এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৭
Chadny islam
ইরা বেশ অবাক হয় এখানে ইশান কে দেখে!!
__ভাইয়া তুমি এখানে???
ঈশান শান্ত গলাই জানায়!!!
__হ্যা এসে ছিলাম একটু দরকারে! কিন্তু তুই ক্লাস বাদ দিয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি করছিস কেনো???
__এখন ব্রেক দিয়েছে টিফিনের জন্য! কলেজের পাশের কফি শপে গিয়েছিলাম।
ঈশান ইরা কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলো??
__কালকে মামা কল করে ছিলো!! আম্মু কে যেতে বললো!! কিছু হয়েছে??
ইরা মাথা নত করে জানায়!!
__হ্যা! শুক্রবারে আমার এনগেজমেন্ট!!
ঈশান হকচকিয়ে গেল!!
__মানে! মামা তো বলে ছিলো এখনি তোকে বিয়ে দিবে না” তাহলে হঠাৎ করে এই ডিসিশন কেনো??
__ভাইয়া তুমি আব্বু কে প্লিজ ভুল বুঝো না আব্বু ইচ্ছাকৃত কোনো কিছুই করছে না!!!
__মানে!!
ইরা কোনো কথা না বলে মাথা নত করে দাড়িয়ে আছে!!
ঈশান শান্ত গলাই বললো!!
__ছেলে কি করে?বাসা কোথাই???
__জানি না??
__হোয়াট???
__হ্যা ভাইয়া।
বোকার মতোন কথা বলছিস কেনো। এটা ডিজিটাল যুগ এই যুগে এসে কেউ ছেলের সম্পর্কে ঠিক ভাবে না জেনে শুনে বিয়ে করতে রাজি হয় ???
ইরা মাথা নত করে বলে!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
__তুমি ফুপির সাথে অবশ্যই আসবা ভাইয়া!!
ঈশান হাত দিয়ে ইশারা করে জুথী দেখিয়ে প্রশ্ন করে এই মেয়ে টাকে???
জুথী রেগে লাল হয়ে গেছে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করে বললো!!
__আপনার কি মাথা সমস্যা নাকি! মন ভোলার অসুখ আছে!!
__মানে??
__আমাদের কালকে পরিচয় হয়ে ছিলো আজকেই ভুলে গেলেন!
ইশান কাশতে কাশতে বললো!
__ওহহহ সরি মনে ছিলো না মিস।
জুথী মনে মনে ভিরভির করে বললো! হতে চেয়ে ছিলো হিরো হয়ে গেলো জিরো হিহিহিহ!!
গাড়িতে বসে থাকা আদিল এত খনের আলাপে বেশ বিরক্ত গয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসে এসে ঈশান এর পাশে এসে দাড়ায়। আর ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বলে???
__কে হয় এই নারী তোর??
ঈশান জানায় তার মামাতো বোন হয়। তবে আগে কখনো দেখা হয়নি ঈশান এর কাজিন হিসাবে তবে দেখা হয়েছিল এক্সিডেন্ডলি ইরা সাথে।ঈশান আদিল কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে ইরা জানাই!!
__এই ইস্টুপিট টা কে সে আগে থেকেই চিনে। খারাপ লোক একটা।
ইরার কলেজের টাইম হওয়াই ইরা আর দাড়াই না জুথীকে টেনে নিয়ে চলে আসে কলেজের ভেতরে। আইরা এতখন ফোনে কথা বলছিলো তাই এখানে কি নিয়ে কথা হয়ে ছিলো! ঠিক ভাবে জানতে পারে নি। আদিল আর ঈশান গিয়ে বসলো গাড়িতে। আদিলের পাশে বসেছে ইশান আর পেছনে বসছে আইরা।
আদিল ঈশান কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলো??
__কি এত কথা বললি ওই মেয়ের সাথে??
ঈশান জানাই! ইরার এই শুক্রবারে এনগেজমেন্টের ডেট হয়েছে।
আদিলের মুখটা ফেকাসে হয়ে যায়!
__হোয়াট!!
ঈশান কিছুটা শক্ত হয়ে বলে!!
__হ্যা!
আইরা বেশ বিরক্ত হয়ে গিয়ে আদিলে কে প্রশ্ন করলো !!
__আদিল বেবি তুমি ওই মেয়ের এত ডিটেইলস দিয়ে কি করবে??
ঈশান বলে??
