vilen last part 

vilen last part 
আনু

রোজি : এইই নিলয়য়য়য়য়!!!!!
নিলয়ের সকাল শুরু হলো রোজির এক ঝারি খেয়ে। সদ্য জন্মানো তাদের টুয়িন বেবি দুটো কাঁদছে রোজি বেচারি পারছে নাহ একা সামলাতে।ওইদিকে নিলয় শুয়ে আছে সোফায়। তারা কাল ফিরেছে হসপিটাল থেকে।
এদিকে রোজির এক ঝারিতে কাজ হয় নি দেখে রোজি দিগুন চটে গিয়ে দিল আরেক ঝারি,
রোজি : এইই নিলয়ের বাচ্চাাাাা!!!!!
নিলয় এমন ঝারি শুনে দরফরিয়ে উঠলো। উঠে তরিগরি করে রোজির কাছে গেলো। গিয়ে মিন মিন করে জিজ্ঞেস করলো,

নিলয় : কিছু হয়েছে জান?
রোজি তেজি গলায় বললো,
রোজি : দেখতে পারছেন না ওরা কাঁদছে?
নিলয় : হুম তো?
রোজি চটে গিয়ে বললো,
রোজি : তাহলে একটাকে নিন আমি দুটোকে নিতে পারছি নাহ তো?
নিলয় : দেও।
তারপর নিলয় তার মেয়েকে কোলে নিল কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় নিলয়ের কোলে চড়তেই রোদুসি কান্না থামিয়ে দিলো। রোজি অবাক হয়ে দেখতে থাকলো। এদিকে রোদ্র কেঁদেই চলেছে তা দেখে রোজি তাড়াতাড়ি তাকে ফিড করাতে লাগলো। বাচ্চার মুখে চুচু শব্দ হচ্ছে নিলয় এক পলক সেদিলে তাকিয়েই চোখ সরিয়ে নিল কেননা তার যেই চোখ কী না কী করে ফেলে ভাবা যায়? দেখা যাবে পরে বাচ্চার খাবার সে খেয়ে ফেলেছে। নিলয় মেয়েকে নিয়ে হাটঁতে লাগলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রোজি : ওর খাওয়া শেষ ওকে দিন?
নিলয় আস্তে আস্তে এগিয়ে গিয়ে রোদুসি কে এগিয়ে দিল আর রোদ্রকে কোলে নিলো। রোদুসি মায়ের কোলে উঠেই কান্না শুরু রোজি তাড়াতাড়ি রোদুসিকে ফিড করাতে লাগলো। রোদুসির খাওয়া শেষ হতেই রোজি রোদুসিকে ওর ছোটো বিছানায় শুয়িয়ে দিলো সাথে নিলয়ের কাছ থেকে রোদ্রকে নিয়ে রোদুসির পাশে শুয়িয়ে দিলো তারপর দুটো বাচ্চাকে চুমু দিলো। এদিকে নিলয় আস্তে আস্তে রোজির কাছে যাচ্ছিলো কিন্তু যেতে আর পারলো নাহ কোথা থেকে যেনো শিউলি গুটিগুটি পায়ে রুমে প্রবেশ করলো নিলয় তা দেখে সেখানেই সটাং হয়ে দাড়ালো।
রোজি শিউলিকে আসতে দেখে লাফিয়ে উঠলো এই ১০ দিন সে এই মেয়ে এর দেখা পায় নি বললেই চলে। তাই তাড়াতারি করে এগোতে নিলে সে টি টেবিলের সাথে বেধে পরে যেতে নেয় সঙ্গে সঙ্গে নিলয় রোজিকে ধরে ফেলে। শিউলি নিজেও ভয় পেয়ে গেছে। এখনই কিছু একটা হয়ে যেতো। নিলয় রোজির পেট জরীয়ে ধরে কানে কানে ফিসফিস করে বললো,

