কালকুঠুরি পর্ব ২

কালকুঠুরি পর্ব ২
sumona khatun mollika

ভার্সিটি থেকে ফিরতে আজো লেট হয়েছে মাহাদের। সাথে মুহিব থাকায় আছমা বেগম কিছু বলতে পারলেন না।
মুহিব মাহাকে জিজ্ঞেস করল,,
– সামির সিকান্দার তোকে রেগ দিয়েছে?
– হ্যা৷
– কি করতে দিয়েছিল?
– নাচতে বলেছিল।
– তুই কি করলি?
– নাচিয়েছি।
– মানে?

আছমা বেগমের ডাক শুনে মুহিব ভেতরে চলে গেল। মাহা চলে গেল রান্নাঘরে। রাতের রান্না করতে হবে। পরের দিন, চাচাতো বোন মধুর জন্য পাত্রপক্ষ এসেছে। যখন মাহা চা দিয়েল ভুলবশত মুখের থেকে কাপড় সরে গেলে, পাত্রের মা বললেন,,
– এই মেয়েটার বিয়ে হয়েছে? ভারি সুন্দর দেখতে তো। এটা কে?
আছমা বেগম জবাব দিলেন..
– ও,,, ও আমাদের কা.. কাজের মেয়ে।
মাহা মুখ ঢেকে বলল,,,
– কাজের মেয়ে । তবে সম্পর্কে ভাসুরের মেয়ে আমি।
উপস্হিত সকলে কেমন বাকা চোখে তাকিয়ে বলল,
– মিথ্যা বলার প্রয়োজন নেই। আমরা মধুর বিয়েরি সম্বন্ধ নিয়ে এসেছি।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আছমা বেগম হাফ ছেড়ে বাচল। মাহা ভেতরে গিয়ে চোখের পানি মুছে আবার পড়তে বসল।
কদমতলা মোড়, রাজপাড়া রাজশাহী।
সিকান্দার বাড়ি,,
ইনায়া ওপর থেকে নিচে তাকিয়ে দেখছে,, নিচে একপাশে সামির, সিয়াম, কাশেম সহ আরো কয়জন। আর আরেকপাশে অন্য দলের সভাপতি তিহান, শায়েখ, আরো কয়জন।
মাঝখানে বসা মেয়র আবু সালার সিকান্দার, এমপি তামিম খন্দকার। নির্বাচন সভাপতি রাগিব দেওয়ান
রাগিব বয়সে সামিরদের চে সিনিয়র তবে দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। এমপি তামিম খন্দকার বলল,,
– তোরা এবারে কোনো গ্যান্জাম করবিনা।

সিয়াম বলল,
– আমরা গ্যান্জাম বাধাইনা। আজকেতো ওদের সাথে একটু ভালো বাসা বাসির কথা বলব। গান বাজাব নাচব, নাচাব। তাইনা সামির?
-হ্যাএ,, আরে কিসের ঝামেলা,, এই তোরা নাচ,, এমন গান বাইর করছিনা….. কিরে শায়েখ, নাচবিতো না?
– কেন নয়… বাজা গান কেমন বিট লাগাছিস বে দেখবনা???
সমির বাকা হেসে বলল,
– অবশ্যই। শুধু তুই কেন,, পুরা নৌকা, ধানের শীষ,পাখা, হাতুর, লাঙ্গল নাচের তালে নৌকা শীষ হয়ে যাবে,, কাইশসা,, পদ্মায় আইসেছিস ভাইসসা,, গান লাগা,,
কাশেম গান বাজাতেই, সামির তার পড়নের নীল লুঙ্গি উচিয়ে নাচা শুরু করল। সাথে বাকি ছেলেরাও। সিয়াম সরে দাড়ালো। তিহান, শায়েখ ওরাও নাচতে লাগলো। কিন্তু একটু পরি যখন লিরিকঃ কানে ঢুকল প্রতি পক্ষের সবাই থেমে গেল। সামির আর কাশেম তখন কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে নাচ!! সামিরসহ সকলে তাল মিলিয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল,,

– হেই জয় বাংলা, জিতবে আমার নৌকা, জয় বাংলা, শেখ হাসিনার সালাম নিন।
এসেছে এসেছে আবার ইলেকশন…
জিতবে নৌকা নাই কোনো টেনশন
১৬ কোটি মানুষের একটাই নিবেদন
জিতবে নৌকা জিতবে জনগণ।
সালার সিকান্দার মুখ চেপে হাসলেন। সিয়াম তার পাশেই দাড়িয়ে। সামির তখনো কাশেম এর সাথে লুঙ্গি ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে নাচছে আর চেচাচ্ছে,,
– জঅয় বাংলা,, লুঙ্গি গেল সামলা,, জঅয় বাংলা হাসু আপার সালাম নিন। জঅয় বাংলা আমরা বাংলার কামলা,,
তামিম খন্দকার ইশারা করায় গান বন্ধ করে দিল
রাগিব দেওয়ান।
সামির বলল,,
– কি এমপি সাব,, বলছিলাম এমন ডিজে লাগাব যে বিপক্ষের লোকও নাচবে।

