flesh part 5+6

flesh part 5+6
Papilion skyscraper

শারীরিক যন্ত্রণায় মানুষ মৃ*ত্যুকে ভয় পায়,আর মানসিক যন্ত্রণায় মানুষ চিৎকার করে মৃ*ত্যুকে ডাকতে থাকে!
অর্নির দেহে হাত দিতেই অর্নি অনেকবার অবচেতনের সাথে নড়ে-চড়ে উঠেছিলো।
আর আমি শক্ত করে ওর দু’পা লকড করে রেখেছিলাম,যাতে করে পার্টস কা*টার সময় না নড়তে পারে।
নড়লে হয়তো আবার সুন্দর শেইপের ব্যাঘাত ঘটবে।
আমার বোনের জ্বর আসলে – ও যদি ঘুমাতো,আমি পাশে বসে থাকতাম,যাতে জ্বরে না কাতরায়।
ওর যাতে একা না লাগে।।

আর ওর অঙ্গ গুলো আমি নিজের হাতে কে*টেছি।
সব বিবেক যেন এখন আমার মস্তিষ্কে বসবাস করতে চলে এসেছে।
২ বছরের বদ্ধ রুম ভয়ংকর ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছে, নাকে নতুন করে লাশের গন্ধ আসছে।
সব অসহ্য লাগছে,ফিলার চেহারাটাও দেখে যেন ঘৃণা জমে উঠেছে।।
এক এক করে সব গুলো মেয়ের চেহারা চোখে ভাসছে। ব্রেইনে প্রচুর চাপ লাগছে।
রাত প্রায় ১২ টা বাজে। রুম থেকে বের হয়ে এলাম।
ফাকা রাস্তা, ল্যাম্পোস্টের কমলা রঙের আলোয় নিশ্চুপ চারপাশ।
হঠাৎ দূরে কেমন যেন আলো দেখা যাচ্ছে,- রেড,গ্রিন,ইয়োলো,আরো অনেক রঙের আলো হবে হয়তো। আরেকটু কাছে যেতে মিউজিকের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছি-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

প্রচুর মানুষের ভিড়, স্টেজ শো হচ্ছে-
ভিড় ঠেলে সামনে এগোলাম।
হঠাৎ আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো,ভয় পেয়ে গেলাম-“Dytto” নাচ করছে। পুরো স্টেজ একাই নেচে দর্শক মাতাচ্ছে।
সবাই হৈ-হুল্লোড় করতে ব্যস্ত।
“Dytto” নাচ করছে,অথচ আমার চোখে ভেসে উঠছে,সেদিনের নৃশংসতা।
আমি “Dytto” কে ডাকলাম। আরো জোরে ডাকলাম,কিন্তু এত শব্দের ভিড়ে “Dytto” শুনছে না।জোরে চিৎকার দিলাম,মুহুর্তেই সব ফাকা।
নাহ,এখানে কোনো স্টেজ নেই,মিউজিক নেই,”Dytto” নেই।
তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলাম।।

প্রচণ্ড ক্ষুধা লেগেছে কতদিন না খেয়ে আছি মনে নেই।।
কিচেনে গিয়ে খাবার খুঁজতে লাগলাম, অদ্ভুত ভাবে অবাক লাগলো।।
কেউ আমার জন্যে মাংস রান্না করেছে,মাংস থেকে এখনো গরম ধোয়া বের হচ্ছে।
শুধু মাংস ই না,মাংসের সাথে বেশ কিছু অন্য খাবার ও রান্না করা আছে।
এত আইটেমের রান্না কে করলো,আমার বাসায় আবার কেউ ঢুকে পড়লো না তো।
কিচেন থেকে বের হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দেখি, ফিলা বসে বসে পিয়ানো বাজাচ্ছে।
আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো, ফিলা কিভাবে চলা ফেরা করছে।
আমি দৌড়ে ফ্লাট থেকে বের হয়ে যেতে চাইলাম।
অদ্ভুত ভাবে বাসার মেইন দরজা লকড ছিলো।কোনো চেষ্টা করেই দরজা খুলছিলো না।। তারপর ক্লান্ত হয়ে সেখানেই বসে ছিলাম।

