vilen part 19

vilen part 19
আনু

এদিকে রোজি আবেগ শূন্য হয়ে আশেপাশের কোন কিছুর দিকে দেহান না দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তার সামনে দুইটি প্রাইভেট কার এসে থামে। গাড়ি দুটি এত জোরে এসেছে যে সে ভয় পেয়ে গিয়েছে বুকে কিছুটা থুত ছিটিয়ে নেয় যেনো ভয় কমে। কিন্তু হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে কিছু কালো মুখোশধারী লোক নেমে আসে এবং রোজি কিছু বুঝার আগেই লোকটি রোজির নাকে একটি রুমাল চেপে ধরে আর দুজন লোক রোজির পা চেপে ধরে। রোজি কিছু করতেও পারেনা এত জলদি কাজটি হয়ে গিয়েছে। রোজি হাত পাও ছুঁড়তে পারে না লোকগুলোর রোজিকে উঠিয়ে গাড়িতে রাখে। এবং নিজেদের আস্তানাই নিয়ে যায়। রোজিকে নিয়ে ২ জন মেয়ে এর কাছে দেয়। মেয়ে গুলো রেজিকে দেখে বলে,

মেয়েগুলো : এটাকি মেয়ে নাকি অন্য কিছু?
গার্ড : এতো সব নাহ বলে ওকে ফ্রেস করো নাহলে বস আমাদের খেয়ে ফেলবে।
মেয়েগুলো : আচ্ছা।
মেয়েগুলো রোজিকে আস্তে আস্তে করে দিকে নিয়ে যায় রোজি যেহেতু কেঁদেছিল চোখের কাজল লেপটে গিয়েছে তারা সবকিছু পরিষ্কার করে। রোজের দিকে তাকিয়ে বলে,
মেয়ে : এই দেখো ওকে কী সাজাবো মেয়েটা এমনি সুন্দর।
মেয়ে ২ : ঠিক বলেছ ওকে সাজানো লাগবে নাহ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বলেই রোজীকে একটি হাঁটু পর্যন্ত বডি কর্ণ ড্রেস পরিয়ে দেয়। এখানে রোজির পুরো বডির আকৃতি বুঝা যাচ্ছে। রোজির চুল গুলো আছে রোজিকে শুইয়ে দেয় রোজি যেহেতু অজ্ঞান সে এসব এর বিষয়ে কিছু জানেনা।
অনেকক্ষণ পর রোজির জ্ঞান ফিরে সে উঠে বসে মাথায় খুবই পেইন হচ্ছে মাথা ধরে রাখি সে। এদিক সেদিক তাকাতে এসে বুঝতে পারে এটি একটি অচেনা জায়গা। নিজের দিকে তাকাতে সেই আতকে উঠে যে এগুলো সে কি পড়েছে এগুলো কখনো সে পড়েনি। তাকে দেখতে খুবই বাজে লাগছে নিজের কাছেই। সে তড়িগড়ি করে উঠে দাঁড়ায়।দাঁড়াতে রোজির মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে রোজি যেহেতু এমনি একটু উইক।
তাও এসব কিছু দূরে রেখে দরজার কাছে এগিয়ে যায় । দরজা খুলে বাহিরে বের হয় সে দেখতে পায় বাহিরে লোক খুবই আইসি ভঙ্গিতে বসে আছে। সে তো ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো জানে না তাই সে লোকটির সামনে যায় কে বলে,

রোজি : আপনি কে? আমাকে এখানে কে এনেছে?
কিন্তু লোকটি কি তার কথায় আর উত্তর দিবে রোজির দিকে লালসার নজরে তাকিয়ে আছে। রোজি লোকটির সামনে হাত নাড়চাড়া করে আবারো বলে ওঠে,
রোজি : কী বলছি? আমাকে এখানে কে এনেছে?
লোকটি একই ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে রোজি রেগে যায়। রেগে গিয়ে সে মেইন গেইট দিকে যেতে থাকে। সে কিছুটা এগোতেই লোকটি খপ করে ওর হাত ধরে টানতে টানতে বেডরুমে নিয়ে যায়। এটা দেখে রোজি চিৎকার করতে থাকে,
রোজি : এই এই এই ছাড়ুন আমায় এই!!!