__এত ডিটেইলস দিয়ে মানুষ কি করে আদিল ও তাই করবে!!
তুমি চুপ করো ইডিয়েট!! আমি আদিল বেবি কে জিজ্ঞেস করেছি তোমাকে নয়।
এই দুইজন মিলে বকবক করে আমার কানের পোকা বের করে দিচ্ছে! ইচ্ছে করছে দুইটাকে লাথি মেরে গাড়িতে থেকে বের করে দেয়। এমনি তেই মুড ভালো নেই আমার দেমাকি চয়েস করা বেডি অন্য কারোর হয়ে যাচ্ছে আর এই দিকে এরা আমার মাথা টা খারাপ করে দিচ্ছে।
আচ্ছা আদিল বেবি এই জায়গা দেখতে বেশ সুন্দর তাই না বলো!! আদিল কথা না শোনার মতোন এড়িয়ে গেলো তবে ঈশান উওর করলো!!
__বিদেশি দলা বিড়ালের থেকে দেখতে কম সুন্দর তাই না মিস পাইরা!!
আইরা রেগে গিয়ে বললো!
__হাও ডেয়ার ইউ! তুমি কি কোনো ভাবে আমাকে ইনসাল্ড করলা।।
ঈশান বির বির করতে করতে বললো!!
__যার সম্মানি নাই তার আবার আাবার কিসের ইনসান্ড।
আজাদ চৌধুরী গাড়ি নিয়ে এসেছেন কলেজের সামনে। ইরা কে নিয়ে যেতে বেশ কিছুখন আগে কলেজ ছুটি হয়ে গিয়েছে! ইরা আর জুথী কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে গাড়ির জন্য। গাড়ী আাসার সাথে সাথে জুথী আর ইরা উঠে বসলো গাড়িতে।ইরা জুথী কে বললো!!
__কালকে তুই কলেজে না গিয়ে বরং আমাদের বাড়িতে আসবি।
জুথী বেশ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
__কেনো! কোনো সমস্যা হয়েছে।
না! তেমন কোনো সমস্যা হয়নি! আমরা একটা ইমপোর্টেন্ড মিশনে যাবো??
__কিসের মিশন???
আজ নয় কাল বললো তুই চলে আসিস। জুথী সম্মতি জানিয়ে বললো ঠিক আছে আসবো আমি। বলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায় বাড়িতে।
আজাদ চৌধুরী ইরা কে জিজ্ঞেস করলেন??
__কিসের মিশন মা??
আগে মিশন টা কমপ্লিট করে নেই আব্বু! তারপর বলবো। গাড়ি গিয়ে থামলো চৌধুরী বাড়ির গেটের সামনে। আজাদ চৌধুরী গাড়ি সাইট করে রেখে ভেতরে প্রবেশ করলেন। ইরা ভেতরে না গিয়ে আশে পাশে ভালো ভাবে দেখে নিলো। রাতে যে বডিগার্ড গুলা পাহারা দিয়ে ছিলো এখনো তারা এখানেই আছে। ইরা একজন বডিগার্ড এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো!!
__আপনারা কে?? আইন প্রশাসনের লোক???
বডিগার্ড দের মধ্যে একজন উওর করলো!
__না ম্যাডাম আমরা কোনো আইন প্রশাসনের লোক নয়। আমরা ভাইয়ের লোক???
ভাইয়া টা কে???
__সরি মেডাম ভাইয়া নিজের পরিচয় দিতে নিষেধ করেছেন!
ইরা বেশ শক্ত পোক্ত ভাবে বললো!!
__আপনার ভাইয়া কে বলবেন অবশ্যই আমাকে কল করতে! আমি তার কলের অপেক্ষাই থাকবো!!
__জ্বি ম্যাডাম অবশ্যই বলবো স্যার কে!!
ইরা ভেবে ছিলো হয়তো একটু চাপ দিয়ে কথা বললে তারা গরগর করে নাম টা বলে দিবে। কিন্তু না তারা বললো না এখন আর কি করার। বসে বসে কলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আদিল গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেছে অহনা সিকদার এর রুমে। কিন্তু অহনা সিকদার কে ঘরে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তবে আশরাফ সিকদার সুয়ে আসেন বিছানাতে।
আদিল আশরাফ সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বললো!! __মম কোথাই ড্যাড???
আশরাফ সিকদার উঠে বসতে বসতে বললেন!!
