এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৮
Chadny islam
প্রতিদিন এর মতোন আইরা এবং সোনালি তালুকদার বসে আছেন টিভি দেখছেন আর কফি খাচ্ছেন। কালকে যে আদিল এর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আইরা কে দেখে মনে হচ্ছে হয়তো! বরং মনে হচ্ছে সে রাতে ঘুমের সাথে সব কিছু ভুলে গিয়েছে। বেশ কিছু খন পর অহনা সিকদার এসে বসলেন টেবিলে। তিনি গরম গরম ধোঁয়া ওড়ানো কফি খাচ্ছেন। আইরা কে এমন ভাবে যে সকাল সকাল দেখবেন সেটা একদম আশা করে নি অহনা সিকদার। তবে বেশ ভালো লাগছে আইরা কে স্বাভাবিক দেখে। আইরা অহনা সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বললেন!
__আন্টি আমি একটা ডিসিশন নিয়ে নিয়েছি! আমি আর ইউএসএ যাবো না। আদিল এর ঠিক ডান পাশের কোম্পানি টা আমরা কিনে নিয়েছি। আমি আর মাম্মি মিলে দেখাশেনা করবো। চাইলে আপনিও আপনাদের কোম্পানির সাথে লেনদেন করতে পারবেন।
অহনা সিকদার এত খনে আইরার ফুরফুরে মেজাজ টার কারন বুঝতে পারলেন। আইরা এখন রেশারেশি তে নামবে এই সিকদার বাড়ীর সাথে! তাই অহনা সিকদার মুচকি হেসে বললেন!!!!
__অবশ্যই কেনো নই!! আগে সফলতা টা অর্জন করো।তারপর না হয় আমরা লেনদেন নিয়ে ভাববো। আর হ্যা আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি। অল দ্যা বেষ্ট।
সামনের দিকে এগিয়ে যাও।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অহনা সিকদার এর শান্ত গলার কথাই বেশ অপমান বোধ করলো আইরা।অহনা সিকদারের ঠেস মারা কথার মানে টা বুঝতে পারলো। আইরা রাগে কটমট করতে করতে আদিল এর রুমে দিকে তাকাতেই দেখলো ইরা নিচে নামছে। গায়ে জড়ানো হালকা কাজের সুতি কাপড়ের থ্রি পিস। আইরা ইরা কে এক বার দেখে চোখ ফিরিয়ে নিলো।এবং নিজের মা সোনালী তালুকদার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করললন!!
__মাম্মি এই মেয়ে টা কি আমার থেকে ও বেশি সুন্দর।
সোনালী তালুকদার একবার মেয়ের দিকে তো আরেক বার ইরার দিকে তাকালেন। তিনি নিজেই কনফিউজ কে বেশি সুন্দর। তবে সৌন্দর্যের কথা বললে কেউ কারোর থেকে কম নই। তাই সোনালী তালুকদার মেয়ে মানানোর জন্য বললেন!!
__আমার মেয়ে অবশ্যই আমার কাছে পরীর মতোন। তবে আমার মনে হয় সম্পর্কে কখনো সৌন্দর্য মেটার করে না। তুমি যাকে যত বেশি ভালোবাসবে তাকে তত বেশি সুন্দর লাগবে৷
ইরা ফ্রেশ হয়ে নিচে এসেছে! আইরা কে তেমন ভালো ভাবে চিনে না! তাই ওর কাছে না গিয়ে কিচেন এর দিকে গেলো। যেখানো অহনা সিকদার এবং মাইমুনা সিকদার আছে। অহনা সিকদার আশরাফ সিকদার এর জন্য সুপ রেডি করছেন। আশরাফ সিকদার এর হার্টে সমস্যা ডায়াবেটিস এর সমস্যা অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার তার জন্য নিষেধ। সারা দিন ব্যাস্ত থাকলে ও সকালে এবং রাতে স্বামীর জন্য নিয়ম করে সুপ তৈরি করেন। ইরা কে কিচেন আসতে দেখে মাইমুনা সিকদার আদরে গলাই বললেন!!
__নতুন বউ এত সকাল সকাল রান্না ঘরে কেনো। তুমি যাও গিয়ে রেস্ট করো।
__ছোট আম্মু আমি আপনাকে হেল্প করি।
না আম্মু তোমার কোনো হেল্প লাগবে না এখন আমাদের।আমরা এখন ও জোয়ান আছি বুড়ো হয়ে গেলো তখন তুমি রান্না করে আমাদের খাওয়েও।
অহনা সিকদার গম্ভীর গলাই ইরা কে বললেন!
