এক রহস্যময় ভালোবাসা গল্পের লিংক || Chadny islam

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১
Chadny islam

প্লিজ ওনাকে মারবেন না আর!! ছাড়ুন প্লিজ। মরে যাবে তো। কিছুখন খুব আকুতি করে বললো ইরা। কিন্তু অপর প্রান্তের মানুষ টা তার কোনো কথা না শুনে ছেলে টাকে মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলে দিয়েছে নিচে রাস্তায়। অপর প্রান্তের মানুষ টার ঠিক সামনে গিয়ে গাল বরাবার একটা থাপ্পড় মারে ইরা।আর সর জুরে কয়েক টা বকা দিয়ে দেয়। ইস্টুপিট কলেজ ক্যাম্পাসে মারামারি করতে এসেছেন। কে এলাউ করেছে আপনাকে!

ইরার আশেপাশে মুহুর্তে এক দুই জন করে পুরো ৫০ জন পালোয়ানের মতোন দেখতে বডিগার্ড গিয়ে ধরেছে।শুধু যে এই বডিগার্ড রা ঘিরে আছে তা নয় পুরো কলেজ ক্যাম্পাসের সবাই তাকিয়ে দেখছে। ছেলেটা কে তারা সবাই চিনে কিন্তু মেয়ে টাকে তো কেউ চিনে না। কে এই মেয়ে আগে কখনো দেখেছে বলে মনে হয় না। এত সাহস কোথায় পেলো এই নারী সয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছেলের গায়ে তুলেছে। আজ ও কি এই মেয়ে বেঁচে থাকবে।
ইরার সহ জুড়ে থাপ্পড় মারাই গালে পাচ আঙুলে ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বডিগার্ড এর মধ্যে একটি লোক মেয়ে টিকে আটকাতে চাইলে তার গালে সর জুরে ইরা আরেক টি থাপ্পড় মারে। আর চেঁচিয়ে চেচিয়ে বলে হাউ ডেয়ার ইউ! ডোন্ট টাস মি.। তুমি চিনো আমাকে??

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইরার ঠিক কিছু খন পর কলেজ ক্যাম্পাজে প্রবেশ করে তার বেষ্ট ফেন্ড সাজিদ আর জুথী!! এত লোকের মাঝে থেকে ইরা কে টানতে টানতে নিয়ে যায়। আর সবাই কে ইরার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আসে ।
স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছেলে আদনান সিকদার আদিল তাকে থাপ্পড় মারার মজা বুঝাবে এই নারীকে।তার মধ্যে ক্ষমা করার মতোন এত মহৎ গুন টা নেই।আদিল এতখন চুপ ছিলো শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে এই নারী কে দেখ ছিলো। যেখানে তার নাম শুনলে সবাই কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে যায় সেখানে কিনা এই পিচ্চি একটা মেয়ে তাকে থাপ্পড় মারলো।
পাশে দাড়িয়ে থাকা বডিগার্ড দের মধ্যে এক জন বললো!স্যার আপনি শুধু এক বার বলুন এই নারীকে কি করতে হবে। আপনি চাইলে…
আদিল বডিগার্ড এর কথাই পাওা না দিয়ে গান গাইতে শুরু করলো!

!!! প্রেমে পরেছে মন! প্রমে পরেছে!!!
!!!অচেনা এক মানুষ আমায় পাগল করে ছে!!!
এই মেয়েকে খোঁজে বের করো।১ঘন্টার ভেতরে আমার সামনে উপস্থিত করো।রাইট নাও!!!আদিল নিজের কথা শেষ করে গাড়িতে গিয়ে বসলো।
ইরার কলেজে আজকে প্রথম দিন। সে ঠিক ভাবে কাউকে চেনে না।ইরা,জুথী, আর সাজিদ এক স্কুলে পড়াশোনা করতো। এই কলেজে এডমিশন নিয়েছে। ইরার পুরো নাম আরশি চৌধুরী ইরা। সে চেয়ারম্যান বাড়ির এক মাএ মেয়ে।তার বাবা এক জন চেয়ারম্যান। সে অনেক বছর দরে এই দলে যোক্ত আছেন।যথেষ্ট সম্মানিত এক জন মানুষ । যাকে এক নাম পুরো এলাকার মানুষ চিনলে ও ইরা কে তেমন ভালো ভাবে কেউ চেনে না।চেয়ারম্যান সাহেব কখনো তার মেয়ে জনতার সামনে দার করাননি। শএুতার ভয়ে।

