vilen part 20
আনু
ওরা ওদের মতো নিয়ে যায় কিংহু কে। এদিকে রোজির কাছে গিয়ে রোজিকে কোলে করে নিয়ে যায় নিলয় কিন্তু নিলয়ের মাঝে কোনো ভাবান্তর নেই কেনোনা রোজি কটেজ থেকে বের হওয়ার পর কিংহুর একজন লোক রোজির হয়ে একটা চিঠি লিখে যেখানে লিখা ছিলো :
মিষ্টার নিলয়,
আমি জানি আপনি আমাকে খুবই ভালোবাসেন। তবে আমি আপনাকে কখনোই ভালোবাসতে পারিনি। আপনার ভালোবাসা আপনার কেয়ার পজিটিভিটি আমায় কুরে কুরে খাচ্ছে আপনি সবকিছুতেই কেমন যেন একটু বেশি বেশি করেন এটা আমার খুবই অপছন্দের। কিন্তু আমি এখন যার সাথে আছি তার সাথে আমি থাকতে চাই আপনার সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দয়া করে আমাকে আর খুজবেন না। আপনাকে যথা সময় ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিব দয়া করে সাইন করে দিবেন।
ইতি রোজি,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
এই চিঠি পড়া মাত্রই নিলয় মনে করে রোজি তাকে
আবার ধোঁকা দিয়েছে। আবার রোজির কোন ক্ষতি হয় কিনা সেই রাগে দুঃখে নিলয় রোজিকে খুঁজতে বের হয়। কিন্তু যখন নিলয় কিংহু এর আসৃতানার রুমে প্রবেশ করে তখন দেখতে পায় রোজি আর কিংহু কিছুটা আপত্তিকর ভঙ্গিমায় ছিল যা দেখে নিলয়ের মনটা ভেঙ্গে যায়।
কিন্তু সেখানে রোজির কোনো দোষ ছিলো নাহ। রোজিতো নিলয়ের এই ভয়ংকর দৃষ্যগুলি দেখে এমন করেছিলো। নিলয়ের মাফিয়া জগৎের ছবি আর ঐই মেয়েটার সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। কিন্তু রোজিকে যখন কিডন্যাপ করে আনা হচ্ছিল তখন রোজির নাকে যেই রুমালটা চেপে ধরেছিল সেই রুমালে এলকোহল জাতীয় কিছু ছিল। এখানে রোজির কোনো দোষ নেই। রোজির দোষ শুধু একটাই যে সে কোনো কিছু নাহ বুঝে কটেজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে।
নিলয় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রোজিকে কোলে করে নিয়ে আসে। তারপর রোজিকে নিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে যায় নিয়ে যাওয়ার পর নিলয় রোজিকে নিজেদের রুমে নাহ নিয়ে একটা অন্য রুমে নিয়ে যায় নিলয় দেখতে পায় রোজির নাক থেকে র*ক্ত বের হচ্ছে। রক্ত বের হয়ে শুকিয়ে গেছে, দুগালে থাপ্পরের দাগ, কাধের সাইডে কাপড় কিছুটা ছেড়া। রোজি ফর্সা পা গুলো পুরো দৃষ্যমান রোজির হাটুর থেকে নিলয় এর দৃষ্টিটা একটু উপরে উঠতেই নিলয় এর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে ওঠে।নিলয় শুকনো ডোক গিল্লো। কারন তাকে এখন শক্ত হতে হবে। কিন্তু রোজির কাছে আসলেই সে কন্টল হাড়িয়ে ফেলে। কিন্ত নিলয় নিজেকে শক্ত করে রেখেছে। সে রোজির শুধু নাকের পাশের রক্তটা পরিষ্কার করে ওভাবেই শুয়িয়ে রেখে। নিজে কিছু নাহ করে মেইডকে ডেকে রোজির ড্রেস চেন্জ করায়।
চেন্জ করানো শেষে নিলয় রোজির কাছে গিয়ে রোজির হাত শিকল দিয়ে আটকে দেয়। শিকলটি বেশ বড়ো এটা পরে সে পুরো রুমে হাটাচলা করতে পারবে। রোমের দরজা প্রযন্ত যেতে পারবে এর বাইরে আর এক পা ও পরবে নাহ বাইরে। এটা করার কারণ যাতে রোজি আর কোনোদিন কিছু নাহ করতে পারে। নিলয় রোজিকে ওভাবে রেখেই সোফায় বসে বসে ড্রিংক করছে। অনেক খন ড্রিংক করার পর নিলয় হাতে একটা সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বারান্দায় চলে যায় গিয়ে সে ইচ্ছেমতো সিগারেট খেতে থাকে। শেষ সিগারেট খাচ্ছে আর এক মনে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে।
সে রেগে রেগে ভাবছে,
নিলয় : আমাকে এভাবে ধোকা দেয়ার কি ছিলো ? আমার ভলোবাসা এতোই থুনকো তোমার কাছে রোজ ? আমাকে এর আগেও একবার ধোকা দিয়েছো তুমি। কিন্তু এইবার আর নাহ তুমি আমার বন্দিনি হয়ে থাকবে। তুমি এই বাড়ী থেকে চুল পরিমান বের হতে পারবে নাহ।
অনেকখন পর নিলয় যেয়ে সোফায় বসে।
বসে বসে ল্যাপটপে কাজ করতে থাকে। এভাবেই অনোক সময় অতিবাহিত হয়। তখনি নিলয়ের কল আসে। নিলয় কথা বলে দ্রুত গার্ডেনে যায় কারন নিলয়ের গার্ডদের মধ্যে ২ জন ব্যক্তি নিজেদের কথা কিংহু এর লোকজন দের পাচার করছিলো। নিলয় নিচে গিয়ে দুজনের মাথায় শুট করে দেয়।
এরই মাঝে রোজির জ্ঞান ফিরে। রোজি চারিদিকে চোখ ভোলায় দেখলো চেনা পরিচিত রুম। রোজি আস্তে আস্তে উঠে বসে। হঠাৎ গুলির শব্দে লাফিয়ে ওঠে রোজি। দ্রুত বারান্দায় যায় যেয়ে এই দৃষ্য দেখে রোজির হাত পা কাপা কাপি শুরু হয় চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পরা শুরু হয়। রোজি ভয় এ চিৎকার করে ওঠে,
রোজি : আআআআআআআআ!!!!!!
