love with a slap last part
আশু
রাত তিনটায় বাস এসে থামে। সবাই তখন ঘুমে বিভোর। আশিস ফোন ঘাটছে কারণ অরশীর তার কাঁধে ঘুমিয়ে আছে। আশিস যখন বুঝতে পারে তারা এসে পড়েছে।আশিস অরশীকে ডাকতে থাকে,,,
“সুইটবার্ড উঠো এসে পড়েছি,
হোটেলরুমে ঘুমিও অশী,,!!”
অরশী কিঞ্চিৎ নড়েচড়ে আশিসকে আরেকটু জড়িয়ে ধরে। অরশীর কান্ডে আশিস মুচকি হেসে অরশীর গালের নিজের হাত রেখে বলে,,
“কিউটিপাই বাসেই রাত কাটাবে?”
অরশী তবুও নির্বিকার। তখনি আশিসের দাদী বলে,,
“কি রে তোরা কি মরার ঘুম ঘুমাইছোত নামস না ক্যা?”
“ঐ বউ কি হইলো উঠছো? নাকি তব্দা লাইগা কাত হইয়া রইছো?ঐ বউ হুনো না?”
দীপার মা ধড়ফড়িয়ে উঠে বলে,,”আম্মা এসে পরেছি নাকি?”
মিনারা খাতুন বলে,,”আরে হ সবগুলা উঠাও,, আশিস উঠছত আর বগী কি ঘুমের সাগরেই?”
আশিসের দাদী ঘুরতেই দেখে অরশী আশিসকে ঝাপটে ঘুমাচ্ছে। আশিসের দাদী এক চিৎকার দিয়ে বলে,,,”ঐ মাতারী আমার নাতীরে ছাড় কইতাছি!!”
অরশী ধড়ফড়িয়ে উঠে আশেপাশে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে তারপর সামনে আশিসের দাদীকে দেখে সব মনে পরে তারপর অরশী মোচড়াতে মোচড়াতে বলে,,”ওফসস্ দাদী কানের পর্দা না ফাটালেও পারতে?”
আশিসের দাদী ভেঙচি কেটে বলে,,,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“এহহ্ আসছে নবাবজাদি!!”
“নাম আর আমার নাতীর তে দূরে থাক বেয়াদব মাতারী।”
আশিস হাসছে তখনই অরশী আশিসের দিকে রাগী চোখে তাকালে আশিস চুপসে নামতে নেয়।
হোটেলরুমে যেতেই ম্যানেজারের সাথে আশিসের পরিচিতি দেখে অরশী বলে,,”কি মি.কুবা মাঝে মাঝে আসা হতো নাকি?”
আশিস ভ্রুকুচকে বলে,,”প্রায়ই আসতাম তবে বউ নিয়ে এই প্রথম!!”
মিনারা খাতুন আশিসের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,”আমরা তিনজন একসাথে থাকুম বুঝছত?”
শেষ আশিস বেচারা শেষ। ঘুরতে এসেও বেচারার মনে তালা মেরে দিলো মিনারা খাতুন। ম্যানেজার বুঝার চেষ্টা চালায় কি হচ্ছে। তখন ম্যানেজার বলে,,”দাদী মনে হয় একা ভয় পান তাই না?”
মিনারা খাতুন বলে,,
“কি কস বেডা ভয় পামু কিল্লায়ই?
