মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৩

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৩
সৌরভ চৌধুরী

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে। চৌধুরী বাড়ির সবাই হাসপাতালে
রাতে চৌধুরী বাড়ির কেউ আর বাড়িতে যাইনি তারা সবাই হাসপাতালে থেকেছে।
তবে গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে গেছে তখন চুপিচুপি চৌধুরী বাড়ির ৩জন ছেলেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেছে।

তবে তারা একসাথে বের হয় নি তারা একেক সময় একেকজন বেরিয়েছে তবে তাদের লক্ষ্য ছিলো সবাইকে না জানিয়ে লুকিয়ে বের হওয়া।
অন্ধকারে ঘেরা এক আস্তানার দরজায় প্রবেশ করার সাথে সাথে ভেসে আসলো কয়েকটি কন্ঠস্বর,
তারা একসাথে উচ্চস্বরে বলে উঠলো,
Welcome back King. Your kingdom awaits you

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরহাম ___ ধন্যবাদ।
আহির ___ বন্ধু তোর রাজ্যে তোকে স্বাগতম।তোর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে করতে আমি হাফিয়ে গিয়েছি। এখন তুই তোর দায়িত্ব বুঝিয়ে নে আমি একটু ছুটি কাটিয়ে আসি।
আরহাম __আহির (গম্ভীর স্বরে বলল)
আহির __আরে এতদিন পর এলি কোথায় সবার সাথে একটু আড্ডা দিবি। তা না গম্ভীর স্বরে ডাকতেছিস।
আরহাম ___আমি মজা করার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। আমার রক্ত চাই। আমি তৃষ্ণা পেয়েছে। আমি রক্ত চাই। আমার শরীর জ্বলতেছে।

আরহামের মুখে এই কথা শুনে আজ থেকে কয়েক বছর আগের সেই বিভৎস অতীতের কথা আহিরের মাথায় ঘুরতেছে। সেদিনও আহির এই কথাটা বলেছিলো। তবে সেদিনের তুলনায় আজ আহিরের কন্ঠস্বরে দ্বিগুন তেজ আর গম্ভীরতা।
তাহলে কী আবারো কারো জীবন থমকে যাচ্ছে। আবারে কী পৃথিবী থেকে কোনো পাপীষ্ঠের অসহ্যকর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু দেখবে।
আহির কাঁপা কাঁপা স্বর বলল,
আহির ____ বন্ধু শান্ত হ
আরহাম ____ আমি ওদের রক্ত দিয়ে গোসল না করলে আমি শান্ত হতে পারবো না।আমার রক্ত চাই। (উচশব্দে হাসতে হাসতে বলল)
কি ভয়ংকর সেই হাসি। আরহামের মুখে এই হাসি দেখে আহিরের বুক ধক করে উঠলো। আরহামের অনুপস্থিতিতে আহিরই তো আরহামের গ্যাং এর দায়িত্ব সামলিয়েছে। কত নরপশুকে শেষ করেছে নিজ হাতে, কই তখন তো আহিরের বুক ধক করে উঠে নি। তাহলে আজ কেন আহিরের বুকের ভেতর এমন হচ্ছে?
আরহামের সেই ভয়ংকর হাসি দেখে নাকি আরহামের সাইকো হয়ে অত্যাচার করে নরপশুদের শেষ করার বিভৎস অতীতের কথা মনে হয়ে।
আরহাম গম্ভীর ভাবে জোড়ালো কন্ঠে বলে উঠলো,

আরহাম __ আহির আমার সকল লোকদের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়ে আসতে বল। এবার হবে রক্তের খেলা। রক্ত নিয়ে খেলবো।
আহির ধীর গলায় বলে উঠলো,
আহির __ তা না হয় বললাম কিন্তু তুই কাকেই বা শেষ করতে চাচ্ছিস।
আরহাম ___ আমি এখনো তাকে খুঁজে পাই নি। আমার যতলোক আছে সবাইকে লাগিয়ে দে, আমি জানতে চাই, NSI ফিল্ড অফিসার আয়মান চৌধুরী অর্থাৎ সিক্টের এজেন্ট AK এর খুনের পেছনে কার হাত আছে।
সবাইকে লাগিয়ে দে।
আহির __ আচ্ছা ঠিক আছে।
তুই আগে শান্ত হয়ে বল এই আয়মান চৌধুরী কে?
আর তার খুনের জন্য তুই এরকম সাইকোর মতো বিহ্যাব করছিস কেন?
আরহাম রক্ত চক্ষু নিয়ে আহিরের দিকে তাকালো,
আহির আরহামের চোখের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে বলল,

