coffee & vanilla part 6 || Romantic valobashar golpo

coffee & vanilla part 6
Arohi Ayat

বসে আছি একাই আর রুমাইশার হলুদের ফাংশন চলছে৷ এইসময় আমার সাথে কথা বলার কেউ নেই৷ আমি লাইসাকে কল করলাম৷
–হ্যালো কই তুই? এখনো পার্লারেই বসে আছিস তাই নাই? এইদিকে ফাংশন শেষ হয়ে যাচ্ছে!
– না আমি রাস্তায় আসছি!
কল কেটে দেখলাম ফারহানও ওদের সাথে বসেই মজা করছে যেটা দেখে কেন যেন অনেক ভাল লাগছে! আমি একেবারে পিছনে এক কোনায় বসে আছি,,কারণ রুমাইশার যে বিগ ফ্যামিলি ওরা হলুদ দিতে দিতেই সারা রাত কেটে যাবে! আমি লাইসার অপেক্ষায় আছি ও আসলে নাহয় আমরা দুইজন একসাথে হলুদ দিবো! ফারহানকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিন ধরে মনে হয় এমন মজা করে না তাই আজকে এত খুশি! আমি বসে বসে দেখছিলাম তখন পিছন থেকে লাইসা এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলল

– কিরে!
আমি পিছনে তাকিয়ে চমকে গেলাম৷ আমি অবাক হয়ে বললাম
– বাব্বাহ! লাইসা কি সেজেছিস তোকেই বউ লাগছে! এভাবে না তুই বলেছিলি সাজতে পছন্দ করিস না!
– হ্যা আজকে কেন যেন অনেক সাজতে ইচ্ছে করলো!
– ও আচ্ছা আরহান ভাইয়া আসে নি?
– না,,, ভাইয়া নাকি কালকে আসবে!
– ও আচ্ছা!
দেখলাম ফারহান আমাদের দিকেই আসছে৷ লাইসা তারাতাড়ি একটু নরেচরে দাড়ালো৷ আমি আড় চোখে লাইসার দিকে তাকালাম৷ ফারহান এসেই বলল
– হেই! কি যেন তোমার নাম লাইসা! কেমন আছো?
– ভালো! আপনাকে ত পুরাই সেই লাগছে!
ফারহান বাকা হেসে বলল

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

– you looking pretty too!!
আমি বড় বড় চোখ করে ফারহানের দিকে তাকালাম৷ আজব আমাকে ভালো মন্দ কিছুই বলল না আর লাইসাকে you looking pretty!?! যাক ভালো আমার কারো কমপ্লিমেন্ট এর প্রয়োজনও নেই আমার কাছে আমি অনেক সুন্দর৷ ফারহানের দিকে তাকিয়ে ভাবছি,, আর নিজেকেও একেবারে এত হ্যান্ডসাম লাগছে না যেমন ও নিজে নিজে মনে করছে হুহ!! আমি লাইসার হাত ধরে বললাম
– চল আমরা হলুদ দিয়ে আসি!
আমরা দুইজন গিয়ে ছবি তুলে রুমাইশার সাথে মজা করে কিছু কথা বলে কত গুলি হলুদ মেখে দিয়ে চলে এলাম৷ লাইসা আর আমি গিয়ে একটু বাহিরে গেলাম,,বাগানের দিকে৷ সেখানে গিয়ে আমরা কথা বলছিলাম দেখলাম ফারহান ফোনে কথা বলতে বলতে এখানেই আসছে৷ লাইসা ওর ফোন বের করে নিজেকে দেখে ঠিক করে নিল৷ আমি দোলনায় বসে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছি,,আর লাইসা ফারহানকে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে গেছে মনে হয় ওর সাথেই কথা বলতে আসছে হুহ! কিন্তু আমি জানি ফারহান এসে আমার সাথেই কথা বলবে৷ আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছি৷ ফারহান কথা বলা শেষ করে ফোন রেখে আমাদের সামনেই এলো৷ ফারহান আমাকে কিছু বলতে নিলে লাইসা হাত বারিয়ে বলল