আমার নাতীর জানি কিছু না হয়
পাহারা দেওয়ার লিগা থাকতে হইতাছে””।
আশিস ঘুরে বলে,,
“কি জ্বালা দিলা খোদা
না কমে না সয়”
এরপর আশিস বলে,,”দাদী চলো চলো।”
অরশী এতক্ষণ ঘুমঘুম চোখে হেলছে দুলছে এদিকে কান্ড দেখার হুশ নেই । এরপর তিনজন একসাথে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকাল সকাল অরশীর ঘুম ভাঙলে সামনে তাকিয়ে দেখতে পায় সে মিনারা খাতুনকে জড়িয়ে ধরে তখনই মিনারা খাতুনেরও ঘুম ভাঙলে সে দেখে সেও অরশীকে জড়িয়ে দুজন সিটকে উঠে বসে তখনই শুধু টাওয়াল পরে আশিস রুমে আসে। অরশী আর মিনারা খাতুন এরকম একটা দামড়া ছেলেকে শুধু টাওয়ালে দেখে অরশী মুখ ঘুরিয়ে ফেলো। মিনারা খাতুন বলে,,,”ভাই কাপড় আনোছ নাই এডা পইরা ঘুরতাছো ক্যা?”
আশিস বলে,,”আরে দাদী মাত্র শাওয়ার নিলাম এখন চেঞ্জ করমু তোমরা এমনে তাকাইয়া আছো ক্যা?”
আশিসের দাদী বলে,,”হতচ্ছাড়ির সামনে এমনে আসিস না চোখ লাগাইবো তরে বুঝোস না?”
অরশী বলে,,,”ইসস্ আমার আর কাজ নেই কি সুদর্শন বান্দা আপনার নাতী আমার চোখ লাগাতে হইবো!!”
“ঐ তুই চুপ কর মাতারী তোর মতলব আমি বুঝি রে সর সামনে তে!!”
মিনারা খাতুন উঠে বলে,,”আমি দীপার মার কাছে যায় তরা আয় নাস্তা করমু একলগে।”
অরশী ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আশিস বসে ফোন চালাচ্ছে। অরশী বলে,,”যাচ্ছেন না কেন?”
আশিস মাথা তুলে তাকায় অরশীর দিকে তারপর বলে,,”একসাথে যাবো আসো”
অরশী বলে,,”দেখুন প্রথমত সেদিন যা হয়েছে ভুলে যান। আপনাকে,,,”
আর কিছু বলার আগেই আশিস অরশীর হাতের টাওয়াল নিয়ে অরশীর মুখ মুছতে মুছতে বলে,,,
“কিছুই ভুলার নয় সবই
স্মৃতির পাতায় পুঞ্জীভূত সুইটবার্ড”
অরশী একটু পেছনে গিয়ে বলে,,
“আমি চাই না আপনার যত্ন কিংবা ভালোবাসা!!”
আশিস একপা এগিয়ে বলে,,
“আমি তো চাই
“আমার সবটুকু উজার করে দিতে চাই কিউটিপাই”
অরশী রাগান্বিত হয়ে বলে,,”আপনাকে আমি ঘৃণা করি আপনি সেদিন আমার বাবার সাথে যা করেছেন!!”
আশিস নিচুস্বরে বলে,,,,
“মাফ চেয়ে নিবো সুইটাবার্ড, সেদিন আমি পাগল হয়ে গিয়েছলাম!!”
জানো অশী সুইটী,,তোমাকে যখন চাইলাম দিলো না তোমার বাবা এটা মানলাম কিন্তু তাই বলে অনত্র তোমাকে দিয়ে দিবে এটা মানতে পারি নি। আমি জানি আমি খারাপ, আমি অন্যায় করেছে তবে তুমি হাত বাড়াও আমি সব ছেড়ে দিচ্ছি প্লিজ একটাবার বলো,,আমর রবে আমি সব ছেড়ে তোমারি রবো প্লিজ অশী সুইটী একটু ভালোবাসা দাও। এই মরুভূমির জীবনে একপশলা বৃষ্টি হয়ে আসো প্লিজ সুইটবার্ড!!!”
অরশী নিরব হয়ে আশিসকে দেখছে,এরুপ সে আগে দেখেনি আর না তো ভেবেছে।
আশিস হাফ ছেড়ে বলে,,”তুমি কি চাও?মুক্তি?
