মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৪

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৪
সৌরভ চৌধুরী

ব্রেকিং নিউজঃ- ১০০ জন নারী পাচার, দেশে RDX এবং রাশিয়ান অস্ত্র প্রবেশকারী চক্রকে ধরেছে DGFI এবং BGB এর চৌকশ টিম।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই চোরাকারবারী, নারী পাচার,RDX এবং রাশিয়ান অস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছানোর কাজ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাশেদ খান, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ইকবাল ভূঁইয়া, বিজিবি এর ডিজি আসিফ মাহমুদ, Rab এর ডেপুটি ডিরেক্টর হাসান, পুলিশের IGP মেনন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম, টপ বিজনেসম্যান আজিজ গ্রুপের মালিক আজিজ।
ঢাকা শহরের মাফিয়াদের গডফাদার আলী ভাই।

আজ প্রথম সারীর সকল গণমাধ্যম এই হট নিউজটি একেরপর এক সম্প্রচার করতেছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে আল জাজিরা, CNN,BBC,রয়টার্স, The New York Times নিউজটি সম্প্রচার করলো।
দেশের গ্রাম থেকে শহরে সকল জায়গায় এই সংবাদ পৌঁছে গেলো।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে, ড্রয়িংরুম পর্যন্ত আজ এই একটা কথাই চলতেছে এই দেশের ভবিষ্যৎ কি?
কীভাবে চলবে এই দেশ? শাসকই যদি হয় শোষক তাহলে দেশ কীভাবে উন্নত হবে?
তাহলে কি আমাদের আবারো পরাধীনতার শিকল পরতে হবে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“দেশ স্বাধীন, কিন্তু মন এখনো বন্দী।
রাজনীতির নাম করে যখন শোষকরা রাজা হয়, তখন স্বাধীনতার রোদেও ছায়া পড়ে।”
অন্যদিকে,
আবরাজ, আরহাম,আবরার বসে আছে তিনরাস্তার মোড়ে।
তাদের ৩জনের মুখেই রহস্যময় হাসি।
আবরাজ পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল দিলো,

আবরাজ _____ আক্রমনের শিকার হয়ে যখন বাঘের রুপে থাকা শিয়াল পালিয়ে যাবে তখনি খাদ্য শৃঙ্খলের মতো বাজপাখির আগমন ঘটবে। আহত শিকারকে ছো মেরে নিয়ে যাবে নিজ ঠিকানায়।
কথাটি বলেই কল কেটে দিয়ে ৩ ভাই রহস্যময়ী হাসি দিলো।
আজ তারা খুব খুশী। তাদের প্ল্যানের ১ম ধাপ সম্পূর্ণ।
এখন এদের থেকে জানতে হবে এদের বস কে?
কে এই বড় দেশদ্রোহী, যে এই দেশে থেকে এই দেশেরই ক্ষতি করতে চাচ্ছে?
পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্র আর RDX কেন দিতে চাচ্ছে? ওদের পরিকল্পনা কি?
অন্যদিকে,

দেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা খানম পায়চারী করতেছে, তার সামনে দাড়িয়ে আছে তার ছেলে জনতা দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম।
তাদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।
এত বড় দেশদ্রোহী দলের এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলো। আর কে কে এর সাথে জড়িত? কাকে রেখে কাকে বিশ্বাস করবে?
এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবে?
বৈদেশিক চাপ, নিজ দলের ভেতর কোন্দল সব চিন্তা ঝেকে ধরেছে? কীভাবে কি করবে কিছু বুঝতেছে না।
তখনি তার মাথায় একটা নাম এলো আবরাজ।
হ্যা এই সমস্যা মোকাবেলা একমাত্র আবরাজই করতে পারবে।
তিনি সাথে সাথে তার ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলল,

প্রধানমন্ত্রী ____ দ্রুত আবরাজ কে কল দাও আর বলো এখনি যেন প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনে আসে।
তারিকুল ____ কিন্তু মা ও তো এখন দিনাজপুর আছে৷ আসতে আসতে ৭/৮ ঘন্টা লেগে যাবে।
এতক্ষণ এই পরিস্থিতি নিয়ে চুপ থাকা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী ____ আবরাজ কে ফোন দাও আমি কথা বলবো।
(কথাটি বলেই তার ফোনটি দিলো তারিকুল কে)
তারিকুল ____ ঠিক আছে।

