vilen part 2

vilen part 2
আনু

সিমা এগিয়ে গিয়ে রোজিকে বলে রোজি চুপ কর তুই জানিস উনি কে উনি চাইলে এখানেই আমাদের পুঁতে ফেলতে পারে।
তারপরও রোজি চুপ থাকেনা রোজি সীমা কে বলতে শুরু করে উনি কে বা কি করে চা জেলে আমার কোন লাভ নেই উনি আমার বন্ধুকে কেন মারলো সে আবারো রোজি নিলয়ের উপর চিল্লাতে শুরু করে এখন আর নীলা চুপ থাকে না রুজির হাত ধরে টেনে ওকে নিয়ে চলে যায় রেস্টুরেন্ট থেকে রোজিকে টেনে বের করে আনে আর বলতে থাকে,
নিলয় : প্রায় ৩ মাস আমি করা পাহারা দিয়ে রেখেছি আর তুই আমাকে বলস আমি কে?
রোজি : ছাড়ুন বলছি আপনি কে? এগুলো বলারই বা আপনি কে? কোথায় নিয়ে যা আাাাাাাা
আর কিছু বলার আগেই রোজিকে গাড়ির ব্যাকসিটে ছুঁড়ে মারে নিলয় রাগে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে তার সে কী করছে নিজেও জানে নাহ সে যে রোজিকে কষ্ট দিচ্ছে তাও বুঝতে পারছে নাহ।
রোজি খুব জরে আচরে পরে সিটে অপরপাশের দরজায় গিয়ে মাথায় আগাত পায়, হাতের কনুইতে আগাত পায় সেই জায়গা গুলো লাল টকটকে হয়ে ওঠে

রোজি : আহহহহ বলে চিৎকার করে ওঠে
আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় দুম করে গাড়িতে ওঠে এবং ড্রাইবারকে গাড়ি স্টাট দিতে বলে গাড়ি ধোঁয়া উড়িয়ে চলে নিলয়ের ডুপ্লেক্স বাড়ির উদ্দেশ্য।
রোজি গাড়ির মধ্যে ছোটাছোটি করায় নিলয় ওকে সিটবেল্ট দিয়ে বেধে দেয় আর মুখে টিসু পুড়ে দেয় আর কী
রোজি : ওমমম ওমমমম করছে
নিলয় : আজ দেখাবো আমি কে ছেলেদের সাথে ডলাডলি? আমি নিলয় থাকতে এটা ও সম্ভব?
কিছু সময় পর তারা পৌছায় নিলয় দরজা খুলে দাড়িয়ে আছে
নিলয়: বের হও
রোজি:।।।।।।।
নিলয় : বের হতে বললাম নাহ?
রোজি :।।।।।।।
নিলয় : কথা কি কানে যায় নাহ? বের হবে নাকি কিছু করতে হবে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এই কথা শুনে রোজি বের হয়ে আসে নিলয় কীছু নাহ বলে ওই বাধা অবস্থায় ওকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং রুমে নিয়ে ছুড়ে ফেলে নরম বিছানা হলেও রোজি ব্যাথা পায়,
নিলয় রোজিকে দেখে রোজির দিকে তাকিয়ে থাকে রোজির চোখ ভর্তি অশ্রু কিছু গড়িয়েও পড়ছে তোখ নাক মুখ লাল কাপড় এলোমেলো নিলয় এর ঘোর লেগে যায় সে ধীরে ধীরে রোজির দিকে এগতে থাকে একটু সমনে যেতেই রোজি হাত ছুটিয়ে নিলয়কে ধাক্কা দেয় তবে এইবার নিলয় এক চুল নরে নাহ কিন্তু নিলয় এর রোজির ব্যবহার এর কথা মনে পড়ে যায় সে কিছি নাহ বলে জিজ্ঞেস করে তুমি কি যেন বলেছিলে রেস্টুরেন্টে আবার বলো মুখ থেকে টিস্যু সোনাতে রোজি চিৎকার করে উঠে
আমাকে এখানে কেন এনেছেন এতো বড় সাহস রাস্তাঘাটে রেস্টুরেন্টে কোথাও মেয়ে দেখলে এভাবে তুলে আনবেন অসভ্য

