এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৫

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৫
Chadny islam

আদিল ইরার কপালে আলতো চুমু একে দিয়ে বললো!!!
___আমি আমার পূর্নতা বলতে শুধু তোমাকেই বুঝি বউ!
ইরা অল্প হেসে উওর করলো!!
___ভালেবাসেন আমাকে???
আদিল এবার ইরা কে ছেড়ে ছিলো ইরা কে! নিজের শার্ট এর বোতাম গুলো খুলতে খুলতে বললো!!
____আমি তোমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসি! সেটা ও হয়তো তোমার কল্পনার বাইরে হবে!তোমার ভাবনারা সেখান গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাবে আমার ভালোবাসা ঠিক সেখান থেকেই শুধু হবে। আমার ভালোবাসার গভীরতা মাপতে চাইলো ভালোবাসতে হবে তোমাকে ও! তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠিক যতটুকু দেখতে পারো আমি ঠিক তোমাকে তার তিন গুন বেশি ভালোবাসি বউ৷
আদিল একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে ফের আবারও বললো!!

____আমি আমার পূর্ণতা বলতে আমি শুধু তোমাকেই বুঝি। জীবন শেষ হয়ে যাক যুগ বছর পার হয়ে যাক! কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা সারাজীবন অটল থাকুক বউ।
ইরা আদিল এর কথা শুনে ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো! এত টা ভালোবাসার পর কিনা সবসময় নিজের স্বামী কে ভুল বুঝে।তার কাছে তো আদিল কে ঘিরে কোনো খারাপ কিছুর কোনো প্রমাণ নেই।যে আদিল খারাপ নাকি ভালো।ইরা কে কান্না করতে দেখে আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে চোখের পানি আলতো করে মুছে দিয়ে বললো!!
____কি হলো বাচ্চা দের মতোন ফ্যান ফ্যান করে কান্না করছো কেনো। দেখতে ঠিক কতটা বাজে লাগছে জানো??
ইরা আদিল এর মুখে এমন অদ্ভুত কথা শুনে আবার ও ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো! আদিল যেনো কিছু বুঝে উঠতেই পারলো না কি হয় এই মেয়ের। ইরা আলতো করে বেশ অনেক খানি ভালোবাসা নিয়ে আদিল কে বললো!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

___আমি ও আপনাকে ভালোবাসতে চাই!!
আদিল যেনো কানে ভুল শুনলো! কি বলছে তার প্রত্নি বউ।আদিল ইরার সামনে গিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে কপালে গাড়ে হাত দিয়ে খুব সিরিয়াস হয়ে বললো!!!
____কি খাইছো বউ উল্টা পাল্টা! নাকি জ্বর ঠান্ডা বাঁধিয়ে বসে আসো।ঠিক আছো তুমি?
ইরা নাক সিটকিয়ে বললো!!
___আপনি আসলেই একটা বাজে লোক! আর আনরোমান্টিক পুরো ১০০ তে ১৫০! জান সরেন এখান থেকে।
আদিল মিষ্টি করে হেসে বললো!!
___তোমার মুখে এত মিষ্টি কথা আমার পুশাই না বউ৷ তিতা কথা টাই বেশ মজা লাগে শুনতে । বেশি মিষ্টি কিন্তু ডায়াবেটিস এর জন্য ভালো না।তাছাড়া আমাদের বংশে আবার ডায়বেটিস এর সংখ্যা টাও একটু বেশি।
ইরা আদিল দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো !!

____ঠিক আছে মিষ্টি করে আর কিছু বলবো না আপনাকে !
বলতে বলতে ইরাএগিয়ে গেলো আদিল এর দিকে । কিছু খন আগে যে শার্ট এর কলার টেনে দরে রেখে ছিলো। সেই শার্ট এর বোতাম গুলো কে খুলতে লাগলো। একটা একটা করে শার্ট এর বোতাম গুলো কে খোলে ফেললো!ইরা একবার নজর বুলিয়ে নিলো আদিল এর প্রসস্থবান বাহুর উপর।আদিল এর অনুমক্ত বাহুর দিকে তাকাতেই ইরা মনে মনে আওড়ালো! এত জিম বডি দিয়ে কি হয় সেই তো ৬ফুট মানুষ হয়ে ৫ফুট ৫ ইঞ্চি মেয়ের কথা তে উঠতে বসতে হয় তাহলে লাভ কি। বলেই ইরা ফিক করে হেসে দিলো। আদিল ইরার হাসির কারণ টা হয়তো বুঝতে পারেনি। তবে ইরা কে দুই হাতের ঝটকা টানে নিজের কাছে ইরার কোমর টেনে নিয়ে বললো!!!

