এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৪
Chadny islam
ঈশান Black Rose বাড়ির সামনে থাকা আদিলের কালো মারসেডিস নিয়ে বেরিয়ে গেলো জুথী কে নিয়ে আসতে এই বাড়িতে। আর এই দিকে রিফাত সুয়ে সুয়ে ফোন দেখছে আর মনে মনে ছক কসছে। একটা মেয়ে কে খুঁজে বের করতে হবে অতিদ্রুত বিয়েটা সেরে ফেলতে হবে। দিন দিন চেহারার যে হাল হচ্ছে কিছু দিন পর মেয়ে কেনো মেয়ের নানী ও বিয়ে করবে না আমাকে। হয়তো একটা মেয়ে কে পটাতে হবে নয়তো মামুনের মতোন একটা বুড়ি কে বিয়ে করতে হবে। তাও বউ চাই মানে চাই।
আদিল বিছানার উপরে সুয়ে আছে। ইরা রুমের চারপাশে পাই চারি করছে। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য টা দেখছে। বাইরে টা যেমন অদ্ভুত ঠিক তার থেকে হাজার গুন বেশি অদ্ভুত এই বাড়ির ভেতর টা! ঠিক ভুতুড়ে বাড়ি ছোট বেলা যে হরব মুভি টিভিতে দেখতাম। আজ এই বাড়িটা দেখতে ঠিক তেমনি লাগছে মনে হচ্ছে তারা হরব মুভির শুটিং এখানেই মানে এই বাড়িতে করে ছিলো। ইরার ভাবনার মাঝে হঠাৎ করে আদিলের ফোন টা বেজে উঠে ইরা বেশ থমকে যাই। মনে মনে কয়েক বার ভয় কাটানোর জন্য দোয়া পরে নেই!!! লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন!!! ইরা ভয়ে ভয়ে আদিলের ফোনের কাছে যায় ফোন টা হাতে নিতেই থেকে উপরে সেফ করা ভেসে রাখা নাম্বার টা। মাই ড্যাড!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইরা বেশ থমকে যাই এই সময়ে কল টা দেখে হয়তো তারা কোনো ভাবে জেনে গেছে এই বিয়ের বিষয় টা। বার বার কল আসছে৷ ইরা কি করবে বুঝতে পারছে না আদিল কে বেশ সংকোচ নিয়ে ডেকে বললো! আপনার বাবা কল করেছে প্লিজ কল টা রিসিভ করুন তিনি হয়তো কিছু বলতে চাইছে আপনাকে।
আদিল ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো!!
__আপনার বাবা নয়! আজকে থেকে তোমার শশুর হয় তিনি! যাও গিয়ে কথা বলো।
ইরা কি করবে বুঝতে পারছে না তবুও বেশ সংকোচ ন্যায় মাথা নয়ে ফোন রিসিভ করে বললো!!!
__আসসালামু আলাইকুম!!!
কলের অপর প্রান্তে থাকা আশরাফ সিকদার বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারলেন এটা আদিলের কন্ঠসুর নয়!! আদিল বাবা কে সালাম দিবে প্রশ্নই আসে না।হয়তো আদিলের!! কোনো কথা না আসাই ইরা আবার ও সালাম দিলো। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা আশরাফ সিকদার সালামের উওর দিয়ে বললেন!!
__কেমন আছো মা!!
ইরা বেশ ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো!!
__জ্বি আমি ও ভালো আছি!
আশরাফ সিকদার ইরার ভয় টা বুঝতে পেরে সাহস জুগিয়ে বললো!!
__তুমি কি কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করছো আম্মু!! তুমি কোনো টেনশন করো না! আমরা আছি সব সামলে নিবো। তুমি আমার সিকদার বাড়ীর সম্মান! আমার ছেলের বউ। তোমার কোনো অসম্মান হবে না! এই বাড়িতে আমি কথা দিলাম আম্মু! তুমি চলে আসো আমাদের বাড়িতে। তোমার জন্য আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
ইরা চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো!!