ঠাস 👋
নিলয় রোজিকে থাপ্পর মারলো অনেক জেরে রোজি বিছানা থেকে পড়ে যায় আর অনেক বেথা পায়
রোজি : আহহহহহহ আ আ আমা আমাকে মারছেন কে কেনো আমাকে মারার স সা সা সাহস কেমনে হ হ হয়
ঠাস 👋
আরো একবার সে রেজিকে থাপ্পর মারে রোজি এবার দেয়ালে ছিটকে পরে খুবই জোবে আঘাত পায় অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে নিলয়ের পুড়ো ঘর কেপে ওঠে নিলয় নিজে ও
কারন সে গম্ভির হলে তার মনে তো ভালবাসা রয়েছে রোজি কিন্তু নিল এটা বুঝতে পারছে না যে সে রোজিকে ভালোবাসে সে নিজের অজান্তেই রোজীকে কষ্ট দিচ্ছে। নিলয় এর চোখে বেসে ওঠে রোজির ভীত দৃষ্টি তার উপর নিলয় এটা দেখে নিজের মধ্যে ফিরে আসে নিলয় দৌরে রোজির কাছে যায় নিলয়কে দৌরে আসতে দেখে রোজি সরে যেতে চায় কিন্তু তার আগেই নিলয় রোজিকে জরিয়ে দরে খুবই জোরে রোজিও কান্না করতে থাকে নিলয় রোজিকে মলম লাগিয়ে দেয় খাবার খায়িয়ে দেয় রোজি না করলে তাকে ধমকে খাওয়ায় খাবার শেষে নিলয় রোজির দিকে চেয়ে রয় কিন্তু তখনও রোজি নিলয় কে ভয় পেতে থাকে
নিলয় এর হঠাৎ কি যেন হলো সে রোজির কাছে এগোতে লাগলো তার মুখ রোজির কাছে নিতে লাগলো রোজিতো ভয়ে শেষ রোজি মনে মনে ভাবছে

রোজি : আল্লাহ প্রথমে মারলো এখন আবার কী করতে চাচ্ছে আল্লাহ বাঁচাও এই গন্ডার আমাকে মেরে ফেলবে 😭
নিলয় সেই মুহূর্তেই রোজির চুলের মুঠি ধরে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট পিড়ে দেয় পান করতে থাকে নিজের প্রিয়সির ওষ্ঠদ্বয়
রোজি : ওমমম ওমমম ওম ওমম
নিলয় প্রায় ৮ মিনিট পর ছাড়লো রোজি মুখ মুছতে ব্যস্ত এটা দেখে নিলয় আবার কি*স করা শুরু করে এবার প্রায় ১২ মিনিট পর ছাড়ে রোজিতো ছাড়া পেয়ে নিশ্বাস নিতে ব্যস্ত আর নিলয় রোজিকে পরখ করতে ব্যস্ত তারপর নিলয় রোজিকে বলে
নিলয় : কোন ছেলের সাথে মিশবে না আমি যা বলব তাই করবে যদি তা না করো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না আমি তোমাকে কি করবো আমি তা নিজেও জানিনা আমার রাগ সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই আমি যখন রাগী তখন অমানুষ হয়ে যাই so be carefull babe

