তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ৩১
ভূমিকা তালুকদার
ফ্রান্সের প্যারিস শহরসহ তার আশেপাশের বেশ কিছু শহর ভার্সাই,জিভার্নি,লিল তথা আরও বেশ কিছু অঞ্চলে মানুষের মৃ*তদেহ উদ্ধার করে চলেছে ফ্রান্স পুলিশ ও ইনভেস্টিগেটর টিম।প্রত্যেকটা খু*ন এর ধরণ একি রকম।মাথা গলা কা*টা, নগ্ন,অর্ধ নগ্ন অবস্থায় ফেলে রাখা,তবে আশ্চর্যজনক ভাবে কিছু ডেড বডির এতটাই বীভৎস অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যে তাদের দেহ থেকে যৌনা*ঙ্গ আলাদা করে তা টুকরো টুকরো করে ক্যামিকেল যুক্ত এ্যাসিডে চুবিয়ে রাখা,ধারণা করা যায় ডেড বডি গুলোর দেহ ধারালো কোনো চাকু/ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে তাতে মশলা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই নিয়ে ৫৬ টা মৃত দেহের ময়না তদন্ত চলছে,কিছু আবার গায়েব,সেগুলোর ও খোঁজ চালাচ্ছে ইনভেস্টিগেটর টিম।প্যারিসের সবচেয়ে বড় পুলিশ সদর দফতর Prefecture de Policeপ্যারিসের কেন্দ্রস্থলে, Île de la Cité দ্বীপে অবস্থিত যার ভিতরে রয়েছে বিশেষ তদন্ত ইউনিট যেমন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট,BRI যা সিরিয়াল কিলার, সন্ত্রাসবাদ বা জটিল অপরাধ তদন্তে কাজ করে। সিনিয়র ইন্সপেক্টর রেহমান পাষা চেয়ারে বসে কপালে হাত ঠেকিয়ে সব গুলো ডেড বডির ছবি দেখছেন মনোযোগ সহকারে, পুরো টেবিলজুড়ে ছবি গুলো সারি সারি লাইন বাই লাইন রেখে তার উপর লাল মার্ক করছেন তিনি।রেহমান পাষার আর বুঝতে বাকি থাকলো না এই শহরে এমন সিরিয়াল কিলিং সাইকোপ্যাথিক খু*ন ব্লেক মাস্ক ম্যান ছাড়া আর কেউ হবে না। রেহমান পাষা রাগে গজগজ করে টেবিলের উপর ঘুষি মেরে বলে উঠেন,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আজ পর্যন্ত এই ফা*কার এর মুখোশটা টেনে খুলতে পারলাম না।ডেম ‘ইট”
টেবিলের অপর প্রান্তে থাকা জুনিয়র ইনস্পেক্টর পিটার দুটো ছবি হাতে নিয়ে বললেন,
“স্যার সবকটা খু*ন এর ভিক্টিম কিন্তু কোনো না কোনা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো।বেশিরভাগ এগুলোর উপর রেপ কেস এর মামলা দেয়া ছিলো।মানে টা বুঝলেন?? ”
“এটা আর নতুন কি পিটার!এই কিলার এর টার্গেট অপরাধীরাই হয়।যার ফলে অপরাধ করেও সমাজের কাছে হিরো,যাদের পরিবারের নারীরা ধ*র্ষণ এর শিকার হয়েছে তাদের উপর হওয়া অন্যায়ের শাস্তি নিজ হাতে দিয়ে চলেছে মাস্ক ম্যান।”