রোজির চিৎকার শুনে নিলয় চোকিতে পেছনে ফিরে। পেছনে ফেরা মাএই নিলয় এর রাগটা যেনো মাথা চারা দিয়ে ওঠে কারন রোজি দাড়িয়ে আছে ওড়না ছারা সকল গার্ডেরা তাকিয়ে নাহ থাকলেও কিছু কিছু গার্ড চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
কারন এখানে কিছু গার্ড নতুন তারাই তাকিয়ে আছে। কারন তারা যানে নাহ এটা নিলয় এর ওয়াইফ। এদিকে রোজি কাঁপছে। কাঁপতে কাঁপতে দ্রুত রুমে ঢুকে পড়ে নিলয় এর তাকাতে দেখে। নিলয় রাগে দাতেদাত চেপে রোহিদকে বলে,
নিলয় : রোহদ এই রোহদ রোদদদদ!!!
রোহিদ : জি ভাই?
নিলয় : সিসিটিভি দেখ দেখে যারা যারা আমার রোজ এর দিকে তাকিয়ে আছে তাদের আলাদা কর করে দাড়া করিয়ে রাখ!
বলেই গট গট করে বাড়ীতে ডুকে উদ্দেশ্য সেই রুম যেখানে নিলয় রোজিকে বন্ধি করে রেখেছে। নিলয় সিড়ি ভেঙে উপরে গিয়ে রুমে ডুকে দেখে রোজি বিছানার ওপর পাশে ফ্লোরে বসে আছে হাটুতে মুখ গুজে কান্না করছে। এটা দেখে ওর আরও রাগ বেড়ে যায়। গট গট করে রোজির কাছে যায় যেয়ে রোজির বাহু ধরে দাড়া করায়। রোজি নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ভয়য়ে কাপছে।
রোজি ভয় য়ে নিচে তাকিয়ে থাকে। নিলয় এর রোজির এই কাঁপা-কাঁপি যেনো সহ্য হলো নাহ সে রোজির ডান গালে চট করে একটা থাপ্পর মারলো এতো জোরে মেরেছে যে রোজি থাপ্পরের বেগ নাহ নিতে পেরে নিচে পরে যায়। রোজি হতবাগ যে এদিকে রাগ তার করার কথা কিন্তু রাগ দেখাচ্ছে নিলয়। রোজি আস্তে আস্তে উঠে বসে কাঁদতে লাগলো। নিলয় রোজিকে আবার চেপে দাড়া করায় রোজি ভয় য়ে নিজেকে আড়াল করতে চাইছে নাহলে সে জানে নিলয় মারবে। এটা দেখেও নিলয়ের মায়া হলো না। সে রোজির চুলগুলো ধরে মুখ উচু করলো। আর বল্লো,
নিলয় : কীরে? অনেক শখ শরীর দেখানোর তাই নাহ?
রোজি : কী বলছেন?
নিলয় : চুপ!!! নিজের শরীর দেখাতে গিয়েছিলি বারান্দায়?
