flesh part 13+14

flesh part 13+14
Papilion skyscraper

একজন লোক, তার স্ত্রীকে ন*গ্ন করে বেডের সাথে দু’পা বেধে,সোজা করে শুইয়ে
লোকটা তার প্যান্টের বেল্ট খুলে – মহিলার যো’নির ওপর বেল্ট দিয়ে প্রচন্ডভাবে পেটা*চ্ছিলো।
বেল্টের একেকটা আঘাতে যো’নি যেন কাঁপছিলো।
র*ক্তে বিছানা লাল হয়ে গিয়েছে,
নরম কোমল জায়গায় এত শক্ত চামড়ার বেল্টের আঘাত- সেই অংশের মাংস বেল্টের সাথে লেগে লেগে উঠে যাচ্ছিলো।

বেল্টের মারের শব্দে -রুমের এক কোণায় দাঁড়িয়ে মহিলার ছেলে ভয়ে কেঁপে উঠছিলো।
মারতে মারতে লোকটি বলছিলো- “বুড়ি হয়ে গেছিস,তবু তোর তেজ কমে না।”
রুমের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিই –
আমি উইলহেম ছিলাম,আর লোকটি আমার বাবা ছিলো।
সেই রাতেই আমার মা আত্ম*হত্যা করেছিলো।
আমার বাবা কেমিস্ট ছিলেন,পুতুল বানাতেন।
বাবার থেকেই আমার এই কেমিস্ট্রি বিশ্লেষণ শেখা।
বাবা পরবর্তীতে কিছু বছর পর আবার বিয়ে করে, বাবার নতুন স্ত্রী অন্যরকম ছিলো।
দেখতেও সুন্দর ছিলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমার বয়স তখন সতেরো হবে।
বাবার স্ত্রী প্রায় আমার সামনে লোভনীয় ভাবে বসে থাকতো,একবার নগ্ন অবস্থায় সামনে এসেছিলেন।
আমি এড়িয়ে যাই,মহিলার একটা মেয়েও আছে আমার বয়সী।
বাবার সাথে রাতে ঘুমাতো মেয়েটা।
দরজার খোলা রেখেই,আবার কখনো সোফায় অবাধ মেলামেশা হচ্ছিলো।
সেদিন রাতে বাবাকে আর মেয়েটাকে একসাথে দেখে,আমি আর সহ্য করতে পারিনি, বাবার গলায় ছু*ড়ি ঢুকিয়ে দিলাম।

মেয়েটা ভয় পেয়ে যায়,মেয়েটাকে শুইয়ে,ঠিক সেই একই ভাবে বেল্ট দিয়ে যো’নি ওপর পিটি*য়েছি।
তারপর যো’নিতে ছু*ড়ি ঢুকিয়ে মোচড়াতে থাকি।
দুজনেই মা*রা যায়।
বাসায় কেউ নেই,কি করবো লা’শ,
বুঝতে পারছিলাম না।
বাহিরে কুকু*র ঘে*উ ঘে*উ করছে,এত বড় দেহ কিভাবে লুকাবো,বুঝছিলাম না।
তারপর কি যেন ভাবলাম,লা*শ গুলোকে কুঁ*পিয়ে টুক*রো টু*করো করলাম,কু*কুরকে দিলে -কু*কুর কাঁ*চা মাং*স খা*চ্ছে না।

ঠিক কিভাবে লাশ গুলো গায়েব করবো, বুঝছিলাম না।
হঠাৎ বুদ্ধি এলো, মৃ’ত দেহ দুটোকে পিস পিস করে কেটে নিলাম, তারপর প্রচুর স্বাদ করে ভেঁজে নিয়েছি।
আর হাঁড় গুলো থেত*লে -মিশ করে,বাসার পেছনে বালুর সাথে মিশিয়ে দিয়েছি।
মাংস গুলো ফ্রাই করার পর দারুণ ঘ্রাণ আসছিলো,কু**কুর গুলো আবার ডাকছিলো,মাংস গুলোর কয়েক পিস কু**কুরকে দিতেই খেয়ে নিলো।
তারপর আরো দিলাম,কু*কু*রকে যত দিচ্ছি ততই খাচ্ছে, -নিজের অজান্তেই এক পিস ভাজা মাংস মুখে নিলাম।
দাঁতের মাঝখানে রেখে চাপ দিতেই,মশলা মাখানো স্বাদ পুরো জিহ্বে লেগে গেলো,আমার চোখে যেন নেশা লেগে গেলো,পরে আরো এক টুকরো মুখে ভরলাম।
দ্রুত চাবাতে লাগলাম। কি যেন মনে করে,কু*কুরকে আর একটা মাংসের টুকরোও দিলাম না।
টেবিলে বসে বসে মজা করে খাচ্ছিলাম।
এরপর একদিন বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও শে*ষ করে দিলাম। এতদিনেও আমি সেই বেল্টের শব্দ ভুলতে পারিনি।
আমি ছোট বেলা থেকেই-