____এত নজর দিবেন না ম্যাডাম! আমার সব কিছু শুধু আমার বউ এর জন্য। আমার বউ যে পরিমান জেলাস আমার কে নিয়ে! কেউ যদি আমার দিকে বাঁকা নজরে তাকাই! তাহলে কিন্তু আমার বউ আপনার খবর করে দিবে ম্যাডাম!
ইরা অল্প হেসে উওর করলো!!
____তাহলে আমি কে??
আদিল এর সহজ সরল উক্তি!!
____সত্যি তো তাহলে আপনি কে! ছাড়ুন আমাকে এই ভাবে দরবেন না প্লিজ ! আমার বউ দেখলে মাইন্ড করবে।
ইরা সত্যি সত্যি ছেড়ে দিল আদিল এর শার্ট! আদিল থেকে নিজেকে দূরে নিতে নিতে বললো!!
____সিকদার সাহেব আপনার বউ এর থেকে পারমিশন নিয়ে তারপর আপনি আমার কাছে আসবেন।
আদিল বিছানার গা এলিয়ে দিয়ে বললো!!

____যদি বউ পারমিশন না দেয় তখন কি হবে ম্যাডাম!
ইরা বলল!!
“”তাহলে আমরা গোপনে গোপনে পরকীয়া চালাবো আপনার বউ কে না জানিয়ে! তাহলে কেমন হবে সিকদার সাহেব!
আদিল বলল!!
“””আমার বউ অনেক অনেক সুন্দর। আর জানো সে খুব ডেন্ডজারাস যদি জানে আমি পরকীয়া করি তাহলে আমাকে জানে মেরে দিবে। !
ইরা নিজের চুলে হাত খোপা করতে করতে বললো!!

___ছি নিজের বউ কে এত ভয় পান??
___হুম অনেক ভয় পাই! ভয়ে বিড়াল হয়ে যায়।।
ইরা ফিক করে হেসে ফেললো আর বললো!!।
____সত্যি আপনি একটা নাটক বাজ!!
___সেম টু ইউ বউ!!!
ইরা যেই রুম থেকে বের হয়ে চলে যাবে তার আগেই সারা দিন মাথায় গুরগুর করা একটা প্রশ্ন মনে আসতেই আদিল কে জিজ্ঞেস করে!!!
____আমাকে বিয়ে করার একটা রিজেন বলেন??
আদিল বিছানার উপর থেকে ফোন নিজের কাছে এনে সময় টা দেখে নিয়ে বললো!!

____এই সব ফালতু প্রশ্ন করার এটা কি কেনো সময় হলো???
ইরা গাল ফুলিয়ে বললো!!
____বলতে বলছি না বলেন??
“””এখন মনে পরছে না মনে পরলে মনে অবশ্যই তোমাকে বলবো!.
ইরা মূহুর্তেই রেগে গিয়ে বললো!!
___তাহলে আমি বলি আপনি কেনো বিয়ে করেছেন আমাকে!!
আদিল বলল!!
___নট ইন্টারেস্ট!
ইরার হাতের কাছে টেবিলে এর উপর থেকে একটা বই ছুরে পারলো আদিল এর দিকে। আর রাগে ফুসফুস করতে করতে বললো!!