__আদিল কোথাই।
ইরা ভয়ে টুকরে উঠে বললো!!
__রু…রুমেই তো আম্মু।
আদিল কে বলো ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে আমার ইমপোর্টেন্স কথা আছে। ইরা অহনা সিকদার এর কথাই সম্মতি জানিয়ে বললো। ঠিক আছে আম্মু।
গতরাত রাতে বেশ লেট হয়ে গিয়ে ছিলো বাড়ীতে ফিরতে। তাই রাতে আর কারোর সাথে দেখা হয় নি প্রিয়াশ আর আদিব এর। প্রিয়াশ নিজের মা কে খুঁজতে চলে গেছে কিচেনে। মাকে সামনে পেয়ে শক্ত করে জড়িয়ে দরলো প্রিয়াশ!ছেলেকে কাছে পাওয়ার আনন্দে মাইমুনা সিকদার এর চোখ বেয়ে দু’ফোটা অশ্রু ঝরে পরে। পরম যত্নে ছেলে কে আদর করতে লাগলেন। ভাইয়া এসেছে শুনে কলি ও এসেছে মায়ের কাছে। কলি কে দেখে প্রিয়াশ আদুরে গলাই বললো!!
__কি রে পাকা বুড়ি কি খবর তোর।
ভালো আছি ভাইয়া!! তুমি আমাকে পাকা বললা কেনো!! আম্মু দেখো ভাইয়া আমাকে বুড়ি বললো!!
প্রিয়াশ অহনা সিকদার কে খেয়াল করেনি। যখন খেয়াল করেছে তখন অহনা সিকদার সুপের বাটি নিয়ে টেবিলে এর দিকে এগোচ্ছে। প্রিয়াশ অহনা সিকদার কে পেছন থেকে ডেকে বলে।।
___বড় আম্মু! কেমন আছো।
অহনা সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
__ভালো আছি ।
প্রিয়াশ আরেক টু এগিয়ে গেলো অহনা সিকদার এর দিকে। ঠিক অহনা সিকাদার এর সামনে গিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে বললো!!
__বড় আম্মু! তুমি কি এখনো আমার উপর রেগে আছো।
__না
আমি এখন আর বাজে কাজ করি না বড় আম্মু! আমি ঠিক হয়ে গিয়েছি। আমাকে একটি বিশ্বাস করে দেখো। তোমাদের ছেড়ে থাকতে আমার এত দিন অনেক কষ্ট হয়েছে। প্লিজ বড় আম্মু আমাকে আর ভুল বুঝো না।
অহনা সিকদার নিজের রাগ কে দমিয়ে প্রিয়াশ এর মাথাই হাত রেখে বললেন!!
__একটা কথা মনে রাখবা বাবা ! তুমি আমার হাত দরে তিলে তিলে বড় হয়েছো। তোমাকে চিনতে জানতে আমার বিন্দু পরিমান ও সময় লাগবে না। তবে তুমি যখন নিজেই নিজের ভুল টা বুঝতে পেরে সুদরে নিচে চাইছো। তাহলে আমি বলবো! তোমার আগের ভুল টা খমা করে দেয়ার কারন ছিলো! তুমি ছোট বলে। এখন কিন্তু তুমি ছোট নয়। এক বিন্দু পরিমান ও ছার পাবে না আমার থেকে। কথাটা সবসময় মাথায় রাখবা!
প্রিয়াশ ডুক গিলে অহনা সিকদার কে মানানোর জন্য বললো!!