__ ঠিক আছে আব্বু!!আমরা চলে আসবো!
কথা শেষ করে ফোনটা কেটে দিয়ে ইরা আদিল এর পাশে রেখে দিলো।ইরার রুমে বসে থাকতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছে তার ভিষণ খারাপ লাগছে।
ঈশান জুথী কে আনতে বেশ অনেক টাই দূরে গিয়ে ছিলো। জুথী কে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসছে ইরার কাছে। জুথী চুপচাপ বসে আছে কোনো কথা বলছে না। তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে তার মন টা ভিষণ খারাপ। জুথী কে এমন মন খারাপ দেখে ঈশান জিজ্ঞেস করলো!!!
__কোনো সমস্যা হয়েছে তোমার!! তোমাকে দেখতে এমন কেনো লাগছে!!
__কিছু হয় নি!!!আচ্ছা ইরা কেমন আছে!!
ঈশান বেশ শান্ত ভাবে বলে! ইরা ঠিক আছে!!
জুথী কাঁদো কাঁদো গলায় বললো!!
__আপনি জানেন পুরো এলাকা ছড়িয়ে গেছে ইরার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা। ইরা তো পালিয়ে যাই নি তাই না বলোন! ইরা কে নিয়ে সবাই বাজে বাজে মন্তব্য করছে। আচ্ছা ঈশান ভাইয়া আপনি বলেন ইরা কি খারাপ মেয়ে???
আরে এই মেয়ে কথাই কথাই কেনো ভাইয়া বলে ডাকে আমাকে। এই মেয়ের কোন জনমের ভাই আমি। ঈশান রাগে কটমট করে উঠলো আর গাড়ি এত স্পিডলি চালালো যে জুথী ভয়ে টুকরে উঠলো। ঈশান কে বার বার নিষেধ করছে এত গতি নিয়ে না চালানোর জন্য। কে শুনে কার কথা। ইশান দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!
__আমি তোর মায়ের পেটের ভাই???
জুথী ভয়ে টুকরে উঠে কেঁদে দিয়ে বললো!!!
__না।
__ভাইয়া ডাকিস কেনো!! সমস্যা কি তোর..!
ঈশান এর এমন ভাবে কথা বলার মানে টা জুথী বুঝতে পারলো না! তবু ও কিছু বললো না বরং বললো!!
__সরি আর আপনাকে ভাইয়া বলে ডাকবো না। দয়া করে গাড়ির স্পিড কমান।
জুথী সরি বলার সাথে সাথে ঈশান গাড়ির স্পিড কমিয়ে দিলো। জুথী কে এমন ভয় পেতে দেখে ঈশান দাঁতে দাঁত চেপে মুচকি হেসে নিলো।
আইরা ঘরে সুয়ে আছে কালকে শপিং এর জন্য বেশ ছুটাছুটি করে কেনা কাটা করেছে। আজ বাদে কাল তাদের বিয়ে হয়তো কিছু খনের মধ্যে আদিল ও বাড়িতে চলে আসবে। কালকে কোথাই ছিলো কে জানে আজকে আসলে অনেক বকা খাবে আমার কাছে। আমি যে এত বেশি তাকে মিস করি! সে বুঝতে কেনো পারে না। শুধু বিয়ে টা হতে দাও।দেখবে কিভাবে তোমাকে আমার শাড়ির আঁচলে বেধে রাখি। সারা দিন তোমাকে আমার পেছন পেছন গুরাবো। এই বলে আইরা মুচকি মুচকি হেসে নেই। ফোনে থাকা আদিলের বেশ কয়েক টা ছবি ঘেটে দেখে বার বার। আর ভাবে মাএ কয়েক টা ঘন্টা তার পর ওই পুরুষি শুধুই আমার। আইরা ভাবতে ভাবতে কিছু খনের ভেতরে আবার ও সুয়ে ঘুমিয়ে যাই।
আশরাফ সিকদার রুমে বসে খবরের কাগজ পরছেন। অহনা সিকদার কিচেন থেকে আশরাফ সিকদার এর জন্য সুপের বাটি হাতে নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন। সুপের বাটি টা টেবিলে এর এক পাশে রেখে দিয়ে বসলেন আশরাফ সিকদার এর পাশে। আশরাফ সিকদার অহনা সিকদার কে এত কাছে বসতে দেখে গলা খাঁকারি দিয়ে বললো!!