____আমি আপনাকে থাপ্পড় মেরে ছিলাম! তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আমাকে বিয়ে করছেন!____আর আমার আব্বু চেয়ারম্যান যাতে করে আপনি নির্বাচনে দাড়ালে সুবিধা হয় তার জন্য বিয়ে করছেন তাই না ? সুবিধাবাধী লোক একটা!!
আদিল ইরার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো। আদিল কে হাসতে দেখে ইরা ও হেসে ফেললো।সাধারণ হাসির মতোন নয় আদিল এর হাসি। দেখতে অসাধারণ লাগছে!আদিল খুব বেশি হাসে না।মুখ টাকে বাংলা প্যাচের মতোন লাগে। তবে হাসলে বেশ অনেক টাই সুন্দর লাগে। আদিল বলল!!
___আমার বউ তো বুদ্ধিমতি আমি তো এইটাই জানতাম।
ইরা একটু ভাব নিয়ে বলল!!
___হুম আমি তো বুদ্ধিমতি।
“””বুদ্ধি মতি কিভাবে হলে প্রশ্ন তো করছো মূখ্য এর মতোন!
“””আপনি মূখ্য!
আদিল তর্কে জড়ালো না বরং বলল!!

___হ্যা আমিই মূখ্য! তবে তোমার মূখ্য স্বামী কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নয় ইউএস থেকে পড়াশোনা করে আসছে!
___হুুম জানি জানি! আপনি আনসার দান!!
___আনসার যদি দেই তাহলে কি এক কাপ কফি বানিয়ে দিবা৷
ইরা এক মিনিট ভেবে নিয়ে তারপর বললো!!
___ওকে ডান!
আদিল বলল!!!.
____যদি প্রতিশোধ নেয়ার হতো তাহলে তো তোমাকে বিয়ে করতাম না তাই না। বিয়ে না করেও অন্যভাবে মারার জন্য অনেক টিপস্ ছিলো। যেমন দরো গাড়ি চাপা দিয়ে মারা এসিড দিয়ে তোমার পুরো মুখ জ্বালিয়ে দেয়া৷ আমি কিন্তু এইসব করি নি কেনো করি বলোতো??

“””কেনো???
ভালোবেসে৷ ছিলাম প্রথম দেখায় তাই। আর তুমি বললা! তোমার বাবা চেয়্যারমান তার জন্য বিয়ে করছি নিজের সুবিধার জন্য।যেখানে আমার ড্যাড স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে চেয়্যারমান শশুর ততোটাও ভূমিকা রাখবে বলে তো আমার মনে না। মিস মাথা মোটা আমার বউ যাও গিয়ে কফি নিয়ে আসো।
ইরা গাল ফুলিয়ে আদিল এর দিকে এগিয়ে আদিল এর হাতের ঘড়ি টাকে চোখের সামনে দরে বললো!!
____কইটা বাজে???
আদিল বলল!!

____৯.৫০
সবাই নিচে অপেক্ষা করছে রাতের ডিনার কার জন্য!আর আপনি কফি খাবেন এই অসময়ে!যান সাওয়ার শেষ করে নিচে আসুন। কফি টা তোলা রইলো অন্য এক দিন অবশ্যই বানিয়ে খাওয়াবো। কথা শেষ করে ইরা চলে গেলো নিচে।
কলির এক্সাম তাই কলি পড়াশোনা করছে!এমনিতে এক্সাম না থাকলে খুব বেশি পড়াশোনা করে না! এর মাঝে আদিব কয়েক বার রুমে এসেছে। কিন্তু কলির রুমে যতবার আসে তখনি কেউ না কেউ থাকে।কলি বিষয় টা দেখেও না! না দেখার মতোন করে পড়াশোনা করছে। নিচে খাবার রেডি করার জন্য মাইমুনা সিকদার কলির রুম থেকে চলে গেছে সেই সুযোগে আদিব আবারও কলির রুমে ঢুকে পরলো। আদিব কিছু সংকোচ নিয়ে বললো!!
_____রিমঝিম এর আম্মুর নাম্বার টা দে তো?? পড়াশোনা বাদ দিয়ে আবার আমাকে বলিস না আসো ভাইয়া গল্প করি!
কলি বই টা বন্ধ করে আদিল এর দিকে তাকিয়ে থেকে বললো!!