আরো দু’দিন চলে যায়,আমি ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছি।
উপায় না পেয়ে আবার কিচেনে যাই।।
ফিলা প্রতিদিন রান্না করছে,ওর রান্নার ঘ্রাণে পুরো বাসা তাল-মাতাল।
ফিলা আস্তে আস্তে হেটে কোথাও যাচ্ছে,আমি ফিলাকে অনুসরণ করছি,
ফিলার হাতে ছুড়ি-
একি! ফিলা ফ্রিজিং বক্সের কাছে এসেছে, রেখে দেয়া লাশ গুলো থেকে ফিলা অনেক ধীরে ধীরে কিছু মাংস কেটে নিলো।
তারপর আবার কিচেনে।
ফিলা মাংস গুলোকে সুন্দর ভাবে আগুনে পুড়িয়ে রান্না করলো।
টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখে দিলো।
মানে ফিলা মানুষের মাং*স রান্না করছে।

উপায় না পেয়ে,আর সহ্য হচ্ছিলো না-অবশেষে আমিও কিছু মাংস খেলাম।
রাতে ঘুমে চোখ লেগে এসেছিলো,তখনি হঠাৎ শুরু হয় চিৎকার, ফিলার গলার থেকে চিৎকার আসছে।
নাহ,ফিলা একা চিৎকার করছে না। প্রত্যেকের গলার সুর আলাদা।
একান্ন জন একসাথে কান্না করতে কতটা ভয়ংকর লাগে,আমি বুঝাতে পারবো না।
কান্নার সুর অনেক ভয়ংকর।

এক পর্যায়ে আমার চোখ, কান ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। কেউ থামছে না।।
মনে হচ্ছে,যখন ওদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ গুলো যখন কাটতাম,তখন সজাগ থাকলে যন্ত্রণায় যেভাবে চিৎকার করতো,সেই একই ভাবে এখন চিৎকার করছে।।
আমি সহ্য করতে পারছি না,এখান থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।
অনর্গল রক্ত পড়ছে আমার কান ফেটে।।

আমি চিৎকার করছি,কিন্তু ওদের চিৎকার এর কাছে আমার চিৎকার শোনার কেউ নেই।
সবার গলার চিৎকার আমি আলাদা করে শুনতে পারছি,।
হঠাৎ সব কিছু চুপ চাপ হয়ে গেলো,ফিলা সেখানে পড়ে আছে।
এরপর- প্রতিদিনই সকালে ফিলা গোসল করে, ভেজা চুল রোদে শুকায়।
শাড়ি পড়ে, প্রচণ্ড সাজুগুজু করে।।
বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে।
আবার একা একা বসে জানালা দিয়ে আকাশে তাকিয়ে থাকে, প্রচণ্ড চুপ চাপ হয়ে বসে থাকে।।
কখনো আবার গলা ফাটিয়ে গান করে।
কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রেডিও শুনতে থাকে,হঠাৎ করে নাচতে থাকে।।
আমি রুমের এক কোণায় অবচেতনের মতো পড়ে আছি।
আমি আর নিতে পারছি না।।এই অত্যাচারের থেকে মৃত্যু অনেক ভালো,আত্মহ*ত্যা করবো সিদ্ধান্ত নিলাম..
তখনি কেউ একজন আমার বাসার দরজায় কড়া নাড়ল…………।

ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর ওয়াটসন -শেইফ এলিস এর বাসায় এসেছে।
শেইফ এলিস মিসিং আজ প্রায় তিন মাস হলো।
আর এরপর থেকেই প্রশাসনের ওপর বাড়তি চাপ,নিখোঁজ হওয়া কেইস গুলো নিয়ে।
শেইফ এলিস দেশের সেরা রাধুনী। পলিটিকাল পারসন,খেলোয়াড়,অভিনেতা, ব্যবসায়ী সহ বড় পেশাদার ব্যক্তিরা সবাই তার সাথে সুপরিচিত।
এলিস সবারই প্রিয়, তার শত্রু আছে,ভাবাই যায় না।
বয়স বড় জোর চব্বিশ হবে। কিন্তু চেহারায় যেন সতেরো বছরের লাবণ্য।
একজন শেইফ এর এত সুন্দর চেহারার রহস্য সবার অজানা।
এলিসকে শেষ বারের মতো তার বাসায় ঢুকতে দেখা যায়,আর বের হতে দেখা যায়নি।
নিখোঁজ হওয়ার রাতে তার বাসায় রান্না হয়েছিলো। টেবিলে খাবার সাজানো ছিলো।
প্রাথমিক তদন্তের সুত্রে জানা যায় সেদিন এলিস একা ছিলো না,কারণ টেবিলে দুটো প্লেটে খাবার ছিলো এবং দুটো গ্লাসে ড্রিংক্স ছিলো।

এলিসের সাথে আরো একজন ছিলোই।
এলিসের নিখোঁজ হবার পেছনে দ্বিতীয় ব্যক্তির হাত আছে বলে নিশ্চিত ধরা হচ্ছে।।
কিন্তু কে হতে পারে,সেই ব্যক্তি।
এলিস প্রায় নিজের বাসায় এমন ডিনারের আয়োজন করতেন।
তাই নির্দিষ্ট কাউকে সন্দেহ করা কঠিন।
তাই তদন্তের জন্যে ওয়াটসন আবার এসেছে-
পুরো বাড়ি ওয়াটসন তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে।
হঠাৎ ওয়াটসন থম খেয়ে গেলো- অবিশ্বাস্য তথ্য উঠে আসলো।
বাথরুমের কমোডে রান্না করা মাংসের উচ্ছিষ্ট পাওয়া গিয়েছে।
ল্যাবে পরীক্ষা করার পর-সবাই কেঁপে ওঠে।
সেটা মানুষের রান্না করা মাংস ছিলো।

তারমানে, সেদিন রাতে এলিসের বাসায় মানুষের মাং*স রান্না হয়েছিলো।
শেইফ এলিস মানুষের মাংস রান্না করে খেতেন তাহলে।
নিখোঁজ হওয়ার রাতে এলিস এর সাথে দ্বিতীয় ব্যক্তিও কি তাহলে মানুষের মাং*স খেতেন!
প্রশ্নের ধাধা চেপে ধরছিলো ওয়াটসনকে।
এলিস কি বেচে আছে! নাকি সেদিন রাতে এলিসের সাথে দ্বিতীয় ব্যক্তি -এলিসকেই রান্না করে খে*য়ে নিয়েছে।
নাকি এলিস তার সাথে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তির মাং*স রান্না করে নিজেই খে*য়েছে।
আর তারপর গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

নাকি বাকি পঞ্চাশ মেয়ের নিখোঁজ হবার সাথে এলিস এর নিখোঁজ হবার সংযোগ রয়েছে।
এরপর এলিসের তথ্য তদন্ত করতে গিয়ে পুরো ইনভেস্টিগেট টিম আরো বড় হোচট খায়-
শহরের আরো বিভিন্ন বয়সের নিখোঁজ হওয়া মানুষ গুলোর ফাইল সামনে নিয়ে আসা হলে-
সাধারণ ধারণায় আন্দাজ করা হয় -বিভিন্ন বয়সের কিছু মানুষ নিখোঁজ হওয়ার পেছনে শেইফ এলিস এর হাত থাকতে পারে।।
তাহলে এলিস নিখোঁজ হবার পেছোনে কে..