অন্যদিকে,
আবরাজ সবার সাথে বসে কথা বলতেছিলো বিয়ের বিষয় নিয়ে।
তবে রেহেনা চৌধুরী গম্ভীর হয়ে বসে আছে দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি ভালো করেই জানেন এই ঘটনা সয়ং তার ছেলেরাই ঘটিয়েছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবে?
ঠিক তখনি আবরাজের ফোন বেজে উঠলো।
আবরাজের ফোন মেহেকের কাছে ছিলো, অনলাইনে পোষাক দেখতেছিলো, ফোনের স্কিনে “প্রধানমন্ত্রী” লেখা দেখে একটু অবাক হলো।

মনে মনে ভাবলো, বাহহ তার স্বামীর তো ভালোই পাওয়ার সয়ং প্রধানমন্ত্রী কল দেয়। পরক্ষণেই মনে পরলো আরে দিবে না কেন আমার স্বামীও তো একজন মন্ত্রী।
আবরাজ ফোনটা হাতে নিয়ে অবাক হলো না। কারণ সে জানতো প্রধানমন্ত্রী তাকে কল দিবে। আর আবরাজ তো প্রধানমন্ত্রী কলের অপেক্ষাতেই ছিলো।

আবরাজ _____ আসসালামু আলাইকুম নেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী _____ ওয়ালাইকুম সালাম।
আবরাজ তুমি এখন কোথায় আছো?
আবরাজ ______ আমি তো দিনাজপুর শ্যামপুর গ্রামে আছি।
প্রধানমন্ত্রী ______ বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চই তুমি অবগত।
আবরাজ _____জী নেত্রী।আমি সেই বিষয়টি নিয়েই ভাবতেছি।
ছেলের মুখে এই কথা শুনে রেহেনা চৌধুরী ভ্রু কুঁচকে তাকালো ছেলের দিকে, এ তো দেখি বড় নাটকবাজ। এ নাকি ঐ বিষয় নিয়ে ভাবতেছিলো। এতো ভাবনা চিন্তার মাথায় বারি দিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলল,

প্রধানমন্ত্রী ______ আমি এখনি দিনাজপুর সেনানিবাস থেকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার – লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওসমানী কে পাঠাচ্ছি হেলিকপ্টার দিয়ে তোমাকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌছে দেওয়ার জন্য।
আমি তোমার অপেক্ষায় আছি, দ্রুত এই পরিস্থিতি সামলাতে হবে।
না হলে আমাদের পতন হয়ে যাবে।
আবরাজ ______ আপনাকে চিন্তা করতে হবে না নেত্রী। আমি সব সামলে নিবো।
কথাটি বলেই কল কেটে দিলো।
এতক্ষণ সবাই আবরাজের দিকে তাকিয়ে ছিলো,
সবাই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আরহাম সরাসরি প্রশ্ন করলো,

আরহাম _____ এখনি যেতে বলল নাকি?
আবরাজ ____ হ্যা। হেলিকপ্টার আসতেছে। দ্রুত যেতে হবে।
আরহাম ____ আমিও যাচ্ছি।
আবরাজ _____ না। তুমি এখানে থাকো। পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তোমাকে থাকতে হবে। আর আবরার তোকে ঐখানে প্রয়োজন।
দ্রুত রেডি হয়ে আয়।
আবরার মাথা নাড়িয়ে সন্মতি দিয়ে তার রুমের দিকে দৌড়ে গেলো।
আবরার নিচে আসতে আসতে হেলিকপ্টারের শব্দ পাওয়া গেলো।
সবাই দ্রুত বেড়িয়ে এলো।
হেলিকপ্টারকে নিচে না নামিয়ে দড়ি ফেলে দেওয়া হলো।
দড়ি দিয়ে উঠতে হবে দেখে মেহেক দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো আবরাজ কে আর বলল,

মেহেক ____ আপনাকে উঠতে হবে না। আপনাকে যেতেও হবে না।
এই দড়ি বেয়ে উঠলে যদি নিচে পরে যান তাহলে কি হবে ভেবেছেন।
আবরাজ _____ আরে বউ স্ট্রং হও। তুমি একজন মন্ত্রীর বউ। একজন মন্ত্রীর কাছে আগে দেশের নিরাপত্তা তারপর নিজের।
আমাকে যেতে হবে আর এরকম দড়ি বেয়ে এর আগেও অনেকবার উঠেছি তাই চিন্তা নেই।
আবরাজ মেহেক কে ছেড়ে দিয়ে দড়ি ধরলো।
আবরার একবার রুশার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো রুশার চোখ ছলছল করতেছে।
আবরার আর কিছু না ভেবে আবরাজের পেছন পেছন দড়ি দিয়ে উঠতে লাগলো।
২ ভাই প্রফেশনালদের মতো দড়ি বেয়ে উঠে গেলো।
তারা উঠতেই হেলিকপ্টার চলে গেলো।
যতক্ষণ হেলিকপ্টার দেখা যায় ততক্ষণ সবাই তাকিয়ে থাকলো।
সবাই চলে যেতেই রেহেনা চৌধুরী আরহামের উদ্দেশ্যে বলল,