তিহান সহ সকলে মুখ কালো করে বেরিয়ে যায়। চোখের ইশারায় হুমকি দিয়ে যায় বাইরে আহিস খালি। দেইখে লিব।
ওপর থেকে নিচে নেমে এলো, ইনায়া, সামির এর বোন সাথি তার মেয়ে ইতি। ইতি ইনায়ার হাত ছেড়ে দৌড়ে সামিরের কাছে গিয়ে বলল,,
– মামাই,, গানটা আবাল দাওনা। আমিও নাতবো।
সামির লুঙ্গি ঝেড়ে বলল,,
– আরে আভিতো পার্টি শুরু হুয়ি হ্যা। কাইশসা লাগা নৌকা।
আবারো গান। সিয়ামের পাশে গিয়ে সাথি দাড়িয়ে থাকে আর হাত তালি দেয়। কাশেম ইতিকে ঘাড়ে তুলে নেয়। সামির ইনায়ার হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচতে থাকে। ইনায়াও নাচছে। যেখানে সামির আছে সেখানে তার চিন্তার কিচ্ছু নেই।

কিছুদিন পার হয়। ভার্সিটিতে আবার একদিন ভুলবশত মাহার সাথে সামিরের সাথে দেখা। সাথে সিয়াম ছিল তাই সামির আজ একটু শান্ত। সামির বেশ লক্ষ করল মাহা সিয়ামের সাথে বড্ড নরম সুরে কথা বলছে। তবে সেটায় বেশি মন দিলনা।
‎ পুরোটা সময় সামির মাহার চোখের দিকেই তাকিয়ে ছিল। মাহা চলে যাওয়ার পর সামির জিজ্ঞেস করল,
– ভাই,, তুমি ওরে চেন?
– হ্যা ও তো মাহাদিবা। মুহিবের চাচাতো বোন সম্ভবত। বড্ড ট্যালেন্ট স্টুডেন্ট। অনার্স ২য় বর্ষে সম্ভবত।
– মুহিবের চাচাতো বোন,, আচ্ছা!!

– তুই কি করে চিনিস?
– আরে এটাইতো সেই আইটেম,, ডলা দিয়ে আমার ধলা গাল লাল করে দিয়েছিল। মুহিবের জন্য কিছু বলিনি। নয়ত সেদিনি…
– সেদিনি??
– কিছুনা।
– ভালো কথা,, আজকে একটু মুহিবদের বাড়ি যাবি। তুই, কাশেম আর রনি কে সাথে নিয়ে যাস । ওই মুহিবের আব্বা বিদেশ থেকে এসেছে আজ ৩ দিন। উনার কাছ থেকে একটা চিঠি পাওয়ার ছিল। আব্বা যেতে বলেছে৷

– তুমি কোনঠে যাইবা?
– ওই,, আমি একটু,, সিএনবি এর দিকে যাব।
– এ্যা,,,, অও,,, ঘন্টি বেজেছে,, ভাইকে ভাবি ডেকেছে , চোখ-ইশারায় ভাইয়ের মন গলেছে,, যাও যাও। চলো তোমায় নামিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যাব৷
তারপর দুই ভাই মিলে বাইকে চড়ে সোজা সিএনবি। ভার্সিটি থেকে অনেকটা দূরে। সিয়ামকে নামিয়ে দিয়ে সামির বাড়ি চলে যায়।
সিযাম পিছন থেকে ডাকতেই একটা হলুদ গাউন পরা মেয়ে পেছনে ঘুরে তাকায়।
– এতখনে আসার সময় হলো? আধা ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি।
– সরি,, নুসরাত।

নুসরাত,, সিয়াম সিকান্দার এর ৩ বছরের ভালোবাসা। বিয়ের কথা বার্তা চলছে। মানে দুজন একখন উড বি একে অপরের।
সিয়ামের কথামতো সামির কাশেম আর রনিকে সাথে নিয়ে মুহিব দের বাড়ি গিয়েছে। কদমতলী মোড় থেকে সামান্য দুরত্ব। ভাটাপাড়ায়। সেখানেই মাহাদের বাড়ি।
বাড়ি গিয়ে প্যান্ট বদলে নীল লুঙ্গি পড়ে এসেছে। আছমা বেগম তাদের বসতে বললেন। তিনি আগে থেকেই চেনেন তাদের।

