flesh part 19+20

flesh part 19+20
Papilion skyscraper

হোটেলে আমার রুমে ড. সেহজান আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো, “উইলহেম,টিভি অন করে দেখো।”
আমি টিভি অন করলাম, খবর দেখে চমকে গেলাম, নিউজ দেখাচ্ছিলো, -চীনা এক মন্ত্রীকে তার বাসায় ঢুকে খু*ন করা হয়েছে, সিসি ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় খু*নি নোবেলজয়ী ড. উইলহেম।
শীঘ্রই উইলহেমকে গ্রেফতার করা হবে।

ড. সেহজান এর জেল থেকে বের হয়ে চীনে আসার পেছনে ওয়াটসন এবং সাও-জুন এর হাত রয়েছে।
ড. সেহজানকে চীনে এনে তাকে দিয়ে মন্ত্রীকে খু*ন করানো,সেই খু*নের দায় উইলহেম এর ওপর চাপানো,সবই সাও-জুন এবং ওয়াটসনের পূর্ব পরিকল্পনা।
ড. সেহজান হাসছে, “উইলহেম এবার নিজেকে বাচাও।”
আমার রুম থেকে সেহজান বের হয়ে চলে যাচ্ছে,পেছনে থেকে বিকট শব্দে গু*লি করলাম
সেহজান এর পিঠে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

একসাথে চার/পাঁচ টা গু*লি করায়,সেহজান এর ফুসফুস বুক চিড়ে বের হয়ে গিয়েছে।
আমার রুমে সেহজান এর লা*শ পড়ে আছে।
তারপর আমি সেইফ এক্সিট দিয়ে বের হয়ে গেলাম।হোটেল থেকে বের হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।
আমি গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়ার পরেই –
পেছনে-পেছনে অফিসার সিন্দ্রো গাড়ি নিয়ে ফলো করা শুরু করে।
অন্যদিকে হোটেলে হৈ-চৈ লেগে গিয়েছে, সবাই ধরেই নিয়েছে উইলহেম মারা গিয়েছে।
কিন্তু সাও-জুন তো জানে,যিনি মারা গিয়েছে,তিনি সেহজান।

সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায় , যদি সবাই জেনে যায়,উইলহেমের রুমে সেহজান মারা গিয়েছে,তাহলে চীনের মন্ত্রীকে খু*নের দায়ে উইলহেমকে যে ফাঁসানো হয়েছে,সেটা ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে,কারণ উইলহেম যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে।
আর যদি মৃত সেহজানকে উইলহেম হিসেবেই পরিচয় দেয়া হয়,তাহলে প্রকৃত উইলহেম সাজা পাবে না।
সাও-জুন হোটেলে এসেছে, জুনিয়র অফিসাররা রুম থেকে লাশ তুলে নিচ্ছেন তদন্তের জন্যে।
উইলহেম গাড়ি চালাচ্ছেন , প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা উদাসীন ভাবে গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছেন।
চীনের শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন,অফিসার সিন্দ্রো উইলহেম এর পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে ফলো করছে।
একপর্যায়ে সিন্দ্রো অবাক হয়ে গেলো, উইলহেম গাড়ি চালাতে চালাতে আবার তার হোটেলের দিকেই ফিরছে।
অর্থাৎ উইলহেম গাড়ি নিয়ে সোজা হোটেলে এলেন ,এখনো হোটেলের আশে পাশে পুলিশ,উইলহেম গাড়ি থেকে নামছে।

হাতে সিগারেট, লম্বা কালো কোর্ট,রহস্যময় লোকের মতো হোটেলে প্রবেশ।
সবাই ‘হা’ করে তাকিয়ে অবাক
“উইলহেম ইজ এলাইভ?”
উইলহেম এমন ভাব ধরলো, যেন কিছুই হয়নি,তিনি হোটেলের ম্যানেজারকে ডেকে বললো,হোটেলে এত পুলিশ কেন,
ম্যানেজার কাঁপতে কাঁপতে বললো, “স্যার একটু আগে তো আপনার লা*শ আপনার রুম থেকে বের করে নেওয়া হলো হলো।”

– “কি বলছো? আমি তো দুপুর থেকে আমার বন্ধু অফিসার সিনশি এর বাড়িতে ছিলাম”
– “কিন্তু স্যার,পুরো চীনে তো খবর ছড়িয়ে গিয়েছে আপনি চীনা মন্ত্রী অর্থাৎ আপনার ব্যবসায়িক পার্টনারকে খু*ন করেছেন,পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে এসে দেখে,রুমে আপনার লা*শ।”
রিসিপশনে বসে উইলহেম আবার একটা সিগারেট ধরালো, সামনে সাও-জুন বসে আছে।
– “মি. সাও-জুন, জানেন তো আমার সাথে সম্পর্কিত কোনো সহজ কাজকে- সহজ ভেবে বসে থাকলে, সহজ কাজের মধ্যে ঝড় শুরু হয়ে যাবে।”

