mad for you part 22
তানিয়া খাতুন
ক্রিশ রুহিকে বুকে চেপে ধরে হসপিটালের ভেতরে ঢুকতেই তার গলা ফাটিয়ে চিৎকার করল—
“ডাক্তার! ডাক্তাার কোথায়?! তাড়াতাড়ি আসুন!
আমার বাটারফ্লাই কথা বলছে না… প্লিজ, প্লিজ কেউ আসুন!”
হসপিটালের রিসেপশনে থাকা সবাই থমকে দাঁড়িয়ে ক্ৰিশেৱ দিকে তাঁকায়।
ক্রিশের চোখ লাল, শ্বাস কাঁপছে, রুহির শরীর তার হাতে নিস্তেজ—পুরো দৃশ্যটা এক মুহূর্তে হইচই ফেলে দিল।
একজন নার্স দৌড়ে এসে বলল,
“স্যার, দয়া করে শান্ত হোন। এখানে এভাবে চিৎকার—”
কিন্তু নার্সের কথা শেষ হওয়ার আগেই
ক্রিশ রুহিকে আরো আঁকড়ে ধরল—
যেন ছোট্ট বাচ্চাকে আঁকড়ে ধরেছে।
তার কণ্ঠ কেঁপে উঠল,
“শান্ত? আমার বাটারফ্লাইয়ের মুখে অ্যাসিড মারা হয়েছে!
সে কথা বলছে না আর আমি শান্ত থাকব?!”
নার্স তড়িগড়ি করে ওয়র্ড-বয়কে ডাকল,
“ওয়র্ড-বয়! স্ট্রেচার আনো! তাড়াতাড়ি!”
ক্রিশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“স্ট্রেচার? সময় নষ্ট করবেন না!
প্রথমে ডাক্তার আনুন!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আমার বাটারফ্লাই কে এখনই ডাক্তার দেখা লাগবে—
নাহলে পুরো হাসপাতাল ভেঙে ফেলব আমি!”
নার্স কাঁপতে কাঁপতে বলল,
“স্যার, ডাক্তার ১০ মিনিটের মধ্যে আসবেন… আপনি একটু—”
ক্রিশের চোখে যেন রক্ত নেমে এল।
সে পাশে থাকা প্লাস্টিকের একটি চেয়ার লাথি মেরে দেয়ালে ছুড়ে ফেলল—
চেয়ারটা ভেঙে ছিটকে গেল।
হসপিটালের লোকজন ভয়ে পিছিয়ে গেল।
ক্রিশ গর্জে উঠল,
“দশ মিনিট? ওর মুখে অ্যাসিড পড়েছে আর আপনি দশ মিনিট বলেছেন?!
আমার এখনই ডাক্তার লাগবে।
ফার্স্ট।
নো মোর ওয়ার্ডস!”
তার চোখ এতটাই লাল ছিল যে মনে হচ্ছিল রক্ত ঝরছে।
নার্স ভয় পেয়ে পিছিয়ে গিয়ে ডাক্তার রুমের দিকে দৌড় দিল।
রিসেপশনে থাকা দুইজন সিকিউরিটি এগোতে গিয়ে আবার পিছিয়ে গেল—
কারণ ক্রিশের ভঙ্গি একটাই কথা বলছিল:
যে সামনে আসবে… তাকে সে শেষ করে দেবে।
রুহি নিস্তেজ হয়ে ক্রিশের বুকের সঙ্গে লেগে আছে।
তার নিঃশ্বাস কাঁপছে।
আর ক্রিশ তার মাথায় হাত বুলিয়ে ফিসফিস করে বলছে—
“আমি আছি…তোৱ কিছু হবে না… বাটাৱফ্লাই…”
ডাক্তার দু’জন নার্সকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়ে আসতেই ক্রিশ ছুটে গিয়ে চিৎকার করে উঠল—
“ডাক্তার! দয়া করে দেখুন… আমার বাটারফ্লাই চোখ খুলছে না… কথা বলছে না… প্লিজ, তাড়াতাড়ি কিছু করুন!”
ডাক্তার এক মুহূর্ত দেরি না করে রুহির পাশে ঝুঁকে তার নিঃশ্বাস, নড়াচড়া, স্পন্দন সব পরীক্ষা করতে লাগলেন।
তারপর গম্ভীর গলায় বললেন—
“সিস্টার, রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউতে নিয়ে যান। অবস্থা খুবই সংকটজনক।”
এই কথা শুনেই দুই নার্স দ্রুত স্ট্রেচার ঠেলে রুহিকে নিয়ে যেতে শুরু করল।
ক্রিশ হাওয়ার মতো ছুটে তাদের পেছনে গিয়ে দাঁড়াল—
“আমি ওর সঙ্গে যাব! ওকে একা ছাড়বো না… আমাকে থাকতে দিন, দয়া করে!”
