vilen part 22
আনু
তোমার শূন্যতা এক বিরাট শূন্য আকাশ, যেখানে কোনো তারা নেই, নেই কোনো চাঁদ, তোমার না থাকা যেন বুকে এক দুঃসহ ভার, শ্বাস নিতে গেলেও মনে হয় কঠিন, কাঁপে বুকের বাঁধ।
সে সময় যখন রোজি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো মেডটি দেরি নাহ করে রোজিকে দ্রুতো বাড়ীতে নিয়ে শুয়িয়ে দিল। পানি দিল চোখেমুখে এবং পানি খায়িয়ে দিলো। রোজি কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলো। ক্লান্তিতে শরীর ছেড় দিয়েছ তাই রোজি ঘুমিয়ে পরে। মেডটি নিলয়কে কয়েকটা কল দেয় কিন্তু নিলয় ফোন ধরে নাহ। বেশ রাত করে নিলয় বাড়ীতে ফীরে। প্রায় রাত ২:৩০ মিনিট। নিলয় ড্রাংক অবস্থয় ছিলো। হেলেধুলে রোজির রুমে যায়। যেয়ে দেখে রোজি ঘুমিয়ে আছে। নিলয় রোজির দিকে তাকিয়ে দেখলো রোজির চোখ এর নিচে কালো দাগ পরে গিয়েছে। মেয়েটা শুখিয়ে গিয়েছে। মেয়েটা আগে এমনি ই নিলয়ের সামনে ছোটো ছিলো এখন শুখিয়ে যাওয়ায় আরও ছোটো দেখাচ্ছে। কিন্তু রোজির শান্তির ঘুমটা যেনো নিলয়ের সহ্য হলো নাহ। তার মনে পরে যায় এর নিলয়ের যেনো ঘুমটা সহ্য হলো নাহ তাই নিলয় হঠাৎ রোজিকে হাত ধরে টেনে উঠায় রোজি ভয় য়ে সামনে কে আছে নাহ নাহ দেখে এক থাপ্পার দিয়ে বসে নিলয়কে।
নিলয় রাগে রি রি করছে।রোজি নিলয়কে দেখে চুপসে যায়। কারন রোজি ভাবেনি এটা নিলয়। কারন নিলয় প্রায় ২০/২৫ দিন রোজির সামনে আসে নাহ। তর কে না কে ভেবে দিয়ে বসেছে।
নিলয় রোজিকে চেপে ধরে বলে,
নিলয় : কী ছিলো এটা?
রোজি : আ আ আম সস সরি আমি ভু…..
নিলয় : ভুল করে মানে? ( চিল্লিয়ে)
রোজি : অপনি হঠাৎ স্পর্শ ক….
নিলয় : এখন আমার স্পর্শ ও খারাপ লাগে?
রোজি : ম মা মানে তা না আমি….
নিলয় আর কিছু শুনলো নাহ রোজিকে টেনে নিজের কাছে টেনে রোজিকে তুলে নিলো তারপর রোজিকে নিয়ে ওয়াসরুমে রেখে টাইট অফ করে আটকে রাখলো। রোজি আতঙ্কে নিলয়কে ডাকছে,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
রোজি : নিলয়….. নিলয়য়য়য়……প্লিজ আমায় ছেড়ে যাবেন নাহ নিলয় আ…আমার ভয় করছে।
নিলয় কিছু শুনলো নাহ রোজির বিছানায় বসে রইলো। রোজি এমনি ই অসুস্থ আবার অজ্ঞান ছিলো। রোজি তাও এই দূর্বল শরীর নিয়ে হেচকি দিয়ে নিলয়কে ডাকলো,
রোজি : নিলয় প্লিজ এ এখানে অনেক অন্ধকার আমার বের করুন আমার ভয় লাগছে।
বলেই চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু নিলয়ের এতে অনন্দ লাগছে। সে বাকা বাকা হাসছে। রোজি অনেকখন চৎকার করলো গলা ধরে অসলো মেয়ে টার আর নাহ পেরে ওয়াসরুমের টাইল এর উপর বসে পরলো। বসে বসে আস্তে আস্তে নিলয়কে ডেকে গেলো,
রোজি : ন নি নিলয়….. আ আমায় বের করুরু করুন!
