mad for you part 7
তানিয়া খাতুন
আজ কলেজে নবীন বরণ উৎসব।
নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আজ তাৱা প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করবে।
চারদিক জুড়ে উত্তেজনা, হাসি আর সাজসজ্জার আমেজ।
কলেজ প্রাঙ্গণ রঙিন ফুল, ফেস্টুন আর বেলুনে ভরে গেছে।
আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে— মেয়েরা সবাই শাড়ি পরবে আর ছেলেরা পাঞ্জাবি।
সবাই সাজছে উৎসবের আমেজে।
বিকেল গড়িয়ে এসেছে।
রুহি আর সিমৱান হোস্টেলের ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিকেলের নরম আলো জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকছে, সেই আলোয় তার সাজ যেন আরও কোমল, আরও মোহনীয় হয়ে উঠেছে।
রুহি আজ নবীন বরণ অনুষ্ঠানের জন্য সাজছে।
কালো রঙের সিল্কের শাড়িটা শরীরে জড়িয়েছে নিখুঁতভাবে — পাতলা কাপড়ের উপর ছোট ছোট রুপালি পাথরগুলো আলোয় ঝিলমিল করছে।
ব্লাউজটা হালকা স্লিভলেস, গলার কাছে ছোট্ট নকশা, যেন সরলতার মাঝেও একটুকরো আকর্ষণ লুকিয়ে আছে।
রুহির মুখে অল্প মেকআপ — গালে হালকা ব্লাশ, চোখে গভীর কাজলের টান যেন কথার চেয়েও বেশি কিছু বলে দেয়।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কানে ছোটো ছোটো ঝুমকো আৱ হাতে সিলভাৱ কালাৱেৱ চুড়ি।
ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, খুব উজ্জ্বল না, কিন্তু নজর কাড়ার মতো।
তার লম্বা কালো চুলগুলো খোলা, কাঁধ ছুঁয়ে পিঠ বেয়ে কোমৱে নেমে গেছে — হাওয়ায় একটু উড়ছে, আর তাতেই যেন সাজটা সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ৱুহিকে দেখে সিমৱান বলে উঠল,
— “আরে রে! তুই তো একেবারে হিরোইন লাগছিস!
বল তো, এত সাজছিস কেন রে? নাকি সত্যিই ওই ক্ৰিশের প্রেমে পড়ে গেছিস?”
রুহিঃ “ধ্যাত! তেমন কিছু না।
উনি কাল রাতে মেসেজ দিয়েছিলেন— বললেন দু’দিন পর কলেজে আসবেন।
তাই ভাবলাম, আজ একটু নিজের মতো করে থাকি। কতদিন পর এমন একটা দিন পেলাম!”
সিমৱান মুচকি হেসে বলে,
— “আচ্ছা তাই নাকি! তা হলে ব্যাপারটা গুরুতর দেখছি।”
রুহি হেসে সিমরনের গালে আলতো চাপ দিয়ে বলে,
— “তুইও তো কম লাগছিস না বোন! তোর সাজ দেখলে কারও চোখ সরবে না।”
সত্যিই, সিমৱান আজ লাল শিফন শাড়ি পরে একেবারে আগুনের ফুলকি হয়ে উঠেছে।
শাড়ির সোনালি জরির কাজ আলোয় ঝিলমিল করছে।
গলায় ছোট্ট লকেট, কানে দুল, হাতে কাঁচের চুড়ি। মুখে হালকা মেকআপ, ঠোঁটে নরম পীচ রঙের লিপস্টিক। খোলা ঢেউ খেলানো চুল আর কাজলে ঘেরা চোখ— এক কথায় মন ভোলানো সাজ।
রুহি হেসে বলে,
— “তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুইও কলেজের স্টেজে উঠবি আজ!”
