এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৩
Chadny islam
আদিল বেলকনি থেকে রুমে চলে আসে। ইরা কে সেই আগের মতোন হেসে দুলে কথা বলতে দেখে আদিল কিছুটা ইরা কে ইগনোর করার চেষ্টা করে বিছানায় গিয়ে সুয়ে পরার চেষ্টা করলো। আদিল পাশ ফিরে সুয়ে পরছে ইরা যেনো আদিল কে দেখে আরও বেশি হেসে হেসে কথা বলতে শুরু করলো আদিল কে জেলাস ফিল করানোর জন্য।ইরা রোশান কে জিজ্ঞেস করলো! !!
___আচ্ছা আপনি আমাকে পূর্নিমার চাঁদ কেনো বলেন??
রেশান অল্প হেসে গা বিছানায় এগিয়ে দিয়ে আলতো করে বললো!!
___কারন তুমি পূর্নিমার চাঁদ এর মতোন সুন্দর তাই!
“”আচ্ছা আপনি আমাকে ভালোবাসেন কেনো! আমাকে ভালোবাসার মতোন তো একটা কারন আছে আমাকে সেটা বলেন?
রোশান এর ইরার ছোট ছোট কথা গুলো কে বেশ মনে দরলো। মনে হলো তার ভালোবাসা মানুষ তার কাছেই আছে।রোশান উল্টো প্রশ্ন করে বললো!!!
___আচ্ছা চাঁদ তুমি আমাকে বলো তোমাকে ভালো না বাসার কি কারন থাকতে পারে।
ইরা হাসলো তবে খুবি সামান্য। আর ভাবলো কি কারন আছে তাকে ভালো না বাসা! তারপর হঠাৎ করে মনে পরতেই ইরা বললো!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
____ভালো না বাসার সব থেকে বড় কারন হলো আমি বিবাহিত!
ইরার কথাই যেনো রোশান অভাক হলো। ইরা এই ভাবে নিজের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলবে রোশান কখনো ভাবে নি। তাই রোশান শক্ত গলাই ইরা কে বললো!!
_____প্রেমিক এর চোখে প্রমিকা কখনো বিবাহিত পুরনো হয় না চাঁদ ।
ইরা অল্প করে ছোট ছোট গলাই বললো!!
___আমার জীবনে সব থেকে বড় আপসোস কি জানেন ! আমি আপনাকে কখনোই ভালোবাসতে পারলাম না।
আদিল এর মন মস্তিষ্ক জুরে যেনো ইরার শেষ কথাটা
গিয়ে পৌছাল। আদিল বিছানা থেকে ওঠে ইরার হাত থেকে ফোন টা নিয়ে এক আচার মারলো। সাথে সাথে ঠকঠক আওয়াজ তুলে ফোন টা কয়েক ভাগে ভেঙে গড়িয়ে পড়লো ফ্লোরে । চুরমার হয়ে গেলো ফোনটা কয়েক শো টুকরো হয়ে। আদিল ইরার মুখ চেপে দরে রাগে রিরি করে বললো!!
____জামাই এর থেকে নাগর কে বেশি ভালো লাগে তাই না। নষ্ট মহিলা তোকে ফোন কিনে দিছি আমি আর তুই কিনা পর-পুরুষের সাথে সম্পর্ক করিস । জান এর মায়া নাই তোর??
ইরা রাগে ফুসফুস করতে উঠলো!!
___ছাড়ুন আমায় আপনার অপবিত্র হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না আমাকে!
“””যেখানে আমি নামক মানুষ টাই তোর জন্য পবিত্র সেখানে অপবিত্র স্পর্শ কোথা থেকে আসবে।
“””হাস্যকর কথা বলছেন আপনি!
“””আমাকে এত কষ্ট দেয়ার মানে কি। শুধুই কি আমি পাপিষ্ঠ তাই নাকি অন্য কিছু??
“”বাজে আপনি!
“”জানি আমি! তারপর আর কি ??
“””কেনো করলেন এমন! আমি তো আপনাকে ভালোবেসে ছিলাম! আমি আপনাকে আমার স্বামী হিসাবে মেনে নিয়ে ছিলাম।
“””আর এখন??