ভ্রম,মায়া,প্রলুব্ধ করতে পারতাম-
যেমন একবার এক মধ্যবয়সী মহিলাকে-
ব্যাংক হতে বের হতে দেখে –
তার সামনে গিয়ে দাড়াতেই –
মহিলা আমাকে তার সব টাকা তুলে দিয়ে চলে যেতে লাগলো।
যদিও কাজ টা এমনি এমনি হয়নি, প্রচন্ড রোদে হলুদ রঙের পোশাক চোখে ইলিউশান ধরায়।
আমি এসে মহিলার সামনে রোদে দাঁড়ালাম,
মহিলার চোখের মণি বরাবর তাকালাম,
মহিলা তার চোখের মণি যেদিকে ঘুরাচ্ছিলো,
আমিও সেদিকেই আমার নজর ঘুরাচ্ছিলাম।
এর পর মহিলা আমার দিকে তার নজর স্থির করে ফেললো,
বিষয়টা এমন হয় যে, আপনি মোবাইলে পোর্ট্রেইট মোডে ছবি তুললে-
আপনাকে ফোকাস রেখে যেমন পেছনের ব্যাক গ্রাউন্ড ঘোলা/ব্লার হয়ে যায়,ঠিক এভাবেই চোখের ইলিউশান করা হয়।

মানে আপনার সামনের ব্যক্তির -চোখের সামনে -আপনাকে ফোকাস করাতে হবে এবং বাকি সব ব্লার।
আর তারপর সে আপনার দিকে ফোকাস করতে গিয়ে সে তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
রেস্টুরেন্টে খেয়ে বিল না দিয়ে কতো বিল নিয়ে এসেছি তার হিসেবে নেই।
একবার ইউনিভার্সিটি লাইফে এক মেয়েকে পছন্দ হয়েছিলো, কিন্তু মেয়েটা উদ্ভুত ভাবে আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো, আমার রাগের কিনারা করার ক্ষমতাও ওই মেয়ের নেই।।
পরের দিন মেয়েটা ক্লাসে আসে,পুরো ক্লাস ফাঁকা –
আমি সামনের সিটে বসে আছি, ওই মেয়েটা ক্লাসে ঢুকেছে-
অসম্ভব সুন্দর ছিলো মেয়েটা –

ওর কোঁকড়া চুল গুলোর জন্যে।
কোঁকড়া চুল, গাঢ় খয়রি রঙের লিপস্টিকের ঠোঁট আর ফর্সা চামড়ার নগ্ন শরীর কেমন হয় দেখবেন?
মেয়েটার নাম ছিলো অপ্সরা, হয়ত ভারতীয় হবে।
আমি ক্লাস রুমে বসে ছিলাম,মেয়েটাকে ক্লাস রুমে আমার দিকে তাকাতে বললাম,
মেয়েটা আমার দিকে তাকাতেই স্থির হয়ে গিয়েছে,
– “অপ্সরা, এই রুমে কেউ নেই, তোমার উচিৎ পোশাক খুলে ফেলা”
অপ্সরা দৃঢ় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে নিজের পোশাক খুলে ফেলছে,অপ্সরা লম্বা ঢিলা রাজকীয় পোশাক পড়েছিলো,ভেতরের ছোট পোশাক খুলতেই অপ্সরাকে বললাম, –
“এখানে অনেক মানুষ সবাইকে তোমাকে দেখছে,”