নিলয় : আজকে তোমার খরব আছে রাতে রেডি থেকো কাবার্ডে একটা ড্রেস রাখা আছে পরে থাকবে সেটা!
বলে রোজির দিকে না তাকিয়ে অফিসের উদ্দেশ্য বের হয়ে গেলো নিলয়। রোজি আহাম্মক এর মতো নিলয়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকলো। কী বললো এই লোক কিছু বুঝলো নাহ। এতোসব কথার মাঝে শিউলি হালকা হাতে রোজির কাঁধে চাপর দিল। শিউলি এতদিন রোজির কাছে যেতে পারেনি কেননা রেদওয়ান শিউলিকে যেতে দেয়নি। তার শিউলি প্রেগন্যান্ট বলে বাসায় রেস্ট নিতে বলেছে এমন না যে শিউলি রোজির কাছে যেতে চাইনি খুব করে সে রোজির কাছে যেতে চেয়েছে কিন্তু রেদোয়ান তাকে যেতে দেয়নি রেদওয়ান তাকে ধরে না রাখতে পেরে নিলয় কে দিয়ে কথা বলিয়েছে তাই নিলয়ের কথা মত সে থেকে গিয়েছে বাড়ীতে!
নিরবতা ভেঙে রোজি বলল,

রোজি : কী রে তোর পুচকু আসবে শুনে আমি পুরো অবাক হয়ে গিয়েছি রে।
শিউলি : আমি নিজেও আমার তোর মতো বেবি হবে আহা!!!
রোজি : রেদু ভাইয়ের রিয়েকশন কেমন ছিলো?
শিউলি : আমি অজ্ঞান ছিলাম রে!
এভবে তারা নানান কথা বলতে লাগলো। আশা গিয়েছে তাদের বাড়ী তাদের মা অসুস্থ তাই সে দেখা শোনা করবে। রোজির নিউলি বেবি হইছে রোজিকে কোনো ভাবে আটকে রাখা যাচ্ছিলো নাহ সে যাবে মানে যাবে তাই নিলয় রোজিকে অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু রোজি শুনে নি আর নাহ পেরে রোজির মা রোজিকে কসম দিয়েছে না আসার জন্য তাই রোজি মার উপর রাগ। শিউলি এতোদিন আশার সাথেই মায়ের খেয়াল রাখছিলো
শিউলি রোজি ও আশার মা কে নিজের মা মনে করে মা বলেই ডাকে রোজির মা ও তাদের সন্তান ৩ টা দাবি করেন।

—– রাতে যে যার মতো শুয়ে পরেছে। নিচে হালকা আলো কিছু মেডরা আশেপাশে বসে আছে। শিউলি তাড়াতাড়ি শুয়ে পরেছে নিজের হেলথ এর উপর খেয়াল রাখে সে অনেকটাই এখন। রাত তখন দুইটা রোজি নিলয়ের দেওয়া ড্রেস বের করতে চলে গেছে কাবার্ড খুলে দেখলো একটা বডি-কর্ন ড্রেস ডার্ক চেরি-রেড কালার। সাথে একটা চিরকুট সেখানে লিখা,

নিলয় : জান ড্রেসটা পরবে তবে ইনার ছাড়া। বাবুদের জন্য তুমি এখন ইনার পর নাহ তোমাকে দেখলে আমার মাথা নস্ট হয়ে যায়। একদম ইনার পরবি নাহ বউজান প্লিজ। আজকে আমি যা বলবো তোকে তাই করতে হবে!!!
এটা দেখে রোজি হকচকিয়ে গেলো। তবে সাথে কোনো জুয়েলারি নেই রোজি কিছুটা অবাক হলো কেননা নিলয় কিছু দিলে রোজিকে সেখানে ৫টা ড্রেস দিলে ৫ টার সাথেই মেচিং জুয়েলারি থাকে। তবে আজ না দেওয়ায় মাথা ঘামালো না রোজি নিজের মতো ফ্রেস হয়ে ড্রেস টা পরে নিলো। তবে আজ নিলয়ের আসার নাম নেই। সকলে ঘুম কিছু মেড আর গার্ডরা জেগে আছেন।

