flesh গল্পের লিংক || Papilion skyscraper

flesh part 1+2
Papilion skyscraper

৫১ টা সুন্দরী মেয়ের শরীরের- সেদ্ধ করা মাংস দিয়ে পুতুলটা বানিয়েছি।
ওহ পুতুল না-একটা প্রাণহীন রমণী বানিয়েছি।
এর সাথে শারিরীক সম্পর্ক হবে পুরুষের কাছে অমৃতের মতো।
কোনো মানুষ এত কোমল মসৃণ রমনী হাত দিয়ে ধরেনি।
আজ এই মৃত পরীর সাথে আমি শারীরিক সম্পর্ক করবো।।
২ বছরের চেষ্টায় অবশেষে আমি এর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে যাচ্ছি।

ঠোটে গালে চুমু।
তারপর স্পর্শকাতর মুহুর্ত।
হঠাৎ ভয় লাগতে শুরু করলো,আমার শরীরে চাহিদার আনন্দের চেয়ে আত*ঙ্ক বেশি অনুভুত হতে লাগলো।
এটা তো আমার তৈরি পুতুল মাত্র-
তাহলে -অন সেক্সে- পুতুলের থেকে মেয়েদের মতো অরগাজম কিভাবে বের হচ্ছে?
ওর তো প্রাণ নেই, এই রিয়েল অরগাজম কিভাবে সম্ভব।
আমার পুরো হাত ভিজে যাচ্ছে।
এতটা তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ অরগাজম থেকে কিভাবে আসছে।
অসম্ভব!
আমি পুতুলের ওপর থেকে উঠে পড়লাম………….।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমেরিকার টয় প্রোডাকশন কোম্পানির কেমিস্ট আমি।
বিবাহিত জীবন যেখানে ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট খাবারের মতো নোংরা হয়ে যাচ্ছে।।
সেখানে দৈহিক পার্টনার হিসেবে হিউম্যান টয় বা সে*ক্স টয় দ্রুতই সাড়া পাচ্ছে।
ঝগড়াহীন সংসারে অমলিন সম্পর্ক।
অপর পাশ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।
টয় গুলোর চাহিদা তাই হয়তো বাড়ছে।
সিলিকন আর রাসায়নিক কেমিক্যাল দিয়ে অনেক টয় বানিয়েছি।।
ভালো সাড়াও পেয়েছি।
মানুষের মতো স্কিন তৈরিতে আমার থেকে ভালো কেমিস্ট দ্বিতীয় কেউ নেই।
একদম হবুহু মানুষের মতোই অনুভুতিদায়ক পুতুল গুলো।
একদম মেয়েদের মতো-

হট বডি ফিটনেস, ইলেক্ট্রিক অরগাজম সহ ভেজা ঠোট।
কিন্তু সিলিকনে কি আর মানুষের মতো নরম উষ্ণ শরীর পাওয়া যায়!
আচ্ছা কেমন হবে যদি মানুষের মাং*স দিয়ে পুতুলের বডি বানানো যায়?
তাহলেই তো আসল অনুভুতি পাওয়া যাবে।
কিন্তু মেয়ে পাবো কিভাবে?
যেমন তেমন মেয়ে হলে তো চলবে না।
বলা হয়- সুস্বাদু খাবার, আর বিলাসবহুল পরিবেশ শরীরে সুন্দর ঘ্রাণ এবং সুন্দর মাংস তৈরি করে।
এমন মেয়ের শরীরে*র মাংস দিয়ে যদি পুতুল বানানো যায় তাহলে সেই পুতুল হবে
পৃথিবীর সেরা সুন্দর মৃ*ত পরী।
এখন শুধু ১৮ থেকে ২২ বছরের মেয়েদের দরকার………….।
গাড়ি নিয়ে বের হলাম।

রাতে সাধারণত ক্লাব ছাড়া আর কোথাও আভিজাত্যের সুন্দরী মেয়ে দেখা যায় না।
কোনো মেয়ে ইম্প্রেস করতে আমার বেশিক্ষণ সময় লাগে না।
এখনো আমার ৩০ পার হয়নি।
গ্লাসে হুই*স্কি নিতে নিতে একটা মেয়ের সাথে পরিচয়-।
তারপর গাড়িতে করে সোজা রুমে।
এরপর আদর করে মেরে ফেললাম।
একদম কষ্ট দেয়া যাবে না।
আমার নরম কোমল মাংস লাগবে।
মেয়েটা ঘুমিয়েছে-
ব্রেইন অকেজো হবার ইনজেকশন দিলাম।
ঘুমেই মারা গেলো।
রক্ত ঠান্ডা হবার আগেই
মেয়েটা শরীর থেকে মাংস ছাড়িয়ে নিচ্ছি।

