নীলের হুরপাখি পর্ব ১৫

নীলের হুরপাখি পর্ব ১৫
কারিমা ইসলাম কেয়া

এরমাঝে হুর তিতা কিছু অনুভব করে নীলকে ছাড়াতে চাইলো কিন্তু নীল আরো গভীরে যেতে লাগলো।
হুর নীলের শার্টের পর্দা বেদ করে নখ বসিয়ে দিল নীলের জামার ভিতরে। নীলের ঠোঁটে কামর বসিয়ে দিল। নীল ছেড়ে দিল।
নীল নিজের ঠোঁটের রক্ত বৃদ্ধাঙ্গুলি মুছে নিল।

নীল ঃ আউচ,,,,,এইটা কিহ অরেঞ্জ পেয়েছিস নাকি, কামরে কামরে চিবিয়ে চিবিয়ে রস বের করে খাবি।
নীল গালে জ্বিহ্বা ঠেলতে ঠেলতে বলল,ঠোঁটে ফুটে উঠলো অভদ্র হাসিঁ।
হুর ঃ ইয়াক,,, এটাকে অরেঞ্জ ফ্লেবার বলে না এটা হলো বিদেশি অরেঞ্জের দূর সম্পর্কের দুলাভাই দেশি করোলা।
নীল ঃ” Hey silly gril you don’t know ” করোলা খেতে তিতা তবু খেতে হয়।
নীল হুরের কপালে হাত রাখলো
নীল ঃ বাহ ঔষধ পেটে পড়তে না পড়তেই অসুস্থতা গায়েব। ম্যাম নিশ্চয়ই আপনার এই ডক্টরের ট্রিটমেন্টে পদ্ধতি পছন্দ হয়েছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বাট আমি তহ ফ্রি সার্ভিস দিই না তাই কিছু নিয়েও নিলাম। এনার্জি।
হুর ঃ তোমাকে তহ আমি,,,,
নীল ঃ চাইলে ওয়াটারমেলনের মতো টেস্ট করতে করতে খেয়ে নিতে পারেন।
নীল চলে গেল রুম থেকে। রুমের বাইরে বেরতেই সামনে পড়লো রক্তিম।
রক্তিম ঃ তুমি হুরের রুমে কিহ করছিলে ভাইয়া
নীল ঃ বউকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ভায়োলজি, সাহিত্য সব ক্লাস একসাথে প্যাকটেকালী করাচ্ছিলাম। এনি প্রব্লেম।
রক্তিম ঃ ভাইয়া তোমার তুবার সাথে বিয়ে, সব কিছুর একটা লিমিট থাকে।
নীল ঃ ইউ নো লিটিল ব্রাদার দুটো জিনিসে কখনোই লিমিট থাকে না এক নীল আর দ্বিতীয়টা নীলাদ্র সরকার।
নীল ক্রুর হেসেঁ চলে গেল। রক্তিম রাগে ফুসছে।
রক্তিম ঃ ভাবি আমি তোমার সাথে মিট করতে চাই। ব্যাপারটা ইম্পর্ট্যান্ট।
রক্তিম ফোনটা পকেটে রেখে চুলে হাত বুলিয়ে হাসঁলো।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো, এক বাড়িতে দুটো মানুষেরই জ্বর।
লামীম বোনের পছন্দের চকলেট, আইস্ক্রিম, ফুচকা, চটপটি সব হাজির করলো। নিলাসা তহ হুরের সাথেই লেগে আছে।
অন্যদিকে নীল তার রুমে শুয়ে আছে।
রুহানি লামহা দুই মা ই তাদের সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ত।
রুহানি নীলের জন্য পাস্তা বানাচ্ছে। তখনই পিছন থেকে ডেকে উঠলো তুবা
তুবা ঃ আন্টি,,,
রুহানি ঃ তুমি এইসময় এখানে
তুবা ঃ কেন আন্টি আমায় দেখে খুশি হন নি।

রুহানি ঃ না মা তেমন কিছু নয় আসলে তুমার সাথে কাল যা করেছে,,,,,
তুবা ঃ আন্টি ওইসব বাদ দিন। আমি কিছু মনে করি নি, ভালোবাসার মানুষটা খারাপ বললেও গায়ে একটু কমই লাগে। নীল অসুস্থ জেনে সব রাগকে পানির কাছে ধার দিয়ে চলে আসলাম।
চারুলতা ঃ নিকুচি করেছো। এখনো তুমাদের বিয়ে হয়নি, আর বিয়ের আগেই হবু শশুরবাড়ীতে এতোবার আসা যাওয়া দৃষ্টিকটু দেখায়। সেটা তুমি জানো না।
তুবা মুখ চুপসে নিল।

রুহানি ঃ মা এইসব বাদ দিন না পুরোনো দিন আর নেই।
চারুলতা ঃ কেন এখন কিহ খাবার হাত দিয়ে না তুলে পা দিয়ে তুলে খাও।
রুহানি ওহ থেমে গেল। চারুলতা মুখ বাকিয়ে চলে গেল।
রুহানি ঃ এইসব কিছু মনে করো না উনি আগের দিনের মানুষ।
তুবা ঃ না না আন্টি আমি কিছু মনে করিনি। মুরিব্বিরা দু একটা কথা না বললে কে বলবে।
তুবা(মনে মনে) ঃ বুড়ি এই বাড়িতে শুধু পাঁ রাখতে দে, তকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর দায়িত্ব আমার। ভিমরি বুড়ি।
রুহানি ঃ কিহ ভাবছো?