মা ____ আবরাজ কেন বলল সেখানে আবরারকে দরকার? আবরারের পেশা কি? আমার কখনো মনে হয় ও গয়েন্দা সংস্থাতে আছে আবার কখনো মনে হয় ও মাফিয়া।
মায়ের মুখে এমন কথা শুনে আরহাম মাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
আরহাম ____ আরে মা চিন্তা করো না। হয়তো আজই জানতে পারবে আবরারের পেশা সম্পর্কে।
আজকের কনফারেন্সে কি হয় তা দেখো।
রেহেনা চৌধুরী ও সন্মতি দিয়ে বাড়িতে চলে গেলো।
রেহেনা চৌধুরী চলে যেতেই আরহাম কল দিলো তার গ্যাং এর লোকদের,

আরহাম _____ আহির ( গম্ভীর স্বরে বলল)
আহির ______ বল
আরহাম ______ আমরা এখন যে বাড়িতে আছি অর্থাৎ চৌধুরী বাড়ির চারিদিকে SK গ্যাং এর লোক দিয়ে ঘিরে রাখবি।
গ্রামে ঢোকার সকল রাস্তায় আমাদের লোক থাকবে।
এই গ্রামে একটা কাকপক্ষীও যেন তোদের চোখ ফাঁকি দিতে না পারে।
আহির ______ ঠিক আছে।
অন্যদিকে,

টিভিতে ব্রেকিং নিউজ চলতেছে, ” দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে বিকেল ৪টায় কনফারেন্স ডেকেছে প্রধানমন্ত্রী খালেদা খানম”
বাংলাদেশের সকল জেলা,উপজেলায় চলছে একের পর এক মিছিল, তাদের একটাই দাবি সকল অপরাধীর ফাঁসি চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রীরা ও মিছিল করতেছে।
সবার মুখে একটাই কথা দেশদ্রোহীরা কেন এখনো বাহিরে, তাদের গ্রেফতার করা হোক। তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক।
ড্রয়িংরুমে চিন্তিত হয়ে বসে আছে চৌধুরী, মির্জা,সিকদার পরিবারের সকল সদস্যরা।

আছিয়া ___ভাবি মা আমাদের আবরাজ কি পারবে এই পরিস্থিতি সামলাতে।
দেখো ওরা কতটা এগ্রেসিভ হয়ে আছে।
মা ______ আবরাজের ওপর আমার বিশ্বাস আছে ও পারবে। ( রেহেনা চৌধুরী কথাটি বললেও ওনার নিজেরই চিন্তা হচ্ছে)
আবরাজ চলে যাওয়ার পর মেহেক একদম নিশ্চুপ হয়ে গেছে। এক মনে তাকিয়ে আছে টিভির স্কিনে।
বারবার ঘড়ি দেখতেছে, কখন বিকাল ৪টা বাজবে।
সময় যেন যাচ্ছেই না একেকটা মিনিট যেন একেকটা বছর মনে হচ্ছে।
৬৪ জেলার সকল মানুষ তাকিয়ে আছে টিভির স্কিন, মোবাইলের স্কিনে।
সকলের শরীর যেন উজ্জীবিত হচ্ছে।