শরীরে আলাদা আলাদা অংশের মাংস গুলো আলাদা আলাদা সংরক্ষণ করতে হবে এবং আলাদা প্রক্রিয়াকরন।
কোমড়ের মাংস কোনো ভাবেই পিঠের মাংসের সাথে মিশ্রণ হওয়া যাবে না।
প্রত্যেকটা অংশের আলাদা নমনীয়তা আছে।
মিশ্রণ হয়ে গেলে মানসম্মত পুতুল হবে না।
পৃথিবীর যে কোনো সুন্দর রমনীর চেয়ে আমার বানানো পুতুল হবে সেরা সুন্দরী।
এরপর আরো ৪০ টা মেয়ের শরীরের মাংস সংগ্রহ করেছি। আরো লাগবে।
প্রত্যেকটা মেয়ের শরীরের আলাদা ঘ্রাণ আলাদা রঙ থাকে…।
আজকে বিকেল অনেক সুন্দর -পার্কে বসে আছি।
হঠাৎ ভারতীয় সাজে একটা মেয়েকে দেখলাম বসে আছে।
আমেরিকান মেয়ে শাড়ি পড়ে পার্কে।
দেখেই-মেয়েটার কাছে গিয়েই জিজ্ঞেস করলাম,কপালের টিঁপ না থাকলে শাড়ির মান হানি হয়।
মেয়েটা এমন কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।

অদ্ভুত ভাবেই মেয়েটা বললো, “সুর্যতো ডুবে যাচ্ছে-টিপ পাবো কিভাবে?”
আমি হাসতে হাসতে মেয়েটার কাছে গিয়ে শাড়ির কুচি ঠিক করে দিতে দিতে বললাম-
“সুর্য ডুবে যাক-এমন সুন্দরীর শাড়ি গুছিয়ে দিতে পারলে আমি আরেকটা সুর্যের উদয় করবো।”
তারপর দুজনেই হেসে দিলাম।
পরিচয় হতে হতে সন্ধ্যার অস্পষ্ট অন্ধকার চলে এলো।
বাসায় পৌছে দিবো বলে মেয়েটাকে গাড়িতে নিয়ে নিলাম।
মেয়েটা গাড়িতে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লো।
গাড়িতে আগে থেকেই গ্যাস ফিক্সড ছিলো।
এরপর মেয়েটার আর বাসায় ফেরা হলো না।
নাহ-কোথাও ফেরা হলো না।
ঘুম থেকেই আর জাগলো না।

এত সুন্দর মেয়েটা আমার পুতুলের অংশ হবে….।
মেয়েটাকে আমার ল্যাবে নিয়ে আসলাম।
মেয়েটার পেটের অংশে ছু*ড়ি ঢুকাচ্ছি।
ওর পেটের অংশটাই বেশি আকর্ষণীয়।।
প্রচুর ফিটনেস কেয়ার নিতো মনে হয়।
নয়তো এত চকচকে কারোর বডি থাকে!
ভাঁজে ভাঁজে পেটের স্কিন কে*টে নিলাম।
বুকের অংশটুকুও কা*টলাম।
আমার এখনই লোভ আর সইছে না,কি সুন্দর!
কা*টা মাংস থেকে গরম ভাপ বের হচ্ছে।
র*ক্তে ভেজা মাংসে কয়েকটা চুমু দিলাম।
মাংসের ঘ্রাণ পাগল করার মতো।

এই ঘ্রাণ, এই কোমলতা কোনো ভাবেই যেন নষ্ট না হয় না,তাই রাসায়নিক কেমিক্যালের মধ্যে রেখে দিলাম।
৮২ পিস স্ত*ন,৪১ টা যৌ*না*ঙ্গ চোখ,মুখ-
প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মাংসের রঙ।।
সব মিলিয়ে হবে একটা নিশ্চিত সুন্দর রমণী।
ভাবতেই আমার শরীর শিউরে উঠছে।