এটা বলে যেখানে যেখানে রোজি ব্যথা পেয়েছে সেখানে সেখানে নিজের ঠোঁট ছোঁয়াতে শুরু করে এদিকে রোজিত অবাক এটা কি পাগল নাকি নিজে ব্যথা দিয়ে আবার নিজেই চিন্তা করছে।
সকল কিছু বুঝিয়ে দিয়ে নীলয় রোজিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে ওকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে রোজির বাসায় পৌছে দিয়ে আসে, রোজি গাড়ি থেকে নালতে যাবে সেই সময় নিলয় রোজিকে টান দিয়ে নিজের বাহুতে নিয়ে নেয় আর ওর কপালে ঠোঁট ছোয়ায়!
পেরিয়ে যায় আরও কিছু দিন কিন্তু রোজি আর নিলয় এর দেখা পায় নি। কারন নিলয় নিজেই দেখা দেয় নি রোজির HSC exam চলছে যার কারনে নিলয় ওকে মেন্টাল প্রেশার দিতে চাচ্ছে নাহ!
রোজিও নিলয়কে প্রথম প্রথম কিছু দিন মনে পরলেও এখন ওটাকে সে একটা এক্সিডেন্ট ভেবে ভুলে গিয়েছে!!
কিন্তু রোজি প্রতিদিন রাতে টের পায় কেও তাকে দেখে তার উপর ঘুমায় কিন্তু রোজির ঘুম এতে তিব্র হয় যে সে চোখতুলে তাকাতে পারে নাহ!

প্রতিদিনের মতো সেই রাতে ও এমনই হয় কিন্তু সেইরাত রোজির ঘুম আসছিলো নাহ সে চোখ বন্ধ করে এমনি শুয়ে ছিলো ! রোজি হঠাৎ টের পায় বারান্দায় কারও ছায়া এটা দেখে রোজি সিটিয়ে বসে তার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে নাহ! রোজি দেখলো ছায়াটা তার কাছে আসছে কাছে আসতে আসতে রোজির পাশে বসে রোজি মনে মনে দোয়া পরে এবং ঘুমের বান করে কিন্তু সে বুঝতে পারছে ছায়াটি তার দিকে গভির দৃষ্টি দিয়ে আছে।
আর কিছুখন অতিবাহিত হতেই সে টের পায় ছায়াটি তাকে জরিয়ে ধরেছে কিন্তু রোজি লোকটির পারপিউম এর স্মেলটা চিনে তার মনে পরে যায় নিলয় এর কথা সে এটাও বুঝতে পারে প্রতি রাতে কে আসে তার কাছে এবং কে তাকে জরিয়ে ধরে আছে।

রোজি ভাবছে এই লোকটি কি চায় তার কাছে সে আর কিছু চিন্তা নাহ করেই ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করে
আপনি কে?
এদিকে রোজির আওয়াজ পেতে নিলয় দর ফরিয়ে উঠে যায়। সেই দিন নীলয় দাঁড়ায়নি রোজিকে বলে গিয়েছে তুমি আমার তুমি আমার সম্পদ আমি তোমার কাছে আসবোই!
এটা শুনে রোজি হতবাক!!!!
পেরিয়ে যায় আরও কিছুদিন তবে নিলয় প্রতিরাতই রোজির কাছে যেতো কিন্তু কখনো রোজিকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে নি!
গতকাল রোজির পরীক্ষা শেষ হয় কিন্তু তাদের কিছু প্লেন ছিলো তরে সেইদিন তারা অনেক ক্লান্ত ছিলো তাই তারা কালতে তা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় সবাই সহমত!

রাতে খাবার খাওয়ার পর রোজি ঘুমায় যায় কিন্তু রোজি খেয়াল করে নিলয় কিছুদিন যাবৎ রোজির কাছে আসে নাহ রোজি নিলয়কে ভুলে যায় নিলয় যে রোজিকে কী কী বুঝিয়ে দিয়েছিলো রোজি তা ভুলে যায়!
আজকে রোজি খুব সুন্দর করে সেজেছে সে টকটকে লাল কালার টকটা গোল জামা পরেছে জামাটা হাটু সমান টপ্সের মতো চুলগুলো পেঁচিয়ে দিয়ে পিছনে নিয়ে ছেরে দিয়েছে চোখে আাইলাইনার হালকা করে বেশিও নাহ কম ও নাহ! ঠোঁট যেহেতু তার টকটকে লাল তাই সে একটু লিপ গ্লস দিয়েছি সে এমনি সুন্দর আর আজ সুন্দর করে সাজুগুজু করে তাকে একদম আগুন সুন্দরী লাগছে এক কথায় আগুন সুন্দরী!!!
তার সকল ফ্রেন্ডরা রেডি হয়ে আসে তবে তারা রোজিকে দেখে ভাবছে এই মেয়ে এতো সুন্দর কেন? আর একটু কম সুন্দর হলে কি অনেক ক্ষতি হতো?

