এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৭ || Nondini Nila

এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৭
Nondini Nila

আমাকে প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হতে হলো। অসুস্থতার জন্য এক্সাম দিতে পারি নাই। ভাইয়া আমাকে প্রাইভেট সেরা কলেজে ভর্তি করলো। প্রতিদিন ভাইয়া সকালে তার সাথে আমাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যায়। তিনটার দিকে বাড়িতে আমায় একাই আসতে হয়। কারণ ভাই তো রাত্রে বাসায় আসে। এখন আমি কলেজে আছি এটাই শেষ ক্লাস।আমার সাথে বসে আছে আমার দুই ফ্রেন্ড। এখানে ভর্তি হওয়ার পর এদের সাথে আমার ফ্রেন্ডশীপ হয়েছে। তুলি অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। ওর সাথে আমার ফেসবুক-এ খুব কথা হয় প্রতিদিন।

আমার নতুন দুই বান্ধবীর এরা খুবই ভালো প্রথম থেকে আমার সাথে মিশে গেছে। আমাকে আপন করে নিয়েছে। খুবই মিশুক। আমার আসতে লেট হলেও ওরা আমার জন্য প্রতিদিনই সিট রাখে। ক্লাস শেষ হতেই আমরা ব্যাগের ভিতর সব বই খাতা ভরে বের হবো তখন আমাদের সিটের কাছে এলো সিয়াম। সিয়াম আমাদের ক্লাসের ও খালি আমাদের সাথে কথা বলতে আসে। আমি তাড়াতাড়ি ছুট্টে বেরিয়ে এলাম পিছন থেকে সিয়াম চেঁচিয়ে বলল,,,
‘উসা তুমি এমন ভয় পেয়ে ছুটে চলে যাও কেন সবসময়? আমাকে কি ভয় পাও নাকি?’
আমি পেছনে তাকালাম না কিন্তু কথাটা আমার কানে এলো। আমি চলে এলাম মাঠে। কিভাবে কথা বলতাম।ভাইয়া যে এর জন্য আগে না করে দিয়েছে।কোন ছেলের সাথে কথা বলা যাবে না।
কলেজের প্রথম দিন।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

আমি আর ভাইয়া গাড়িতে বসে আছি কলেজের সামনে আসতে আমি জানালা দিয়ে বড় বড় চোখ করে দেখছে কত সুন্দরী কলেজ সবুজ ঘাসের ইয়া বড় একটা মাঠ। বড় বড় বিল্ডিং কলেজের দেশ হচ্ছে সাদা আর আকাশী কালার জামা। সেলোয়ার কামিস সবাই কি সুন্দর এক ড্রেসে পরে ছোটাছুটি করছে। ছেলেদেয আকাশি শার্ট। আমার মত ছেলে মেয়ে। আমি আজ রং ড্রেস পরে এসেছি কাল থেকে পরে আসবো কলেজ ড্রেস। ফুলের সমাহার কলেজ সামনে। এখানে আমার প্রিয় ফুল ও আছে। হুট করেই ভাইয়া হাতের স্পর্শে জানালা থেকে মাথা সরিয়ে তার দিকে তাকালাম।
ভাইয়া আমাকে নিজের কাছে টেনে গালে হাত দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলল,

‘ আর কতো দেখবি। আমাকে একটু দেখ। একটু পর থেকে তো কলেজ‌ই দেখতে পারবি। সারাদিন আমাকে পাবিনা।’
আমি চোখ ছোট করে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া আমার ঠোঁটের উপর শব্দ করে একটা চুমু দিয়ে বলল,
‘ কলেজে ভদ্র হয়ে থাকবি। আর মেয়েদের সাথে কথা বলবি শুধু। একদম কোন ছেলের ধারের কাছেও যাবিনা।’
‘ এটা কেমন কথা। দরকার হতে পারে না। আমি তো তাদের সাথে প্রেম করতে যাব না। কথা বললেও জাস্ট লেখাপড়ার বিষয়ে বলতাম।’
‘ কোন দরকারেই কথা বলার দরকার নাই। কথা মাথায় থাকে যেন।’
আমি আর কিছু বলতে পারিনি।

ভাইয়ের মুখের উপর কথা আমি কখনোই বলতে পারিনা। তারপর থেকেই ছেলেদের সাথে মিশি না আর এই ছেলেটা কথা বলতে আসলে আমি এক প্রকার ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসি।মাঠ পেরিয়ে গেটের বাইরে এসে দাঁড়ালাম। গাড়ির জন্য করতে করতে ততক্ষণে যদি ওরা দুজন আসে তাহলে শেষ বার কথা বলবো না হলে চলে যাব।
আমি ব্যাগ কাঁধে দাঁড়িয়ে আছি। তখন পাশে তাকিয়ে চমকে উঠলাম,