হঠাৎ চিৎকার শুরু হলো-
হ্যাঁ,সেই একই চিৎকার।
৫১ টা মেয়ের গলা- থেকে একসাথে একই সুরে চিৎকার করা কান্না।
মৃ*ত্যুর সময় মেয়েগুলো সামান্যতম আর্তনা*দ করতে পারেনি, তাদের জমিয়ে রাখা সেই গলা ছিড়ে যাওয়া চিৎকার গুলো যদি রেকর্ড করা হয়- এই রেকর্ড যদি কোনো কান শ্রবণ করে -সেখানেই হয়তো চোখ উল্টিয়ে ছটফট করে মা*রা যাবে।

একই কান্নার সুর ৫১ টা গলা থেকে একসাথে বেজে উঠছে,ভয়ংকর মিউজিকের মতো।
আর সেই বদ্ধ রুমে আমি একা।
কান ফেটে রক্ত বেয়ে-বেয়ে পড়ছে আমার।।
চারপাশে আলোর উঁকিঝুঁকি থাকলেও –
চিৎকারের কম্পন ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আর এই ৫১ টা গলার চিৎকার আমাকে প্রতি মুহূর্তে সহ্য করে এখানেই থেকে যেতে হচ্ছে।
নিজের এই কর্মের ফল শেষ কোথায় হবে জানি না…..।

কারোর চোখ সুন্দর,কারোর ঠোট সুন্দর,
আবার কারোর চুল সুন্দর।
সুন্দরের এই উদ্ভাসে- কেউই সব সুন্দরের একক রাণী হতে পারে না……….।
বাইশ নাম্বার মেয়েটার চোখ এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর,ওর নাম দিয়েছিলাম, “ডিয়ারেস্ট”।
ওর সাথে প্রথম দেখাতেই আমার হ্যালুসিনেশন হয়েছিলো ।
মেয়েটার চোখের সাদা অংশ –
দুধের মতো সাদা ছিলো,
আর চোখের মণি ছিলো ধুসর ঝাপসা নীল রঙের।
ওর চোখ এতই স্বচ্ছ-চোখের ভেতরের নর্ম গুলোও দেখা যাচ্ছিলো।
চোখের পাপড়ি গুলো হালকা বাদামি রঙের,তার ওপর কালো রঙের আই লাইনার লাগিয়েছে।
কেমন হবে দেখতে কল্পনা করা যায়?
হ্যাঁ,এমন চোখই ছিলো মেয়েটার।

অদ্ভুত রঙের এই চোখ দেখলে- এই চোখেই গলে যাবে সব পুরুষ।
ভয়ংকর এই সুন্দর চোখ ছেড়ে -সেখান থেকে একা ফিরে আসতে পারিনি।
অনেক যত্নে ওর চোখ গুলো তুলেছিলাম,একটুও ব্যাথা দেইনি। ও তো ঘুমিয়েছিলো।
আমি শুধু আমার দুই আঙুল দিয়ে ওর চোখে-
ছু*ড়ির এক কোণা ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে তুলে নিয়েছিলাম।
যদিও ওর গাল কে*টে ফেলেছিলাম,চোখ তুলতে গিয়ে। মায়া লেগেছিলো,ওর গাল কে*টে ফেলেছি বলে।
পুতুল বানাতে প্রথমে চোখের আকৃতি প্রয়োজন,আজই শুরু করছি, তাই আমার বানানো পুতুলেও প্রথম চোখ দিয়েই শুরু করতে হবে।।

পুতুলটার নাম রেখেছি- “Fila ” এটা ফারসি শব্দ,অর্থ প্রেমিকা অথবা পুতুল।
টয় বক্স ফ্রেম- এটা দিয়েই পুতুলের বডি ফ্রেম করা হয়। আর শেষে -আকৃতি আর্টিস্ট নিজের মতো বানায়। তবে চোখ বসানোর জন্যে মাথার খুলি দরকার ছিলো। হ্যাঁ সেটাও ব্যবস্থা করা আছে।
বলা হয়ে থাকে-
সেই রমনীর সৌন্দর্য ততবেশি সময় ধরে চেহারায় থাকে,যার কপালের ভাঁজ সবচেয়ে আকর্ষণীয়।-
মানে করোটি বা খুলির সুন্দর শেইপ-