“””ঘৃনা করি আপনাকে!
আদিল কোলে তুলে নিতে নিতে ইরা কে বললো!!
___আজ আমি ও দেখবো ঘৃণার পরিমান টা ঠিক কত বেশি হতে পারে।
ইরা আদিল এর কোলে উঠেই ছটপট করতে লাগলো আর চিৎকার করতে লাগলো!!
___আমাকে ছাড়ুন। নিচে নামান আমাকে! নয়তো আমি কামড়ে দিবো আপনাকে।
আদিল মুচকি হেসে বললো!!
____খারাপ লাগবে না তোমার কামুড়! দাও
“””সত্যি দিবো কিন্তু!
আরে দাও না সমস্যা নেই! সকালে যখন সবাই দেখবে! তখন আমি না হয় লাভ বার্ড বলে চালিয়ে দিবো।প্যারা নিও না দাও! আরাম সে কামড়াও। তোমারি তো সব!!
ইরা সত্যি সত্যি কামুড় বসিয়ে দিলো আদিল এর বুকে।খামচে দরলো আদিল এর শার্ট। আদিল ভেবে ছিলো ইরা হয়তো গাড়ে দিবে কামুড় নয়তো দিবে না।কিন্তু ইরা তো সত্যি সত্যি কামুড় বসিয়ে দিয়েছে আদিল এর বুকে তবুও কিছু বললো না আদিল! বরং কামুড় টাকে হজম করে নিলো। ইরা দাঁত আরও শক্ত করে ডাবিয়ে দিলো আদিল এর বুকে। আদিল কোনো রকম ইরা কে বিছানায় ফেলে দিয়ে। ইরার উপরে উঠে দুইহাত শক্ত করে দরে বললো!
___হয়েছে শান্তি??
ইরা আদিল এর দিকে চুপ করে তাকিয়ে রইলো। আর কোনো কথা বললো না! আদিল ইরার গাড়ে নিজের মুখ ডুবিয়ে দিতে দিতে আলতো গলায় ফিসফিস করে বললো!!
____ভালোবাসি বউ…
সাথে সাথে ইরা মুখ উল্টো দিকে গুরিয়ে নিয়ে বললো!!
___এক আকাশ পরিমাণ ঘৃনা করি আপনাকে!
ইরার কথা টা যেনো ঠিক গিয়ে লাগলো আদিল এর বুকে। আদিল ইরার উপর থেকে সরে গিয়ে সুয়ে পরলো নিজের জায়গায়।কালকে যে ইরা বলেছিলো তার পিরিয়ড হয়েছে এত খনে মাথায় ছিলো না।হঠাৎ করে মাথায় আসতেই আদিল আরেক টু দূরে চলে গেলো ইরার থেকে। ইরা ও উল্টো দিক গুরে সুয়ে পরলো। দুই জন এর মাঝে বড় সাইজের এর কোলবালিশ! আদিল মাঝখানের বালিশ টাকে সরিয়ে দিয়ে ইরা কে টেনে নিজের বুকের বাহু ডুরে আবদ্ধ করে নিলো। ইরা ছটপট করতে চাইলেও আদিল এর শক্ত পোক্ত হাতের সাথে পেরে উঠলো না।আদিল এর গরম উষ্ণ তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছো প্রতি নিঃশ্বাসে! ইরার ভাবনায় অনেক কিছু আসলেও সে আর খেয়াল দিলো না আর! বরং সারাদিন এর ক্লান্তি শেষে শরীরের দূবলতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু মিনিট পর ইরা আদিল এর আবদ্ধ বাহু ডুরে শান্তির ভারী নিঃশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পরলে।
___পরের দিন সকাল বেলা….____
আশরাফ সিকদার টিভিতে কালকে রাতের ঘটে যাওয়া সংবাদ দেখছেন সাথে আদিস সিকদার রয়েছেন। আশরাফ সিকদার সব কিছু তেমন স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন না। পুলিশ তো নিশ্চয়ই তদন্ত করবেন তখন না আবার সব রহস্য ফাশ হয়ে যায়।এখন আদিল কি সব টা সামলাতে পারবে নাকি। আশরাফ সিকদার এর ভাবনার মাঝেই বাড়িতে প্রবেশ করলো পুলিশ কমিশনার আবদুল মামুন। আশরাফ সিকদার কে সালাম দিয়ে এগিয়ে গেলো আবদুল মামুন। আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
____পুলিশ কমিশনার আমার বাড়িতে আমি তো দাওয়াত করি নি আপনাকে।
আবদুল মামুন সোফায় বসতে বসতে অল্প হেসে উওর করলো!!