__দিন দুপুরে এত কাছে আসার চেষ্টা কেনো করছো!! আমার কিন্তু বয়স হচ্ছে।
অহনা সিকদার এর শান্ত মস্তিষ্ক টা নিমিষেই বিগড়ে গেল আর বেশ রেগে গিয়ে বললো!!
__বয়স হচ্ছে হয়তো বেশ! কিন্তু বুদ্ধি তো কচু ও নেই!! আজ আমার তোমাকে খুব করে বলতে ইচ্ছে করছে তোমাকে মন্ত্রী টা বানালো কে।।
আশরাফ সিকদার কর্কট গলাই বললেন।
__এই একদম আমার মন্ত্রীত্ব নিয়ে কথা বলবে না।
__তাহলে কি নিয়ে কথা বলবো আমাকে একটু বলো??
আশরাফ সিকদার আলতো গলায় বললো!!
_±কোনো কথা বলার না থাকলে চলো আমরা ফ্যামিলি প্ল্যানিং করি।
অহনা সিকদার শান্ত ভঙ্গিতে বললেন!!
__আপনি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বয়সে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করলে! আপনার পদটা থাকবে তো সিকদার সাহেব৷
অহনা সিকদার এর কথার পর আর আশরাফ সিকদার কিছু বললেন না। অহনা সিকদার গিয়ে টেবিলের উপর থেকে সুপরের বাটি টা এনে আশরাফ সিকদার এর হাতে দিয়ে বললেন তাড়াতাড়ি শেষ করো। আশরাফ সিকদার হাতে নিয়ে এক চামুচ মুখে দিতেই অহনা সিকদার নিজের ত্বীখন্ন বুদ্ধি দিয়ে আশরাফ সিকদার কে প্রশ্ন করলেন!!
__আদিল এখন কোথাই আছে???
আশরাফ সিকদার সুপের বাটি থেকে চামচ মুখে দিতে দিতে বললেন!!
___আদিল নিজের বাড়িতেই আছে।।
__Black Rose ওই বাড়তে।
__হ্যা তুমি জানো না???
তার মানে তুমি আগে থেকেই সব কিছুই জানতে শুধু আমাদের কে জানাও নি??
আশরাফ সিকদার ভিষণ খেয়ে কাশতে কাশতে পানি খুঁজতে লাগলেন। সে মুখ ফসকে সব কথা বলে দিয়েছে এখন কি হবে। আশরাফ সিকদার কথা এরানোর জন্য বেশ উচ্চ সুরে রাগান্বিত হয়ে বললেন!!
__এত বছর দরে সংসার করছো! তারপর ও ঠিক মতোন না হয়েছে লবন আর না হয়েছে ঝাল! রান্না করতে পারো না তাহলে রান্না করতে যাও কেনো।
অহনা সিকদার রাগে কটমট করতে করতে কিছু বলতে যাবেন তার আগেই আশরাফ সিকদার রুম থেকে বেবিয়ে গেলেন। আর বুকে হাত দিয়ে বলতে থাকলেন!!
__আল্লাহ আজকের জন্য বেঁচে গেলাম। এই জীবনে না আছে সুখ আর না আছে শান্তি।
আদিল বেশ কিছু খন দরে উঠেছে গুম থেকে। উঠে ফ্রেশ হয়ে বসে আছে। ইরা আদিলের থেকে বেশ দূরে গিয়ে বসে আছে।আদিল বার বার তাকিয়ে দেখছে ইরা কে এত মায়াবী কেনো এই নারী তার সৌন্দর্যের আগুনের আমি প্রতি মিনিটে সেকেন্ডে ঝলসে যাচ্ছি বুঝতে পারে না কেনো এই মায়াবী৷ আদিল এর রাতের কথা মনে পরতেই বেশ কিছুটা রেগে গিয়ে ইরা কে বললো!!
___তোমার সাহস দেখে আমি অভাক হচ্ছি বউ! শেষ মেশ কিনা বাসর রাতে স্বামী কে দরজার বাইরে ফেলে রাখলে।এইটা কোনো কথা???
ইরা শান্ত ভঙ্গিতে বললো!!
__আপনার মতোন অসভ্য লোক কে শুধু দরজার সামনে কেনো! মনে হয়ে ছিলো এই বাড়ীর বাইরে ফেলে দিয়ে আসতে।
আদিল বিছানা থেকে উঠে ইরার ঠিক পাশে কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বাঁকা হেসে বললো!!
