mad for you part 9
তানিয়া খাতুন
রাত হয়েছে, চারিদিকে নিস্তব্ধতা।
রুহি ফোন বন্ধ করে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে।
হঠাৎ ঘরের দরজায় কেউ জোরে জোরে ধাক্কা দেয়।
রুহির ঘুম ভেঙে যায়, চমকে উঠে বসে চারিদিকে তাকায়।
দেখে, দরজার সামনে ক্ৰিশ হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রুহির ভিতরটা শুকিয়ে যায়, ভয় পেতে থাকে — “যদি আব্বু আম্মু উপরে চলে আসে!”
ক্ৰিশ বাঁকা হেসে বলে,
— “Butterfly…”
রুহি দৌড়ে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে ভেতৱ থেকে লক দেয়।
ৱুহিঃ “আপনি এখানে কী করছেন? পাগল হয়ে গেছেন নাকি?”
ক্ৰিশ রুহির কোমর শক্ত করে ধরে তাকে নিজের দিকে টেনে নেয়,
— “হ্যাঁ, পাগল হয়ে গেছি Butterfly।
তোকে সারাদিন দেখতে না পেয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি।”
রুহি কাঁপা গলায় বলে,
— “দেখুন, আপনি এখান থেকে যান কেউ দেখলে খারাপ ব্যাপার হবে… আপনাকে আমি পরে সব বুঝিয়ে বলব।”
ক্ৰিশ বিরক্ত হয়ে যায়, কিন্তু তার চোখ আটকে যায় রুহির নরম গোলাপি ঠোঁটে।
সে নিচু গলায় বলে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— “রাখ তোর কথা, এখন আমার ভেতরে আগুন জ্বলছে… সেটা নিভিয়ে দে।”
বলে ক্ৰিশ হঠাৎ রুহির গলায় জোরে কামড়ে দেয়।
রুহি ব্যথায় ককিয়ে ওঠে,
— “আহ্…!”
ক্ৰিশ কঠিন গলায় বলে,
— “ভাবিস না, তোকে আমি ছেড়ে দেব।
ভুল করেছিস—তার শাস্তি পেতেই হবে।”
ঠিক তখনই বাইরে থেকে রুহির বাবা দরজায় ধাক্কা দেয়।
— “রুহি মা! তুই ঠিক আছিস তো? একটু আগে কেমন একটা আওয়াজ হচ্ছিল?”
রুহি ভয়ে আঁতকে ওঠে , আব্বুর গলা শুনে তাড়াতাড়ি হাত দিয়ে ক্ৰিশের মুখ চেপে ধরে যাতে তার আওয়াজ আব্বু না শুনতে পান।
রুহি গলা ঠিক করে বলে,
— “আমি ঠিক আছি আব্বু! ওই একটা বেড়াল জানলা দিয়ে ঢুকে পড়েছিল, ওটাই তাড়াচ্ছিলাম।”
ক্ৰিশ চোখ বড়ো বড়ো করে রুহির দিকে তাকায় —
মনে মনে ভাবে, “বেড়াল! এত সাহস ক্ৰিশ খান কে বেড়াল বলে!”
আব্বু: আচ্ছা, তাহলে তুই ঘুমা, আমি গেলাম।
রুহি: হ্যাঁ আব্বু, ঠিক আছে।
রুহির আব্বু চলে যেতেই রুহি একটা গভীর নিঃশ্বাস ফেলে।
এতক্ষণ ক্ৰিশেৱ চোখ যেন রুহির পুরো শরীরেই ঘুরছিল—রুহি স্লিভলেস টপ আর হাঁটু পর্যন্ত স্কার্ট পরে আছে।
মেয়েলি দেহটা যেন অদ্ভুত ভাবে তাকে টানছে,
ক্ৰিশের ভেতরটা কেমন অস্থির হয়ে উঠল, সে যেন নিজেরই অজান্তে গভীর ঘোৱে চলে গেল।
ক্ৰিশ এগিয়ে এসে এক হাতে রুহির ঘাড় চেপে ধরল।
রুহি চমকে উঠে, চোখ বড় বড় করে ক্ৰিশের দিকে তাকিয়ে রইল।
ক্ৰিশের এক হাত রুহির কোমর ধরে টেনে তাকে পুরো নিজের কাছে আনে।
দু’জনের মুখ খুব কাছাকাছি চলে আসে।
ক্ৰিশ নরম গলায় বলে,
— “বাটারফ্লাই, আজকে যদি হাফ বাসর করি, তাহলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?”