__আমি আর ভুল করবো না বড় আম্মু। টাস্ট মি..
আশরাফ সিকদার নিজের রুম থেকে বেরিয়ে নিচে খাবার টেবিলে গিয়ে বসলেন। অনেক রাতে এসেছে আদিব আর প্রিয়াশ তাই ওদের সাথে দেখা হয় নি আর রাতে। আশরাফ সিকদার চেয়ারে বসতে বসতে ডাকলেন আদিব আর প্রিয়াশ কে। আদিব বাবার ডাকে এগিয়ে গেলো বাবার দিকে। আশরাফ সিকদার এর কাছে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে দরলো বাবা কে আদিব। আদিব ছোট বেলা থেকে বেশ ছেলে মানুষ। একটু আদর পেলেই নরম হয়ে যায়। আশরাফ সিকদার প্রিয়াশ কে ও বুকে টেনে নিলেন৷ এবং পাশের চেয়ার গুলো তে বসতে বললেন৷ বাসাই থাকা সারবেন্টরা মিলে টেবিলে খাবার রেডি করছেন। আশরাফ সিকদার কে গরম গরম সুপের বাটি সামনে এগিয়ে দিলেন অহনা সিকদার। এক এক করে সবাই চলে আসলেন খাওয়ার টেবিলে।
আদিল এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছে! ইরা আদিল কে ডাকছে বেশ অনেক খন যাবত।
__এই অসভ্য লোক এই বেহায়া লোক উঠোন।
আদিল ঘুম জড়ানো কন্ঠে রেগে গিয়ে বললো!!
__সালার কুওা কপাল!! সকাল সকাল এগুলা কি বাজে নামে ডাকে আমাকে। অন্যদের দিন শুরু হয় কিনা জান বাবু সোনা দিয়ে আর আমার কিনা৷ অসভ্য লোক বাজে লোক এই গুলা শুনে দিন শুরু হয়। আহা আমার কি জীবন! পুরাই পান্তা ভাত এর মতোন! জীবন টা শেষ! পুরুটাই বরবাদ করে দিলো মেয়ে!!!
ইরা মুচকি মুচকি হেসে নিলো আদিল এর কথাই। সে জানে না ঠিক মতোন কাকে বিয়ে করেছে। আস্তে আস্তে সেটাও বুঝতে পারবে। ইরা গায়ে হাত না দিয়ে ঝাড়ু নিয়ে আসে। ঝাড়ু উল্টো করে আদিলের গায়ে লাগিয়ে বলে!!
__এই বেহায়া লোক উঠোন বলছি নয়তো পানি ডেলে দিবো।
আদিল কপাল কুঁচকে বলে!!
__এই মেয়ে সুন্দর করে ডাকতে পারো না। কাছে এসে বসতে পারো না। কপালে একটা আলতো করে চুমু দিতে পারো না আদুরে গলাই ডাকতে পারো না।
”না! পারি না।
“‘”তাহলে কি পারো।
“””বেহায়া লোক আর অসভ্য লোক এই গুলা বলতে পারি। ওই সব নষ্ট মার্কা কথা আমি বলতে পারি না।
স্বামী কে ওই সব কথা বললে নষ্টামি বলে না। রোমান্টিক বলে!! তুমি বাচ্চা মেয়ে তাই হয়তো জানো না! আমার কাছে আসো আমি শিখিয়ে দিচ্ছি ।
“”নট ইন্টারেস্ট! আপনার অসভ্য মার্কা কথা শুনার জন্য আমি প্রস্তুত নয়।
“”তাহলে কবে প্রস্তুত হবে??
“”এই জীবনেও না!!
“”তাহলে কি সারাজীবন আমার বাসর ছাড়াই থাকতে হবে!!
“””হ্যা!! অফকোর্স।
“”এটা হতে না আমি বিশ্বাস করি না।
“”বাপ্পারাজের ডায়লগ দেয়া বন্ধ করেন।অসভ্য লোক!!
তাহলে জায়ান ক্রিতিক এর একটা ডায়লগ দেই!! তুমি হয়তো জানো না আমি জায়ান ক্রিতিক এর বিগ ফ্যান। আর ডার্ক রোমাঞ্চ এর ও!
“”আমি অরু নই।
আজকে রাতের জন্য হয়ে যাও হার্টবিট।তোমাকে দেখিয়ে দিবো আমি ও জায়ান ক্রিতিক এর থেকে কম নই।
অসভ্য লোক।মন টাই চাইতাছে। দশ জন মাওলানা ডেকে এনে আপনার মুখের উপর মুনশি পরিয়ে দেই।তাতে যদি মুখের ভাষাটা ঠিক হতো।
“”তুমি রিল্যাক্সে থাকতে পারো বউ।আমার এই মুখের ভাষা সারা জীবনেও ঠিক হবে না।
ইরা মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো বেলকনির দিকে। এই লোক এত বেশি কথা বলে যা সারাদিন রাত শুনলেও শেষ হবে না৷আদিল ইরা কে মুখ বাঁকিয়ে চলে যেতে দেখে বুঝতে পারে ইরার রাগের কারন। তাই আদিল আর দুষ্টমি না করে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো। টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে ইরা কে সাথে নিয়ে গেলো নিচে খাওয়ার টেবিলে! গিয়ে বসলো আদিল ইরা কে নিজের পাশের চেয়ারে বসতে বললো!!