– হ্যালো!
ফারহান কিছু না বলে মুচকি হেসে ওর সাথে হ্যান্ড শেক করলো৷ আমি শুধু হাবাদের মত লাইসার দিকে তাকিয়ে আছি বসে বসে৷ লাইসা ফারহানকে বলল
– আপনিও এখানে বসেন আমারা কথা বলি!
আমি আরাম করে দোলনায় বসে আছি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে এমন সময় এমন ইম্পর্টেন্ট মুহুর্তে রুমাইশা আমাকে ডাক দিয়ে সব নষ্ট করে দিল৷ একটা মেয়ে এসে বলল
– আপু তোমাকে ডাকে রুমাইশা আপু!
আমি উঠে গেলাম ভিতরে রুমাইশার কাছে৷ রুমাইশার ওর রুমে ছিল৷ আমি যেতে বলল
– আমার এই ঘুমটা টা একটু ঠিক করে দে প্লিজ!
– এইটার জন্য ডেকেছিস! অন্য কাউকেও ত বলতে পারতি!!
আমি রুমাইশার ঘুমটা ঠিক করে দিয়ে তারাতাড়ি আবার নিচে যেতে চাইলে রুমাইশা আবার ডেকে বলল
– দাড়া এত তাড়া কেন?
– কি হয়েছে আবার?

– কিছু না,, কিন্তু এখন আমার কিছু করার নেই আমার সাথে একটু কথা বল বসে!
আমি প্রথমে ভ্রু কুচকে বললাম কেন? পরে আবার বললাম
– আচ্ছা,,, আমি একটু আসছি!
আমি গেলাম বাগানে,, গিয়ে দেখি দোলনায় লাইসা আর ফারহান বসে বসে কথা বলছে৷ আমি গিয়ে ফারহানকে বললাম
– এই উঠেন এইটা আমার জায়গা ছিল! আমি এখানে বসেছিলাম!
ফারহান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল
– so what?
– আচ্ছা,, আমি আমার ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছিলাম আপনি এখানে কি করছেন?
– আমিও ত ফ্রেন্ড এর সাথেই কথা বলছি!
– ওও মাত্র এই কয়েক মুহুর্তে লাইসা আপনার ফ্রেন্ড হয়ে গেছে??
ফারহান লাইসার দিকে তাকিয়ে বলল
– হুম আমরা ত এখন থেকে ফ্রেন্ড এম আই রাইট লাইসা?!
লাইসা বলল

– হুম!
আমি চুপচাপ কিছুক্ষন কিছু না বলে এদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর ওরা দুইজন দোলনায় বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,ফারহান ত একেবারে পায়ের উপর পা উঠিয়ে দোলনার উপর দুই হাত রেখে ভাব নিয়ে বসে আছে৷ ফারহানের দিকে তাকিয়ে ভাবছি কত বড় সাহস এই ছেলেটার আমি দাঁড়িয়ে আছি আর ও নিজের গার্লফ্রেন্ড এর ফ্রেন্ড এর সাথে বসে আছে এটাকেই কি ও গার্লফ্রেন্ড বলে দাবি করে? আবার নাকি লাইসা ওর ফ্রেন্ডও হয়ে গেছে! যাক ভালো কথা ফ্রেন্ড হয়েছে কিন্তু মাত্র কয়েক মুহুর্তের ফ্রেন্ড কি এখন বেশি হয়ে গেছে গার্লফ্রেন্ড থেকে? আমি লাইসার হাত ধরে বললাম
– লাইসা উঠ,, চল আমরা অন্য জায়গায় গিয়ে কথা বলি! চল!
আমি লাইসার হাত ধরে টানছি আর ফারহান চুপচাপ বসে আছে আর লাইসা! কি একটা ফ্রেন্ডও পেয়েছি আল্লাহ,,,,! লাইসা উঠছেই না যেন ও সারাজীবন এইভাবেই ফারহানের সাথে দোলনায় বসে থাকবে! আমি বললাম
–কিরে লাইসা উঠ! রুমাইশা একা চল আমরা গিয়ে ওর সাথে কথা বলি!
– তুই যা না প্লিজ!
আমি রেগে মেগে লাইসার হাত ছেরে দিয়ে বললাম
– থাক তুই আমিই তাহলে চলে যাই!

এটা বলে সেখান থেকে চলে গেলাম কিন্তু কেউ আমাকে আটকালো না,,, না ফারহান যে নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড আর না লাইসা যে নাকি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড!! আমি রুমাইশার কাছেই গেলাম আবার৷ আমি নিজেই মনে মনে ভাবছি বেচারি রুমাইশাকে একা ফেলে আমি চলে এসেছি শুধু মাত্র ফারহানের জন্য আর লাইসার জন্য এই জন্যই এখন এইভাবে অপমানিত হয়ে ফিরেছি এখন আমি রুমাইশার সাথেই থাকবো বেচারি বিয়ে হয়ে কালকে চলে যাবে কত দূর আমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড ওকে আর কবে দেখবো সেটারও কোন ঠিক নাই উফফ,,,,অনেক মিস করবো ওকে! আমার ওর সাথেই টাইম স্পেন করা উচিৎ গিয়ে!