__আই লাইক ইউ বেবি!এত টুকুই যথেষ্ট আমার জন্য।বাসর টা কবে করবো তাহলে!!!
ইরা নিজের হাত দ্বারা বেশ জুরে ধাক্কা দিয়ে আদিল কে অনেক তাই দূরে সরিয়ে দিলো আর বললো।
__এক দম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না! আসলে একদম মেরে বালি চাপা দিয়ে দিবো।
আদিল ঠোঁটে ঠোট কামড়ে হাসি সংবরন করে বললো!!
__বাপরে কি হুমকি আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম!!!এখন কি হবে আমার??
ইরা নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেললো আর বেশ রাগান্বিত হয়ে বললো!!
__আপনি সত্যি একটা অসভ্য!!!
আদিল বাকা হেঁসে বললো!!!
___এমন ভাবে স্বামী কে অসভ্য বলার জন্য প্রত্যেক টি ঘরে একটা করে সুন্দরী বউ থাকা প্রয়োজন! আমি যখন মন্ত্রী হয়ে যাবো! তখন ছেলে দের বিয়ে করার সবোচ্চ বয়স দিবো আঠারো। আঠারো বছরের এক দিন রাত বেশি হলে তার জন্য পাচ কোটি টাকা জরিমানা! এটাই হবে আমার পরবর্তী জেনারেশন এর জন্য বেস্ট পুরস্কার!!!
ইরা আদিলের কথাই হাসতে শুরু করলো আর বললো!!
__আপনার মতোন অসভ্য মাথা মোটা লোক কে মন্ত্রী কে বানাবে???
আমরা কোথাই যাচ্ছি আশেপাশে এত জঙ্গল কেনো আমার ভিষণ ভয় করছে! জুথী চারপাশ টা ভালো করে দেখো নিলো আর ভাবলো ঈশান কি মাথাই উল্টা পাল্টা ছক কসছে। জুথী চেচামেচি করতে শুরু করলো আমি যাবো না যাবো না বলে! ঈশান গাড়ি থামালো না বরং জুথী কে আরেক টু ভয় দেখানোর জন্য বললো!!
__আশে পাশে দেখতে পাচ্ছো!!
__হ্যা!! দেখতে পাচ্ছি!!
ঈশান দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__চলো নয় ছয় করে ফেলি।
ইরা মানে টা বুঝতে না পেরে আবার ও জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা নয় ছয় মানে কি???ঈশান বেশ ভালো করেই বুঝে ফেললো এই মেয়ে ঠিক কতটা মাথা মোটা। ঈশান ভালো করে বুঝানোর জন্য আবারও বললো!!
__আকাম বুঝো ওইটা বলছি।
জুথী ঈশান এর এক হাত নিজের মুখের কাছে টেনে নিয়ে এক কামুড় বসালো।যতটা জুরে সম্ভব ঠিক ততটা জুরেই কামুড় বসালো। ঈশান ব্যাথাই টুকরে উঠলো আর বললো!!
__সরি সরি সরি ছাড় কুওি।
জুথী তাও ছা্রলো না! এবার ইশান বেশ রাগে কটমট করতে লাগলো! গাড়ির থামালো আর জুথী কে বললো!!
___প্লিজ ছাড়ো ব্যাথা পাচ্ছি আমি।
জুথীর ঈশান এর কথাই বেশ মায়া হলো তাই ছেড়ে দিয়ে বললো!!
__নেক্সট টাইম এই রকম বাজে কথা আর আমাকে বলবেন না!!
ইশান আর কিছু বললো না জুথী কে! বরং গাড়ি স্টার দিলো সারা রাস্তা কেউ একে অপরের সাথে আর কথা বললো না! ঈশান এর হাত থেকে অল্প অল্প রক্ত ঝরছে। জুথীর দেখে বেশ মায়া হলো ঈশান এর জন্য!তাই জুথী নিজের ব্যাগ থেকে ওয়ান টাইম ব্যান্ডেস বের করে ইশান এর কামড়ে দেয়া সেই স্থানে লাগিয়ে দিলো।
আদিল কাবাড থেকে একটা সিল্কের কালো শাড়ি বের করে ইরার হাতে দিয়ে বললো!!