“স্যার আর যাই হউক এ কোনো সাধারণ কিলার না,এর খু*ন গুলো একবারে নিখুঁত, কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এভাবে কাউকে মারতে পারে বলে আমার মনে হয়না।”
“ইয়েস হি ইজ অ্যা সাইকোপ্যাথ, যেভাবেই হউক এই কিলার কে আমার চাই এই চাই,একবার এর মুখোশ খুলতে পারলেই আমি সফল,প্রত্যেকটা জায়গার জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করো,হাই সিকিউরিটি টিম এর ব্যবস্থা করো।একবার ফেইস টা রিভিল করতে পারলেই বাকিটা আই উইল হ্যান্ডেল”
“ওকে স্যার। অল ডান।”
সেই কখন থেকে ইবোনহার্ট ল’ ফার্মের ৬তলার করিডরে পাইচারি করে চলেছে এলেক্স, কানে ইয়ারপিস লাগালো।তিন নাম্বার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক আপ করে এসেছে, মাথা তার চরম হট হয়ে আছে।অনেক কষ্টে জোর করে ঐ আন্টি মার্কা মহিলার কাছ থেকে নিস্তার পেয়েছে,ভাবছে সেই খুশিতে একটা ব্রেকআপ পার্টির আয়োজন করবে,তবে পার্টি জায়ান, মার্কো এদের কাউকেই না জানিয়ে করার প্লেন করছে,লুকিয়ে লুকিয়ে করার প্লেন করে চলেছে, যেভাবেই হউক গোপনে গোপনে সারতে হবে তা না হলে গার মটকিয়ে দিবে তার গুনধর বন্ধুরা। করিডরের এপাশ ওপাশ হাঁটছে আর প্লেন সাজাচ্ছে এলেক্স।তখনি পেছন থেকে মার্কো এসে কাঁধে হাত রেখে গম্ভীর গলায় বলে উঠে,
কাজ ফাঁকি দিয়ে এসে কার সাথে ফিসফিস করছিস??
এলেক্স ভিষম খায়,কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতে চালাকি করে বলে উঠে,
“সাবধানে থাকিস রেহমান পাষা কিন্তুু যেকোনো সময় নাদিয়ার সাথে নিকাহ্ মোবারক করে ফেলতে পারে।”
এহন কথায় মার্কো মুখ থেকে থুথু বের করে এলেক্সের পায়ে উপর ফেলে। এলেক্স শালা বলে পিছনে সরে যেতেই মার্কো হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলে উঠে,
“একবারে আলহামদুলিল্লাহ মার্কা একটা খবর শুনালি।রাতে ভালো ঘুম হবে আজ”
এলেক্স পেটে হাত রেখে মুখে হাসি চেপে কিছু বলতেই যাবে মার্কো চুপ করিয়ে দেয়। এই মুহুর্তে আর কিছু শোনার ইচ্ছে নেই তার, আর না এসবে কিছু যায় আসে।
“শালা তুই তোর দেশের মুদি সরকারের থেকেও বেশি খারাপ।ওয়ান ডে ইউ উইল রিগ্রেট ফর দিস।হারিয়ে ধন কানবি রে মন তোর কান্দন কেউ শুনবে না।”
“হাউ স্টুপিড এলেক্স, এত জঘন্য বাংলা কোত্থেকে শিখেছিস তুই”
এলেক্স ঠোঁট কামড়িয়ে পড়নের কোর্টটা লাড়াচারা দিয়ে নেন।
“আমি আরও কয়েকটা নিউ নিউ বাংলা গা*লি শিখেছি শুনবি??”