ব্যাস সারা হলুদ আমি রুমাইশার সাথেই ছিলাম ওর সাথে কথা বলছিলাম ওকে বলছিলাম যে ওকে আমি কতটা মিস করবো ব্যাস এটা বলতেই রুমাইশা হুহু করে কেদে দিল আমি ওকে থামানোর চেষ্টা করে বললাম
– আরে আরে তুই আজকে কাদছিস কেন? কালকে ত আবার কাদতে হবে প্লিজ স্টপ ক্রাই!
একটু পরে লাইসা এলো রুমে৷ আমি লাইসার দিকে তাকাতে লাইসা আমাকে ডেকে বলল
– শুন রাইসা! প্লিজ ইয়ার রাগ করিস না আমাকে মাফ করে দিস আ’ম সরি!!
আমি বললাম
– কি হয়েছে তোর আবার?

– আমি কতক্ষন ধরে জানিস ফারহানকে নিজের বয়ফ্রেন্ড বানানোর চেষ্টা করছি এখন ফারহান নিজেই আমাকে বলল যে তুই আর ফারহান নাকি রিলেশন এ আছিস?! তুই আমাকে আগে বলিস নি কেন? দেখ আমি কখনোই চাইবো না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর বয়ফ্রেন্ডকে নিতে,, আসলে আমি ত জানতামি না!! প্লিজ সরি,, একটু আগে আমি যা করলাম!!
আমি লাইসাকে একটা চাপর মেরে বললাম
– চুপ কর এত কথা বলিস কেন? বস এখানে আমারা কথা বলি!!
লাইসা চলে যাওয়ার সময় আমি আর রুমাইশা এসে দরজার সামনে এসে দাড়ালাম৷ লাইসা আমাকে জোরিয়ে ধরে বলল
– আচ্ছা আমি যাই কালকে দেখা হবে!
রুমাইশা বলল
– আজকে থেকে যা এখানে আমাদের সাথে! কালকে ত আমার বিয়েই!
লাইসা বলল
– হ্যা আমি চেয়েছিলাম কিন্তু বাসায় যেতে হবে বাবা বলেছে এসে পরতে! থাক না আমি ত আবার কালকে আসবো!
রুমাইশাকে কে যেন ডাক দিতে রুমাইশা ওকে বায় বলে চলে গেলো৷ তারপর আমিও বায় বলতে লাইসা চলে যাবে এমন সময় ফারহান এসে লাইসাকে ডেকে বলল

– বায় লাইসা! কালকে দেখা হবে!
লাইসাও বলল
– হুম! বায়!
– এত রাতে তুমি একা যাবে?
– না সমস্যা নেই! আমি যেতে পারবো!
– ও আচ্ছা ভালো ভাবে যেও!
আমি লাইসাকে বললাম
– আচ্ছা,,, আচ্ছা যা এখন! এতক্ষন তোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না!
লাইসা চলে যেতে আমি একবার ফারহানের দিকে তাকিয়ে তারপর চলে যেতে নিলে ফারহান বলল
– কি হয়েছে রিসু?
– আমার নাম রাইসা রিসু না!
এটা বলে সেখান থেকে চলে গেলাম৷ আমার রুমের সামনে আসতে ফারহানও আমার পিছনে পিছনে এসে আমাকে বলল
– দাড়াও দাড়াও এত jealous হওয়া ভালো না!
আমি ঘুরে পিছনে তাকিয়ে বললাম

– দেখেন এখন আপনি আমার থেকে তেমন কিছু আশা করবেন না যে আমি বলব কই না কে jealous? হ্যা আমি jealous! আর আপনি যখন এটা জানেন যে আমি jealous তাহলে এমন করছিলেন কেন? আমি আপনাকে বলেছিনা আমি তেমন মেয়ে না যে চুপচাপ সহ্য করবো!
ফারহান দুই হাত ভাজ করে বলল
– ও আচ্ছা,,, আমি ত সেটাই দেখতে চেয়েছিলাম যে তুমি কি করতে পারো! কিন্তু দেখলাম ত তুমি কিভাবে সেখান থেকে চলে গেলে চুপচাপ!
– লিসেন লাইসা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,, তাছাড়া লাইসা তেমন মেয়ে না অন্যের বয়ফ্রেন্ড এর উপর নজর দিবে আর ও জানতো না যে আপনি আমার বয়ফ্রেন্ড! তাই আমি কিছুই বলি নি চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেছি! কিন্তু হুম আমার বয়ফ্রেন্ড হতে হলে অনেক রুলস মানতে হবে সেটা হলো অন্য মেয়ের সাথে এত ভাব করা যাবে না আর যদি করে তাহলে আমিও অন্য ছেলের সাথে কথা বলবো আমার বয়ফ্রেন্ড আমার কথা না শুনলে আমিও তার সাথে তেমনই করবো আমিও তার কথা শুনবো না! কিন্তু এমন হবে না যে সে আমার কথা শুনবে না আর আমি যে তার সব কথা শুনবো!!!হুহ! যান এখন এখান থেকে!