____ঠেকা পরছে তোমার সাথে আমার গল্প করা লাগবে তার থেকে ভালো আমি বোবা হয়ে বসে থাকবো!নাম্বার দিবো কেনো??
“”এমনি একটু কথা বলবো! দে
রিমঝিম আমাকে একদম সরাসরি বলে দিয়েছে! তোমাকে যেনো কোনো রকম নাম্বার না দেয়। তুমি নাকি সুবিধার না!
“”তাই!
“”হুম!!
“”ওকে তুই কল দে আমি রিমঝিম কে জিজ্ঞেস করবো! আমি কি করছি ওর সাথে আমাকে কেনো শুধু শুধু মিথ্যা অপবাদ দিলো।
“””আমার ফোনে তো ব্যালেন্স নাই।
“”ঠিকি আছে। আল্লাহ তোদের একদম ঠিক ভাবে মিলিয়ে দিছে। এক জন এর তো ফোন নাই আবার নিজের আম্মুর নাম্বার টাও জানে না। তাই তুই ফকিন্নি ফোনে ব্যালেন্স ও রাখিস না। বা তোদের কি জুটি পুরাই কিপটা প্রু মাক্স!
কলি কপাল কুঁচকে বললো!!!

____আম্মু কে ডাকবো! তুমি আমাকে একদম পরতে দিচ্ছো না ভিষণ ডিস্টার্ব করছো।
আদিব কলির গাট্টা মেরে বললো!!
____ডাক সাথে আমি ও ডাকবো ছোট আম্মু কে!!
“””আমি তো আম্মু কে ডেকে বলবো তুমি আমাকে পরতে দিচ্ছো না।তুমি ডেকে কি বলবা?/
আমি বলবো! তুই আমাকে তোর বান্ধবীর সাথে লাইন মারতে বলছিসস! কিন্তু আমি রাজি হয় না দেখে তুই বকা খাওয়ানোর জন্য ডাকসিস ছোট আম্মু কে আমি ও এইটাই বলবো।
“”তোমার মনে হয় আম্মু বিশ্বাস করবে??
“”অবশ্যই করবে ছোট আম্মু জানে আমি একদম মিথ্যা কথা বলি না। বরং তুই বকা খাবি। ডাকবো আম্মু কে দেখবি।
কলি মুখটা কাঁদো কাঁদো করে ফেললো! সত্যি আমার কথা আম্মু বিশ্বাস করবে না বরং ভাইয়ার কথা বিশ্বাস করবে। তাই কলি মায়ের বকা খাওয়ার ভয়ে নাক সিটকিয়ে বললো!!

____তাড়াতাড়ি বলো কি বলবা! আমার তোমাকে দেয়ার মতোন আমার তেমন কোনো সময় নাই!!
“””ওরে আমার সিরাজ উদ্দৈলয়ার বংশধর। কি ব্যাস্ত টাই না আপনি! নাম্বার দে।
“””কার নাম্বার দিবো তোমাকে??
“”রিমঝিম এর আম্মুর!
কলি ৩২ পাটি বের করে আদিব কে বললো!!
____আমি তোমাকে রিমঝিম এর নাম্বার দিবো কিন্তু!!
আদিব খুশিতে গদগদ হয়ে বললো!
____রিমঝিম তো ফোন চালাই না! তাহলে ওর নাম্বার কোথা থেকে দিবি।
“””ভাইয়া সিরিয়াসলি তুমি এতটাই গাদা! কলেজে পড়ুরা মেয়ের কাছে কিনা ফোন থাকবে না তুমি এইটাও বিশ্বাস করো।
আদিব ভাবলো!সত্যি তো কলি ঠিক বলছে।তাহলে আদিব কি বোকা বনে গেলো।তাই আদিব কলি কে বললল!!

___ঠিক আছে কলির নাম্বার টা দে!!
কলি ডান হাত চুলকাতে চুলকাতে বললো!!
____হাত চুলকানির রহস্য কি ভাইয়া?? হয়তো আমার হাত তোমাকে কিছু বলতে চাই!!
আদিব মাথা চুলকাতে শুরু করলো। হাত আবার কথা বলে নাকি আদিব কলির হাত টেনে নিজের চোখের সামনে নিয়ে বললো!!
____তোর হাত এর তো দেখা যায় মুখ ও আছে। কি বলতে চাই তোর হাত বলতে বল! তুই যদি মুখ দিয়ে বলিস তাহলে লাথী মেরে তোকে ফেলে দিবো।
আদিব যদি সত্যি লাথী মারে!সেই ভয়ে কলি নিজের হাতে লিখলো!!

