vilen part 18
আনু
“লোকে বলে নারী ছলনাময়ী। কিন্তু সত্য হলো নারী ছলনাময়ী না। ছলনাময়ী হচ্ছে মানুষ। নারী পুরুষ উভয়েই ছলনাময়ী। ছলনা কোনো লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য নয়, এটি মানুষের চরিত্রের দোষ।
নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই যেমন ভালোবাসা থাকে, তেমনি কিছু নারী-পুরুষের মধ্যে ছলনাও থাকে।”
তেমনি রোজি নিলয় কে ভালোবেসে ফেলেছিলো।
ভালোবেসে দুজন এক হয়েছিলো। এইতো কাল রাতও দুজনই একান্ত সময় পার করেছিলো। এতোদিন রোজির মত ছাড়া নিলয় রোজিকে গভীর ভাবে ছুয়েছিলো। যার কারণে রোজি অস্বস্তি অনুভব করেছিলো।কিন্তু এখন নিলাকে ভালোবাসার পর থেকে তার স্পর্শ গুলো রোজি অনুভব করে।
নিলয়ের মুখ থেকে রোজিকে রোজ বলে ডাকা। ওদিকে যান বলে ডাকা। রোজিকে বেবি বলে ডাকা। এগুলো রোজি ভীষণভাবে উপভোগ করছিল। রোজি নিজেই সেধে সেধে নিলয়ের ভালোবাসা সাড়া দিচ্ছিল।
কিন্তু কাল রাত দুজন একই সাথে শাওয়ার সেরে বের হওয়ার পর দুজনেই একে অপরকে আলিঙ্গন করে ঘুমিয়ে পরে। আজ সকালের নিলয়ের একটি ভীষণ বড় মিটিং ছিল মালয়েশিয়ার বিখ্যাত বিজনেস ম্যান এর সাথে। নিলয়ের বিজনেসটা গ্লোবালভাবে বিখ্যাত। এখানকার সবচেয়ে বড় বিজনেসম্যান নিলয় কে হারানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কিন্তু নিলাকে হারাতে পারছে না কারণ নিলয় অনেক তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। নিলয় রোজের পছন্দমত মালয়েশিয়া এসেছে কারণ এটা তার সুন্দর একটা দেশ। যেখানে রোজিই মনে আসতে চেয়েছিল। নিলয় জানত রোজির মালয়েশিয়া খুবই পছন্দ তাই তার মিটিং রয়েছে বলে সেটা হানিমুন নাম করে আসে একই সাথে তাদের হানিমুন হলো এবং নিলয়ের মিটিংটাও হয়ে গেল। তাই নিলয় আজ রোজির আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ে।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
নিলয়ের সম্পূর্ণ রেডি হয়ে রোজির দিকে এগিয়ে যায়। রোজির জন্যে নিলয় খুবই দুশ্চিন্তায় আছে কারণ রোজি ইদানিং কিছু খেতে পারে নাহ।নিলয় রোজিকে দমকে দমকে খাওয়ায়। মেয়েটা টু শব্দ ও করে নাহ কারন রোজি জানে নিলয় ওকে ভালোবেসে এমন করে। নাহ খেলে অসুস্থ হয়ে পরবে তাই সে রোজিকে খাওয়ায়। রোজিকে মাঝে মাঝে খাওয়ালেও রোজি বমি করে দেয়। তাই নিলয় খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। নিলয় এগুলো ভাবতে ভাবতে রোজির কাছাকাছি যেয়ে রোজির কাছাকাছি গিয়ে রোজের দিকে একধ্যানে তাকিয়ে থাকে। কপালে ছোট ছোট চুল এলোমেলো হয়ে দমকা হাওয়ায় উড়ছে। নিলয়রা যেই কটেজে আছে সেটা খুবই বড়ো আর ২ দিকে খোলা জানালা। তবে জানালাতে কোনো গ্রিল নেই সাদা পর্দা দিয়ে আবৃত।
পর্দা গুলো উড়ছে সেই বাতসে রোজির বেবি হেয়ার গুলো উড়ছে। মুখে বাচ্চা বাচ্চা ভাব ঠোঁট গুলো ফুলিয়ে শুয়ে আছে। যেনো একটা বাচ্চা। নিলয় রোজির কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়। সে ভেবেছে আজ রোজিকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাবে।নিলয় আর না দাড়িয়ে বেরিয়ে পরে। সে গাড়িতে বসে নিজেই ড্রাইভ করে মিটিং এর স্পটে পৌছায় এবং নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরে।
এদিকে রোজির ঘুম ভাঙে কলিংবেলের আওয়াজে। কলিংবেল বেজেই চলেছে সেই তখন থেকে রোজি হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে। আর ভাবসে নিলয় এর তো আজ মিটিং কে এলো?
রোজি ডুলু ডুলু পায়ে এগিয়ে যায় গেইট এর কাছে। তবে সে দরজা নাহ খুলে আগে জিজ্ঞেস করে,
রোজি : কে?