— “প্রমিস, শুধু টেস্ট করব… লাগাব না, প্রমিস বাটারফ্লাই।”
রুহি কিছু বলতে যাবে, তার আগেই ক্ৰিশ তার সিগারেট-জ্বলা ঠোঁট দিয়ে রুহির নরম গোলাপি ঠোঁট আঁকড়ে ধরে।
রুহির শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা কাঁপন নেমে যায়, সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ক্ৰিশ তার সব রাগ, ভালোবাসা রুহির ঠোঁটের উপর ঝাড়তে থাকে—কখনও কামড় দেয়, আবার কখনও পুরোপুরি চুষে নিচ্ছে।
ক্ৰিশের হাত রুহির টপের ভেতর পেটের কাছে যায়।
ঠান্ডা হাতের স্পর্শে রুহি কেঁপে ওঠে।
সে ক্ৰিশের বুকে কিল ঘুসি মারে, কিন্তু ক্ৰিশ এক ইঞ্চি সরে না, সে রুহির ঠোঁট শুষে নিতে ব্যস্ত।
কিছুক্ষণ পর ক্ৰিশ রুহির ঠোঁট ছেড়ে দিতেই রুহি জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে।
রুহির বুক ওঠানামা করছে, দেখে ক্ৰিশের মাথায় নেশা চড়ে যায়।
সে রুহিকে দেওয়ালে চেপে ধরে।
রুহি বাধা দিতে গেলে, ক্ৰিশ তার দুই হাত ওপরে তুলে দেওয়ালে চেপে ধরে।
ক্ৰিশ রুহির গলায় মুখ ঘষে বলে,
— আমার খুব ইচ্ছে করছে, বাটারফ্লাই, তোকে খুব করে ছুঁয়ে দিতে। কী করি বলতো?
আৱ তুই তো বললি আমি বেড়াল , বিড়াল হয়ে দুধ না খেলে কী হয়।
রুহি তোতলাতে তোতলাতে বলে,
— প্লিজ, এমন কিছু করবেন না… এটা ভুল, আমাদের বিয়ে হয়নি…রুহির কণ্ঠ কেঁপে উঠল।
ক্ৰিশেৱ মুখে একটা মৃদু হাসি, তবু সেই হাসির আড়ালে যেন আগুন জ্বলছিল।
“ক্ৰিশঃ উম্ম… একটু আদর না করলে আমি নিজেকে শান্ত করতে পারব না… আমার শরীর গরম হয়ে গেছে।”
রুহি অবাক হয়ে তার দিকে তাকাল, ঠোঁট কাঁপছে হালকা।
“রুহিঃ আমি বরফ নিয়ে আসছি, লাগিয়ে নিন।”
ক্ৰিশ হাসল আরও একটু, চোখে দুষ্টু ঝিলিক—
“তাই? কোথায় লাগাতে হবে জানিস, পারবি তো?”
রুহির বুক ধক করে উঠল।
সে নিচের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বলুন… কোথায়?”
ক্ৰিশ কিছু না বলে চোখ দিয়ে ইশারা করল নিচের দিকে।
ইশারাটা এতটাই স্পষ্ট ছিল যে, রুহির গালমুখ মুহূর্তেই লাল হয়ে গেল।
সে এক পা পিছিয়ে গেল, হাতের আঙুলগুলো একে অপরকে চেপে ধরল, মুখ থেকে একফোঁটা শব্দও বেরোল না।
তার কানের পাশে যেন হালকা ধোঁয়া উঠছে, লজ্জা আর রাগ মিলেমিশে একাকার।
অবশেষে নিচু গলায় বলল,
“প্লিজ চলে যান আপনি… কেন বুঝছেন না, এত রাতে একটা মেয়ের ঘরে ঢোকা ঠিক না!”
রুহির কথা শুনে ক্ৰিশের মাথায় আগের রাগটা আবার ফিরে এল।
রুহি যেভাবে না বলে চলে গিয়েছিল, সেই জ্বালা আবার আগুনের মতো জ্বলে উঠল তার ভেতরে।
হঠাৎ সে রুহির মুখ চেপে ধরে, এত জোরে ধরে যে রুহির মনে হয় তার দাঁত ভেঙে যাবে।
রুহি কিছু বলার আগেই ক্ৰিশ দাঁত চেপে বলে,
— অনেক সাহস হয়েছে তোর? আমার কথাৱ অবাদ্ধ হোস?
একবার নয়, বারবার এমন করেছিস!
এইবার এমন শাস্তি দেবো, যেন দ্বিতীয়বার এমন ভুল করার আগে তুই ভালো করে ভয়ে কাঁপবি।
রুহির চোখে তখন ভয় আর অজানা এক কাঁপুনি।
ক্ৰিশ ধীরে ধীরে তার হাত ছেড়ে দিয়ে এক চিলতে হাঁসে, চোখে একটুখানি দুষ্টু ঝিলিক।
তারপর নিচু গলায় বলে,
— are you ready বাটারফ্লাই?
