Love Marriage part 4 || Bangla Love Story

Love Marriage part 4
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ

দিশা কিচেন রুমে যেতেই দেখে অনেকগুলো মহিলা গেস্ট রুমে বসে আছে।
দিশাকে দেখামাত্র তার শাশুড়ী বলে উঠলো দিশা মা এসেছো?
আমি আরো ভাবছি মেয়েটা কই গেলো?
এই বলে দিশার কানে ফিসফিস করে বললো খবরদার একটা কথাও বলবে না।
চুপচাপ শুধু শুনবে।
যা বলার সব আমি বলবো।
আর মাথায় ঘোমটা টা দাও।
দিশা মাথায় ঘোমটা দিলো।
আর চুপ হয়ে থাকলো।
দিশার শাশুড়ী দিশাকে পরিচয় করে দিলো সবার সাথে।
দিশা সবাই কে সালাম দিলো।
আর বললো এরা সবাই আমার ফ্রেন্ড হয়।
দিশা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।।।
এই বয়সেও তার শাশুড়ীর এতো ফ্রেন্ড!!!!
দিশার শাশুড়ী বললো আমার বউ মা খুবই লক্ষী একটা মেয়ে।
একদম আমার মনের মতো হয়েছে।
আমাকে কোন কাজ করতেই দেয় না।
সব কাজ পারে।
সারাক্ষণ আমার খোঁজখবর নেয়।
কখন কি খাবো তার খেয়াল রাখে।
—-ওমা!

কি কপাল রে তোর?
আর আমাদের কপাল দেখ!!!
——— তোদের কপাল তো খারাপ হবেই।
ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করলে এমন তো হবেই।
আর আমি সারা এলাকা খুঁজে খুঁজে এমন একটা শান্তশিষ্ট মিষ্টি বউ পেয়েছি।
যে আমাদের অনেক সম্মান করে।
এমন একটা বউ ই এতোদিন ধরে চাইছিলাম আল্লাহর কাছে।
আমার ইশান ও খুব খুশি হয়েছে।
——— সেটাই তো দেখছি।।।
আসলে তোর ছেলেটা অনেক ভালো।
কি সুন্দর তোর কথামতো তোর পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করলো।
——— ইশানের কথা আর বলতে হবে না।
ওর মতো ছেলেই হয় না।
এই বলে ইশানের মা দিশা কে বললো মা তুমি এখন ঘরে যাও।
সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছো।
এখন একটু রেস্ট নাও।।।
দিশা ঘরে চলে গেলো।
সে একেবারে অবাক!
তার শাশুড়ী এতো সুন্দর ব্যবহার করলো তার সাথে।
আর তার নামে এতো সুনাম করলো?
অথচ এদিকে সে একবারের জন্যও তার শাশুড়ীর কোন খোঁজ নেয় নি।।।
তার শাশুড়ী কি রান্না করছে দেখতেও যায় নি।
দিশা তার শাশুড়ীর এমন ব্যবহারে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলো।
ইশান দিশার গা ধরে ঝাকাতে লাগলো।
হঠাৎ করে কি হলো?
কোথায় হারিয়ে গেলে?
আর খাবার কোথায়?