এটাতো রিহান। রিহান এখানে কি করছে? রিহান আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি তাকাতেই চোখাচোখি হলো। একটা জিনিস মিস লাগলো আমার কাছে। রিহানের সাথে যতবার আমার দেখা হয়েছে ওর ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে উঠেছে। কিন্তু আজকের রিহানের ঠোঁটের কোনে হাসি নাই। মলিন মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি এসব বাদ দিয়ে ভয় পেতে লাগলাম। রিহান কি আমাকে ফলো করেই এখানে এসেছে নাকি? অনেক দিন পর আজকে আমার সাথে দেখা হয়েছে উনার। উনি জানলে কি করে আমি এখানে পরি? আকাশ পাতাল চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ততক্ষণে রিহান আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
না হেসে আমাকে জিজ্ঞেস করল,

‘কেমন আছো ঊষা?’
আমি কাচুমাচু মুখ করে বললাম,’ আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি কেমন আছেন?’
‘এইতো ভালোই।’
‘আপনি এখানে কি করছেন?’
‘ এসেছি একজনের জন্য।’
‘ কার জন্য?’
মনের কথা চেপে রাখতে পারলাম না বলেই ফেললাম। রিহান কিছু বলবে তখন পেছন থেকে একটা মেয়ে রিহানকে ডেকে উঠলো।
আমি পেছনে তাকাতেই সে মেয়েটা রিহানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে আমাকে বলল,,
‘আরে তুমি সেই মেয়েটা না।কলেজের প্রথম দিন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে তোমাদের ডিপারর্মেন্ট কোনটা।’
আমি মাথা দুলিয়ে সম্মতি দিলাম। তিনি এগিয়ে এসে বলল,, ‘তোমার নাম কি?’
‘আমার নাম ঊষা।’
‘ঊষা খুব সুন্দর তো।ঊষা অর্থ তো ভোর, প্রভাত তাই না।’
আমি হুম বললাম।
উনি রিহানের দিকে তাকিয়ে বলল,’তুমি ওর সাথে কি কথা বলছিলে? ঊষাকে চেনো নাকি?’
রিহান থতমত খেয়ে বললো,,’ হ্যাঁ ও তো আমার ফ্রেন্ড রিফাত আছে না ওর শালিকা।’
‘ ওহ।’
‘হুম।’
রিহান নিজেই পরিচয় করে দিল।

‘উষা এই হল প্রিয়ন্তী।আমাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে ওর এইচএসসি পরীক্ষার পরে আমাদের বিয়ে তোমাদের কিন্তু দাওয়াত রইলো। তুমি আর ইহান অবশ্যই কিন্তু আসবা। আমি তোমাদের বিয়ের কার্ড পৌঁছে দেবো।’
তারপরে উনারা চলে গেল।আমি হাঁ করে তাদের দিকে তাকিয়ে রইলাম।মনে মনে খুব খুশি হলাম যে রিহান আমার পিছু ছেড়েছে। ততক্ষণে আমার দুই ফ্রেন্ড চলে এসেছে।
‘কিরে ওই দিকে তাকিয়ে কি দেখছিস?’
‘কিছু না।’

ওরা আর কিছু বললো না যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠে বসলাম। রাতে আমি বিছানায় গালে হাত দিয়ে বসে আছি। বসে বসে আমি রিহান আর প্রিয়ন্তীর কথা ভাবছি ভালোই হয়েছে কিন্তু বিয়ের জন্য এত করে বলে গেল ভাইয়া তো কখনো যাবেনা।ভাই আজকে আগেই এসেছে। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে। ঘড়িতে দশটা বাজে। আমাকে ওমন গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখে ভাইয়া লাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে বলল,,
‘কি হয়েছে তোর বলতো গালে হাত দিয়ে এত কি ভাবছিস?’
‘ভাইয়া আজ রিহান আমাদের কলেজ এসেছিল।’
ইহান কথাটা শুনে লাফিয়ে উঠে বলল কি?

