Death or Alive golper link || priyanka hawlader

Death or Alive part 1
priyanka hawlader

চারপাশে গা ছমছমে নীরবতা। সবুজ গারো জঙ্গলের বুক চিরে বেরিয়ে এসেছে একফালি মেঠো পথ, যেন সাপের মতো পেঁচিয়ে চলে গেছে, দিগন্ত পানে।সূর্য ডুবেছে অনেক আগেই সন্ধ্যার আবছা আলোয় গ্রামের নিঃসঙ্গ গাছগুলো আরো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
সেই পথ ধরে হেটে আসছে একটি মেয়ে। কালো স্কার্ট সাদা টপ পড়া গলায় হালকা ব্রাউন রঙের স্কাপ জড়ানো। লম্বা চুল গুলো উপর দিকে জুটি করে বাঁধা।
এতটা লম্বা চুল যে উঁচু করে বাধার পরও চুলগুলো কমর পর্যন্ত ছুয়ে আছে। চোখ দুটো টানা টানা কালো মনি,মুখের গড়ন এতটাই সুন্দর যেন কোনো পরির চেহারা। আলতা রাঙা গায়ের রং ধবধবে ফর্সা দুধের মত। গোলাপী ঠোঁটের মাঝখানে মিষ্টি একটা হাসি তার।

চোখ জোড়া একরাশ খুশিতে ভরা যেন অনেক বছর পর নিজের সেই চিরচেনা গ্রামে পা রেখেছে। প্রাকৃতির সেই চিরচেনা ঘ্রাণ। চিরচেনা বাতাস, সেই গাছপালা সবকিছু মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছিল। তখনি তার পাশ থেকে কেউ বলে উঠলো কিরে অর্ষা কোথায় হারিয়ে গেলি। মেয়েটার কন্ঠ শুনতেই ধ্যান ভাঙ্গে অর্ষার। সে ঘুরে তাকায় মেয়েটার দিকে। কালো টপস পড়া নিচে জিন্স চোখের সানগ্লাস ছোট রং করা চুলগুলো ঘাড় পর্যন্ত ছেড়ে রাখা। পায়ে চিকন হিল পড়া। দেখেই বুঝা যায় শহরের মডার্ন মেয়ে। এই গ্রামের পরিবেশে সে একটু ভয়ে আছে। চারিপাশে জঙ্গল তার উপর অন্ধকার তাই ভয়টা একটু বেশি পাচ্ছে।
অর্ষাঃ কি হয়েছে বল তুই কি ভয় পাচ্ছিস।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মেয়েটাঃ তুই এত কি ভাবছিস, আর তুই এই জঙ্গলে থাকিস আগে বলিস নি কেন? আগে জানলে আমি এখানে আসতামই না তুই বলেছিলি গ্রাম এটা তো একটা জঙ্গল এখানে আমাকে যদি এখন বাঘে খেয়ে ফেলে কি হবে।
অর্ষাঃ উচ্চস্বরে হেসে ওঠে এবং বলে আরে আমি আছি তো তুই ভয় পাস না আর এখন এখানে বাঘ কোথা থেকে আসবে। আমি এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি আমি জানি এখানে কোথায় কখন কি হয়, আর এই সাইটটায় বাঘ নেই বাঘ আরো ভিতরে জঙ্গলের গহীনে আছে। তুই চল আমরা এসে পড়েছি ওই তো আমার বাড়ি।
এরপর,
দুজনেই হেঁটে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায়……

এতক্ষণ যার নাম শুনলেন সে হচ্ছে অর্ষা, অর্ষা সরদার। সে বাংলাদেশের ছোট্ট একটা গ্রাম মধুপুরগড় এর মেয়ে। মধুপুরগড় যা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক বনাঞ্চল এখানে ১৯০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে কিছু প্রাণী হিংস্রত কিছু অনেক শান্ত এই জঙ্গলের মাঝে মাঝে রয়েছে , ছোট ছোট বাড়িঘর বিশাল বিশাল গাছপালা। আর এত বড় বড় গাছপালার মাঝে সূর্যের আলো খুব কম আসে জঙ্গলের ভিতরে তাই দিনের বেলাও অন্ধকার টাই বেশি পাওয়া যায়। আর রাতের বেলা তো পুরাই ভুতুড়ে স্থান লাগে মনে হয় আশেপাশে কোন কালো ছায়া কিংবা কোন আত্মা আছে গা ছমছমে ব্যাপার। ( এখানে কিছুটা মধুপুর গড় এর বর্ননা আর বাকিটা কাল্পনিক ভাবে সাজানো। এটা একটা ফ্যান্টাসি গল্প যেহেতু তাই গল্পের খাতিরে বাকি সব কিছুই কাল্পনিক এখানে কোন সত্যতা নেই।)
অর্ষা এই গ্রামের এই মেয়ে ছোট থেকে এখানেই তার বড় হওয়া। এখানে সবকিছু তার বড্ড চেনা। গ্রামে কোথায় কি আছে সব কিছুই তার মুখস্থ।

