কাজলরেখা পর্ব ৩৫

কাজলরেখা পর্ব ৩৫
তানজিনা ইসলাম

চাদনী উদাস হয়ে বসে ছিলো। তখনই আকিব শিকদার রাতকে নিয়ে কেবিনে ঢুকলেন।চাদনী হকচকিয়ে তাকালো। আকিব শিকদার প্রথমেই ওর কাছে এসে নরম স্বরে বললেন
-“আমাকে ওনার সাথে কেবিন শেয়ার করতে হবে চাঁদ! এ ছাড়া আর উপায় নেই!”
চাদনী চোখ তুলে তাকালো রাতের দিকে। চাদনী অসম্ভব অবাক হলেও, রাত নির্লিপ্ত। মুখে ভাবনার লেশ মাত্র নেই। চাদনী ফিসফিস করে বললো

-“এটা কী করে পসিবল বাবা? আমি..
-“একটু এডজাস্ট করো না আম্মা। ছেলেটা কোথায় যাবে? মানবতা বলেও তো একটা কথা আছে। যদি ছেলেটা আসার পর আমরা আসতাম, তাহলে। তাহলে বুঝি আমরা এ কেবিনে থাকতে চাইতাম না?”
-“ওহ, ওঁকে!”
চাদনী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো। রাত কাঁধের ব্যাগ সিটে রেখে, অন্য সিটে বসলো। ব্যাগ থেকে একটা বই বের করে পড়তে শুরু করলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

চাদনী বাঁকা চোখে তাকালো ওর দিকে। ওঁকে চেনেনি ছেলেটা? কতবারই তো দেখা হলো!নাহ ওঁকে চেনা কোনো বড় বিষয় না। ওকে মনে রাখারও কোনো ব্যাপার নেই। কিন্তু অনেকবারই তো দেখা হয়েছিলো। উফ! এই ছেলেটার সাথে যতবারই দেখা হয় ততবারই শনির দশা নেমে আসে চাদনীর কপালে। শেষবার তো মারও খেতে হয়েছিলো। এবারে কি হবে কে জানে! চাদনী আবারও জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। আবার মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলো আঁধার মেসেজ করেছে। লিখেছে, তুই কী মনে করেছিস হ্যাঁ? তোর জন্য মরে যাবো আমি? বেশি খুশি হোস না! এক্সাম শেষ হলে কী আমি গ্রামে যাবো না? তখন তোর কী হবে ভেবেছিস! আমার কথা যে অমান্য করলি, সেটার শাস্তি কেমন হবে সেটা ভেবে দুঃখ পাওয়া উচিত তোর।”

চাদনী ব্যঙ্গ করে হাসির ইমোজি পাঠালো। আঁধার দ্রুত সিন করে রিপ্লাই করলো, “তোর জন্য খুব মন পুড়ছে রে!” চাদনী আবার হাসির ইমোজি পাঠালো। আঁধার লিখলো, “সিরিয়াসলি! মিথ্যা বলছি না। খালি খালি লাগছে অনেক। অ্যাপার্টমেন্টেও যেতে ইচ্ছে করছে না। কেন তুই চলে গেলি! চলেই যদি যাবি,আসলি কেন? মায়া লাগিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিস। বেইমানের ঘরের বেইমান! আল্লাহ মাফ করবে না।”
চাদনী রিপ্লাই না করে ফোন রেখে দিলো। ওর কী কম মন পুড়ছে?ওর কষ্ট হচ্ছে না? আঁধার শুধু নিজেরটাই দেখছে। ওর যন্ত্রণা দেখার প্রয়োজনবোধ করছে না।
আকিব শিকদার কিছুক্ষণ নিশ্চুপ দেখলেন রাতকে। মনোযোগ দিয়ে উপন্যাসের বই পড়ছে ও। কথা বলবে না ভেবেও ডেকে বললেন

-“তোমার নাম কী?”
রাত একপলক চোখ তুলে তাকালো। আবারো বইয়ের পাতায় মনোযোগ দিয়ে বললো
-“আবরার এহসান রাত।”
-“চট্টগ্রামের কোথায় থাকো তুমি?”
-“হাটহাজারী।”
-“বাহ হাটহাজারীর ছেলে তুমি! আমাদের বাড়ি চারিয়া।”
রাত বই বন্ধ করে আকিব শিকদারের দিকে তাকালো। মিষ্টি হেঁসে বললো
-“একই এলাকার মানুষ।”
-“একই এলাকা না, তবে কাছাকাছি। পড়াশোনা শেষ তোমার? কী করছো এখন?”
-“হুম। ব্যবসা করছি!”
রাত মিথ্যে বললো। রাজনীতি করে সেটা বলতে মুখে বাঁধে ওর। ভবগুরে মনে হয় নিজেকে! রাজনীতি এটা কোনো প্রফেশন হলো?

