flesh part 15+16
Papilion skyscraper
ড. ফরাসী,ফিলা,সিন্দ্রো,ওয়াটসন, শেইফ এলিস, দাঁড়িয়ে আছে,আর উইলহেম স্টেজে উঠছিলো।
আজ উইলহেমকে সেরা সাইকোলোজিস্ট হিসেবে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হবে।
আমেরিকার হোয়াইট হাউজে-বিশেষ ক্ষমতা বলে উইলহেমকে এই সম্মাননা দেয়ার আয়োজন হয়-
বদ্ধ রুম-অনেক রঙের আলোর মাখা মাখি-
ফোমের চেয়ার,এক হাজার মানুষ।
হল রুমে প্রবেশের তিনটি দরজা।
একটা দরজা মঞ্চের ঠিক বাম দিকে।
মঞ্চের মুখোমুখি থেকে- প্রায় রুমের শেষ প্রান্তে- পঁঞ্চাশ ফিট সোজা সামনে দু পাশে বাকি দুটি দরজা।
বাম পাশের দরজায় -পাশের দেয়ালে হেলান দিয়ে ফিলা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছিলো,আর উইলিহেম এর দিকে তাকিয়ে আছে,ফিলার চোখে মুখে অদ্ভুত বিদ্রুপের হাসি।
হয়তো কেউ খেয়াল করেনি-।
ফিলা সুইজারল্যান্ড থেকে এখানে উইলহেমকে খুঁজতে এসেছে।
ফিলা সব সময় উইলহেমকে ফলো রাখতো,সেই সুবাদেই এখন এখানে ফিলা এসেছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
একই রুমে দূরে কালো চেয়ারটাতে একজন বসে আছে,
লম্বা বাবড়ি চুল,মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, ছোট গোঁফ।চোখে কালো চশমা।
আকাশী রঙের শার্ট, ওপরে খয়রি রঙের টাই,আর তার ওপর কালো কোর্ট, পায়ে খয়রি রঙের সুজ,হাতে আকাশি বেল্টের হ্যান্ড ওয়াচ।
হ্যাঁ, অফিসার সিন্দ্রো বসে আছে,সিন্দ্রো উইলহেম এর দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে,কিন্তু অফিসার সিন্দ্রোর চোখ গুলো দেখা যাচ্ছিলো না, হয়তো চোখে পানি এবং আগুন দুটোই লুকোনো ছিলো।
সিন্দ্রো খবর পেয়েছিলো, মেয়েদের মাতৃ অঙ্গ গুলো আমেরিকাতেই আনা হয়, জাহাজের কন্টেইনার করে নেয়া হয়।
তারপর উইলহেম এর পুতুল বানানোর প্রোডাকশন হাউজে পাঠানো হয়।
সিন্দ্রোর কাছে কোনো প্রমাণ নেই।
কারন ওই প্রোডাকশন হাউজ উইলহেম এর নামে না। কিন্তু সিন্দ্রো জানে এগুলো সব কিছু উইলহেমেরই।
উইলহেম অফিসার সিন্দ্রোর দিকে তাকিয়ে আছে-
হঠাৎ পেছন থেকে ওয়াটসন উইলহেম এর কাছে এসে বললো,
-“স্যার, কোরিয়া থেকে ব্যবসায়ী দ্বে-ই হিউন আসছে আপনার সাথে দেখা করার জন্যে। ”
উইলহেম এর সাথে আরো অনেকেই হয়তো দেখা করতে এসেছে।
উইলহেম এর সামনে, প্রায় এক হাজার মানুষ বসে আছে।
এর মধ্যে এক মধ্যবয়সী লোক- গালের দাডি হালকা পেঁকে গিয়েছে, চোখে কেমন অদ্ভুত বয়সের ছাপ,কিন্তু সাহস আর উদ্দামে তার পুরো শরীরে -রহস্যের ছাপ।
হ্যাঁ,ড. ফরাসী বসে আছে।
ড. ফরাসী জানে,শহরে নিঁখোজ হবার পেছনে উইলহেম এর হাত।
সেদিন রাতে “Dytto” এর বাড়ি না ফেরায়,ফরাসী নিজেই “Dytto” কে খুঁজতে বের হয়েছে, তারপর
“Dutto” এর যেখানে প্রোগ্রাম ছিলো সেখানে গেলো,
“Dytto” কে পেলেন না।
কোথাও “Dytto” নেই।
ফরাসী সারা রাত পাগলের মতো খুঁজলো।