এটি বলতেই অপ্সরা যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলো।
অপ্সরা মাঠে দাঁড়িয়ে আছে চারদিকে মানুষ,সবাই তাকিয়ে আছে, আমি হাসতে হাসতে চলে এলাম।
হিপনোটিজম মানেই আপনি যেখানে আছেন ভাবছেন আসলে সেটা মিথ্যে।
হিপনোটিজম পৃথিবীর অন্য আরেকটা দুনিয়া,এটা আপনার ব্রেইনকে ঘুম পাড়িয়ে শরীরকে সচল রাখে,
এটি মূলত “স্লিপিং ওয়াক” প্রাকৃতিক অভ্যাস থেকেই অনুপ্রাণিত।।
অপ্সরাকে হিপনোটাইজ করতে –

অপ্সরা ইউনিভার্সিটিতে আসার আগেই
রাস্তায় কারোর মাধ্যমে সাব-কনশাস মাইন্ডে তাকে শুনিয়েছিলাম –
আজকে ক্লাস সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকবে।
হিপনোটাইজ বা ইলিউশান সাব-কনশাস মাইন্ডের ওপর নির্ভর করে।
অপ্সরা কে এমন কিছু বলতে হবে যে বিষয়টাতে এখন কনফিউশান আছে।
ক্যাম্পাসে আসতেই -হঠাৎ করে অপ্সরার কানের কাছে গিয়ে বললাম, এখন ক্লাস পুরো ফাঁকা,
অপ্সরা আমার দিকে তাকাতেই “অপটিকাল ইলিউশান ” এর দ্বারা অপ্সরার মনোযোগ আমার দিকে নিয়ে ‘অডিটোরি ইলিউশান’ করা শুরু করলাম।
অডিটোরি ইলিউশান এর মাধ্যমে মানুষকে নিজের কথা শোনানো যায়,এবং সে যেটা শুনবে সেটা সত্যি নয়, এমন মোহে আটকানো যায়।

আর তারপর অপ্সরাকে আমার বশে নিয়ে নগ্ন হতে বাধ্য করলাম,
একটু পরেই অপ্সরা হিপনোটিজম থেকে ফিরে এসে নিজেকে সবার সামনে এমন নগ্নতায় দেখে রুমে ঢুকে আত্মহ*ত্যা করে, আমি উল্লাসের হাসি হাসতে হাসতে চলে এলাম।
সেদিন রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি, আমি বৃষ্টির মধ্যে স্টেশনে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিলাম,
শুনেছি এই স্টশনে ভুতের উপদ্রব আছে,অনেকেই নাকি এখানে মারা গিয়েছে।।
সাড়ে বার’টা বাজে।

হঠাৎ মনে হলো, কোথাও যেন ঘন্টা পেটানোর শব্দ হচ্ছে,
একজন লোক আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছে আর বলছে,”ওইতো শুরু হয়ে গেছে,ওরা আসতে চলেছে।”
আমি নড়ে চড়ে বসলাম, ওরা আসছে মানে!
কেমন যেন ভৌতিক কিছু ঘটবে এমন কিছু প্রত্যক্ষ করার চিন্তাই আমার মস্তিষ্ক করছিলো,
হ্যাঁ,তাই হলো।

আমি হঠাৎ তাকিয়ে দেখি একজন বৃদ্ধ লোক রেল লাইনের ওপর বসে আছে,
আর দূর থেকে ট্রেন আসছে,ট্রেনের হেড লাইট চোখে পড়ছে,ঘন্টা বাজছে,বৃষ্টির সাথে মেঘের গর্জন কানে আসছে,
বজ্রপাতের চমকানো,সাথে ঘন্টা বাজার শব্দ সব একসাথে।
আমার ব্রেইন সব কিছু একসাথে নিতে পারছিলো না,বৃদ্ধ লোকটি কেন যেন চিৎকার দিয়ে উঠলো,
পাশ থেকে একজন লোক আমার মনোযোগ নেয়ার জন্যে চিৎকার করে বলছে,
“কেউ এই বৃদ্ধকে বাচাও,”
এত কিছু একসাথে,