এই বলেই উইলহেম সাও-জুন এর দিকে সিগারেটের প্যাকেট এগিয়ে দিলো।
হঠাৎ সাও-জুন এর সিনিয়র অফিসার মি. সিনশি
হোটেলে প্রবেশ করলেন,আর সাও-জুন তাকে দেখে দাঁড়িয়ে স্যালুট করলেন।
অফিসার সিনশি এসেই উইলহেম এর পাশে বসলেন।
আর সাও-জুন কে বললেন,স্টেটমেন্ট লিখতে, “চীনের মন্ত্রীর খু*নের পেছনে ড. সেহজান নামক পলাতক আসামী দায়ী।

এবং সেহজানকে মৃত অবস্থায় উইলহেম এর রুমে পাওয়া গেলেও,তখন ওই সময়টাতে সাইকোলজিস্ট উইলহেম চীনের প্রশাসনিক অফিসার সিনশির সাথে ছিলেন।
অর্থ্যাৎ, অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তি উইলহেমকে খু*ন করতে এসে সেহজানকে উইলহেম ভেবে খু*ন করেছে,সেই খু*নের তদন্ত চালাতে হবে।
সেহজান কেন উইলহেম এর রুমে এসে ছিলো,সেট তদন্তের পর জানানো হবে।
অতএব উইলহেম উক্ত দুটো খু*নের দায় থেকে মুক্ত।”
সাও-জুন চুপ করে আছে,কারণ সাও-জুন এর কাছেও কোনো প্রমাণ নেই।
এরপর উইলহেম চলে যাচ্ছে রুমের দিকে।
উইলহেম সিড়ি বেয়ে ওপরেই না উঠতেই –
বিকট শব্দে গুলির আওয়াজ,অফিসার সিন্দ্রোর রিভলবার থেকে গুলি বের হয়েছে,

সিন্দ্রো আবারো গুলি করলেন,
কেউ নেই,কোনো স্বাক্ষী নেই।
সাও-জুন বিকট শব্দে হাসছে, সিনিওর অফিসার সিনশিকে এতক্ষণ তিন থেকে চারটা গুলি করা হয়েছে।
সিন্দ্রো নিজের রাগ ধরে রাখতে না পেরেই গুলি গুলো করেছে।
সাও-জুন হাসতে হাসতে এবার এক গ্লাস ড্রিংক্স হাতে নিয়ে উইলহেমের দিকে যেতে লাগলো।
-“মি. উইলহেম -স্টেটমেন্ট আবার নতুন করে লিখা হবে, চীনা মন্ত্রীর খু*নের দায়ে উইলহেমকে গ্রেফতার করতে আসায় উইলহেমের লোকদের সাথে গোলাগুলিতে সিনিয়র অফিসার সিনশি নিহত হয়েছেন,এবং সেহজান ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই উইলহেমকে খু*ন করতে এসে নিজেই উইলহেমের হাতে খু*ন হয়েছেন”
সাও-জুন আরো বলতে লাগলো, “প্রমাণ সাপেক্ষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উইলহেমকে গ্রেফতার করা হলো।”

সাও-জুন আমার দিকে আসছে-
আমি দাঁড়িয়ে আছি,সাও-জুন এখনো জানে না,আমি কে!
সাও-জুন এটাও জানে না আমার হাতে হাতকড়া পড়ানোর মতো সাধ্য তার নেই।
সাও-জুন এর পেছনে সিন্দ্রো দাঁড়িয়ে আছে।
সাও-জুন ধীরে ধীরে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতেই আসছিলো,হঠাৎ তার হাসি মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো,সাও-জুন চুপ চাপ আমার দিকে হেটে আসছে।
আরো নিকটে আসছিলো,একদম কাছে এসে দাঁড়িয়েই আমার হাত ধরে -হাতে চুমু খেলো।
আমি হাসছি, অট্টো হাসি হাসছি,আমি উইলহেম,হ্যাঁ,আমি উইলহেম।।
চুমু খেয়ে -সাও-জুন সিড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামছে,
তারপর সিন্দ্রোর দিকে যাচ্ছে,

সিন্দ্রোর হাতে- হাতকড়া পড়িয়ে দিলো সাও-জুন, অফিসার সিনশিকে গুলি করার অপরাধে।
সিন্দ্রো অবাক, এটা কিভাবে সম্ভব!
আমি সিন্দ্রোর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম মি. সিন্দ্রো, সাও-জুন এখন হিপনোটাইজড।
সম্মোহনী ক্ষমতার এমন ব্যবহার একজন মানুষ কিভাবে করতে পারে সিন্দ্রো আমাকে দেখেই বুঝতে পারছিলো।
এরপর সাও-জুন টেবিলে বসে স্টেটমেন্ট লিখলো,আর আমাকে সকল দায় থেকে মুক্তি দিলো।
সাও-জুনের থেকে স্বাক্ষর নেয়ার একটা পেপার আমি নিয়ে রুমে চলে আসলাম।
ততক্ষণে হোটেলে আবার হট্টগোল।
অফিসার সিনশির লা*শ হোটেল থেকে বের করে নেয়া হচ্ছে। অজ্ঞাত কোনো একজনের গু*লিতে সিনশি এর মৃ*ত্যু হয়েছে।

