mad for you part 15

mad for you part 15
তানিয়া খাতুন

রুহি অনেক আগেই রুমে এসে শুয়ে পড়েছে।
আপাতত তার ইচ্ছে নেই ক্ৰিশের মুখোমুখি হওয়ার।
তাই ঘুমের ভান করে চুপচাপ চাদর টেনে শুয়ে থাকে।
কিছুক্ষণ পর দরজাটা আলতো করে খোলে।
ক্ৰিশ নিঃশব্দে ভেতরে ঢোকে, হাতে সিগারেট।
রুহিকে ঘুমোতে দেখে অবাক হয়ে যায়।
“পাঁচ মিনিটে কেউ এমন ঘুমোতে পারে?” — মনে মনে হাসে ক্ৰিশ।
সোফায় বসে নিজের শার্ট খুলে অবলীলায় রুহির মুখের দিকে ছুঁড়ে মারে।
রুহি ধপ করে উঠে বসে, বিরক্ত গলায় বলে,

— “কী কৱছেন কী!”
তারপর শার্টটা ফিরিয়ে ছুঁড়ে মারে ক্ৰিশের দিকে।
ক্ৰিশ শার্টটা কেচ ধৱে ৰলে অনেক ভালো ড্ৰামা পাৱো তুমি।
রুহি চোখ কুঁচকে বলে,
— “এখনে ড্রামা কীসেৱ? আমি ঘুমাচ্ছিলাম।
আপনার জন্য আমার এত সুন্দর ঘুমটাই ভেঙে গেল।”
ক্ৰিশ হেঁসে সিগারেটে টান দেয়, ধোঁয়ার ধোঁয়া ছেড়ে বলে,
— এত লেদু কেনো তুমি যে ঠিক কৱে মিথ্যে কথাটাও বলতে পাৱো না।
তোমার বাপ কি তোমায় কোনো ভিটামিন খাওয়ায়নি?”
বাবার কথা শুনেই রুহির মুখ লাল হয়ে যায় রাগে।
ও বিছানা থেকে নেমে এক লাফে সোফার ওপর উঠে ক্ৰিশের কোলের ওপর বসে পড়ে।
ক্ৰিশেৱ চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকায়।
ক্ৰিশ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে ফিসফিস করে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— “ওফফ কী হট লাগছে।”
রুহি গর্জে ওঠে,
— “আমার আব্বুর নামে একদম বাজে কথা বলবেন না! এতই যদি লেদু লাগত, তাহলে বিয়ে করেছিলেন কেন?”
ক্ৰিশ হাত বাড়িয়ে রুহিৱ কোমর জাপটে ধরে, ঠোঁটে এক চোরা হাসি।
— “ কাৱন আমি এখন তোমায় ভিটামিন দিয়ে তরতাজা বানাবো, বাটারফ্লাই।
বলো দেখি, পজিশনটা কেমন? চাইলে এখনই শুরু করে দিই…”
রুহি হতবাক। কিছুক্ষণের জন্য স্থির হয়ে যায়।
তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে যেন নিজেরই উপর রাগে ফেটে পড়ে।
— “আস্তাগফিরুল্লাহ! অসভ্য লোক!”
ও উঠে দাঁড়াতে যায়, কিন্তু ক্ৰিশ ওকে ছাড়ে না— এক মুহূর্তের টানেই আবার আগের জায়গায় টেনে আনে।
ৱুহি হঠাৎ করেই ক্ৰিশের হাত থেকে সিগারেট টা ছিনিয়ে নিয়ে বলে,
— রাতদিন হাতে সিগারেট নিয়ে ঘোরেন কেন?
ক্ৰিশ কপাল কুঁচকে বলে,

