flesh part 21+22

flesh part 21+22
Papilion skyscraper

ফিলা গুলি করেছে,আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম।
রক্ত বের হচ্ছে,ফিলা জেনে বুঝেই আমার পেটে গুলি করেছিলো।
ফিলা চাইলেই আমার বুকে বা মাথায় গুলি
করতে পারতো,আমাকে মে*রে ফেলার ইচ্ছে ফিলার ছিলো না।
আর তারপরে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম, একটু পরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।।

উইলহেম জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে,কেউ একজন আসলো, লোকটি উইলহেমকে কাধে নিয়ে নিকটতম একটা কুটিরে রাখলো।
কুটিরের বেড়ার ভাঙ্গা দিয়ে দুইজন তরুণ বয়সী ছেলে ভেতরে তাকিয়ে ছিলো,
ছেলে দুটোর চোখ আশ্চার্য হবার মতো বড় বড় হয়ে গেলো, লোকটি উইলহেমের পেটে আঙুল ঢুকিয়ে পেট থেকে গুলি বের করে ফেললেন,
আর তারপর কিছু মেডিসিন দিয়ে পেটে চামড়া সেলাই করে দিলেন।
তারপর লোকটি চলে যাচ্ছে, ছেলেরা লোকটির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“কিভাবে এগুলো করলেন?”
– : “যদিও দ্বিতীয় ইশ্বর বলে কিছু নেই,তবে ইশ্বরের ছায়া যদি থাকে,সেই ছায়াটি আমি” এই বলেই লোকটি হাসতে হাসতে চলে গেলেন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

উইলহেম দুই দিন অজ্ঞান ছিলেন,তারপর জ্ঞান ফিরে দেখেন,সে পুরোপুরি সুস্থ।
-” একি আমি এভাবে সুস্থ কি করে হলাম,আমার পেটে তো কোনো ব্যাথাও করছে না।”
অবাক লাগলো,ঘাঁ প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।
যাই হোক,আমি উঠে দাঁড়ালাম। হেটে হেটে সেখান থেকে বাসায় আসলাম।
সুইজারল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো,ফিলার সুন্দর রুপ এবং কোমল হাত আমাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো কম্পিত করেছিলো।
আর সেখান থেকেই আমার এমন সুন্দর একটা পুতুল বানানোর ইচ্ছে হয়েছিলো,এটির সঠিক উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহার করার চিন্তাটিও ছিলো।

রুমের আলো অফ করে দিলাম,জানালার পাশে চেয়ারে বসলাম,কাঁচের জানালা খুলে দিলাম, আমার রুম মাটি থেকে প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতায়।
হালকা মৃদু বাতাস,আকাশের চাঁদ জানালা ভেদ করে আমার চোখে- চোখ লাগিয়ে দিয়ে স্থির হয়ে আছে,
আমি ভাবছিলাম, “উইলহেম এত সহজেই হেরে যেতে পারে না।” “যারা আমার অর্থে চলতো,তারাই আমার সাথে প্রতারণা, তারা কি উইলহেমকে ভুলে গিয়েছে! নাকি এখনো চিনতেই পারেনি!”
চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম, আমার শরীর কাঁপছে। আমি কেন আমেরিকা ছেড়ে সুইজারল্যান্ড এসে এভাবে চলাফেরা করবো।
অসম্ভব এটা হতেই পারে,

গত ২ মাসের সবকিছু মাথায় ঘুরতে লাগলো,আমি আমার রাজত্বে ফিরবো,যে কোনো কিছুর বিনিময়ে ফিরবো,এবার সব শহর আমার প্রতিচ্ছবি দেখে বাহ বাহ দিবে,হ্যাঁ দিতেই হবে।
ছটফট করতে করতে রুম থেকে বের হচ্ছি,দুই ঠোঁটের চাপে সিগারেটের মাথা চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে,রাগে ঘামছিলাম।
হঠাৎ মুখে হাসি ফুটে উঠলো আমার,
অদ্ভুত এক আনন্দ গায়ে ভাসছে,
আমিই আমাকে তৈরি করবো এবার,
ইট পাথরের তৈরি মুর্তির চেয়ে যদি পৃথিবীর সেরা মানুষের মূর্তি কেমিক্যালের আড়ালে মানুষের মাংস দিয়ে হয়,খারাপ হবে না তো।