তারপর আমি রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম।
এরপর আরো সাত দিন কেটে যায়,সাও-জুন,সিন্দ্রো কারোর থেকে আর কোনো প্রেশার পাচ্ছি না।
আজ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় যাবো। নোভেল পাওয়ার পর মূলত এটিই আমার প্রথম চীনে ভ্রমণ।
আর চীনে এসেই অপ্রত্যাশিতভাবে মন্ত্রী হ*ত্যায় ফেসে যাওয়ার ঝামেলা থেকেও এখন মুক্ত হলাম।
তাই এবার শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য রাখবো।
মঞ্চে উঠলাম, কতো শিক্ষার্থীর চোখে আমি সেরা আইডল,তার হিসেব হবে না।
আমি কথা বললে সবাই যেন ভরসা খুঁজে পায়, অডিটোরিয়াম রুমে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী বসে আছে,
হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে চাইলো, আমি অনুমুতি দিলাম।
“স্যার, আপনার ফিলাকে বানানোর অগ্রগতি কতদূর? বানিয়ে ফেলেছেন? ফিলাকে কি আমরা দেখতে পারি?”
ছেলেটির এমন প্রশ্নে আমি হোচট খেলাম,

“দু:খিত কিসের ফিলা? আপনার কথা আমি বুঝতে পারিনি”
ছেলেটি আমার দিকে লক্ষ করে,একটি পুতুল দেখিয়ে বলতে লাগলো, “এটি আপনার বানানো পুতুল,যেটিতে মানুষের মাং*স পাওয়া গিয়েছে।”
আমি হেসে হেসে বললাম,”এই পুতুলটি যে আমার বানানো তার প্রমাণ কি?”
– “স্যার,পুতুলের বডিতে আপনার হাতের ছাপ পাওয়া গিয়েছে,এবং আপনি একজন কেমিস্ট”
আমি আশ্চার্য হয়ে গেলাম,সবার মধ্যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেলো।
পুরো হল রুমে হৈচৈ, ছেলেটির পেছনে একজন বসে আছে, স্পষ্ট বুঝতে পারলাম,এটা সম্পূর্ণ ওয়াটসনের
কাজ।

ছেলেটির পেছনে ওয়াটসন দাঁড়িয়ে আছে।
মুহুর্তেই পুরো প্রোগ্রামটি অগোছালো হয়ে গিয়েছে।
ওয়াটসন কল করতেই বেশ কিছু পুলিশ ফোর্স এখানে হাজির হয়।
আমার বিরুদ্ধে নতুন করে আবার পুতুল তৈরির অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই প্রথম বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আমাকে ইনভেস্টিগেট ব্যুরোতে নেয়া হচ্ছে।
একটা রুমে আমাকে বসানো হলো,একটু পর ওয়াটসন আসলো,প্রথমবার ওয়াটসন আমার সামনে বসে আছে,তবে এবার ওয়াটসন চোখে কালো চশমা পড়েছে।
বাহির থেকে ওয়াটসনের চোখ দেখাই যাবে না।
শুধু তাই নয়,ওয়াটসন তার সাথে আরো দুজন অফিসারকে নিয়ে বসেছে,যাতে আমি হিপনোটাইজ
করতে না পারি।
ওয়াটসন আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

“স্যার এবার আর কিভাবে বেচে যাবেন?”
– “ওয়াটসন, চমৎকার সান গ্লাস”
– “ধন্যবাদ স্যার”
– “আমাকে অন্য একটা সানগ্লাস দেয়া যাবে?”
“হ্যা,স্যার অবশ্যই,এই নিন,আমার কাছে আরো একটি আছে”
ওয়াটসনের থেকে সান গ্লাস নিয়ে আমি চোখে পড়লাম।
আর তখনি কেউ একজন রুমে আসলো,
চীনের একজন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা।
আমি বসে আছি,অফিসারকে দেখে ওয়াটসন দাঁড়িয়ে স্যালুট করলো,চোখ থেকে চমশা খুলে পকেটে রাখলো।

-” ওয়াটসন, ড. উইলহেমকে গ্রেফতার করার কারণ?
– “স্যার, একটি পুতুল,যেটিতে মানুষের মাং*স ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে,সেই পুতুলটিতে উইলহেম স্যারের হাতের ছাপ পাওয়া গিয়েছে,তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আনা হয়েছে”
-“তুমি সামান্য হাতের ছাপের ওপর নির্ভর করে উইলহেমের মতো একজন সম্মানি ব্যক্তিকে এখানে এনেছো?”
“যে পুতুলে -হাতের ছাপের জন্যে তুমি উইলহেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছো,উইলহেমের চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তার কক্ষের একটি সাজানো পুতুল এটি।”