রোজি অপেক্ষা করতে করতে বিছানায় আধশোয়া হয়ে রইলো। কখন যে চোখ লেগে গেছে বলতে পারবে নাহ সে। তবে হঠাৎ পাশে রোদুসির খুদা লাগায় সে মায়ের বক্ষস্থল থেকে নিজেই নিজের খাবার খুজে খেতে লাগলো। খেতেখেতেই দুটোই ঘুমে তলিয়ে গেলো।
রাত তখন ২:৩০ নিলয় রোহিদ রেদোয়ান বাড়ী ফিরলো যে যার মতো উপরে চলে গেলো। নিলয় নিজের ঘরে গিয়ে দেখলো বাচ্চারা মায়ের দুদ্ধ পান করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছে। নিলয় মুচকি হেসে ফ্রেস হতে চলে গেলো। ফ্রেস হয়ে বের হয়ে রোজির উপর থেকে পাতলা সাদা কম্ফোর্টার সরাতেই গলা শুকিয়ে এলো নিলয়ের। তার দেওয়া ড্রেসটায় রোজিকে আবেদনময়ী লাগছে। নিজেকে কন্ট্রোল করা দায় হয়ে পরছে নিলয়ের পক্ষে! নিলয় বাচ্চাদের নিয়ে তাদের দোলনায় শুয়িয়ে দিলো। তারপর তাদের আদর দিল বাচ্চাদের সরাতেই রোজির ঘুম আলগা হয়ে গেলো। এদিকে রোজিকে কেও একজন গভীর নজরে দেখছে তা সে জানে নাহ! বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর ড্রেস আর ঠিক করা হয় নি। রোজির বুক পুরো উন্মুক্ত!

-কারও ঠান্ডা হাতের স্পর্শ রোজির বুকে পরতেই রোজি কিছুটা কেপে ওঠে। তরিগরি করে চোখ খুলতেই দেখে নিলয়। নিলয়কে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস নিলো রোজি। তবে কিছুটা অবাক হলো কেননা আর তাদের বেবি হয়েছে প্রায় ১০ দিন এর বেশি। কাল তারা হসপিটাল থেকে এসেছে যেখানে বাচ্চা হওয়ার ২/৩ দিন পর ডিসচার্জ করা হয় সেখানে নিলয় ডক্টরকে বলে ১০ টা দিন রেখেছে যেন রোজি পুরো সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে।
রোজি নিলয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কথা গুলো ভাবছিলো হঠাৎ নিলয় রোজির ঠোঁটে হামলা চালাল তা দেখে রোজির চোখগুলো বড় বড় হয়ে ওঠে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চালাতে থাকে রোজি কিন্তু নিলয়ে ছাড়ার কোনো আগ্রহ নেই বললেই চলে! এদিকে রোজির দম বন্ধ হয়ে আসছে রোজি বুঝে গেছে আজ তার ছাড় নেই! প্রায় ৩ মাস নিলয়ের কাছ থেকে দূরে থেকেছে আজ তার শোধ নিয়েই ছাড়বে নিলয়। নিলয় জানে এখন রোজি পুরো সুস্থ তাই আজ সে আজ রোজিকে ছাড়বে নাহ। অনেকখন পর নিলয় রোজির ঠোঁট ছেড়ে রোজিকে কোলে তুলে নিলো,
রোজি : নন নিলয় ছাড়ুন আমার ড্রেস ঠিক নেই তো।

নিলয় : তো কী হয়েছে?
রোজি : উফ আপনি একটা!!!
নিলয় রোজির কথা শেষ করতে দিল নাহ রোজিকে বিছানায় শুয়িয়ে রোজির উপর একপ্রকার লাফিয়ে উঠলো নিলয়। রোজির ছোট্ট
দেহখানা ঠাসা পরলো নিলয়ের পেটানো শরীরের নিচে!
রোজি : নিলয় উঠুন এতো ভারি কেনো আপনি?
নিলয় : জান আজকে একটু সহ্য করে নেও আমায় প্লিজ!
রোজি ভয় পেলো,
রোজি : না না ছাড়ুন আমার ভয় করছে।

vilen part 34

নিলয় : নাহ জান আজ বাধা দিয়ে মাথা গরম কইরো নাহ প্লিজ!!!
নিলয় আর কিছু বললো নাহ রোজির মাঝে ডুব দিলো। গভীর রাত দুটো মানব মানবীর গভীর নিশ্বাস এর শব্দ আর হালকা চাপা কান্না জানান দিচ্ছে তাদের গভীর ভালোবাসার।
রোজি : নিলয় ছাড়ুন এখন আর পারছি নাহ।
নিলয় : আজ কোনো কথা নয় আজ ছাড়ছি নাহ তোমায়!!
আজ নিলয় কোনো বাধা মানলো না রোজিকে বাসিয়ে নিয়ে গেলো এক অজানা সুখে। বেঁচে থাকুক তাদের একে ওপরের ভালোবাসা!

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here