তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি পর্ব ১৩

তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি পর্ব ১৩
Anika Fahmida

–তাই নাকি অনু? আমার হাসি দেখলে তোর কলিজায় লাগে? তাহলে তো আমার বেশি বেশি করে হাসা উচিত। যাতে তোর কলিজায় বার বার করে লাগে।
অনু আবারও আদ্রের দিকে ফিরে বলল,
–আমি হঠাৎ করে কথাটা বলে ফেলেছি আদ্র। তুমি কিছু মনে করো না।
আদ্র অনুর দিকে গম্ভীর দৃষ্টি রেখে বলল,
— আমি কিছু মনে করি নি। আচ্ছা আমি গেলাম।
অনু ভয় পেয়ে আদ্রকে বলল,
–কোথায় যাচ্ছো তুমি?
–যেখানে মন চায় সেখানে যাবো।
–আমাকে ফেলে চলে যাবে?
–হ্যা যাবো। আমি তোকে সাথে নিয়ে কেন যাবো? কোথাও গেলে আমি একা যাবো।
–আমাকে ভুত মেরে ফেললেও তোমার কিছু যায় আসে না আদ্র? এতো নিষ্ঠুর তুমি?
আদ্র অনুর দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাল। অনু ভয়ে মাথা নিচু করে চুপ করে রইল। আদ্র অনুকে বলল,
–বিছানায় গিয়ে চুপ করে বসে থাক।
অনু মন খারাপ করে আদ্রকে বলল,
–বিছানায় বসলেও কি হবে? তুমি তো আর ফিরবে না।

আদ্র অনুর সাথে আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চলে গেল৷ অনুর এবার ভয় হতে লাগল। আদ্র যখন অনুকে এখানে নিয়ে এসেছিল তখন অনু আদ্রের কোলে থাকা অবস্থায় এই বাড়ির আশেপাশটা খুব ভালো করে দেখেছিল। প্রচুর ভুতুড়ে দেখতে বাড়িটা। এই বড় বিশাল বাড়িতে কেউ নেই। নিশ্চয়ই একটু পর ভুত এসে অনুকে ভয় দেখাবে। অনু বিছানার উপর বসে গেল। আশেপাশে একটা কাঁথাও নেই যে অনু গায়ে জড়িয়ে নিজেকে আড়াল করবে। অনু মনে মনে বলল,
–আদ্র আমাকে ফেলে চলে গেল! আমি এখন কি করে বাঁচব? আমাকে তো ভুত এসে মেরে ফেলবে।
ভয়ে অনুর কান্না চলে আসল। অনু কোনোরকম বসে রইল। বেশ কিছুক্ষণ পর কিছু একটা জোরে পরার আওয়াজ হলো। অনু ভয়ে আঁতকে উঠল। ভয়ে শুকনো ঢুক গিলল। মাথার উপর ফ্যান চলছে। তবুও অনু ঘামতে লাগল। অনু ভয় পাওয়া স্বরে বলল,
–কে ওখানে?

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

কিন্তু অনুর কথায় কেউ সাড়াশব্দ দিল না। দরজার সামনে দিয়ে একটা মানুষের আকৃতির ছায়া চলে গেল। অনু এবার চোখ বড়বড় করে সেখানে তাকিয়ে রইল। এ বাড়িতে নিশ্চয় ভুত আছে এটা অনু ভাবছে৷ নাহলে কিসের ছায়া দেখল। একটু পরেই রুমে ভিতর বিশাল সাদা কাপড় পড়ে কেউ একজন ঢুকল। অনু ভয় পেয়ে বিছানার উপর লাফিয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উঠল,
–ভুত! ভুত! কেউ বাঁচাও আমাকে। আদ্র কোথায় তুমি?ভুত আমাকে মেরে ফেলল!
সাদা কাপড় জড়ানো ভুতটা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসল। ভুতের মুখটাও সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা। তাই অনু ভুতের মুখটাও দেখতে পারে নি। ভুতটা এগিয়ে আসতে আসতেই জোর গলায় অনুকে বলল,
–আজ তোকে আমি খেয়ে ফেলবো। কোথায় যাবি তুই? হা হা হা। হাউ মাউ খাও। মানুষের গন্ধ পাও।
অনু বিছানা থেকে নেমে রুমের একদম কোণায় দেয়ালের সাথে চেপে দাঁড়াল। অনু চিৎকার করে ভয় পাওয়া স্বরে সাদা কাপড় জড়ানো ভুতটিকে বলল,

–একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবে না। একদম না। দূরে যাও। প্লিজ আমাকে মেরো না।
কিন্তু সেই সাদা কাপড় জড়ানো ভুতটা ধীরে ধীরে অনুর কাছে আসতেই লাগল। তারপর একেবারে অনুর কাছে চলে আসল। অনু ভয় পেয়ে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে নিলে সেই ভুতটা অনুকে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলে। ভুতটি নিজের শরীর এবং মুখ থেকে সাদা কাপড় টেনে খুলে মাটিতে ফেলে দিল। এবার অনু ভুতের মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল। কারণ এটা কোনো সাদা ভুত ছিল না। সাদা ভুতটা আসলে আদ্র ছিল। আদ্র নিজের শরীরে সাদা কাপড় জড়িয়ে রেখেছিল। অনু কান্না করে দিয়ে আদ্রকে বলল,

–আদ্র তুমি আমার সাথে এমন করলে কেন?
আদ্র অনুর গালে আলতো করে হাত রেখে শান্ত স্বরে বলল,
–আই এম সরি অনু ৷তোকে ভয় দেখানোর জন্য ভুত সেজেছিলাম। তুই ভুত খুব ভয় পাস তোর মুখে শুনে নিজেকে ভুত সাজানো থেকে আটকাতে পারলাম না।
আমি জানতে চেয়েছিলাম ভুত সাজলে তোর রিয়াকশন কেমন হয়৷ কিন্তু আমি জানতাম না তুই ভুত দেখে অসুস্থ হয়ে পড়বি। জানলে এমনটা করতাম না। সরি অনু। এই দেখ আমি নিজের কান ধরছি। আর এমন করব না।
অনু নিজেকে আদ্রের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রেগে গিয়ে বলল,
–তুমি আমার সাথে কথা বলবে না। চলে যাও এখান থেকে। খুব পঁচা তুমি আদ্র।
আদ্র আবারও অপরাধী স্বরে বলল,
–অনু আমি সরি বললাম তো!
অনু আদ্রের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
–তোমার সরি তুমি তোমার কাছে রাখো। তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়েছিলাম? কত ভয় পেয়েছিলাম জানো? তুমি জানো না।
অনুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। অনুর শরীর এখনও কাঁপছে। আদ্র অনুকে নিজের কাছে আবারও টেনে নিয়ে অনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল৷ অনু এবার শব্দ করেই কাঁদতে লাগল। আদ্র শান্ত স্বরে অনুকে জড়িয়ে ধরেই বলল,

–আমি আর কখনো তোর সাথে এমন করব না অনু।
অনু কিছু না বলে চুপ করে কাঁদতে লাগল। বেশ অনেক্ষণ পর অনুর কান্না থেমে গেলে আদ্র অনুকে ছেড়ে দিয়ে হাসিমুখে বলল,
–কিন্তু তোর ভয় পাওয়া চেহারাটা খুব ফানি ছিল অনু।
এই বলে আদ্র মুখে হাত দিয়ে হাসি চেপে রাখল। অনু রাগী দৃষ্টিতে আদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। আদ্র অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,
–আসলে আমি ভুত সাজার জন্য বাইরে যাই নি অনু। তুই ভাবলি কি করে আমি তোকে একা ফেলে দিয়ে বাসায় চলে যাবো? আমি তোর জন্য খাবার কিনতে গিয়েছিলাম৷ আর ভুত সাজার জন্য আমি তোকে আবারও সরি বলছি। আই এম সরি অনু। আমাকে ক্ষমা করে দে।
আদ্র কিছুক্ষণ অনুর পাশে বসে রইল। অনু মন খারাপ করে বসে আছে। আদ্র রুম থেকে আবারও বেড়িয়ে গেল। দুই মিনিটের মধ্যে হাতে খাবার নিয়ে আদ্র ফিরে আসল৷ আদ্রের হাতের প্লেটে বিড়িয়ানি।অনু বিছানায় বসে আছে মন খারাপ করে। আদ্র খাবার হাতের মুঠোয় করে মুচকি হেসে অনুকে বলল,