“পুতুলটি কিছু মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে হারিয়ে যায়,এইযে দেখো মিসিং কেইস ফাইল।”
“আর ওনার কক্ষ রুমের পুতুলে তো ওনার হাতের ছাপ থাকবেই, পুতুল ক্রয় চালান অনুযায়ী পুতুলটি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে,সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করো যে মাংস কিভাবে পাওয়া গেলো।”
“এবং উইলহেমকে সসম্মানে মুক্তি দাও,পরবর্তীতে উইলহেমের ওপর এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ওয়াটসন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
এবার আমি উঠে দাঁড়ালাম, একটু হাসলাম,
“অফিসার আপনি অপেক্ষা করুন,আমার ওয়াটসনের সাথে কথা আছে।”
” ঠিক আছে,আমি অপেক্ষা করছি,আপনি আসুন।”
এরপর আমি ওয়াটসনের আরো কাছে গেলাম,
– “ওয়াটসন,মাত্র দশটি পুতুলেই আমার হাতের ছাপ রয়েছে,আর প্রতিটি পুতুলই আমার কোনো না কোনো চেম্বার বা কক্ষে রয়েছে,ল্যাবে বা প্রোডাকশন হাউজে বানানোর কোন পুতুলেই আমার ছাপ নেই।
তাই পুতুলে আমার হাতের ছাপ পাওয়া মানে সেগুলো আমার চেম্বার্স বা কক্ষের পুতুল।
অবাক বিষয় কি জানো? পুতুল গুলোর কোন টি কোরিয়া,কোন টি সুইজারল্যান্ড এর টয় কোম্পানি থেকে কেনা,যদিও পুতুল গুলো আমার হাতেই বানানো,আরো একটা মজার বিষয় কি জানো?

পুতুল গুলোর অগ্রিম মিসিং ফাইল করা আছে থানায়।
আমার সব কর্মকাণ্ড প্রমাণ হয়ে গেলেও সেই প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে আসবে না ওয়াটসন”
” তাই তুমি কখনোই কোনো অভিযোগ নিয়ে আমার আশে পাশেও আসতে পারবে না।”
এই বলে আমি বের হয়ে চলে আসলাম।
বাহিরে আমার জন্যে গাড়ি রাখা ছিলো,
গাড়িতে বসলাম,ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো,
হঠাৎ নাকে কেমন যেন উদ্ভট মানুষ পঁচা গন্ধ আসতে লাগলো,আমি ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললাম,ড্রাইভার আরো জোরে গাড়ি চালাতে লাগলো,তীব্র গন্ধ গাড়িতে বেড়েই চলছে,আমার থাকতে পারছিলাম না,কিন্তু ড্রাইভার কিভাবে সহ্য করছে।

বিশাল বড় সেতু, ড্রাইভার বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে।
ড্রাইভারের চেহারা দেখেই আমি চমকে গেলাম-
– “ড. ফরাসি,আপনি এখানে কিভাবে?”
হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে,সেতু ভেঙ্গে গাড়ি নদীতে পড়ে গেলো।
আমি গাড়িতেই ছটফট করছিলাম………..

বিশাল বড় সেতু, ড্রাইভার বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে।
ড্রাইভারের চেহারা দেখেই আমি চমকে গেলাম-
– “ড. ফরাসী,আপনি এখানে কিভাবে?”
হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে দিলেন,সেতু ভেঙ্গে গাড়ি নদীতে পড়ে গেলো।
আমি গাড়িতেই ছটফট করছিলাম,গাড়ির দরজা লকড, পানিতে ডুবে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎ ফরাসী দরজা খুলে দিলো,আমি ডুবন্ত গাড়ি থেকে কোনো রকম নাক-মুখ দিয়ে পানি খেতে খেতে ওপরে উঠলাম।

শ্বাস! কিছু মুহূর্তের জন্যে শ্বাস স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। মৃ*ত্যুর স্বাদ অনেক বেশি অদ্ভুত।
তারপর পানি থেকে সাঁতরে পাড়ে এলাম।
নদীর পাড়ে বালির ওপর শুয়ে ছিলাম,
কেমন যেন শান্তি লাগছে, আমি উইলহেম এভাবে খোলা মাঠে শুয়ে আছি যেটা কল্পনার বাইরে।
পুরো চীনে আমার নিজের -সেরা তারকা হোটেল আছে, একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি আমি।
নিজের ওপর উপহাস করা ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না।
একটু পরেই বেশ কিছু প্রশাসন বাহিনী গাড়ি নিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে এসেছে।
আমি নিরাপত্তা বাহিনীদের এড়িয়ে চলে গেলাম।
সামনে যিসাস কয়েকটি গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যিসাস দরজা খুলে দিলো,আমি গাড়িতে বসলাম।
এরপর গাড়ি চালিয়ে যিসাস যাচ্ছে।
যিসাসকে বললাম, যিসাস আমেরিকায় ফিরবো,ফ্লাইট টিকেট ব্যবস্থা করো।
এই ভেজা বালু মাখা পোশাকেই আমি ফ্লাইটে উঠলাম। ফ্লাইট রেডি,বিমান ছাড়ছে,আমি আরেকবার চীনের মেঘের দিকে তাকালাম।