প্রতিশোধ নেয়া তো বাকি আছে,আমাকে মৃ*ত্যুদণ্ড দেয়া মানুষ গুলোকে দেখে নেয়ার অনেক কিছু আছে।
একটাকেও ছাড়বো না। আমার প্রতিমূর্তির অংশ হবে আমার বিপরীতে দাঁড়ানো মানুষ গুলোর মাং*স।
পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মূর্তি, আমার মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে দেখবে।
আমার ভাস্কর্য বা প্রতিমূর্তির কোনো পচন- গলন কিছু হবে না,চির অমর হবে উইলহেমের প্রতিচ্ছবি।
আর এই সব কিছু করতে আমার ড. ফরাসীকে সবচেয়ে বেশি দরকার।
ফরাসীর কথা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ নাকি মিষ্টি ঘ্রাণ আসতে লাগলো, এত তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণ,
মন চাচ্ছে যেন সামনে যা পাই সব খেয়ে ফেলি,সহ্য করতে পারছি না।

আমার মাথা ধরে যাচ্ছে,অতিমাত্রায়র সুঘ্রাণ এত তীক্ষ্ণভাবে নাকে আসায় আমার পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণা বেড়ে যাচ্ছে।
উন্মাদ উন্মাদ লাগছে,চোখ ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। তীব্র ক্ষুধায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।
সুঘ্রাণ নাক দিয়ে ঢুকতেই ঢেকুর গিলছি,সাথে সাথে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,অনেক বেশি চেষ্টা চালাচ্ছি- জিহ্বা দিয়ে নিজের থুথু গুলো মুখের মধ্যেই চেটে চেটে খাচ্ছি,কোনো ভাবেই তৃপ্তি পাচ্ছি না।
আমার শরীর কাঁপছে, নেশা লেগে যাচ্ছে।
কেউ একজন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে,
বুঝতে পারছি আমাকে চেয়ারে বাধা হল,
আমার যেন কোনো কিছুইতেই খেয়াল নেই,শুধু তীব্র ঘ্রাণ নাকে নেয়া ছাড়া।
হঠাৎ ঘ্রাণের তীব্রতা কমতে শুরু করলো,
আমিও স্বাভাবিক হচ্ছিলাম,সামনে ফরাসী বসে আছে।

সেদিন নোবেল নেয়ার অনুষ্ঠানে ফরাসী নিজের পেটে নিজে ছু’রি ঢুকালেও বড় কোনো ক্ষতি না হওয়ায় পরবর্তীতে ফরাসী বেচে যায়।
যদিও আমার ফরাসীকে মে* রে ফেলারও কোনো ইচ্ছে ছিলো না।
আর এখন ফরাসী আমার সামনে।
আমার শরীরে হাত না দিয়েও ফরাসী আমার ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।।
সেন্ট ব্যবহার করে ফরাসী আমাকে অবচেতন করে ফেলছে, কিছুক্ষণ পর আমার হুশ এলে-
আবার অতিমাত্রার দুর্গন্ধ যুক্ত সেন্ট ব্যবহার করে আমার নাড়ি-ভূড়ি পেট থেকে বের করে আনার
উপক্রম অবস্থা তৈরি করেছে ,যেন আমার পেটের মধ্যে ঝড় চলছে।
তীব্র গন্ধে আমার গলা ফেটে মুখ দিয়ে র*ক্ত বের হচ্ছে।

ফরাসী আবার মুহুর্তেই ঘ্রাণ পরিবর্তন করে আমার যৌ* ন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এটা স্বাভাবিক উত্তেজনার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায়। যেন মনে হচ্ছিলো আমার পুরুষা’ঙ্গ অতি উত্তেজনায় ছিড়ে ফে’টে যাবে।
ব্যা*থা শুরু হয়ে যাচ্ছিলো, কোনো স্পর্শ ছাড়া এভাবে অত্যাচার চালিয়ে যন্ত্রণা দেয়ার উপায় শুধু ড. ফরাসীই জানে।
আমার মস্তিষ্কে র*ক্তের গতি বেড়ে গিয়েছে।
হার্টবিট অতিমাত্রায় চলছে,শ্বাস না নিলেই যেন বেচে যাই।