__সাওয়ারে!তুমি চাইলে অপেক্ষা করতে পারো নয়তো চলে যেতে পারো!!
আদিল সোফায় পা দোলাতে দোলাতে বললো!
__ড্যাড আমি কিন্তু তোমার সম্মানে আগুন জ্বালিয়ে দিবো।
আশরাফ সিকদার কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললেন!!
__কেনো কি হয়েছে মাই সান???
আদিল বেশ বিরক্ত প্রকাশ করে বললো!!!
হোয়াট এ চয়েস ড্যাড! এই মেয়ে টাকে যায় আমার সাথে তুমি বলো?? মম হুট করে কি ডিসিশন নিয়ে নিলো বলতো! এই মেয়ে যদি আমার বউ হয় তাহলে প্রতি মাসে আমাকে দুইটা বিয়ে করতে হবে। বছরে চব্বিশ টা। তাহলে ভেবে দেখো পাচ বছরে কত গুলা বউ হবে আমার !!
আশরাফ সিকদার নিজের হাসি সংবরন করে বললেন!!
__Opps! কি কপাল তোমার! এক সাথে এত গুলো বিয়ে করার সুযোগ আছে তোমার। আর অথচ দেখো আমি একটা বউ নিয়েই পরে আছি।
আদিল বেশ করে বুঝতে পারলো তার ড্যাড তাকে নিয়ে মজা নিলো কিন্তু সে ও তো ছেড়ে দেয়ার মতোন পাএ নয়।
__হুম ড্যাড তুমি ঠিকি বলেছো!! আই আম লাকি প্যারসোন। কিন্তু ড্যাড।
__কিন্তু কি মাই ভই???
তুমি কি ভেবে দেখেছো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে হয়ে এক সাথে এত গুলা বিয়ে করলে তোমার সম্মান আর পদটা থাকবে কি আজ ও ???
আশরাফ সিকদার কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বললো! আমি তো তোমার ভালোর জন্য বলে ছিলাম বাচ্চা ছেলে।আমার সম্মান নিয়ে কেনো টানাটানি করছো??
আদিল হাতের চাবি দুলাতে থাকে আর আশরাফ সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বলে!!
__ড্যাড। বেচে থাকতে চাইলে এবং সম্মান বাঁচাতে চাইলে অবশ্যই আমার বিয়ে টা আটকাও।
আশরাফ সিকদার রাগে ফুসফুস করতে লাগলো! মা ছেলে দুই টাই এক! যে কোনো বিষয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে।আমার সম্মান নিয়ে টানাটানি করবে। আমার কি কোনো আত্নসম্মান নেই!এখন কি হবে আমার কি ভাবে কি করবো আমি ??? নিজের বিয়ে নিজে আটকাও আমি কেনো??
ইরা কলেজ থেকে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার পছন্দের পাখি গুলোকে দানা খাওয়াচ্ছে। আজকাল অনেক বেশি টেনশনে থাকার কারনে পাখি গুলোকে তেমন সময় দেয়া হয় না। তবে সালমা চৌধুরী নিয়ম করে খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর যত্ন করেন। ইরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কলের জন্য।
সন্ধ্যার বেশ কিছু খন পর এক এক করে সবাই এসে বসেছে ড্রয়িংরুমে। বিশাল বড় এক টিভি চলছে খেলা দেখছে। অহনা সিকদার আর সোনালি তালুকদার কথা বলতে বলতে এসে বসলেন সোফায়। অহনা সিকদার কে দেখে টিভি বন্ধ করে দিলেন আশরাফ সিকদার।সবাই হ্যা করে দেখলো আশরাফ সিকদার কে তবে তার প্রতি এখন সবাই এই মুহুর্তে বেশ বিরক্ত আর রাগ হলো। ।
অহনা সিকদার আর সোনালি তালুকদার মিলে এনগেজমেন্ট এর ডেট ঠিক করছেন।পাশে সবাই বসে আছে! সবাই বসে বসে হ্যা না করছে ব্যাস এত টুকুই তাদের কাজ। কলির পাশে গিয়ে বসলো আইরা। আপাতত আদিলের পাশে সিট টা বুকিং তাই।
আদিল অহনা সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__মম ড্যাড তোমাকে কিছু বলতে চাই!!
আদিলের কথা শুনে অহনা সিকদার আশরাফ সিকদার এর দিকে তাকাই আশরাফ সিকদার আমতা আমতা করে বলে!! না..না মানে কিছু না!
আদিল বেশ চেতে গিয়ে বলতে চাইলো আশরাফ সিকদার কে !