চাদনীর বিরক্ত লাগলো। আশ্চর্য ওর বাপের এসব জেনে কাজ কী? এই একটা সমস্যা ওর বাবার! যখন তখন একটা মানুষের সাথে খোশগল্পে মেতে ওঠে। অপর পাশের মানুষটা বিরক্ত হবে কি-না সেটা দেখবে না। রাত যদি বিরক্ত হয়? এমনিতেই তো ছেলেটার অহংকারের শেষ নেই। চাদনী অদৃষ্টে মুখ বাকালো।
-“পরিবারে কে কে আছে তোমার?”
-“অনেকেই। আম্মু, নানুভাই, দাদুভাই, ছোট ভাই আর বোন!”
-“বাবা নেই?”
রাত মলিন হেঁসে বললো
-“নাহ।”

আকিব শিকদারের মায়া লাগলো।আহারে! বয়স কতই বা হবে ছেলেটার! এ বয়সেই বাবা নেই।
রাত দোটানায় পরলো, তার থেকে পাল্টা প্রশ্ন করবে কি-না। ভদ্রতার খাতিরে ওর মানুষটার থেকে তার ভালোমন্দ সম্পর্কে পাল্টা প্রশ্ন করা উচিত। রাত ভদ্রতা দেখালো না। আবারো বই পড়ায় মনোযোগ দিলো।
চাদনী ফিসফিস করে বললো
-“ওনার থেকে এসব জিজ্ঞেস করছো কেন? ওনার চৌদ্দগুষ্টির খবর নিয়ে তোমার লাভ কী? আশ্চর্য!”
-“ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করবো না? একসাথে যাচ্ছি সবাই।”
-“না, করবে না।”
আকিব শিকদার ফোঁস করে শ্বাস ফেলে সম্মতি দিলেন। রাত ছোট ছোট চোখ করে দেখলো চাদনীকে।আকিব শিকদারের উদ্দেশ্যে বললো

-“আপনার মেয়ে?”
-“হ্যাঁ।”
-“আপনি আমার সাথে কথা বললে ওর সমস্যা কী?”
-” ও মনে করছে তুমি বিরক্ত হচ্ছো! এজন্য কথা বলতে মানা করছে। বোঝোই তো আজকাল কার ছেলে মেয়েরা তো সারাক্ষণ মোবাইল নিয়েই বসে থাকে। বড়দের সাথে কথা বলার সুযোগ কই তাদের!”
-“কিন্তু আমি বিরক্ত হচ্ছি না। আপনি আমার সাথে কথা বলুন।আর ওঁকে বেশি বুঝতে মানা করুন!”
নাক ফুলিয়ে মুখ ঘোরালো চাদনী। আকিব শিকদার সন্তুষ্ট হয়ে হাসলেন। প্রশংসা করে বললেন
-“খুব ভালো ছেলে তো তুমি!”
-“একদমই না।”

-“সত্যিই। কিভাবে বইয়ে ডুবে থেকেও এতো সুন্দর করে উত্তর দিচ্ছো আমার প্রশ্নের!”
রাত হাসলো। বাইরে থেকে আসা দমকা বাতাসে গায়ে শীতকাঁটা দিলো চাদনীর। ওর হাত পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে। শীতের পোশাক পরতে একটুও ভালো লাতে না ওর।এজন্য অনেক্ক্ষণ ধরে ঠান্ডা লাগলেও সহ্য করে নিচ্ছিলো। এবারে ব্যাগ থেকে বের করে একটা শাল জড়ালো গায়ে। অন্যমনস্ক হয়ে আকিব শিকদারের বাহু তে মাথা রাখলো। আকিব শিকদার একপলক তাকালেন ওর দিকে। চুলে হাত বুলিয়ে বললেন

-“খারাপ লাগছে আম্মা?”
-“উহু! ঘুম পাচ্ছে।”
চাদনী হামি তুললো।
-“আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাও।কিছু খাবে?”
-“না।”