‘হ্যাঁ।’
ইহান রেগে গিয়ে বলল,, ‘ ও কেন এসেছিল? ওকি তোর পিছু ফলো করেছে। এসে তোকে ডিস্টার্ব করেছে? বল আমাকে।’
বলতে বলতে ভাইয়া সোফায় থেকে বিছানায় আমার কাছে চলে এসেছে।
আমি বললাম, ‘ আরে এতো হাইপায় হচ্ছেন কেন? আমার কথাটা তো শুনবেন।’
‘কি শুনবো। ওই রিহানকে এতো কিছু বলার পর‌ ও তোরকে ফলো করে কলেজে চলে গেছে। ওর সাহস তো কম না‌।’
‘ উফফফ। ওনি আমার জন্য যায়নি।’
ভাইয়া কপাল কুঁচকে বললো,’ মানে?’
আমি সব খুলে বললাম। সব শুনে ভাইয়া একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাড়ালাম।
আর বললো, ‘যাক সব বিপদ তাহলে কেটেছে। আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম ও যদি আবার তোকে ডিস্টার্ব করার জন্য যেতো আমি ওকে কি করতাম নিজেও জানি না।’
আমি বললাম,’ কি করতেন?’
‘ করলেই দেখতে পেতি।’

ভাইয়া আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসলো।আমি বিছানায় সোজা হয়ে শুতে যাব তখন আবার বলে উঠলো,,
‘নিচে যা তো আমার জন্য কফি নিয়ে।’
‘এখন ঘুমাবেন না এখন আবার কিসের কফি?’
‘না দরকার আছে যা।’
নিচে এসে কপি করে নিয়ে এলাম। ভাইয়া কফি খেয়ে। আমাকে বিছানা থেকে টেনে তোলে ছাদে নিয়ে এলো।
‘রাতের বেলা ছাদে কেন?’
‘আজকে একটু জ্যোৎস্নাবিলাসে প্রেম করি দুজন। খালি কাজ আর পড়া নিয়ে থাকলে হবে একটু প্রেম ভালোবাসা তো করতে হবে।’
‘এগারোটা বেজে গেছে প্রায়। আপনার না কাল সকাল সকাল অফিসে যেতে হবে। এখন কেন এসব করে রাত ভোর করে ফেলছেন।’

‘বাচ্চা বাচ্চার মত থাক একদম শাসন করতে আসবি না।’
‘শাসন করার মত কি বললাম আমি? আমি তো আপনার ভালোর জন্যই…
‘নিজের ভালো বুঝিস না।আবার আমার ভালো দেখতে এসেছে।’
আমি কটমট চোখে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে র‌ইলাম।
ভাইয়া আমাকে টেনে দোলনায় বসালো। এটা সেই দোলনা যেটা আমার জন্য ভাইয়া ফুল দিয়ে বানিয়ে ছিল এখন অবশ্য ফুল নাই ফুল ছাড়াই দোলনা।
ভাই আমার হাত ধরে চোখে চোখ রেখে বলল,
‘ গাল ফুলিয়ে আছিস কেন?’
আমি মুখ গোমড়া করে রেখেছি। ভাইয়া আমার মুখে নিজের দিকে করে বললো,
‘একটা গান শোনাই।’
আমি খুশী হয়ে বললাম, ‘ এটা আবার বলতে হয় আপনার গলার গান আমার কত পছন্দে জানেন না।’
‘জানিনা তো কখনো তো প্রশংসা করিসনি জানবো কী করে।’
‘এখন তো জানলেন।’

‘হুম জানলাম তার জন্য এখন কি করতে পারি?’
‘কি আবার করবেন এখন একটা গান ধরেন।’
ভাই আমার চোখের দিকে তাকিয়েই খালি গলায় গেয়ে উঠলো,
“আমি তোর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাই তোকে, আমি তোর মনটা ছুঁয়ে স্বপ্ন দিয়ে আঁকবো যে তোকে। (২)
তুই থাকলে রাজি, ধরবো বাজি, কোন কিছু না ভেবে।(২) ও একটু নয় অনেক বেশি ভালোবাসি তোকে।(২)…….
আমার দিকে তাকিয়ে গান শেষ করলো ভাইয়া।
আমি ভাইয়ার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের ওই চাঁদের দিকে তাকিয়ে র‌ইলাম।
পরদিন কলেজ থেকে বাসায় এসেই একটা খুশির সংবাদ শুনতে পেলাম। ইমা আপু প্রেগন্যান্ট। এটা শুনার একটা খুশির জোয়ার বয়ে গেলো বাড়িতে।

ভাইয়া এসে রাতে খবরটা শুনে খুশিতে আমাকে জরিয়ে ধরে বললো,
‘ ঊষা আমি কতোটা খুশি জানিস। আমার বাচ্চা খুব ভালো লাগে। একদিন এমন আনন্দ আমাদের ও হবে তাই না। আমার আর তোর বেবি যখন আসবে। কবে ওরা আসবে বল না তুই তারাতাড়ি বড় হয়ে যা না।’
আমি অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তার যে বাচ্চা এতো পছন্দ আমি আগে বুঝিনি। ভাইয়ার কথা শুনে আমার কষ্ট লাগছে।
ভাইয়া আমার মাথা বুকে থেকে তুলে বললো,
‘ কি হলো তোর?’
আমি চুপ করে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া কিছু বোধহয় বুঝতে পারলো।