তার বাবার রওশন সরদার মধুপুর গ্রামের বর্তমান প্রধান। এলাকায় তার প্রভাব সম্মান খানিকটা ভয়ও আছে। তার মেয়ে অর্ষা সরদার একজন শিক্ষিত আত্মবিশ্বাসী ও স্পষ্টবাদী মেয়ে। বয়স ২২ বছর।
এমবিবিএস (ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন করতে ঢাকায় ছিলো চার বছর। এই গ্রামের মেয়ে হলেও পড়াশোনার জন্য তাকে এত বছর শহরেই থাকতে হয়েছে এবার ছুটি পাওয়ার পর সে তার বান্ধবীকে নিয়ে এসেছে গ্রামে ঘুরার জন্য আবার তারা শহরে ফিরে যাবে।
এতক্ষন যে মেয়েটার সাথে কথা বলছিল অর্ষা সেটা তার বান্ধবী ইয়ানা। ইয়ানা শহরের মডার্ন একটা মেয়ে। তাই তার সবকিছু মডার্ন তার কথা বলা জামা কাপড় পরার স্টাইল সবকিছুই।

দুজনে মাটির উঠোন পেরিয়ে কাঠের দরজা ঠেলে বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই, এক জোড়া হাত অর্ষাকে জড়িয়ে ধরে।
“মা… কেমন আছিস তুই?”—কন্ঠে কাঁপন, কিন্তু চোখে গভীর ভালোবাসা।
সাহেলা বেগম।
অর্ষার মা। দীর্ঘ চার বছর পর নিজের মেয়েকে ছুঁয়ে পেলেন যেন।
তার মুখের চামড়া একটু ভাঁজ পড়েছে, কিন্তু চোখের চাউনি এখনো তরুণী মায়ের মতো। সেই চোখে পানি এসে গেছে, কিন্তু ঠোঁটে জড়ানো হাসি যেন বলছে—”এই বাড়িটা আজ সত্যি পূর্ণ হলো।”
মায়ের কণ্ঠ শুনেই পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এল এক লম্বা গড়নের তরুণ—ফারাজ সরদার, অর্ষার ছোট ভাই।
এই তো ফিরলি আপু! দেখ, শহরের বাতাসে একদম পাল্টে গেছিস!”
সে এগিয়ে এসে বোনকে জড়িয়ে ধরলো। অর্ষা হেসে উঠল, ফারাজের কণ্ঠে যেমন খুশি, তেমনি লুকানো এক স্নেহপূর্ণ শাসন।

পেছন থেকে এগিয়ে এলেন গ্রামের প্রভাবশালী মানুষ, অর্ষার বাবা—রওশন সরদার। মুখে কঠোরতা, কিন্তু চোখে গলে যাওয়া উষ্ণতা।
“ফিরলি মা তুই… ঘরটা যেন এখন ঘর হলো।”
সবাই মেতে উঠেছে আবেগে।
কিন্তু তখনই সবার দৃষ্টি গেল অর্ষার পাশের মেয়েটির দিকে।
ইয়ানা।
তাকে দেখে মুহূর্তে একটু থমকে গেল ফারাজ।
ইয়ানা মুখে হালকা হাসি এনে বলল,
“আসসালামু আলাইকুম। আমি ইয়ানা, অর্ষার বান্ধবী। ওর সঙ্গে একটু গ্রাম দেখার ইচ্ছে হলো, তাই চলে এলাম।”
রওশন সরদার কিছু না বলে মাথা হেলালেন। সাহেলা বেগম কাছে এসে আদর করে বললেন,
“আরে এসো মা, এসো ভিতরে। তুমি তো আমাদের মেয়ের মতোই। এত পথ এসেছো, একটু জিরাও তো!”
সবাই মিলে বসার ঘরে চলে গেল।