টেবিলে অনেক মানুষ যাদের কে ইরা অল্প অল্প চিনলেও। নতুন দুইটি পুরুষ এর একটি পুরুষ কেও ঠিক ভাবে চিনে না ইরা। আদিব ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__কেমন আছেন ভাবী!
ইরা কিছুটা সংকোচ নিয়ে বললো!!
“”ভালো আছি আপনি।
ইরার সংকোচ বোধ দেখে আদিব বললো!!
__আমি কিন্তু আপনার ছোট দেবর। আপনি তো এখনো এই বাড়িতে নতুন তাই আপনার চিনতে সমস্যা হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে সবাই চিনতে পারবেন ভাবী।
প্রিয়াশ হা করে তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। ঠোঁটে ঠোট কামড়ে হাসছে। তার অদ্ভুত হাসির মতোন তাকানোর দৃষ্টি টাও বাজে। ইরা একবার প্রিয়াশ এর দিকে তাকাতেই চোখ ফিরিয়ে নেই অন্যদিকে।
আশরাফ সিকদার আদিল কে বললেন!!
__মাই সান!! আজকে ইমপোর্টেন্স সমাবেশ আছে সামনেই ইলেকশন আজকে কিছু পার্টি মিছিলে বের হবে। তোমাকে আজকে যে ভাবেই হোক যেতেই হবে।
অন্যদিকে অহনা সিকদার এর ও সেম সমস্যা আজকে কোম্পানির কাজে দেশের বাইরে থেকে লোক আসবে। তাদের সাথে সমস্ত প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলতে হবে। যেভাবেই হোক ডিল ডান করতে হবে।
আদিল জানাই ড্যাড তুমি বরং ঘন্টা খানেক আগে যাও আমি পরে আসছি। আগের কোম্পানির প্রজেক্ট গুলো ঠিক করে আসি। তাছাড়া রিফাত ও থাকবে আমার সাথে বেশি টাইম লাগবে না। তুমি বরং সাথে করে আদিব আর প্রিয়াশ কে নিয়ে যাও।
আদিব এর রাজনৈতিক বিষয়ে ইন্টারেস্ট নেই খুব বেশি ভালো লাগে না রাজনীতি। তবে আদিল যেহেতু বলেছে তার মানে যেতেই হবে বাবার সাথে। তাই আদিব আর সংকোচ না করে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলো।
সবার খাওয়া শেষ হলে আদিল ইরা কে নিয়ে রুমে চলে গেলো। ইরা কিছু খন যাবত মন খারাপ করে বসে আছে দেখে আদিল জিজ্ঞেস করলো!!
__কি হয়েছে তোমাকে দেখতে এমন লাগছে কেনো! কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত তুমি।
ইরা শান্ত গলাই বললো!!
__আমি আব্বু আম্মুর কাছে যেতে চাই! আমি ওনাদের কে আমি খুব বেশি মিস করছি। কথা শেষ করার আগেই ইরার চোখ বেয়ে দু’ফোটা অশ্রু ঝড়ে পরলো। আদিল আলতো করে গালে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিতে গেলেই ইরা হাত টাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বললো!!
__আমাকে স্পর্শ করবেন না প্লিজ।
“”কেনো?? আমার স্পর্শ কি বাজে লাগে।
“”হ্যা..!
আদিল কপাল কুঁচকে বলে!!
__আমি স্বামী হয় তোমার কোনো পর পুরুষ নই।তাই আমার স্পর্শ কে পবিত্র মনে করতে পারো বাজে নই।তোমার জন্য আমিই সেই পুরুষ যে সারাজীবন তোমার জন্য পবিএ।
চাই না আমার সারা জীবন এমন পবিত্র মানুষ।
আদিল নিজের চোয়াল শক্ত করে দাঁতে দাঁত পিসে বলে!!