‘ তুই মন খারাপ করছিস কেন?এই ইহান তার ঊষারানীর জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করতে পারবে। আমি তোর প্রাপ্তবয়স না হ‌ওয়া পর্যন্ত তোর কাছে যাব না। আমার সব চাওয়া আমি ঠিক সময় মতো বুঝে নেবো।’
কথা শেষ করে আবার বলে উঠলো, ‘ তোর ফোন ক‌ই?’
ফোনের কথা শুনে চমকে উঠলাম। লতাকে আমার ফোন দিয়ে এসেছি সন্ধ্যার সময়।আমার ফোন দিয়ে তো বেচারী ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে প্রেমালাপ করে। আজকে ফোন নিয়েছে আজকের দিয়ে যায়নি।ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলল কি হল বলছিস না কেন?
আমি বললাম,’আমি খুঁজে দিচ্ছি মনে নাই কোথায় রাখছি।’
‘ফোন কোথায় রাখিস মনে থাকে না কেন? আর আমি বিকেলে তোকে ওয়েটিং পেলাম কেন? কার সাথে কথা বলছিলি।’
এখন কি বলবো?

ভাই আমার ভীতু মুখ দেখে সন্দেহ করে আরো চেপে ধরলো। আমি ঢোক গিলে বললাম,’ লতার কাছে আমার ফোন!’
‘তোর ফোন লতার কাছে কেন? লতা ফোন দিয়ে কি করে?’
আমি কিছু বলছি না দেখে। ভাইয়া নিজে চলে গেল লতার রুমে।
আমি ভাইয়া আটকাতে চেয়ে ও পারলাম না আজ লতা তুই গেলি। আমি পেছন পেছন এলাম।
ভয়ের লতা কাপাকাপি করছে। ভাইয়া আমার ফোন নিজের হাতে নিয়ে ওকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘কার সাথে কথা বলছিলি?’
লতা কথা বলতে পারছেনা ভয়ের চোটে তাকাতে পারছেন নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি গিয়ে ভাইয়ার হাত খামচে ধরে বললাম, ‘আমি বলি।’
‘এতক্ষণ তো জিজ্ঞেস করছিলাম কিছু বলিস না এখন বলতে এসেছিস কেন?’
‘ওকে বকছেন কেন?’
‘ওকে বলতে বল কার সাথে কথা বলছিল। কার সাথে সব করে বেড়াচ্ছে?’

এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৬

‘আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের যে রনি থাকেনা চাকরির জন্য ঘুরতাছে। ওই রনি লতা কে ভালোবাসে আর লতাও এখন ওকে ভালোবাসে।রনি একটা চাকরি পেলে লতা কে বিয়ে করবে বলেছে আমি ওর সাথে কথা বলেছি একদিন।
রনির কথা শুনে আর ভাইয়া কিছু বললো না। ইহানের রনি ছেলেটার সাথে কয়েকদিন দেখা হয়েছে। কথা বলেছে খুব ভদ্র ছেলেটা বাবা-মা গ্রামে থাকে। শহরে এসেছে চাকরির জন্য। কিছুদিন একটা চাকরি করেছে কিন্তু ভালো বেতন পায় না। আর সেই অফিসের লোকটা বেশি ভালো ছিল না। এখন আবার চাকরির জন্য ঘুরতেছে।

ইহান আসার আগে শুধু বলল,’যাকে তাকে একদম বিশ্বাস করবি না।কে কেমন কার মনে কি আছে বলা যায় না তো। যদি কাউকে ভালবাসিস তাহলে আমাদেরকে বলবি দায়িত্ব নিয়ে তার সাথে তোর বিয়ে দেব সে যদি ভাল হয় তাহলে।’
ভাইয়া কথাটা বলে এক সেকেন্ড ও থামল না আমার ফোন নিয়ে চলে গেল। লতা আমার দিকে তাকিয়ে বললাম,,
‘ এখন আমার হার্ট এটাক হতো রে খুব জোর বেঁচে গেছি।’
পরদিনই ভাইয়া লতা কে একটা ফোন কিনে এনে দেয়। লতা সে কি খুশি। ভাইয়া রনিকে চাচার অফিসেই জবের ব্যবস্থা করে দেয়।

এক চিলতে রোদ শেষ পর্ব 

1 COMMENT

Comments are closed.