কনফারেন্স শুরু হওয়ার আগে দেখানো হলো টিএসসির বর্তমান পরিস্থিতি,
সকল শিক্ষার্থী লাইন ধরে বসে আছে আর গাইছে,
“শাসক যখন শোষক, স্বাধীনতা তখন পরাধীনতা,
মাটির মানুষ কাঁদে চুপে, রাজা হাসে রাজপ্রাসাদে।
রক্তে লেখা ইতিহাস, স্বপ্ন ডুবে যায় অন্ধকারে।
ভোটের নামে প্রতারণা, প্রতিশ্রুতি শুধু ফাঁকা শব্দ,
মিথ্যা বিজয়রঙে মোড়া, সত্যি খুঁজে পায় না মানুষ।
ক্ষুধা আর দারিদ্র্যে জর্জরিত, হাসে যারা সোনার খাঁচায়।
মাটির ঘ্রাণে বেঁচে থাকা, শিকল ভাঙার প্রতিশ্রুতি,
শাসনের মুখোশ খুলে ফেলে, সত্যকে আলোর পথে নিয়ে যায়।
মানুষ জাগে রক্তের গান শুনে, বিদ্রোহের আগুন জ্বলে মনে।
ভাঙো সব ভয়ের শিকল, দাও নতুন দিনের আলো,
রাজা নয়, মানুষ হোক, শাসনের আসল প্রহরী।
চোখের জল মুছে ফেলে, স্বপ্ন বুনে নাও নতুন পতাকা,
শোষণ আর অন্যায় দূরে হোক, মুক্তি বাজুক প্রতিটি রাস্তায়।
যুদ্ধ নয়, গান হোক, সত্যের আলোয় জ্বলে মানবতা।”

টিএসসির জ্বালাময়ী গানটি শুনে স্কিনে তাকিয়ে থাকা সকলের শরীরে যেন উত্তাপ ছড়িয়ে গেলো।
বিকেল ৪টা।
কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করলো প্রধানমন্ত্রী খালেদা খানম, তার ছেলে তারিকুল ইসলাম,তথ্যমন্ত্রী আবরাজ আয়ান চৌধুরী,তার ভাই আবরার আয়ান চৌধুরী আর গুটি কয়েক SSF সদস্য।
কনফারেন্স রুমেও চলছে উত্তেজনা।
সবাই গিয়ে চেয়ারো বসলো।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করা শুরু করলোঃ

যমুনা টিভি থেকে _____ আপনাদের সরকারের ২জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এসব কাজের সাথে জড়িত। আমরা তাহলে এটাও বলতে পারি আপনাদের সরকারের আরো অনেকে এসবের সাথে জড়িত?
এটিএন _____ দেশদ্রোহীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? তাদের কি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে?
সময় টিভি ______ জনতা দল কি শাসক থেকে শোষক হয়ে উঠতেছে? তাদের দলে এরকম দেশদ্রোহীদের এত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর জন্য কি আপনাদের দায়বদ্ধতা নেই?
আরো অনেক প্রশ্ন জমা হলো।
কনফারেন্স রুমে হট্টগোল সৃষ্টি হলো।
আবরাজ একবার সবার দিকে তাকালো এরপর গম্ভীর স্বরে বলল,

আবরাজ _____ আপনারা নিজেরাই যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তাহলে বলুন দেশের বিশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলবো নাকি আপনাদের বিশৃঙ্খলা থামাবো।
আবরাজের কথাটি বলা শেষ হতেই কনফারেন্স রুম শান্ত হয়ে গেলো।
প্রধানমন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে বলল,
প্রধানমন্ত্রী ______ বিগত অনেক বছর ধরেই গুম খুন চলছে দেশে।আমরা যখন বিরোধী দল ছিলাম তখন আরো বেশী হতো।
আমি আমার বিশ্বস্ত অফিসার ও মন্ত্রীদের নিয়ে গোপনে একটা মিটিং করি।

যে মিটিং এর উদ্দেশ্য ছিলো, এসব গুম,খুন,চোরাচালানের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা।
তবে সেই মিটিং এ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা ছিলো না ছিলো তরুণ এমপি, মন্ত্রীরা যারা দেশের জন্য কাজ করতে চায় তারা।বড় বড় অফিসাররা ছিলো না ছিলো তরুণ সব অফিসার যারা সদ্য কমিশন পেয়েছে।
তাদের সবাইকে লিড দিয়েছে তথ্য মন্ত্রী আবরাজ আয়ান চৌধুরী এবং NSI এর ডিরেক্টর আবরার আয়ান চৌধুরী।
আমরা জানতাম আমাদের জনতা দলের অনেকেই পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের RAW এর কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
আমরা তাদের খুঁজে বের করতেই এই মিশন চালাই।