মার্কো এবার রীতিমতো কানে হাত দিয়ে কর্কশ গলায় ধমকাতে শুরু করে,
“ওহহহ গড নো এলেক্স,কুত্তে কি বাচ্চে,আই সেড নো প্লিজ। ”
” নাটকীর নাতি ”
হাবিজাবি কথা বলতে বলতে এলেক্স আর মার্কো দু’জনেই মার্কোর ভি আই পি কেবিনে এসে পড়ে,যেটা জায়ানের কেবিনের পাশেই। এলেক্স কফি মেকারে কফি পাউডার ঢেলে দু কাপ কফি রেডি করে। এক কাপ নিজে নিয়ে অন্যটা মার্কোকে দেয়।দুজনে মিলে কিছু পুরোনো ক্রিমিনাল ফাইল উল্টে পাল্টে দেখতে থাকে।কিছু গুরুতপুর্ণ ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করতে থাকে।
জায়ানের হাতে বেয়ে শীতল রক্ত গড়িয়ে পড়ছিলো ধীরে ধীরে। লাল ফোঁটাগুলো একসময় লিয়ানার আঙুল ছুঁয়ে যায়।এত রক্ত দেখেই লিয়ানার নিঃশ্বাস কেমন আটকে গেলো, মুখ ফ্যাকাসে হয়ে উঠলো জায়ান সেটা বুঝল। সে জানে, লিয়ানার ব্লাড ফবিয়া আছে।
তবু মেয়েটা থামল না। কাঁপা কাঁপা হাতে ব্যান্ডেজের ফিতা নিয়ে জায়ানের আঙুল জড়িয়ে ধরলো, যেন নিজের ভয়কে চেপে রাখছে।
“থাক, দরকার নেই”
লিয়ানা ঠোঁট কামড়ে বললো, চোখ নিচু করে।
“চুপ নড়বেন না”
তার আঙুলের ডগা জায়ানের তালু ছুঁয়ে যাচ্ছি.ঠাণ্ডা, নরম, আর কাঁপতে থাকা। জায়ানের বুকের ভেতর কেমন এক চাপা উষ্ণতা জমে উঠলো, যেন প্রতিটা ছোঁয়া তার শিরায় শিরায় আগুন ধরাচ্ছে।ব্যান্ডেজ বাঁধতে গিয়ে লিয়ানা একটু নিচু হলো। তার চুলের গোছা জায়ানের হাতে ছুঁয়ে গেলো। মুহূর্তেই জায়ানের দৃষ্টি স্থির হয়ে রইলো লিয়ানার শার্টের উপরের খোলা দুটো বোতামের ফাঁক দিয়ে লিয়ানার ফর্সা বক্ষ ভাসমান হয়ে উঠলো। শ্বাস কেমন ভারী হয়ে উঠল জায়ানের যেন হঠাৎ ঘরের বাতাস ঘন হয়ে গেছে।
সে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইল, কিন্তু পারলো না। লিয়ানার গরম নিঃশ্বাস তার গায়ে এসে লাগছিলো, মিষ্টি আর ভয়মিশ্রিত সেই গন্ধে বুকের ভেতর অদ্ভুত একটা টান তৈরি হচ্ছিলো।
জায়ান চোয়াল শক্ত করে নিজের ভিতরের ঝড়টাকে আটকে রাখলো।জায়ানের হৃদয়ে তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হতে শুরু করে ।লিয়ানা ফেলা প্রতিটি নিঃশ্বাস তাকে চুম্বক এর ন্যায় আকর্ষণ করতে থাকে।বউকে ছুঁয়ে দেয়ার তিব্র ভাসনা অনুভূত হতে লাগলো, সেই কখন থেকে নিজেকে কন্ট্রোল করার সর্বোচ্চসীমা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সহ্য হচ্ছে না।দাঁতে দাঁত পিষে নিজের অস্থিরতাকে ঢেকে বলে উঠে,
লিভ্,আই সেড গেট আউট।
জায়ানের এমন উগ্র আচরণ লিয়ানার মেনে নিতে কষ্ট হলো।রুম থেকে বের হয়ে যাবে মানে কি এই রুমতো তারও।জায়ানের রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে লিয়ানা উঠে দাঁড়ালো অতঃপর জায়ানের গাল স্পর্শ করে বলে,
“যদি কিছু ভুল করে থাকি আই অ্যাম সরি। তারপরেও এভাবে কথা বলবেন না প্লিজজজ। ”