নার্স হাত তুলে থামিয়ে দিল—
“স্যার, আইসিইউতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। দয়া করে দূরে দাঁড়ান।”
ক্রিশের বুকটা যেন ভিতর থেকে খানখান হয়ে যাচ্ছে।
সে স্ট্রেচারের হাতল চেপে ধরে কাঁপা গলায় বলল—
“বাটারফ্লাই… আমি আছি… দেখ, আমি এখানেই আছি… তোকে কিছু হতে দেব না।”
রুহির শরীরটা আধচেতন, নিস্তেজ।
নার্সরা অক্সিজেন, স্যালাইন ও মনিটর লাগিয়ে দ্রুত আইসিইউর দিকে এগোতে লাগল।
ক্রিশ হঠাৎ ডাক্তারকে ধরে ফেলল—
“ডাক্তার, প্লিজ বলুন… ও ঠিক হবে তো? একবার… একবার আমাকে ভেতরে যেতে দিন!”
ডাক্তার কঠিন স্বরে বললেন—
“আগে রোগীর অবস্থা স্থির হতে দিন। মুখ ও গলার একাংশে যে ক্ষত হয়েছে, তা খুবই গুরুতর। এই মুহূর্তে কেউ ভেতরে যেতে পারবে না। আমাদের কাজ করতে দিন।”
ক্রিশ যেন এই কথা শুনে আরও পাগল হয়ে উঠল—
“ও যদি ভয় পায়? যদি আমাকে ডাকতে চায়? আমি ওকে একা থাকতে দিতে পারব না!”
ডাক্তার এবার স্বর একটু নরম করলেন—
“আমি বুঝতে পারছি আপনি খুব কষ্টে আছেন… কিন্তু এখন সবচেয়ে জরুরি হলো ওনাৱ চিকিংসা
আপনি সহযোগিতা করলে আমাদের কাজ দ্রুত হবে।”
স্ট্রেচারটা আইসিইউ–র দরজার কাছে পৌঁছতেই ক্রিশ ছুটে গিয়ে রুহির হাত ধরে ফেলল।
ঠান্ডা, নিস্পন্দ, ব্যথায় কাঁপা সেই হাত।
রুহি আধচেতন অবস্থায় খুব ক্ষীণ স্বরে ফিসফিস করল—
“ক…রি…শ…”
মাত্র এই নাম ডাকার শব্দটুকুই ক্রিশকে ভেঙে দিল।
সে দরজার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল, মাথা দেয়ালে ঠেকিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগল—
“আমি আছি… আমি এখানেই আছি… কেউ তোকে ছুঁতে পারবে না… আমি আছি…”
আইসিইউ–র দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল।
দরজার ওপাশে লাল আলো জ্বলে উঠল।
ঘণ্টাখানেক ধরে ক্রিশ করিডোরে পায়চারি করছে।
তার শরীরের প্রতিটি স্নায়ু টানটান—
চোখ লাল, গলা শুকিয়ে গেছে।
দরজা খুলতেই ডাক্তার গম্ভীর মুখে বেরিয়ে এলেন।
ক্রিশ ছুটে গেল—
“ডাক্তার! আমার বাটারফ্লাই… কেমন আছে? ও ঠিক আছে তো?!”
ডাক্তার রিকভারি রুমের দিকে তাকিয়ে ধীরে বললেন,
“রুহি এখন স্টেবল। কিন্তু… কথা আছে।”
ক্রিশের বুক ধক করে উঠল।
“কথা মানে?”