তবে আমরা কিছুটা সফল হলেও এখনো অনেক কে খুঁজে বের করতে পারি নি।
প্রধানমন্ত্রী একটু দম নিলেন সবার দিকে তাকালেন দেখলেন সবাই মনযোগ দিয়ে তার কথাগুলো শুনলো।
এরপর আবরাজের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করে কথা বলতে বলল,
আবরাজ _____ আমাদের এই মিশনটা ছিলো গোপন মিশন। আমরা জানতাম বড় বড় অফিসাররা এর সাথে যুক্ত।তাই আমি ৬৪ জেলায় তরুণ সাহসী এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের খুঁজে বের করে এই মিশন পরিচালনা করি।
আমাদের বিশ্বস্ত সোর্স থেকে প্রাপ্ত খবর পেয়ে আমরা মিশন পরিচালনা করতাম।
এবং সফল ও হয়েছি।
আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের মন্ত্রী বানানোতে জনতা দলের দায়বদ্ধতা আছে কি?
উত্তর হলো, তারা বিগত বছরগুলো তে দলের হয়ে কাজ করেছে। তারা দলকে ভালোবাসলেও দেশ কে ভালোবাসেনি।

এটা জনতা দল বুঝতে পেরেই তো এই গোপন মিশন চালানো হয়েছে।
বড় বড় রাঘব বোয়ালদের মুখোস উন্মেচন হয়েছে।
আপনারা জনতা দলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন, জনতা দল জানতো তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই এই অপরাধে যুক্ত তারপরও তাদের মুখোস উন্মোচন করতে পিছপা হয় নি।কারণ জনতা দল দেশের জন্য কাজ করতে চায়, মানুষের জন্য কাজ করতে চায়।
এই কাজে জনতা দল প্রসংশা নাকি সমালোচনা ডিজার্ভ করে তা আপনারা আর দেশের মানুষই না হয় ঠিক করেন।
এই কথাটি বলেই আবরাজ চুপ হয়ে গেলো।
প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ হয়ে আবরাজের কথা শুনলো। এই তিক্ষ বুদ্ধিমান ছেলেকে তার যোগ্য স্থান দেওয়ার জন্য উনি আগেই মনস্থির করেছে।

আবরাজের কথা শেষ হতেই কনফারেন্স রুম জুড়ে হাত তালির শব্দ শোনা গেলো। সকল সাংবাদিক আবরাজের উত্তরে মুগ্ধ হয়েছে।
এতক্ষণ যেখানে জনতা দলের হয়ে সমালোচনা চলতো এখন সেখানে জনতা দলের প্রসংশা লাইভ টেলিকাস্ট হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবারো সবার উদ্দেশ্যে বলল,
প্রধানমন্ত্রী ____ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন টা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসন ফাঁকা থাকা মানে দেশের দূর্বলতা প্রকাশ পাওয়া।

যোগ্য মানুষকে যোগ্য স্থানে বসাতে চাই।
আজ মনে করুন এটাই সংসদ ভবন।
আপনারা সবাই সংসদ সদস্য।
যদি আমার সাথে একমত হন তাহলে টেবিলে ২টা মৃদু আওয়াজ করবেন।
আর যদি একমত না হন তাহলে চুপ থাকবেন।
কথাটি বলেই কনফারেন্স রুমের সবার দিকে তাকালো, দেখতে পেলো আবারো কনফারেন্স রুমে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মৃদু হেসে বলে উঠলো,
আবরাজ আয়ান চৌধুরীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাচ্ছি।
আপনারা কি এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত?
প্রধানমন্ত্রীর কথা শেষ হতেই পুরো কনফারেন্স রুম জুড়ে টেবিলে জোরে শব্দ করা আওয়াজ ভেসে এলো। প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে দেখল সকল সাংবাদিক আবরাজ আয়ান চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করার প্রস্তাবে একমত।
অন্যদিকে,
চৌধুরী বাড়ির সবাই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে খুশি প্রকাশ করতেছে। আজ থেকে আবরাজ আয়ান চৌধুরী বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একসঙ্গে ২টি মন্ত্রণালয় সামলাবেন।
তারা আজ অনেক খুশি তাদের ২ছেলের সফলতায়। একজন NSI এর ডিরেক্টর আরেকজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তখনি রেহেনা চৌধুরী বলল,