সিমৱান ঠোঁট কামড়ে হেসে ফেলে,
— “হয়তো উঠবও… যদি কেউ আমায় আমন্ত্রণ জানায়।”
দু’জনে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে ওঠে।
জানালার বাইরে সূর্য ঢলে পড়ছে, হালকা বাতাসে পর্দা দুলছে।
হোস্টেলের করিডোর জুড়ে ছাত্রীরা ব্যস্ত, হাসির শব্দ, পারফিউমের গন্ধে পুরো পরিবেশ উৎসবমুখর।
রুহি ধীরে ধীরে শাড়ির আঁচলটা ঠিক করে বলে,
— “চল, দেরি হয়ে যাবে। আজকের দিনটা সুন্দর করে কাটাব।”
সিমৱান মাথা নেড়ে বলে,
— “চল, আজ আমরা দু’জনেই ঝলমল করব — আজ নবীন বরণ, নতুন শুরু।”
রুহি আর সিমৱান দু’জনে যখন হোস্টেল থেকে বেরোল, তখন সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিমে ঢলে পড়ছে।
কলেজের মাঠে তখন রঙিন কোলাহল— চারপাশে হাসির শব্দ, সঙ্গীতের সুর আর মাইক্রোফোনে ঘোষিকার কণ্ঠ ভেসে আসছে।
কলেজ আজ যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে। প্রধান গেটের উপরে ফুলের মালা আর ফেস্টুন দিয়ে লেখা—
“নবীন বরণ উৎসবে তোমায় স্বাগতম।”
প্রতিটি করিডোর রঙিন বেলুনে সাজানো, ছাদ থেকে ঝুলছে কাগজের তারা আর আলোর ফিতা। চারদিকেই লাল-নীল আলো ঝলমল করছে।
মঞ্চের সামনে ছোট ছোট চেয়ার সাজানো, মাঝখানে লাল কার্পেট বিছানো। মঞ্চে নীল ব্যাকড্রপে লেখা—
“New Beginning – Fresh Faces, Bright Futures”
চারপাশে ফুলের টব, স্ট্যান্ডে রাখা মাইক্রোফোন, আর কোণায় বসে ব্যান্ড টিম গিটার টিউন করছে।
রুহি ও সিমৱান মঞ্চের দিকে গিয়ে সামনেৱ চেয়াৱ গুলোতে বসে পড়ে।
অনুষ্ঠান শেষের দিক।
সিমৱান পাশে দাঁড়িয়ে বলে—
— “চল, এখন ভিড়টা একটু ঘুরে দেখি।”
দু’জন ধীরে ধীরে স্টেজের নিচে সাইড দিয়ে হাঁটছিলো।
একরাশ করতালি, হাসির শব্দ, হালকা সঙ্গীত বাজছে। বাতাসে পারফিউম, ফুলের গন্ধ আর উচ্ছ্বাসের মিশ্রণ।
আর ঠিক সেই সময়…
কলেজ গেটের পাশে বাইক পার্ক করে দাঁড়িয়েছিল ক্ৰিশ।
কালো পাঞ্জাবি, কালো সানগ্লাস, চুলে হালকা বাতাসের দোলা।
সে আসলে আজ আসবে না বলেই ঠিক করেছিল, কিন্তু নিজের মনকে মানাতে পারেনি।
রাতের অল্প কথায় রুহির হাসি, তার “তুমি না এলে আমি আসব না” — সেই কথাটাই বারবার কানে বাজছিল।
ক্ৰিশের মনে একটা কৌতূহলও ছিল —
“রুহি কি সত্যিই আসবে না?
সে শুধু দেখতে চেয়েছিল, এই ভালোবাসা সত্যি কিনা, নাকি শুধু কথার খেলা চলছে
বাইক পার্ক করে সে ভিড়ের দিকে তাকায়।
একটু দূরে স্টেজের আলোয় দেখা যায় কালো সিল্কের শাড়িতে এক মেয়ে —
চুল খোলা, চোখে কাজল, ঠোঁটে লাল রঙ…
butterfly।
এক মুহূর্তেই যেন পৃথিবী থেমে গেল।
রুহি ধীরে ধীরে হাঁটছে সিঁড়ি সিমৱান তার পাশে।
আলো পড়ছে তার গায়ে, কালো শাড়ির পাথরগুলো চিকচিক করছে।
ক্ৰিশের চোখ শুধু তার দিকেই আটকে যায়— দু’চোখ ভরে তাকিয়ে থাকে, যেন বহুদিনের তাকে দেখেনি সব তৃষ্ণা একসাথে মেটাতে চাইছে।
তার বুকের ভিতর হঠাৎ কেমন ভারী হয়ে ওঠে।
সে মনে মনে ভাবে,
“আমি আসব না বলে ও এসেছিল… এত ভালোবাসাৱ অভিনয়।
রুহি তখনও জানে না ক্ৰিশ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু কৃষের দৃষ্টি যেন তাকে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে ফেলেছে।