এদিকে নিলয় কটেজে ফিরে দেখতে পায়কটেজে রোজি নেই।এটা দেখে নিলয় এর মাথা গরম হয়ে যায়। কেননা নিলার ওদিকে বলেছিল কোথাও বাইরে যেতে না।এভাবেই রোজির শরীর কিছুদিন ধরে খারাপ রোজির যদি বাহিরে কিছু হয়ে যায়।আবার সেভাবে রোজি বিছানা-টেছানা কিছু গোছায়নি এভাবেই বাইরে চলে গিয়েছে তার মানে কিছু হয়েছে। সামনে গতি তার চোখে পড়ে সে বক্সটি।সে কে বক্সের কাছে যায় দেখতে পায় যেখানে তার ছবি। কেউ Ai দিয়ে অন্য একটি মেয়ের পাশে অন্তরঙ্গভাবে পরিস্ফুটিত করেছি ছবিটির মাঝে। সে আরেকটু সামনে যেতেই দেখতে পারে ল্যাপটপের সেই ভিডিওটি চলছে যেখানে নিলয় মেয়েটির উপর এবং সে মেয়েটিকে জড়ীয়ে ধরে ইন্টিমেট হচ্ছে। সে মেয়েটিকে নিচে চাপছে এবং বুকে প্রেস করছে আর ভিডিওটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে ১০ সেকেন্ড করে করে একেক ভাবে পজিশন চেঞ্জ হচ্ছে। কখনো দেখা যাচ্ছে নিলয় মেয়েটির উপরে আবার কখনো দেখা যাচ্ছে মেয়েটি নিলয়ের উপরে বা মেয়েটি উল্টো হয়ে আছে এবং নিলয় তাকে চাপছে।কখনো ছুটে ঠোট ডুবিয়ে দিচ্ছে। কখনো গলায় মুখ ডুবিয়ে দিচ্ছে। আর মেয়েটি স্বর্গীয় সুখে চিৎকার করছে। কিন্তু ভিডিও গুলো কিছুটা ঘোলা ঘোলা টাইপ।

সেটা রেখে আবারো বক্সটির সামনে এগিয়ে যায় দেখতে পায় সেখানে তার মাফিয়া জগতের কিছু ছবি যেখানে সে আরো গলা কাটছে কারো হাতের নখ উপড়ে দিচ্ছে কারণ পায়ের মধ্যে চাকু দিয়ে শিরা কেটে দিচ্ছে বা হাতের শিড়া কাটছে। আবার দেখা যাচ্ছে সে কারো মাথার মগজ বের করে ফেলেছে এটা দেখেই রোজির বমি চলে এসেছিল।
নিলয় গুলো দেখার পর তার মাথা গরম হয়ে যায় গুলো রক্তবর্ণ হয়ে আসে চোখের চারিপাশ লাল বর্ণ ধারণ করে। ইতিমধ্যে তার কপালের রগ ফুলে উঠেছে ঘনঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে বুঝে গিয়েছে এটি কার কাজ। কিন্তু আর বেশি রাগ হচ্ছে রোজির রেখে যাওয়া চিঠি হ্যা রোজি একটা চিঠি রেখে গেছে এবং তার পাশাপাশি রোজির উপর কেননা সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে এখন যদি কিংহু রোজিকে কিছু করে ফেলে। সে আর কিছু নাহ ভেবে সেই একই আস্তানায় চলে যায়।

এদিকে,
রোজি একনাগারে চিৎকার করেই যাচ্ছে যে আমাকে ছেড়ে দিন।
কিন্তু এই লোকটি রোজিকে ছাড়ে নাহ রোজি দস্তা দস্তিতে নিজে পরে যায়। লোকটি তাও থামে নাহ রোজির বা পা ধরে হিচরে নিয়ে যেতে থাকে। রুমে নিয়ে রোজিকে ধরে উঠিয়ে বেডে ফেলে নিজের ড্রেস খুলতে থাকে। এটা দেখে রোজি বেড থেকে নেমে দৌড় দেয় কিন্তু কিংহু রোজিকে ধরে আবার বেডে ছিড়ে মাড়ে। আর ঠোট কামড়ে বলে বলে,
কিংহু : নিলয়ের পছন্দ হেব্বি বলতে হবে। তোমার এই মোমের মত পা তোমার এই ধনুকের মতো বাঁকানো কোমর তোমার সেই লাল টসটসে ঠোঁট। তোমার চোখ তোমার নাক তোমার হাত তোমার বিউটি বোন। আর লাষ্টলি তোমার ফিগার তুমি খুবই হট এবং সেক্সি তোমাকে যদি এক রাত কাছে না পাই আমার এ জীবন তো বৃথা!!!
রোজি নাক মুখ সিটকে বলে,