আমি তোমাকে জোর করে রাখতে চাই না তবে তোমাকে ধুঁকে ধুঁকে মারতে চাই না । তোমার ভালোর জন্য তোমাকে ছাড়তে রাজি তবে হারাতে নয়।”
অরশী নিজের মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে ফেলে।
আশিস বলে,,,,
“ভালোবাসা, পাশে থাকা হয়ত চাওয়াই ভুল হয়েছে আমার।। আমি দুঃখিত মিস. অরশী। এত এত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তবে হ্যাঁ কথা দিচ্ছি এখান থেকে ফিরে আপনাকে মুক্তি দিবো। সব ঠিক করে দিব শুধু একটা সপ্তাহ দিন।” বলে আশিস গরগর করে বেরিয়ে আসে।
আশিস আসতেই মিনারা খাতুন বলে,,”কি বলছে?”
আশিস বলে,,,,”দাদী লাভ নেই বেডি হয়ত আমাকে চায় না শুধু শুধু আমরা এমন করছি।”
“আরে থাম তুই এত সহজে হাল ছাড়লে হইব নাকি? বেডি মানুষ মোমের মতো আগুন জ্বালাইয়া দিলি এবার গলবোই দেহিস তুই।”
আশিস বলে,,”বেডি মানুষ মোম না দাদী পাথর একটা, যেটায় আমি মাথা ফাটাইয়া বইসা আছি”
“ঐ তুই চুপ কর খিদা লাগছে আমার চল।”
আশিস আর আশিসের দাদী আগেই সব প্লান করেছে অরশীকে আশিসের ভালেবাসায় ফেলবে তাহলে অরশী থাকবে। সবাই যদি অরশীকে মেনে নেয় তাহলে অরশী চুপচাপ রবে। আশিসের দাদী তাই মেনে না নেওয়া ভান করে যাতে মেয়েটার চঞ্চলতা কমে না যায় আর এসবের মায়াই যেন অরশীকে আটকে রাখে। তবে আশিস আজকে শেষ নিশানা তাক করলো। যদি অরশী না থাকে তবে সে আর জোর করবে না।
এদিকে অরশী বিছানায় ধপ করে বসে পরে। আর হুট করে চোখে জলের স্রোত। অরশী নিজের মনকে প্রশ্ন করে,,,,,
“কেন কাঁদছি আমি,
আমি তো মুক্তি চেয়েছি
পেয়েও যাচ্ছি
তবে কেন কষ্ট হচ্ছে?
তবে কেন মায়া হচ্ছে?
বার বার কেন মনে হচ্ছে
ভুল সব ভুল!!
সব ঘুলিয়ে যাচ্ছে কেন?”
অরশী নিজেকে মানাতেই পারছে না এ কদিনে সে আশিসকে তার পরিবারকে নিজের করে ফেলেছে। অরশীর চোখ যায় সামনে আশিসের ফোনের দিকে। অরশী চট করে নিজের বাবাকে ফোন দিতে গেলে দেখতে পায় শ্বশুরমশাই নামে নাম্বার সেইভ করা। খানিকবাদে ফোন রিসিভ হলে এ পাশ থেকে অরশী বাবা বলে,,,,,
“বাবা আমার মেয়েটাকে সুখে রেখো
ওর জন্য তুমি সব ছেড়ে নিজেকে
যে পরিবর্তন করছে তা ভাবতেও অবাক লাগে আমার এখন মনে হচ্ছে মেয়েটা সঠিক মানুষই পেয়েছে
বাবা হিসেবে নিজেকে স্বার্থক লাগছে।
জানি মধ্যখানে ঝড়ঝাপটা গিয়েছে
তবে দোয়া করি সুখি হও
আর মেয়েটাকে নিয়ে একবার এসে বাবা”।
অরশী তব্দা লেগে অস্ফুটস্বরে বলে,,”বাবা”
অরশী বাবা বলে,,”মা কেমন আছিস তুই?”