তারপর শেষে “Dutto” কে যেখানে শেষ দেখা গিয়েছিলো,সেই প্রোগ্রামে-সেখানে এসে ফরাসী একটা জায়াগায় বসে আসে।
হঠাৎ ভোরের থেমে যাওয়া বাতাসে অদ্ভুত ঘ্রাণ অনুভব করতে লাগলো।
ফরাসী চোখে না দেখেও মানুষের ঘ্রাণের তীক্ষ্ণতা থেকে বলতে পারতো যে এটা কোনো লোকের শরীরের ঘ্রাণ।
অনেক গুলো মৃ*ত মাং*সের ঘ্রাণ, যেন মনে হচ্ছে,কেউ মৃত লা*শের স্তুপ থেকে উঠে এসে এখানে দাড়িয়েছিল।
কেমন যেন অদ্ভুত লাগলো,অনেক গুলো মাংসের উষ্ণ ভাপ এখানে, যেন কেউ একজন নিজের কাধে করে কয়েকটা লা*শ কে*টে মাংস গুলো সাথে রেখেছিলেন।
যে মানুষের মাংস খাবে তার গায়ের ঘামের ঘ্রাণ হবে তুখর তামাটে।
এই ঘ্রাণ সব কিছু থেকে আলাদা করে অনুভব করা ফরাসীর কাছে সামান্য বিষয় মাত্র।
ফরাসী অদ্ভুত এক রহস্য খুঁজে পাচ্ছে।
দুজনেই তো লা*শের স্তুপ নিয়ে খেলা করে,শুধু ফলাফল ভিন্ন।
ফরাসী প্রতিদিন এখানে এসেই দাঁড়িয়ে থাকে
কারণ সেদিন থেকেই ফরাসী এখানে কাঁচা মাংসের ঘ্রাণ স্বভাবিক ভাবে পেয়েই যাচ্ছে।
তার মানে অদ্ভুত এই লোকটি প্রতিদিনই এদিক দিয়ে আসা যাওয়া করে।
সেদিন কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর হঠাৎ তীব্র ঘ্রাণ আসতে লাগলো।
ফরাসী বুঝতে পারলো,লোকটি আশে পাশেই আছে। ফরাসী খুঁজে বের করেছে,
– ” হ্যাঁ,এই লোকটার শরীর থেকেই ঘ্রাণ আসছে।”
ফরাসী তার পেছনে পেছনে গেলেন।
লোকটা আর কেউই নন-উইলহেম।
ফরাসী উইলহেম এর পেছনে পেছনে গেলেন,কাছেই তার ফ্লাট।
একদিন ফরাসী উইলহেম এর ফ্লাটে গিয়ে উইলহেম এর দৃষ্টি এবং শ্রবণ শক্তির হরমোনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়- সেন্টের দ্বারা।
এরপর ফরাসী উইলহেম এর ল্যাবে আসে, ফরাসী অবাক হয়ে যায়।।
এক সময় খুঁজতে খুঁজতে ফরাসী চমকে যায়, চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে,তার মেয়ে “Dytto” এর কা*টা লা*শের অংশ এখানে পড়ে আছে।
ফরাসী সেখানে দাঁড়িয়ে কি করবে বুঝতে পারছিলো না।
ফরাসী চাইলেই এখন উইলহেম কে শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু কেন যেন উইলহেমকে কোনো কিছুই করেনি।
সম্ভবত ফরাসী উইলহেম কে এত সহজে মা*রতে চাচ্ছে না। উইলহেমকে সবার সামনে মা*রবেন।
ফরাসী উইলহেম এর বাসা থেকে চলে আসে।
কিছুক্ষণ পর উইলহেম স্বাভাবিক হতে থাকে।
ফরাসী তখন থেকেই উইলহেম কে ফলো করতে থাকে।
ঠিক একই ভাবে ফিলা আমেরিকায় এসে হোচট খেয়ে যায়।
সুইজারল্যান্ডে ব্যাংক থেকে টাকা ক্যাশ করা লোকের রুমে যে পুতুল ছিলো –
তার সুত্র ধরেই এখানে এসে ফিলা দেখে উইলহেম এর নামের কোনো কিছুই নেই।
এই পুতুল গুলো সরবরাহ করা হতো. ড. সেহজান নামক এক কেমিস্ট এর কোম্পানি থেকে।
ফিলা সেহজান কে দেখেনি।
পরে সেহজান কে দেখে ফিলা অবাক হয়ে যায়। একজন মানুষ দুটি নাম, নাকি দুটি মানুষ দুটি নাম কিন্তু একই চেহার!