____একটা নাম্বার এর জন্য আমি চাইলে ১১ হাজার টাকা চাইলে পারতাম তোমার কাছে। মানে ফোন নাম্বার তো ১১৷এগারো টাই হয় তাই না ভাইয়া। কিন্তু তুমি আমার ভাইয়া তাই তোমার জন্য স্পেশাল ছার৷ তুমি ১০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে নাম্বার টা নিয়ে যাও।
আদিব বুকে হাত দিয়ে বললো!!আজকে আব্বুর ডায়লগ টা মনে হয় কাজে দিবে।
_____আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে তুই একটা নাম্বার এর জন্য এত টাকা ডিমান্ড করতে পারিস না। নাম্বার টা দে নয়তো স্ট্রং হয়ে যাবে।
কলি দুইহাতে তালি মেরে বললো!!
____তুমি তো বড় আব্বু কেও হার মানিয়ে দিলে ভাইয়া।যাই হোক বাকি কাম ফাকি। টাকা বের করো নয়তো রুম থেকে বের হও। গেট আউট!
আদিব ৫০০ টাকার একটা নোট হাতে দিয়ে বললো!!
____তোর ভাই এখনো বেকার! আপাতত এই টাকা টা রাখ পরে আবার আরেক দিন দিবো প্রমিজ! নাম্বার টা দে।
কলি মুখ বাঁকিয়ে বলল!!

___বাকি কাম ফাঁকি! দিলে দাও না দিলে যাও আমাকে ডিস্টার্ব করো না তো ভাইয়া।
“”দিবো বুনু সত্যি তুই নাম্বার টা আগে দে। তারপর আমি রুম থেকে টাকা এনে তোকে দিয়ে দিবো। টাস্ট মি।
আদিব এর কথা একটু একটু বিশ্বাস হলো কলির। তাও বলল!!
____তুমি সিকদার বাড়ির ছেলে। তোমাকে ভরসা করাটা পূর্নের কাজ হবে না। তবুও আমি মুসলমান একবার না হয় বিশ্বাস করেই দেখি।
আদিব এর মুখটা চকচক করে উঠলো! কলি বিছানার উপর থেকে ফোন টা এনে। নাম্বার বের করে দিলো আদিব কে সাথে সাথে আদিব নাম্বার টা তুলে নিয়ে। এক দৌড় লাগালো রুমের দিকে। কলি হালকা হেসে ফের আবারও পরতে বসলো। আদিব নিজের রুমে গিয়ে নাম্বারে বের ডায়াল করতেই কল রিসিভ করলো একজন পুরুষ! আদিব ভেবে ছিলো হয়তো রিমঝিম এর বাবা তাই সালাম দিয়ে বললো!!

____আঙ্কেল আমি রিমঝিম এর ইংরেজি টিচার। রিমঝিম কোথায়??
অপর পাশের লোকটার কন্ঠ টা বেশ ভারী বয়স মনে হলো বেশ। তিনি একদমক দিয়ে বললেন!!
_____যেই মিয়া রিমঝিম কেরা!
আদিব বলল!!
____আপনি রিমঝিম এর বাবা না??
লোকটা বলল!!
____ওই মিয়া কারে ফোন দিছেন আবোল তাবোল! আমার তো দশ টা পোলা মেয়া নাই একটাও। ফাওল লোক!
বলেই লোক টা ফোন কেটে দিলো। আদিব মূহুর্তেই রেগে ফুসফাস করতে করতে চলে গেলো কলির রুমে। আদিব কে গোমরা মুখে রুমে আসতে দেখে কলি ফিক করে হেঁসে দিয়ে বলল!!
_____ভাইয়া তুমি হয়তো ভুলে গিয়ে ছিলে! আমি ও কলি সিকদার এই সিকদার বাড়ীর রাজকন্যা। তুমি আমাকে আলু খাইয়ে চলে যাবে। আর আমি কিনা শুধু বসে বসে খাবো ! নো চান্স!
আদিব কপাল কুঁচকে বললো!!