লিয়ানার এমন আকুতি ভরা দৃষ্টি জায়ানকে যেনো আরও উত্তেজিত করে দিলো।মূহুর্তেই জায়ান লিয়ানার পড়নের শার্ট টেনে ধরে টান মারতেই প্রত্যেকটা বোতাম ছিড়ে ফ্লোরে পড়তে থাকে।লিয়ানার কোমড় জড়িয়ে নিজের পানে টেনে এনেই তার উদরে মুখ ডুবিয়ে দেয়।জায়ানের ওষ্ঠ উদর স্পর্শ করতেই লিয়ানার মনে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়।অবাধ্য মনের বাসনা পূর্ণ করতে জায়ান হেঁচকা টানে লিয়ানাকে নিজের ঊরুর উপর বসিয়ে দেয়।জায়ান আরও উন্মাদন হয়ে উঠে লিয়ানার গলায় মুখ ডুবিয়ে কামুড় বসিয়ে দেয়।জায়ানের ওষ্ঠের স্পর্শে লিয়ানা কেঁপে।জায়ানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ রুপে আত্মসমর্পন করে ঢলে পড়ে জায়ানের বুকে,তবে তা কিছুক্ষণের জন্যই,জায়ানের কামড়ের তীব্রতা এতটাই প্রবল হয়ে উঠে যে লিয়ানার মনের সকল বাসনা এক নিমিষেই মুচরে যায়। ব্যথায় ছটফট করে উঠে। তার ঘার লাল হয়ে তা থেকে কয়েক ফোটা শীতল রক্ত গলা বেয়ে নামতে থাকলো। লিয়ানার চোখ জোড়ায় জল জমে থাকে।জায়ানের এমন বিষমিশ্রিত ভালোবাসা তো লিয়ানা কখনো চায় নি।জায়ান লিয়ানার লেডিস শার্টের হাতা নিচে নামাতেই জায়ানের বুক বরাবর এক ধাক্কায় তাকে সরিয়ে দেয় লিয়ানা।কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলে উঠে,
“আর ইউ ক্রেজি?? আমার লাগছে খুব”
জায়ান নেশালো দৃষ্টিতে লিয়ানাকে পরক করে দেখতে লাগলো।লিয়ানার শরীরে নিজের দেয়া রেড মার্ক গেলো দেখে চোখের প্রশান্তি মিললো তার।জায়ান লিয়ানাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়।লিয়ানার উন্মুক্ত শরীর জায়ানকে অদ্ভুতভাবে আকর্ষন করতে থাকে।জায়ান নিজের ওষ্ঠ দিয়ে লিয়ানার ললাট থেকে ছোটোগুলো সরিয়ে ঠোঁটে আঙুল ছুয়ে কানে ফিসফিস করে বলে উঠে,
chemistry isn’t chemistry without bed sweetheart…and i am desperately need you right now.just feel me baby.
জায়ান উন্মাদনের মতো লিয়ানার বক্ষে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ মেশাতে থাকে কামড় বসাতে উদ্ধৃত হতেই, পাগলপ্রায় লিয়ানা নিজের হুস ফিরিয়ে এনে,কিছুটা ঝাঝ মেশালো কন্ঠে বলে,
“আপনার এমন ভালোবাসা আমি চাইনি। এটা কোনো ভালোবাসা বলে আমার মনে হয় না।আপনি তো এমন না এরকম আচরণের মানে কি?? ”
লিয়ানার কথা শেষ না হতেই জায়ান এর চোখ জোড়া রক্তিম বর্ণ ধারণ করে, গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠে,
“আমি জায়ান এমনি আমার স্পর্শ আদর এমনই,আগেও বলেছিলাম লুতুপুতু ছোয়াছুয়ি আই ডুন্ট লাইক।সহ্য করে নে,আমি শিখিয়ে দিবো।”
লিয়ানা যন্ত্রণায় বেড থেকে সরে উঠে যেতে নিলে জায়ান তার হাত ধরে জোর করে বেডে শুইয়ে দেয়।জায়ানের চোয়ালের পেশি শক্ত হয়ে উঠে।
“কথার অবাধ্য হওয়া আমার একদমি অপছন্দ। আই হেট দি’স,আর গলা নামিয়ে কথা বলবি,ভুলে যাস না আমি কে হই তোর।”