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

——— আজ না খেয়েই থাকতে হবে।
——— কেনো?
——— কারন বাহিরে মেহমান এসেছে।
——— কে আবার এলো?
——— আমার শাশুড়ী আম্মার বান্ধুবী।
——— উল্টাপাল্টা কিছু বলো নি তো?
——— একটা কথাও বলি নি।
——— তুমি চুপ করে ছিলে আমার বিশ্বাস হয় না।
——— আমি চুপ করে শুধু তোমার মায়ের কথা শুনছিলাম।
এতো সুন্দর করে আমার প্রশংসা করলো।
আমি সত্যি অবাক!!!!
ইশান দিশাকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
আর বললো তুমি চাইলেই কিন্তু মায়ের ভুল ধারনা টা পালটে দিতে পারো।
কারন আজ না হয় কাল মা তো জানবেই তুমি আমার প্রেমিকা ছিলে।
তুমি অযথা কেনো তর্ক করো বলো তো?
আমার সাথে যা মন চায় করো কিন্তু বাকি লোকজনের সাথে এমন আচরণ করো না যাতে তারা কষ্ট পায়।
——— আমি কি এমনি এমনি তর্ক করি?
না কেউ যদি ভুলভাল কথা বলে তার প্রতিবাদ করি।
———মাঝেমধ্যে অনেক জিনিস বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকতে হয়।
এভাবে মুখে মুখে তর্ক করলে সবাই বেয়াদব বলবে।
কারন এটা তোমার শশুড় বাড়ি।
দিশা ঠিক করলো নিজেকে সে পাল্টাবে।
তার শাশুড়ী তার নামে যেসব মিথ্যা কথা বললো সেভাবেই সে চলবে এখন।
দিশা অনেক সকালে উঠলো।
আর ইশান কেও তুললো।
——— এতো সকালে আমাকে ডাকছো কেনো?
——— সকালের নাস্তা রেডি করতে হবে।
তাড়াতাড়ি ওঠো।
———আমি কেনো উঠবো?
তুমি যাও।
আর আমাকে রান্নাঘরে দেখলে সবাই হাসবে।
——— তুমি উঠবে কি না বল?
——— কি যন্ত্রণা শুরু করলে বলো তো?
তোমার নাস্তা বানাতে হবে না।
শুয়ে পড়ো তো।
এই বলে ইশান দিশাকে আবার শোয়ালো।
দিশা কোন কথা না বলে ইশান কে টেনে তুললো।
উঠবে না কেনো?
কি কথা দিয়েছিলে?

সবসময় আমার পাশে থাকবে।
তাহলে এখন রান্না করার সময় থাকবে না কেনো?
আমি রান্না করার সময় ও তোমাকেই চাই।
——— তুমি কি পাগল হয়েছো?
আমি ছেলে মানুষ।।
আমি যাবো না রান্না ঘরে।
দিশা ইশান কে জোর করেই উঠে নিয়ে গেলো
ইশান পড়ে গেলো মহা বিপদে।।।
কেনো যে বলেছিলাম সবসময় পাশে থাকবো।
এই কোন মেয়ে রে বাবা!!!!
এখন আমাকে রান্নাও করতে হবে।
দিশা ইউটিউব এর ভিডিও দেখে দেখে রান্না করবে।
মোবাইল দিলো ইশানের হাতে।
ইশান ভিডিও দেখছে আর বলছে।
দিশা সেভাবেই রান্না করছে।
হঠাৎ তার শাশুড়ী আসলো।
ইশান কে দেখে বললো তুই এতো সকালে রান্নাঘরে কেনো?
ইশান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
সে বললো মা পানি খেতে এসেছিলাম।
——— ঘরে পানি রাখিস নি?
ভুলে গেছি রাখতে।
দিশা রান্না ঘর থেকে বের হতেই তার শাশুড়ী কে দেখতে পেলো।
তারপর মাথায় ঘোমটা দিলো।
আর বললো আসসালামু আলাইকুম মা।
কেমন আছেন?
দিশার শাশুড়ী অবাক!!!
তিনি মনে মনে সালামের উত্তর নিলেন।
দিশা তার শাশুড়ী কে বললো মা আপনি ঘরে যান।
এখানে এসেছেন কেনো?