আমি চোখ,মনোযোগ, শ্রবণ ঠিক রাখতে পারছিলাম না।
লোকটা জোড়ে চেঁচিয়ে বলছিলো, “এইযে ট্রেন চলে আসলো,ট্রেন চলে আসলো,কেউ বৃদ্ধ কে বাচাও।”
আমি একবার ট্রেনের দিকে তাকাই একবার আমার পাশে দাড়ানোর লোকটার দিকে তাকাই, একবার বৃদ্ধর দিকে তাকাই।
ধুম করে,ট্রেন এসে বৃদ্ধর ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমি বোকার মতো তাকিয়ে আছে,লোকটা চিৎকার করে বলছে, “ট্রেনটা বৃদ্ধর ওপর দিয়ে চলে গেলো,কেউ বাচালো না।”
লোকটার কথা শুনে বৃদ্ধর দিকে তাকাতে আমি অবাক, একি বৃদ্ধ লোকটি টেনে চাপা পড়লো,কিন্তু এখানে তো বৃদ্ধর লাশ নেই।

বৃদ্ধর লাশ উধাও,বৃদ্ধর থেকে চোখ সরিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখি,পাশের লোকটিও উধাও।
কি হলো এটা,সত্যি কি তাহলে ভৌতিক কিছু আছে এখানে,ভাবতে ভাবতে আমার মন ভার হয়ে যাচ্ছিলো।
ব্যাপার টা ভয়ংকর হলেও আমি এর রহস্য দেখার আগ্রহী ছিলাম।
সেদিন আর গন্তব্যে যাওয়া হয়নি।
পরদিন দুপুরে স্টেশনে আবার আসি,স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলে সে বললো,
“রাত বারটার পর এই স্টেশনে কোনো ট্রেন ই আসে না।”
শুনে অবাক লাগলো,তাহলে কাল যে এত রাতে ট্রেন আসলো, সেটা?

হঠাৎ আরো একটা চিন্তা আমার মাথায় আসলো, আমার পাশে দাঁড়িয়ে যে লোকটা চেঁচিয়ে রেইল লাইনে পড়ে থাকা বৃদ্ধকে বাঁচাতে বলছিলো,কিন্তু সে নিজে বৃদ্ধকে বাঁচাতে না গিয়ে আমাকে বাচাতে যেতে কেন বলছিলো?
সব বুঝতে পেরেছিলাম -যখন জানতে পারলাম এখানে এমন ভৌতিক ঘটনা শুধু বৃষ্টির রাতেই হয়ে থাকে।
এবার এটা আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে-কয়েকদিন অপেক্ষা করছিলাম,হঠাৎ আরেকদিন রাতে বৃষ্টি শুরু হলো-
আমি স্টেশনে চলে এলাম।।
বার’টা বাজার ঠিক একটু পরেই, হঠাৎ ঘন্টা বাজতে শুরু করলো,একজন বৃদ্ধা লোক হেটে এসে রেল লাইনের ওপর পড়ে গেলো।

সাধারণত ঘন্টা বাজা মানেই ট্রেন আসা।
দূরে রেল লাইনের পাশে একটা বাল্ব জ্বলছে,
দেখলে মনে হবে,যেন দূর থেকে ট্রেনের হেড লাইট জ্বলছে,আর ট্রেনটি স্টেশনের দিকে আসছে।
সেদিনের মতো সব কিছু ঘটতে থাকলো, আমি কোনো কিছুইতে মনোযোগ দিচ্ছি না,হঠাৎ আমার পাশে দাঁড়িয়ে লোকটি চিৎকার করতে লাগলো,আমি তার কথারও অনুসরন করছি না,শুধু লোকটার দিকে তাকিয়ে আছি।
তারপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার গায়ে এক বোতল কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলাম।
“কেউ বৃদ্ধকে বাচাও ” বলা বন্ধ করে,দেখলাম,লোকটা আমাকে বলতে লাগলো,”আমাকে বাঁচান”
আমি হাসছিলাম,

লোকটা ভালো ইলিউশনিস্ট,
আসলে ট্রেইন বলে কোনো কিছুই আসে না।
আর ট্রেনে কোনো বৃদ্ধও কাটা পড়ে না।
মানুষের একসাথে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেন্স কাজ করতে পারে মানে মানুষের ফিফথ সেন্স সরাসরি এক্টিভ থাকে।
কিন্তু অনেক গুলো কাজ একসাথে ঘটলে,
মানুষ দুই/তিন টা কাজ সজ্ঞানে করে,
বাকি কাজ সাব-কনশাস মাইন্ডে করে।