__তার মনে তুই ইচ্ছে করে ভুল নাম্বার দিছিস আমাকে?
“”হুম! যায় নাম্বার তোমাকে দিয়ে ছিলাম! ওনি আমাদের কলেজের দারোয়ান মদন কাকা! কলি বলেই হাসতে হাসতে গুরিয়ে পরলো বিছানায়! আদিব রেগে গিয়ে বললো!!
____ঠিক করলি না এইটা??
তুমি ডিল অনুযায়ী আমাকে টাকা না দিয়ে দৌড় দিয়ে রুমে চলে গেলা তার বেলায় তুমি খুব ভালো কাজ করছো তাই না। এগারো হাজার টাকার একটা পয়সা ও কম নিবো না আমি।
আদিব কলির দিকে ভেচকি দিয়ে বললো!!
___আরে প্রমান দে রিমঝিম এর নাম্বার তোর কাছে আছে তারপর সিউর হয়ে টাকা দিয়ে দিবো তোকে পুরো এগারো হাজার।

“””ওকে।
কলি বিছানার উপর থেকে নিজের ফোন টা হাতে নিয়ে কল করলো রিমঝিম কে। একবার রিং হওয়ার পরি কল রিসিভ করলো রিমঝিম! কলি হ্যালো বলতেই রিমঝিম বলে উঠলো!!
____পড়ালেখা না করে কল করেছিস এত রাতে।
কলি বলল!!
___তোকে খুব মিস করছিলাম তো তাই। আচ্ছা ভাবী কি করসিস।
রিমঝিম বলল!!
___ভাবী ডাকসিস আবার তুই তুই করে বলছিস।তোর ভাই এর কাছে বিচার দিবো কিন্তু!
কলি বলল!!
___তাহলে ভাইয়া কে ডাকবো??
“””না না। বিচার টা তোলা থাক! সব বিয়ের পর এক সাথে দিব। কি করছে আমার জামাই টা??
আদিব কিছু বলতে যাবে তার আগেই কলি বলল ইশারায় চুপ করতে তাই আদিব ও চুপ হয়ে গেলো। কলি বলল!!

____তোর জামাই আপাতত আমাকে বকা খাওয়ানোর প্লান করছে। জামাই এর খোঁজ না নিয়ে ননদ এর খোঁজ নিসছিস আহা কি সৌভাগ্য আমার!ভাইয়া কে কবে মনের কথা বলবি??
রিমঝিম শব্দ করে হেসে বলল!!
____জানিনা। এখন রাখি!!
বলেই রিমঝিম কল কেটে দিলো!আদিব ভ্রো নাচিয়ে বলল!!
___কি চলছে এসব??
কলি বলল!!

___বাচ্চারা কি আর এসব বুজবে। আগে বড় হও তুমি। তাছাড়া টাকা ছাড়া ফকির এর মতোন দয়া করে নাম্বার চেও না। নয়তো তোমার জন্য মায়া করে টাকা না পাওয়ার দুঃখে নাম্বার টা ডিলিট করে দিতে হবে!রিমঝিম এর নাম্বার টা কিন্তু আমার মুখস্থ নেই।বলে দিলাম! বলেই কলি দৌড় লাগালে আম্মু আসছি বলে।
সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে নিজেদের মতোন করে খাবার খাচ্ছে্।আশরাফ সিকদার আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!!
____সপ্তাহ খানেক পররি নির্বাচন! আমার মনে হয় কোনো রকম রিক্স নেয়া আমাদের ঠিক হবে না। প্রিয়াশ কে বাড়িতে আনার ব্যাবস্থা করো।
আদিস সিকদার কিছু বলতে চাইলে আশরাফ সিকদার বলেন!!
____চিন্তা করো না সবার ভালোর জন্য করছি।