— ওটা আমার কাছের জিনিস, ফেরত দাও।
রুহি ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসে উঠল,
— সিগারেট আবার কাছের জিনিস হয় নাকি?
ক্ৰিশ রাগ চেপে বলে,
— দেখো, সিগারেট নিয়ে মজা আমার পছন্দ নয়। ওটা অনেক দিনের অভ্যাস, হাতে ছ্যাকা লাগবে … দাও।
রুহি গম্ভীর মুখে বলল,
— দিচ্ছি না।
এই বলে সে উঠে দাঁড়াল।
ক্ৰিশ বিরক্ত গলায় বলল,

— কী হচ্ছে কী আমাৱ কথা কানে যাচ্ছেনা?
রুহি মুচকি হেসে সিগারেটটা ঠোঁটে দিয়ে এক টান দিল।
মুহূর্তেই তার নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হতে লাগল।
ক্ৰিশেৱ রাগ চূড়ান্তে পৌঁছাল। এক ঝটকায় সে উঠে দাঁড়িয়ে রুহির গালে জোরে এক থাপ্পড় মারল।
থাপ্পড়টা এত জোরে পড়ল যে রুহির গাল লাল হয়ে গেল।
চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগল। গাল চেপে সে হতভম্ব চোখে ক্ৰিশের দিকে তাকিয়ে রইল।
ক্ৰিশ গম্ভীর গলায় বলে,

— তোকে কখন থেকে বলেছি, সিগারেটটা দে!
কথা কানে যায় না?
আর সাহস কী কৱে হলো টান দেওয়ার?
এতটুকু মেয়ে, আমার মুখের ওপর কথা বলবি?
চুপ করে থাকছি বলে মাথায় উঠে নাচবি ? বেয়াদব।
ক্ৰিশেৱ ধমক শুনে রুহি কেঁপে উঠল।
কোনো কথা না বলে চুপচাপ গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল, মুখ ফিরিয়ে নিল অন্য দিকে।
ক্ৰিশ কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভারী শ্বাস নিল।
তারপর মনে মনে বলল,

“বেশি বলে ফেললাম… আমার বাটারফ্লাইকে।”
ক্ৰিশ ধীরে ধীরে উঠে এসে রুহির পাশে শুয়ে পড়ল।
রুহি তখনও মুখ ফিরিয়ে আছে, চোখের কোণ থেকে তখনো পানি গড়িয়ে পড়ছে ।
কৃষ পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে তার কোমর জড়িয়ে ধরল, নিজের দিকে টেনে আনল।
রুহি তৎক্ষণাৎ নিজের সব শক্তি দিয়ে ক্ৰিশকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করল।
তার গলায় হালকা ফুঁপিয়ে ওঠার শব্দ, কাঁপতে থাকা হাতদুটো ক্ৰিশের বুকের ওপর ঠেলা দিচ্ছে।
কিন্তু ক্ৰিশ তাকে আরও কাছে টেনে নিল, বুকের মধ্যে চেপে ধরল।
তার গলার কাছে মুখ গুঁজে নিচু স্বরে বলল—

— এতটুকু স্পর্শেও যদি কাঁপিস, বাটারফ্লাই… তাহলে আমি সত্যি কিছু করলে তুই কী করবি বলতো?
রুহি নিঃশব্দে শ্বাস নিল, বুক ওঠানামা করছে তীব্র ছন্দে।
“রুহিঃ ছাড়ুন… আমি ঘুমাবো।”
ক্ৰিশ রুহির চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তোর শরীর ঠিক হয়েছে, বাটারফ্লাই?”
রুহি নাক টেনে বলে “উমম… হয়েছে।”
তার গলার স্বর এতটা নরম যে যেন বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়।
ক্ৰিশ ধীরে ধীরে রুহির দিকে এগিয়ে আসে।
রুহি বুঝতে পারে, ক্ৰিশের দৃষ্টিটা আগের চেয়ে গভীর, ভারী।
সে পিছিয়ে আসতে চায়, কিন্তু ক্ৰিশ আসে আর রুহির কোমল হাত দুটো ধরে ফেলে।
এক মুহূর্তে, ক্ৰিশ তাকে আলতো করে বিছানায় চেপে ধৱে।
রুহির নিশ্বাস কেঁপে ওঠে,