আর সাব-কনশাস মাইন্ড চোখ এবং কানের নির্দেশনায় সব কিছু ভাবতে থাকে।
লোকটি তারই সুযোগ নিয়ে, বৃদ্ধর থেকে, ট্রেনের থেকে আমার মনোযোগ উঠিয়ে নিয়েছিলো,
আর তাই লোকটি- বৃদ্ধ এবং ট্রেনের ব্যাপারে যা বলছিলো,আমি সেটাই দেখছিলাম।
এই লোকটি মানুষকে এমন ইলিউশানে ফেলতে আনন্দ পায়,তাই হয়তো প্রতি বৃষ্টির রাতে এমন করে।
লোকটির গায়ে আগুন জ্বলছিলো,তার ওপরেই আমি কতো গুলো চড় থাপ্পড় মেরে
লোকটিকে রেল লাইনে ফেলে দিয়ে আসলাম,কতো বড়ো সাহস আমাকে ইলিউশানে ফেলতে আসে।
এরপর থেকে আমি আরো ইলিউশান,হিপনোটিজমে মনোযোগ দেই।
সাইকোলজি নিয়ে আমি ধীরে ধীরে সুনাম অর্জন করতে থাকি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকবার আমাকে রেস্ট্রিকশন দেয়ার প্রস্তুতি হয়েছিলো,কিন্তু আমাকে রেস্ট্রিকশন লেটার দেয়ার আগে আমাকে ডাকা হলে,

পরে সেই রেস্ট্রিকশন লেটার আমার নামে প্রশংসা পত্র হয়ে যেত।
আমি গোপনে যত ভয়ংকর, প্রকাশে তত উদ্ভাসিত বাতাসের মতো প্রফুল্ল মানসিকতার।
ভ্রমের এই চাতুরায় আমি শেখরে পৌছালেও –
প্রতিরাতে এক স্বপ্ন আমার চারপাশকে উচ্ছিষ্ট বানিয়ে দিয়েছে।
আমি এখনো আমার মায়ের সেই নগ্নতা ভুলতে পারিনি,
পৈ*শাচিক তৃষ্ণা আমাকে বার বার সজাগ করে দেয়।
ঘুম আসছিলো না বলে,রাতে বাবার ল্যাবে চলে আসলাম,কেমিক্যাল নিয়ে আমার ভালো চর্চা ছিলো,বাবাকে মা*রার পর আমি নিজেই স্বাভাবিক মানের পুতুল বানাতাম,বলা যায় আমার প্রফেশন ছিলো।
হঠাৎ অবচেতন থেকে ইচ্ছে হলো-একটা স্বাভাবিক প্রকৃত মেয়ের পুতুল বানাতে- মেটেরিয়াল গুলো নিলাম,এরপর ল্যাবে ঢুকে –

যত্নে পুতুল বানাচ্ছিলাম,
বানাতে -বানাতে এক পর্যায়ে দেখলাম,
বাহ!একদম মানুষের মতো লাগছে।
মেয়েটার যো*নি ভালো ভাবে বানাতে পারছিলাম না।ঠিক লোভনীয় হচ্ছিলো না।
মাথায় আরো একটা বুদ্ধি আসলো-
কেমন হবে যদি মানুষের আসল /প্রকৃত যো*নি দিয়েই যদি পুতুল বানানো যায়-

রোদের তাপে কবরের লা*শ গুলোর শরীর থেকে তেল উপচে উঠে-
গরম কড়াইয়ে বুট-বুট করা তেলের মতো-
লা*শের পঁচা মাং*সের ওপর তেলগুলো উতলাচ্ছে।
মরুভূমির কবরস্থানে কয়েক হাজার কবর,প্রতিদিনই বিশ থেকে পঁঞ্চাশ জনের কবর হয়।
দশ থেকে বার দিনের পুরোনো পঁচে যাওয়া লাশের কবর থেকে মাথা বের করে –
ড. ফরাসী বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছিলো-
“নাহ,কবরের ভেতরের ঘ্রাণ টাই সুন্দর ছিলো”
তিনি আবার মাথা ঢুকিয়ে নিলো।
কবরে লা*শটার শরীর ফেটে –
তেল চাকা চাকা হয়ে বের হয়ে গিয়েছিলো,
তেল গুলো ফরাসী তার ব্যাগে রাখলেন,পঁচা নাঁড়ি ভুঁড়ির গলে যাওয়া র*স,পোকা গুলো একটা শিশি বোতলে নিয়ে নিলো।