আজ থেকে আপনি রান্নাঘরের আশেপাশেও আসবেন না।
শুধু খাওয়ার সময় আসবেন।
আমি আর আপনার ছেলে আজ থেকে সব কাজ করবো।
সেই কথা শুনে ইশান বললো আমি কেনো কাজ করবো?
তুমি একাই করবে?
তুমি বাড়ির বউ তাই তোমাকে কাজ করতেই হবে।
খবরদার আমাকে এর ভিতর জড়াবে না।
দিশাঃকোন বই এ লেখা আছে শুধু বাড়ির বউ রা কাজ করবে?
তোমরা ভাত খাও না?
কাজ করতে কি সমস্যা তোমার?
তাছাড়া তুমি তো এখন বসেই আছো।
——— ইশান চোখ দিয়ে দিশা কে অনেক ইশারা করলো আর কিছু বলো না।
তা না হলে মা বুঝে যাবে সব।
দিশা বলতেই আছে বলতেই আছে।
ইশানের মা হাসতে লাগলো।
——— তুমি হাসছো মা?
কিছু তো বলো?
——— কি বলবো?
তোর বউ কে তুই বল?
বউ এর এতো বড় সাহস হয় কি করে?
স্বামীকে রান্নাঘরে কাজ করার জন্য এনেছে।
ইশান অনেক সাহস নিয়ে বললো দিশা তুমি এসব ঠিক করছো না।
আমি তোমার স্বামী হই।
আমাকে একটু সম্মান দিতে শেখো।
——— আসসালামু আলাইকুম স্বামী?
আপনি কেমন আছেন?
প্লিজ আমাকে একটু হেল্প করুন।
আমি একা একা কাজ করতে পারছি না।।
ইশান তার মায়ের দিকে তাকালো আর তার মা ইশানের দিকে।
দুইজনই হেসে উঠলো।

ইশানের মা দিশার এসব কান্ড দেখে ঘরে চলে গেলো।
——— তুমি মার সামনে এভাবে কথা বললে কেনো?
মা এখন কি ভাববে?
——— যা ভাবার ভাবুক।
আমি একা কাজ করতে পারবো না।
তুমি আমার সাথে করবে।
বুঝেছো?
——— যদি না করি কি করবে?
——— তাহলে আমিও কোনো কাজ করবো না।
ঘরে শুয়ে বসে থাকবো।
——— তুমি আমার সাথে এমন করছো কেনো?
আমার ঘুম ধরছে।
আমি ঘরে গেলাম।
দিশা ইশান কে জোর করেই আটকালো।
যাও না প্লিজ।
আমি একা একা কাজ করতে পারবো না।
ইশান আর না করলো না।
দিশার সাথে কাজ করতে লাগলো।
আর বললো কেনো যে ভালোবেসে বিয়ে করলাম?
বউ তো কোন কথাই আমার শুনছে না।
আমাকে একটুও ভয় পায় না।
উলটা আমার উপর রাগ দেখায়।
আমাকে শাসায়।
ইশানের মা তার স্বামীকে বললো রান্নাঘরে গিয়ে দেখে আসো।
ইশান রান্না করছে।
——— মানে কি?
——— মানে আবার কি?
তোমার প্রিয় বউমা তার স্বামীকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
বেচারার চোখেমুখে ঘুম ঘুম ভাব এখনো যায় নি?
———মেয়েটার সাহস আছে।

তা না হলে আমরা থাকা সত্ত্বেও ইশান কে দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
——— তুমি দিশার সাহস নিয়ে কথা বলছো?
ও যে একটা বেয়াদব মেয়ে সেটা বললে না?
——— এখানে বেয়াদবির কি আছে?
তাছাড়া আমি মনে করি স্বামীদের উচিত বউ দের প্রতিটা কাজে এভাবে সাহায্য করা।
——— ওরে বাবা!!
তুমি বললে এটা?
তুমি কবে আমাকে এভাবে সাহায্য করেছো?
ইশানের বাবা হাসতে লাগলো আর বললো তুমি কি আমায় কখনো ডেকেছিলে?
আজ দুইজনে একসাথে কাজ করবো।
ইশানের মা মনে মনে ভাবলো ঠিকই তো।
এখন থেকে আর একা একা কোন কাজ করবো না।
দুইজন মিলেই করবো।
ইশান আর দিশা সবার জন্য নাস্তা রেডি করলো।
দিশা ইশান কে বললো যাও ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা খেয়ে নাও।
আমি সবাই কে ডেকে নাস্তা দিচ্ছি।
ইশান রুমে চলে গেলো।
দিশা সবাই কে আজ নিজের হাতে নাস্তা দিলো।
সবাই খুব খুশি হলো।
কিন্তু ইশান আর তার এখনো খাওয়া হয় নি।
তাই সে ইশান কে ডাকতে গেলো।
দিশা রুমে গিয়ে দেখে ইশান ঘুমাচ্ছে।
——— এই ইশান?
তুমি ঘুমাচ্ছো কেনো?
খাবে কখন?
ইশানের কোনো সাড়াশব্দই নাই।
দিশা আবার ডাকতে লাগলো।
কি হলো?
ওঠো।