দুজনের দেহের ফাঁকে কেবল নিঃশ্বাসের গরম বাতাস।
রুহির চোখ বড় হয়ে গেছে, শরীর একেবারে থেমে গেছে।
রুহি: “কি… কি করছেন আপনি, ক্ৰিশ”
ক্ৰিশ তার মুখটা রুহির মুখের একদম সামনে আনে।
তাদের দুজনের নিঃশ্বাস একে অপরের মুখে মিশে যায়—
বাতাস ভারী হয়ে ওঠে, সময় যেন থেমে যায়।
ক্ৰিশ (নিম্নস্বরে): “i need you badly, বাটারফ্লাই…”
রুহির গলায় শুকনো ঢোক গিলতে থাকা শব্দটা স্পষ্ট শোনা যায়।
তার বুক উঠছে পড়ছে দ্রুত, হাত কাঁপছে।
রুহি: “না… না, এখন না… আমি এখনো এসবের জন্য প্রস্তুত নই, প্লিজ ক্ৰিশ…”
এক সেকেন্ডের নীরবতা।

ক্ৰিশেৱ চোখে মৃদু কষ্টের ছায়া ভেসে ওঠে।
সে ধীরে রুহির মুখের পাশ থেকে তার চুল সরিয়ে দেয়, হাতের তালু দিয়ে আলতো করে গাল ছোঁয়ে বলে—
ক্ৰিশ: “ওকে… give me a kiss।”
রুহি চোখ বড় করে তাকায়, কাঁপা গলায় বলে—
রুহি: “এখন? না মানে… এখন…”
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই ক্ৰিশ তার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
রুহি অবাক হয়ে তাকায়, কিছু বলার আগেই ক্ৰিশ তার ঠোঁটের উপর নিজের ঠোঁট রেখে দেয়—
নরম, ধীর, কিন্তু ভেতরে যেন একটা ঝড় জমে আছে।
রুহি প্রথমে প্রতিরোধ করতে চায়, কিন্তু ক্ৰিশের স্পর্শে তার পুরো দেহ নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
তাদের নিঃশ্বাস, হৃদস্পন্দন—সব মিলেমিশে যায় এক অদ্ভুত নীরবতায়।

রুহি প্রায় অনেকক্ষণ পর বুঝতে পারে তার শ্বাস ভারী হয়ে এসেছে।
প্ৰায় দশ মিনিট পৱ ক্ৰিশ ৱুহি কে ছেড়ে তাৱ দিকে তাঁকায়।
রুহির গলা কাঁপছে, চোখে লজ্জা আর অনিশ্চয়তা মিলেমিশে আছে।
ক্ৰিশ (হেসে): “এইটুকুতেই হাঁপিয়ে উঠলে? আমি কিন্তু এখনো তেমন কিছুই করিনি, বাটারফ্লাই।”
রুহি লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নেয়, চাদৱ দিয়ে মুখ ঢাকে।
তার গাল টকটকে লাল হয়ে গেছে।
ক্ৰিশ তাকিয়ে থাকে, সেই লজ্জাটাকে দেখেই মুগ্ধ হয়ে যায়।
ধীরে ধীরে সে রুহির খুব কাছে এসে তার কানে নিচু স্বরে বলে,
“তাড়াতাড়ি নিজেকে প্ৰস্তুত কৱো, বাটারফ্লাই… আমি হয়তো আর বেশিদিন নিজেকে থামিয়ে ৱাখতে পারব না।”

সকালের আলোটা তখনো পুরো ঘর জুড়ে পড়েনি, কিন্তু কৃষের রান্নাঘরে লুডেন্স বানাচ্ছে।
ক্ৰিশ এক হাতে নাড়ছে, অন্য হাতে ফোনে গান চালিয়েছে — একটা ইংলিশ গান বাজছে হালকা ভলিউমে।
What would I do without your smart mouth
Drawing me in, and you kicking me out
You got my head spinning, no kidding
I can’t pin you down.