এরপর ড. ফরাসী বাসায় চলে এলেন,
রুমে পঁচা গলে যাওয়া থেতলানো মাংস গুলো-
হাতে নিয়ে চিপে রস বের করতে লাগলে,
সেই গন্ধ নাকে আসতেই যেন ফরাসী ঘোরে চলে যাচ্ছেন।
মৃ*ত লা*শ থেকে শুরু গাছের রসের সব তার কাছে আছে।
সাধারণত পারফিউম মানেই সুঘ্রাণ, সুঘ্রাণ শুধু মানুষের মন খুশি করবে।
কিন্তু ফারাসি এর সেন্ট মানুষদের বিভ্রম করতো।
তার বানানো সেন্ট নাকে আসলেই আপনি নিজে থেকে সে*ক্স করার জন্যে প্রস্তুত হয়ে যাবেন।
একবার নাইট ক্লাবের পার্টিতে ফরাসী রুমালে সেন্ট ছিটিয়ে বাতাসে ওড়াতে লাগলো-ঘ্রাণ মানুষের নাকে যেতে মানুষ অদ্ভুত ভাবে ভ্রমে পড়তে লাগলো, মানে শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলে পার্টি উপভোগ করার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। এমন না তারা অজ্ঞান হয়ে যেত।

ড. ফরাসী একমাত্র ব্যক্তি যিনি ঘ্রাণের মাধ্যমে হরমোনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে।
ফরাসীর কাছে ঘ্রাণ মানে দুর্গন্ধ -সুঘ্রাণ আলাদা কোনো কিছুই না।
একবার ফরাসী নিজের বউকে নিজের বাসায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে অস্বাভাবিক মেলামেশায় দেখে ফেলে।
ফারাসি দাঁড়িয়ে আছে-
ফরাসীর স্ত্রী ন*গ্ন শরীরে দাঁড়িয়ে আছে,
একজন রমণীকে এভাবে উত্তেজনা মূলক ভাবে দেখলে –
চোখের ইলিউশান যে কারোর ঘটবে-
কিন্তু নিজের রমণীর স্ত*নের ওপর যদি-
এমন অচেনা লোকের থাবা পড়ে,

রমণীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের উলঙ্গ শরীরের এক কেন্দ্রে অদ্ভুত এক উত্তেজনা দৌড়া দৌড়ি করছে।
এই সব কিছুই নিজের চোখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন ফরাসী।
এরপর মুখোমুখি দাঁড়ানো তিন জনেই চুপ -ফরাসীর স্ত্রীর চেহারায় আত্ম লজ্জায় অনুশোচনার ছাপ-
আর পাশের লোকটার চোখে অতৃপ্তির সাথে বিরক্তি মিশ্রণের ভয়ের ছাপ।
হঠাৎ- ফরাসীর স্ত্রী হাতে ছুড়ি নিলো,
অবাক করে দিয়ে সে নিজের যো*নিতে নিজেই ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলো,তারপর নিজের গ*লায় ছু*ড়ি চালিয়ে দিলো।

পাশে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তাও ছু*ড়িটা নিয়ে-
নিজের অ-স্থির লি*ঙ্গ টেনে ধরে গোড়া থেকে কেটে ফেললো,
আত্মহত্যা করার সময় ওদের দুজনের চোখে পানি ছিলো, যেন মনে হচ্ছিলো একটা অতিমাত্রায় অপমান বোধ থেকে বিষণ্ণ হয়ে গিয়েছিলো ওরা দুজনেই ।
ফরাসী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলো,এরপর ঠোঁটের কোণায় হাসি এঁকে- বের হয়ে যাচ্ছে।
এভাবেও খু*ন করা গেলে- কে আবার হাসবে না?
ফরাসীর বানানো রাসায়নিক ও জৈবিক মিশ্রণে তরল সেন্ট যা হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
মানুষের মধ্যে *সেরেটোনিন এবং *অক্সিটোসিন হরমোনের মধ্যে ভারসম্যের ব্যাঘাত ঘটলেই মানুষ বিষণ্ণ বা মন খারাপ থেকে আ*ত্মহ*ত্যা করে ফেলবে।