“বাবা আমি ঠিক নেই সব এলেমেলো হয়ে গেছে আমি পারছি না? বুঝতে পারছি না কি করব বাবা”
“শান্ত হো মা কি হয়েছে বল আমাকে!!”
“বাবা আমি তোহ্ এতদিন মুক্তি চেয়েছি আজকে যখন সে নিজ থেকে মুক্তি দিতে চাইছে আমার কষ্ট হচ্ছে কেন বাবা?”
অরশী বাবা মৃদু হেসে বলে,,,,”আমি যা বলেছি নিশ্চয়ই সব শুনেছিস মা।আশিস আর আশিস নেই হুট করে সব বদলে যেন নিজেকে সে গুছিয়ে নিয়েছে তবে তুই কেন এলেমেলো হচ্ছি তুই ও গুছিয়ে নে মা।”
“বাবা আমি কি করব?”
অরশীর বাবা দম ছেরে বলেন,,
“মেনে নে,
যা মন চায় মেনে নে,
আমরা আছি আশিসও আছে
সবাই তোকে ভালোবাসি।
সবাই আছি তোর পাশে।
এরপর তোকে এগোতে হবে
আমরা শুধু তোর পাশেই
তোর রাস্তায় না মা।
তোর রাস্তা তুই ঠিক কর।
পরিশেষে বলব তুই ভাগ্যবতী
আশিসের মতো কাউকে পেয়েছি,
আর এটাও চাইবো
ওর সাথে তুই সারাজীবন পারি দে মা।
বাকি তোর ইচ্ছা।”
অরশী ফোন রেখে বাহিরের বেলকনির দিকে এগিয়ে যায়। সামনে সমুদ্রের জনমানবের ছোটাছুটি, বাচ্চাদের দৌড়াদৌড়ি দিকে দৃষ্টি। খানিকবাদে অরশীর চোখ আটকায় নিচের দিকে আশিস দীপার ভাইয়ের কাঁধে হাত দিয়ে নিচু হয়ে কিছু বলতে বলতে আসছে।
আশিসকে দেখে অরশী নিজের অজান্তেই হেসে ফেলে। যখন অরশীর হুশ আসে অরশী থেমে যায় আর বলে,,”হ্যাঁ আমি রব চিরদিন চিরকাল”।
অরশী রুমে এসে ফ্রেস হয় কান্নার কারণে চোখমুখ কেমন লেপ্টে আছে। তারপর সুন্দর করে রেডি হয়ে দরজা খুলতেই সামনে আশিস আর দীপার ভাই আহান। অরশী ভ্রুকুচকে তাদের দিকে তাকায়। আহান বলে,,,,”ইয়ে ভাবী চলো নিচে ঘুরে আসি সবাই ঘুরছে।”
আশিস অরশীর হাত খাবারের প্যাকেট দিয়ে বলে,,,”খেয়ে নাও” আর চোখ মুখে কি হয়েছে কান্না করেছো নাকি!!”
অরশী বলে,, “কান্না করব কোন দুঃখে?”আপনি খেয়েছেন?”
আশিস মাথা নাড়ায় যার অর্থ সে খেয়েছে।
অরশী বলে,,”কি স্বার্থপর আপনি বউ ছাড়া খেয়ে নিলেন?”
আশিস তদ্রুপ অরশীর পানে তাকিয়ে বলে,,”বউকে নিয়ে খাবো আজকে থেকে”
অরশী বলে,,”থাক কোনো প্রয়োজন নেই একাই খেতে পারি আমি।”
আহান বলে,,”ভাবী ভাইয়াকে তো দাদীই জোর করলো যাতে খেয়ে তোমার জন্য নিয়ে আসে।”
অরশী আর কথা বাড়ায় না। বিকেলের দিকে অরশী আশিসসহ সবাই সমুদ্রের পাড়ে ঘুরছিল আগপিছ হয়ে।
মিনারা খাতুন বলে,,”এখানে আর আসতাম না বুঝলি কিন্তু তর দাদর কথা মনে পড়ে এনে আইলে। তার সাথে কত ঘুরছি এখানে অথচ বেডা আজকে নাই আমি একলা”
অরশী বলে,,”একলা কই দাদী? আমাদের দেখছো না?”