ঠুকুরনুকুর শব্দ শুনে সামির রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখলো মাথায় ওড়না দিয়ে উল্টো ঘুরে এক মেয়ে। মোটামুটি ভালোই লম্বা। পায়ের নুপুরের দুটো বেল খুবই ধিরে ছুন ছুন করে শব্দ করছে। কাশেমের ডাক শুনে সামির আবার ফেরত চলে যায়।
মুহিবের বাবার সাথে কথা বলার পর সামির মুহিবের খোজ করতে করতে লাগলো। মধু বলল,,
– ওপরে আছে। মাহার ঘরে।

সামির নিঃশব্দে ওপরে চলে যায়। দুইতলার ২ নাম্বার রুম থেকে ভেসে আসছে মুহিবের কণ্ঠ। সম্ভবত কাওকে ইংরেজিতে কিছু বোঝাচ্ছে।
সামির বরাবরই ঘাড়ত্যাড়া। কোনো অনুমতি না নিয়ে হুট করে রুমে ঢুকতে লাগলে, একি সময় রুম থেকে বের হতে যাওয়া মাহার সাথে সামিরের ধাক্কা লেগে যায়। সামির তার মুখের দিকে না তাকিয়ে নিচে পরে যাওয়া চিঠির খামটা তুলে বিরক্তিকর স্বরে বলে,,
-ধ্যেত বারা,, দেখে চলতে পারিস না,, ফকিন্নির ঝি!!
-তারপর উঠে দাড়িয়ে মাহার চেহারা দৃশ্যমান হতেই সামিরের চোখ আটকে যায়। না চাইতেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়,,
– মারহাবা,,,

মাহা চট করে মুখ ঢেকে ফেলে। ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই সামির শুষ্ক একটা ঢোক গিলল। পেছন থেকে মুহিব বলর,,।
– সামির ভাই?
– তোকে সিয়াম ভাই দেখা করতে বলেছে। আর এটা ধর,,
– এটা কি ভাই?
-লিলে লে লা লিলে লা লে।
বলেই সামির একটা চিঠি মতো কিছু টেবিলে রেখে বলে ,,,
– মাহাদিবার বাবা মাও কি এখানেই থাকে?

– ওর বাবা মা মারা গেছে অনেকদিন ভাই।
-ও ইনশাআল্লাহ।
পেছন থেকে কাশেম বলে,,
– ভাই ইনশাআল্লাহ না ইন্না-লিল্লাহ।
– চোপ বাঙ্গির নাতি ! আমি যা বলব তাই। ইনশাআল্লাহ বলার কারণ,, মরছে যেহেতু তাহলে টপকে যাওয়ার পরেই দেখা হবে আর কি। ।
– কইলজা ফাইটা গেল ভাই।
– আরে দিল পে লে লিয়া ইয়ার!!
মুহিব চুপ করে হাসছে। কাশেম এখনো হিসাব মেলাতে ব্যাস্ত।

তারা বের হওয়ার সময় মাহাও বের হলো। আবারো সামিরের চোখ মাহার চোখ দুটোর দিকে আটকে গেল নিজে নিজেই নিকাবের ওপর থেকে মাহার চেহারা মাপ করতে লাগল। কিছুটা পথ একসাথেই গেল তারা। মাহা সামনে, সামির, কাশেম আর রনি পেছনে।

বাইকের কাছে গিয়ে সামির ঠোটে সিগারেট ধরিয়ে চোখের সানগ্লাস খুলে কাশেমের হাতে দিল। কাশেম তার মুখ দেখে বলল,,
-কি হয়ছে ভাই? চোখমুখে এমন চিন্তা চিন্তা ভাব?
– উম,,
সামির একটু কাশার ঢং করে হাস্যকর ভঙ্গিতে বলল,
– এই পথে যখন আআমি যাই
মাজে মাজে একটা মেয়ে দেখতে পাই
আলতারাঙা পায়, আবার নুপুর পরেচে
আলতারাঙা পায় আবার নুপুর পরেচে,
বুরকা পরা মে পাগল করিচে
একটা বুরকা পরা মেয়ে পাগল করিচে।

রনি বাকা হেসে বলল,,৷
– প্রেমগারদে ঢুকার আগে বুইঝেন ভাই , ওই অপরাধের জামিন নাই। কত্তডি প্রেম করবেন?
– বেশি বোঝ শালা। এখনো চড়ের শোধটাই তুইলতে পাইরছিনা। পিরীত মারাছে। বাড়ি যা।
বাড়ি ফেরার পর ইতি দৌড়ে এসে কোলে চড়ে,
– মামাই , কোতায় গেচিলে?
– মারা খেতে,,
– মারা কি খুব মজা?
– এক্কের সেই মজ্জা ঝাক্কাস
– আমিও খাবো,,
– আচ্ছা?? বড় হয়ে যেকোনো একটা দলে ঢুকে যাস,, রোজ খেতে পারবি,,,
– আচ্চা।