ফরাসী যখন স্ত্রী আর ব্যাংক কর্মকর্তার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলো ফরাসী তাদের চোখে মুখে লজ্জা,অনুশোচনা, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার ছাপ দেখছিলো,ফরাসী সেই সুযোগে নিজের বানানো রাসায়নিক তরল ঘ্রাণ রুমালে মিশিয়ে ওদের সামনে নাড়াতে লাগলো,শ্বাসের সাথে ঘ্রাণ নাকে যেতেই হরমোন ভারসাম্য হারিয়ে ওদের দুজনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।
ফরাসী এমন সেন্ট বানিয়েছে-যা মানুষের হরমোনকে প্রভাবিত করে।
একবার পুলিশ ফরাসীকে থানায় ধরে নিয়ে যায়
এই অভিযোগে যে-
তার বাসায় প্রচুর মৃত প্রাণী সহ মানুষের পঁচা মাংসের গন্ধে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
তাকে থানায় নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন রকম মামলা দিয়ে জেরা করতে থাকে।
হঠাৎ কি যেন হচ্ছে-

পুলিশ অফিসাররা নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা বোধ করছে।
অফিসে থাকা সাত জন পুলিশ অফিসার নিজেদের জামা -কাপড় খুলে ফেলেছে,
তারা নমনীয় পর্যায়ে নেই, শরীরের প্রত্যেক নর্ম ভেসে উঠেছে,যেন চামড়া ছিড়ে বের হয়ে যাবে।।
তাদের চোখ মুখ বেয়ে ঘাম বের হচ্ছে, অস্বাভাবিক ভাবে প্রত্যেকের পুরুষ লি*ঙ্গ উত্তেজিত হয়ে আছে,
পুরুষ লি*ঙ্গের অতিমাত্রার তাপ যেন হাতে লাগলেই আগুন লেগে যাবে।
লি*ঙ্গ অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যাওয়ায় শরীরের প্রেশারের সাথে খা*প না খাও*য়ায় লি*ঙ্গ কাঁপছিলো।
দুজন মহিলা অফিসার ছিলো,তারা বাইরে চলে গেলো,
পুলিশ অফিসাররা চিৎকার করতে লাগলো,আর সইতে পারছে না লি*ঙ্গে হাত না দিয়ে,
তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৫২ বছর হবে।

সেই বৃদ্ধ লোকটিও নিজের উত্তেজনা থামাতে পারছে না।।
এক পর্যায়ে তারা নিজের খসেখসে শুকনো হাত দিয়ে হস্ত*মৈ*থুন শুরু করলো,।
অতিরিক্ত হস্ত*মৈথু*নে একজনের লি*ঙ্গ ছিলে গিয়ে র*ক্ত বের হচ্ছিলো,তারা চাইছে না এমন করতে, তাও যেন করতে বাধ্য হচ্ছে, কেউ যেন বাধ্য করছে।
প্রত্যেকের লি*ঙ্গ স্বাভাবিক আকারের চেয়ে বড় হয়েছিলো।
তারপর তারা ফরাসীকে বললো,তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে,পুলিশ অফিসার সব অভিযোগ পেপারস ছিড়ে ফেলে দেয়,

তাকে থানা থেকে মুক্তি দিয়ে চলে যেতে বলে।
তারপর ফরাসী চলে আসে,কিছুক্ষণ পর অফিসারেরা আস্তে আস্তে শীতল হতে থাকে।
আসলে এইসবের পেছনের ফরাসীর হাত ছিলো,
ফরাসী তার বানানো সেন্ট বা রাসায়নিক তরল এর মাধ্যমে *টেস্টোস্টেরন হরমোনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ অফিসারদের এমন অবস্থা হয়েছে।
সেন্টের মাধ্যমে মানুষের হরমোন প্রভাবিত করার এমন দক্ষতা,
কেমন ধরণের ঘ্রাণে- শরীরের কোন অংশে প্রভাব ফেলবে,সেটাই ফরাসী আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন।
অদ্ভুত এই লোকটা, -একবার জঙ্গলে হরিণ শিকার করতে গিয়ে সিংহের ফাঁদে পড়া যায়, তাৎক্ষণিক সিংহের কি হয়েছিলো বুঝা যাচ্ছিলো না,সিংহ অন্ধের মতো এদিক সেদিক ছুটে চলছিলো,হরিণ তার ভয়ে না পালিয়ে চুপ করে এক জায়গায় এসে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।