মিনারা খাতুন বলে,,”দূর মাতারী আমার সোয়ামীর সমান নাকি তোরা হুস্?”
অরশী হেসে বলে,,”তা যা বলেছো যার যার জামাই তার তার কাছে অমূল্য। যেমন আমার জামাইজান”
মিনারা খাতুন নাক সিটিয়ে বলে,,
“লজ্জা আন
একটু তোহ্ লজ্জা আন বগীর বাচ্চা”
অরশী মেকি হেসে বলে,,”এত লজ্জা আমার আসে না দাদী আমি কি করমু?”
আশিস একমনে সব শুনছে আর ফোন চাপছে। অরশী মতিগতি বোঝা দায়
এরপর মিনারা খাতুন রেগে বলে,,”থাক তরা আমি গেলুম!!”
মিনারা খাতুন সামনের দিকে যেতে নিলে অরশী ঘুরে হাসতে থাকে। হুট করে অরশীর চোখ যায় মিনারা খাতুনের পাশ থেকে ঘোড়া আসছে লোকটা হাতের ইশারায় সবাইকে সরতে বলছে। তবে মিনারা খাতুন নির্বিকার চলছে আর আনমনে বকছে অরশীকে। অরশী ছুটে যায় অরশীকে ছুটতে দেখে আশিসও দেখতে পায় ঘোড়াটা এদিকেই আসছে। আশিসও দাঁড়ায় না অরশী মিনরার খাতুনকে টেনে বলে,,”দাদীজান সামনে আসো ঘোড়া আসছে।”
অরশী আরকিছু বলার আগেই আশিস ওদের দুজনকেই হেঁচকা টানে সামনে এনে ফেলে। মিনারা খাতুন ঘুরে দেখেন যে আজকে সত্যিই বেঁচে গেলেন নয়ত ঘোড়ায় ধাক্কা মাঞ্জা পুরোটা আজকে যেত।
তাই অরশীর দিকে তাকিয়ে মিনারা খাতুন বলে,,”ধন্যবাশ মাতারী”
মিনারা খাতুনের কথায় অরশী আশিসের দিকে তাকিয়ে বলে,,”ধন্যবাশ টু জামাইজান”
এরপর তিনজনই হেসে উঠেন।
এদের তিনজনকে হাসতে দেখে দীপরা মা দীপার বাবাকে বলে,,”মার কি হলো বলো তোহ্ এই একবার বকতে থাকে তোহ্ এই একবার হাসতে থাকে।”
দীপার বাবা বলে,,,,”এত বছরেও নিজের মাকে চিনলাম না তুমি কি চিনবে?”
এরপর সবাই মিলে ফ্যামিলি ছবি তুলে একসাথে। আশিস অরশীর থেকে দূরে দাঁড়ালে অরশী গিয়ে সোজা আশিসকে ঘেঁষে দাঁড়ায়। আশিস একটু হকচকালেও ছবির জন্য অরশীর কাঁধে রাখে।
রাতে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করছিল। হুট করে অরশীর গলায় খাবার আটকে গেলে,,মিনারা খাতুন পানি এনে অরশীকে দিয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,,,,
“মাতারী আস্তে খাইবার পারোস না তোর খাওন কি কেউ নিতাছে গা, এখন তোর কিছু হইলে আমার ভোলাভালা নাতী ডার কি হইতো বগীর বাচ্চা? আস্তে খা।”
অরশী আড়চোখে দাদী নাতীর গতি বুঝার চেষ্টা করে। এদের রুপ যে কতপ্রকার অরশী ধরতেই পারে না।
রাতে আশিস বলে,,”তুমি থাকো দাদী পাশের রুমেই ঘুমিয়ে গিয়েছ আমি অন্যরুম বুক করি।”
অরশী বলে,,”কেন?আমার সাথে থাকলে কি আপনার জাত যাবে নাকি গায়ে ফোসকা পড়বে?”