___পুলিশ এর দাওয়াত লাগে না মন্ত্রী মশাই! আমরা বিনা দাওয়াত খেতেই অবস্থ!
আশরাফ সিকদার আবদুল মামুন এর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলাই বললেন!!
_____স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর বাড়িতে দাওয়াত ছাড়া আসলে আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি পরবে না তো!!!
আবদুল মামুন এর সহজ উক্তি!!
____পুলিশ কি আর অত কাঁচাকাজ করে! বিনা দাওয়াত খেতে আসলেও সব একদম চেটেপুটে খেয়ে যায়।এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিক মতোন খাওয়াতে পারলেই হলো!
আশরাফ সিকদার হাসি মুখে উওর করলো!!
____স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা খাওয়াবে আবার সে গুলা বদহজম না হলেই হয়।
“””সমস্যা নেই মন্ত্রী মশাই বদহজম এর জন্য সাথে করে এসিডি নিয়ে আসছি।
আবদুল মামুন বাড়িতে আসার পারমিশন পেপার আশরাফ সিকদার এর হাতে দিয়ে বললেন!!
____মন্ত্রী মশাই দেখে নিন! দাওয়াতের কাড ঠিক মতোন আছে নাকি!
আশরাফ সিকদার চোখ বুলিয়ে দেখলেন পেপারে সব কিছুই ঠিক ঠাক আছে। কালকের গঠে যাওয়া ঘটনা কে কেন্দ্র করে তারা বাড়ির প্রতিটা লোকের সাথে কথা বলতে চাই। বিশেষ করে ইরার সাথে।আইন এর কাজে বাঁধা দেয়ার পরিমান খুবি খারাপ হবে বলে আশরাফ সিকদার কথা বাড়ালেন না। বরং জিজ্ঞেস করলেন!!
____হুম সব ঠিক আছে! তবে আমি বলবো বেশি গুর প্যাচ করার দরকার নাই! নিজের চাকরি টা বাঁচাতে চাইলে।
আরে মন্ত্রী মশাই কি যে বলেন! প্যাচ ঘুজ ছাড়া কি আর পুলিশ হওয়া যায়! বলেই আবদুল মামুন বললেন!!
___আমরা প্রথমেই আপনার ছেলের বউ এর সাথে কথা বলতে চাই!!
অবশ্যই কেনো নয়।বিআইপি মানুষ এর সাথে দেখা করবেন ভালো কথা। আপনার কি কপাল টিকিট ছাড়াই সবার সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন এই বামপার অফার টা কে দিলো আপনাকে??
আবদুল মামুন কিছুটা অপমানিত বোধ করলেন!!
পুলিশ এর টিকিট লাগে না মন্ত্রী মশাই! টিকিট ছাড়াই যাকে তাকে উপরের সর্গবাস দেখিয়ে নিয়ে আনতে সক্ষম ।
আশরাফ সিকদার অল্প হেসে কলি কে ডেকে বললেন!!
___আম্মু তোমার ভাইয়া আর ভাবি কে বলো পুলিশ কমিশনার এসেছে কথা বলতে চাই তাদের সাথে!
কলি আচ্ছা বলে যেতে লাগলো আদিল এর রুমের দিকে! সামনেই যেতে দেখা হয় আদিব এর সাথে। আদিব কলির মাথাই টোকা মেরে বললো!!
____তোর বেস্ট টু রিমঝিম এর কি খবর?
“””তোমাকে বলবো কেনো?? রিমঝিম আমার বেস্ট টু। তোমার না।
“””ওই কুওি আমি কি বলছি রিমঝিম আমার বেস্ট টু! আমার তো…
কলি অভাক হয়ে তাকিয়ে বললো!!