— হা কর।
অনু মুখ অন্যদিকে করে গম্ভীর স্বরে বলল,
–আমি খাবো না।
আদ্র রেগে গিয়ে অনুকে বলল,
–কি বললি তুই?খাবি না? না খেলে তোর হাল যে আমি কি করব তা কিন্তু তুই কল্পনাও করতে পারবি না।ভালোয় ভালোয় বলছি খাবার খেয়ে নে অনু। হা কর।
আদ্র রেগে গেছে দেখে অনু ভয় পেয়ে আদ্রের হাতে খাবার খেতে লাগল৷ অনুর খাবার খেতে খেতে আদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল,
–তুমি খাবার খাবে না?
আদ্র অনুকে খাইয়ে দিতে দিতেই বলল,
–আমি পড়ে খাবো।
–পড়ে বলতে কখন খাবে?
–নিজেও জানি না। তবে পড়ে খাবো বললাম তো।
–তুমিও আমার সাথে খাও।
আদ্র শান্ত স্বরে অনুকে বলল,
–অনু আমি পড়ে খাবো। তোর জন্য খাবার এনেছি। তাই তোকেই খেতে হবে।
অনু আদ্রের কাছ থেকে খাবার প্লেট কেড়ে নিয়ে বলল,
–তুমি না খেলে আমিও আর খাবো না। আমি তোমাকে খাইয়ে দিবো। হা কর।
আদ্র অনুর দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তারপর হা করল। অনু আদ্রকে খাবার খাইয়ে দিতে লাগল। আদ্র বেশি খাবার খেলো না। অনুর হাত থেকে প্লেট কেড়ে নিয়ে আদ্র বলল,

–অনু তুই আমাকে অনেক খাইয়ে ফেলেছিস। আমাকেই যদি সব খাবার খাইয়ে ফেলিস তাহলে তুই কি খাবি?
অনু অবাক হয়ে আদ্রকে বলল,
–তুমি কোথায় সব খেলে? অল্পই তো খেলে।
–এই অল্প খাবারও আমি খেতাম না৷ কিন্তু কেন খেয়েছি শুনবি?
–হ্যা বলো শুনি।
–এই খাবারটা তুইও খেয়েছিস তাই ভাবলাম তোর খাবারটা খেয়েই নেই। তোকে যদি না করতাম তাহলে তোর খাবার খাওয়ার এই সুযোগটা হাত ছাড়া হয়ে যেত। আমি এটা হতে দিলাম না।
–আদ্র তুমি ভীষণ দুষ্টু। বলতে গেলে তুমি ভীষণ লুচু।
আদ্র অনুকে খাইয়ে দিচ্ছিল। অনুর কথা শুনে খাবার খাওয়ানো বাদ দিয়ে অনুকে অবাক হয়ে বলল,
–কি বললি তুই? আমি লুচু?
–হ্যা লুচুই তো।
–কিভাবে লুচু হলাম?
–অনেকভাবেই। আমি বলতে পারবো না।
–বল নাহলে তোর খবর আছে।
–এই যে এখন বললে আমি এই খাবার খেয়েছি দেখে তাই তুমি এই খাবার খেলে।
–আর কি কি?
–আবার আমার ঠোঁট তোমার জন্য জ্বলছে। সেই খেয়াল তোমার আছে? খাবারের মরিচ আমার কাটা ঠোঁটে জ্বলছে। লুচু তুমি।
অনুর কথা শুনে আদ্র হাসতে লাগল। অনু আদ্রকে রাগী স্বরে বলল,
–আমার কষ্টে তোমার হাসি পাচ্ছে?
আদ্র হাসি থামিয়ে অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,
–আমি তোকে কষ্ট কখন দিলাম?
–আমার ঠোঁটে তোমার জন্য ব্যথা পেয়েছি।

–আমি তো আর ইচ্ছে করে তোকে কিস করতে চাই নি। বিদেশ থেকে এসে তোকে এতদিন পর সামনে থেকে দেখলাম তাও আবার তুই গভীর ঘুমে ছিলি। তাই কিস করে তোকে একটা শিক্ষা দিলাম।
–এটা আবার কেমন শিক্ষা?
আদ্র অনুর মুখে খাবার দিয়ে বলল,
–এটা ভালোবাসার শিক্ষা।
অনু খাবার গিলে আদ্রকে বলল,
–ভালোবাসার শিক্ষা এতো ভয়ংকর হয়?
–হ্যা ভয়ংকর হয়।
–কেন ভয়ংকর হয়?
–চুপ থাক অনু। তুই বেশি কথা বলছিস।
অনু চুপ হয়ে গেল। অনুর খাওয়া শেষ হলে আদ্র অনুর মুখ মুছে দিয়ে রুম থেকে চলে গেল। আদ্র নিজের হাত ধুয়ে আবারও রুমে আসল। আদ্র দেখতে পেল অনু কি যেন ভাবছে। তাই আদ্র অনুর কাছে গিয়ে পাশে বসে অনুকে জিজ্ঞেস করল,
–কি ভাবছিস অনু?
অনু আদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল,
–ভালোবাসার শিক্ষা এতো ভয়ংকর কেন হয় বলো?
–আবারও একই কথা জিজ্ঞেস করছিস?
–বলো না? খুব জানতে মন চাইছে।