আশিস বলে,,”তেমন কিছুই না, তোমার অস্বস্তি লাগুক চাই না আমি৷”
আশুস যেতে নিলে অরশী আশিসকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলে,,”জামাইজান আই লাভ ইউ”
আশিস স্তব্ধ হয়ে বলে,,”কি?”
অরশী এবার আশিসের সামনে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে বলে,,,”আই লাভ ইউ বলেছি শুনছেন না আপনি? আই লাভ ইউ”
আশিস অরশী দিকে ঝুঁকে বলে,,
“আবার বলো শুনিনি আমি!!”
অরশী এবার চিৎকার করে বলে,,,,
“আই লাভ ইউ মি.কুবা আশিস খান।”
“আমি আপনাকে ভালোবাসি জামাইজান। আমি,,
আর কিছু বলার আগেই আশিস অরশীকে থামিয়ে দেয় অরশী ঠোঁটকে নিজের আয়ত্তে এনে। একটু পর অরশীকে ছড়ে আশিস বলে,,”রবে?”
অরশী আশিসের বুকে মাথা রেখে বলে,,”হুম”
আশিস অরশীর মাথায় হাত রেখে বলে,,”চিরকাল?”
অরশী এবারও বলে,,”হুম”
আশিস মুচকি হেসে একঝটকায় অরশীকে পাজকোলে নিয়ে বলে,,”অশী সুইটী আমিও ভালোবাসতে চায়।”
অরশী লজ্জায় আশিসকে চেপে ধরলে।
আশিস বলে,,,”আমার কিউটিপাই তাহলে লজ্জাও পায় দাদীকে তোহ্ বলতেই হয়।”
তখনই হুট করেই তখন দরজায় কড়া নারে মিনারা খাতুন। আশিস তোহ্ বিরক্তিতে একঝটকায় অরশীকে বিছানায় বসিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা খুলতেই মিনারা খাতুন বলে,,,”আজকে আমি থাকবো না আর তাই বলতে এলুম তরা ঘুমিয়ে যায়।”
আশিস বলে,,”ঠিকআছে,”
দাদীজান আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন শুভরাত্রি।”
এরপর মিনারা খাতুন চলে গেলে আশিস দরজা লাগিয়ে একদৌড়ে অরশীর কাছে গিয়ে অরশী গালেমুখে চুমু দিতে দিতে বলে,,”কিউটিপাই একটু ভালোবাসলাম” এটা শুনে অরশী আশিসের জামার কলার ধরে টেনে সোজা আশিসকে লিপ করে দেয়।
তখনই আবার দরজায় নক পরে। আশিস বিরক্তিতে উঠে দাড়িয়ে বলে,,,,”নাহ্ আমার আর বাসর হবে না এভাবেই মরব ধ্যাৎ”
আশিসের অস্থিরতা দেখে অরশী মুচকি হাসে।
আশিস গিয়ে দরজা খুললে মিনারা খাতুন বলে,,
“নাতী বেস্ট অফ লাক বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তাই আসতে হলো।”
আশিস তার বত্রিশ পার্টি দাঁত বের করে বলে,,
“ধন্যবাদ দাদী,,
love with a slap part 9
আর এসো না তোমার নাতীর ঘরে পুতিন দেখতে চাইলে” বলেই আশিস দরজা লাগিয়ে দেয়।
মিনারা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,,”যাইহোক শেষপর্যন্ত মাতারী ডারে মানতেই হইলো বেস্ট অফ লাক বগীর বাচ্চা”
“আর এই যে মাতারীর দলেরা যারা গল্প পড়েন তাদেরকে মিনারা খাতুন ডাইনী বুড়ির তরফ থেকে টাটাটা