নিলয় আর বসে থাকলো নাহ নিজের রুমে গেলো গিয়ে গোসলে ডুকলো। লম্বা একটা শাওয়ার নিলো নিয়ে বের হলো। এখন একটু ঠিক লাগছে। সে কিছুখন লেপটপে কাজ করলো করে শুয়ে রইলো।অনেকখন শুয়ে রইলো রোজির কথা নেহাত ভুলে গেছে নিলয়। অনেক এখন পর একটি মেড হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো,
মেড : স্যার।।।।। ম্যাম অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে।
নিলয় এর বুকটা মচর দিয়ে উঠলো। সে তড়িঘড়ি করে রোজির রুমের দিকে দৌড় দিল। যেয়ে দেখলো মেয়েটা কেমন যেনো হয়ে পরে আছে।সারা শরীর ভেজা নিলয় তাড়াতাড়ি রোজিকে ধরলো। শরীর বরফ ঠান্ডা হয়ে আছে নিলয় দ্রুতো রোজিকে বাহিরে এনে গেইট লক করে ওর ড্রেস বদলে দিলো। মেডদের ডাকলো,
নিলয় : এই দুজন আসো।
দুজন আসতেই নিলয় বললো,
নিলয় : ওর হাত পা মালিস করো।
দুজন নিলয়য়ের কথা মতো কাজে লেগে পরলো।
রোজির শরীরটা হালকা উষ্ণ হয়ে আসতেই নিলয় হাফ ছেড়ে বাচলো। নিলয় দেখল রোজি চোখ মেলেছে। এটা দেখে নিলয় সেদিকে না দাঁড়িয়ে তাড়াতাড়ি নিজের রুমে চলে আসে। এসে শুয়ে পড়ল। সকাল হলো কিন্তু রোজির প্রচন্ড জ্বর। রোজি চোখ মেলে চাইতে পারছে না। মেডগুলো রোজির খেয়াল রাখছে। কিন্তু দুপুরে দিক রোজির জ্বর অনেকটা বেড়ে যায় যা অসহনীয়। রোজির হাত পাও মুখ জ্বরের দাপটে লাল হয়ে আসছে। এটা দেখে একটি মেয়ের নিলয় কে কল করলো,
মেড : স্যার মেম এর অনেক জ্বর।
নিলয় : তো আমি কী করবো? তোমাদের কেনো রেখেছি? তোমরা খেয়াল রাখ!!
নিলয়ের এমন হুংকারে মেডটি ভয় পেয়ে যায় আর কিছু বলার সাহস পায় না। মেডটি রোজিকে অনেক কেয়ার করে কিন্তু রোজি চোখ খুলতে পারছে নাহ। মেডটি রোজির চোখ একটু উপরে তুলতেই দেখলো লাল টকটকে দেখে মেডটি ভয় পেয়ে গেল। সে আর কিছু না বলে হালকা পাতলা খাবার নিয়ে আসলো রোজিকে আস্তে আস্তে তা খাইয়ে মেডিসিম দিয়ে দিল। রোজির জ্বর হালকা নেমে আসলো। কিন্তু রোজই খুবই দুর্বল।
পরদিন সকালে নিলয় রোজির রুমে আসে এসে দেখে রোজি ঘুমাচ্ছে এটা দেখে নিলয় রোজিকে কিছু বলে নাহ মেডকে ডাক দেয় আর বলে,
নিলয় : রান্নাঘরে কে কাজ করে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাজ দিবে।
মেড : স্যার আপনারা বাহিরে যাচ্ছেন? না মানে তাহলে রান্না করবে কে?
নিলয় : রোজ রান্না করবে! আর হ্যা আমি এখনি আসছি ব্রেকফাস্ট যেনো রেডি থাকে!
মেড : স্যার ম্যাম এর শ…..
নিলয় : কীছু শুনতে চাইছি নাহ যে কাজ দিয়েছি তাই করবে গট ইট?