যেখানে আমার রাজত্ব চলে,যেখানে প্রশাসন আমার, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আমার,সেখানেই কেমন যেন অদ্ভুত এক অনুভূতির মধ্যে দিয়ে এই কয়েকদিন কাটালাম।
মনে হচ্ছিলো আমার যেন সব কিছু থেকে এবার একটু বিশ্রাম দরকার।
কেন যেন মনে হচ্ছিলো,ওয়াটসন,সাও-জুন,ফরাসী সেহজান ওরা চাইলেই আমাকে মারতে পারতো।
কিন্তু ইচ্ছে করেই মারেনি আমাকে।
হয়তো ওরা চেয়েছে, আমার গল্প সবার সামনে এনে তারপর শেষ করবে।
এত কিছু ভাবতে ভাবতে বিমান আকাশে ঊড়লো।

আজ বিমান যেন অনেক দেরি করছে,মানে চীন থেকে সরাসরি আমেরিকা না গিয়ে মাঝে বেশ কয়েকটি দেশের বিমানবন্দরে অবতরণ করছে,যেটা স্বভাবিকভাবে হবার কথা না।
আমেরিকা আসতে যতটুকু সময় লাগে,তার থেকে প্রায় দ্বিগুন সময় লেগেছে আসতে।
অত:পর অপেক্ষার শেষে আমেরিকায় এসে পৌছালাম।
বিমান থেকে নামছিলাম,হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি
বিশাল এক পুলিশ ফোর্স দাঁড়িয়ে আছে। কমপক্ষে তো একশ পুলিশ হবেই।
আমেরিকার কিছু সিনিয়র অফিসার সহ অফিসার সিন্দ্রো দাঁড়িয়ে আছে।
কয়েকজন অফিসার এসে আমাকে বললো,
“স্যার আপনার নামে এরেস্ট ওয়ারেন্ট আছে”
“আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে। ”

– “অফিসার আমার অপরাধ?
সিন্দ্রো সামনে এগিয়ে এসে বললো,”আপনি এখনো আপনার অপরাধ জানতে চাচ্ছেন?”
পাশ থেকে অন্য আরেকজন অফিসার বললেন,
” ভারত, আমেরিকা,কোরিয়া,সুইজারল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশে আপনার মালিকানার হসপিটাল গুলোতে মানুষের দেহের অঙ্গ বিশেষ নিয়ে ব্যবসা চলে।
কিডন্যাপ এবং হসপিটালের রোগীদের বিভিন্ন অঙ্গ কে*টে রেখে দেয়ার মতো জঘন্য ব্যবসায় চলছে।
“অফিসার সিন্দ্রো গত এক বছরে ছোট ছোট ইনভেস্টিগেট টিম বানিয়ে আপনার সব হসপিটালেই তদন্ত চালিয়েছে,শুধু তাই না,অফিসার সিন্দ্রোর নিজের বোনও আপনার এই নৃশংসতার স্বীকার হয়েছে।”
“এছাড়া টয় কোম্পানি গুলো সেহজানের নামে চললেও,সব কিছুর পেছনে আপনিই ছিলেন,সেটাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।।”

আমি সব কিছু শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
এত কিছু হয়ে গেলো কিছু বুঝতেও পারলাম না,আমি ফোন বের করে কল দিতে গেলেই অফিসার আমার ফোন নিয়ে নিলেন –
“স্যার, আপনি এখন থেকে আর কারোর সাথেই যোগাযোগ করতে পারবেন না,তদন্তের স্বার্থে আপনার সাথেও কেউ যোগাযোগ করতে পারবে না।
চলুন আমাদের সাথে।”
এরপর তাদের সাথে আমাকে যেতেই হলো।

আমি কোনো কিছু করার বা বলার সুযোগই পেলাম না। কেউ হয়তো জানেই না, আমাকে আটক করা হয়েছে। যতক্ষণে সবাই জানবে, ততক্ষণে হয়তো আমাকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
হ্যাঁ,তাই হয়েছে,আমাকে কোনো দ্বীপে আনা হয়েছে,এটা বুঝতে পারছি।
জানি না,বাহিরে ঠিক কি হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো,আমি বন্ধি।
হঠাৎ একদিন কিছু অফিসার আসলো,সাথে আমেরিকার একজন মন্ত্রী।
আমি মন্ত্রীকে দেখেই চেয়ার থেকেউঠে দাঁড়ালাম। কারণ ওনার মন্ত্রীত্ব চলে আমার ডোনেশন করা অর্থে।
খুব রেগে গেলাম, উঠে গিয়ে মন্ত্রীর গালে চড় মেরে বসলাম, “আমি উইলহেম এখানে বসে আছি,আর আপনারা বাহিরে ঘুরছেন?”
এবার হোয়াইট হাউজের কি অবস্থা করি সেটা দেখবেন”
মন্ত্রী চুপ করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আমার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ পর বললো, “উইলহেম,আপনার মৃ*ত্যু দণ্ডের আদেশ এসেছে”