তারপর হঠাৎই ভিড়ের মাঝে রুহির পা সামান্য আটকে যায়, আঁচলটা একটু উড়ে পড়ে তাই পেট টা হালকা দেখা যায়।
আর সেই মুহূর্তে ক্ৰিশের চোখে যেন আগুন জ্বলে ওঠে।
তার শরীর জমে যায়, ঠোঁট শক্ত হয়ে ওঠে।
সে কিছু বলে না, শুধু নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে—
চোখে একরাশ জ্বলন্ত অনুভূতি নিয়ে,
যেন পুরো দুনিয়াটা ঘুরছে, কিন্তু তার দৃষ্টি এখন শুধু একটাই জায়গায়—
হঠাং ৱুহিৱ চোঁখ পড়ে ক্ৰিশেৱ ওপৱ তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল।
ভিড়ের মধ্যে ক্ৰিশ দাঁড়িয়ে— মুখে সেই তীব্র, ঠান্ডা চাহনি।
চোখে ঝড়।
হাওয়ায় ওদের চোখ মেলে গেল—
এক নিঃশব্দ দৃষ্টি, যেখানে ভালোবাসা আর আগুন একসাথে জ্বলে।
ক্ৰিশের ভেতরের আগুন তখনও থেমে নেই।
ঠিক তখনই পাশের দিক থেকে একটা ছেলে হেসে ফিসফিস করে ওঠে,
— “এই দেখ মাইৱি , হিরোইন রে! কি ফিগাৱ।
তার ঠোঁটে একরাশ কটাক্ষ, আর চোখে সাহসের ঝিলিক।
এক মুহূর্তে ক্ৰিশের শরীর জমে গেল।
তার ভেতরের সমস্ত আগুন যেন হঠাৎ বিস্ফোরিত হলো।
সে এক পা, দুই পা করে এগিয়ে গেল সেই ছেলেটার দিকে।
চারপাশের মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্ৰিশের চোখ লাল হয়ে উঠল—
সে এক ধাক্কায় ছেলেটার কলার চেপে ধরে, গর্জে উঠল,
— “জানিস ওই কে?”
ছেলেটা কিছু বলার আগেই ক্ৰিশের ঘুষিতে সে মাটিতে পড়ে গেল।
ভিড় থমকে দাঁড়াল, সঙ্গীত থেমে গেল।
রুহি হতভম্ব— চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ক্ৰিশের দিকে।
তার শ্বাস কেঁপে উঠছে, মনে হচ্ছে পৃথিবী থেমে গেছে।
ক্ৰিশ তখনও রাগে ফুঁসছে, শ্বাস ভারী হয়ে উঠেছে।
চারদিক নিস্তব্ধ, গান বন্ধ, শুধু একটাই শব্দ—ক্ৰিশের ঘুষির আওয়াজ, আর ছেলেটার গোঙানি।
ক্ৰিশ ছেলেটাকে চুল ধরে টেনে তুলে আবার মাটিতে আছাড় মারে।
— শালা, আমার বাটারফ্লাই-এর দিকে তাকাস ?!
তার চোখে আগুন, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে গেছে।
রাগে গায়ে ফোলানো শিরাগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
চারপাশের ছাত্রছাত্রীরা কেউ সামনে আসার সাহস পাচ্ছে না।
রোহিম , ৱুদ্ৰ আৱ আমান দূর থেকে চিৎকার করে,
— ক্ৰিশ থাম! মরে যাবে ভাই থাম!
কিন্তু ক্ৰিশেৱ কানে কিছুই যাচ্ছে না।
সে ছেলেটার মুখে আরেকটা জোর ঘুষি বসায়,
রক্ত ছিটকে মাটিতে পড়ে, সবাই হতভম্ব।
রুহির চোখ দিয়ে অঝোরে জল পড়ছে।
সে বারবার চিৎকার করে,
— ক্ৰিশ থামুন প্লিজ থামুন! আমি বলছি থামুন!
ক্ৰিশ ঘুরে তাকায়, তার চোখে এক অদ্ভুত উন্মাদনা।
রুহির মুখে কান্না, গলাটা কাঁপছে।
ক্ৰিশ এবাৱ ছেলেটাকে তুলে এলো পাথরি মারতে শুরু করে, একবার চেয়ারের ওপর ফেলে দেয়।
একবাৱ মাটিতে পড়ে যায়।
চারদিকে ছাত্রছাত্রীরা ভয় আর হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কেউ কিছু বলার সাহস করে না।
রুহি এগিয়ে এসে বারবার কৃষকে থামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না।
ছেলেটা প্রায় আধমৱা হয়ে গেছে।
সিমৱান চিৎকার করে বলে,
— রুহি, কিছু কর! আটকা রাখ ক্ৰিশকে, না হলে ছেলেটা মরে যাবে!