নিজেই নিজেকে কাঁমড়াতে চাচ্ছিলাম,কিন্তু এমন ভাবে আমাকে বেধে রাখা হয়েছে,আমি মাথা নড়াতেও পারছি না।
এরপর ফরাসী একটা রুমাল আমার নাকের ওপর বেধে দিলো,দুধের ঘ্রাণ কেমন হয়!
যদি এই ঘ্রাণের তীব্রতা এক হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়,দুধ এর সুমিষ্টি ঘ্রাণ মানুষকে পাগল করে ফেলবে। আর দুধের এমন তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ আমার নাকের কাছে।
গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, ইচ্ছে করছিলো রুমাল চিবিয়ে খেয়ে ফেলি,নিজেই নিজের জিহ্বা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরেছি।
ফরাসী আমাকে কোনো কিছু বলার সুযোগই দিচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আবার স্বাভাবিক হচ্ছিলাম,ফরাসীকে অনুরোধ করলাম,আমাকে একটা কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্যে।
অবশেষে ফরাসী মুখ খুলে দিলো,

আমি মুখ খুলতেই বললাম, ” আপনার মেয়ে
“Dytto” বেচে আছে।”
আমার কথা শুনেই ফরাসী থমকে গেলো।
আমার বাঁধন খুলে দিয়ে,ফরাসী আমার সামনে বসলো, আমি আবার বলতে লাগলাম, ” Dytto” বেচে আছে। ” Dytto”কে আমি ভালোবাসতাম,তাই
“Dytto”কে মারতে পারিনি।”
আমার পুতুল বানানোর ব্যাপারে সব কিছু জেনে ফেলেছিলো,তাই তাকে আটকে রেখেছি।

পরে ফোন বের করে ” Dytto” এর ভিডিও দেখালাম।
ভিডিওতে ” Dytto” কোনো এক রুমে ঘুমিয়ে আছে।
ফরাসী ” Dytto”কে দেখেই কেঁদে ফেলে।
আমার দিকে ফরাসী তাকিয়ে বললো, “উইলহেম তুমি যা চাও,আমি তাই করবো ,তুমি শুধু আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও”
ফরাসী আকুতি করতে লাগলো, আমি ফরাসীর দিকে তাকিয়ে আছি,
এরপর মুখ ধুয়ে এলাম,এক গ্লাস ড্রিংক্স নিলাম,
গ্লাসে ড্রিংক্স নিতে নিতে হাসছিলাম,
“Dytto”কে তো সেই কবেই মে*রে ফেলেছি।

কিন্তু সেদিন যখন ফরাসী পুরো হল রুমে সবাইকে একসাথে ভ্রমে ফেলে দিয়েছিলো,তখন থেকেই ভাবছিলাম,কিভাবে ফরাসীকে নিজের মুঠোয় আনা যায়।।
অসংখ্য সার্জারি ডক্টর আমার হসপিটাল গুলোতে সেবা দেয়,সেই সুযোগটাই নিয়েছি,
টাকা দিয়ে একটা মেয়েকে কিনে নিয়ে,ওর মুখে “Dytto” এর চেহারা সার্জারি করিয়েছিলাম।
অপেক্ষায় ছিলাম সঠিক প্রয়োজন আর সুযোগের।
ফরাসী ক্ষমতাসীন হলেও উইলহেমের জ্ঞানের সামনে দাঁড়াতেও পারবে না।।
হা হা হা। বোকা ফরাসী।
এরপর গ্লাস হাতে নিয়ে ফরাসীর সামনে আমি বসে আছি।