ডাক্তার গভীর শ্বাস নিলেন—
তার চোখে সেই আগাম সতর্কতার।
“রুহির মুখের ডান পাশটায় অ্যাসিডটা বেশি লেগেছে।
গালে গভীর বার্ন হয়েছে, চোয়ালের কাছেও ক্ষত আছে।
আর গলায় আর হাতে সামান্য অ্যাসিড ছিটকে পড়েছে।”
ক্রিশের হাত কাঁপতে লাগল।
“তাহলে… সেটা সারবে তো? প্লিজ বলুন এটা ঠিক হয়ে যাবে।”
ডাক্তার সরাসরি চোখে তাকিয়ে বললেন—
“হবে। কিন্তু এখানে নয়।
ওনার মুখ আগের মতো ফিরিয়ে আনতে হলে
থাইল্যান্ড নিয়ে যেতে হবে।
সেখানে ফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশনের বিশেষজ্ঞরা কাজ করেন।”
ক্রিশ হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
“থাইল্যান্ড… ”
ডাক্তাৱঃ “হ্যাঁ। এবং যত দ্রুত করা যায় তত ভালো।
এটা এক-দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দেরি হলে ক্ষত শুকিয়ে বিকৃত হয়ে যাবে—
তাহলে মুখ আগের মতো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।”
ক্রিশের মাথা ঘুরে গেল।
থাইল্যান্ড… সার্জারি… এক-দুই দিন…
সব শব্দ তার কানে ঢুকে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
ডাক্তার আবার বললেন—
“খরচ… বেশ লাগবে।
ফ্লাইট, হাসপাতাল, সার্জারি, রিকভারি সব মিলিয়ে…”
ক্রিশ কথা কেটে দিল—
“যা লাগবে আমি দেবো,
আমার বাটারফ্লাইকে আমি আগের মতোই দেখতে চাই।”
ডাক্তার মাথা নেড়ে বললেন—
“ঠিক আছে। আপনাদের পাসপোর্ট, কাগজপত্র, সব প্রস্তুত রাখুন।
আমরা এখানে ড্রেসিং করছি।
কিন্তু অপারেশনটা বাংলাদেশ বা ভারত—কেউ করতে পারবে না।
ওনার মুখের ‘ফুল সার্জারি’ থাইল্যান্ডেই সম্ভব।”
ক্রিশ আইসিইউ-এর দরজাৱ বাইৱে রুহিকে দেখে।
নিজেৱ বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়ে ক্ৰিশ।
ভিতরে ঢুকতেই ডাইনিং রুমে সরিফুল সাহেব টিভিতে খবর দেখছিলেন। পাশে তাঁর স্ত্রী কফি খাচ্ছিলেন।
ঠিক তখনই ক্রিশ ঝড়ের মতো ঢুকে টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
একটুও কথা না বলে সে হঠাৎ বিশাল এলইডি টিভিটা দুই হাত দিয়ে টেনে তুলে জোরে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
চূর্ণবিচূর্ণ শব্দে ঘরটা কেঁপে ওঠে।
সরিফুল সাহেব ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
সরিফুল (চমকে):
— “এ সব কী ক্রিশ? এ রকম পাগলামির মানে কী?”
কোনো উত্তর না দিয়ে ক্রিশ টেবিলের ওপর রাখা ফল কাটার ছুরিটা তুলে নেয়।
রক্তভরা চোখে এক পা এগিয়ে গিয়ে ছুরিটা সরিফুল সাহেবের গলায় ঠেসে ধরে।
ক্রিশ (হাঁফাতে হাঁফাতে):
— “আমার বাটারফ্লাইয়ের মুখে অ্যাসিড কে মারল? তুই করেছিস, তাই না? বল!”
সরিফুল সাহেব হতবাক হয়ে যান।
মাথা নাড়িয়ে কাঁপা কণ্ঠে বলেন—
সরিফুলঃ “ক্রিশ… আমি তোমার বাবা… আমি কেন এমন করবো? ওই মেয়ের মুখে অ্যাসিড কেন মারতে যাব?”
ক্রিশ আরও জোরে ছুরিটা চেপে ধরে—
“আমার সঙ্গে চালাকি করবি না! আমি আজ বাড়ি ফিৱে আসি তাই রুহিৱ এই ক্ষতি করেছিস!”
সরিফুল স্তব্ধ, স্তব্ধতারও বাইরে।
স্ত্রী: “ছেড়ে দাও… ওনার কিছু হয়ে যাবে… ভুল হচ্ছে তোমার…”
ক্রিশ হঠাৎ ছুরিটা ফেলে দেয়।
তার পরের মুহূর্তেই দুই হাঁটুর ভেঙে বসে পড়ে বাবার সামনে।
সে সরিফুল সাহেবের পা আঁকড়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে।
কাঁদতে থাকা ছেলের দৃশ্য দেখে সরিফুল সাহেব স্তব্ধ হয়ে যান—
এই ছেলেকে তিনি শেষবার কবে কাঁদতে দেখেছিলেন মনে নেই তার মায়ের মৃত্যুর দিনও কাঁদেনি।
ক্রিশ (কাঁপা কণ্ঠে):