এই মানসিক অত্যাচারের থেকে মৃ*ত্যু অনেক ভালো,আত্মহ*ত্যা করবো সিদ্ধান্ত নিলাম..
তখনি কেউ একজন আমার বাসার দরজায় কড়া নাড়ল।
এত রাতে আবার কে আসলো। আমি দরজার সামনে যেতেই দরজা নিজে থেকে খুলে গেলো।
একটা মেয়ে নিচু হয়ে তার শাড়ির কুঁচি ঠিক করছিলো।মেয়েটা আমাকে দেখেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো- “ওহ,আপনি! দেখুন,আমি শাড়ির কুঁচি গুলো ঠিক করতে পারছি না,সেই পার্ক থেকে কষ্ট করে আপনার কাছে হেটে এলাম।”

কথা গুলো শুনে আমি ঘামছি,আমার রুমের ওই কোণায় লাশের বক্সে মেয়েটার লাশ ফ্যাকাসে হয়ে পড়ে আছে। আমিই তো মেয়েটাকে পার্ক থেকে তুলে নিয়েছিলাম।
যতটুকু দেহ বক্সে পরে আছে,তার অনেক টুকু মাংস আবার ক্ষুধার টানে আমি এত দিনে খেয়েও নিয়েছি।
আর এখন মেয়েটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে তার কুঁচি ঠিক করে দিতে বলছে।
মেয়েটা কিছু না বলেই আমার বাসায় ঢুকে পড়লো-

– ” একি! আপনি আত্মহ*ত্যা কেন করতে চাচ্ছিলেন?” “আপনি তো মরলে হবে না”
একটুপর-মেয়েটা নিজেই আমার ল্যাবের বেডে গিয়ে শুয়ে পড়লো,আর হাতে একটা ছুড়ি নিয়ে মেয়েটা তার নিজের পেটের মাংস থেকে চামড়া ছিলতে লাগলো।
অদ্ভুত ভয়ংকর ভাবে মেয়েটা নিজের চামড়া খসাতে লাগলো।
আর প্রচণ্ড চিৎকার করছে। হঠাৎ আমার মায়া হতে লাগলো,আমি বর্বরতা আর দেখতে পারছিলাম না,নিজেকে পাপি মনে হচ্ছে,কারন এভাবেই আমিই মেয়েটার চামড়া শরীর থেকে খসিয়ে নিয়েছিলাম।
হঠাৎ খেয়াল করলাম মেইন দরজা খোলা, আর কিছু না ভেবেই রুম থেকে বের হয়ে চলে এলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে সোজা যেদিকে চোখ যায় হাটছি,কোনো থামা-থামি নেই হঠাৎ-রাস্তার বিল বোর্ডে বড়ো পর্দায় নিউজ দেখলাম-

“আমেরিকা, চিন,কোরিয়া সহ ভারত উপমহাদেশর বেশ কিছু টয় শপে সে*ক্স টয় গুলোর যৌ*নাঙ্গতে হিউম্যান যৌ*নাঙ্গের কোষ ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে।
অর্থাৎ, টয়গুলোতে মানুষের অরিজিনাল যৌ*নাঙ্গ কেমিক্যালের মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
এমন নিউজ দেখে,আমার মাথা পুরো অগোছালো হয়ে গেলো।
এবার কি তাহলে সব ফাঁস হয়ে যাবে।।
পুলিশ কি তাহলে আমাকে খুঁজছে………..।