___তোমার কি ভাইয়া??
আদিব আদুরে গলাই বোন কে বুঝিয়ে বললো!!
____তোর বেস্ট টু কে আমার কাছে বিয়ে দিবি।
কলি ফিক করে হেসে দিয়ে বললো!!!
___তোমার বিয়ের বয়স হয়ছে বাচ্চা মানুষ তুমি। তুমি দাড়াও আমি এখনি বড় আব্বু কে বলে দিবো তুমি আমার বেস্ট টুর সাথে লাইন মারার চেষ্টা করছো।
বলেই কলি ডাকতে শুরু করলো। বড় আব্বু!!! তার আগেই আদিব কলির মুখ চেপে দরে বললো!!
____এই রকম বোন থাকার থেকে শএু থাকা অনেক ভালো।
কলি আদিব এর হাত কামড়ে দিয়ে বললো!!
___তাহলে আমাকে তোমার শএু বানিয়ে নাও। আমার তো অনেক বন্ধু আছে কিন্তু একটা ও শএু নেই!
আদিব মুখ বাঁকিয়ে বলে!!
___ইইই! ঠেকা পরছে আমার!!
কলি বেশ কিছু টা সিরিয়াস হয়ে বললো!!
____তোমার নামে রিমঝিম এর বাবা পুলিশ কমপ্লেন করছে।নিচে গিয়ে দেখো ডজন খানেক পুলিশ এসেছে তোমাকে কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাবে বলে।
আদিব কলির মাথাই গাড্ডা মেরে বললো!!
___কেনো তোর বেস্ট টু কে কি আমি তুলে এনে বিয়ে করেছি যে আমার নামে পুলিশ কমপ্লেন করবে।
“””আমি যদি বলি তুমি তুলে আনছো! তাহলে সবাই বিশ্বাস করবে আর তোমাকে তুলে নিয়ে যাবে জেলখানায়! আর দিন রাত তোমাকে দিয়ে থালা বাটি মাঝাবে। বলেই কলি হিহি করে হেসে ছুটলো আদিল এর রুমের দিকে!
আদিব কলির কথা একটু একটু বিশ্বাস করে এগিয়ে গেলো ড্রয়িংরুমের দিকে। গিয়ে সত্যি অভাক হলো এত গুলা পুলিশ কেনো এসেছে এই বাড়িতে তাও আবার সকাল সকাল।
সোনালী তালুকদার সকালে উঠে মেয়ের জন্য হালকা নাস্তা রেডি করে নিয়ে এসেছেন কিচেন রুমে। কালকে তিনি আইরার সাথেই ছিলেন৷ আইরা সকালে এক বার জ্ঞান ফিরে ছিলো৷ তারপর কিছু সময় মায়ের সাথে কথা বলে আমার ও সুয়ে ঘুমিয়ে পরেছে। কালকে কি হয়ে ছিলো তার সাথে! তেমন কিছু মনে করতে পারছে না।
কলি রুমের বাইরে থেকে ডাকল আদিল এবং ইরা কে। ইরা কেবল ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়েছে। তখনি দরজার বাইরে থেকে ডাকলো কলি! সাথে সাথো ইরা গিয়ে দরজা খোলে দিলো। কলি ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
____সরি ভাবি সকাল সকাল তোমাকে ডিস্টার্ব করার জন্য।
ইরা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললো!!
_____আরে আমি কোনো ডিস্টার্ব হয় নি। কিছু বলবা।
কলি আস্তে আস্তে বললো!!
___ভাবী বাইরে পুলিশ এসেছে বড় আব্বু ভাইয়া কে ফ্রেশ হতে বললো। যখন তখন রুমে চলে আসতে পারে। বলেই কলি চলে গেলো। ইরা আদিল কে ডেকে তুললো! বেশ কয়েক বার বার ডাকাডাকি করার পর আদিল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। সে জানতো পুলিশ আসবেই।
______প্রায় দশ মিনিট পর….____
আদিব সাথে করে আবদুল মামুন কে নিয়ে আদিল এর রুমের সামনে গেলো। আবদুল মামুন এর সাথে আরও কয়েক জন পুলিশ এসেছে কিন্তু আশরাফ সিকদার তাদের কে উপরে যাওয়া জন্য কোনো পারমিশন দেন নি।তাই শুধু মামুন কে নিয়ে যায় আদিব। মামুন হালকা কাশি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন। সামনেই আদিল। আদিল এর সাথে আবদুল মামুন হাত মিলিয়ে গিয়ে বসলেন সোফায়।মামুন আলতো হেসে ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
___কেমন আছে মিসেস সিকদার??
ইরা অল্প উওরে জানাই!!
___আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি!
মামুন ফের আবারও প্রশ্ন করে!!
___কেমন ছিলো কালকের জার্নি টা! কেমন দেখলেন চেনা মানুষ এর অচেনা রুপ।
ইরা মানে না বুঝতে না পারলেও ইঙ্গিত টা যে আদিল কে ঘিরে করেছে তা বেশ ভালো করে বুঝতে বাকি রইলো না।ইরা প্রতিউওরে জানাই!
___এক দম কুয়াশার মতোন পরিষ্কার!
মামুন ফিক করে হেসে দিলো ইরার কথাই আর জবাবে বললো!!
____কুয়াশা আবার নাকি পরিষ্কার! হাস্যকর মিসেস সিকদার।
ইরা অল্প হাসিতেই উওর করলো!!
___হুম! আজকাল তো রাতের অন্ধকার ও দিন এর থেকে বেশি তীব্র আলো দেয়।সব দুরাশার পরিচ্ছেদ এখনো আমার অজানা।
আবদুল মামুন আর কথা বাড়ালেন না। তিনি বুঝতে পারলেন মিসেস সিকদার এর এখনো তার স্বামী সম্পর্কে সবকিছু অবগত নয়।হয়তো আস্তে আস্তে জেনে যাবে।সবে মাএ কিছুটা ধারণার রেশ পেয়েছে মাএ। হয়তো খুঁজে বের করার মতোন ব্যাথ চেষ্টা করবে আমাদের মতোন। মামুন ভারী নিঃশ্বাস টেনে বললো!!
____মিসেস সিকদার এক কাপ কফি তো খাওয়া যেতেই পারে।
“””হুম অবশ্যই। আমি বানিয়ে নিয়ে আসছি।
বলেই ইরা চলে গেলো কিচেনে। আদিব গিয়ে বসলো সোফার এক পাশে। আদিল ফোন চাপছে। সে বুঝতে পারছে হয়তো মামুন কোনো ধারণা পেয়েই এই বাড়িতে এসেছপ।আদিল ইরা কে বেরিয়ে যেতে দেখে পায়ের উপর পা তুলে মামুন কে ইঙ্গিত করে বললো!!
____অল্প বয়সে মরার ইচ্ছে টা সবারি থাকে। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন দের।তাদের মরার পাখনা গজালে আমি কিভাবে বাঁচাবো বলেন??
মামুন আলতো হেসে বললো!!
___হুম ঠিক বলেছেন! মরতে যখন হবেই আগে মরে যাওয়া টাই উওম। তাতে হয়তো পাপের খাতাই পাপের পরিপূর্ণ টা কম হবে।
আদিল সয়তানি হেসে বললো!!
___হুম ঠিক বলছেন! আর হ্যা পুলিশ সব সময় ঠিকি বলে মরার আগ পর্যন্ত। বয়স কম আপনার! এই বয়সে আমার পেছনে শুধু শুধু টাইম ওয়েষ্ট না করে অন্য কোথাও গিয়ে এন্ট্রি দেন। ভালো ফলাফল পাবেন। আমার পেছনে পরে থাকলে মৃত্যু অনিবার্য।
“””বার বার মৃত্যুর কথা বলে ছোট করবেন না আমাকে সিকদার সাহেব। আমি আপনার ছোট খাটো হুনকি তে একটু ও ভয় পাচ্ছি না। পয়েন্টে আসেন?? প্রিয়াশ কোথায়???
আদিল এর সোজা সাপটা উওর!!
___আই ডোন্ট নো!!
মামুন হাসলো খুব করে। আর বললো!!