রোজি : নাহ মানে আমি শব্দ পেয়ে গিয়েছিলাম।
কাদতে কাদতে বল্লো রোজি। কিন্তু নিলয় তা শুনলো নাহ । রোজির কাপড় গুলো ছিড়তে লাগলো। রোজি চিৎকার করছে। কিন্তু নিলয় ওর কোনো কথা কানে নাহ নিয়ে রোজির পরিহিত কাপড় ছিড়তে লাগলো এতো জোরে টান দিচ্ছে যে রোজির মনে হচ্ছে এই বুঝি ওর শরীর ছুলে যাবে। গলায় টান লাগছে রোজি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে। নিলয় রোজিকে পুরো আনড্রেস করে ফেল্লো। রোজি নিজেকে শুধু আরাল করতে চাইছে। সে আর না পেরে দৌরে ওয়াসরুমে চলে গেলো আর চিৎকার করে কাদতে লাগলো। কিন্তু নিলয় কিছু নাহ বলে নিজের মতো বাহিরে চলে গেলো গিয়ে দেখলো রোহিদ ওর কথা মতো সেই গার্ডগুলোকে দাড়া করিয়ে রেখেছে প্রায় ২১ জন গার্ড নিলয় সব গুলোকে গুলি করে মেরে দিলো।
নিজের সকল কাজ শেষ করে নিলয় অফিস গেলো তার কী যেনো জরুরি কাজ আছে তাই। রোজি অনেকখন পর বাহিরে বের হলো কাদতে কাদতে মুখ শুকিয়ে ফেলেছে। চোখ লাল হয়ে আছে যেনো রক্ত ঝরবে।বাহিরে এসে দেখে নিলয় নেই দ্রুত কাপড় পরে নেয়।
নিলয় অফিসে নিজের কাজ করে বাসায় আসে এসে নিজের রুমে যায় যেয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়। তারপর নরমাল কাপড় পরে। তারপর নিচে নামে নেমে খেতে বসে। খাবারের এক চামচ মুখে নিবে কিন্তু পরক্ষনে মনে পরে রোজির কথা মেইডকে ডেকে জিজ্ঞেস করে,
নিলয় : রোজি খেয়েছ?
মেইড : নাহ স্যার রোজি ম্যামে কে অনেক বলেছি খায় নি।
নিলয় উঠে যায় হাতের চামচ নিচে রেখে। উপরে যায় রোজির রুমে যেয়ে দেখে পুরো রুম অন্ধকার সে লাইট জ্বালায় নিলয় ভাবে এই মেয়ে তো এমন নাহ তাহলে এমন করছে কেনো? নিলয় লাইট জ্বালিয়ে দেখলো রোজি বিছানায় শুয়ে অছে। সে এগিয়ে যায় দেখে নাক মুখ চোখ লাল চোখের পাতা এখনো ভেজা দেখেই বুঝা যায় একটু আগে ঘুমিয়েছে। নিলয় রোজিকে ডাকলো,
নিলয় : এই রোজি?
রোজি :।।।।।।।
নিলয় আবও জোরে ডাকলো। কিন্তু রোজি উঠলো নাহ দেখে সাইড থেকে গ্লাস ভর্তী পানি রোজির মুখে মারলো রোজি দরফরিয়ে উঠলো।
নিলয় : রোজি?
রেজি : জজজজ জজজিিি।
হকচকিয়ে বললো। রোজির এমন অবস্থা দেখে নিলয় অভাক এই মেয়ে কী পাগল হয়ে গেলো?
নিলয় আর কিছু নাহ ভেবে রোজিকে বললো,
নিলয় : রোজি তুমি খাও নি কেনো?
রোজি : আমার খিদে নেই তাই।
নিলয় : আমাকে রাগান্বিত করো নাহ।
রোজি নিলয়ের মুখে নিজের সম্পূর্ণ নাম শুনে অতকে উঠলো কারন নিলয় রেগে থাকলে ও ওকে ভালোবেসেই ডাকে রোজ বলে বা অন্যসব ডাক রোজি আর ভাবতে পারলো নাহ নিলয় রোজির কাদ ধরে ঝাকিয়ে বললো,
নিলয় : কথা বলিস নাহ কেনো?খাস নি কেনো?
রোজি : আমার এগুলো খেতে ইচ্ছে করে নাহ গুলিয়ে আসে।
নিলয় এর আরো রাগ উঠলো,
নিলয় : চুপপপপ!!!! খাবার এগিয়ে দিয়ে বললো ফিনিস কর এগুলো?
রোজি : প্লিজ আমাকে জোর করবেন নাহ আমার খেতে ইচ্ছে করছে নাহ আপনার কালো কাজের টাকার খাবার খেতে!
বলার পর পরই নিলয় রেগে রোজিকে একটা থাপ্পর দিলো।দিয়ে ওর মুখে অেকগুলো খাবার ডুকিয়ে দিলো রোজি আর নাহ পেরে নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো। গিয়ে গর গরিয়ে বমি শুরু করলো। নিলয় রেগে এগিয়ে গিয়ে রোজির এই অবস্থা দেখে দাড়িয়ে পরলো কিন্তু নিজে এগোলো নাহ মেইডে কে ডেকে দিলো আর বল্লো ওকে সাপোর্ট দেও। মেইডটি রোজির পিঠে হাত বোলাতে লাগলো। মেইডটি রোজির চোখে মুখে পানি দিলো। ফ্রেস করিয়ে দিলো কিন্তু রোজি দূর্বল হয়ে পরেছে তাই মেইডটি নিলয়কে বল্লো,
vilen part 19
মেইড : স্যার ম্যাম হাঠতে পারবে নাহ।
নিলয় : যাও তুমি।
মেইডটি চলে যেতেই নিলয় রোজিকে কোলে করে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো। ওমনি রোজি অন্যপাশে মুখ ফিরে শুয়ে পরলো। নিলয় ও কিছু নাহ বলে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো।