Death or Alive part 35

Death or Alive part 35
priyanka hawlader

পারস্য রাজ্যের আবহাওয়া সময়মতোই মনোরম। উদ্যানের চারপাশে শান্তির ছোঁয়া, তবে রাজ্যের ভেতরে কোথাও যেন আলোচনার হালকা চাপা গুঞ্জন।
প্রাসাদের জানালা দিয়ে ভেতরে এসে পড়ছে হালকা ভোরের আলো। রকিং চেয়ারে বসে দুলছে ওয়াজফান। হঠাৎ আলো এসে তার চোখে পড়তেই ধীরে চোখ মেলে তাকাল সে।
তার হাতে ধরা অর্ষার ওড়নাটির দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে ওয়াজফান। ঠোঁট নড়ল, আর বিড়বিড় করে বেরিয়ে এল কিছু ব্যথামাখা শব্দ—

“কত রাত কেটে গেল নির্ঘুম তোকে ছাড়া… তুই কবে ফিরে আসবি বল না? আবার কবে তোর মাঝে ডুবে শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারবো আমি? তোর শরীরের ঘ্রাণ ছাড়া তো আমার ঘুম হয় না তুই তো জানিস তবুও কেন লুকিয়ে আছিস।
এ কোন শাস্তি দিচ্ছিস তুই আমায়? আর কী ভুলেরই বা এরকম নির্মম শাস্তি দিচ্ছিস আমায়?”
ওয়াজফান দীর্ঘক্ষণ স্থির চোখে তাকিয়ে রইল সেই ওড়নার দিকে। তারপর আস্তে করে সেটাকে নিজের নাকের সঙ্গে চেপে ধরে ঘ্রাণ নিল।
দূরে থাকা নিজের লিটল মনস্টারকে যেন আরও একটু কাছে টেনে নেওয়ার জন্যই সে নীরবে চোখ বন্ধ করল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বিকেলটা ছিল অপূর্ব। হালকা রোদ মেঘের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ছে, ফুলে ভরা বাগান যেন সোনালী আভায় রঙিন হয়ে উঠেছে। দূরে পাহাড়ের গা বেয়ে হাওয়ার মিষ্টি ছোঁয়া আসছে, চারদিকে প্রজাপতির নাচন-কুদন।
অর্ষা বাগানে প্রজাপতির পেছনে ছুটছে। মুখে সেই শিশুসুলভ মিষ্টি হাসি—যেন হাসিটা পুরো পরিবেশকে আলোকিত করে তুলেছে। ছোটাছুটি করে দু’হাত বাড়িয়ে প্রজাপতিটিকে ধরার চেষ্টা করছে, আর প্রতিবারই প্রজাপতি হালকা ডানায় উড়ে সরে যাচ্ছে তার হাতের ফাঁক গলে।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ক্যালিয়ন সেই দৃশ্য দেখছে। তার চোখ একবার ফুলের দিকে, আবার আটকে যাচ্ছে অর্ষার মুখের হাসিতে। প্রতিটি মুহূর্তে তার ঠোঁটের হাসি আরও প্রসারিত হয়ে উঠছে। মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তটাই যেন তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।

কিন্তু হঠাৎই তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে অতীতের এক খণ্ডচিত্র।
দুই মাস আগের সেই দিনটি—যেদিন সে তার রেড ওয়াইনকে নিজের করে পেয়েছিল।
ফ্ল্যাশব্যাক,,
ওয়াজফান ও অর্ষা যখন মধুপুর গড়ের গভীর গ্রামে পৌঁছেছিল, সেই খবর পৌঁছে যায় ক্যালিয়নের কানে। ক্যালিয়ন ছুটে আসে—শুধু একটিবার অর্ষাকে দূর থেকে দেখার আশায়।
কিন্তু সেই দিন তার চোখের সামনে দেখা দেয় এক ভয়ংকর দৃশ্য। এখন মধুপুর এসে পৌঁছেছিল পাহাড়ের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখতে পায় পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অর্ষা, সামনে শূন্য খাদ। ক্যালিয়নের বুক কেঁপে ওঠে—সে বুঝতে পারে কিছু একটা ভয়ানক ঘটতে চলেছে।

এক নিমেষে নিজের নেকড়ে রূপ ধারণ করে দৌড় শুরু করে সে। বাতাস চিরে এগিয়ে আসে অর্ষাকে বাঁচানোর জন্য, কিন্তু সময় যেন তাকে ধোঁকা দিল। কয়েক সেকেন্ড দেরি—আর অর্ষা খাদের ভেতর পড়ে যায়।
ক্যালিয়নের বুকের ভেতর শেষ শব্দটি জমাট বেঁধে যায়। আর এক মুহূর্তও না ভেবে ঝাঁপ দেয় সে পানিতে।
তবে ভাগ্য সামান্য দয়া করেছিল। অর্ষা সরাসরি পানিতে পড়ে—পাহাড়ের একপাশে বেরিয়ে থাকা ধারালো পাথরে আছড়ে পড়েছিল। সেখানে পড়ে রক্তে ভিজে গিয়েছিল পুরো জায়গাটা।
ক্যালিয়ন ছুটে যায়। পাগলের মতো কোলে তুলে নেয় অর্ষাকে। মাথায় ফাটা ক্ষত, শরীর ক্ষতবিক্ষত। তবুও শ্বাস চলছে। সে সাথে সাথেই অর্ষা কে পাহাড়ের উপরে তুলে নিয়ে আসে।

সে জাদুশক্তি প্রয়োগ করে বারবার চেষ্টা করে—অর্ষার জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে। যদিও সে ওয়াজফানের মত জাদু শক্তি প্রয়োগ করে পুরোপুরি ক্ষত সারাতে পারেনা তবু ছোটখাটো অসুস্থতা কে সারাতে পারতো এইটুকু তার শক্তি আছে। তার কণ্ঠ কেঁপে উঠছে, হাত কাঁপছে, হৃদয় যেন ভেঙে যাচ্ছে। পাগলের মতো মন্ত্র পড়ছে, শক্তি ঢালছে, কিন্তু তবুও জ্ঞান ফেরে না অর্ষার।
শেষমেশ, আর কোনো উপায় না দেখে তাকে কোলে তুলে নেয়। অর্ষা কে সে অবস্থায় নিয়ে ছুটে আসে তার বাড়ির সামনে তবে এখানে এসে সে দেখতে পায় অর্ষার বাড়ি দাও করে আগুনে পুড়ছে , সেই জিনটা সব পুড়িয়ে দিয়ে চলে গেছে।

তবুও ক্যালিয়ন থামে না। অর্ষাকে শক্ত করে বুকে চেপে ধরে ছুটে যায় হসপিটালের উদ্দেশ্যে — তার রেড ওয়াইনকে বাঁচানোর জন্য নিজের প্রাণের সব শক্তি দিতে হলেও সে দিবে।
হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্র এক ডাক্তার দ্রুত এসে অর্ষাকে চেক করে একটি কেবিনে নিয়ে যায়। মাথার গভীর ক্ষত ব্যান্ডেজে ঢেকে ফেলা হয়। চারপাশে স্যালাইনের ফোঁটা পড়ার শব্দ, মেশিনের টিকটিক ধ্বনি—মুহূর্তটাকে করে তোলে ভারী।
ডাক্তার দীর্ঘশ্বাস ফেলে ক্যালিয়নের দিকে তাকায়।

—“উনার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল। এখনো বেঁচে আছেন ঠিকই, তবে কি হবে সেটা বলতে পারছি না আপনি আল্লাহকে ডাকুন।
বলে ডাক্তার অর্ষাকে নিয়ে চলে যায় অপারেশন থিয়েটারে।
কিছুক্ষণ পর,,,,
ডক্টর অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এসে বলে ”সরি,, আপনার রোগী কোমায় চলে গেছে । হয়তো তিনি খুব জলদি জ্ঞান ফিরে পাবে হয়তোবা অনেকটা সময়ও লাগতে পারে । আল্লাহ চাইলে দ্রুতই জ্ঞান ফিরে পেতে পারেন… তবে সবই এখন অনিশ্চিত।
ক্যালিয়নের বুকের ভেতর ঝড় বয়ে গেলেও সে কোনো শব্দ করে না। শুধু দূরে শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকে।
সে ভাবতে থাকে অর্ষা জ্ঞান ফিরে পাবে তো সেটা রেড ওয়াইন কে হারাতে চায় না, এই পৃথিবীর বুকে কোন এক জায়গায় তা রেড ওয়াইন ছিল এতদিন এটা ভেবে তার বুকে শান্তি ছিল তবে এখন যদি সেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় তখন কি হবে।

তবে পরমুহূর্তেই নিজে নিজে ভাবে না যেভাবেই হোক আমি আমার রেড ওয়াইন সুস্থ করেই তুলবো পরবর্তী তার মাথায় অন্য এক ভাবনা বাসা বাদে সেভাবে এবার কেননা নিজের রেড ওয়াইনকে নিজের কাছেই রেখে দেই।
কথাটা ভেবেই সে সঙ্গে সঙ্গে অর্ষাকে হাসপাতালে রেখে আবার ছুটে যায় সেই পাহাড়ের পাদদেশে—ঝরনার ধারে। সেখানে জাদুশক্তি প্রয়োগ করে সে সব চিহ্ন মুছে দেয়। যেন ওয়াজফান কোনদিনও জানতে না পারে, অর্ষা খাদের পানিতে পড়ার পরে তার সাথে কী ঘটেছিল। অর্ষা কোথায় গিয়েছে, কোথায় আছে এরপর এসব কিছুই এইটা জাদু শক্তির কারণে ওয়াজফান আর কোনদিনও জানতে পারবে না।
আর এ কারণেই ওয়াজফান অর্ষার পানিতে পড়ার পরের মুহূর্ত আর দেখতে পায় না তার বলটা কালো হয়ে ওঠে।
এরপর ক্যালিয়ন আবার ফিরে আসে হাসপাতালে।

কিছুদিন অর্ষা ভর্তি থাকে। চিকিৎসা চলতে থাকে নিয়মিত। তারপর ক্যালিয়ন অর্ষাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে আসে আমেরিকার সেই নির্জন জঙ্গলে। সবুজে মোড়া নির্জনতার মাঝেই সে তৈরি করে এক সুন্দর কটেজ।
এই কটেজের ভেতরে, অর্ষাকে ঘিরে সে গড়ে তোলে নিরাপদ এক আশ্রয়। তার চিকিৎসার সমস্ত আয়োজনও সেখানেই করে। ক্যালিয়নের হৃদয়ে তখন একটিই সান্ত্বনা—“অন্তত সে আমার কাছে আছে।”
কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয় তাড়া করে তাকে।
—“যদি কখনো জ্ঞান ফেরে… যদি আবার ও ওয়াজফানের কাছে ফিরে যেতে চায়? তাহলে কী হবে? আমি কি আবার হারাবো তাকে?”
ভয়ের মাঝেও সে নিজেকে শান্ত করে। ভাবে—“সেই দিন এলে দেখা যাবে। এখন অন্তত সে আমার সঙ্গে আছে, এটাই বড় পাওয়া।”

এক মাস কেটে যায়। অর্ষা কোমায় ডুবে থাকে, নিস্তব্ধ, নিথর। প্রতিটি দিন ক্যালিয়ন কাটায় প্রহর গুনে।
অবশেষে একদিন, অলৌকিকভাবে, অর্ষার চোখ ধীরে ধীরে খোলে। দীর্ঘ নিদ্রা ভেঙে ফিরে আসে তার নিঃশ্বাসে এক নতুন আলো।
ক্যালিয়নের বুক আনন্দে ভরে যায়—কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তেই অচেনা বিস্ময়ে ঢেকে যায়। তার মনে হয় যদি অর্ষা এখন ফিরে যেতে চায় তার ওয়াজফান এর কাছে।
তবে না এরকম কিছুই ঘটে না।
অর্ষা যেন কিছুই মনে করতে পারছে না। তার চোখে ক্যালিয়নের কোনো পরিচয় নেই। পরিচিত মুখ হয়েও সে অপরিচিত মনে হয়। তার প্রতিটি আচরণ কেমন যেন অদ্ভুত, অস্পষ্ট। সে কোনো কিছু মনে করতে পারছে না।
অর্ষার এরকম অবস্থা দেখে ক্যালিয়ন আবার ডাক্তার ডেকে আনে।
ডাক্তার পরীক্ষা শেষে জানায়—

—“মাথায় আঘাত এত গভীর ছিল যে উনার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। এটা স্থায়ী নয়। যেকোনো সময়, ধীরে ধীরে সবকিছু তার মনে ফিরে আসতে পারে।”
এই কথা শুনে ক্যালিয়নের বুক ধক করে ওঠে। ভয়ও জাগে, তবুও তার মুখে ফুটে ওঠে একরাশ হাসি।
এ যেন ভাগ্য তাকে নতুন এক সুযোগ দিয়েছে—অর্ষাকে নিজের কাছে রাখার সুযোগ।
ডাক্তার চলে গেলে, ক্যালিয়ন ধীরে ধীরে অর্ষার কাছে যায়। শান্ত কণ্ঠে বলে ওঠে—
—“আমি তোমার স্বামী। তুমি আমার অমূল্য ধন… আমার রেড ওয়াইন।”
অর্ষা তার দিকে তাকায়, বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে। কিছুই মনে পড়ে না, তবুও তার চোখে ভরসার এক টুকরো ছায়া খেলে না।
ক্যালিয়নের বুকের ভেতর ঢেউ খেলে যায়।

সে জানে—এই মুহূর্ত থেকে শুরু হলো তাদের নতুন এক অধ্যায়।
তবে, অর্ষা প্রথম প্রথম ক্যালিয়নকে স্বামী হিসেবে মানতে চায়নি। প্রতিটি কথায়, প্রতিটি আচরণে যেন খুঁজে বেড়াত কোনো অচেনা সত্য। চোখে ভরসার ছাপ থাকলেও হৃদয়ের গভীরে ছিল দ্বিধা—এই মানুষটি সত্যিই কি তার নিজের?
দিন যেতে থাকে, আর ধীরে ধীরে অর্ষার স্মৃতির খোলা পাতা ফিরে আসতে শুরু করে। ভাঙা ভাঙা টুকরো স্মৃতিগুলো একত্র হয়ে যেন জীবনের গল্প বলতে শুরু করে। কিন্তু সে জানত না—যে গল্প সে মনে করছে, তা আসলে সত্য নয়, বরং এক যাদুর জাল।

ক্যালিয়ন, নিজের অতল ভয়ের কাছে হার না মেনে, ব্যবহার করে তার অদ্ভুত জাদুশক্তি। অর্ষার মনের গভীরে পৌঁছে যায় সে। সেখানে পৌঁছে, ওয়াজফানের চেহারাটিকে মুছে দেয়—তার জায়গায় আঁকিয়ে দেয় নিজের প্রতিচ্ছবি।
অর্ষার মনে শুধু বেঁচে থাকে সেই সময়গুলোর স্মৃতি—যখন সে ভালোবাসায় ভরা দিন কাটিয়েছিল ওয়াজফানের সঙ্গে। কিন্তু সেসব স্মৃতিতে ওয়াজফানের মুখ আর নেই—তার জায়গায় আছে ক্যালিয়নের চেহারা, ক্যালিয়নের হাসি, ক্যালিয়নের স্পর্শ।
আর তাই যখনই অর্ষার মনে পড়ে যায় সেই ভালোবাসার মুহূর্ত, খুনসুটি কিংবা আদরের সময়গুলো—তার চোখে ভেসে ওঠে কেবল ক্যালিয়নের চেহারা।
প্রথমে অদ্ভুত লেগেছিল অর্ষার কাছে, কিন্তু ধীরে ধীরে সে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। অচেনা শূন্যতার জায়গা জুড়ে নেয় ক্যালিয়নের উপস্থিতি। বিভ্রান্তি গলে যায়, তার স্থানে জন্ম নেয় নতুন এক বিশ্বাস।
অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে অর্ষা ক্যালিয়নের দিকে তাকায়—

তার চোখে আর প্রশ্ন নেই, শুধু এক অনাবিল স্বীকৃতি।
এভাবেই ধীরে ধীরে অর্ষা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। ক্যালিয়নের পাশে কাটাতে শুরু করে তার দিনগুলো। জঙ্গলের কটেজে তারা খুঁজে পায় হাসি, শান্তি আর এক অদ্ভুত মায়াময় সুখ।
দুজনের ভুবন ভরে ওঠে একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তে—
যেখানে অর্ষার জন্য সবটাই নতুন, আর ক্যালিয়নের জন্য সবটাই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পূর্ণতা।

আকাশপথে পালিয়ে যাচ্ছে ইসাবেলা।
অনেকক্ষণ যাবৎ উড়ছে সে।
তার কোনো গন্তব্য নেই—
শুধু জানে,
যতদূর সম্ভব, যতদূরই হোক,
তাকে এখান থেকে পালাতে হবে।
প্রাণপণ চেষ্টা করে
সে আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলছে।
যেন পরী,
মুক্তির খোঁজে ভেসে চলা।
কিন্তু এবার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে,
তৃষ্ণায় কণ্ঠ শুকিয়ে আসছে।
চারদিকে তাকাতেই নজরে পড়ে—
দূরে এক ঝরনা।
তখন ধীরে ধীরে আকাশ থেকে নেমে আসে ইসাবেলা।
ঝরনার ধারে দাঁড়ায়,
শীতল জলের দিকে হাত বাড়ায়
তৃষ্ণা মেটাবার জন্য।
কিন্তু হঠাৎই—

তার বাড়ানো হাত কেউ শক্ত করে চেপে ধরে।
ইসাবেলা বিস্ময়ে চোখ মেলে তাকায়।
আর পরমুহূর্তেই তার চোখ দুটো
অবাক বিস্ময়ে বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে।
কারণ তার ঠিক সামনে—
অদম্য, ভয়ংকর অথচ পরিচিত রূপে
দাঁড়িয়ে আছে ড্যানিয়েল।
ড্যানিয়েলের মুখে ঝুলে আছে তৃপ্তির বাঁকা হাসি।
সে চোখ রেখে আছে ইসাবেলার চোখে।
ইসাবেলা কিছুটা ভয় পেয়ে যায় ড্যানিয়েলকে এখানে এ রূপে দেখে,
সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নেয়।
ড্যানিয়েল গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে—

“কি চোখ সরিয়ে নিলে কেন?
এখন কি তোমার ভয় লাগছে?
বাট বেবি, এখন তো ভয় পেয়ে লাভ নেই।
এই ভয়টা তো তোমার পাওয়া উচিত ছিল
বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে।
এখন তো আর ভয় পেয়ে কোনো লাভ নেই—
এখন শুধু তোমাকে পেতে হবে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি।
তুমি কি ভেবেছিলে আমার কাছ থেকে পালিয়ে তুমি পার পেয়ে যাবে?
মুক্ত হয়ে যাবে?
না…

আমার কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া যে এতটা সহজ নয়।
আমার সাথে এতদিন থেকেও তুমি আমাকে চিনতে পারলে না।
তুমি কি করে ভেবে নিলে আমি এতো সহজেই তোমাকে ছেড়ে দেবো?
ছেড়ে দেওয়ার জন্য কি তোমার হাত ধরেছিলাম নাকি আমি?
তবে হ্যাঁ, চলো—
আজ তোমাকে চিনিয়ে দেবো সবটা।
আমার ভালো রূপ, আর আমার খারাপ,
আর আমার নিম্নতম খারাপ—
যেটা আমি তোমার উপর দেখাতে চাইনি,
কিন্তু তুমি দেখাতে বাধ্য করলে।”

কথাগুলো শুনে যেন ইসাবেলার বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে।
ড্যানিয়েল আর এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে কোলে তুলে নেয়।
ইসাবেলা ছটফট করতে থাকে, তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
তবে ড্যানিয়েল শক্ত করে তাকে কোলে চেপে ধরে সোজা তাকে নিয়ে আসে নিকারো রাজ্যে।
ড্যানিয়াল এক ঝড়ের মতো ইসাবেলাকে নিয়ে গেল তার বেডরুমে। দরজাটা বন্ধ করে দিল এমনভাবে, যেন বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন হলো। মুহূর্তের মধ্যে সে ইসাবেলাকে ছুড়ে মারল বিছানায়।
ইসাবেলার গলা ছিঁড়ে বেরিয়ে এলো এক আতঙ্কিত চিৎকার—
— “আমি তোমার সাথে থাকতে চাই না! আমাকে যেতে দাও, আমাকে ছেড়ে দাও! তোমার মত জঘন্য লোকের পাশে আমি এক মুহূর্তও থাকতে পারব না!”

বলেই ইসাবেলা দরজার দিকে পা বাড়াতে নেয়
ড্যানিয়েল সঙ্গে সঙ্গে তার চুলের মুঠি ধরে তাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তার ঠোঁটে ঠোট ডুবিয়ে দেয়।
এরপর শুষে নিতে থাকে ইসাবেলা ঠোঁটের সব সাধ
এরপর আবার ইসাবেলাকে ছুড়ে মারে বিছানায়,
ড্যানিয়ালের চোখে তখন এক অদ্ভুত উন্মাদনা। ধীরে ধীরে নিজের শরীরের পোশাক খুলতে খুলতে সে এগিয়ে আসছে ইসাবেলার দিকে, ঠোঁটের কোণে শীতল এক নিষ্ঠুর হাসি—
— “হ্যাঁ, ছেড়ে দেবো… তবে তার আগে আমার একটা চাই। আমার একটা বেবি চাই। তুমি আমাকে সেটা দিয়ে চলে যেতে পারো, তাহলে তোমাকে আটকাবো না। এবার বলো, দিবে তো আমাকে বেবি?”
ইসাবেলা যেন ক্ষুব্ধ আগুনে জ্বলে ওঠে, তার কণ্ঠস্বর কেঁপে ওঠে রাগে ও ভয়ে—
— “অসভ্য! জানোয়ার! ইতর লোক! আমার কাছেও আসার চেষ্টা কোরো না। আমি শপথ করছি, কাছে আসলে তোমাকে খুন করে ফেলব!”

ড্যানিয়ালের অট্টহাসি কাঁপিয়ে তোলে ঘর। চোখে জ্বলে ওঠে পৈশাচিক উন্মাদনা—
— “কেন, বেবি? তুমি তো সখ করে পালিয়ে গিয়েছিলে। ভেবেছিলে আমার হাত থেকে বাঁচতে পারবে? না… আজ তোমাকে প্রস্তুত হতে হবে শাস্তি ভোগ করার জন্য।তোমার পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি এতটা ভয়ংকর দেব যে দ্বিতীয়বার পারলাম না কথা মাথায় আনবে না।আজ আমি নিজেকে তোমার মধ্যে স্থাপন করে দেবো আর আমার ভালবাসার চিহ্ন তোমার পেটে।
Be ready to take punishment, my girl…”
ড্যানিয়েলের কথাগুলো শুনেই ইসাবেলার বুক কেঁপে ওঠে। ভয়ে তার শরীর কাঁপতে থাকে, চোখের দৃষ্টি আতঙ্কে জমে যায়। সে স্পষ্টই বুঝতে পারে, ড্যানিয়েল কি ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে আসছে। মাথা ঝাঁকিয়ে বারবার ‘না’ বলতে থাকে ইসাবেলা—

— “না! আমি এটা চাই না! একেবারেই না… আমাকে ছেড়ে দাও!”
কিন্তু ড্যানিয়েলের চোখে যেন সেই আর্তি কোনো মূল্যই রাখে না। সে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসাবেলার উপর।
ইসাবেলা ছটফট করে উঠে চিৎকার করতে থাকে, চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। সে মরিয়া হয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ড্যানিয়েলের বাহু যেন লোহার শিকলের মতো শক্ত, প্রতিরোধের প্রতিটি চেষ্টাকে গিলে নিচ্ছে।
ড্যানিয়েল তার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের ভারি শব্দে ঘরটা যেন অন্ধকার হয়ে ওঠে। তার ঠাণ্ডা হাত ধীরে ধীরে নেমে আসে ইসাবেলার পেটে। আর সেই মুহূর্তে ফিসফিস কণ্ঠে, প্রায় শয়তানি সুরে বলে ওঠে—
— “আমি চাই… আমাদের একটা বেবি হোক। হ্যাঁ, ঠিক এখানে… তোমার ভেতরে। সে বড় হবে আমাদের ভালোবাসায়। বাবা হব আমি, আর মা হবে আমার ইসাবেলা… তখন আমাকে ছেড়ে যাওয়ার সাহস তুমি আর কখনো দেখাতে পারবে না।”

ইসাবেলা ভয়ংকর চমকে ওঠে। তার হৃদপিণ্ড যেন বুকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। অঝোরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে সে, মরিয়া হয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু যতই চেষ্টা করে, ততই ড্যানিয়েলের শক্ত আলিঙ্গন তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে তোলে।
ড্যানিয়েল ইসাবেলার পেটের উপর রাখা হাতটা ধীরে ধীরে উপরে তোলে এরপর জামার উপর দিয়ে ইসাবেলার বুকের নরম স্থানে চাপ দেয়।
ইসাবেলা ভয়ংকর ভাবে চেপে উঠে লজ্জায় ভয় ঘৃণা নোট একসঙ্গে তার মধ্যে এখন কাজ করছে সে নিজের হাত দিয়ে অনেক আটকানোর চেষ্টা করে ড্যানিয়েল কে।
ড্যানিয়েলের চোখ হঠাৎই রাগে লাল হয়ে ওঠে। ইসাবেলার চিৎকার আর আটকানো তে যেন বিরক্ত হয়ে ওঠে সে। ঠোঁটের কোণে এক শীতল হাসি ফুটে ওঠে—

— “চুপ করো… আর কোনো শব্দ চাই না।”
হঠাৎ তার আঙুল থেকে কালো ধোঁয়ার মতো এক অদ্ভুত আলো বেরিয়ে আসে। মুহূর্তের মধ্যে সেই আলো রূপ নেয় এক অদ্ভুত দড়িতে—অপরিচিত, শয়তানি জাদুর দড়ি।
ড্যানিয়েল হাত নাড়তেই দড়িগুলো জীবন্ত সাপের মতো ছুটে গিয়ে ইসাবেলার দুই হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় বিছানার দুই পাশে। এক ঝটকায় তাকে বেঁধে ফেলে, যেন ইসাবেলার আর কোনো নড়াচড়ার ক্ষমতাই নেই।
ইসাবেলা আতঙ্কে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে। সে মরিয়া হয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সেই দড়ি যতই টানে, ততই শক্ত হয়ে তাকে শিকলের মতো আটকে ফেলে।
ড্যানিয়েল ধীরে ধীরে তার জামার একটা অংশ ছিঁড়ে নেয়। তারপর সেটি পাকিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেয় ইসাবেলার মুখে—

— “এবার আর কেউ তোমার চিৎকার শুনবে না, ইসাবেলা…”
ঘরের ভেতর অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। শুধু শোনা যায় ইসাবেলার ভাঙা ভাঙা নিঃশ্বাস আর ড্যানিয়েলের নিষ্ঠুর হাসি, যা দেয়ালে প্রতিধ্বনি তুলে ঘরটাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলে।
ড্যানিয়েল এবার ইসাবেলার পোশাক ধীরে ধীরে করতে শুরু করে।
ইসাবেলা যেন চমকে যায় দুই হাত টানতে থাকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চোখের ইশারায় না করতে থাকে ড্যানিয়াল এমন করো না।
কিন্তু ড্যানিয়েল এক ঝটকায় ইবেলার পুরো পোশাকটা খুলে ফেলে,
ইসাবেলা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নেয় বাধা দু হাত দিয়ে কিছু খামচে ধরার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।
ড্যানিয়াল এবার মুগ ডুবাই সাবেক বুকের খাঁচে
সেখানে অসংখ্য চুমু এবং কামড়ে ভরিয়ে দেয়।
ইসাবেলা কেঁপে ওঠে চোখ দুটো খিচে বন্ধ করে রাখে মুখ দিয়ে গঙ্গানি শব্দ বের হচ্ছে বাধার কারণে তার চিৎকার বাইরে আসছে না।

ড্যানিয়াল ধীরে ধীরে ইসাবেলাট পুরো শরীরে নিজের অধিকারের দাগ কেটে দিতে থাকে,
ইসাবেলা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে চেয়েছে কিন্তু পারছে না।
এবার সে কিছুটা উঠে ইসাবেলার উপর থেকে এরপর চোখ বুলিয়ে পুরোটা শরীর দেখে ধীরে ধীরে বলে,
Your body is very beautiful.Just like a red cherry.
And I’m so yummy to eat this.
ইসাবেলার কান গরম হয়ে যায় এরকম কথা শুনে সে চোখ খিচে আরও বেশি বন্ধ করে নেয় নিজের এক পা দিয়ে অন্য পা নড়াচাড়া করে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।
ড্যানিয়েল এটা দেখে মুচকি হাসে এরপর নিজের গায়ে থাকা অবশিষ্ট পোশাক টুকু খুলে ফেলে।
এরপর,

সে হাত তুলতেই আবারও কালো আলো ঝলসে উঠল। সেই অশুভ আলোর দড়ি ইসাবেলার দুই পায়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল, টেনে নিয়ে গেল বিছানার দুই পাশে। মুহূর্তেই ইসাবেলা বন্দী হলো অচেনা শক্তির ফাঁদে।
ইসাবেলার চোখ ভিজে উঠল আতঙ্কে। সে চিৎকার করতে চাইলো, কিন্তু মুখে বাঁধা শব্দগুলোকে আটকে রাখল। শুধু তার দৃষ্টির গভীরে ভেসে উঠল অসহায়তা।
ড্যানিয়েল ধীরে ধীরে ঝুঁকে এলো তার দিকে, চোখে এক অগ্নিশিখার মতো দাহ জ্বলতে লাগল—
— “তুমি আমার… আমার জন্যেই জন্মেছো। তুমি যতই ঘৃণা করো, ততই আমি তোমাকে ভালোবাসব। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না, ইসাবেলা। তুমি শুধু আমারই থাকবে… চিরকাল।”

তার কণ্ঠে ছিল শয়তানি কোমলতা, ভয় আর ভালোবাসার এক পৈশাচিক মিশ্রণ। ঘরের বাতাস ঘনিয়ে উঠল, চারপাশ অন্ধকারের সঙ্গে মিশে এক অদ্ভুত রোমান্টিক ভয়ংকর আবহ তৈরি করল।
ইসাবেলা কাঁপছিল ভয়ে, তবু তার ভেতরে কোথাও যেন কেঁপে উঠল এক অজানা অনুভূতি।
এরপর ঘরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল উন্মাদনার এক অদ্ভুত ছায়া। জাদুর বাঁধনে আবদ্ধ ইসাবেলার অসহায়তা আর ড্যানিয়েলের পৈশাচিক আসক্তি মিলে তৈরি করল এক বিভীষিকাময় রাত। তবুও, সেই অন্ধকারে ভেসে উঠছিল এক অচেনা ভালোবাসার ছায়া—যা ছিল উন্মাদনা, দহন আর ভয়ের একসাথে মিশ্রণ।
ড্যানিয়েলের চোখে শুধু একটাই জেদ—