নিলয়ের ধমকে মেডটি কিছু বলতে পারে নাহ চুপ করে রয়। নিলয় কথাগুলো বলে গটগট করে বের হয়ে যায়। মেডটি তাড়াতাড়ি রোজিকে ডাক দেয় কেনোনা সকালের ব্রেকফাস্ট বাকি আছে। মেডটির ডাকে রোজি উঠে। মাথাটা ধরে আছে। চোখগুলো লাল লাল, শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে।
রোজি : এতো সকালে ডাকছো কেনো?
মেড : ম্যাম আপনাকে রান্না করতে হবে।
রোজি : মানে?
মেড : নিলয় স্যার আপনাকে রান্না করতে বলছে রান্নার সকল যায় জামেলা আপনার!
রোজি আর কর বলবে চুপ হয়ে রইলো। মেডটি আবার বললো ম্যাম তাড়াতাড়ি করুন স্যার আসবে ব্রেকফাস্ট করতে। রোজি এটা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে যায়। বেসিনে যেয়ে ফ্রেস হয়। তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে রান্না ঘরে যায়।যেয়ে দ্রুত সবজি সেদ্ধ বসায় কেনোনা নিলয় সেদ্ধ সবজি খায়। রোজি এটুকু কাজে হাপিয়ে উঠেছে। কেনোনা রোজির জ্বর। রান্নার মাঝে রোজির জ্বরটা যেনো বেরে উঠেছে। তাও মেয়েটা থেমে নেই হাত চালিয়ে যাচ্ছে কেনোনা নিলয় যে গ্যাংস্টার যদি রোজিকে মেরে ফেলে রাগে? তাই নিলয় এর খবার রেডি করছ। এরই মাঝে নিলয় এর আগমন নিলয় দেখলো রোজি শাড়ী কোমরে গুজে কাজ করছে শরীর বিন্ধু বিন্ধু ঘাম। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে একদম গিন্নি গিন্নি ভাব। নিলয় শুকনো ঢোক দিলো। সকল কিছু মাথা থেকে ঝেরে গলা উচিয়ে বল্লো,
নিলয় : রান্না হয়েছে?
বলতেই রোজি চিল্লিয়ে বলে,
রোজি : জি এইতো হয়ে এসেছে।
১০ মিনিট পর রোজি খাবার নিয়ে আসে। এসে নিলয়ের সামনে রাখে। নিলয় রোজির দিকে তাকালো ও নাহ খাওয়া শুরু করলো। খাওয়া শেষ হতেই নিলয় তার ব্লাক কফির মগটি হাতে নেয়। এক সিপ দিতেই মগটি ছুড় ফেলে। মগটি ঝন ঝন শব্দে ভেঙে যায়। কফিটা গরম ছলো কিছুটা রোজির পায়ে এসে পরে। নিলয় গর্জন তুলার জন্যে রোজির কথা শুনতে পায় নাহ। রোজি গরমের দাজে,
রোজি : আহহ….
করে ওঠে। নিলয় রোজির সামনে দাড়ালো আর বল্লো,
নিলয় : এটা কী কফি বানিয়েছো?
রোজি : ব ব্লাক কফি।
নিলয় : এতো সুগার কেনো?