ক্ৰিশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে চারপাশে তাকায়।
ঘরটায় নীরবতা ছড়িয়ে আছে—দেয়ালের ঘড়ির টিকটিক শব্দ, জানালা দিয়ে ঢোকা ম্লান আলো, আর বাতাসে মিশে থাকা চাপা উত্তেজনা।
রুহি স্থির দাঁড়িয়ে আছে, বুঝে উঠতে পারছে না ক্ৰিশের পরের পদক্ষেপ কী হতে পারে।
হঠাৎ ক্ৰিশ ধীরে ধীরে রুহির আলমারির দিকে হাঁটতে শুরু করে।
তার চোখে একরকম অস্থিরতা, যেন কোনো কিছু খুব নির্দিষ্টভাবে খুঁজছে।
আলমারির দরজা খুলে দেয় সে, আর একের পর এক জামাকাপড়, ওড়না, সব ছুড়ে ফেলতে শুরু করে।
প্রতিটি জিনিস পড়ে যাচ্ছে মেঝতে।
রুহি ভয়ে এগিয়ে আসে, কাঁপা গলায় বলে,
— “আপনি কী করছেন? সব এভাবে ফেলে দিচ্ছেন কেন?”
ক্ৰিশ তার কথা শোনে, কিন্তু উত্তর দেয় না।
তার দৃষ্টি তখন আলমারির ভেতর পড়ে থাকা একটা সিল্কের শাড়ির ওপর স্থির হয়।
ধীরে ধীরে সেটি হাতে তুলে নেয়, আঙুলের ফাঁকে শাড়ির কোমল কাপড়টা ছুঁয়ে এক মুহূর্ত চোখ বন্ধ করে। তারপর ঠোঁটের কোণে একটা বাঁকা হাসি খেলে যায়।
সে রুহির দিকে এগিয়ে আসে। রুহি পিছু হটে, কিন্তু ক্ৰিশ থামে না।
এক নিঃশব্দ টানেই সে শাড়িটা রুহির কোমরে বেঁধে দেয়, খুব শক্ত ভাবে, কিন্তু তার চোখে একরকম দখলদারিত্বের ঝিলিক।
সেই মুহূর্তে রুহির বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে—ভয়, আর এক অজানা শিহরণ একসাথে মিশে যায়।
রুহির চোখে জল এসে যায়, কাঁপা গলায় বলে,
— “প্লিজ… আমাকে ছেড়ে দিন… আপনি কী করতে চাইছেন?”
ক্ৰিশ তখন মাথা একটু কাত করে রুহির চোখে চোখ রেখে বলে,
— “চিল, বাটারফ্লাই… just a fun।”
তারপর ধীরে ধীরে রুহির হাত ধরে, আলতো করে টেনে নিয়ে যায় ব্যালকনির দিকে।
রুহির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যায়, বাতাস থমকে থাকে।
বাইরে অন্ধকার নামছে—দূরের আলোয় দুজনের ছায়া এক হয়ে যায়।
রাতের হাওয়াটা তখন নরম কিন্তু ভেতরে ভেতরে যেন আগুন জ্বলছে।
বারান্দার হালকা আলোয় রুহির মুখটা অর্ধেক ছায়ায় ঢাকা, ঠোঁটের কোণে আতঙ্কের রেখা।
আর ক্ৰিশেৱ— চোখে অদ্ভুত এক ঝলক, যেন একসাথে রাগ, ভালোবাসা আর অধিকার সবই মিশে আছে সেখানে।
রুহি কিছু বলার আগেই ক্ৰিশ হঠাৎ তাকে কোলে তুলে নেয়।
রুহি চমকে ওঠে,
— “কি করছেন আপনি! আমি পড়ে যাবো, প্লিজ এমন করবেন না!”
ক্ৰিশ ফিসফিসিয়ে বলে,
— “চোখ বন্ধ কর, বাটারফ্লাই… এখন তোকে আমি এখান থেকে ছেড়ে দেবো, আৱ তুই ঠুস কৱে নীচে পড়ে যাবি।
তখন বুঝবি, আমার অবাধ্য হওয়ার মজা কাকে বলে।”
রুহির চোখ বড় হয়ে যায়।
সে দুই হাত দিয়ে ক্ৰিশের কাঁধ আঁকড়ে ধরে — বুকের ভেতর ধপধপ করছে, যেন হৃদয়টা বুক ফেটে বেরিয়ে আসবে।
— “না, না, প্লিজ… আমি মরে যাবো!”
ক্ৰিশের ঠোঁটের কোণে কৌতুকভরা ঠান্ডা হাসি,
— “I don’t care.”