কিছুক্ষণ পর, পাটের মোটা চট পেতে, কলার পাতায় ভরে ভরে খাবার সাজানো হলো—গরম ভাত, সরিষার ইলিশ, ডাল, শুঁটকি ভর্তা, আর শেষ পাতে দুধ-সেমাই।
ইয়ানা চুপচাপ বসে ছিল, চারপাশের পরিবেশে একটু অস্বস্তি হলেও অর্ষার মা-বাবার যত্নে মুগ্ধ হয়ে গেল।
খাওয়া শেষে ঘরে ছড়িয়ে পড়ল একধরনের শান্তি।
রাত অনেক হয়ে গেছে। বনের পাখির ডাক থেমে গেছে। দূরের কোনা থেকে শোনা যাচ্ছে শিয়ালের হুক্কা-হুয়া ডাক।
কেউ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করল না।
অর্ষা তার রুমে ঢুকে ব্যাগটা রেখে দিল, ইয়ানা তার পাশে। ফারাজ তার রুমে, রওশন আর সাহেলা তাঁদের নিজ ঘরে।

বাড়িটা আবার নিঃশব্দ।
তবে অর্ষা ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে হঠাৎ গা শিরশির অনুভব করল।
সামনের বটগাছটা একটু নড়ে উঠলো কি?
তবে কি ওর চোখের ভুল?
অথবা বাতাস?
অথবা… কিছু… অন্য কিছু?
রাতের গভীরে,
জঙ্গলের কোল ঘেঁষে,
একটা কালো ছায়া দাঁড়িয়ে ছিল অর্ষাদের বাড়ির সামনের পথের মোড়ে…
সে ফিসফিস করে বলল:
“তুই ফিরেছিস… এত বছর পর… ইযারা আবার জাগবে।”

ভোরের রোদ গাছের ডাল ভেঙে বাড়ির উঠোনে এসে পড়েছে।
মাটির গন্ধে ভেজা হাওয়ায় মিশে আছে শালপাতার স্নিগ্ধ ঘ্রাণ।
অর্ষা ধীরে ধীরে চোখ মেলে। পাশেই বিছানায় ঘুমিয়ে আছে ইয়ানা—তার মুখে ক্লান্তির ছাপ, যেন রাতটা কোনো দুঃস্বপ্নে কেটেছে।
ঘড়ি দেখে সে উঠল, ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে এসে মুখে পানির ছিটা দিয়ে চুল খোঁপা করল। আজ তার ইচ্ছা—ইয়ানাকে এই পুরো গ্রামটা, বনের কোলঘেঁষে থাকা তার শৈশবের স্বর্গরাজ্যটা ঘুরে দেখানো।
কিছুক্ষণ পর ইয়ানা ঘুম থেকে উঠল।
ইয়ানা: “ভয়ংকর জায়গা রে এটা! গতকাল রাতে জানালার পাশ থেকে কেমন একটা শব্দ শুনলাম, যেন কেউ হেসে উঠল বাইরে…”
অর্ষা হেসে বলল: “তুই শহরে অভ্যস্ত বলেই এসব মনে হয়। তাও চল, তোকে আজ পুরোটা দেখাবো—আমার শৈশব, আমার বন।”

দুজনেই হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ল ঘরের সামনে দিয়ে। উঠোন পেরিয়ে কাঁঠাল গাছ, তারপর একটা সরু পথ ধরে।
পথটা জঙ্গলের গায়ে গিয়ে মিশেছে, যেখানে ঝোপজঙ্গলের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট পুকুর, বাঁশঝাড় আর আগাছায় ভরা খালি জমি। বাতাসে ভেসে আসছে পাখিদের ডাক, তবে মাঝে মাঝে হঠাৎ থেমে যাচ্ছে সব।
চোখ বুঁজে সেই ঘ্রাণ নিতে নিতে হঠাৎ অর্ষার কাঁধে কাঁটা দিয়ে উঠল।
সে থেমে যায়।
চারপাশটা দেখে।
জঙ্গল চুপচাপ।
কিন্তু তার মন বলছে — কেউ আছে।
কেউ… দেখছে।
সে আবার হাঁটতে শুরু করে। ইয়ানা কিছুই টের পাচ্ছে না, সে তো ব্যস্ত অর্ষাকে জিজ্ঞেস করতে,
“এই বাঁশঝাড়টার পাশে কি তোর পুকুর ছিল?”
অর্ষা হেসে হ্যাঁ বলে, কিন্তু মন তার অন্যখানে। মনে হচ্ছে জঙ্গলের ভিতরে কোনো চোখ তার দিকে স্থির। বাতাসে যেন ফিসফাস—