এই দ্বিধা দূর করতেই ফিলা আজকে উইলহেম নোবেল দেয়ার প্রোগ্রামে এসেছে।
ফিলা আজ উইলহেম এর সাথে কথা বলবে,তার জন্যেই অপেক্ষা করছে………..।
মাঝের কোনো একটা সীটে বসে সিন্দ্রো নিজেও অপেক্ষা করছে,
সিন্দ্রো জানতে পারে,
নিখোঁজ হওয়ার মানুষ গুলোকে হাসপাতালে এনে কিডনি,চোখ,অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কেটে রাখা হয়,আর সবচেমে দামী জিনিস,
– মাতৃ অঙ্গ, সেটাকে পুতুলের ল্যাবে পাঠানো হয়।
এই চক্র উইলহেম সরাসরি তত্বাবধান করে না।
আরো একজন আছে, বিজনেস ম্যান “যিসাস হেইভ”। সেই সুত্র ধরেই সিন্দ্রো উইলহেম পর্যন্ত এসেছে।
সিন্দ্রোর হাতে রিভলবার, সিন্দ্রো আন্তর্জাতিক ক্রাইম অফিসার, তাই রিভলবার অনুমুতি ছিলো।
সিন্দ্রো এগোচ্ছে উইলহেম এর দিকে,
ফিলাও এগোচ্ছে উইলহেম এর দিকেই।
ওয়াটসন তখনো উইলহেম এর পুতুল বানানোর কেইস উন্মোচন করেনি।
ওই সময়টাতে শহরের নিখোঁজ হবার পাল্লা চলছিলো,তাই ওয়াটসন হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তায় এখানে দায়িত্বে আছে সরকারি ভাবে।
শেইফ এলিস এখানে দেশের সেরা স্বনাম ধন্য শেইফ হওয়ায় দাওয়াতে এসেছে।।।
ওয়াটসন হঠাৎ ফিলাকে দেখে ফেলে,পূর্বেও ওয়াটসনের সাথে ফিলার দেখা হয়েছিলো।
ফিলাকে এখানে দেখে ওয়াটসন অবাক হয়ে যায়।
ফিলাতো নিজেও একজন অফিসার,ফিলা স্টেজের দিকে কেন যাচ্ছে।
ওয়াটসন ফিলার পেছনে পেছনে যেতে লাগলো,
সিন্দ্রো, রিভলবার তাক করেছে উইলহেম এর দিকে,
ফিলা হেটে যাচ্ছে, ওয়াটসন ফিলার পেছনে রিভলবার হাতে নিয়ে এগোচ্ছে।
সিন্দ্রো গুলি করবে,ফিলা স্টেজে উঠবে –
হঠাৎ কি যেন হলো, সিন্দ্রোর হাত থেকে রিভলবার পড়ে গিয়েছে,
ফিলা স্টেজেই বসে পড়েছে,
ওয়াটসন স্থির হয়ে থেকে দাঁড়িয়ে আছেন,
শেইফ এলিস ঝিম ধরে বসে আছে।
অনেকেই যেন গলা ফাটিয়ে চিৎ*কার করছেন,
পুরো হোয়াইট হাউজে হট্টগোল লেগে গিয়েছে,
কেউ চোখে দেখছে না,হাটার শক্তি পাচ্ছে না, কানে শুনছে না, কোন শব্দ নেই।
পেছন থেকে অট্ট হাসিতে হাসছে -ফরাসী, তারপর শাসনকর্তার মতো ফরাসী হেটে হেটে একা একা উইলহেম এর দিকে যাচ্ছে…
হিপনোটিজম অর্থাৎ সম্মোহন
মানে আপনি ঘুমিয়ে আছেন,কিন্তু আপনার শরীর সচল। আর আপনার ব্রেইনকে কেউ ব্যবহার করছে।
আপনি রাতে- ঘুমের মধ্যে হাটছেন,”স্লিপিং ওয়াক”।
মস্তিষ্কের এই শক্তিকে পুঁজি করেই হিপনোটিজম ধারণা।
অনেক্ষণ দৌড়ালে স্বাভাবিক ভাবে আপনার দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসবে, তখন কেউ আপনার চুলে হাত রাখলে আপনি ঘুমিয়ে যাবেন, ঠিক এই সময়টিকেই বলা হয় *হিপনাগগিক স্টেজ।
অর্থাৎ ঘুম ঘুম মস্তিষ্ককে- ঘুম থেকে তুলে এনে
নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
পেছন থেকে অট্ট হাসিতে হাসছে -ফরাসী,
তারপর শাসনকর্তার মতো ফরাসী
হেটে-হেটে একা-একা উইলহেম এর দিকে যাচ্ছে।
ফরাসী পুরো হল রুমে তাকিয়ে দেখে-
ফরাসী ছাড়া কেউ আর মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে নেই,শুধু উইলহেম সামনে দাঁড়িয়ে-।
এ মহল, জ্ঞানী ব্যক্তি বর্গ –
সবাই যেন নিজে থেকে নিজেদের চূর্ণবিচূর্ণ করে –
ফরাসীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
ফিলা, সিন্দ্রো,ওয়াটসন এলিস সবাই স্থির,যেন অন্ধকার সবাইকে ধরে রেখেছে।
কেউ কানেও শুনছে না।
ফরাসী উইলহেম এর কাছে গেলেন,উইলহেম স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, মুখে হাসি নেই,কোনো ভয়ও নেই,যেন কিছুই হচ্ছে না।
হয়তো “জ্ঞানীরা ফাঁদে পড়ে গেলে চুপসে যায় না,চুপ থাকে”।
ফরাসী ছুড়ি হাতে নিলেন, উইলহেম এর দিকে তাকিয়ে উপহাস করে হাসছিলেন,
হয়তো উইলহেম শুনতে পাচ্ছে না।
এরপর ফরাসী উইলহেম এর পেটে ছুড়ি ঢুকিয়ে মোচড়াতে থাকলো, র*ক্ত বের হচ্ছে,উইলহেম এর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ফরাসী।
র*ক্ত পেটের চামড়া ছিড়ে শার্টের ওপর দিয়ে স্রোতের গতিতে গড়িয়ে বের হচ্ছে।
উইলহেম এখনো চুপ।
হঠাৎ ফরাসী উদ্ভুত যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলো।
ফরাসীর ঘ্রাণ শক্তি যেন শিথিল হয়ে আসছে,চোখ যেন নিভু নিভু করছে।
ফরাসীর মাথা ঘুরাচ্ছে।
হ্যাঁ,এবার উইলহেম দাঁড়িয়ে থাকা থেকে-
চেয়ারে বসলো।
উইলহেম হাসছে, অট্ট হাসি হাসছে –
উইলহেম চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে বসলেন।
হ্যাঁ,ফরাসী নিজেই নিজের পেটে ছুড়ি ঢুকিয়েছে,
ফরাসী শরীরের ভারসম্য হারিয়ে যেন হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে……..।
কিছুদিন আগে মানে ফিলাকে বানানোর প্রথম দিকে –
উইলহেম যখন ফিলার খুলিতে চোখ লাগাচ্ছিলো,
হঠাৎ চোখের মনি থেকে র*ক্ত বের হচ্ছিলো-উইলহেম অবাক হয়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু পরে খেয়াল করে দেখে,সেটা তার হাত কে*টে র*ক্ত বের হচ্ছিলো।
উইলহেমের হাত সেদিন কিভাবে কেটেছিলো উইলহেম বুঝতে পারে নি।
কিন্তু উইলহেম ঘটনা স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি।
উইলহেম পরে বুঝতে পারে,উইলহেম এর সেদিন দৃষ্টি শক্তির ওপর কেউ একজন প্রভাব ফেলেছে।আর তাই ভ্রমে নিজের হাত থেকে বের হওয়া র*ক্তকে –
ফিলার চোখ থেকে বের হতে দেখেছিলো।
উইলহেম এর এত অবচেতন মনস্ক হওয়া অসম্ভব।
এবং সেদিন শেলফে রাখা কল গার্ল মেয়েটার স্ত*নের বক্স নিচে পড়ে গিয়েছিলো,কিন্তু কারোর সাথে ধাক্কা না লাগলে-