পৃথিবীর অনেক গুলো দেশ একসাথে আপনার মৃ*ত্যু দণ্ডের আদেশ জারি করেছে।
কিছু ক্ষণের জন্যে যেন আমি অদ্ভুত ঘোরে চলে গেলাম।
আমার অর্থে বৃহৎ দেশ গুলোর সরকার বদল হয়, এত ক্ষমতার বলেও -আমি কিনা মৃ*ত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী।
এখন বুঝতে পারছি,উইলহেমকে বাচাতে শুধু উইলহেমই পারে,
উইলহেম ব্যতীত,উইলহেমকে কেউ রক্ষা করতে পারে না,কেউ মারতেও পারবে না।
আমি মন্ত্রীকে বললাম,”আমাকে নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করুন,ওহ,হ্যাঁ,স্যুট কালো রঙের হবে।”
তারপর মন্ত্রী চলে গেলেন,আমাকে একটু পরেই স্যুট দেয়া হয়।
কোনো আদালতে বিচার -রায় নেই,সোজা ফা*সি দেয়া হবে,এমন পরিকল্পনাই করা হয়েছে।
তারপর আবার কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আসলেন,আমার শেষ ইচ্ছে জানতে চাইলেন,
আমি হাসলাম,যাক অবশেষে আমি কোনো কাজ পেলাম,

– “আমার ওপর অভিযোগ এনেছে,এমন সব গুলো দেশের প্রেসিডেন্ট সহ প্রশাসন বিভাগের প্রধান সহ আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা প্রধানদের একসাথে ডেকে একটা ডিনারের আয়োজন করতে চাই।।” এমনটাই আমার শেষ ইচ্ছে।
আমি উইলহেম,নোবেলজয়ী, বিশ্ববিদ্যালয়,হসপিটাল সহ হোটেল, বৃহৎ ব্যবসায় কোম্পানির মালিক।।
আমার কথা রাখবে না এমন কে আছে।
অতএব একদিন পরেই জানানো হলো,ডিনার আয়োজন করা হবে।।
শুনেই আমার চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
আমাকে আরো ১৫ দিন একটা রুমে রাখা হয়েছে।

পৃথিবীর কোনো ফাসির আসামি জেল ছাড়া থাকে কিনা, আমাকে না দেখলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতাম না।
আজ রাতেই ডিনারের আয়োজন হচ্ছে,করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে,একটা হোটেলে।
আর হোটেলটার মালিক আমি নিজেই।
ক্ষমতাধর যে ব্যক্তি গুলো আমার সাথে বসে চা খাওয়ার সাহস পেত না,তারাই কিনা আমাকে মৃ*ত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।

” উইলহেম তুমি নিজের ওপর এই উপহাস সহ্য করতে পারছো?”- নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম।
“কিন্তু না, আমি তো উইলহেম,যদিও দ্বিতীয় ইশ্বর বলে কিছু নেই,প্রথম ইশ্বর ব্যতীত আমাকে কেউ মারতে পারে না,আর প্রথম ইশ্বর আমার মধ্যেই ”
অট্ট হাসিতে হাসছি,মন খুলে অনেক দিন হাসিনি।
এবার পুরো পৃথিবীর সাথে উইলহেম গেইম স্টার্ট করবে।
হোটেলে সবাই আসতে লাগলো,
আয়োজনের কোনো ত্রুটি নেই।
ত্রুটি থাকবেও না।
রাতের ডিনার শেষ করেছেন সবাই।
সবাইকে ডেকে বললাম,আমার সাথে অডিটোরিয়াম রুমে আসতে।
প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসন প্রধান,ক্রাইম ব্যুরো প্রধান সহ মোট ৯৩ জন ক্ষমতার ব্যক্তি একসাথে আমার সামনে বসে আছে।।
আমি যেন কোনো কিছুর সুযোগই পেলাম না,তার আগেই সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গেলো আমাকে সাজা দেয়ার জন্যে।

যেন রাজ সভা বসেছে,রাজা আসামীর বিচার করবে।
অথচ আজ এখানে আসামী যেন বসে আছে- রাজ সভামন্ডলীর বিচার করতে।
অডিটোরিয়ামের দরজা লাগিয়ে দেয়া হলো ভেতর থেকে।
ঝাপসা অন্ধকারে সবুজ আলো,ঝাড়বাতি নড়ছে,হালকা শব্দে পিয়ানোর সুর বাজছে,অতিমাত্রার বাহিরের কোনো শব্দ ভেতরে আসার সুযোগ নেই।।
তিন থেকে চার রকমের শব্দই শুধু রুমে শোনা যাবে,যেমনটা আমি চেয়েছি।
এতদিন আমি শুধু আমার চোখ, আর কথা দিয়ে মানুষকে সম্মোহিত করতে পেরেছি,কিন্তু আজ স্বাক্ষী হবে এক অন্যরুপের।
সবাই দাঁড়িয়ে আছে,তাদের ব্রেইন –
আমার কথা ছাড়া আর কোনো দিকেই ঘুরে যাবে না। এমন ভাবেই শব্দের প্রয়োগ হবে।