ইশান রাগ করে দিশা কে সরিয়ে দিলো।
আমার চোখের সামনে থেকে যাও তো এখন।
আমার ঘুম ধরেছে।
——— এভাবে বললে হবে নাকি?
নাস্তা খেয়ে আবার দুপুরের খাবার রেডি করতে হবে না?
——— আমি আর পারবো না।
তুমি করো গিয়ে।
——— কেনো পারবে না?
তোমাকে পারতেই হবে।
আমি একা একা করতে পারবো না।
ইশান এবার খুব রেগে গেলো।
সবসময় এরকম ছেলেমানুষী ভালো লাগে না দিশা।
এবার একটু বুঝতে শেখো।
আমি ছেলে মানুষ।
আমাকে রান্নাঘরে মানায় না।
আমাকে ডিস্টার্ব করো না প্লিজ।
খুব ঘুম ধরেছে।
সেই কথা শুনে দিশার খুব মন খারাপ হলো।
শুধু তোমারই ঘুমের দরকার আছে?
আমার নেই?

আমারও তো ঘুম হয় নি।
আমাকেও তো ঘুমাতে ইচ্ছা করছে।
——— আবার বকবক করছো?
বললাম তো যাবো না আমি।
আমাকে কি হাসির পাত্র বানাতে চাচ্ছো?
দিশা চলে গেলো।
সে নাস্তা না করেই দুপুরের খাবার রেডি করতে গেলো।
ইশান কে আর একবার ও ডাক দিলো না।
ইশান ঠিক দুপুর বেলা উঠলো।
সে উঠে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
তারপর রান্নাঘরের দিকে গেলো।
দিশা ইউটিউব এর ভিডিও দেখছে আর রান্না করছে।
হঠাৎ ইশান বললো মোবাইল টা আমার হাতে দাও।
আমি সাহায্য করছি।
দিশা কোন কথা বললো না।
——— কি হলো?
কথা বলছো না কেনো?
দিশা বললো তোমাকে কি খাবার দিবো?
ইশান উলটা জিজ্ঞেস করলো তুমি খাইছো?
দিশা মিথ্যা কথা বললো যে সে খেয়েছে।
ইশাঃমা,বাবা খাইছে?
দিশাঃসকালের নাস্তা করেছে।
দুপুরের খাবার খায় নি এখনো।
ইশান দিশাকে জড়িয়ে ধরলো।
রাগ করেছো?
তখন সত্যি খুব ঘুম ধরেছিলো।
দিশা ইশান কে সরিয়ে দিলো।
আর বললো কাজ আছে আমার।
তাড়াতাড়ি বলো খাবার কি দেবো?
——— হ্যাঁ খাবো।
দাও।