আহির __ না মানে আসলে………
আরমান ___ উনি আমার চাচ্চু, আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, আমার খেলার সাথী। তার খুনের পেছনে যেই থাকুক আমি তার বুক থেকে কলিজা টেনে ছিড়ে ফেলবো।
এই কথাটা বলেই আরহাম তার গোপন আস্তানা থেকে বের হয়ে গেলো, সে একবারো দেখলো না তার পেছনে ফেলে আসা তার বন্ধু আহির কে সে হতভম্ব হয়ে যে তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
অন্যদিকে,
আবরাজ হসপিটাল থেকে বের হয়ে দেখতে পেলো ২জন বিদেশী লোক গাড়ি নিয়ে তার অপেক্ষায় আছে।
আবরাজ তাদের দিকে এগিয়ে গেলো।

আবরাজ ____ ডেভিড, এলেক্স (২জনের নাম ধরে ডাকলো)
ডেভিড ___ কেমন আছেন স্যার? (সন্মানের সাথে জিজ্ঞেস করলো)
আবরাজ ____আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমাদের আসতে কোনো সমস্যা হয় নি তো?
এলেক্স ____ না স্যার। তবে স্যার আপনি লন্ডনের মতো দেশের রাজত্ব রেখে কেন বাংলাদেশের মতো একটা দেশের মন্ত্রী হলেন, আপনি চাইলে তো…….
আবরাজ __ থামো এলেক্স। (রাগান্বিত স্বরে বললো) বাংলাদেশের মতো দেশ মানে! এটা আমার দেশ, আমার জন্মভূমি, আমার মাতৃভূমি। এই দেশ আমি সাধারণ মানুষ হয়েও যেমন সাচ্ছন্দ্য বোধ করি লন্ডনের সেই আয়েশী রাজত্বে আমি এই রকম সাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম না।

ডেভিড ___ স্যার শান্ত হোন। ও বুঝতে পারে নি। আপনি তো জানেন ওর মাথায় শর্ট সার্কিট হয় মাঝে মাঝে
এলেক্স ____স্যরি স্যার আমি ঐরকম ভালো বলতে চাইনি।
আবরাজ ____ বাংলাদেশে আমার যত এজেন্ট আছে সবাইকে একটিভ হতে বলো।
বলো স্যাডো কিং এসে গেছে রক্তের হলি খেলতে।
ডেভিড ___ স্যার মনে হচ্ছে এবার রক্তগুলো অনেক শান্তিতে পান করে তৃষ্ণা মেটাবেন।
আবরাজ রহস্যময়ী হাসি দিয়ে সন্মতি জানালো,
আবরাজ ___ আমি তোমাদের হটসঅ্যাপে একটা ফটো দিয়েছি দেখো।তার অতীতের সকল কাজ, সে কোথায় যেত? কী করতো? কাদের সাথে মিশতো? তার শত্রু কে কে ছিলো? আমার সব জানা চায়
এলেক্স ___ ডোন্ট ওরি স্যার।

আমার তাহলে এখন আসি। ভালো থাকবেন।
কথাটি বলে এলেক্স আর ডেভিড চলে গেলো।
তারা চলে যেতেই আবরাজ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
আবরাজ ___ চাচ্চু তোমাকে যারা আমাদের কাছে থেকে কেড়ে নিয়েছে, যারা আমার মায়াবতীর কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিয়েছে। তাদের আমি শেষ করে দিবো৷
তাদের অপেক্ষায় আছে আমার সিংহগুলো।
কথাটি বলে উচ্চশব্দে হেসে উঠলো।
কি বিভৎস সে হাসি। এই হাসি টা কোনো সাধারণ মানুষের হাসি না, এই হাসিতে ঝড়ে পরতেছে ক্রোধ,প্রতিশোধের নমুনা।
আবরাজ ধীর পায়ে চলে গেলো হসপিটালের ভেতরে।
অপরদিকে,