__যাও গোছল করে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমরা বিকেলে আমাদের বাড়িতে চলে যাবো। ইরা কিছু বলে না সে অনেক টাই ক্লান্ত তাই শাড়ি টা নিয়ে চলে গেলো গোছল করতে।
আদিল বিছানার উপর সুয়ে কল করলো আশরাফ সিকদার কে!!!
___হ্যাল! ড্যাড!!
আশরাফ সিকদার গোমড়া মুখে উওর করলেন!!
__হ্যা বলো..!
আদিল আশরাফ সিকদার এর মন খারাপ বুজতে পেরে জিজ্ঞেস করলো!!
__কি হয়েছে ড্যাড।
আশরাফ সিকদার আদিল কে বেশ খোঁচা মেরে বললেন!!
__কি আর হবে আমার! আমার তো প্রোপোলারেটি বাড়ছে। আমি রাতারাতি ফ্যামাস হয়ে যাচ্ছি। আমার সুনাম এর বিপরীতে বদনাম হচ্ছে। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। এবার আমার স্টোক হবেই হবে।
আদিল শান্ত গলাই বললো!!
__স্টক হওয়ার হলে!এতদিনে স্টোক হয়েই যেতো । বুকে থেকে হাত সরাও ড্যাড। শয়তান মানুষ এত আগে মরে না ড্যাড…!
আশরাফ সিকদার কর্কট গলাই বললো!!
__তুমি কি কোনো ভাবে আমাকে অপমান করলা আদিল??
আদিল শান্ত গলাই উওর করলো!!
__ড্যাড আজ মনে হচ্ছে তুমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য! তুমি এত চালাক হলে কিভাবে। আজকাল অপমান করা টাও বুঝতে শিখে গেছো!!
আশরাফ সিকদার ভাব নিয়ে বললেন!!
__আমি তো আগে থেকেই চালাক! তুমি আজকে জানতে পারলে মাই সান!!
হুম জানবো না কেনো! এই যে প্রমান সহ কারে পেয়ে গেলাম। কথার মাঝেই অহনা সিকদার রুমে চলে আসেন! রুমে আসাতে আশরাফ সিকদার সাথে সাথে কল টা কেটে দেন।
ইরা গোছল শেষ করে কোনো রকম শাড়ি টাকে পেচিয়ে বের হলো ওয়াশরুম থেকে। ইরার শাড়ি পরার স্টাইল দেখে আদিল নিজের হাসি চেপে রাখতে পারলো না। বরং ইরা কে জিজ্ঞেস করলো!!
__এইটা কোন স্টাইলে তুমি শাড়ি পরছো?? পরতে পারবে না যখন আমাকে বললেই পারতে আমি পরিয়ে দিতাম। আসো আমি ঠিক করে পরিয়ে দিচ্ছি!
আদিল এর দুষ্ট কথার পেচ ইরা বেশ ভালো করে বুঝতে পারলো। তাই ইরা কিছুটা চালাকি করে আদিল কে শান্ত গলাই বললো!!!
__আপনি গুগোলে সার্চ করে লিখুন শাড়ি পরা ভিডিও তাই চলে আসবে!! আর অবশ্যই লিখবেন নতুন স্টাইলে পরার নিয়ম।
ইরার কথা শুনে আদিল সত্যি ফোন টা বের করে বিছানায় বসে সার্চ করতে লাগলো! সে ফাকে ইরা পেচানো শাড়ি টাকে দরে এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো পারুল এর কাছে!আর পারুল কে বললো এই শাড়িটা তাকে ঘুছিয়ে পরিয়ে দিতে।
Black Rose বাড়ির সামনে আসতেই জুথী বেশ ভয় পেয়ে গেলো।সে বেশ অনেক টাই ভয়ে কাঁপতে শুরু করলো! তাই জুথী ঈশান কে উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করলো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৩
__এইটা কি মানুষের বাড়ি নাকি ভুতের বাড়ি!!!
ঈশান জুথী কে আরেক টু ভয় দেখানোর জন্য বললো!!
__তুমি ঠিক বলেছো! এটা মানুষের বাড়ি হতেই পারে না! এইটা ভুতের বাড়ি। চলো আজকে তোমাকে একটা বড় সরো ভুত দেখাবো।