“ফিরেছিস… তোকে দেখছি।”
তার পা হঠাৎ থেমে যায় একবার। সে পেছন ফিরে তাকায়।
কিছু নেই।
কিন্তু ঝোপটার মাথায় পাতাগুলো একসাথে কেঁপে উঠলো যেন কেউ হঠাৎ পিছনে সরে গেছে।
“অর্ষা, তুই ঠিক আছিস?”
“হ্যাঁ… হ্যাঁ, চল।”
কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে আসে বাড়িতে।
সাহেলা বেগম তখন রান্নাঘরে দুধে পুলি বানাচ্ছেন। রান্নার গন্ধে বাড়িটা ভরে গেছে। অর্ষার মুখে হালকা হাসি ফিরে আসে।
দুপুরে সবাই একসাথে খেতে বসে।
চালভাজা, মুগডাল, ছাগলের মাংস আর দই।
ইয়ানা মুগ্ধ হয়ে বলে,
“খাওয়াদাওয়া তো রাজকীয় এখানে!”
অর্ষা হাসে। কিন্তু তার চোখ দুটো বারবার জানালার পাশে থাকা সেই গাছটার দিকে যায়,
যেখানে কাল রাতে ছায়াটা নড়েছিল…
আর আজ সকালে…

মনে হলো কেউ পেছন থেকে দেখছিল।
সেদিন রাতে, অর্ষা যখন জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁচে ভেতরের প্রতিবিম্ব দেখছিল…
হঠাৎ তার প্রতিচ্ছবির পাশে আবছাভাবে আরেকটি ছায়া দেখা গেল।
তার নিঃশ্বাস আটকে গেল।
সে ঘুরে তাকাল।
কেউ নেই।
তবু কাঁচে তখনো সেই ছায়াটা… দাঁড়িয়ে ছিল।
মনে হচ্ছে এটা অর্ষার চোখের ভুল সে তাই বেশি ভাবেনা,
এরপর সে ঘুমোতে চলে যায়।
রাত গভীর।
জঙ্গল নিঃশব্দ। শুধু দূরে কোথাও যেন শিয়ালের হালকা ডাক শোনা যায় মাঝে মাঝে।
বাড়ির সব ঘর অন্ধকার। সবাই গভীর ঘুমে।
কিন্তু হঠাৎ…

অর্ষার ঘুম ভেঙে যায়।
সে ঘামছে। কপাল ভেজা, বুক ধড়ফড় করছে। যেন স্বপ্নে কিছু দেখছিল… কিন্তু এখন কিছুই মনে পড়ছে না। অস্বস্তি আর অজানা এক চাপা আতঙ্ক তার শরীরের ভেতর ছড়িয়ে গেছে।
সে ধীরে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়। পা টিপে টিপে যায় জানালার কাছে।
জানালা খুলে দেয়।
বাইরে শীতল বাতাস।
চাঁদের আলো গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে পড়ে ছায়া তৈরি করেছে উঠোন জুড়ে।
কিন্তু হঠাৎ…
তার চোখ আটকে যায়।
বাড়ির ঠিক সামনের বটগাছের পেছনে—
কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
না, সম্পূর্ণ মানুষ নয়।
সে যেন ছায়ার মতোই — শুধু দুটি চোখ জ্বলজ্বল করছে অন্ধকারে।
নীল রঙের চোখ।
অস্বাভাবিক রকমের উজ্জ্বল।

নরম, তরল আলোয় তৈরি চোখ নয়… বরং যেন অদ্ভুত এক জ্বলন্ত মণি—দুটি আগুনের বিন্দু।
অর্ষা কেঁপে উঠল।
তার মনে হলো, সেই চোখ দুটো তাকিয়ে আছে সরাসরি তার দিকেই।
সরাসরি…
নিস্তব্ধতা ভেদ করে…
ভেদ করে দিচ্ছে তার বুকের গভীরে লুকানো সমস্ত রহস্য…
এটা মানুষ নয়…”
“এটা কোনো জন্তু বা… এটা কিছু… অন্য কিছু।”
তার মনে পড়ে গেল ছোটবেলার সেই কাহিনি— সে তখন এসএসসি পাস করেছিলো সবেমাত্র,
“মধুপুরগড়ের গহীনে চোখ জ্বালানো ছায়া ঘোরে, যার দিকে তাকালে মন খেয়ে ফেলে…”

অর্ষা পিছিয়ে আসে। দ্রুত জানালার পর্দা টেনে দেয়।
তার বুক ধড়ফড় করছে। পা দুটো অবশ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আশ্চর্যভাবে সে চিৎকার করেনি।
সে আবার শুয়ে পড়ল।
চোখ বন্ধ করল।
কিন্তু চোখ বন্ধ করলেও… সেই নীল চোখ দুটো এখনো যেন জ্বলছে তার মনে।

Death or Alive part 2

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here