মা ____ আরহাম তুই আগে থেকে জানতিস যে আবরার NSI এর ডিরেক্টর।
আরহাম _____ হুম জানতাম।
আরহামের কথা শেষ হতেই সবাই অগ্নি দৃষ্টিতে আরহামের দিকে তাকালো।
সবাই একসাথে বলে উঠলো,
সবাই _____ আগে কেন বলো নি? তোমাকে তো……..
আরহাম ___ এটা গোপন রাখার অনেক কারণ ছিলো।
পরে সব বুঝতে পারবে।
অপর দিকে,
শেখ বাড়িতে অস্থিরতা,
আমজাদ শেখ আর আজাদ শেখ ঘামতেছে।
তারা তাদের বস কে একের পর এক কল দিচ্ছে কিন্তু কল ঢুকতেছে না।
কেন কল ঢুকতেছে না? তাহলে কি তাদের বস তাদের রেখেই পালিয়ে গেলো।
ঠিক তখনি দরজায় শব্দ হলো,

জারিনের মা গিয়ে দরজা খুলেই দেখতে পেলো দরজার দাড়িয়ে আছে কয়েকজন বিদেশী ছেলে।
দরজা খুলতেই তারা ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করলো,
ডেভিড _____ কি রে আমজাদ আর আজাদ এত ঘামতেছিস কেন?
এই কথাটি আমজাদ শেখ আর আজাদ শেখের কানে যেতেই তারা ভয়ে চুপসে গেলো।
এরা কারা?
আমজাদ ____ তোমরা কে?
“আমি বলছি ওরা কারা” উপর থেকে কথাটা ভেসে আসলো।
শেখ পরিবারের সবাই উপরে তাকিয়ে দেখতে পেলো আজাদ শেখের স্ত্রী রাফা শেখ সিডি দিয়ে নামতে নামতে কথাটি বলল।
আজাদ শেখ তার স্ত্রীর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, এটা তার স্ত্রী? কীভাবে সম্ভব! তার কোমল হৃদয়ের স্ত্রীর চোখ মুখে কোমলতার কোনো ছাপ দেখা যাচ্ছে না।
আজ তার চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হিংস্রতা আর প্রতিশোধের স্পৃহা।
আজাদ শেখ তুতলিয়ে বলল,

আজাদ ___ তুমি এদের চেনো? আর তোমাকে এমন লাগছে কেন?
আজাদ শেখের তুতলানো কথা শুনে রাফা যেন মজা পেলো।সে উচ্চ শব্দে হেসে উঠলো। কি ভয়ংকর সেই হাসি।
রাফার হাসি দেখে আমজাদ আর আজাদের অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।
রাফা ড্রয়িংরুমে এসে দাড়াতেই,
এলেক্স চেয়ার এনে বসতে দিলো।
রাফা চেয়ারে আলিশান ভঙ্গিতে বসে বলল,
রাফা _____ কি অবাক হচ্ছিস আজাদ,আমজাদ।
রাফার কথা বলার ধরণ আর ব্যাবহার দেখে জারিনের মা বলল,
জারিনের মা ____ ছোট এসব কি ব্যাবহার। উনি তোর ভাসুর আর আরেকজন তোর স্বামি।
রাফি তাচ্ছিল্যের সাথে বলল,
রাফা ____ স্বামি মাই ফুট। ওকে আমি কোনো দিন ও স্বামী বলে মানিই নাই। তাই তো ওর কোনো সন্তান ও হয় নি।
হয়নি বললে ভুল হবে আমি চাই নি আমার গর্ভে শেখ বাড়ির কোনো অংশ আসুক।

আমজাদ ______ মানেহহহ তাহলে তুমি কে? কি তোমার পরিচয়? ( অবাক হয়ে বলল)
রাফা____আমার পুরো নাম রাইফা রাইহান চৌধুরী।
রাইহান নামটি শুনে আমজাদ,আজাদ চমকে উঠলো।
আজাদ শেখ তুতলিয়ে বলল,
আজাদ ____ মানেহহ, রাইহানের তো ৩টি সন্তান। আয়ান,আয়মান আর আছিয়া তাহলে তুমি কীভাবে রাইহানের মেয়ে হলে?
রাফা তাচ্ছিল্যের সাথে বলল,
রাফা ______ কেন তোদের বাপ বলে নি রাইহান সাহেবের একটা এডাপ্টেট মেয়ে ছিলো।যার বাবা মা গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ায় তাকে এডাপ্ট নিয়ে তার ভাই এর সাথে লন্ডনে পাঠিয়ে দিয়েছিলো।
আমজাদ শেখ চমকে উঠে বলল,