হ্যাঁ,ওয়াটসন আসামিকে খুজঁছে-
শহরের আরো বিভিন্ন বয়সের নিখোঁজ হওয়া মানুষ গুলোর ফাইল সামনে নিয়ে আসা হলে-
সাধারণ ধারণায় আন্দাজ করা হয় -বিভিন্ন বয়সের কিছু মানুষ নিখোঁজ হওয়ার পেছনে শেইফ এলিস এর হাত থাকতে পারে।।
তাহলে এলিস নিখোঁজ হবার পেছনে কে!
ওয়াটসন কোনো সুত্রই খুঁজে পাচ্ছে না।
হঠাৎ মাথায় যুক্তি চেপে বসলো-
যেহেতু এলিসের সাথে যে ব্যক্তি ছিলো সে নিজেও মানুষের মাং*স খেতো।
তারমানে অবশ্যই তিনি এলিসের প্রচুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হবে। এলিসের পরিবারে তেমন কেউ ছিলো না।
ওয়াটসন দেশের সেরা কিছু ব্যক্তিদের লিস্ট করলো,কেউ ব্যবসায়ী,কেউ সাইন্টিস্ট,কেউ এক্টর।
কাকে সন্দেহ করবে,বুঝে উঠতে পারছিলো না।লিস্টের সবাইকে পর্যবেক্ষণে নেয়া হয়েছে।
আর এই লিস্টে আমেরিকান বিখ্যাত টয় রিসার্চিস্ট ড.সেহজান এর নামও আছে।
যিনি সেক্স টয় তৈরি করেন,যার টয় সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত,সুন্দর মেয়েদেরকেও তার টয় গুলোর সামনে অসুন্দর মনে হয়।

এমনটা ভাবতেই ওয়াটসনের টনক নড়ে উঠলো।
সুন্দরী মেয়ের কথার সাথে সুন্দরী টয়ের যেন কোথাও একটা মিল আছে।
কিন্তু একান্নটা মেয়ের নিখোঁজ তালিকায় তো
ড. সেহজান এর বোন অর্নির নামও আছে।
ওয়াটসন বুঝতে পারছিলেন না,এই মেয়েগুলো নিখোঁজ হবার পেছনে কি আদৌ শুধু একজনেরই হাত রয়েছে, নাকি কেইস গুলো আলাদা আলাদা।

কিন্তু এই একান্নটা মেয়ের লাশ আদৌ পাওয়া যায়নি,যদি প্রতিশোধ বা রেইপড কেইসের জন্যে মেয়ে গুলো মিসিং হতো তাহলে তো লাশ পাওয়া যেতো,কিডন্যাপিং হলে তো টাকা দাবির চাহিদাও থাকতো।
কিন্তু কোনো কিছুই নয়- সব যেন উধাও,স্বর্গে চলে গেছে,তাই কোনো প্রমাণ নেই!
সুত্র খুঁজে না পেয়ে ওয়াটসনের প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো।
ওয়াটসন বসে-বসে নিখোঁজ হওয়া মেয়ে গুলোর শেষ অবস্থান চেক করছিলো।
সেহজান এর বোনের শেষ অবস্থা চেক করতে গিয়ে ওয়াটসন চমকে গেলেন।
যে রাতে সেহজান এর বোন অর্নি পার্ক এর পাশ থেকে নিখোঁজ হয়েছিলো,লোকালয় হওয়ায় নিকটস্থ এক সিসি ক্যামেরায় অর্নিকে দেখা যায়,তার কিছুক্ষণ পর একই সিসি ক্যামেরা ড.সেহজান এর গাড়ি চলতে দেখা যায়।
তার মানে কি সেহজান এর সাথে তার বোন অর্নির দেখা হয়েছিলো সেদিন রাতে!

ভাবতে-ভাবতে হঠাৎ কল বেজে উঠলো- “স্যার,
ড. সেহজান এর অফিসের ল্যাবে সার্চ করে -মেয়ে মানুষের চামড়ার অংশ বিশেষ পাওয়া গিয়েছে”-
শুনেই ওয়াটসন দাঁড়িয়ে গেলো-যেন সব মিলে যাচ্ছে।।
লাইটারের তাপে স্মোকের ধোয়ার তামাশা শুরু।
কোমড়ে গুজে রাখা রিভলবার, আর ঠোঁটে সিগারেট।
সিগারেট টানতে-টানতে ওয়াটসন সোজা ড.সেহজান এর বাসায় চলে এলেন।