–কাউকে গভীরভাবে ভালোবাসলে এর ফলাফল ভয়ংকর হয় অনু ৷ভালোবাসার মধ্যে একজন হয় শিক্ষক আর একজন হয় স্টুডেন্ট। একজন ভালোবাসার মানেটা খুব বুঝে আর আরেকজন অল্প বুঝলেও অবুঝ হয়। তাই সেই অবুঝকে বুঝাতে হলে ভালোবাসার শিক্ষক হতে হয়। ভালোবাসার শিক্ষা দিতে হয়। আর সেই ভালোবাসার শিক্ষা কখনও সাধারণ হয় না।খুব ভয়ংকর হয়।
অনু হা করে আদ্রের কথা শুনতে লাগল। আদ্র মুচকি হেসে অনুকে বলল,
–এবার বুঝলি অনু?
–একটু একটু বুঝেছি।
–ঐ একটু একটুই তোর জন্য যথেষ্ট।
আবারও সবকিছু নিরব চুপচাপ হয়ে রইল৷ অনু আদ্রকে জিজ্ঞেস করল,
–আদ্র আমাকে বাসায় যেতে দিবে না?
আদ্র অনুর দিকে গভীর দৃষ্টি রেখে বলল,
–যদি যেতে না দেই তাহলে কি করবি?
–আমার এই ভুতের বাড়িটা ভয় লাগছে।
–এটা ভুতের বাড়ি না। রাজবাড়ী। পুরনো বাড়ি। আর আমি তো তোর সাথে আছিই। তাও ভয় করছে?
–আদ্র বাসায় আমার আম্মু আব্বু চিন্তা করছে। আমার আম্মু আব্বুর কথাও তো একটু ভাবো? আর আংকেল, খালামনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছে তুমি দেশে ফিরে এসেছো। এখনও তুমি তাদের সাথে দেখা করো নি৷ ব্যাপারটা ভালো দেখায় না আদ্র।
আদ্র দীর্ঘ শ্বাস ফেলে অনুকে বলল,

তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি পর্ব ১২

–ঠিক আছে। আগামীকাল তোকে তোর বাসায় পৌঁছে দিব।
অনু খুশি হয়ে আদ্রকে বলল,
–সত্যি বলছো?
আদ্র হেসে অনুকে বলল,
–হ্যা সত্যি।
অনু আদ্রকে হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরে বলল,
–তুমি খুব ভালো আদ্র।
অনু নিজ থেকে জড়িয়ে ধরায় আদ্র খুশি হলো। আদ্রও অনুকে জড়িয়ে ধরে বলল,
–তোর কাছে যদি মনে হয় আমি ভালো। তাহলে আমি ভালো।
–আমি ভালো বললে তুমি ভালো আর আমি খারাপ বললে তুমি খারাপ? এটা কেমন কথা আদ্র?
–জানি না।
অনু আদ্রকে জড়িয়ে ধরা থেকে ছেড়ে দিয়ে আদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। আদ্র অনুকে জিজ্ঞেস করল,
–এমন করে কি দেখছিস?
–তোমাকে দেখছি।
–যেমন করে দেখছিস যেন মনে হচ্ছে আমাকে এর আগে কখনো দেখিস নি।
–তুমি ভীষণ পাগল আদ্র।
আদ্র অনুর কপাল থেকে চুল সরিয়ে দিয়ে বলল,
–তোর জন্যই তো পাগল হয়েছি।
–নিজে তো পাগল হয়েছো সাথে আমাকেও পাগল বানিয়েছো।
–তারমানে তুই বলতে চাইছিস আমার জন্য তুই পাগল হয়েছিস অনু?
–হ্যা তোমার জন্যই তো পাগল হয়েছি।
অনুর কথা শুনে আদ্র হাসতে লাগল। অনু আদ্রকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
–হাসছো কেন আদ্র?
আদ্র হাসি থামিয়ে দিয়ে অনুকে বলল,
–এমনি।
–এমনি এমনি কেউ হাসে?

আদ্র অনুর হাত নিজের মুঠোয় ধরে বলল,
–এই গভীর রাতে আমার সাথে এখন বাইরে যাবি অনু?
অনু আদ্রের কথা শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
–এতো রাতে বাইরে যাবো কেন? যদি রাস্তায় ভুত থাকে?
–কোনো ভুত নেই। আর যদি কোনো ভুত থাকে তাহলেও কি হবে? আমি আছি তো তোর সাথে৷ আমাকে দেখে সব ভুত পালাবে।
অনু আদ্রের কথা শুনে হেসে ফেলল।

তোমাকে ঘিরে আমার অনুভূতি পর্ব ১৪