ইশান রাতের খাওয়া শেষ করে রুমে বসে অপেক্ষা করছে জুথীর৷ জুথী শাশুড়ীর সাথে সব কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর রুমে আসলো। ইশান বিছানায় সুয়ে জুথী কে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। জুথী হাত মুখ ধুয়ে মাথায় চিরুনি চালাতে গিয়ে লখ্য করলো ইশান হাসছে। তাই জুথী চিরুনি রেখে হাত খোপা করে এগিয়ে গেলো ইশান এর দিকে। বিছানায় গিয়ে বসলো ইশান এর এক পাশে আর বলল!!
____আমাকে দেখে এই ভাবে হাসতেছেন কেনো! আমাকে দেখে কি আপনার জোকার মনে হয়??
ইশান মাথা নেড়ে বললো!!
____একদমি জোকার এর মতোন লাগছে না পরীর মতোন লাগছে আমার বউটাকে! আমার কিউট বউ টা!।পুরো কিউট এর ডিব্বা লাগছে তোমাকে।
“””কিউট এর ডিব্বা ও হয় আবার কপমন??
ইশান কপাল কুঁচকে বললো!!

___হ সব কিছুরি ডিব্বা হয়।বাই দ্যা ওয়ে সকালে তোমার কিছু হয়ে ছিলো??
জুথী ভেবে বললো!
___কিছুই হয়নি তো!!
ইশান বলল!!
____তাহলে ওই রকম লজ্জা পেয়ে কম্ফোর্ট এর নিচে চলে গেলে কেনো??
ওহহহ মনে পরেছে। জুথীর আচমকা মনে পরেছে কথা টা শুনে ইশান বড় হা করে তাকালো। সাথে সাথে জুথী লজ্জা পেয়ে হাত দিয়ে মুখ লুকালো। ইশান উঠে গিয়ে জুথীর মুখের সামনে থেকে হাত সরিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো!!

____মনের মিল তো হয়ে গেছে। এবার না হয় নিঃশ্বাসে নিশ্বাসের মিল টাও হয়ে যাক।
বলেই ইশান এক টানে জুথী কে নিজের বুকে টেনে আনলো। জুথীও টানের গতিবেগ সামলাতে না পেরে সোজা গিয়ে পরলো ইশানের বুকে। ইশান জুথীর মুখের উপর পড়া এলোমেলো চুল গুলাকে সরিয়ে দিয়ে ঠোঁট ডোাবলো জুথীর ঠোঁটে৷ ইশান জুথীর কোমর টেনে নিজের কোলের তুলে নিলো।জুথী শক্ত করে টেনে দরলো ইশান এর শার্ট! বেশ কিছু মিনিট পর ইশান ঠোঁট ছেড়ে মুখ ডুবালো জুথীর অনুমুক্ত গাড়ে। দুইজনের নিঃশ্বাস উঠা নামা করছে প্রতিনিয়ত। ইশান জুথী কে বিছানায় সুয়ে দিয়ে জুথীর উপর উঠে পরলো। জুথী কাপা কাপ গলায় বলছে প্লিজ সারুন। ইশান কোনো রকম নিজের শার্ট টা খোলে ফেলে মুখ ডোবালো জুথীর গাড়ে।

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৪

বুকের উপর ওড়না টাকে এক টানে খোলে ফেলে দিলো দূরে কোথাও। নিশ্বাস এর প্রতিটি ছোয়া বলে দিচ্ছে।তারা ঠিক একে অপরের কতটা কাছে।ইশান এলেমেলো হাতে জুথীর জামা গুলা কে খোলে ফেললো।জুথী জেনো এইসব এর জন্য একদমি প্রস্তুত ছিলো না। ইশান জুথীর অনুমুক্ত শরীরের প্রতিটি স্থানে গাড়ো চুমু একে দিলো। জুথী খামচে দরলো ইশান কে।জুথীর ছোট ছোট আঘাতে ইশান এর কিছু জায়গায় দাগ বসে গেছে এত খনে!। ইশান খুব তৃপ্তি নিয়ে আদর করতে লাগলো জুথীকে। মূহুর্তেই দুইজন একে অপরের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here