লোকটার যাদু যেন পৃথিবীর সব কিছুর ওপরেই প্রভাব ফেলছে।
সেদিন সকালে এক রাজনৈতিক ব্যক্তি অগ্নিঝরা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ফরাসীর ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রচণ্ড রাগ হয় ফরাসীর।
তারপর বের হয়ে রাজনৈতিক লোকটার কাছে যেতে চাইলে, তাকে প্রশাসন বাধা দেয়।
রাগে, পকেট থেকে সেন্টের শিশি বের করে,রুমালে লাগিয়ে বাতাসে ওড়াতেই পুরো মাঠে হট্টগোল লেগে যায়,এত তীক্ষ্ণতা কিভাবে সম্ভব!
এটা ইলিউশান এর চেয়ে বেশি কিছু, একবারে এতজনের মস্তিষ্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ শুধু ঘ্রাণের মাধ্যমেই,ভাবতেই অবাক লাগছে।

পুরো মাঠের সব লোকের চোখের দৃষ্টি হঠাৎ করেই ঘোলা হয়ে গেলো,কেউ দেখতে পাচ্ছে না।
সবাই শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ফরাসী মঞ্চে উঠে রাজনৈতিক লোকটিকে ইচ্ছে মতো মেরে হাত ভে*ঙে গাড়িতে তুলে দিলো।
প্রায় পনের মিনিট এই প্রতিক্রিয়া ছিলো।
মাঠে উপস্থিত লোকদের *থাইরয়েড হরমোন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় তাদের দৃষ্টি ও শারীরিক শক্তি লোপ পেয়েছিলো।
ফরাসী ঠিক কি দিয়ে এমন হরমোন নিয়ন্ত্রক সেন্ট বানায়,কেউ জানে না।।
আশ্চার্য এই ক্ষমতাধর লোকটি পুরো পৃথিবীকে একসাথে তাল-ঘোল খাওয়াতে পারে প্রতি মুহূর্তে।
লোকটির পরিবার বলতে একজন মেয়ে ছিলো,
মেয়েটা ছোট বেলা থেকে মা-মরা মেয়ের মতো বড় হয়েছে,তার-ওপর ফরাসী নিজের থেকে মেয়েটাকে অনেক দূরে রাখতো,পড়াশোনার বাহানায় মেয়েকে
দূরে স্কুল -কলেজে পড়াশোনা করাচ্ছিলো।
বাবা হিসেবে শুধু নিজের মনে –

মেয়ের জন্যে ভালোবাসা জমিয়ে রাখা ছাড়া আর কোনো দায়িত্বই পালন করতে পারেনি মধ্যবয়সী ড. ফরাসী।
ড. ফরাসীর মেয়ে ছিলো -সেই সেরা Prima Ballerina dancer ” Dytto”
সেই রাতে “Dytto” এর নাচের প্রোগ্রাম শেষে ওর বাবার সাথে প্রায় ৮ বছর দেখা হওয়ার কথা ছিলো।
তাই ড. ফরাসী আনন্দে উদ্ভাসিত ছিলো,নিজের মেয়েকে এত বছর পর দেখতে পাবে।
সে সহ্য করতে পারছে না।
ছটফট করছে কখন “Dytto ” বাসায় ফিরবে।

flesh part 11+12

অথচ ” Dytto” এর সাথে আর দেখাই হলো না ড. ফরাসীর।
কারণ আমার বানানো পুতুলের জন্যে আমি “Dytto” কে তুলে নিয়েছিলাম।
“Dytto” আমার বানানো ফিলার অংশ ছিলো।।
“Dytto” এর বাবা আমেরিকাতেই আছে, উইলহেম মানে আমাকেই খুঁজছে, হয়তো জেনেও গিয়েছে আমার কথা,ড. ফরাসীর তো আর স্বাভাবিক মানুষ না।.
ঘ্রাণের সাথে মস্তিষ্কের এই সমন্বের ওপর নির্ভর করে হরমোনের প্রভাবকে এভাবে নিয়ন্ত্রণ কত ভয়ংকর হতে পারে “Dytto” এর নিখোঁজ হবার পরেই বুঝতে পেরেছিলাম …..

flesh part 15+16

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here