কানের,চুলের ভাঁজের,আর চোখের ব্রো এর মানানসই ভারসাম্য তৈরি করে।
ভাগ্যিস খুঁজে খুঁজে এমন মেয়েও আমি পেয়েছিলাম,
সেদিন পরিচিত একজনের মেয়ের বিয়েতে গিয়েছি।
ড্রিং*ক্স হাতে নিয়ে বিয়ের কনের সাথে কথা বলছিলাম।।
কি অদ্ভুত মায়া চেহারায়।
মেয়েটার কানের ওপরের অংশ খুব বেশি চাপা নয়, নাক আর কানের দুরুত্বের পুরু মানানসই ।
ঠোঁটের নিচের অংশটাও মানে চি’ন বেশি লম্বা সুচালো নয় আবার ছোটও গোলাকৃতিও না।
“Jaw line” মানে গালের শেইপ বেশি বড় নয়। কপাল একদম সমতল আয়তকার ভুমির মতো।
মেয়েটাকে দেখেই আমি হেসে ফেললাম।।
ইচ্ছে থাকলেই মানুষ যেন সব কিছুই যোগাড় করতে পারে।
বেশ কিছুক্ষণ মেয়েটার সাথে কথা বলার পর বুঝতে পারলাম,মেয়েটা বিয়ে বাড়ি থেকে পালাবে।
সম্ভবত ওর প্রেমিক অপেক্ষা করছে।

তালে -তাল মিলালাম আর সুরে -সুর।
অভয় দিয়ে বললাম,”আমি তোমাকে সাহায্য করবো।”
বিয়ের এখনো প্রায় অনেক সময় বাকি,প্রস্তুতি চলেছে।
আমি গাড়ি নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করলাম,মেয়েটা দৌড়ে আসতেই মনে হচ্ছিলো,আমি যেন আমার তৈরি করা ফিলা’র দৌড় দেখছি।
মন ছুয়ে গেছে।
মেয়েটা দৌড়ে আমার গাড়িয়ে ঢুকে পড়লো,-
“গাড়িয়ে চালিয়ে সোজা ওয়াশিংটন যাও,ওখানে আমার……।”
শেষ! মেয়েটা বাকি কথা বলার আগেই অজ্ঞান হয়ে গেলো। গাড়িতে গ্যাস স্প্রে করা ছিলো।
এরপর গাড়ির গ্লাস খুলে দিলাম,আমি,মাস্ক খুলে
অজানা অনুভূতির শ্বাস টেনে-টেনে ফুসফুসে ঢুকালাম।
গাড়ি চালিয়ে সোজা ল্যাবে।
মেয়েটা না প্রেমিকের কাছে গেলো, না বিয়ে হলো।
থাকুক,আমার কাছেই থাকুক।

আমি তো আর মেয়েটাকে কম যত্নে রাখবো না!
ওর জায়গা থাকবে,সবার উচুতে।
আমার ফিলার জন্যে এটাই পারফেক্ট খুলি।
“ওইতো গ্লাসের বক্সে খুলিটা রাখা আছে,কেমিক্যালে চুবিয়ে রাখা খুলিটা দেখতে একদম নুসনুসে।
যেন তরতাজা খুলিটা মাত্র কারোর শরীর থেকে খ*সিয়ে আনলাম।
টয় বক্সে খুলিটা রাখলাম,তারপর সেই উন্মাদ হয়ে যাওয়া চোখ গুলো বসিয়ে দিলাম।
মাংসহীন তরতাজা খুলির মধ্যে তাজা চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে-যেন কতো রাগ, কতো আপত্তি আমার ওপর কিন্তু এই চোখে রাগ নয়-ভালোবাসা দেখতে চাই।
ওর চোখে তাকাতেই আমি গভীরে যাচ্ছি,গভীরে যাচ্ছি।।

“না না-কল্পনার গভীরে না,চোখের গভীরে।”
ধুসর রঙের মারবেল যেন বসিয়ে রেখেছি।
চোখের পাপড়ি গুলো লাগাতে লাগলাম,চোখের ভেতরের অংশ প্রয়োজনীয় কোষ দিয়ে ভরাট করছি।
এরপর পুরো খুলিতে কোষ বা মাংসের প্রলেপ লাগাচ্ছি,প্রথমে খুলির পেছন দিকে থেকে লাগাতে হবে।
কোষ গুলো টিপে টিপে যত্নে লাগাচ্ছি। কপাল থেকে চোখ পর্যন্ত আসলাম,হঠাৎ খেয়াল হলো –
একি এটা কিভাবে সম্ভব-চোখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে কিভাবে-
অসম্ভব গতিতে রক্ত বের হচ্ছে-
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।

flesh part 3+4

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here