“আমি উইলহেম, গ্রেটেস্ট সাইকোলজিস্ট, আপনাদের কিছু জানাতে চাই,
এক সুন্দর রমণীর রাজ্য,যেখানে প্রতি অঙ্গেই আছে মোহ,আছে আকৃষ্টতার প্রলুব্ধতা।
যার চোখেই আপনি সব ধরণের কামনা খুঁজে পাবেন।
আপনারা এমন কোনো রমণী দেখেছেন,যার শরীরের ঘ্রাণেই আপনার কামনা বাসনা হবে?
তার চুল দেখলে,কপাল দেখতে চাইবেন,তার কপাল দেখলে,চোখ দেখতে চাইবেন,বিশ্বাস করুন আপনি ঠোঁটও দেখতে চাইবেন,আপনি ঠোঁট দেখলেই ধরতে চাইবেন।
তার নগ্ন দেহে যদি আপনার চোখ পড়ে আর সেই চোখ যদি রমণীর দুই স্ত*নের মাঝ বরাবর ফাঁকা স্থানে আটকে যায়,আপনি স্পর্শ করার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন,কারণ দেখতে গিয়েই আপনার সব অনুভূতির খরচ হয়ে যাবে।
তার স্ত*নের প্রসারতা আপনি মাপতেই পারবেন না,যদি মাপতে যান,তাহলে আপনার হাতে আগুন লেগে যাবে।
আপনি তো বুঝতেই পারছেন না,

আপনাকে আমি কি বলতে চাচ্ছি, আপনার কোনো আঙ্গুল যদি রমণীর কোমড়ের মাংসের ওপর রাখেন,ওই আঙ্গুলকে চুম্বুকের মতো কেউ টেনে কোমড়ের চামড়ার ভাজের সাথে লাগিয়ে দিবে।
এই রমণী যদি আপনার কোলে বসে, তার নি*তম্বের ওজন হবে কিছু উষ্ণ পায়রার পালকের মতো,অর্থ্যাৎ আপনার কাছে ওজন মনেই হবে না,বরং মনে হবে হাওয়ায় যেন নিতম্ব কাঁপছে আর তার কম্পন আপনার দু পায়ের মাংসের ওপর লাগলে আপনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো কেঁপে উঠবেন,আবার দাড়িয়েও যেতে পারেন।।
আপনার সহ্য করার ক্ষমতা নেই। আপনার কোলে বসার পর যদি আপনার হাত-
কোনো ভাবে রমণীর *প্রনয়ণী নদীতে চলে যায়,আপনি উত্তেজনার স্রোতে ভেসে যাবেন।
দেখবেই এই রমণীকে? চলুন দেখে আসি,আমার সাথে চোখ নাড়ান।
কথা দিচ্ছি, সেরা রমণী আপনার সামনে।
এইযে দেখাচ্ছি,এইতো দেখুন,
এই সিংহাসনের দিকে চোখ দিন….

…বলেই আমি সিংহাসনের দিকে আগাচ্ছি,পুরো অডিটোরিয়াম রুম নিশ্চুপ,সবাই শুধু আমার কথাই শুনছে।
হঠাৎ সিংহাসনে স্পট লাইট জ্বলে উঠলো,পুরো রুম আরো ঝাপসা অন্ধকার।
বুঝা যাচ্ছে সিংহাসনে একজন বসে আছে,আমি কাছে গিয়ে সিংহাসন থেকে. রমণীর ওপর থেকে কভার সরিয়ে নিলাম।
আর চিৎকার করে বলতে লাগলাম,
“মোহ,প্রলুব্ধতার প্রতি মানুষের দুর্বলতা আর
রমণীর সুন্দরের প্রতি পুরুষের দুর্বলতা। ”
সিংহাসনে বসে আছে,মানুষের মাংস দিয়ে বানানো আমার ফিলা।
ফিলা নিজেও জানে না, ফিলা কতো সুন্দর, ভরা চেহারা সাথে উন্মোচিত প্রসার দেহ, ফিলা বসলে ফিলার কোমড়ের মাংসের যে ভাঁজ ফুটে উঠে,
মনে হয় কেউ যেন সুঁচালো কিছু দিয়ে কোমড়ের ফুলে থাকা মাংসে ফূটো করলেই টুপ টুপ করে মিষ্টি রস পড়তে থাকবে।

চোখে এই তৃপ্তির নামই অনুভূতি।
ফিলা সিংহাসনে একটু ডান দিকে হেলান দিয়ে বসে আছে,ফিলার স্ত*ন ডান দিকে হালকা ঝুকে আছে,এই দেহের গড়ন না দেখলে বুঝানো যাবে না।
নাভীর নিচের পেটের ভাঁজের খণ্ড যেন আলাদা আলাদা রপের সীমানা তৈরি করে ফেলেছে,
প্রতি সীমানাতেই যেন কালো তিঁল একেকটা চাঁদের সমুদ্র।
কোনো ধরণের লোমবিহীন ফিলার নাভীর নিচে বগলের এক পাশে কালো তিঁল,যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে নিজের সুন্দরকে তুলে ধরেছে।
অডিটোরিয়াম রুমের কেউ কথা বলছে না।
সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে,