রুহি কী করবে বুঝতে না পেরে দৌড়ে যায়, পিছন থেকে ক্ৰিশকে জড়িয়ে ধরে, শক্ত করে তার হাত চেপে ধরে।
ক্ৰিশের হাত হঠাৎ থেমে যায়।
তার শরীর কাঁপছে, নিঃশ্বাস ভারী।
সে চোখ বন্ধ করে গভীরভাবে শ্বাস নেয়, যেন নিজের ভেতরের আগুন নিভাতে চাইছে।
চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
চারপাশে এখনো ভয়, কিন্তু নিস্তব্ধতার মধ্যে শোনা যায় শুধু রুহির কান্নার শব্দ আর ক্ৰিশের ভারী নিঃশ্বাস।
রুহি এখনো তার পিঠে মুখ রেখে কাঁদছে, বলছে,
—ক্ৰিশ… দয়া করে থামুন… আমি ভয় পাচ্ছি…
ক্ৰিশ ধীরে ধীরে তার হাত নামিয়ে আনে।
তার দৃষ্টি ফাঁকা, কিন্তু মুখে রাগ আর যন্ত্রণার মিশ্র ছাপ।
আমান, রুদ্র আর রোহিম এতক্ষণ দূরে ভয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু ক্ৰিশকে শান্ত হতে দেখে ওরা এগিয়ে এসে ছেলেটাকে তুলে নেয়।
ক্ৰিশ দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে,
— শালা মাদারচোদ! তোর পুরো ফ্যামিলিকে আমি… চু** আর কোনোদিন আমার বাটারফ্লাই-এর দিকে তাকাবি না, বুঝেছিস, বাষ্টার্ড!
তারপর রুহিকে টেনে নিজের সামনে আনে ক্ৰিশ।
— তোকে কে বলেছিল শাড়ি পরে, এত সুন্দর করে সাজতে? আমি বলেছিলাম, বলেছিলাম আমি?
রুহি ভয়ে ভয়ে মাথা নাড়ে — না বোঝানোর ভঙ্গিতে।
ক্ৰিশ তার হাত ধরে মঞ্চে উঠে দাঁড়ায়, মাইকটা নিজের হাতে নিয়ে বলতে শুরু করে,
— পুরো কলেজের সবাইকে আমি একটা কথা বলছি…
“সবাই খোলাখুলি শুনে রাখুন_ She is my wife”
(রুহি অবাক হয়ে ক্রিশের দিকে তাকিয়ে থাকে; এমন কথা হঠাৎ করে আশা করেনি।)
ক্রিশ আবার গলায় দৃঢ় কণ্ঠে বলেঃ
“she is my butterfly, তাই, ওৱ দিকে যে চোঁখ তুলে তাকাবে — আমি তাৱ চোঁখ উপরে দেব।
I repeat কলেজের কোনো পুরুষই আমার butterfly দিকে চোঁখ তুলে তাকাবে না।
কেউ তাকে টর্চ করবে না — আমি তাৱ হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।
প্রয়োজনীয় কথার বাইরে কেউ বাড়তি বাজে কথা বলবে না, নচেৎ তার জীব টেনে ছিঁড়ে ফেলব।
Final warning” and “Last warning
— she is my leady ,শুধুই আমার, আৱ কারো নয় — understand?”
(ক্রিশের হুমকি পুরো কলেজ কেঁপে ওঠে; ছেলে মেয়েরা ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে — “হ্যাঁ হ্যাঁ বলে!”)
হঠাৎ করে ক্রিশ রুহিকে কোলে তুলে নেয়, তারপর স্টেজ থেকে নামতে শুরু করে।
প্রফেসরদের মুখে বিস্ময় ও চিন্তার ছাপ।
একজন সিনিয়র প্রফেসর চশমা ঠিক করে তাকিয়ে বললেন, “এটা কি শোভনীয় আচরণ?”
অন্য একজন মৃদু কণ্ঠে student চলে যেতে বলেন; কিন্তু তার কণ্ঠ সরল নয়—ভেতরে একটা সতর্কতা লুকিয়ে আছে।
mad for you part 6
রুহির গলার মধ্যে যেন শব্দ আটকে গেল; চোখ বড় কৱে দেখে সে ক্রিশের দিকে — কোন জন্মে এমন কথা একেবারেই ভাবেনি।
ওর বুক দ্রুত ধড়াধড় করে, ঠোঁট জমে যায়, হাত দুটো অনিচ্ছায় ক্ৰিশেৱ গলা জৱিয়ে ধৱে।