— “আমার বাটারফ্লাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ, আব্বু… ডাক্তার বলেছে অপারেশন করতে হবে… অনেক টাকা লাগবে… ও এমন করে নিজেকে দেখলে সহ্য করতে পারবে না… দয়া করে, আব্বু… তুমি যা বলবে আমি সব করব… শুধু আমার বাটারফ্লাইকে বাঁচিয়ে দাও…”
সরিফুল সাহেবের চোখে পানি চলে আসে।
তিনি মুখ ঘুরিয়ে কান্না চেপে রাখেন, তারপর শক্ত গলায় বলেন—
সরিফুল: “ঠিক আছে। রুহিকে সুস্থ করতে যত টাকা লাগে আমি দেব।”
ক্রিশ চোখ মুছে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়—
“দাও আব্বু… প্লিজ… এক্ষুণি দাও… সময় খুব কম…”
কিন্তু সরিফুল হাত তুলে ইশারা করে থামিয়ে দেন।
তার কথা ঠান্ডা, কঠিন, গভীর—
— “একটা শর্ত আছে।”
“তোমাকে ওই মেয়েকে ভুলে যেতে হবে। ওর সঙ্গে তোমার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তবেই আমি সব টাকা দেব।”
সরিফুল সাহেবের কঠিন শর্ত শোনার পরও ক্রিশের মুখে একটুও বিস্ময় ফুটে ওঠে না।
মনে হয় যেন সে আগেই জানত—
তার বাবা ঠিক এমনটাই বলবে।
ক্রিশ মাথা নিচু করে ধীরে বলে—
“ঠিক আছে… আমি বুঝেছি। আমাকে টাকা দিন।”
কণ্ঠটা অদ্ভুত শান্ত।
যেন কোনো ঝড়ের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ বাইরে থেকে দেখা যায় না।
ক্রিশের ভিতরের কণ্ঠ ফিসফিস করে উঠল—
(“আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি… আমার বাটারফ্লাইয়ের মুখে অ্যাসিড কে ছুড়ে মেরেছে।
কিন্তু এখনই আমি কিছু বলব না।
এখন একটাই দরকার—বাটাৱফ্লাইকে বাঁচানো।
ও বেঁচে থাকলেই আমি সত্যিটা বের করতে পারব।
তুই একটু ধৈর্য ধর বাটারফ্লাই…
আমি সব ঠিক করে দেব।”)**
ক্রিশ মুখ তুলে বলল—
“টাকা দিন আব্বু। এখনই দিতে হবে। সময় নেই।”
আমান আর ক্ৰিশ সোফার দু’পাশে বসে আছে। ঘরটা নিস্তব্ধ—কিন্তু ভেতরে চাপা টেনশন।
আমান অবাক হয়ে ক্ৰিশর দিকে তাকিয়ে আছে।
এতক্ষণ ক্ৰিশ যা বলল—সেটা বিশ্বাস করার মতো শক্তি যেন আমানের ভিতর নেই।
ক্ৰিশ গভীর নিশ্বাস নিল,
“আমার হাতে সময় নেই, আমান।
তোর সব ডকুমেন্ট দে। কাল সকালেই তুই রুহিকে নিয়ে থাইল্যান্ড চলে যাবি।”
ক্ৰিশের গলায় তাড়া আর ভয়—দুটোই মিশে ছিল।
আমান ভ্রু কুঁচকে বলল,
“ক্ৰিশ তুই ভুল কৱছিস।
রুহির সাথে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি ওকে বোনের মতো দেখি।
কিন্তু তুই চাইছিস আমি ওর সামনে তোকে অন্যরকমভাবে প্রেজেন্ট করি—এটাই ভুল।”
ক্ৰিশ মাথা নেড়ে আমানের কথা থামিয়ে দিল।
“তো আমি কী করি বল?
“আর আমি ওর পাশে থাকলে—যদি কেউ ওর উপর আবাৱ হামলা চালায়, আমি ওকে রক্ষা করতে গেলে তো বুঝে ফেলবে যে আমি আসলে ওকে ছাড়িনি।
তাই তোকে বলছি—তুই ওকে ভাইয়েৱ মতো সামলাবি।
তুই ওর চোখে সত্যিটা আড়াল করে রাখবি। এতে করেই পরিস্থিতি ঠিক থাকবে।”
একটু চুপ থেকে ক্ৰিশ নিচু গলায় যোগ করল—
“রুহি সুস্থ হয়ে উঠলেই… আমি সব খুলে বলব। আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করব।”
ক্ৰিশ হাত বাড়িয়ে আমানের কাঁধে রাখল।
“সব ব্যবস্থা আমি করে দিচ্ছি। তুই শুধু ওর খেয়াল রাখ। তোকে ছাড়া আমি আর কাউকে এতটা ভরসা করতে পারি না।”
mad for you part 21
আমান ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল।
“ঠিক আছে। যেমন বলেছিস তেমনই হবে। রুহির কোনো ক্ষতি আমার দিক থেকে হতে দেব না। আমি দাদা হয়ে ওর পাশে থাকব। কথা দিলাম।”
ক্ৰিশ আৱ নিজেকে ধৱে রাখতে পারল না—আমানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
তার গলায় একটা ভাঙা অনুরোধ,
“ভাই… প্লিজ ওকে নিরাপদে রাখিস।
আমি শুধু আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করছি। তারপর… আমার বাটারফ্লাইকে সব সত্যি বলব।”