আবরার বসে আছে একটা গেপন রুমে। তার মুখ গম্ভীর, কপালে চিন্তার ভাজ।
তার সামনে পুরনো অনেকগুলো ফাইল।
সে একের পর এক ফাইল মনযোগ দিয়ে দেখতেছে।
একের পর এক ফাইল পড়তেছে আর যেন কপালে একটা করে ভাজ বেশী পরতেছে।
আবরার ____ চাচ্চুর খুন হঠাৎ পরিকল্পনায় করা হয়নি। এই খুন করা হয়েছে ঠান্ডা মাথায় অনেক বছরের প্লান করে।আমার মনে হচ্ছে যে এই কাজ করেছে সে আমাদের পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ।
কে করেছে এই কাজ? কে হতে পারে? যেই করুক আমি তাকে ছাড়বো না। (কপালে হাত রেখে বলল)
স্টাফ অফিসার ____ স্যার আপনি মনে হয় আমার চাচ্চুকে খুব ভালোবাসতেন।
আবরার ___ আমি তো জানতামই না যে আমার কোনো চাচ্চু ছিলো। সবাই আমাদের থেকে লুকিয়েছিলো।
স্টাফ অফিসার ___আপনার ভাই রাও বলেনি।

আবরার ____ না, তবে আমি যখন বুঝতে শিখি তখন থেকে দেখেছি, আরহাম ভাইয়া বাবার সাথে কথা বলে না, আর আবরাজ ভাইয়া তো দেশ ছেড়েই চলে গিয়েছিলো। কাল জানতে পারলাম এসবের কারণ।
তবে আমি বাবা- মাকে একটা ফটো হাতে নিয়ে কান্না করতে দেখেছি। আমি ভেবেছি, হয়তো দাদু বা দাদির ফটো হবে।
স্টাফ অফিসার ____ স্যার আপনার মনে হচ্ছে না আপনার চাচ্চুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক।
আবরার _____ হ্যা আমিও এটাই ভাবতেছি।এটাই আমার ভাবনার বিষয়।
স্টাফ অফিসার ____ আমার মনে হচ্ছে আপনাদের পরিবারের কোনো অতীত আপনার চাচ্চুর খুনের সাথে জড়িত।
আবরার ___ কারণ যায় হোক। যে আমার পরিবারের কান্নার কারণ তার চোখ আমি তুলে নিবো।
কথাটি বলেই আবরার রুম থেকে চলে গেলো।

সকালে,
সবার আগে মেহেকের ঘুম ভাঙ্গে। মেহেক ঘুম থেকে উঠে দেখে চৌধুরী বাড়ির সবাই চেয়ারে ঘুমিয়ে আছে। আর মেহেক সে তো আবরাজের কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলো।
মেহেক তো লজ্জায় বিরবির করে বলল,
মেহেক ___শশশ… কি লজ্জা। আমার আগে কেউ যদি ঘুম থেকে উঠতো তাহলে কি এক লজ্জায় পরে যেতাম।
কথাটা ভাবতে ভাবতে মেহেক দৌড়ে রেহেনা চৌধুরীর কেবিনে চলে গেলো।
মেহেক একবারো পেছনে ফিরলে দেখতে পেতো,
সে যার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলো, তার মন্ত্রী সাহেব জেগে জেগে তার মায়াবতীকে দেখতেছিলো, মেহেকের ঘুম ভাঙ্গতে দেখে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলো মেহেক লজ্জা পাবে তাই।
মেহেক গিয়ে রেহেনা চৌধুরীর পাশে বসলো।

রেহেনা চৌধুরীর দিকে এক মনে তাকিয়ে থাকলো, তার খুব তার মায়ের কথা মনে পরতেছে।
তার মা তো বলতো তার বড় মা নাকি অনেক ভালো।
তার বাবা বলতো তার ভাবি মা ছিলো তার পুরো পৃথিবী
মেহেক আজ তা উপলব্ধি করতে পারতেছে, এই মানুষটা কেন তার বাবার পুরো পৃথিবী ছিলো।
তবে মেহেক এটাও বুঝতে পেরেছে, তার বাবা কোনো সাধারণ ঘরের সন্তান ছিলো না, আর তার বাবাকে যারা খুন করেছে তাদের ও চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা ছাড়বে না।