বাহিরে বিল বোর্ডে এমন নিউজ দেখার পর আমি দৌড়ে বাসায় ঢুকলাম,সব ধরা পড়ে গেছে হয়তো-
এবার বদলাতে হবে আমাকে।
রুমে ঢুকতেই আমি অবাক হয়ে যাই,আমার দিকে রিভলবার তাক করে,ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর ওয়াটসন আমার রুমে বসে আছে।
পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমি স্যারেন্ডার করে, ভেতরে আসলাম। ওয়াটসন আমাকে চেয়ার দিলো বসতে।
আমি ওয়াটসনের মুখোমুখি বসলাম।
শেষ! সব কিছু শেষ আর কোনো রাস্তা নেই বেচে যাওয়ার।
ওয়াটসন আমার দিকে তাকিয়ে – “এত সহজেই হার মেনে গেলেন? জানেন তো, ভুল কিছু যেখানে শুরু হয়- সেখান থেকেই শুরু হয় ক্রাইম”
আমি শুধু চুপ চাপ তাকিয়ে আছি-

– “বলুন,কেন এত গুলো খুন করলেন?”
আমি বসা থেকে উঠে,ওয়াটসনের হাত ধরলাম,আকুতি করে বলতে লাগলাম, “আমাকে বাচান,আমাকে এখান থেকে বের করুন,আমি এখানে থাকলে নিশ্চিত মারা যাবো”
ওয়াটসন আমার আচারণ দেখে অবাক হয়ে গেলো।
এরপর ওয়াটসন কে আমি সব বলতে লাগলাম…..
ফিলাকে তৈরি করার ইচ্ছে,তারপর একের পর এক মেয়েকে তুলে আনা,তাদের মাংস দিয়ে ফিলাকে বানানো,সব বললাম।

ফিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে ফিলার অদ্ভুত আচারণ।
এরপর থেকে একের পর এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে থাকে।
ফিলার প্রতিদিন রাতে চিৎকার,নাচ,রান্না করা,
সব খুলে বলি, ওয়াটসনকে বার বার অনুরোধ করলাম,আমাকে ফিলার হাত থেকে বাচাতে,আমাকে প্রচুর মানুষিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।
ফিলা যে জীবিত হয়ে গেছে,এটা ওয়াটসনকে বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম।।
সব কিছু শুনে ওয়াটসন হাসতে লাগলো-

ড.সেহজান এবার বলুন আপনি আপনার বোনকে কেন মারলেন?
ওয়াটসনের থেকে এমন প্রশ্ন আমাকে বিচলিত করলো,- “আমি অর্নিকে মারিনি,কাকতালীয়ভাবে যাকে তুলে নিয়েছি,পরে দেখি সেটা অর্নি ছিলো”
ধমক দিয়ে আমার কথা থামিয়ে দিয়ে ওয়াটসন বললো, “আপনি সেদিন এক ঘন্টার বেশি অর্নিকে ফলো করেছিলেন,এরপর নিরাপদ জায়গা থেকে অর্নিকে তুলে নিয়েছেন,সিসি ক্যামেরার রিপোর্ট তাই বলছে, সত্যিটা বলুন।”

আমি আর উপায় না দেখে বলতে শুরু করলাম,
“অর্নি দেখতে সুন্দর ছিলো,
যেটা আমি খুঁজছিলাম,সেটা অর্নির কাছে ছিলো, বার বার মনে হতো।
তাই নিজের চাহিদার আক্রোশের কাছে সব কিছু হেরে গিয়েছিলো,ওর মুখ আমিই ঢেকে রেখেছিলাম,কারন ও আমার বোন,হয়তো মায়া চললে আসতে পারে,তাই মুখ ডেকেই ওর শরীর কেটেছিলাম।।
শুরু থেকে আপনাকে যা শুনিয়ে সব টুকু সত্যি হলেও শুধু অর্নির টুকু অসত্য বলেছি,অর্নিকে নিজের ইচ্ছেতেই মেরেছি।