ওপাশে কেও কিছু বলছে নাহ। তাই রোজি গেইট খুলে দেখতে পায় নিচে একটা বাক্স। সে সেটা নিয়ে রুমে ঢুকে পড়ে এবং সেটা খুলে দেখতে থাকে। বক্সটি খুলা মাত্রই রোজির নিচে ধপ করে বসে পড়ে। কারণ সেই বক্সে কিছু ছবি ছিল যেখানে নিলয় এবং একটি মেয়ে একান্ত মুহূর্ত পালন করছে। সাথে একটা পেনড্রাইভও ছিল।
সে তড়িঘড়ি করে উঠে পেনড্রাইভটি হাতে নেয় নিয়ে সেটি ল্যাপটপে লাগায়। তখনই ভিডিওটি চালু হয় স্ক্রিনে এটা দেখে রোজির চোখ উপচে পানি বের হয়। চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে থাকে বিশ্বাস করতে পারছে না যে এটা নিলয় এমন একটা কাজ করতে পারে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
বসে বসে কাঁদতে থাকে তখনই পটে যে ল্যান্ড লাইনে কল আসে একবার কল এসে কেটে যায় রোজি ধরে না। কারণ ইতিমধ্যেই সে ভেঙ্গে পড়েছে। আবার কলটি বাজতে রোজি ধীরপায়ে এগিয়ে যায় টেলিফোন টা কানে নিতেই আজ থেকে কেউ গম্ভীর স্বরে বলে ওঠে,
অজানা : বক্সটিতে দেখো আরো কিছু প্রমাণ আছে।
রোজি : কে আপনি!!!!এগুলো কোথায় পেলেন?
কিন্তু অপর পাশ থেকে আর কোন সারা শব্দ আসে না কারণ লোকটি ইতিমধ্যে কলটি কেটে দিয়েছে। যদি আর কিছু না ভেবে দৌড়ে বক্সটির কাছে যায় যে বক্সের মধ্যে দেখতে পারা আরো কয়েকটি খাম খামগুলো খোলা মাত্রই রোজির ঘুরিয়ে ওঠে দৌড়ে বেসিনে চলে যায় এবং বমি করে দেয়। বমি করতে করতে তার মাথা ধরে আসে তার শরীর অবশ হয়ে যাওয়ায় সে সেখানেই বসে পড়ে।
তার চোখগুলো ইতিমধ্যে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। নাক নাকের চারপাশ গাল লাল বর্ণ ধারণ করেছে। রোজি নিজের মাথার চুল খামচে ধরে আর চিৎকার করে বলতে থাকে,
রোজি : নাাাাা!!!! এটা আমি কী করলাম আল্লহ। তুমির কিসের শাস্তি দিচ্ছ আমায়? কিসের শাস্তি আমি কী এমন করেছি আল্লাহ।
রোজার কিছু না ভেবে কটেজ থেকে বেরিয়ে যায়। রোজ সাথে কিছু ডলার নিয়ে যায়। কারণ ডলার ছাড়া সেখানে কিছু করতে পারবে না। রোজি অনুভূতির শূন্য হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে,
কোবরা গ্যাং এর কিংহুর লোক এসে বলে,
লোকটি : বস নিলয় একটি মেয়ের জন্য খুবই দিওয়ানা হয়ে আছে। সে ইতি মধ্যে মেয়েটিকে দুইবার বিয়ে করে ফেলেছে দুইবাড়ই মেয়েটির অনিচ্ছায়। কিন্তু মেয়েটি এখন হয়তো তাকে ভালোবাসে।
এটা শুনে কিংহু বলে,
কিংহু : তাই নাকি? তোমার কাছে কোন পিক আছে দেখাও দেখি কোন মেয়ে যে নিলয় কে এতই অবশ করে ফেলেছে?
লোকটি : জি বস।
এটা বলে নিজের পকেট থেকে একটা ছবি বের করে এখানে রোজির হাস্যজ্জর মুখের ছবি দেখা যাচ্ছে লোকটি তার সামনে রোজির ছবি ধরতেই লোকটির ঠোঁটে পঞ্চাশিক হাসির ফুটে ওঠে। সে বলতে শুরু করে,
কিংহু : আহা এ তো মেয়ে নাহ পড়ি পড়ি। ফিগার তো দেখো আহহহ!!! একে আমার চাই।নিলয় এর পছন্দ আছে বলতে হবে। হেব্বি মাল এটাকে তুলে নিয়ে আয়। একে বিছানায় নিয়ে নাহ শুলে শান্তি মিলবে নাহ।
কিংহু আবার ও বলে,
vilen part 17
কিংহু : যেই জিনিসগুলো পাঠিয়েছি এই মেয়ে কী তা দেখেছে?
লোকটি : জি বস!!! দেখে কটেজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে।
কিংহু : মেঘ নাহ চাইতে বৃষ্টি!!! নিয়ে আয় তুলে একে আজ রাতে নিয়ে শুবো কলিজা ঠান্ডা করে করবো নিজের।