__তাহলে কাকে ভালো লাগে ইয়ান রোশান কে??
ইরা আদিল এর কথাই কপাল কুঁচকে ফেললো। এর মাঝে রোশান কোথা থেকে আসলো। আদিল রাগে কিরমির করতে লাগলো। আদিল এর রাগের গতিবেগ বুঝতে পেরে ইরা আদিল এর থেকে বেশ কিছু টা দূরে গিয়ে দাড়ালো! তাতে কোনো লাভ হলো না। আদিল ইরার দুই বাহু দেয়ালের সাথে লাগাতেই ইরা ব্যাথাই চিৎকার করতে শুরু করে। এই মূহুর্তে আদিল কে সাইকোর থেকে ও বেশি ডেঞ্জাযারাস লাগছে। ইরা কখনো আদিল কে এমন রাগতে থেকে নি। আদিল কে শান্ত করার জন্য ইরা বললো!!
___লাগছে আমার! ছাড়ুন প্লিজ।ব্যাথা পাচ্ছি আমি!!
জুথী ক্যাম্পাসের এক পাশে বসে আছে। সাজিদ আর ইরা কেউ আসে নি। ইরার তো বিয়ে হয়ে গেছে তাই আসেন না। কিন্তু সাজিদ এর কি কিছু হয়েছে। সেটাও কোনো ভাবেই জানা যাচ্ছে না। জুথী ক্লাসমেট একটি মেয়ে যার দিবা। সে সাজিদ দের বাড়ীর পাশেই থাকে। তাই জুথী ক্যাম্পাসের পাশে থেকে উঠে ক্লাস গেলো দিবা মেয়ে টির কাছে। মেয়েটি বললো সে সাজিদ এর বিষয়ে তেমন কিছুই জানে না। জুথী কোনো উপায় না পেয়ে মেয়ে টিকে রিকোয়েস্ট করলো তার সাথে সাজিদ দের বাসাই যেতে। জুথীর এত অনুরোধ মেয়ে টি ফেলতে না পেরে জুথী কে সাথে করে নিয়ে গেলো সাজিদ এর বাড়িতে ।
আজাদ চৌধুরীর শরীরের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। দিন রাত মেয়ের টেনশন শুকিয়ে যাচ্ছেন৷ তারা পুলিশ এর কাছে কমপ্লেন করে ছিলেন। বললো অতি দ্রুত খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আজ দুই দিন মেয়ে টার কোনো খোঁজ খবর নেই। সালমা চৌধুরী অঝড়ে চোখের পানি ফেলেন। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আদিল প্রোপার ভাবে রেডি হয়ে নিলো অসিফের উদ্দেশ্য সেখান থেকে আবার সমাবেশে যেতে হবে। সারাদিনের ব্যস্ততার শেষ থাকবে না আজ। আদিল রাগান্বিত হয়ে বললো!!
__আজকে যদি রুমে দরজার বন্ধ করে রাখিস। তাহলে তোর খবর আছে। ছোট বলে সব কিছুতে আমার কাছে ছাড় পাবি না।
“‘আমি চেয়েছি আপনার কাছে ছাড়।
“”ঠিক আছে তাহলে রাতের জন্য রেডি হও৷
ইরা মুখটা কে বাঁকা করে বললো!!
__আমি রেডি আছি আপনি হয়ে আইসেন। বড় বড় মশার চুমু খাওয়ার জন্য।
“”আজকে মশার চুমু খাবো না বউ! তোমার চুমু খাবো।
আদিল ইরার দিকে এগিয়ে গিলো কপালে একটা চুমু দিবে বলে! তখনি ইরা আদিল এর সামনে থেকে সরে দাড়ালো আদিল এর চুমু টা গিয়ে পরলো দেয়ালে। আদিল রাগে কটমট করতে লাগলো! আর বললো!!!!
__এই মেয়ে টা মনে হয় জীবনেও রোমান্টিক মুভি দেখে নাই।
ইরা অভাক হওয়ার নাটক করে বললো!!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৭
__হ্যা! আপনি জানলেন কিভাবে??
আদিল আশরাফ সিকদার কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো!!
__ড্যাড তুমি আরেকটা মেয়ে দেখো আমার জন্য! আমি আরেটা বিয়ে করবো ডিসিশন ফাইনাল আমি বছরে ২৪ টা বিয়ে করবো। জীবন টারে পান্তা ভাত এর থেকেও বেশি খারাপ করে দিলো এই মেয়ে। এখন কি হবে আমার। ড্যাড!.ড্যাড…..