আমজাদ ____ তার মানে তুমিই সেই মেয়ে।
রাফা _____ হ্যা। তোরা আমার থেকে আমার নতুন বাবা চাচাকে কেড়ে নিয়েছিস। তোদের আমি ছাড়ি কীভাবে?
তাই তো নিজেকে প্রস্তুত করেছি। প্রতিশোধ নিতে তোর ভাই আজাদ কে বিয়ে করি।
তখনি আমি যোগাযোগ করি আমার কলিজার টুকরা আবরাজ,আরহাম,আবরারের সাথে।তারপরই এই প্ল্যান।
আজাদ শেখ অনুনয় করে বলল,
আজাদ _____ আমি তো তোমার স্বামী। আমাকে মাফ করে দাও। চলো আমরা দূরে কোথাও গিয়ে সুখে সংসার করি।
রাফা তাচ্ছিল্যের সাথে বলল,

রাফা ____ তোর জন্য আরো অনেক সক্ড আছে রে।
তুই আমাকে দিনে রাতে অত্যাচার করতিস, আমার বাবা মা নেই কেন? তাদের থেকে টাকা নিতে পারিস না কেন?
তাই তো। তুই আমার আরেক পরিচয় জানতে চাস না?
আজাদ অবাক হয়ে বলল,
আজাদ _____ কি পরিচয়!!
রাফা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
রাফা ____ আমি লন্ডনের টপ বিজনেসওম্যান RC কোম্পানির মালিক।
রাফার মুখ থেকে এমন কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো।
আজাদ শেখ তো বলেই দিলো,

আজাদ _______ কিহহহহহ
রাফা ডেভিড আর এলেক্স কে উদ্দেশ্য করে বলল,
রাফা ______ ওদের নিয়ে যাও।
ডেভিড _____ ঠিক আছে ম্যাম।
রাফা _______ আবরাজরা কতদূর।আমার সকল কিছু গোছনো শেষ।
ডেভিড _____ এখনি এসে পরবে।
কথাটি বলা মাত্রই রাফা চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরলো ২টি শক্তপোক্ত বাহু।
রাফা চৌধুরী বুঝে গেলেন তার ভাতিজারা চলে এসেছে।
রাফা চৌধুরী ও হাসি মুখে ভাতিজাদের জড়িয়ে ধরলেন। এরপর কপালে চুমু খেলেন।
আবরাজ, আবরার ফুপির দিক থেকে নজর সরিয়ে তাকালো আমজাদ আর আজাদের দিকে।
এরপর ২ ভাই ছুটে গিয়ে মারতে লাগলো আমজাদ আর আজাদ কে।
কিছুক্ষণ মারার পর রাফা চৌধুরী ভাতিজাদের শান্ত করলো।
ভাতিজাদের উদ্দেশ্যে বলল,

রাফা চৌধুরী ____ বাবারা এখন থাম।এদের সবগুলো কে একসাথে শাস্তি দিবো।
এরপর ডেভিড কে ইশারা করলো একটা কাগজ বের করতে।
ডেভিড কাগজটি বের করে আজাদ শেখের সামনে রাখলো,
আর সিগনেচার করতে বলল,
আজাদ _____ কিসের কাগজ এটা (অনেক কষ্টে বলল)
রাফা _____ ডিভোর্স পেপার।
আজাদ _____ আমি সিগনেচার করবো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি।আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো না।
রাফা ____ আবরাজ, আবরার আমি উপরে যাচ্ছি ব্যাগ আনতে আনতে যেন কাগজে সিগনেচার হয়ে যায়।আমি নিচে নেমেই এই কাগজে সিগনেচার করবো।
কথাটি বলেই রাফা চৌধুরী চলে গেলো।
আবরাজ আর আবরার একের পর এক আঘাত করতেছে। আজাদ শেখ তারপর সিগনেচার না করলে কাটিং প্লাস দিয়ে পায়ের ২টি নখ তুলে নিলো।
যেই আরেকটি নখ তুলতে যাবে।
আজাদ শেখ চিৎকার করে বলল,

আজাদ _____ আমাকে আর মারিস না। আমি সিগনেচার করে দিচ্ছি। কাগজ দে।
আবরাজ থেমে গেলো। কাগজ কলম বাড়িয়ে দিলো আজাদ শেখের দিকে।
আজাদ শেখ সিগনেচার করে দিলো।
তখনি নিচে নামলো রাফা চৌধুরী।
রাফা চৌধুরী ও সিগনেচার করে দিলো।
ডেভিড, এলেক্স আমজাদ আর আজাদকে নিয়ে গেলো।
আমজাদ, আজাদ চলে যেতেই রাফা চৌধুরী দেখতে পেলেন,
এরিন তার ভাতিজা আবরাজের দিকে কামুকতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
অথচ তার বাবা কে শেষবারের মতো নিয়ে গেলো ঐদিকে তার কোনো ধ্যান নেই।
রাফা চৌধুরী গিয়ে দাড়ালো এরিনের সামনে।
সোজা গুনে গুনে ৪টা থাপ্পর মারলো।এরপর শক্ত গলায় বলল,