লিয়ানার দু হাত বালিশের সাথে চেপে ধরে দেহের শিরায় শিরায় তিব্র আকাঙ্ক্ষা ক্ষুধা নিবারণে জায়ান লিয়ানার ঠোঁটে গভীর চুমু একে দেয়।লিয়ানার অঁধর চেপে ধরে চুম্বন এর গভীরতা বাড়াতে থাকে,লিয়ানার নিঃশ্বাস আটকে আসছে,জায়ানের হাতের থেকে নিজের হাত জোড়া ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।নিজের ওষ্ঠে জায়ানের কামড়ের তীব্রতা বাড়তে লিয়ানার গলা দিয়ে গোঙানির শব্দ বেরিয়ে আশে,লিয়ানার ঠোঁট ফুলে রক্ত জমে উঠে।বেশকিছুক্ষণ লিয়ানার ঠোঁট আঁকড়ে ধরে রাখার পর জায়ানের ওষ্ঠ লিয়ানার গলা বেয়ে নিচে নামতে শুরু করে, লিয়ানা জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে ফেলতে এবার চিৎকারে করে উঠে,
“আমার অসহ্য লাগছে আপনাকে!বুঝতে পারছেন??”
জায়ানের রাগের পরিমাণ এবার ঘূর্ণিঝড় এর ন্যায় প্রবল আকাড় ধারণ করে। হাত মুষ্টি বদ্ধ করে লিয়ানার গালে একটা তিব্র চড় বসিয়ে দেয়।
কি বললি তুই?? এই বান্দি কি বললি!
আরেকটা চড় বসাতে হাত উঠাতে গিয়েও না পেরে নিজের চুল খামছিয়ে ধরে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে,জায়ানের এমন নতুন ভয়ানক রুপ দেখে লিয়ানা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করে, জায়ান লিয়ানার চোখের জল মুছে বলে,
“বেবি ডুন্ট ক্রাই,অ্যাম সরি,লিসেন্ট টু মি,….
জায়ানের কথা শেষ হওয়ার আগেই লিয়ানা বিছানা ছেড়ে উঠে হনহনিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যেতে শুরু করে,লিয়ানা রুম থেকে বের হয়ে যেতেই, জায়ানের কন্ঠে বিষাদের ছায়া নেমে আসে।
“শীট, ফা*ক ফা*ক !এটা তুই কি করলি, নিজের পরীর মতো মিষ্টি বউটাকে তুই এভাবে কষ্ট দিলি।ডেম’ইট।”
নিজের রাগ ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে রুমে দেয়ালে ইচ্ছেমতো ঘুষি মারতে থাকে,ঘুষির তিব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে হাত থেতলে গিয়ে রক্ত ঝড়তে শুরু করে।মাথা চেপে ধরে নিজেকে কিছুক্ষণ শান্ত করে, রুম থেকে বের হয়ে লিয়ানার কাছে যেতে থাকে, সিঁড়ি বেয়ে নেমে নিচের নামতেই দেখে পুরো ডাইনিং স্পেস খালি কোথাও লিয়ানা নেই।জায়ান পাগলের মতো পুরো প্যলেস লিয়ানাকে খুঁজতে থাকে,কোথাও লিয়ানার ছায়া পর্যন্ত না দেখতে পেয়ে, পুরো ডাইনিং স্পেস এর আসবাবপত্র মার্বেল ফ্লোরে ফেলতে থাকে।ঘন নিঃশ্বাসঘন ফেলতে ফেলতে প্যালেসের বাহিরের দিকে পা বারাতেই দেখতে পায় লিয়ানা গার্ডেন এক কোনায় বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে,নিজের বউকে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে গিয়ে এভাবে এতো কষ্ট দিয়ে ফেলেছে ভেবেই নিজেকে নিজের শেষ করে ফেলতে মন চাইছে তার।চুল গুলো হাত দিয়ে বেক ব্রাশ করে ধির পায়ে এগিয়ে যেতে থাকে লিয়ানার দিকে,জায়ানের চোখে মুখে অনুশোচনার বিন্দু পরিমাণ ছাপ না থাকলেও এক বুক হতাশা কাজ করছিলো।লিয়ানার সামনে দাড়িয়ে তার পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পরে জায়ান,লিয়ানার ঊরুর উপর মাথা ঠিকিয়ে শীতল কন্ঠে বলে উঠে,
