love with a slap part 3

love with a slap part 3
আশু

অরশী হাঁপাতে হাঁপাতে চলে আসে অনেকটা দূরে। তবে রাত হওয়ার দরুন গাড়ি তো ছিলই না, তারউপর গা ছমছমে একটা ভাব চারপাশে। অরশী চারপাশে একবার তাকায় কিন্তু নাহ্ কোনো কিছু বোঝার উপায় নেই।
___এদিকে হাতের লাইটের চার্জ ও শেষ হওয়ার দরুন অরশী বিরক্ত হয়ে নিজের ফোন বের করতে নেয়।
তখনই হুট করে অন্ধকারে কেউ অরশীর হাত চেপে ধরে এমনিতেই ভয়প ঘাবড়ে ছিলো বেচারী তার উপর অনাকাঙ্ক্ষিত টানে চিল্লিয়ে উঠে,,

____তখনি শুনতে পায় একজন বলছে,,,”এই শালী চুপ কর আমি তর জামাই”____
অরশী প্রচন্ড রেগে যায় বুঝতে পারে আবারও ধরা পড়ে গিয়েছে। তবে অরশীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আশিস সোজা মুখ চেপে ধরে অরশী ছটফট করতে থাকে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
_______সকাল সকাল সূর্যের মিষ্টি রোদ চোখে পড়তেই অরশী টিপটিপ করে চোখ খুলে বুঝতে পারে প্রচন্ড মাথাটা ধরে আছে। অরশী আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারে না কোথায় আছে তারপর নিজেকে ধাতস্থ করতেই এক এক করে অরশীর সব মনে পড়তে থাকে। অরশী একলাফে উঠে দাঁড়ায়।
তখনই রুমে নাস্তা নিয়ে আসে আশিস আর বলে,,”অশী সুইটি ঘুম কেমন হলো?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অরশী তেড়ে গিয়ে আশিসকে ঠাস করে একটা চড় মেরে বলে,,”আমাকে তুলে এনেছিস কেন হিটলারে ছাও?
আশিসও রেগে অরশী এক থাপ্পড় মেরে বলে,,”শালী কতবার বলবো? তকে বিয়ে করব আমি, বউ বানাবো তকে, আর কিসের ছাও মাও করছিস অসভ্য বেডি?”
অরশী প্রচন্ড রেগে বলে,,,”একদম শালী শালী করবি না শালা”
আশিস এবার নরমসুরে বলে,,,”আচ্ছা অশী সুইটি খেয়ে নাও আমাদের ঢাকায় ফিরতে হবে বিয়ে করতে হবে”
অরশী আশিসের থেকে টান মেরে নাস্তা নিয়ে খেতে খেতে বলে,,”আমার ব্যাগ কোথায়? আর আমি বা কোথায় আছি এখন?”
আশিস বলে,,”এতকিছু জানি না তবে তুমি আমার মনে আছো এটা বেশ জানি”
অরশী মেজাজ বিগড়ে যেতে থাকে তবুও চুপচাপ খাবার খাচ্ছে আর মনে মনে প্লান সাজাচ্ছে এই গরুর থেকে পালাবে কী করে।

আশিস অরশীর মনের ভাবনা ঠিকি আন্দাজ করে বলে,,,”পালানোর চিন্তা ঝেরে ফেলো সুইটি বিয়ে ভাবনায় নাচো”
অরশী ভ্রুকুচকে বলে,,”পৃথিবীর শেষ পুরুষ তুই হলেও তকে আমি বিয়ে করব না”
আশিস বলে,,”তুই আমার থেকে মিনিমাম ৪ ৫ বছরের ছোট হবি আমাকে আপনি করে বলবি শালী!! ”
অরশী উঠে এসে আশিসের কলার চেপে ধরে বলে,,” আমার কোন বোন বিয়ে দিয়েছি তর কাছে শালী শালী করছি?”
আশিস অরশী হাত একটানে ছাড়িয়ে নিজে হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে,,,”এটা আমার ভালোবাসার ডাক তর বোন থাকলে নিশ্চয়ই তর থেকেও সুন্দরী আর মুখের ভাষা আরও সুন্দর থাকতো তাকেই বিয়ে করতাম কিন্তু আফসোস তর বোন নেই এখন তকেই বিয়ে করব”

অরশী তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে,,”আমাকে বিয়ে করবে বেইবী তাই না?? তোমার বিয়ের শখে বাঁশ মারব শালা হাত ছাড়!!”
আশিসও ভেঙিয়ে বলে উঠে,,,,,”বাঁশ মারো আর কঞ্চি মারে বিয়ে তোহ্ তোমার করতেই হবে।নয়ত তোমার বলদ বাপকে সোজা স্বর্গে দোরগোড়ায় ওফস্ না না শ্বশুর আমার এতটাও সৎ না নরকের দোরগোড়ায়ই পাঠাতে হবে ”
অরশী রেগে সামনে থেকে টিস্যুর বক্স ছুঁড়ে মারে আশিসের দিকে। তবে সেটা আশিস ক্যাচ ধরে বলে,,”বাই বাই সুইটি রেডি হও বিশ মিনিটে আসছি।”
___আশিসের থ্রেটে অরশী মোটেও ভয় পায় না । অরশী ঠাস করে রুমের দরজা লাগিয়ে পায়চারি করছে আর ভাবছে কীভাবে পালাবে সে,,