– : “তুমি আমার কোনো ক্ষতি করতে চাইলে,”Dytto” কে আর কখনোই পাবে না। তাই আমি যেটা চাই,আমাকে দিতে হবে।”
“তোমার বানানো সেন্ট আমি ব্যবহার করবো।”
ফরাসী কিছু না ভেবেই আমাকে সম্মতি দিয়ে দিলো।
এরপর আমি এক জয়ের হাসি মুখে নিয়ে বের হয়ে গেলাম,আমেরিকার উদ্দ্যেশ্যে।
উইলহেমের প্রতিশোধ কত ভয়াবহ হতে পারে,এবার সবাই বুঝবে।
সেদিন আমার বানানো ফিলাকে সবার মাঝে ধ্বংস করে দেয়ার পর,যতদূর জানায় যায়, দুজন প্রেসিডেন্ট লজ্জায় আত্মহ*ত্যা করেছিলো।
সেখানে কি হয়েছিলো বাহিরের কেউ জানতে পারেনি।
হ্যাঁ,আমার দেখা হবে খুব শীঘ্রই,একজনও রেহাই পাবে না….

ফিলা ট্রেনের প্লাটফর্মে বসে আছে।
রাত ১১ টা বাজবে হয়তো।
বসে বসে আপেল খাচ্ছিলো।
হঠাৎ একজন অদ্ভুত লোক এসে ফিলার রাখা আপেল থেকে একটা আপেল নিয়ে খাচ্ছিলো।
ফিলা কিছুই বললো না,পাশে রাখা আপেল খেতে খেতে ছেলেটা হঠাৎ ফিলার উরুতে হাত দেয়।
ফিলা চুপ করেই বসে আছে, ছেলেটি ভাবলো ফিলা হয়তো ছেলেটিকে সম্মতি দিচ্ছে, ছেলেটি আরো কাছে ঘেষে বসলো,এবার ছেলেটি ফিলার কোমড়ে হাত দিচ্ছে।
ফিলা বসা থেকে উঠে পড়লো,ফিলা এখনো চুপ করে আছে,এরপর ফিলা হেটে হেটে প্লাটফর্মের এক দিকে এসে দাঁড়ালো।

ট্রেইন এসে দাড়ালে প্লার্টফর্মের যে কিনারার সাথে ট্রেন সংযুক্ত হয় সেখানে এসে ফিলা দাড়ালো,আর এক পা সামনে আগালেও রেল লাইনের ওপর পড়ে যাবে, এমন ভাবেই প্লাটফর্মের কিনারায় ফিলা দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটি পেছনে পেছনে এসে ফিলার পাশে দাঁড়ালো,দূর থেকে ট্রেন আসছে,
যেন বনের কোনো পশু গর্জন করতে করতে এদিকেই ধেয়ে আসছে।
ট্রেন প্লাটফর্মে এসে থামলো,ফিলা ট্রেনে উঠে দরজায় দাঁড়ালো,ছেলেটা ট্রেনে উঠার চেষ্টা করতেই ফিলা ছেলেটার চোখে- নিজের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের বড় নখের হালকা সূচালো মাথা –
ঢুকিয়ে চাপ দিতেই ফিলার পুরো আঙ্গুল ছেলেটার চোখ ফেটে ভেতরে ঢুকে গিয়েছে।
বাম হাত দিয়ে একই ভাবে ছেলেটির অন্য চোখটাও গালিয়ে দেয় ফিলা।
ফিলা জামার পকেট থেকে একটা ছোট ছুরি বের করে ছুরির মাথা ছেলেটার কান দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে মোচড় দিতেই ছ্যাত ছ্যাত করে র*ক্ত ছিটে বের হতে থাকে।