কলেজ টাইমে ইরা জুথী সাজিদ বসে আসে কান্টিনে।আদিল এর করা নিদর্শন যে করেই হোক এই মেয়ে কে ১ঘন্টার ভেতরে তার সামনে দেখতে চাই। বডিগার্ড গুলো কান্টিনের সামনে গিয়ে ইরা কে খুব করে অনুরোধ করে বললো তাদের সাথে যেতে। কিন্তু ইরা কোনো ভাবেই তাদের সাথে যেতে রাজি নয়। সাজিদ এর বাড়ির বেশ কাছে থাকাই সে আদিলের বিষয়ে বেশ ভালো করে জানে। মন্ত্রীর ছেলের খুব একটা সুবিধার নয়।সাজিদ ইরা কে রিকোয়েস্ট করে তাদের সাথে যেতে নয়তো মন্তীর ছেলে তার কোনো বড় ক্ষতি করলে কেও তার দাই নিবে না। সাজিদ এর অনেক রিকোয়েস্টে ইরা যেতে বাধ্য হয়।

ইরা কলেজের বাইরে গেলে বডিগার্ড গুলো
তাকে ইশারা করে বলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বড় কালো গাড়িটার কাছে যেতে। ইরা যথেষ্ট সাহসি একটি মেয়ে তার চোখে মুখে ভয়ের কোনো ছাপ নেই। সে কালো গাড়ির ঠিক সামনে গিয়ে দাড়ায়। আদিল গাড়ির ভেতর বসে পা রেখে আছে বাইরে। আদিল কে উদ্দেশ্য করে ইরা বললো!!!
__কি হয়েছে!! সমস্যা কি আপনার আমাকে এখানে আসতে বলেছেন কেনো???
আদিল গাড়ি থেকে বের হয়ে ইরার চারপাশে একবার গুরে ভালো ভাবে দেখে নেই। ইরা শর্ট একটা টপস আর পান্ট পরেছে মাথায় কালো একটা হিজাব পরেছে। পুরো শরীর ডাকাই শুধু মুখ আর পা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। গায়ের রং দবদবে সাদা গোলাপি ঠোঁট টকটক করছে। এক দেখায় যে কোনে যুবক প্রেমে পরে যাবে। ইরা বেশ বিরক্ত হচ্ছে এই বিষয় গুলো দেখে।ইরা ঝাঁঝিয়ে উঠলো!

__হেই ইস্টুপিট এই ভাবে আমার চারপাশে গুরছেন কেনো।
আদিল বাঁকা হেসে ইরার ঠিক সামনে দাড়ালো!আর বললো!!!
__আই লাইক ইউ বেবি!!
ইরার ইচ্ছে হচ্ছে গাল বরবর আরও কয়েকটা থাপ্পড় দিতে। কিন্তু ইরা এই কাজটা আর করবে না। ইরা আর এই লোক কে স্পর্শ করে নিজের হাত টা নষ্ট করবে না। তাছাড়া একটা থাপ্পড় মারতে অনেক টা শক্তির প্রয়োজন। এই অসভ্য লোকটা কে থাপ্পড় মেরে তার শক্তির অপচর করতে চাই না। ইরা আদিল এর মতোন করে আদিল এর চার পাশে এক বার গুরে দেখে নিলো আদিল কে। আদিল দেখতে কম সুন্দর নয়। গায়ের রং বেশ ফর্সা। হাইট ছয় ফুটের কম হবে না।বলিষ্ঠভান শরীরের ঘঠন। দেখে মনে হয় সারা দিন জিম করতেই বসে থাকে। কালো সুট বুট পরেছে বিদেশি দের মতোন করে।দেখতে মন্দ লাগছে না।