তখনই অরশীর চোখ যায় সামনে টেবিলের উপর যেখানে দশের মতো শাড়ী হবে আর চিরকুট টানানো “তোমার পছন্দ মতো পড়ে নিও অশী সুইটি।”
__অরশী মুচকি হেসে বলে,,”আহারে বেচারা কি বুদ্ধি পুটিমাছ হয়ে আমার সাথে লাগতে এসেছে এই অরশী কি পারে এলিয়েনটার ধারণাও নেই” এই বলে অরশী হাসতে হাসতে শাড়ী গুলো খুলতে থাকে।
এরপর শাড়ীগুলো গিড় দিয়ে দিয়ে বিশাল দড়ি বানিয়ে ফেলে। তখনি আশিস অরশীর দরজায় নক করে অরশী একটু ঘাবড়ায়। তবে সাহস নিয়ে বলে,,”আমি চেঞ্জ করছি কিছুক্ষণ পড়ে আসুন প্লিজ।” অরশী কথায় কাজ হলে বোধ হয় আশিস চলে যায়।

___অরশী তারপর বেলকনিতে এসে বুঝতে পারে চারতলায় আছে। তবে নিচে মানুষের আনাগোনা বেশ। অরশী চিন্তায় পড়ে যায় কীভাবে নামবে। ঘুরতে ঘুরতে অরশী চোখ যায় পিছনের সাইটে যেখানে মানুষ নেই বললেই চলে। অরশী তারপর তার বানানো দড়ি ফেলে নিচে নামতে থাকতে বেচারি ভয়ে একটু কাঁপছিল তবে সাহস নিয়ে আস্তেধীরে নিচে নামতেই জোরে একটা শ্বাস ফেলে বলে,,”শালা আমাকে বিয়ে করব হাহ্”
____অরশী নিচে নামতেই বুঝতে পারে আশেপাশে আশিসের লোকজন বেশ আছে৷ এখন হেটে যাওয়া একপ্রকার বিপদ। অদূরে অরশীর চোখ যায় একটা কালো বাইকে। তবে বাইকে চালানোতে এক্সপার্ট না সে যদিও স্কুটি চালিয়েছে তাই বেশ ধারণা আছে ।

_____অরশী আস্তেধীরে সাহস নিয়ে দাঁড়ায় বাইকের সামনে। এটাই সুযোগ তার কাছে নয়ত আশিসের কাছে ধরা পড়বে নিশ্চিত। অরশী সাহস নিয়ে বাইকে বসে পড়ে।তারপর স্টার্ট দেয়। ব্যাস অরশী যেতে শুরু করে বার বার বলছে “আল্লাহ বাঁচিয়ে নাও ইন্না-লিল্লাহ করে দিও না।”
অরশী বাইক চালাচ্ছে তবে এলোপাথারি। সামনের মানুষজন একেকজন হুমড়ি খেয়ে সরে যাচ্ছে অরশীর বাইক চালানে দেখে। পেছন পেছন বাইকের আসল মালিক দৌড়ে আসছে আর বলছে,, “চোর চোর না না চুন্নি চুন্নি আমার বাইক নিয়ে পালাচ্ছে পুলিশ পুলিশ হেল্প হেল্প।”
অরশী লোকটুর আওয়াজ শুনতে পেয়ে বলে,,,,”দুরু বেডা চেঁচিয়ে হনুমানটাকে জানিয়ে দিবে আমি পালাচ্ছি”
এরপর অরশী মেইনরোডে এসে বাইক নিজের কন্ট্রোলে এনে ফেলে অরশী বুঝতে পারে না কোনদিক যাবে তবে সামনের দিকে যেতে থাকে। যতদূর পারে সে যাবে এটাই মনস্থির করে।

_____”অশী সুইটি এবার তো দরজা খুলো ত্রিশমিনিট হয়ে গেল। না পারলে বলো আমি হেল্প করছি নয়ত মেয়ে স্টাফ্ আনি।”
অরশী সাড়া না পেয়ে আশিস একটু চমকায়। আবার যখন আশিস রেগে বলে,,”শালী দরজা খুলবি নাকি ভাঙবো? ”

love with a slap part 2

____এবার আশিস বুঝে যায় গন্ডগোল যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আশিস দরজা ভেঙে ভেতরে যেতেই বুঝতে পারে অরশী পালিয়েছে। তবে কীভাবে পালালো বুঝতে পারছে না৷ বেলকনিতে যাওয়া মাত্রই আশিসের চোখ যায় শাড়ী দিয়ে বানানো দড়িতে আশিস রেগে বলে উঠে,,”শালী আমার থেকেও হাই লেবলের ধান্দাবাজ আরেকবার পাই তোকে।”
আশিস চিল্লাচ্ছে বাইরে গার্ড সবগুলোকে ধমকাচ্ছে। আচমকা এক লোক এসে বলে,,”আপনার গার্লফ্রেন্ড আমার বাইক নিয়ে পালিয়েছে এর ক্ষতিপূরণ আপনাকেই দিতে হবে। ”
যা বুঝার আশিস বুঝে যায় লোকটাকে তার প্রাপ্য দিয়ে বাইকের নম্বর সহ সব কিছু কালেক্ট করে আবারও বেরিয়ে পড়ে অরশীকে খোঁজার উদ্দেশ্য,,,,,,,,

love with a slap part 4+5