কান থেকে ছু*রি বের করলে,দেখা যায় ছু*রির মাথায় মস্তকের কোষ গুলো লেগে আছে।
ছেলেটা ছটফট করতে করতে মা’রা গেলো।
ট্রেন ছেড়ে দিলো,ফিলা ওয়াশরুম থেকে পরিষ্কার হয়ে ভেতরে গিয়ে সিটে বসলো।
ট্রেন চলছে, ফিলা জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে।
ফিলা উইলহেমকে পছন্দ করতো,তবে সেটা নিজের মধ্যেই ছিলো,অথচ উইলহেম এর জন্যে ফিলার পুরো দুনিয়া বদলে গিয়েছে,সেদিন ফিলা উইলহেমকে মারতে গিয়েও ইচ্ছে করেই মারতে পারেনি।
ফিলা বিশ্বাস করতে পারছে না,উইলহেম এত বড়ো অপ’রাধী। উইলহেম এর মতো অপ*রাধী কোনো ভাবেই বেচে থাকতে পারে না। উইলহেমকে অনেক বেশি য*ন্ত্রণা পেয়েই ম*রতে হবে হবে।
ট্রেন গন্ত্যব্যে চলে এসেছে।
ফিলা ট্রেন থেকে নেমেছে,হাসপাতালে যাবে, ফিলা ডক্টর নয়,কিন্তু এই হাসপাতালে ফিলা অনেকটাই ডক্টরের কাজই করে।

ফিলা হসপিটালে ঢুকে সাদা পোশাক পড়ে,অপারেশন টেবিলে ঢুকছে।।
ফিলার হসপিটাল টি অনেক সুন্দর এবং গোছানো,প্রায় আট তলা ভবন এটি।
সুইজারল্যান্ডে ধর্ষ*ণ, নির্যা*তিত মেয়েদের এই হসপিটালেই চিকিৎসা হয়।
তবে আরো একটি কাজ হয়,যেটা এখন ফিলা নিজে করবে,
ফিলা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকছে,ফিলার সাথে আরো দুজন ডক্টর।
বেডে একজনকে শুইয়ে রাখা আছে।
যাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে তিনি সুইজারল্যান্ড এর এক টয় কোম্পানির মালিক,তার কোম্পানির প্রায় নব্বইটি পুতুল জব্দ করা হয়েছে,যেগুলোতে তরুনীদের যো*নাঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে।
ফিলা চোখ বুঝে নিজের সেই ঘটনার কথা মনে করতেই চোখে পানি জমে গিয়েছে।
তারপর আর কিছু না,

ফিলা লোকটির মুখে ব্যান্ডেজের কাপড় ঢুকিয়ে দিলো।
এরপর লোকটিকে নগ্ন করে,বেডে লোকটির হাত পা ব্লক করা হলো।
লোকটির দু পা বেডের দুই কর্নারের সাথে বাধা।
লোকটির পুরু’*ষাঙ্গ আর অণ্ডকোষ দিকে ফিলা তাকালো।
ফিলা ৪০০ গ্রাম ওজনের একটা হাতুড়ি নিলো,ফিলা এক হাত দিয়ে লোকটির পুরু*ষাঙ্গ টেনে ধরে – হাতুড়ি দিয়ে অণ্ড*কোষের ওপর জোরে আ*ঘাত করলো, সন্তান জন্মদানের প্রসব ব্যাথার চেয়েও অনেক বেশি ব্যাথা অনুভূতি হয় অণ্ডকোষের ওপর আঘাত করা হলে।

ফিলা এবার দুই আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে লোকটার অণ্ডকোষ ছু*রি দিয়ে কাটতে লাগলো,
ব্যাথায় তার চিৎকারে গলার নর্মস গুলো ছিড়ে ফেটে যাচ্ছিলো।তল পেট ব্যাথা কলিজা পর্যন্ত চলে এসেছে।
এই ব্যাথা কোনো শব্দে লিখে বুঝানো যাবে না।
লোকটার হাতে পায়ে খি*চুনি শুরু হয়ে গিয়েছে,
বিছানার চাদর খামচে ছিড়ে ফেলার অবস্থা।
চোখ দিয়েও র*ক্ত বের হচ্ছে।।
নিতম্ব,পেট ব্যাথায় শক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এরপর ফিলা লোকটির পুরুষা*ঙ্গের ওপরের চামড়া খলসাতে লাগলো।
ফিলার চোখ মুখে রাগ,আর মস্তকে মাতৃ অঙ্গ কে’টে নেয়ার মুহুর্তের কল্পনা।
কিছুক্ষণ পরেই লোকটি মা’রা গেলো।
ফিলা হাসছে,এরপর লোকটির লা’শ উপুর করলো,হাটুর জোড়া অংশে কু’ পিয়ে কু’পিয়ে শরীর থেকে আলাদা করলো,তারপর শরীর থেকে গলা কে-টে আলাদা,চামড়া সহ বডির মাং*স সাধারণ মাং*সের মতো পিস পিস করে টুকরা করলো।

