সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২১
neelarahman
এদিকে সায়মন রুমে ত*রপাতে লাগল ।কেন রিমা ফোন কেটে দিল ও এটা মানতে পারছে না ।রিমা মুখের উপর ওর ফোন কে*টে দিয়েছে ।কি এমন হয়েছে মেয়েটা ৩ দিন ধরে এমন কেন করছে ?এই প্রশ্নের উত্তর ওর চাই চাই ।সাথে সাথে রুম থেকে বের হল সাইমন বের হয়ে রিমার রুমের দিকে যেতে লাগল।
রিমার রুমের বাইরে এসে দেখল দরজা লাগানো কিন্তু ভিতর থেকে লক করা না তাই দরজা খুলে ফেলল আস্তে আস্তে সাইমন।
রুমে ঢুকে দেখলো রিমা মোবাইল নিয়ে খাটে বসেছিল ।সাইমনকে দেখে রিমা হতবাক হয়ে গেল ।সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বলল ,”তুমি এই রুমে কি করছো
তাও এত রাতে কেউ দেখলে কি ভাববে ?”
সায়মন অবাক হয়ে গেল ।,”কেউ দেখলে কি ভাববে মানে ?এই রুমে কত শত রাতে শুয়ে ছিল সায়মন কই তখন তো কেউ কিছু ভাবেনি ?এখন কি এমন হয়ে গেল এই রুমে আসা যাবে না ?”
সাথে সাথে রিমার সামনে এসে বলল ,”এমন করছিস কেন তুই কি হয়েছে তোর?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রিমা অন্যদিকে ঘুরে তাকিয়ে বলল ,”কিছু হয়নি ।কেন এসেছো বলো।সাইমন রাগ হবে কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না ।মুখ দিয়ে যা বের হল তাই বলল । নীলা রহমান লেখিকা।বললো ,”শার্ট ইস্ত্রি করে রাখবে কে ?কালকে আমি কি পরে প্রেজেন্টেশন দিতে যাব ?তুই যে করতে পারবি না সেটা কাউকে জানিয়ে রেখেছিস?
আর পারবি না বলছি কেন ?পারবি না কেন ?সারাদিন কি করেছিস বাসায় আমার শার্ট-প্যান্ট আয়রন করে রাখতে পারবি না?
আর কোন ব্যাপারেই তো কোনো খোঁজখবর নিচ্ছিস না ।তিনদিন ধরে গাজীপুর থেকে আসার পর কি এমন হয়ে গেল যে তুই আমার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছিস না ?তা আমার এই কাজগুলো কে করবে তুই কি লোক রেখে দিয়েছিস আমার জন্য?”
রিমা একনাগাড়ে সাইমনের বলা কথাগুলো শুনে অবাক হয়ে গেল ।তারপর অবাক হওয়ার নজরে সাইমনের দিকে তাকিয়ে বলল ,”আমি লোক রেখে দিব তোমার কাজ করার জন্য ?কেন তোমার হাত নেই তুমি করে নিতে পারো না ?আমি আগে পরে করে দিয়েছি তাই মানে কি সারা জীবন আমার করতে হবে?”