শেল্ফ থেকে বক্স পড়ে যাওয়া অসম্ভব ছিলো।
তাই সব কিছু মিলিয়েই উইলহেম বুঝতে পেরেছিলো কেউ রুমে আছে,আর উইলহেমকে ভ্রমে ফেলা হয়েছিলো।
উইলহেমের আগে থেকেই “Dytto” এর সাথে পরিচয় ছিলো,
উইলহেম “Dytto” এর বাবার সম্পর্কে জানতো।
সব কিছু মিলেই উইলহেম নিশ্চিৎ ছিলো “Dytto”এর বাবা উইলহেমের ফ্লাটে এসেছে।
কারন কারোর ওপর ইলিউশনস করতে তাকে সামনে আসতে হবে,অথচ সামনে না এসেই উইলহেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কেউ একজন।
উইলহেম নিশ্চিৎ ছিলো এটা “Dytto”এর বাবা ছাড়া আর কেউ হতেই পারে না।
তারপর থেকে সবকিছু মিলিয়েই ফরাসী এখন উইলহেম এর সামনে হোয়াইট হাউজের হল রুমে।
উইলহেম চাইলে খুব সহজেই ফরাসীর তীক্ষ্ণতা শেষ করতে পারতো,
কিন্ত সেদিন উইলহেম এর বাসায় ফরাসী -উইলহেমকে চাইলেও মারতে পারতো কিন্তু মারেনি।
তাই উইলহেম নিজেও অপেক্ষা করছিলো ফরাসীর মুখোমুখি হওয়ার,আর সেই সুযোগটা আজ এই হলরুমেই হয়ে গেলো।
ফরাসীকে এখানে দেখে উইলহেম বুঝতে পারে, শীঘ্রই ফরাসী কিছু করবে।
আর এটাই ঘটলো,ফরাসী সেন্ট বাতাসে মেশাতেই যাদুর মতো সবকিছু কব্জা করে নিলো,পৃথিবীর কোনো শক্তি সামনে টিকতেই পারেনি।
ফরাসী উইলহেম এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে,ফরাসী বিদ্রুপ করে হাসছে।
উইলহেমের চোখে চোখ রাখতেই,যেন সব পালটে গিয়েছিলো।
উইলহেম ফরাসীকে অপটিকাল ইলিউশান করে হিপনোটাইজ করে নিয়েছে।
এই অপেক্ষাটাই উইলহেম করছিলো।
উইলহেম একজন কেমিস্ট, ঘ্রাণ শক্তি কিভাবে অকেজো রাখা যায়,উইলহেম অনেক ভালোভাবেই জানেন।
উইলহেম যেদিন বুঝতে পেরেছিলেন,ফরাসী তার ফ্লাটে এসেছিলেন,
সেদিন থেকে উইলহেম নিজের ঘ্রাণশক্তির *য়্যানসমিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং সাইনাসের কার্যক্রম রোধ করে চলা ফেরা করেন।
তাতে ঘ্রাণ- মস্তিষ্কের অনুভুতিতে আর প্রভাব ফেলতে পারে না।
তাই আজ হল-রুমে ফরাসী সেন্ট ছিটালেও উইলহেম এর ওপর প্রভাব পড়েনি।
বরং ফরাসী উইলহেম কাছে আসতেই –
নিজেই *হিপনোটাইজড হয়ে,
উইলহেম এর নির্দেশে নিজের পেটে ছুরি ঢুকায়।
*হিপনোটাইজ করতে একটা নির্দিষ্ট শব্দের বেগ লাগে,যেটা উইলহেমে কাছে ছিল, “Dytto” এর নাম।
“Dytto” নাম ফরাসীর মস্তিষ্কে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত নাম বা অনুভুতি।
পেটে ছুরি ঢুকানোর পর ফরাসীর সামনে “Dytto” এর নাম নিতেই যেন ফরাসী হিপনোটাইজ থেকে ফিরে আসে।
আর নিজেকে এভাবে আত্ম আঘাত পেতে দেখে ফরাসী অবাক হয়ে যায়।
ফরাসী কখন নিজেকে আঘাত করেছে বুঝতেই পারছে না।
উইলহেম ফরাসীর দিকে তাকিয়ে-