রাফা ____ আবরাজ যেমন আমার ভাতিজা, ঠিক তেমনি মেহেক আমার ভাতিজি।
আমার ভাতিজির মনের মানুষের দিকে যদি কেউ নজর দেয় তাহলে আমি তার চোখ উপরে ফেলতে ২ বার ভাববো না।
নিজের বাবার পরিণতি দেখে শিক্ষা নাও।
জারিনের মা দৌড়ে এসে রাফা চৌধুরীর হাত ধরলো,
জারিনের মা _____ ছোট প্লিজ আমার মেয়েকে মাফ করে দে।
ও আর এরকম করবে না আমি বুঝিয়ে বলবো।
রাফা চৌধুরী জারিনের মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
রাফা _____ ভাবি তোমার মেয়েকে সাবধান করো। আর হ্যা। আমাকে মাফ করে দিও।তোমার স্বামীকে শেষ বার ও হয়তো দেখতে পারবে না।

এই বাড়ির সব কিছুই তোমাদের।আমি কখনো এই বাড়ির মানুষ ছিলাম না, আর থাকতেও চাই না।
জারিনের মা _____ আমি জানতাম ওদের পতন হবে। আমি নিজেকে সব সময় প্রস্তুত ও রাখতাম। আমি কখনো চাই নি আমার ২ মেয়ে ওর বাবার পথে যাক কিন্তু ওরা ওদের বাবার পথেই গেছে।
আজ ওদের বাবার পরিণতিতে আমি মোটেও কষ্ট পাই নি। বরং আমি খুশি।
রাফা চৌধুরী সবাইকে বিদায় দিয়ে আবরাজদের সাথে চলে গেলো হেলিপ্যাডে।
ঐখান থেকে হেলিকপ্টার করে রওনা দিলো দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে।
সকাল ৬টা।

আরহাম আর রাফি দাড়িয়ে আছে জামতলী মাঠে।
আবরাজ তাদের আগেই জানিয়েছে তারা হেলিকপ্টার আসতেছে।
তাই দ্রুত জামতলি মাঠে H চিহ্ন অঙ্কন করে দাড়িয়ে আছে।
দেখতে দেখতেই জামতলি মাঠের কাছে চলে আসলো হেলিকপ্টার।
আরহামের চোখ মুখে ফুটে উঠেছে উত্তেজনা।
কতগুলো দিন পর প্রিয় ফুপিকে দেখবে।
দেখতে দেখতে হেলিকপ্টার থেকে বের হয়ে এলো আবরাজ, আবরার আর তাদের ২ ভাই এর হাত ধরে বেরিয়ে এলো রাইফা রাইহান চৌধুরী।

তিনি জানেন তার আদরের আরেক ভাতিজা তার আসার অপেক্ষার প্রহর গুনতেছেন।
তাই দ্রুত চলে গেলো আরহামের দিকে।
আরহাম ও দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তার ফুপিকে।
এরপর নিজ হাতে ফুপিকে আরহাম নিজের পাশে বসিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো।
এই ৩ ভাতিজার মধ্যে আরহাম তাকে একটু বেশীই ভালোবাসে।
আবরাজ লন্ডনে থাকতো, আবরার পড়াশোনার জন্য হলে থাকতো।
আরহাম কাছে ছিলো বিধায় হয়তো তাকে বেশী ভালোবাসে। তার এক কথায়ই তো জারিন কে বিয়ে করলো ছেলেটা।পরপর ২টি গাড়ি এসে থামলো মেহেকদের বাড়ির সামনে।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৩

কি হতে চলেছে চৌধুরী বাড়িতে? সবাই কি রাফা চৌধুরীকে মেনে নিবে নাকি তাড়িয়ে দিবে? এসব অপকর্মের মূলহোতা কে? তাকে কেন এখনো ধরতে পারলো না? সে এবার কি কোনো ভয়ংকর পরিকল্পনা করবে? আবরাজরা কি পারবে সেই পরিকল্পনা ঠেকাতে? সিনিয়র নেতারা কি আবরাজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসানো তে খুশি হবে নাকি বিরোধীতা করবে?

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here