ওয়াটসন হাসতে হাসতে বললো, “সেহজান, আপনি তো আরো অসংখ্য মিথ্যে বলেছেন।”
ফিলাকে ভৌতিক পুতুল সাজিয়েছেন কেন?
ফিলার অরগাজম,ফিলার চিৎকার,,” Dytto” এর নাচ দেখেছেন রাস্তায়,সব মিথ্যে।
ভাবছেন, এসব উদ্ভট গল্প বললেই,আমি আপনাকে মানসিক ভারসম্যহীন রোগী ভেবে নিয়ে জ্বেলে না পাঠিয়ে হসপিটালে পাঠাবো?.বাহ,আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয় ড.সেহজান।
নিজেকে পাগ*ল বানানোর অভিনয় করবেন না।
একটুকুও শাস্তি আপনার কম হবে না।
ওয়াটসন বিশ্বাস করুন আমি মিথ্যে বলছি না,ফিলা মৃত নয়, ও জীবিত।

– “সেহজান,আগেই বলেছিলাম,মানুষ সত্য লুকাতে পারলেও ভুল লুকাতে পারে না”
আপনি আমাকে গল্প শোনালেন,ফিলা আপনাকে প্রতিদিন মানুষের মাংস রান্না করে খাওয়াতো,আপনি বাধ্য হয়ে জোর করে ক্ষুধার তাড়নায় খেতেন,
আপনি লাশের অঙ্গ গুলো কা*টার পর আপনি লাশ গুলো ফেলে দিলেন না কেন?
-আমি একটু জড়োসড়ো হয়ে বললাম, “লাশ গুলো ফেলে দিলে হয়তো,সুত্র ধরে আমার কাছে চলে আসতে পারতেন,তাই।”
– “নাহ,ড. সেহজান,আপনি আবারো মিথ্যে বলছেন,আপনি অনেক আগে থেকেই মানুষের মাংস রান্না করে খেতেন,এটা আপনার শখের খাবার ছিলো। অতএব ফিলা কখনোই আপনাকে জোর করে মানুষের মাংস খাওয়ায় নি।
আপনি ফেঁসে গেছেন অনেক আগেই,হা হা হা।”

“তা,সেহজান সাহেব,শেইফ এলিস কে আপনি চিনেন তো?”
“কি? কথা বলছেন না কেন? বলুন?”
এরপর,ওয়াটসন আস্তে আস্তে রেখে দেয়া ফ্রিজের কাছে গেলেন,কত গুলো লাশ।
দেশের সেরা সুন্দরীদের লা*শ।
এক কোণায় শেইফ এলিসের লাশ।
ওয়াটসন লাশ গুলো দেখে হেসে দিলেন-এরপর সেখান থেকে কিচেনের দিকে গেলেন-
কিচেনে পিছ পিছ করে সুন্দরী মেয়েদের লোভ লাগানো অংশ গুলোর মাংস কেটে রাখা আছে-
উত্তেজনায় স্তব্দ চারপাশ,ওয়াটসন গ্যাসের স্টোভ জ্বালালেন,তেলের উত্তাপে কঁড়াই গরম হচ্ছে।
আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি,ওয়াটসন কি করতে চাচ্ছে,বুঝতে পারছি না।
ছ্যাত করে উঠলো কড়াইয়ের তেল-

flesh part 3+4

ওয়াটসন- তেলে- মাংস ছেড়েছে।
থকথক করা কোমল নরম গোলাপি রঙের মাংসের কয়েক পিছ ভেজে -একটা প্লেটে রাখলেন।
আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে-
এরপর-ওয়াটসন মানুষের ভাজা মাংসের টুকরো গুলো ছুড়ি দিয়ে কেটে কেটে নিজের মুখে তুলে নিয়ে চোখ বুঝে চিবুতে লাগলেন।
অমৃতের মতো চিবিয়ে চিবিয়ে মাংসের রস গুলোর স্বাদ নিচ্ছিলেন…….

flesh part 7+8

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here