__আদিল ভেবে ছিলো হয়তো ইরা ও তার মতোন করে বলবে আই লাইক ইট! কিন্তু ইরা না করে বরং প্রশ্ন ছুরে মারলো আদিল কে???
__হেই ইস্টুপিট আপনি যে বেয়াদব এটা গাড়ে ট্যাটু করে কেনো বোঝাতে হবে। আপনাকে দেখলে যে কেউ এমনি বুঝে যাবে। ইউ আর এ ছ্যাসচা ইডিয়েট।
ইরার এত সাহসিকতা দেখে আদিল বার বার প্রেমে পরে যাচ্ছে। যেখানে মানুষ সৌন্দর্যের প্রেমে পরে সেখানে কিনা আদিল সাহসিকতার প্রেমে পরে যাচ্ছে বার বার। মুগ্ধ হয়ে দেখছে ইরা কে।
__আদিল প্রশ্ন ছুড়ে মারলো ইরা কে??? নাম কি তোমার??
#আরশি_চৌধুরী_ইরা
__চৌধুরী বাড়ীর মেয়ে তুমি???
__হুম
ইন্টারেস্টিং!!! তোমার বাবার নাম কি???

__ইরা বেশ রেগে গেলো! আর বললো!!!
__আমি এখানে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে আসি নি।ইস্টুপিট!!!
ইরা রাগে কিরমির করতে করতে চলে যায় কলেজ ক্যাম্পাসের কান্টিনে যেখানে জুথী আর সাজিদ বসে আছে।
আদিল এর তো কথা শেষ হয় নি এখনো তার আগেই চলে গেলো ইরা। আদিলের কাছে তার বিশ্বস্ত বডিগার্ড এসে বললো।
__স্যার খুব আজেন্ট একটি কথা ছিলো??

আদিল হাত দিয়ে ইশারা করে বলতে বললো।আদিলের পূবের ন্যায় গাড়িতে গিয়ে বসলো।বডিগার্ড ইরা সম্পর্কে সব ডিটেইলস দিলো। আদিল আর এক মিনিট ও দেরি করলো না সোজা চলে গেলো সিকদার মহলে।
বড় দশ তলা ভবন পুরো টা জুড়ে রয়েছে এই বড় সিকদার বাড়ী।যেখানে সারিতে সারিতে গাড়ি থেকে শুরু করে রয়েছে বডিগার্ড। বাড়ীর প্রতিরক্ষার্থে বাড়ির চারপাশে বিশ্বস্ত বডিগার্ড গুলো গার্ড দিচ্ছে।যেখামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আশরাফ সিকদার বতমানে বিপুল র্বোডে জয়ী হয়েছেন।সেখানে তার শএু অগনীত। আশরাফ সিকদার এর দুই ছেলে। আদনান সিকদার আদিল এবং আরিয়ান সিকদার আদিব।

#আদনান_সিকদার_আদিল বতমানে বাবার সাথে রাজনীতিতে জরিয়ে সামনে। সামনে বার ইলেকশনে দাড়াবে। আদিল ইউএস থেকে পড়াশোনা করে এসেছে। সে বতমানে কয়েকটা কোম্পানির মালিক। তবে তার বিজনেস নিয়ে তেমন ইন্টারেস্ট নেই। তার রক্তের শিরাই শিরাই জড়িয়ে আছে রাজনীতি। মো.আশরাফ সিকদার এর ছেলের পরিচয়ে সে রাজনীতি করবে না। সে নিজের যোগ্যতায় নিজেই অর্জন করে রাজনীতি করবে।মাঝে মাঝে না চাইতে ও বাবার সাথে যেতে হয় বিভিন্ন সমাবেশে। বাবার প্রতিরক্ষা করতে।
#আরিয়ান_সিকদার_আদিব এখন বতমানে দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে।প্রায় শেষের দিকে পড়াশোনা। তবে আদিবের বিন্দু পরিমান ইন্টারেস্ট নেই রাজনীতি নিয়ে। সে সাইন্সে ইসটুডেন্ট তার ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন বড় হয়ে ডক্টর হবে। দেশের নাম কামাবে।কোনো ঝামেলা ছাড়া জীবন কে উপভোগ করবে।