দিশা ইশান কে খাবার দিলো।
ইশান দিশার হাত ধরে তার সামনে বসালো।
আর দিশার মুখে খাবার তুলে দিলো।
——— বললাম তো খেয়েছি আমি।
——— আমার সাথে একটু খাও।
——— আমি একবার খেলে আর খাই না।
ইশান দিশাকে কোলে তুলে নিলো।
দিশা বললো কি করছো?
ইশানঃ লাগবে না তোমার রান্না করা।
আজ থেকে কিছুই করতে হবে না।
একদিন কাজ করেই বেচারারার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।
না জানি সারাবছর কাজ করলে আরো কি হবে?
——— ছাড়ো আমাকে।
তাছাড়া কাজ করতে আমাকে ভালোই লাগছে।
——— তাহলে আমার উপর রাগ দেখাচ্ছো কেনো?
আমি কিছু জিজ্ঞেস করলে তেমন উত্তর ও দিচ্ছো না।
——— কই রাগ দেখাচ্ছি?
ইশান দিশা কে ঘরে নিয়ে গেলো।
এখন শুয়ে থেকে রেস্ট নাও।
বাকি কাজ আমি করছি।
——— কি করবে তুমি?
সব কাজ করা শেষ হয়েছে।
——— তাহলে তো ভালো কথা।
তবুও রান্না ঘরে পড়ে আছো কেনো?
ঘরে একবার ও আসলে না?
——— ইচ্ছা হচ্ছিলো না তাই।
——— কাল থেকে তোমার সাথে সব কাজ আমিও করবো।
ঠিক আছে?
——— দরকার নেই কারোর।
আমি একাই করতে পারবো।
——— আমি জানি তুমি পারবে।
তবুও করবো।
সত্যি বলছি।
এখন একটু রাগ টা কমাও।
দিশা উঠে যেতে ধরলো।

Love Marriage part 3

——— কই যাচ্ছো আবার?
——— এখন গোসল করবো
তারপর আবার সবাই কে দুপুরের খাবার খেতে দিতে হবে।
——— দুইদিনেই দেখি সবাই কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলে?
আমার দিকে একটু নজর দাও।
দিশা চুপ করে থাকলো।
ইশান বুঝতে পারলো আর কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি নামবে।
যেভাবে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে।
তবুও অনেক সাহস নিয়ে বললো দিশা একটু কাছে যাই?
দিশা চোখ বড় বড় করে তাকালো।
——— আচ্ছা ঠিক আছে।।।
শুধু হাত টা ধরবো।
ইশান দিশার হাত দুটি ধরলো।
দেখলো এখনো সব ঠিক আছে।
যেই ইশান কিস করতে গেছে এখনো দেয় নি দিশা ইশান কে মারতে লাগলো।
এখন কি এখানে?
কি দরকার?
আমার কাছে আসবে না খবরদার।
আমি একা একা সব কাজ করলাম আর উনি আরাম করে ঘুমালেন।
শুধু কি আমার একার দায়িত্ব?
তোমার কি কোনো দায়িত্ব নেই?
আমি মেয়ে হয়েছি দেখে আমাকেই সব করতে হবে?
শুধু মুখে বলি অনেক ভালোবাসি।
এই তোমার ভালোবাসার নমুনা?
ইশান জোর করেই দিশার কাছে গেলো।
আগে তার হাত দুটি শক্ত করে ধরলো।
কারন দিশা তাকে মারতে একটু ও দ্বিধাবোধ করে না।
মাঝে মাঝে খামচিও দেয়।

——— এসব কি করছো তুমি?
ছাড়ো বলছি?
——— এতো রাগ কাকে দেখাও?
কোনো লাভ হবে না।।
আমি তোমার রাগ কে ভয় পাই না।
এই বলে দিশাকে কিস করতে লাগলো।
——— তুমি যদি জোর করে কিছু করছো খুব খারাপ হবে কিন্তু।
——— দেখি কি হয়?
এই বলে ইশান আদর করতে লাগলো।
একসময় দিশার রাগ ইশানের ভালোবাসার কাছে হেরে গেলো।
কিছুক্ষণ পর দিশার মনে হলো এখনো কেউ দুপুরের খাবার খায় নি।
সে তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
তারপর বাহিরে গেলো।
কিন্তু বাহিরে গিয়ে সে যা দেখলো তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।

Love Marriage part 5