__প্লিজ ড্যাড! আমার বিয়ে টা আটকাও।আমার জীবন টা কে জাহান্নাম করে দিবে এই নারী।
ঈশান আদিলে পাশে ভিমরি মেরে বসে আছে আর আদিলে বলছে!!
__দেখ বনের বাঘ কিভাবে ঘড়ে বিড়াল হয়ে যায়।যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনলে বাঘে ঘাঠে এক খানে জল খাই সেখানে কিনা বউয়ের কথাই মিউ মিউ করছে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিহিহিহি।
কলি আইরা জিজ্ঞেস করলো!!
__আচ্ছা আপু তুমি ভাইয়া কে কেনো বিয়ে করতে চাও??
আইরা বেশ কিছু খন চুপ থেকে উওর করলো!!
__অনেক ভালো লাগে তোমার ভাইয়া কে!!
কিভাবে তোমাদের পরিচয় আপু!!
পারিবারিক ভাবে। আমার মম আর আদিলের মমের বন্ধুত্ব অনেক দিনের সেই সুবাদে আমি আদিল কে চিনি।
কলি কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করলো আইরা কে!!
__আচ্ছা আপু! তুমি চাইলে তো ইউএসে কাউকে বিয়ে করতে পারতে??আমার মনে হয় বাংলাদেশের থেকে বিদেশি ছেলেরাই বেশি সুন্দর হয়। তুমি চাইলে সেখানেই সেটেল হয়ে যেতে পারতে।
আইরা শান্ত গলাই উওর করলো! আইরা এতটাও শান্ত নয় তবে আজকে তার আচার আচরন দেখে মনে হচ্ছে ভাজা মাছ টাও উল্টে খেতে পারে না।
__তোমার ভাইয়া আর চার পাঁচ টা ছেলের থেকে দেখতে বেশ সুন্দর স্মার্ট ড্যাসিং সুইট।
কলি হাসি হাসি মুখ করে বললো!!
__হ্যা আপু তুমি ঠিক বলেছো।আদিল ভাইয়া দেখতে বেশ কিউট একদম লোকিং লাইক এ ওয়াও।
ইশান আইরা কে রাগানোর জন্য বললো!!
__এক দম ঠিক বলেছো বিদেশি দলা বিড়াল।
আইরা রেগে ফুসফুস করতে করতে বললো!
__হাও ডেয়ার ইউ! তুমি কি কোনো ভাবে আমাকে ইবস্যাল্ড করার চেষ্টা করছো।তোমার আমার সম্পর্কে কোনো ধারনা আছে। আর কিছু দিন পর আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের বউ হতে চলেছি। আমাকে একদম অসম্মান করার চেষ্টা করবে না।
আদিল রেগে গিয়ে ঈশান কে বললো!!
___সম্মান করতে না পারলে অসম্মান করবি বেশি করে। গোডটেট্ট??
আইরা রেগে হকচকিয়ে গিয়ে বললো!!
__আদিল বেবি তুমি ও ঈশান এর মতোন আমাকে ইনসাল্ড করছো।
ঈশান শান্ত ভাবে বললো!!
__যার সম্মানি নাই তার আবার কিসের ইনসান্ড।তাই না মিস পাইরা!!
চৌধুরী বাড়িতে সবাই রাতের খাবার খেয়ে সুয়ে পরেছে গভীর রাত এখন ইরা বেশ অনেক খন অপেক্ষা করে ছিলো কলের জন্য।কিন্তু কল না আসাই ইরা বেশ বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরে।রাত প্রায় বারোটার কাটাই তখনি আচমকা কল বেজে ওঠে ইরার ফোনে। ঘুম ঘুম চোখে ফোন হাতে নিয়ে দেখে এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এসেছে! তাই ফোনটা রিসিভ না করে কেটে দেয়। বেশ কিছুখন পর আবার ও কল বেজে উঠে ইরা বেশ বিরক্ত নিয়ে ফোন রিসিভ করে কানের কাছে নিয়ে যায়!!!
ঘুম ঘুম কন্ঠে হ্যালো বলতেই! অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে এক পুরুষালী কন্ঠের আওয়াজ।
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৬
__সরি পূনিমার চাঁদ আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!!
ইরার এতখনে ঘুমের রেশ পুরো টাই কেটে গেছে।
__আমাকে পূনিমার চাঁদ বলবেন না আমার নাম ইরা।