আকিব শিকদার একহাতে জড়িয়ে নিলেন ওঁকে। চাদনী ঘুমাতে চায়লো না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে বেশি ভালো লাগছে ওর। কিন্তু চোখ দু’টোও জালা করছে ভীষণ। কাল রাতে ঘুমিয়েছিলো শেষ রাতের দিকে। আঁধার পুরো রাত ওঁকে নিজের সামনে বসিয়ে বুঝিয়েছে এখন যদি ও আকিব শিকদারের সাথে চট্টগ্রামে চলে যায় তাহলে কতটা ক্ষতি হবে ওর! পড়াশোনার ক্ষতি হবে, এটেন্ডেন্স মিস যাবে।আরো কতো কি! ওঁকে মিস করতে করতে আবার আঁধার ফেলও করতে পারে।দু’জনেরই ক্ষতি। এর চেয়ে এক্সাম শেষে আঁধারের সাথে আসলেই বেশি লাভ। যদিও কী লাভ সে বিষয়টা আঁধার ততটা ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তারপরও অনেক কন্ভিন্স করার চেষ্টা করেছে চাদনী। সেই তো চাদনী চলে এলো। শুধু দু’জনেরই ঘুমের বারোটা বাজিয়েছিলো ছেলেটা। শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছে ও। চোখের পাতা বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো, চাদনী।
আচ্ছা, ছেলেটা ওঁকে সত্যই মিস করছে তো? ওর কথা মনে পরছে আঁধারের? খালি খালি লাগছে সত্যিই? অনুশোচনা হচ্ছে?না, সবই মিথ্যাঁ! আঁধারের চিরায়ত নাটক! ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো চাদনী।

আঁধার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরলো রাত দশটায়। ওর একটু ফ্ল্যাটে আসতে ইচ্ছে করছিলো। এখানে চাদনী নেই। ও গিয়েই চাদনী কে ড্রইং রুমে বসা দেখতে পাবে না। টিভির রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়িও করতে হবে না। চাদনীর সাথে খুব বেশি কথা হতো ওর এমন না। মেয়েটা কথাই বলতো না ওর সাথে। তবে যখন কথা হতো, তখন কথাদের আর ইতি ঘটতো না। তবুও চাদনী চোখের সামনে তো থাকতো। চব্বিশ বাই সাত ঘন্টা, সোফার উপর, বেলকনিতে বসে থাকতো মেয়েটা। আঁধার কতবার যে উঁকি দিয়ে ওঁকে দেখতো। ওর ভালো লাগতো যে বাড়িতে একটা মানুষ আছে। ওঁকে দেখেই শান্তি লাগতো। মনে হতো ও একা না। কিন্তু এখন, এখন তো ও একা হয়ে গেলো। আবারো আগের মতো নিজের বলতে ঢাকা শহরে কেউ রইলো না ওর।

বুকের মধ্যে কীসের যেন হাহাকার, শূণ্যতা! আঁধার ড্রইংরুমের লাইট জ্বালালো। খালি সোফার উপর বসে কোলের উপর কুশোন নিলো। আবার উঠে সিড়ি বেয়ে গেলো চাদনীর রুমে। এতোক্ষণ কষ্ট লাগছিলো, এখন রাগ হচ্ছে! বেয়াদব একটা! কতবার, কতবার ও চাদনীকে থেকে যেতে বললো। কিভাবে রিকুয়েষ্ট করলো! হাত ধরে পর্যন্ত বলেছে। মেয়েটা থাকলো না। পাথর একটা। ও হলে জীবনেও যেতে পারতো না। কত ছ্যাচড়ামি করেলো ও চাদনীর সাথে এ যাবৎ। শুধু কথা শুনিয়েছে এটা মনে রেখে দিলো, অথচ ও কতোবার নিজের কাছে ওঁকে আগলে রাখতে চেয়েছে সেটা দেখলো না মেয়েটা। আঁধার নিজেকে ছ্যাচড়া উপাধি দিলো।

চাদনীর আলমিরা খুলে দেখলো বেশিরভাগ ড্রেস চাদনী নিয়ে গেছে। শুধু কয়েকটা সাদা ড্রেস রেখে গেছে।এগুলো আকিব শিকদার এনেছিলো চাদনীর জন্য। আঁধার একটা ড্রেস হাতে নিলো। কান্না পেলো ওর! কিন্তু কাদলো না। ও কোনোদিন কাঁদেনি কারো জন্য। ছোটবেলা থেকে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। হয়তো ওর বাবা অনেক ডিসিশন চাপিয়ে দিয়েছে ওর উপর। তবুও মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই পেয়ে যেতো। কাঁদার সুযোগ আসেনি কোনোদিন ওর জীবনে। কিন্তু এ পর্যায়ে ওর খুব কষ্ট হলো। একবার চাদনীকে সাদা ড্রেস নিয়ে কী কথায় না শুনিয়েছিলো, শুধু শুধু! এর পর থেকে মেয়েটা আর কখনো সাদা ড্রেস পরেনি। অথচ সাদা ড্রেস পরলে ওঁকে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগতো। কতো পছন্দ ছিলো চাদনীর! উফ! কেন এমন করলো ও? কেন? কীসের এতো ক্ষোভ ছিলো ওর? ছোট মেয়েটার প্রতি কার এতো রাগ ঝেড়েছে ও! আধার ড্রেস টা রেখে দিলো আগের জায়গায়।
এলোমেলো পায়ে এসে খাটের সাথে হেলান দিয়ে মেঝেতে বোসলো। কোত্থেকে চ্যাম্প দৌড়ে আসলো ওর কাছে। আঁধার জড়িয়ে ধরলো ওঁকে। ঢোক গিলে বললো