তুবা ঃ কিছু না।
রুহানি ঃ তুমি বসো আমি পাস্তাটা নীলকে দিয়ে আসছি।
তুবা ঃ আন্টি আমি যাই,,,,
রুহানি ঃ তুমি,,কিন্তু নীললল
তুবা ঃ আন্টি চিন্তা করবেন না, নীলকে সামলানোর যোগ্য আমি না হলে আল্লাহ ওর জন্য আমায় ঠিক করতো না।
রুহানি ঃ আচ্ছা যাও।
রুহানি ঢোক গিলল, তুবার কথাটা তার মনে ঘুরছে।
রুহানি ঃ স্বয়ং আল্লাহ যার সাথে যার জুটি মিলিয়েছে, সেটা ভাঙ্গার ক্ষমতা কিহ মানুষের থাকে। কখনোই নয়।

তুবা ভিতরে ঢুকলো। কফি টেবিলে পাস্তার ট্রেটা রেখে। নীলের পাশে গিয়ে বসলো।
নীল শুয়ে আছে। আধাশুয়া হয়ে।
তুবা ঃ নীললল
নীল ঃ হুম
তুবা ঃ তুমি কিহ কালকের বিষয়টা নিয়ে হেজিটেট করছো। আমি একটু মাইণ্ড করেছি। কিন্তু সেটাও ভুলে যাব। কারণ আমি তোমায় ভালোবাসি বেইবি।

নীল নিরুত্তর। তুবা নীলকে ছুতে গেলেই নীল জোরে হার্চি দিল। তুবা দূরে সরে গেল।
তুবা ঃ নীল বেইবি টিস্যু ইউস করো এভাবে তহ আশেপাশে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।
নীল ঃ সরি বেইবি বাট তুমি তহ ভালোবাসো বসো আমার কাছে।
তুবা নীলের এমন মিষ্টি কথায় নীলের পাশে বসতে গেলেই নীল তুবার মুখ বরাবর হার্চি দিল।
তুবা ঃ উমমম নীল।
নীল ঃ কিহ হলো বেইবি।
তুবা ঃ বেইবি আসলে আমার একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজ চলে এসেছে। আমি যাচ্ছি। টেইক কেয়ার।
নীল ঃ বেইবি,,,,,
তুবা চলে গেল। নীল হাসঁলো আলতো।

নীলের অবস্থা খারাপ তাই ইংগেজমেন্ট এর ডেট পিছনো হলো।
সন্ধ্যার দিকে
নীল বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি তার আকাশে
নিলাসা ঃ ভাইয়া,,,,
নীল ঃ হুম নিলাসা বল।
নিলাসা ঃ এই নাও কফি।
নীল ঃ ভালো করেছিস এখন এটাঁর বড্ড প্রয়োজন ছিল।
নীলাসা ঃ আচ্ছা ভাইয়া তুমার হাতের এই অবস্থা কিহ করে হলো।
নীল উত্তর না দিয়ে কফিতে চুমুক দিল।

নীল ঃ ওকে এইসময় পণ্ডিতি করতে কে বলেছে।
নিলাসা ঃ মানে?
নীল ঃ এটাঁ হুর বানিয়েছে তাইনা।
নিলাসা ঃ হুম,,,,
নীল নীলাসার মাথায় গাট্টা মারলো।
নীলাসা ঃ মারলে কেন?
নীল ঃ এটাঁ তোর পাকনা পণ্ডিত বান্ধুবীকে পৌঁছে দিস। পণ্ডিতি করার জন্য পুরস্কার হিসেবে।

হায়দার সরকার ঃ হ্যাঁ এটাঁ তহ খুবই আনন্দের সংবাদ আমরা তহ তোমার ই অপেক্ষায় আছি।
ফোনের বিপরীত পাশে ভেসে উঠলো কারো গম্ভীর কণ্ঠস্বর।
হায়দার ঃ ওকে তাহলে। নিজের যত্ন নিও।
হায়দার আর নাহিদ দুই ভাই ই একে অপরের দিকে তাকিয়ে সস্থির হাসঁলো।

নীলের হুরপাখি পর্ব ১৪

রাত 12 টা হুরের ঘুম আসঁছে না সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে তার ভালো লাগছে না। তাই ছাদে হাটাঁহাটিঁ করছে।
হুর স্থির হয়ে ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়ালো। নিস্তব্ধ রাত,হালকা বাতাস, আকাশে বাকাঁ চাঁদ, ঝলমল করা তারারা হুরকে মুগ্ধ করছে। হুর যখন প্রকৃতিতে মুগ্ধ তখনই এক ছায়ামূর্তি তার পিছনে দাঁড়ালো।
হুর কারও উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনে ঘুরতেই হুরকে ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে ফেলে দিল।

নীলের হুরপাখি পর্ব ১৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here