সিমা : খুব সুন্দর লাগছে তোকে
রোজি : ধন্যবাদ তোকেও কম লাগছে না!
তারা আর কথা বাড়ায় না কারণ আরুশ তারা দিচ্ছে!
তারা তার আজকে একটি ঢাকার মধ্যে সুন্দর একটি রিসোর্ট হয়েছে সেখানে যাবে তারা সেটিকে আগে বুক করে রেখেছিল তারা গাড়ি করে রওনা দেয়!
এদিকে,

নিলয় কে নিলয় লোকেরা খবর করে যে রোজি ম্যাম খুবই সেজেগুজে বাইরে গিয়ে এটা শুনে নিলয় তার গার্ডকে বলে ওর পিছু নিতে আর সেখান থেকে নিলয় রওনা করে নিলয় এর গার্ড এটাও বলে যে সে আবারও ছেলেদের সাথে ঘুরাঘুরি করছে কিন্তু সেদিন ওই ঘটনার পর সে জানতে পারে আরুস রোজি র ফ্রেন্ড এরা খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড তাই রোজি ওদের সাথে আরো ঘোরার পরেও কিছু বলেনি!
তবে আজ সাথে সাথে অচেনা একটি ছেলেও রয়েছে যাকে নিলয় চিনে না তার গার্ডরাও চিনেনা যখন সে জানতে পারে তাদের সাথে একটা অচেনা ছেলে আছে নিলয়ের চোখ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে! কারণ গার্ড নিলয়কে একটি ভিডিও পাঠায় যেখানে দেখা যাচ্ছে সেই ছেলেটি রোজির সামনে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় রোজিকে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করতে এবং নির্দ্বিধায় রোজি ও ছেলেটির হাত ধরে গাড়িতে ওঠে এটা দেখে নিলয় আর এক সেকেন্ডও দাঁড়ায় না সে রওনা করে সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে!

রোজিরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ১০ মিনিট হবে
নিলয়ের দশ মিনিট লাগে সেখানে যেতে সে সেখানে গিয়ে যা দেখল তাতে তার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় তার কপালের রগ ফুলে ওঠে!
নিলয় দেখতে পায় ছেলেটি রোজির হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে রোজিকে কি কি যোনো জিজ্ঞেস করছে এবং রোজীও সুন্দর করে হেসে হেসে ছেলেটির উত্তর দিচ্ছে!
নিলয় আর কিছু না ভেবে ওর সামনে যায় সে যেয়েই বলতে থাকে রোজ বেবি কী করছো?
রোজি নিলয়কে দেখেতো ভয়ে শেষ রোজির সাথে যেই ছেলেটি আছে তার নাম জিহাদ। জিহাদ রোজিকে ভয় পেতে দেখে বলে কী হলো রোজি কে উনি?

vilen part 1

রোজি : চিনি নাহ!
আর নিলয়বলতে থাকে,
চিনো নাহ আমায়? তোমাকে নাহ নিষেধ করেছি
তোমার ফ্রেন্ড ছাড়া কারও সাথে যাবে নাহ কে ও?
জিহাদ : এটা জিজ্ঞেস করার তুই কে?
নিলয় : হাহাহা আমি কে? you bastard!!! হাত ছাড় ওর!!
জিহাদ : ছাড়বো নাহ কী করবি?
নিলয় আর কিছু না বলে ওর গান বের করে কিছু বোঝার আগেই হাতে গুলি করে যেই হাতে রোজির হাত ধরা ছিল!

vilen part 3

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here