-“ইউ মিস হার, চ্যাম্প? তোরও ওর কথা মনে পরছে?”
চ্যাম্প উত্তর দিলো না। অবুঝ প্রাণীটা কি-ই বা উত্তর দেবে।
-“চাদনী তোকে বের করে দিতে বলেছিলো! আমি ওঁকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম।কথার কথা বলেছিলাম! মেয়েটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিলো। চলে গেলো আমাকে ছেড়ে।ও আমাকে কোনোদিন ভালোই বাসেনি বুঝেছিস! এমনিই শুধু মুখে বলতো। ছোটবেলায় সবসময় ওর পক্ষ নিতাম তো, তাই বোধহয় আলাদা একটা টান ছিলো। নয়তো ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া যায় না। আমাকে দেখ, আমি তো পারলাম না ওঁকে ছাড়তে। আচ্ছা, আমি কী ওঁকে ভালোবাসি? বাসি বোধহয়,এজন্যই তো এমন লাগছে। তোর মতো আমার সাথে কেও থাকেনি। চাদনীও চলে গেলো!”

চ্যাম্প ওর গা ঘেঁষে বসে থাকলো। ড্রেসিং টেবিলের
ড্রয়ার খুলে কিছু লাল রঙের কাঁচের চুড়ি বের করলো আঁধার। এগুলো চাদনীর বন্ধুরা দিয়েছিলো ওঁকে।চাদনী সেন্সলেস হওয়ার পর হাত থেকে খুলে ড্রয়ারে রেখেছিলো। শাড়ি জ্বালিয়ে দিলেও চুড়িগুলো কেন যেন ভাঙতে ইচ্ছে করেনি। চাদনী হয়তো কখনো খেয়াল করেনি। খেয়াল করলে এভাবে ফেলে যেতো না। ওর বন্ধুদের দেওয়া অমূল্য রতন নিয়ে যেতো। বন্ধু বলতে পাগল ছিলো যে!শুধু পাগলামো টা ওর জন্যই আসলো না কোনোদিন।

আঁধার কিছুক্ষণ নিশ্চুপ মনোযোগে চেয়ে থাকলো চুড়িগুলোর দিকে। আচমকা হাতের মুঠোয় চেপে ধরলো। ভেঙে এক একটা টুকরো হয়ে ঢুকে গেলো হাতের তালুতে। রক্ত হাত থেকে গড়িয়ে পরলো মেঝেতে। আঁধারের ব্যাথা লাগলো না। ওর কেমন যেন লাগছে, কোনো অনুভূতি হচ্ছে না। বিছানার উপর মাথা রেখে বিষাদময় কন্ঠে আওড়ালো

-“চাঁদ, আমি যখন তোকে তোর কমতি নিয়ে কথা শোনাতাম, তোর বুকে এভাবে রক্তক্ষরণ হতো? আমি দেখতে পেতাম না কেন? তুই সত্যিই চলে গেলি? আমাকে মুক্তি দিয়ে গেলি? ওই যে বলতি সবসময়। আমি তো মুক্ত হতে চাইনি। খুব অসহায় লাগছে রে নিজেকে। কিভাবে যে মিস করছি আমি তোকে! এখনো বোধহয় তুই গিয়ে চট্টগ্রামে পৌছাস নি। অথচ এই সময়টুকুও আমি একা থাকতে পারছি না। একমাস কী করে থাকবো? কী করে? একবারো ভাবলি না তুই!ছি! শেষমেশ ফেলটুস এর তকমা লাগবে আমার গায়ে। এতো বিরহ নিয়ে তো ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায় না। আমার মায়ায় পরা টা ভুল ছিলো চাদনী? আমার এতো খারাপ লাগছে কেন, আল্লাহ।কেন আমি এভাবে আফসোস করছি!”

কাজলরেখা পর্ব ৩৪

রক্তে ভিজে গেলো আঁধারের হাত। মেঝের উপর রক্তের মোটা আস্তরণ পরলো। আঁধার একটা একটা চুড়ি ভাঙা টুকরো বের করলো তালু থেকে। এই যে চাদনী টা চলে গেলো, সে ব্যাথার সামনে এই ব্যাথাটুকু কিছুই না।

কাজলরেখা পর্ব ৩৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here