এটা বলে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম৷ ফারহান দরজার বাহির থেকেই বলল
– এই রুলস গুলো ত আগে বলা উচিৎ ছিল!!
এটা বলে বাকা হেসে সেখান থেকে চলে গেলো৷
পরের দিন,,,,
আজকে রুমাইশার বিয়ে৷ আমি আজকে পার্লারের মানুষের হাতেই সেজেছি রুমাইশার সাথে কিন্তু আমি হালকা যে সাজটা আছে সেটাই দিয়েছি আর রুমাইশা ত পুরাই বউ লুক! আমি একটা কালো শাড়ি পরেছি আর চুল গুলো স্ট্রিট করা৷ আমার কাছে নিজেকে ত এই কালো লুকে অস্থির লাগছে এখন আজকে দেখবো অন্য কেউ কি বলে! আজকে দেখলাম ফারহান একটা ডার্ক ব্লু যেটাকে নেভি ব্লু বলে সেই কালারের একটা পাঞ্জাবি পরেছে৷ ভেবেছিলাম ফারহান আজকে আমার উপর ফিদা হয়ে যাবে কিন্তু আমার মনে হয় উলটা আসার হয়েছে আমার উপর!! ফারহান বিয়েতেই কিছুটা ব্যাস্ত ছিল ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা৷ আমার সাথে কথা বলার এখনো সময় পায় নি আর আমিও রুমাইশার সাথে রুমাইশাকে নিয়ে কিছু ব্যাস্ত ছিলাম ছোট বেলার ফ্রেন্ড বলে কথা!

একটা কথা যা এর মাঝে আমার মনেই নেই যে আজকে সম্পুর্ণ ৫দিন হতে চলেছে আর আজকে যে ফারহান চলে যাবে! রুমাইশার বিয়ে হয়ে গেলো৷ এখন রুমাইশার বিদায় এর সময়,, আজকেই নাকি ওরা একেবারে লন্ডন চলে যাবে! আমি রুমাইশাকে জরিয়ে ধরে অনেক কাদলাম আর ও অনেক কাদলো৷ রুমাইশা যখন গাড়িতে উঠছিলো তখন হঠাৎ আমার বুক কেপে উঠলো ফারহানের কথা ভেবে আমি ভিরের মধ্যে ফারহানকে খুজছিলাম৷ ফারহান কোথায় গেলো? সকাল থেকে একবারও আমার ফারহানের সাথে কথা হয় নি! ফারহান এভাবেই চলে যাবে?? কোথায় ও?? আমি ত ভুলেই গিয়েছিলাম যে ফারহানও আজকে চলে যাবে!! রুমাইশার ছোট বোন এসে আমাকে বলল
– আপু তোমাকে ডাকে ওই রুমে!
আমি রুমে যেতে দেখলাম অনেক অন্ধকার রুমের মধ্যে অনেক গুলো মোম জ্বলছে৷ আমি বললাম
– ফারহান!!