কিন্তু সে তো তা চায় না, সে তো আর কাউকে হারাতে চায় না।
সে একটু শান্তিতে বাঁচতে চায়, একটু ভালোবাসা চায়।
মেহেক এাব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে তার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরলো সে বুঝতেও পারে নি। আর তার চোখের পানিটি পরলো রেহেনা চৌধুরীর চোখের পাতার ওপর।
রেহেনা চৌধুরী চোখ খুলেই দেখতে পেলো মেহেক তার দিকে তাকিয়ে এক মনে কি যেন ভাবতেছে তার তার চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়তেছে।

মা ___ এই পাগলি মেয়ে কান্না করছিস কেন?
মেহেক ___ পুরনো দিনের কথা মনে পড়লো এজন্য চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে।
মা ____ তোর কান্না করার দিন শেষ তোর আর কান্না করতে হবে না। তোর চোখের পানি বের করার কারণ যে হবে তাকে আমি শেষ করে দেবো তুই আমার আয়মানের শেষ চিহ্ন।
কথাটি বলে ছল ছল চোখে রেহেনা চৌধুরী মেহেককে জড়িয়ে ধরল।
তাদের এই সুন্দর দৃশ্য দরজায় দাঁড়িয়ে দেখতে পেল চৌধুরী পরিবারের তিনজন রহস্যময় যুবক। তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি। আজ যেন তাদের পরিবারের পরিপূর্ণ হলো।

তাদের দেখা মাত্র রেহেনা চৌধুরী তাদেরও কাছে ডাকলো।
তারা কাছে যেতেই তাদেরও রেহেনা চৌধুরী জড়িয়ে ধরলো।
এভাবেই কেটে গেল তিনটি দিন। এই তিন দিনে তারা তিন ভাই নিজেদের মতো করে তাদের চাচ্চুর খুনের রহস্য উদঘাটন করার কাজ চালিয়ে গেলো।
বাবা _____ আমি এখন সুস্থ। আমি আর এখন হসপিটালে থাকতে পারবো না। এখানে থাকলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যাব। আমি বাড়িতে চলে যাব।
আরহাম ____ দেখো বাবা তুমি এখনো অসুস্থ। তোমার এখানে থাকা উচিত। এখানে তোমার দেখাশোনার জন্য ডাক্তার রয়েছে নার্স রয়েছে। বাড়িতে তোমার অসুবিধা হবে।
বাবা _____ আমার কোন অসুবিধা হবে না। তাছাড়া আমার মা তো আছে (মেহেক কে উদ্দেশ্য করে বলল) তা মা তুমি আমার সেবা করবে না।
আয়ান চৌধুরীর মুখ থেকে মা ডাক শোনার সাথে সাথে তার বাবার কথা মনে পড়ে গেল। তার বাবাও তাকে মা বলে ডাকত।

মেহেক ছল ছল চোখে আয়ান চৌধুরীর দিক থেকে তাকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিল অর্থাৎ সে সেবা করবে।
আয়ান চৌধুরীর জেদের জন্য বাধ্য হয়ে তাকে বাড়িতে আনতে হলো।
আয়ান চৌধুরীকে বাড়িতে আনার পর থেকে তার পাশ থেকে মেহেক উঠতেছে না। আয়ান চৌধুরীর সকল কাজে সহযোগীতা মেহেক করতেছে।
রেহেনা চৌধুরী কে ও কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না তাকেও রেস্ট করতে বলেছে মেহেক।
অগত্যা বাধ্য হয়ে রেহেনা চৌধুরী মেহেকের পাশে চেয়ার নিয়ে বসে আছে।

অন্যদিকে,
এরিন আর জারিন বসে আছে তার বাবা আমজাদ শেখের সামনে।
আজ সকালে জারিন এসেছে শেখ বাড়িতে।
জারিন ___ বাবা এরিন কে বুঝাও। এরিন যা শুরু করেছে চৌধুরীরা আমাদের ধ্বংস করে দিবে।
জারিনের কথা শুনে আমজাদ চৌধুরী বাকা হাসি দিলো।
আর বলল,
আমজাদ ___ চৌধুরীরা আমাদের শেষ করবে 😀। উল্টো আমিই চৌধুরীদের শেষ করে দিবো। আমার মেয়েকে ধোঁকা দেওয়া। শেষ করে দিবো ওদের।
জারিন ___ বাবা তুমি কি ভুলে গেছো ঐ চৌধুরী বাড়ি কিন্তু বড় মেয়ের শশুর বাড়ি।
আমজাদ ____ ভুলি নি।
জারিন ____ যায় হোক বাবা। তোমরা ধ্বংসের খেলা বন্ধ করো। তোমরা জানো না চৌধুরীরা কতটা ভয়ংকর। তারা অনেক রহস্যময়ী। আমি এত বছর হলো আরহামের সাথে সংসার করি। আমার মনে হয় আমি এখনো আরহাম কে চিনতেই পারিনি।বাকিদের কীভাবে চিনবো? ওরা অনেক অদ্ভূত।
জারিনের কথা শুনে আমজাদ চৌধুরী রেগে গেলো,
রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গর্জে উঠে বলল,