তার গায়ে একটা সাদা হাফ হাতা টি-শার্ট, নিচে ঢিলেঢালা প্যান্ট, চুলগুলো এলোমেলো, কিন্তু মুখে একরাশ শান্তি।
ঠিক তখনই রান্নাঘরের বাইরে থেকে শব্দ—“ভাইইই থাম এই কুত্তাটাকে!”
ক্ৰিশ চোখ ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে তার পোষা কুকুর টমি ছুটে আসছে পেছনে পেছনে হাপাতে থাকা আমান।
টমির মুখে একটা চামচ, লেজ নাড়তে নাড়তে সরাসরি ক্ৰিশের পায়ের কাছে এসে থামে, তারপর হঠাৎ লাফ দিয়ে ক্ৰিশের কোলে উঠে যায়।
ক্ৰিশ একটু থমকে যায়, তারপর হাঁসতে হাঁসতে বলে—
ছে… আমার ভাবতেই অবাক লাগছে— তুই আমাৱ বন্ধু হয়ে একটা কুকুর সামলাতে পারিস না, ভবিষ্যতে বৌ সামলাবি কী করে?

আমান (শ্বাস নিতে নিতে): ভাই, তোর কুত্তা তোর মতোই, এক মিনিটও শান্তিতে বসে না!
টমি এখন ক্ৰিশের কাঁধে মাথা ঘষছে, ক্ৰিশ তার গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করছে।
ক্ৰিশ: কদিনেৱ ওকে তোৱ কাছে ৱাখতে দিয়েছিলাম এতেই এই হাল কৱেছে তোৱ।
আমান (চোখ ঘুরিয়ে): হ্যাঁ, হ্যাঁ কাৱ কুকুৱ দেখতে হবে না!
ক্ৰিশ হেঁসে টমিকে কোলে নিয়ে সোফায় বসে পড়ে।
আমান: আরে দোস্ত শোন না, তোর ওই মিষ্টি শালির সাথে একটু সেটিং করে দে না, তাহলে আমি সারাজীবন তোর কুত্তার দেখভাল কৱবো!

ক্ৰিশ (হাসতে হাসতে): না ভাই, এত রিস্ক নিতে পারব না — তোর মেশিনের উপর আমার কোনো ভরসা নেই!
ঠিক তখনই ওপর থেকে ৱুহিৱ গলার আওয়াজ—
রুহি: আমার বন্ধুকে কি তোমার খুব পছন্দ হয়ে গেছে নাকি?
দু’জনেই একসাথে সিঁড়ির দিকে তাকায়—রুহি নেমে আসছে।
আমান (মাথা চুলকাতে চুলকাতে): ওই আর কী, একটু মজা করছিলাম…
রুহি ভুরু কুঁচকে ক্ৰিশের দিকে তাকিয়ে বলে—
আপনি সবসময় এমন অদ্ভুত স্টাইলে বসে থাকেন কেন?
ক্ৰিশ (মুচকি হেসে): তুই বুঝবি না, বাটারফ্লাই, I like this position.
আমান সঙ্গে সঙ্গে ক্ৰিশেৱ মুখ চেপে ধরে বলে—
চুপ কর ভাই! ও আমাকে ভাইয়া বলে, অন্তত একটু ভদ্রভাবে কথা বল ওর সামনে!
ক্ৰিশ আমানের হাত সরিয়ে শান্তভাবে বলে—“Don’t disturb me.”
ক্ৰিশ: হুম… আমি যেনো কী বলছিলাম?