হঠাৎ ফারহান এসে আমার সামনে দাঁড়ালো৷ আমি ওকে দেখে খুশি হয়ে গেলাম৷ আমি বললাম
– আপনি যান নি? ওরা ত চলে গেছে! আপনি যাবেন না?!
ফারহান কিছু বলল না৷ রুমে লাইট জলে উঠলো৷ রুমে কিছু দরি টানানো ছিল আর সেগুলো তে ঝুলানো অনেক গুলো ছবি ছিল শুধু আমার৷ আমি ঘুরে ঘুরে সেগুলো দেখতে দেখতে বললাম
– এই গুলো কি?
ফারহান বলল
– আমি তোমাকে বলেছিলাম আমার ৫দিনের গার্লফ্রেন্ড হতে! এই ৫দিনে অনেক কিছুই হয়েছে! সেগুলোকে ক্যাপচার করার জন্য সেই মোমেন্ট গুলোকে মনে রাখার জন্য এই ছবি গুলো তুলেছিলাম আমি!
ফারহান ঘুরে ঘুরে আমাকে প্রত্যেকটা ছবি দেখাতে দেখাতে বলল
– এইযে এইটা প্রথম দিন যেদিন তোমার সাথে পরিচয় হয়েছিল,, এইটা তোমার পার্কের ছবি যখন তুমি হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছিলে,,আর এইটা যখন আমাকে আর লাইসাকে একসাথে হাটতে দেখে তোমার মুখের যেই ১২টা বেজেছিল,,আর এইটা যখন তুমি আমার সাথে রাগ করেছিলে মেহেদির দিন,,, আর এইটা যখন তুমি আমাকে নিজে বলেছিলে ট্যারিসে দাঁড়িয়ে তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড হতে চাও,,, আর এইটা যখন হলুদের দিন তুমি আমার কাছে মাফ চাইতে এসেছিলে তখন তোমার ফেসটা খুবই ইনোসেন্ট লাগছিলো,,,আর এইটা তুমি যখন jealous হয়েছিলে বাগানে লাইসা আর আমাকে দেখে,,আর এইটা আজকে সকালে যখন তুমি ঘুমিয়েছিলে আমি গিয়েছিলাম তোমার রুমে তখন,,,, আর এইটা দেখো আজকে যখন তুমি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হয়েছো তখন তুলেছিলাম! আজকে তোমাকে একেবারে কালো হুর পরি লাগছে!!!

আমি কি বলবো আসলে আমি জানি না! তাই চুপ করে আছি এইসময় কি বলা উচিৎ আমার জানা নেই! ফারহান আমার দুই গালে হাত দিয়ে বলল
– এই মাত্র ৫দিনে কত কিছু হয়েছে! এই ৫দিনে তুমি আমাকে অনেক কিছু ফিল করিয়েছো অনেক নতুন নতুন ফিলিংস এর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়েছো যেগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে,, তোমার jealous হওয়া তোমার রাগ করা তোমার অভিমান করা তোমার সাথে ঘুরা এইসব কিছুই আমার কাছে নতুন ছিল!!
আমি এখন কি বলবো আমার মনে হচ্ছে আমার যা বলা উচিৎ ফারহান তা বলছে,, আমি নিজেই প্রথম এইসব ফিল করেছি,, নিজেই প্রথম কারো সাথে এমন ভাবে রাগ করেছি কারো জন্য এমন ভাবে jealous হয়েছি কারো জন্য এমন ভালো লাগা ফিল করেছি!! আমি ফারহানকে বললাম
– আপনি যাবেন না?
ফারহান কিছু না বলে শুধু হাসলো যার উত্তর আমি বুঝতে পারলাম যে ফারহান যাবে না! আমি অনেক খুশি হলাম অনেক বেশি অনেক ভাল লাগছে!!

coffee & vanilla part 5

আরহান ভাইয়ার সাথে কথা বলছিলাম৷ ভাইয়া আজকে বিয়েতে এসেছে৷ আর এখন ভাইয়া চলে যাবে আর আমিও ত চলে যাবো বাসায়৷ আমি আরহান ভাইয়ার সাথে কথা বলে পরে আমি আমার ব্যাগ গুছাতে গেলাম রুমে৷ ব্যাগ গুছিয়ে আমি আন্টির কাছে গিয়ে সবাইকে বায় বললাম৷ আমি ফারহানকে খুজছিলাম ওকে বায় বলবো সারা বাড়ি ফারহানকে খুজে না পেয়ে রুমাইশার ছোট বোনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম
– ফারহান কই??
যেটা আমি কখনোই আশা করি নি ওর মুখ থেকে সেই জবাবটাই বের হলো একেবারে একটা অবাক করে দেওয়ার মত জবাব!!

– আপু ভাইয়া ত কবেই লন্ডন ব্যাক করেছে! ওইযে তোমাকে যখন ডেকেছিল এর কিছুক্ষন পরেই চলে গেছে!!
এটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো৷ ফারহান চলে গেছে? কিন্তু আমি যখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম ও হাসলো কেন এর মানে কি এটা ছিল না যে ও থাকবে? নাকি আমিই ভুল বুঝেছি? ফারহান সত্যিই চলে গেলো? আচ্ছা চলেই যখন গেছে তাহলে তখন এত কিছু কেন করলো? তখন কিছু মুহুর্তেই ফারহান আমাকে অনেক গুলো খুশি আর অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে দিয়ে গেছে? সেগুলো করার কি দরকার ছিল যদি চলে যাওয়ারই ছিল! এইভাবেই চলে যেতো!! কেন এমন করলো ফারহান?

coffee & vanilla part 7