আদিল কলেজ থেকে সোজা বাড়িতে চলে এসেছে নিজের রুমে। নিজের বিশাল বড় রুমে বসে আছে গা এলিয়ে দিয়ে কলেজের গঠে যাওয়া বিষয় টা নিয়ে বার বার ভাবছে। শেষ পযর্ন্ত কিনা একটা থাপ্পড় খেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছেলে এক অবলা নারীর প্রেমে পরে গেলো। আদিল উঠে গিয়ে দাড়ালো আর হেটে চললো ড্রেসিং টেবিল এর বড় আয়নার সামনে। আদিল নিজের মুখের দিকে তাকাতেই দেখে গালে পাচ আঙুলে ছ্যাপ স্পষ্ট। আদিল সহ জুরে এক ঘুসি মারে আয়নায় সাথে সাথে আয়না কয়েক টুকরো হয়ে ভেঙে গুরিয়ে পরে নিচে। আদিলের হাত আয়নার টুকরো কাচের সাথে লেগে হাতের কয়েক জায়গায় কেটে গিয়ে রক্ত ছরছে। আদিলের চোখ রক্ত বরন লাল বর্ণ ধারণ করেছে। ছারবো না আমি ওই অবলা নারীকে আমাকে থাপ্পড় মারার শাস্তি তুমি ধীরে ধীরে পাবে। মাইন্ড ডিট।

ইরা বসে বসে আছে ক্যাম্পাসে সাথে আছে সাজিদ আর জুথী। ইরা সাহসীকতা তারা অনেক আগে দেখে আসছে। তবে আজকে যে ইরা ভুল জায়গায় দেখিয়ে ফেলেছে।হয়তো কিছু সময়ের মধ্যে ঠিক বুঝতে পারবে। সাজিদ মন্ত্রী দের সম্পর্কে প্যারসোনাল ভাবে খুব ভালো করে চিনে বিশেষ করে আদিল সিকদার কে। আদিল আজকে কলেজ ক্যাম্পাসের থাপ্পড় টা এত সহজেই হজম করে নিবে না। সে নিশ্চয়ই মনে মনে কোনো ছক কসছে। ইরা কে এই গুলো বলে ও কোনো লাভ নেই। হাসির ছলে উড়িয়ে দিবে।তাই সাজিদ কোনো রকম টেনশন না দিয়ে চুপ করে বসে আছে ইরা আর জুথীর পাশে।

ইরা কে নিতে চলে এসেছে তাদের বাড়ীর প্যারসোনাল গাড়ি তাই ইরা উঠে দারাই আর বলে আমি চলে যাচ্ছি তোরা ও চলে যা।ইরা গাড়িতে বসার সাথে সাথে ডাইবার গাড়ি স্টার দেয়।
চেয়ারম্যান বাড়ির এক মাএ মেয়ে ইরা৷ পড়াশোনার পাশাপাশি সে ভালো ছবি ও আঁকাতে পারে। তবে প্রেনটিং নিয়ে তার ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে ইচ্ছুক নয়। সে চাই তার বাবার রাজনীতি নিয়ে সেও তার বাবার মতোন রাজনীতি করবে।

তার বয়স কম তবে পড়াশোনা শেষ করে অবশ্যই রাজনীতি ক্যারিয়ার টাই বেঁচে নিবে। তার বুদ্ধিমএা সাহসিকতা রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বলে দিচ্ছে সে পারবে। ইরা কলেজ থেকে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করতেই তার সামনে ভেসে আসে সকালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা। বিশেষ করে ওই ইসটুপিড গায়ের ট্যাটে টা বেশ অবাক করার মতোন।ট্যাটো দেখে মনে হয়। এই রকম ট্যাটো বাংলাদেশে করা সম্ভব নয়।হয়তো অন্য কোনে দেশ থেকে করিয়ে এনেছে। ট্যাটো তে টানা টানা করে লেখা !!!! I Am Bad Boy.

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here