওরা দুজন বড় হয়েছে।
একবার ছোট বেলায় সিন্দ্রোর বোন অনয়া টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে সিন্দ্রোর কাছে বিরিয়ানি খেতে চাইলে-সিন্দ্রো স্থানীয় এক দোকান থেকে বিরিয়ানি নিয়ে আসার জন্যে তালা খুলতে না পেরে –
পুরো দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলো।
অনয়ার একবার জ্বর হয়েছিলো, জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিলো, অনয়ার এই অবস্থা সহ্য করতে না পেরে সিন্দ্রো নিজেই দু’বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলো।
এলাকার এক ছেলে-অনয়ার ওড়না ধরে টান দিয়েছিলো,সিন্দ্রো জানতে পেরে-
ওই ছেলেকে ধরে -গাছের সাথে উল্টো করে বেধে -ছেলেটার লিঙ্গের সাথে এক কেজি ওজনের একটা পাথর বেধে ঝুলিয়ে দিয়েছিলো, –

পাথরটা রশি ছিড়ে নিচে পড়লে সোজা ছেলেটার থুতনির ওপর পড়বে।
সিন্দ্রো গত ১০ বছরেও ঠিক মতো পেট ভরে খাবার খায়নি,সব সময় টাকা জমিয়ে রাখতো এটা ভেবে যে, অনয়া আগামি তিন দিন পর কি খাবে,অনয়াকে দশদিন পর কোনো জামা কিনে দিতে হলে যেন অর্থের অভাব না পড়ে।
অনয়াকে এভাবেই বড় করেছে সিন্দ্রো…..।
অথচ কেউ একজন অনয়ার যৌনা*ঙ্গ কেটে অনয়াকে জঙ্গলে ফেলে রেখেছে।
লাশ চিহ্নিতকরণে জানা যায়, এটা অনয়ার লাশ।
মর্গে অনয়ার লাশের কাছে সিন্দ্রো দাঁড়িয়ে আছে,

flesh part 9+10

সিন্দ্রো লাশের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিলো, সিন্দ্রো স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে।
কোনো প্রা**ণীর জ**বাই করা গ*লা যেভাবে ছি*ন্ন-বি*চ্ছিন্ন ভাবে হা করে থাকে,অনয়ার জরা*য়ুর কা*টা অংশ ঠিক এমনই ছিলো। জ*রায়ু দিয়ে পেটের নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে পড়ে ছিলো।
সিন্দ্রোর হাত পা কাঁপছিলো,এক পর্যায়ে সিন্দ্রোর চোখ আর নাক দিয়ে র*ক্ত বের হতে থাকে,
সিন্দ্রো তীব্র চিৎকারে কাঁদতে শুরু করে…

flesh part 13+14

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here