তার মধ্যে আমি ফিলার মুখে ঘোলাটে পানির মতো অসংখ্য মেয়েদের যো*নি র*স বা অরগাজম কেমিক্যাল মিশিয়ে লোভনীয় মসৃণ তরল পদার্থ বানিয়েছিলাম,সেটাই ফিলার মুখে ছুড়ে মারতেই ফিলা যেন নড়ে উঠলো।।
ফিলা এখন আরো উজ্জীবিত।
এবার সবার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম,
সবাই ফিলাকে দেখে সম্মোহিত হয়ে গিয়েছে,
এটাই ফিলার ক্ষমতা।এই সম্মোহন করার জন্যেই আমি ফিলাকে বানিয়েছিলাম।
আমি জানতাম,একদিন না একদিন আমাকে সবার সামনে দাঁড়াতেই হবে।
সেদিনও আমি বেচে ফিরবো,এটাই আমার বিশ্বাস।
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এবার আমার উধাও হবার পালা।
তারপর সেই চুক্তিপত্র বের করলাম,সম্মোহিত অবস্থায় সবাই আমার কথা শুনতে বাধ্য।
কেউ নড়া চড়া করছে না,এক খেয়ালে ফিলার দিকে তাকিয়ে আছে।
এরপর আমি সব অপরাধ, হ*ত্যা,নৃশংস ব্যবসায় সহ সকল অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্তির জন্যে একটি চুক্তি পত্রে সবার স্বাক্ষর নিলাম।।

৯৩ জন স্বাক্ষর দিলো,নিজের অজান্তেই।
আজ থেকে উইলহেমের বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই,যা অভিযোগ আনা হয়েছিলো সব মিথ্যে,এমন একটি চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর নিয়েছি।
তারপর সবাইকে পোশাক খুলে ফেলতে বললাম,সবাই তাই করলো,
পুরো ৯৩ জনের নগ্ন শরীরের ভিডিও করে নিলাম।
অবশেষে ফিলার দিকে তাকালাম,শেষবারের মতো ফিলাকে দেখছি, ইচ্ছে করছিলো,ফিলাকে নিয়েই বের হই….।
তারপর সবাইকে বললাম,এবার ফিলাকে ছুঁয়ে দেখতে পারেন,ফিলা অপেক্ষা করছে,
বলতেই,সবাই ফিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।
দীর্ঘশ্বাস ফেললাম,

এরপর রুম থেকে বের হলাম , অডিটোরিয়াম এর বাহিরে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
যেন সবাই অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে,ভেতরে কি হচ্ছে জানার জন্যে।
আমি বের হতেই সবাই আমার দিকে বন্ধুক ধরলো,
আমি হাত উচু করে স্যারেন্ডার করে কিছু বলতে চাইলাম।
আমাকে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রশাসন কর্মকর্তারা কথা বলার সুযোগ দিলে,তাদের নিকট চুক্তিপত্র তুলে ধরি।
সেখানে আমাকে সকল অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ এবং এখান থেকে বের হওয়ার অনুমুতিতে স্বাক্ষর ছিলো।

তারপর আমাকে আর আটকানো হয়নি।।
যিসাসের সাথে আগে আমার সব পরিকল্পনা ছিলো।
হোটেল থেকে বের হয়ে , সোজা জঙ্গল, সাগর,নদী,সব কিছু পাড়ি দিয়ে,
সেই আমেরিকা থেকে সুইজারল্যান্ড চলে আসি।।
এটাও এক লম্বা সফর।
নতুন এক অধ্যায় শুরু-

খোলা মাঠ,ঝর্ণা বেয়ে নদীর স্রোত,স্রোতের নিচে পাথর, নদীর পাড়েও বড় বড় পাথর,
সকালের উষ্ণহীন ভোরের তাপ,সাথে পাঁকা গমের রঙের মতো রোদের আলো।
আর সেই আলোয় পাথরের ওপর উলঙ্গ শরীরে দাঁড়িয়ে ছিলো এক অসম্ভব সুন্দর রমণী।
খোলা চুল বাতাসে উড়ছিল,পাশ থেকে চেহারা দেখা যাচ্ছিলো না।
আমি অতি আগ্রহ নিয়ে মেয়েটার দিকে এগোচ্ছি,আর তখনই দূর থেকে কেউ একজন উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে ডাকছে,

flesh part 17+18

” ফিলা,রোদের তাপ বেড়ে গিয়েছে,পোশাক পড়ে নে।”
মেয়েটি পাশে রাখা পোশাক -গায়ে মোড়ানো শুরু করলো।
নাম শুনেই আমি কেঁপে উঠলাম,আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম।
আমি ফিলার দিকে তাকিয়ে আছি,
ফিলা আমার দিকে তাকালো।
আমি চোখ সরাতেই পারছি না।
বিকট শব্দ!
আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম।
ফিলা আমাকে গুলি করেছে..

flesh part 21+22

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here