“ইসাবেলা শুধু আমার।”
আর ইসাবেলার চোখে ভেসে উঠছিল আতঙ্ক আর অশ্রুর ছায়া, তবুও কোথাও যেন বন্দী হয়ে গিয়েছে ড্যানিয়েলের উন্মাদনায়।
সারারাত চলল ড্যানিয়ে এর অস্থিরতা, টানাপোড়েন ইসাবেলার ভেতরে মিশে থাকার বিভীষিকাময় কাহিনী। রাত যেন শেষই হলো না—শুধু প্রতিধ্বনি হয়ে বাজছিল ইসাবেলার দমবন্ধ শ্বাস আর ড্যানিয়েলের উন্মাদ হাসি।
একসময় ক্লান্তি আর ভয়ের ভারে ইসাবেলার শরীর আর টিকতে পারল না। চোখ ভারী হয়ে এলো, শ্বাস কেঁপে উঠল, আর ধীরে ধীরে সে অজ্ঞান হয়ে বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে গেল।
ড্যানিয়েল তার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ফিসফিস করে বলল—
— “তুমি যতই পালাও, শেষমেষ তুমি আমারই হলে, ইসাবেলা… আমারই।”

বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ওয়াজফান। তার মনের ভেতর শুধু অর্ষারই ভাবনা। অস্থির মন—যেন সেই অস্থিরতা শান্ত করতে পারে একমাত্র তার লাড্ডু, তার লিটল মনস্টার।
ঠিক তখনই পিছন থেকে পা টিপে এগিয়ে আসে আয়রাক। মাথা নিচু, কণ্ঠে গম্ভীর সুর—
“বাদশা, অন্য দেশ থেকে একজন জীন এসেছে। আপনার সাথে নাকি তার খুব জরুরি কথা আছে। দেখা করতে চায়। অনুমতি দেব কি?”
ওয়াজফান ধীর কণ্ঠে বলল—
“আসতে দাও ওকে ভেতরে।”
আয়রাক চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পর সেই জীন প্রবেশ করে কক্ষে। প্রথমেই সে মাথা নত করে বাদশাকে সম্মান জানায়।
ওয়াজফানের চোখে গম্ভীর ছায়া, কণ্ঠে দৃঢ়তা—
“যা বলার জলদি বলো।”
জিনটি নিচু গলায় বলতে শুরু করল—

“বাদশা, বহুদিন যাবত আপনি বহু দেশে আমাদের রানীর খোঁজে জীন পাঠাচ্ছেন। আমিও বহুদিন ধরে আমেরিকায় রানী কে খুঁজে বেড়াচ্ছি। বেশ কিছুদিন আগে সাউথ আমেরিকার একটি জঙ্গলে—Mindo Nambillo Cloud Forest—সেখানে আমি এমন একজনকে দেখেছি, যিনি হুবহু রানীর মতো দেখতে। আমি অনেকদিন যাবত তাদেরকে লক্ষ্য করছি সব জায়গায়।
তবে একটা জায়গায় খটকা লেগেছে—ওই মেয়েটির সাথে সেখানে এক ব্যক্তি বাস করে, যে তার স্বামী হয়। তারা হাসিখুশি এক সুন্দর দম্পতি।
কিন্তু এতটা মিল… রানীর মতো এত হুবহু! আমি দ্বিধায় পড়ে যাই। নিশ্চিত হতে পারিনি বলেই আপনাকে জানাতে এলাম। এখন আপনার ইচ্ছা—খোঁজ নেবেন কিনা।”
ওয়াজফান তার চোখ সরু করে তাকাল, তারপর গম্ভীর স্বরে বলল—
“ঠিক আছে। তুমি এখন যাও।”

Death or Alive part 34

জীন মাথা নত করে সম্মান জানিয়ে সরে যায়। জিনটা যাওয়ার পরে ওয়াজফান এর মনে শান্তি অনুভব হয় চোখে জল জল করে জ্বলে ওঠে এক আশার আলো যেন এক অজানা খুশি টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। যেন তার লিটল মনস্টার কে ফিরে পাওয়ার এক নতুন আশা জন্মের উঠলো তার ভেতরে।
ওয়াজফান এরপরই আয়রাককে ডেকে পাঠায়। সে ভেতরে খুশি তবে মুখে এক হুংকার এ হুংকার কোন রাগের নয় বরং এক পাওয়ার আশা প্রত্যাশায়, তার চোখে জ্বলন্ত দৃঢ়তা—
“আয়রাক, এখনই সব ঠিক কর। আমি এই মুহূর্তেই আমেরিকার Mindo Nambillo Cloud Forest-এ যাবো।

Death or Alive part 36

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here