মাং*স গুলো থেকে গরম ভাঁপ বের হচ্ছে,খুব বেশি লাল না,মানুষের মাং*সের ভটকা গন্ধ,মাং*সের ওপরে চর্বি জমে আছে,তারপর একটা বক্সে মাং*সের পিস গুলো রেখে বক্স নিয়ে ফিলা বের হয়ে গেলো।
পাশেই ফিলার ফার্ম আছে,ফার্মে অনেক প্রজাতির কু-কুর আছে।
বক্স থেকে মাংস বের কু*কুর দের খাওয়াচ্ছে।
বক্সে আনা মাং*স শেষ হয়ে গেলে কু-কুর গুলো ফিলার হাত চাটছিলো।
ফিলা হেসে দিলো,যে হাতে
তেলের ছিটা পড়ায় সার্জারি করিয়েছিলো,সে হাত কু*কুর জিহ্বা দিয়ে চাটছে।
কাজ শেষে তারপর আবার ট্রেইন ধরে বাসায় ফিরলো ফিলা।

অন্যদিকে উইলহেম আমেরিকার উদ্দ্যেশ্যে বিমানে চড়েছে।। বিমানে পাশের সিটে লোকটাকে দেখেই উইলহেম ভয় পেয়ে যায়।।
নাজিম শেইখ এখানে কি করছে,এই লোকটা এখানে থাকা মানেই আশে পাশে কোনো খু*ন হয়েছে।
হঠাৎ চিৎকার,হ্যা ঠিক ধরেছি,ওয়াশ রুমে কেউ একজন ম*রে পড়ে আছে।
আমি নিশ্চিত এটা নাজিম শেইখের কাজ।
বনের রাজা সিংহ হলেও,সিংহ কখনো হাতির গন্ডিতে পা রাখেনি। তেমনি আমি সব জায়গা রাজত্ব করলেও কখনো নাজিম শেইখ এর বিপরীতে গা ভাসাইনি।

-“হ্যালো,উইলহেম আমেরিকায় তোমাকে আবার স্বাগতম ”
– ” কিন্তু নাজিম তুমি এই ফ্লাইটে কিভাবে? ‘
– “আমার বন্ধু আমেরিকায় যাচ্ছে,আর আমি তাকে স্বাগতম জানাতে একটা ফ্লাইটে আসতে পারবো না?”
আমি বসে বসে ভাবছিলাম,নাজিম শেইখ কি শুধু আমার জন্যেই এখানে এসেছে!
নাজিম শেইখ মধ্য প্রাচ্যের প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ী, যদিও তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার।
বড় বড় সেতু ব্রিজ বা রাস্তা বানানোর কন্ট্রাক্ট নিয়ে থাকে নাজিম। সেদিন রাস্তায় পিচ ঢালাই এর জন্যে আলকাতরা আগুনে গলাচ্ছিলেন।
আগুনের তাপে আলকাতরা -গরম তেলের মতো বুট বুট করে ফুটছিলো,নাজিমের কয়েকজন লোক হঠাৎ দুজন জ্যান্ত লোককে ধরে এনে-