রোজি : সরি।
নিলয় আর কিছু বল্লো নাহ বের হয়ে গেলো। রোজি অনেক কষ্ট পেলো দৌড়ে রুমে চলে গেলো
পেরিয়ে গেলো কিছুদিন। তাদের সম্পর্কটাও এমনি যাচ্ছে। সেদিন সারাদিন কাজ করে রোজি অনেক ক্লান্ত শরীরে শুয়ে আছে বিছানায় এমন সময় কারো ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেতেই রোজি কেপে উঠলো। সে জানে এটা কে। ঠান্ডা হাতটি রোজির গলা স্পর্শ করলো বিচরন করতে করতে রোজির বুকের নরম মাংশপিন্ডে চাপ প্রয়োগ করলো। আস্তে আস্তে তার স্পর্শ দৃঢ় হতে লাগলো। রোজির সারা শরীরে হাতের স্পর্শ দিতে লাগলো রোজওর ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিলো অনেকখন পর নিজের আসল কাজ করা শুরু করলো। কিন্তু রোজির পারছে নাহ এমনি জ্বর থেকে উঠেছে আবার সারাদিন কাজ করতে হয় তাকে তার এই নরম শরীরটা এটা পেরে উঠছে নাহ কোনো মতে।আবার নিলয়ের বলিস্ট দেহের নিচে চাপা পরে রোজির দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু রোজি কিছু করতে পারবে নাহ। নিজের কাজ শেষ করে নিলয় বের হয়ে গেলো রুম থেকে। রেখে গেলো অঝরে কাদতে থাকা রোজিকে। কাদতে কাদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরলো রোজি।
সকালে তাড়াতাড়ি উঠলো গোসল করলো করে নিলয়ের খাবার রেডি করলো।নিলয় খেয়ে চলে গেলো। রোজিও ক্লান্ত শরীর নিয়ে উপরে যেতে নিলে রোজি এক সিড়িতে পা দিতেই পরে গেলো। পরে গিয়ে অনেক ব্যাথা পেলো ব্যাথার দাপটে রোজির পেটটা মচর দিয়ে উঠলো। রোজি ব্যাথায় চিৎকার করতে লাগলো। মেডগুলো ওকে ধরে উঠালো কিন্তু রোজি ব্যাথায় ওর মুখ নিল হয়ে যাচ্ছে।
রোজি বার বার বলছে,
রোজি : নিলয় কে কল করররর।
রোজি : ওনাকে ডাকো প্লিজ।
মেডগুলো নিলয়কে কল করলো কিনৃতু নিলয় ধরলো নাহ। রোজি আবার চিৎকার করলো,
রোজি : প্লিজ তোমাদের স্যারকে কল কর।
বলেই হু হু করে কেদে উঠলো। তাই তারা রোজিকে হসপিটাল নিয়ে গেলো কারন রোজির অবস্থা খারাপ। হসপিটালে নিতেই ডক্টর ট্রিটমেন্ট করা স্টার্ট করলো ডক্টররা। কিছুক্ষণ পর তারা বেরিয়ে আসলো বেরিয়ে আসার পর মেডগুলোকে বলল,
ডক্টর : আপনারা কী জানতেন না উনি প্রেগন্যান্ট?
মেড : বুঝতে পেরেছিলাম কিন্তু শিওর ছিলাম না!
ডক্টর : উনার হাজবেন্ড কই?
মেড : অফিসে!
ডক্টর : অনাকে ডাকুন?
মেডগুলো বল্লো স্যার কল পিক করছে নাহ। এমন সময় রোজি ডাকলো।মেডগুলো রোজির কাছে চলে গেলো। মেডগুলো আসতেই রোজি আস্তে আস্তে বল্লো,
রোজি : উনি কল ধরেনি?
মেড : নাহ ম্যাম!
রোজি : তোমার ফোনটা আমাকে দাও?
মেডটি কথা বাড়ানো ফোনটি রোজির হাতে দিল।রোজে তার বাবাকে কল করলো তার বাবা ওপাশ থেকে কল ধরতেই রোজি কান্না করতে করতে বলল,
রোজি : বাবা আমি রোজি।
রোজির বাবা : মা কই তুই তোকে কতো খুজেছি।
রোজি : বাবা আমি হসপিটালে আমাকে নিয়ে যাও।
রোজির বাবার বুকটা যেন ধক করে উঠল তার মেয়ে হসপিটালে কিছুতো হয়েছে । সে দ্রুত বলল,
রোজির বাবা : মা আমি এখনই আসছি তোমাকে নিতে ভয় পেয়ো না।
রোজি : জি বাবা আসো আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
vilen part 21
রোজির বাবা আর এক মিনিটও দাঁড়ালেন না যে গাড়ি করে ঠিকানা নিয়ে হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলেন। হসপিটালে গিয়ে বুকে নিয়ে অনেকক্ষণ কাঁদলেন তিনি বাবাকে পেয়ে রোজীও অনেকক্ষণ কাঁদলো। তারপর রোজির বাবা সকল ফরমালিটিস শেষ করে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসলেন। রোজি ওর আগে দুঃখে নিজের বাসায় চলে গেল। কিন্তু রোজির এটা জানে নাহ যে সে মা হতে চলেছে।রোজির বাবা এটা তার থেকে আরাল করে গেলেন। কারন তিনি এখন এটা বলতে চাইছেন নাহ সময় হলে বলবেন।