“করতে হবে না মানে? তুই আগে করেছিস কেন তাহলে ?আগে করেছিস এরপরও তোর ই করতে হবে ।যা এখন যেয়ে আমার শার্ট প্যান্ট আয়রন করবি ।আয়রন করা হবে তারপর ঘুমাবি ।আমি কি খাব না খাব সবকিছু ঠিকঠাক করবি ।কখন কোথায় যাবো সবকিছু ঠিকঠাক করবি যা আমার রুমে যা।”
রিমার কে উদ্দেশ্য করে বললো সায়মন।
রিমা রা*গে ক্ষোবে বলল ,”পারবো না আমি নিজের কাজ নিজে করে নাও ।আর এক্ষুনি আমার রুম থেকে বের হও ।”
বলেই সাথে সাথে রিমা দরজা দিকে যাবে তার আগেই সাইমন রিমার হাত ধরে বলল ,”পারবি না মানে ?তুই পারবি তোর বড়টাও পারবে ।বলেছি মানে বলেছি এখন যাবি তুই আমার রুমে যেয়ে আমার শার্ট-প্যান্ট আয়রন করবি যা।নাহলে থা*পড়ে দাঁত ফে*লে দিবো।”
এদিকে নূরের কাঁ*পাকাঁপি দেখে সাদাফের হুশ ফিরলো। বুঝলো কি ভ*য়ংকর কাণ্ড ঘটাতে যাচ্ছিল সাদাফ।এই মুহূর্তে নিজেকে নি*য়ন্ত্রণ না করলে বড্ড বড় ক্ষতি হয়ে যাবে নূরের। সাথে সাথে নুরকে ছেড়ে দিয়ে বিছানার একপাশে উঠে বসলো সাদাফ।বসে নুরকে স্বাভাবিক হতে দিল।
কিছুক্ষণ নিজের চুল নিজে টেনে নিজের উপরে রাগ ঝাড়তে লাগলো ।কেন নিজের নি*য়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় বারবার ?মেয়েটি এখনো ভালোবাসা বুঝে ওঠার আগে ওর উপরে কোনভাবেই প্রেশার ক্রিয়েট করা ঠিক নয় ।বুঝে কিন্তু তারপরও নিজের উপরে নি*য়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা।
যদিও সেরকম কিছু করেনি সাদাফ তবুও স্বীকার করতে হয় অনেক গভী*রভাবে ছুঁয়েছে নূরকে।
শেষ অব্দি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত নিজেকে নি*য়ন্ত্রণ করে ফেলেছে।তবুও একটু বেশি হয়ে গেছে আজ। কিন্তু এইভাবে একটি ছেলের রুমে একটি মেয়ে আসলে নিজেকে কতটা নি*য়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ?তারপরও সাদাফ নিজের উপরে নিজের রা*গ ঝাড়তে লাগলো ।চুপচাপ বসে রইল কিন্ত রা*গে পা কাঁপতে লাগলো সাদাফের।
ধীরে ধীরে নুরের শ্বাস-প্রশ্বাস যেন একটু স্বাভাবিক হলো ।চোখ পিটপিট করে তাকালো ।দেখল ড্রিম লাইট জ্বলছে ।সাদাফ ভাই চুপচাপ বসে আছে ।নুরের ল*জ্জা সংকোচ দুটোই লাগছে পাশাপাশি লাগছে ভ*য়।
এক অজানা অচেনা শিহরিত স্পর্শ আজ অনুভব করেছে নূর যা আগে কখনো করেনি ।শরীরে চলেছে সাদাফ ভাইয়ের হাতে অবাধ বিচরন।নুর আটকাতে চাইলেও সাদাফ ভাই বাধা মানেনি।কেমন লাগে কোন পুরুষের স্পর্শ ভালোবাসার মানুষের স্পর্শ তা হারে হারে টের পেয়েছে নূর। শরীর মন কেঁ*পে কেঁ*পে উঠছিলো নুরের।
সাদাফের করা প্রতিটি স্পর্শ নুরের নারীসত্তাকে যেনো উন্মুক্ত করে দিচ্ছিলো।
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২০
নূর ধীরে ধীরে নিজের ওরনা খুজতে লাগলো।ওই মুহুর্তে সাদাফ কোথাও ফেলেছিলো।ওরনা খুঁজে পেয়ে গায়ে পেচিয়ে নিয়ে উঠে বসলো নুর।বসে চুপচাপ সাদাফের দিকে তাকিয়ে রইল।
সাদাফ মাথা নিচু করা অবস্থায় বলল ,”রুমে যা নুর। তাড়াতাড়ি রুমে যা ।এক্ষুনি যা ।আরেকটি মুহূর্ত এখানে থাকিস না তাড়াতাড়ি চলে যা প্লিজ।রহম কর আমার উপর।”
বলেই দুহাতে নিজের মুখ ঢাকলো সাদাফ।