সেই গরম করা আলকাতরার ওপর ছেড়ে দিলো।
আমি সেখানেই বসে ছিলাম,চমকে গিয়ে বসা থেকে উঠে দাড়ালাম, লোক গুলোর চিৎ’কার কানে আসছিলো।
নাজিম শুধু এভাবেই না।
পাথরের সাথে পিচ মিশ্রণের তাওয়াতে কত লোকদের পু’ড়িয়ে মে’রেছে তার হিসেব নেই।।
নাজিম যার সাথে ব্যবসায়ী চুক্তিতে যায়,ঝামেলা হলেই এভাবে সমাধান করে।
আমি নিশ্চিত নাজিম অন্যকিছুর জন্যেই আমেরিকা যাচ্ছে।
তারপর দুজনে ফ্লাইট থেকে নামলাম।
কেমন যেন পুরো এয়ারপোর্টেই পুলিশ ফোর্স রাখা আছে।
আমি চুপ চাপ হেটে যাচ্ছি, সবাই আমাকে দেখে চমকে গেলো।
কেউ স্যালুট দিচ্ছে,কেউ আবার ঘামছে।

কিন্তু আমি যে এখানে আসবো এটি তো কারোর জানার কথা না।
হঠাৎ খেয়াল করলাম,আমার পেছনে আরো কেউ একজন বিমান থেকে নামছে,
মূলত তার জন্যেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তাকাতেই দেখি, তিনি আমার অনেক চেনা-জানা লোক, আমেরিকার প্রশাসন প্রধান মি. এন্ড্রিউ আসছেন।
কেমন যেন আমার মুখে হাসি ফুটে উঠলো,
উনাকেই আমি খুঁজছিলাম,চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা। এন্ড্রিউ এখান থেকে সোজা বাসায় যাবেন, বিশ্রামের জন্যে।
তাহলে আমি কোথায় যাবো সেটা এখন চিন্তার ব্যাপার।

এন্ড্রিউ আমার দিকে তাকালেন, হেটে হেটে চলে যাচ্ছে,আড় চোখে হালকা হাসি হাসলেন আমার ইঙ্গিত করে।
আমার গায়ে যেন ফোসকা পড়লো,এন্ড্রিউ এর চোখে আমাকে বিদ্রুপ করার হাসি দেখেছি।
এয়াপোর্ট থেকে বের হয়ে আমি গাড়িতে বসে আছি,এন্ড্রিউ তার নিজের গাড়িতে বসলেন।
আমি তার পেছনে পেছনে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।।
এন্ড্রিউ তার নিজ বাসায় ঢুকে পড়লো,
আমি বাসার পাশেই দাঁড়ালাম।
অপেক্ষা শেষ হলো,রাত ১ টা বাজে,
আমি এন্ড্রিউ এর বাসায় ঢুকবো।
নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা পেরিয়ে এন্ড্রিউ এর কাছে যাওয়া আমার জন্যে অস্বাভাবিক কিছুই না।
কারণ অর্থের কাছে সবাই ক্ষীণ।

আমি এন্ড্রিউ এর রুমের বাইরে দাড়িয়ে আছি,
রুমে ঢুকে দেখি এন্ড্রিউ ঘুমাচ্ছে,
এন্ড্রিউকে আমি ঘুম থেকে জাগালাম, লোকটার বয়স পঞ্চাশ হবে।
কোনো কথা বলার সুযোগ দিলাম না,সোজা এন্ড্রিউ এর মুখের মধ্যে ছু*রি ঢুকিয়ে দিলাম, ছু’রি মাথার ঘাড়ের দিক দিয়ে বের হলো, যথা সাধ্য ছু*রিটি ওপর দিকে টানলাম,এন্ড্রিউ এর নাক ছেদ হয়ে দু চোখ দু ভাগ হয়ে গেলো।
র*ক্ত ছিটে ছিটে আমার মুখে লেগে গেলো।
এন্ড্রিউ চিৎ*কার করার সুযোগ পেলো না।

flesh part 19+20

এরপর এন্ড্রিউ এর শরীর থেকে মাং*স ছাড়িয়ে নিলাম। নিত*ম্ব থে*কে, মেরুদণ্ড থেকে কিছু মাং*স নিলাম।
ব্যাগে করে মাং’স নিয়ে বের হয়ে চলে এলাম।
সরাসরি আমার নতুন বাসায় চলে এলাম।
রুমে ঢুকতেই অবাক, এটা কিভাবে সম্ভব,আমি এখানে এসেছি,কেউ তো জানার কথা না,অথচ ওয়াটসন আমার রুমে বসে আছে….

flesh part 23+24

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here