আমজাদ __ তোমাকে কি বলেছিলাম আমি ভুলে গেছো? তোমার ভালোবাসা আরমান সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য তোমাকে শর্ত দিয়েছিলাম ভুলে গেছো। চৌধুরী পরিবারের রহস্য আমি জানতে চায় (চিৎকার করে বলল)
জারিন বাবার কথা শুনে ভয়ে শুকনো ঢোক গিলল,
জারিন কাঁপা কাঁপা স্বরে বলল,
জারিন ___ বাবা আমি যেমন তোমাদের ক্ষতি চাই না, তেমনি ওনাদের ও ক্ষতি চাই না। ঐটা আমার শশুর বাড়ি বাবা
জারিনের কথা শুনে আমজাদ চৌধুরী রহস্যময় বাঁকা হাসি দিয়ে বলল,

আমজাদ ___ তোমাকে তা নিয়ে ভাবতে হবে না। তোমাকে যে কাজ দিয়েছি তুমি সেই কাজ করো।
কথাটা বলে আমজাদ চৌধুরী সেখান থেকে চলে গেলো,
আমজাদ শেখকে উপরে আসতে দেখে আজাদ শেখ (জারিনের চাচা) দাড়িয়ে গেলো,
আজাদ ____ ভাইয়া চৌধুরী বাড়িতে তো এরিন এখন বউ হয়ে যেতে পারবে না। আবরাজ তো বিয়ে করেছে এখন কিভাবে কী করবা? আমার তো মনে হচ্ছে না জারিন তার কাজ করতে পারবে?
যেভাবে হোক এরিনকে ঐ বাড়ির বউ বানাতে হবে।
আজাদ শেখের কথা শুনে আমজাদ শেখ এক চিলতে হাসি দিয়ে বলল,
আবরাজ বিয়ে করেছে তো কি হয়েছে আবরার তো আছে। এবার খেলবো মাইন্ড গেম।এই মাইন্ড গেমের রাজ্যে আমিই রাজা।
আমজাদ শেখের কথা শুনে আজাদ শেখ বলল,

আজাদ ____ আবরার কে বিয়ে করতে এরিন রাজি হবে তো? না মানে এরিন তো আবরাজ কে পছন্দ করতো। এজন্য তাকে আমরা গুটি হিসেবে ব্যাবহার করতে পারতাম।
আমজাদ শেখ জোর গলায় বলল,
আমজাদ ___ রাজি তাকে হতেই হবে। হয় সোজা পথে না হলে বাঁকা পথে।
কথাটি বলেই ২ভাই উচ্চ শব্দ হেসে উঠলো।
তাদের ২ভাই এর কথা যে আরেকজন আড়াল থেকে শুনলো তারা খেয়াল ও করলো না,
আশা শেখ (জারিনের মা) ___ পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তোমাদের ধ্বংস অতি নিকটে আমি দেখতে পাচ্ছি।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ২

এ কোন রহস্যের বেড়াজালে আবধ্য হলাম আমরা।এখন কি তবে চৌধুরী পরিবার আর শেখ পরিবারের দন্দ্ব প্রকাশ্যে আসবে? আমজাদ চৌধুরীর ফাঁদে কি তাহলে আবরার আটকে যাবে? জারিন আর আরহামের বিয়ের রহস্য কি? আশা শেখ কেন বলল শেখ পরিবারের ধ্বংসের কথা, রহস্যের গোলক ধাঁধা আমাদের কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
রহস্য উন্মোচন করতে আমাদের গল্পের সাথেই থাকুন।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here