তারপর সে বারান্দার প্রান্তে এসে দাঁড়ায়, নিচে তাকালে দেখা যায়— অন্ধকারে আলো ঝিলিক দিচ্ছে, অনেক নিচে মাটি।
হাওয়ায় রুহির চুল উড়ে গিয়ে ক্ৰিশের মুখে লাগে। মুহূর্তের জন্য দুজনের চোখে চোখ।
ক্ৰিশ ধীরে ধীরে গুনতে শুরু করে—
“৫… ৪… ৩… ২… ১…”
আর তারপরই সে রুহিকে ছেড়ে দেয়।
রুহির গলা ফেটে চিৎকার বেরিয়ে আসে—
“আআআআআআ—!!”
চোখ-মুখ বন্ধ, শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। মনে হয় এইবার সত্যিই শেষ।
কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পর… কিছু একটা তাকে টেনে ধরে রেখেছে।
হাওয়ায় ঝুলে আছে সে— কোমরে বাঁধা সিল্কের শাড়ির একটা দিক ক্ৰিশ শক্ত করে ধরে রেখেছে।
নিচে নয়, মাঝখানে সে ঝুলছে, ক্ৰিশের শক্ত বাহুর উপর নির্ভর করে।
রুহির চোখ বড় বড় হয়ে যায়, গলাটা শুকিয়ে আসে—
— “Are you mad?!”
ক্ৰগশ নিচ থেকে তাকিয়ে হাসে,
— “Yes… mad for you.”
তার চোখের সেই দৃষ্টিতে এমন কিছু ছিল, যা রুহির বুক কাঁপিয়ে তোলে। ভয়, লজ্জা, আতঙ্ক— সব একসাথে।
— “আমাকে ওপরে তুলুন প্লিজ, আমার মাথা ঘুরছে…”
ক্ৰিশ তখনও হাসছে,
— “আগে বল, তুই কোনোদিন আমার অবাধ্য হবি না।”
রুহি প্রায় কেঁদে বলে,
— “না, কোনোদিন না… আমি আপনার অবাধ্য কোনোদিন হবো না।”
— “গুড।”
— “এখন বল, তুই আমাকে ভালোবাসিস। বল— I love you, Krish.”
রুহির গলা কেঁপে ওঠে, চোখে পানি এসে যায়।
— “এই কার পাল্লায় পড়লাম আল্লাহ…”
তারপর প্রায় কেঁদে ফেলে বলে,
— “I love you, Krish… আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।”
ক্ৰিশের চোখের কোণে মৃদু তৃপ্তির ছায়া খেলে যায়।
— “গুড গার্ল।”
তারপর সে শাড়িটা টেনে তুলতে শুরু করে। রুহি হাঁপাতে হাঁপাতে উঠে আসে।
যখন অবশেষে মেঝেতে পা রাখে, তখনও শরীর কাঁপছে, নিঃশ্বাস এলোমেলো।
কিন্তু ক্ৰিশ হঠাৎ একটা চড় মারে—
চড়টায় রুহি স্তব্ধ হয়ে যায়।
ক্ৰিশঃ “আর কোনোদিন আমার কথার অবাধ্য হবি না! নইলে পরের বার বাঁচতে পারবি না। বুঝেছিস?”
রুহি চোখে পানি নিয়ে মাথা নাড়ে, ঠোঁট কাঁপছে।
তার শরীরের প্রতিটা অঙ্গে ভয় জমে আছে, কিন্তু মনে কোথাও একটুকরো অজানা টানও।
ক্ৰিশ কিছুক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ গলা নরম করে ফেলে,
— “কাল আমি তোমার বাড়িতে আসব… বিয়ের কথা বলতে। রেডি থেকো।”
রুহি চমকে ওঠে,
— “না, মানে… আপনি বললে আব্বু রেগে যাবেন। আগে আমি বলব, আমাকে কদিন সময় দিন।”
ক্ৰিশ গভীরভাবে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, তারপর ঠান্ডা গলায় বলে,
— “ফাইন। দিলাম। কিন্তু যা করবার, তাড়াতাড়ি করো।”
তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে রুহির কপালে আলতো করে চুমু খায়।
— “যাও, ঘুমাও। আমি আসছি।”
mad for you part 8
রুহি নিঃশব্দে মাথা নাড়ে। ক্ৰিশ একবার তাকিয়ে বারান্দা পেরিয়ে নিচে নেমে যায়।
রুহি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে— চোখে জল, মনে ঝড়।
বারান্দার বাতাসে এখনো ক্ৰিশের গন্ধ ভাসছে…
ভয়, রাগ, ভালোবাসা — সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অস্থিরতা তার বুকের ভেতর গাঁথা হয়ে রইল।