” প্রথম ইশ্বর ছাড়া আমাকে কেউ মারতে পারবে না। এবং দ্বিতীয় ইশ্বর আমি,কারণ প্রথম ইশ্বররের শক্তির বাস আমার মধ্যেই।” -বলেই উলহেম হাসতে হাসতে চলে যেতে লাগলো,
– “শুভ মৃত্যু হোক আপনার ড. ফরাসী।”
কিছুক্ষণ সব কিছু স্বাভাবিক হলো,সিন্দ্রো,ফিলা, ওয়াটসন এলিস সবাই অবাক,কেউ কিছু বুঝতে পারছিলো না।
কি হয়েছিলো তাদের সাথে।
কেউ কাউকে চিনে না,অথচ সবার লক্ষ উইলহেম,যদিও উদ্দ্যেশ্য আলাদা।
কিন্তু উইলহেম হল রুমে নেই। ফরাসী পড়ে আছে।
উইলহেম নিজের ফ্লাটে এসে চেয়ারে বসলো।
উইলহেম বুঝতে পারছিলো,কিছু একটা ঘটতে চলছে,সব কিছু গুছিয়ে নিতে হবে।
সেই সময়টাতেই তিনি তরুনীর মাংস দিয়ে ফিলাকে বানানোর পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছিলেন।
আর তারপরেই ওয়াটসন –
নিখোঁজ হওয়া মেয়েদের কেইসের রহস্য সমাধান করতে থাকেন,যেখানে শেইফ এলিসের নিখোঁজ হওয়ার সুত্রকেই কেন্দ্র করে-
উইলহেম এর মতো আরেকজন চেহারার ড. সেহজান এর ওপর কেইসের দায় ভার চাপিয়ে –
পুতুলের ফ্যাক্টরি সহ নিখোঁজ হবার কেইস গুলো সমাধান দেখানো হয়।।
তারপর ওয়াটসনের মাংস ভেজে খাওয়া,মুখোমুখি দুজন বসে থাকা,কোরিয়া থেকে দ্বে-ই হিউন এর কল।
এবং ওয়াটসনের সাজানোর অভিনয়ের সমাপ্তি।
আর তারপর ওয়াটসন আর উইলহেম তার ফ্লাটে বসে বসে কথা বলছিলো।
হঠাৎ -পুরো ফ্লাটেই আগুন লেগে যায়।
আর সেই ফ্লাটের নিচে কেউ একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আগুন লাগা দেখছে –
লোকটি ফোনে কাউকে “উইলহেম” এর মৃত্যু-
নিশ্চিত হওয়ার খবর জানাচ্ছিলো।
কিন্তু উইলহেম সেবারও বেচে যায়-
আগুনের তাণ্ডবও উইলমকে স্পর্শ করতে পারেনি-।।
নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসার ছিলেন-
চীনা ইনভেস্টিগেটর “সাও-জুন”
উইলহেম ওয়াটসন কে উদ্দ্যেশ্য করে বললো “ওয়াটসন চীনে যাওয়ার ব্যবস্থা করো”।
ওয়াটসন হেসে বললো,- ” স্যার আপনি সামান্য একজন অফিসারের জন্যে চীনে যাবেন?”
– “ওয়াটসন তুমি জানো না, সাও-জুন কে!”
– “সাও জুন একবার শুধু স্বাভাবিক ফলের জুস খাইয়েই- একজন লোককে মেরে ফেলেছিলো।”
“৪ বছর আগে এক ক্রিমিনালকে রেপ করতে থাকা অবস্থায় সাও জুন আটক করে।
সাও জুন,মেয়েটাকে দেখে সহ্য করতে না পেরে-
সেখানেই রেপিস্টের লি*ঙ্গ গোড়া থেকে-
টেনে লম্বা করে ধরে কে*টে নিয়ে –
কা*টা লিঙ্গের ভেতরে চিকন রড ঢুকিয়ে-
flesh part 13+14
সেটা রেপিস্টের বগলের নিচে লি*ঙ্গ কাটার-
অংশ দিয়ে পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো”
“ওয়াটসন তুমি ভাবতে পারো,সাও জুন কেমন অফিসার?”
-“স্যার,আমার ভাবনার বাইরে”
– “তাহলে চলো চীনে ঘুরে আসি”