___আপনি সিউর ছিলেন তাই না। আমরা মেয়ে দের কাছে থেকে সমস্ত ইমফোমেশন নিয়ে! আমরা আবার ওই বাড়িতে এ্যাটাক করতে।তার আগেই সমস্ত ইমফমেশন ফ্যানিশ করে দিলেন। আপনার জবাব নেই সিকদার সাহেব৷ আর কত দিন এই ভাবে চলবে??
আদিল বাঁকা হেসে বললো!!
___আপনি এখনো আমাকে চিন্তে পারেন নি। আমি শুনেছি আপনি নতুন এই এলাকায় এসেছেন! তাই আমি বলবো একটু খোঁজ খবর নিয়ে না হয় আর কইটা দিন পর দেখা করবেন। সামনেই আমার নির্বাচন আপনাকে পেয়ে মনে হলো আমার আরেক টা ভোট বেড়ে গেলো।
আবদুল মামুন ওঠে দাড়াতে দাড়াতে হিংস্র বাঘের মতোন গর্জন করে বলে!!
___আপনার কনফিডেন্সে লেভেল আমি শিহরিত। যাই হোক যা করছেন সবার আড়ালে ওই টা আড়ালেই থাকুক।প্রকাশ হলে আমার মনে হয় আপনার গলাই আপনার বউয়ি চুরি চালিয়ে দিবে সবার আগে।গড ব্লেস ইউ। আবার অতিশীগ্রই দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।
বলেই আবদুল মামুন হাঁটতে শুরু করলেন। যেই রুম থেকে বেরিয়ে যাবে তার আগেই আদিল সয়তানি হাসি দিয়ে বললো!!
___আমি আপনাকে বিনা বেতনে মানে ফ্রীতে একটা এডবাইজ দিয়ে দিচ্ছি। আপনার নিজের জান এর মায়া নাই বা থাকতে পারে। কিন্তু পরিবারের জন্য অন্তত মায়া টা বাচিয়ে রাখবেন।
আবদুল মামুন অল্প হেসে উওর করলো!!
____ধন্যবাদ! ফ্রীতে এত সুন্দর একটা এডবাইজ দেয়ার জন্য।আমি অবশ্যই মনে রাখবো
বলেই আবদুল মামুন এলোমেলো পায়ে হাটতে শুরু করলেন। আর ভাবতে লাগলো! প্রমাণ ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এত দূরর্নীতি করার পরও দীর্বি ভালো মানুষ এর মতোন চলাফেলা করছে। পুলিশ এর থেকে ও দুই ধাপ এগিয়ে আছে।বাপ ছেলে সব একেক টা সয়তান এর বড় ভাই।ইরা নিজ থেকে কফি নিয়ে উপরে আসছিলো ঠিক তখনি দেখা হয় আবদুল মামুন এর সাথে মামুন অল্প হেসে বললো!!
___আজ আসি মিসেস সিকদার! আবার আরেক দিন এসে রিলাক্সে আপনার হাতের বানানো কফি খেয়ে যাবো৷
ইরা প্রশ্নের উওর দেয়ার আগেই আবদুল মামুন এলোমেলো পায়ে বেরিয়ে গেলেন। তার দুই মিনিট পর আদিব ও বেরিয়ে চলে এলো। ইরা কফি কাপ টা হাতে করে নিয়ে এগিয়ে গেলো রুমের দিকে। আদিল কার সাথে যেনো অল্প আওয়াজে কথা বলছিলো ইরা কে দেখার সাথে সাথে কল টা কেটে দিলো। ইরা কফির কাপ টা টেবিল এর উপর রেখে বিছানা গুজাতে লাগলো। আদিল এগিয়ে গিয়ে কফি টা হাতে নিয়ে খেতে খেতে বললো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩২
____নেক্সট টাইম থেকে আমি বাদে অন্য কারোর জন্য কফি বানানো তোমার জন্য নিষেধ।
ইরা অল্প তাকিয়ে আদিল এর কথাটা এরিয়ে গেলো বর মন দিলো কাজে। আদিল দুলনাই দুলতে দুলতে মিষ্টি আওয়াজে ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
____কফি টা অনেক বেশি মিষ্টি হয়ছে। ঠিক তোমার মতোন বউ!!!!!