“অ্যাম রিয়েলি সরি বউ,দূরে সরে যেতে বলেছিলাম তাও কেন গেলি না জানপাখি।”
লিয়ানা মুখ ফিরিয়ে নেয়।চোখের জল হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছে নেয়।জায়ান লিয়ানার হাত ধরে দু হাতে আলতো করে চুমু খেয়ে নেয়।
“প্রতিশোধ নিতে মন চাচ্ছে?নে! মারতে মন চাচ্ছে না আমায়!নে মার।যা খুশি কর তাও রাগ করে থাকিস না।”
লিয়ানা ঠোঁট বাকালো! জায়ানের পানে তাকিয়ে তার শীতল দৃষ্টি দেখে লিয়ানার মায়া হলো।
“কিসের প্রতিশোধ এর কথা বলছেন আপনি?হাসালেন উকিল সাহেব।
প্রিয় মানুষে থেকে কখনো প্রতিশোধ নেয়া যায় না।
শুধু মণপ্রান উজার করে ভালোবাসাই যায়।আঘাত করা যায় না।আফসোস আপনি যদি ভালোবাসার মানে টা বুঝতেন। আপনার কাছে ভালোবাসার মানে জেদ,ছিনিয়ে নেয়া।”
জায়ান নিরুত্তর।
“আমার পাশে এসে বসুন। ”
“জানেন আমি না আর পাঁচটা মানুষের মতো সাধারণ জীবন চেয়েছিলাম,একটা সুন্দর পরিবার।হয়ত আমাদের বিয়েটা স্বাভাবিকভাবে হয়নি কিন্তুু যেদিন তিন কবুলে আপনাকে স্বামী রুপে গ্রহণ করলাম তখন থেকেই তো আমি একান্তই আপনার হয়ে গিয়েছি।আমাকে ছোঁয়ার বৈধতা শুধু আপনার হলো।”
“আপনার স্পর্শ আমার খারাপ লাগেনা।আমি যে আপনাকে ভালোবাসি আপনি তা বুঝেন?ওহহ সরি,ইউ ডুন্ট ট্রাস্ট ইন লাভ।ভালোবাসতে না পারলে দয়া করে যন্ত্রণা দিবেন না।”
জায়ান লিয়ানার ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।
“You are right babygirl.but but but!you are not just my person, you are my forever my always my wildness dream.”
জায়ান লিয়ানার ঊরুতে চুমু খেয়ে মাথা হেলিয়ে শুয়ে শুরেলা কন্ঠে গুন গুন করে উঠে,
“I wanna be your slave,I wanna be your master..
I wanna be your Heartbeat, Run like Roller coasters,
I wanna be a good boy,wanna be a gangster
Because you could be the beauty, And i could be the monster
I love you since thiss morning, Not just for aesthetics,
I wanna touch your body,So fu**king electric ”
লিয়ানা জায়ানের চুলে হাত বুলাতে থাকে। রোমান্টিক ওয়েদার এ কই একটা রোমান্টিক গান গাইবে তা না জায়ানের মুখে গুন গুন করা ইংরেজি গান শুনে লিয়ানার চক্ষু কপালে উঠে যায়।গার্ডেনর শীতল বাতাস চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে থাকে লিয়ানা। আর বাতাসে জায়ানের কন্ঠ ভেসে বেরাতে থাকে।
তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ৩০
“If you want to use me, i could be your puppet,
Cause i am the devil who searching for redemption,
And i am a lawyer, who’s searching for redemption”