ইনায়ার মা সুফি বেগম খেতে ডাকলেন। টেবিলে বসেই সামির চোখমুখ ভেঙচিয়ে বললো,,
– খাসির মাংস!!! তোমার কি আমারে খেতে দিতে কষ্ট হয়? তুমি জানোনা,, আমি এসব খাসি পাঠার মাংস খাইনা। সাথে আবার ইলিশ মাছ? মন চাইছে পুরো টেবিল টা উল্টে দি। ইনায়া,,,
ইনায়া দৌড়ে এসে বলল,,
– হ্যা, জানি আজ শনিবার। শনিবার এ গোস খেলে তোমার পেছনে শনি দৌড়ে বেড়ায়। এইযে ধর,,
ইনায়ার হাতে একবাটি সিদ্ধ ডিমের তরকারি। সামির বামগালে হেসে বলে,,
-এ্যাহা,, ওয়াইফ মেটেরিয়াল অভ দা ওয়ার্লড। দেহ।
কথাটা কানে ঢুকতেই ইনায়ার মন মস্তিষ্ক ফুরফুরে হয়ে যায় । সামিরের এই অগোছালো ভাবটা ইনায়ার জন্য বড্ড আপন। যখনি কিছু খুজে পাবেনা,,, এইনায়া, খাবার পছন্দ না হলে এ ইনায়া । সবকিছুর হেল্পার ইনায়া।

সিয়াম জিজ্ঞেস করছে,
– কিরে তোকে নাকি কোন মে পাগল করেছে?
– বোকাচোদারা এটাও বলেছে,,
– কিন্তু কে?
-চড়ওয়ালী।
– মাহা? চড় খেয়ে দেওয়ানা হয়ে গেলি নাকি?
– না ভাই চেহারা দেখছি। এক্কের মার্কা মারা থোবড়া,,, ঝকঝকা পানি সুন্দরী।
– আগুন সুন্দরী শুনেছিলাম, এই পানি সুন্দরীর ইতিহাস কি?
– দেখ,, পানির সংকেত হলো H2O. ,, সে হলো হাইপার, হাবিবি,, অস্থির। হইলোনা দুইটা এইচ একটা ও। এইচ টু ও। মানে পানি, তাছাড়া বেডি পরিষ্কার পানির মতো ঝকঝকা সুন্দরী। তাইলে বুলো কি সুন্দরী?
– ঝকঝকা পানি সুন্দরী।
– কারেক্ট। তুমি পাশ,, যাও নেক্সট।
সিয়াম ঘাড় ঘুরিয়ে বলল,
– বুঝলাম নেতাবাবু, আপনি বড় পাপের সরি মাপের রসায়নবিদ।
– জ্বি অবশ্যই।

পরেরদিন ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার সময় , তিহন আজ মাহার পথ আটকে দাড়িয়েছে।
সাথে শায়েখ ও ছিল। বাহাত উচিয়ে বলল,,
– নিকাব খোল।
– কেন?
– খুলতে বলেছি খোল। বড়ভাইদের আবদার রাখবেনা?
– দুঃখীত। আমি পর্দা করি। আমাকে যেতে দিন। আমি ফার্স্ট ইয়ার না।
– তাতে কি? মিনি,,
‎পাশ থেকে একটা মেয়ে এসে মাহার হাতদুটো ধরল। ভার্সিটির অনেক ছেলেমে তখন সেদিকে তাকিয়ে। মাহা নড়ছে না চুপ করে দাড়িয়ে শুধু চোখ গুলো বড়বড় করে রেখেছে। তিহান মাহার নাক পর্যন্ত হাতটা আনলেও নিকাব স্পর্শ করতে পারেনি। মাহা লক্ষ করল,,
সামির হাত ধরেছে। বাহাতে সানগ্লাস নামিয়ে বলল,,
– চ্যাহ,, তিহান ব্রো,,, পাপের বোঝা কেন বারাচ্ছ? সব সময় সবকিছুর পিন খুলতে নেই। যদি বোম ব্লাস্ট হয়ে যায়?

কালকুঠুরি পর্ব ১

তিহান বলল,,
– উড়ে যাব কি সমস্যা।
মাহার হাত ছেড়ে দিতেই মাহা চলে গেল। সামির তিহানের কলার ঠিক করে দিতে দিতে বলল,,
– এবার কিছু বললামনা। পরেরবার একদম রান টাইনে ছিড়ে ফেলব ।
তিহান কথা বারালনা। চুপচাপ চলে গেল। কাশেম গলা খাকড়ি দিয়ে বলল,,
– বাহ ভাই তুসি হিরো হো।
– হিরো নেহি,, ভিলেন হি ঠিক হু।

কালকুঠুরি পর্ব ৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here