রোজি : জানোয়ার কুত্তার বাচ্চা You bit*ch। আমার নিলয় আসলে তোকে কাচা চিবিয়ে খাবে।
কিংহু : কী বললি? নাগরের থেকে এখন ও মন উঠলো নাহ তোর? মা*
বলেই রোজির কোটিটা ছিড়ে ফেলে।রোজি এটা দেখো আতকে ওঠে। রোজির উপর লোকটি নিজের ভড় ছাড়ার আগে রোজি হাতরে বেড সাইডে একটা পানির পট দেখেতে পায় দেখেই মনে হচ্ছে ভাড়ি হবে আর কিছু নাহ ভেবে সেটা তুলে কিংহু এর মাথায় মাড়ে সাথে সাথে কিংহু সরে যায় এই সুজুকে রোজি উঠে পালাতে নিবে তার আগে কিংহু রোজির কোমর ধরে রোজি ঘুরে এক থাপ্পর বসায় কিংহু এর গালে। থাপ্পর দিয়েই রোজি দৌড় লাগায় কিন্তু রক্ষা আর হলো নাহ। কিংহু দ্রুতো রোজিকে পাজাকোলা করে তুলে আনে তারপর জোড়ালো হাতে ২ টা থাপ্পর মারে রোজির নাক থেকে ব্লিডিং শরু হয় তাও কিংহু থামে নাহ রোজিকে উঠিয়ে আরও একটা থাপ্পর মারে রোজি ফ্লোরে পরে যায়। কিংহু দেখলো রোজি কিছুটা কাহিল হয়ে গেছে তাই সে রোজির উপর বসে। বসার পর রোজির হাতের কাছের ড্রেস এর কিছু অংশ ছিড়ে ফেলে। রোজির গলায় মুখ ডুবায় কিন্তু রোজি কিছু করতে দিচ্ছে নাহ দস্তা দস্তি করছে।দস্তা দস্তির মাঝে রুমে নিলয় প্রবেশ করে।

প্রবেশ করে রোজির এই অবস্থা দেখে নিলয় থমকে যায়। সে ভাবতে পারছে নাহ কেও তার কলিজায় এভাবে হাত দিবে। নিলয় এর রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায়। চোখ লাল হয়ে কপালের রগ ফুলে ফেপে উঠে। ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে।সে দেখলো কিংহু রোজিকের জড়িয়ে ধরে আছে কিন্তু রোজি বেশি নড়াচড়া করছে না লাগছে সে নিজের ইচ্ছেতে এমন করছে। রোজির নড়াচড়া না করার কারণ হচ্ছে তাকে তুলে আনার সময় নাকে এই রুমাল ধরেছিল সেটি একটু অ্যালকোহল টাইপ নেশার মতো লাগে।

vilen part 18

কিন্তু নিলয় তো এটা সম্পর্কে জানেনা সহ্য করতে না পেরে এগিয়ে গিয়ে কিংহু কে এক লাত্থি দেয়। কিংহু ছিটকে পরে উঠে কওছু করতে যাবে তার আগে নিলয় কিংহু কে পেট বরাবর লাত্থি দেয়। কিংহুর মেরুদন্ড মট মট করে উঠে।কিংহু তাও উঠে নিজের গার্ড ডাকে কিন্তু কেও আসে নাহ কারন নিলয় এর গার্ড গুলো কিংহুর সকল গার্ডগুলোকে মেরে ফেলেছে। কিংহু রোজির দিকে আগাতে নেয় তার আগে নিলয় কিংহু এর পায়ে গুলি চালায়। কিংহু লুটিয়ে পরে।কিন্তু গুলির শব্দে রোজি চিৎকার করে ওঠে,
রোজি : আহহহহহহহ!!!
বলেই অজ্ঞান হয়ে যায় নিলয় রোজিকে আগলে ধরে এবং নিলয় রোহিদ আর রেদোয়ান কে ডাকে আর বলে,
নিলয় : এই মাদারফাকারকে আস্তানায় নিয়ে যাও!!

vilen part 20

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here