আমি সবসময় ফিল করি, যে তুই আমার ওপর বসে থাকিস, তখন এই পজিশনটা আমি ফিল করি, বেবি—এই কারণেই I like this position.
রুহির কান গরম হয়ে যায়। এমন কথা শুনে ওর মুখ লাল হয়ে ওঠে, চোখ নিচু করে এক মুহূর্ত দাঁড়ায় না, লজ্জায় ছুটে যায় রান্নাঘরের দিকে।
ক্ৰিশ তখন টমিকে কোলে নিয়ে হেসে বলে—তুই দেখলি টমি? একদম সিনেমার হিরোইনের মতো লজ্জা পেলো তোৱ মা!

আমান (মাথা নেড়ে): আমি শুধু তোর এই কুত্তাটাকে দিতে এসেছিলাম, ভাই। তুই যা খুশি!
তোৱ সাথে থাকলে আমি লজ্বাই মৱে যাবো।
আমান বেরিয়ে যেতেই ক্ৰিশ দরজা বন্ধ করে ধীরে রান্নাঘরের দিকে গেল।
ভেতরে ঢুকে দেখে, রুহি কফি বানাচ্ছে।
ৱুহিৱ গায়ে লাল রঙের থ্রি-পিস, ওড়নাটা একদিকে সরে গেছে, পিঠে বড় একটা বিনুনি পড়ে আছে কোমর ছুঁয়ে।
রুহি কাপে চামচ নাড়ছে, মুখটা শান্ত, চোখে একটু ঘুমের ছাপ।
ক্ৰিশ দরজায় হেলান দিয়ে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে—ওর চোখে যেন প্রথমবার রুহিকে দেখা।
ক্রিশ হঠাৎ এক চতুর হাসি দিয়ে রুহির বেণিটা টেনে ধরে।
রুহিঃ “আহ্‌হ! ক্রিশ, এইভাবে টানছেন কেন? লাগছে তো!”
সে ঘুরে তাকাতেই ক্রিশ আবার জোরে টানে—রুহি হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে তার বুকের ওপর পড়ে যায়।
ক্রিশ মুচকি হেসে বলে, “এত বড় চুল রেখে কী লাভ , যদি এটা দিয়ে তোমাকে কাছে টানতে না পারি?”
রুহি ঠোঁট ফুলিয়ে উঠে , পা উঁচু কৱে দাঁড়িয়ে দু’হাত ক্রিশের ঘাড়ে রাখে, কিন্তু এখনো তার নাগাল পায় না।
ক্রিশ হাঁসে, “কিস্‌ করবি, বাটারফ্লাই? আগে বলবি তো?”

বলে সে এক ঝটকায় রুহির কোমর জড়িয়ে তুলে নেয়।
রুহি সুযোগটা নিয়ে তার চুল টেনে ধরে ক্রিশের গলার কাছের অ্যাডামস অ্যাপল-এ জোৱে একটা কামড় দেয়।
ক্রিশ ব্যথা চেপে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, মুখে কোনো শব্দ নেই।
রুহি দাঁত বার করে মিষ্টি দুষ্টুমি ভরা স্বরে বলে, “এমন সুন্দর অ্যাডামস অ্যাপল থেকে কি লাভ, যদি আমি একটু আদরই না দিতে পারি?”

ক্রিশ মুচকি হেসে গলা নামিয়ে বলে, “বাহ্‌ বাটারফ্লাই, আমার কথা আমাকেই ।
শোধ নিতে হবে মনে হচ্ছে, এখনই সব হিসাব মিটিয়ে ফেলব—”
ঠিক তখনই ডোরবেল বাজে, টিং টং!
ক্রিশ বিরক্ত হয়ে বলে, “উফফ! আবার কে এলো!”

mad for you part 14

ক্রিশ ভ্রু কুঁচকে ৱুহিৱ দিকে তাকাল, “এই খেলাটা এখনই শেষ হলো না, বাটারফ্লাই।
ফেরত এসে যেখানে থেমেছি সেখান থেকেই শুরু করব।”
সে ধীরে ধীরে রুহিকে নামিয়ে দিল, রুহি চুল ঠিক করে ঠোঁটে এক তৃপ্তির হাসি রাখল।

mad for you part 16

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here