vilen part 24

vilen part 24
আনু

নিলয় আবার বললো,
নিলয় : আমি যে মাফিয়া তুমি কি এটা আগে থেকে জানতে না?
রোজি : নাহ!
বলতে বলতেই রোজের মনে পড়ে গেল সেদিনের বক্সের কথা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল আর বলল,
রোজি : ক.. কেন এসেছেন? কেন এসেছে কার কাছে চান যার কাছে যে এইসব করে?
নিলয় : দেখো রোজ ওটা আমি ছিলাম না ওটা অন্য কেউ ছিল ওটা Ai দিয়ে তৈরি!
বলেই নিজের পকেট থেকে নিজের ফোনটা বের করে সেই ধরনের একটি ভিডিও চালু করল যেখানে দেখা যাচ্ছে সেটা নিলয় নয় অন্য কেউ যার ফিসের সাথে নিলয়ের ফেইস জুরে দিয়েছে।এটা দেখে রোজির চোখে পানি চলে আসলো যে মানুষটাকে সে ভুল ভাবল?
রোজির তরক করে নিলয় কে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো। নিলয় ও রোজিকে জরিয়ে ধরলো। মাথায় একটা চুমু দিল।

নিলয় : সরি জান!!!
রোজি : ইটস ওকে!
নিলয় : বললে নাহ যে এখনো সেই ব্যাপার টা?
রোজি : কী?
নিলয় : মাফ করনি এখনো?
রোজি : করেছি তো?
নিলয় : তাহলে বলছো নাহ কেন কথাটা?
রোজি : কোন কথা বুঝতে পারছি না তো?
নিলয় : ওটা জান আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই?
রোজি : নিলয় আমি কীছু বুঝতে পারছি নাহ!!!
নিলয় : তুমি কেনো অজ্ঞান হয়েছো?
রোজি : আমি বলতে পারি নাহ তবে মনে হয় দুর্বলতায়?
নিলয় : নাহ জান!!!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বলেই নিলয় একটা রিপোর্ট দিল রোজির হাতে। রোজি হাতে নিলো। নিয়ে দেখতে লাগলো। দেখেই রোজির চোখে পানি চলে আসলো দিকে তাকালো,
রোজি : নিলয় আমি প্রেগনেন্ট,
বলেই মেয়েটা কাঁদতে শুরু করতে নিলেই নিলয় রোজিকে একটানে নিজের কাছে নিয়ে এসে ঠোটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল। শুষে নিতে থাকলো তার প্রিয় নারীর কষ্টগুলি। রোজিও রেস্পন্স করতে লাগল নিলয়ের চুলগুলো খামচে ধরল। আর নিলয়ের হাতের বিচরণ রোজির শরীরের উপর তা তো আছেই! ( ব্যাটায় খালি শুরু হয়ে যায় 🙂)
অনেকক্ষণ পর নিলয় রোজিকে ছাড়লো। দুজনেই হাপাচ্ছে তারপর নিলয় রোজিকে বলল,
নিলয় : রাতরে খেয়েছিলে??
রোজি : নাহহহ
নিলয় : কেনো?

রোজি : সন্ধায় এসেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
নিলয় : আমার বউ এর খিদে লাগে নি বুঝি?
রোজি : বাচ্চার টা জিজ্ঞেস নাহ করে আগে আমার টা?
নিলয় : আগে ফেক্টরি তারপর প্রডাক্ট!!!
রোজি : মানে???
নিলয় : তুমি হলে ফ্যাক্টরি আর তোমার পেটে আমার প্রডাক্ট, তুমি সুস্থ থাকলে আমি প্রোডাক্ট পেবোই!
রোজি : ছি……
দুজনে খুনসুটি করতে করতে অনেকক্ষণ পেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর নিলয় রোজি নিচে নেমে আসে রোজির বাবা দাঁড়িয়ে পড়েন আর বলেন,
রোজির বাবা : রোজি মা এখানে এসে ওই ছেলের কাছ থেকে এখানে আসো?
রোজি : কেনো বাবা?

রোজির বাবা : তুমি ওর কাছে থাকতে চাও?
রোজি : আমি ওনার কাছে থাকতে চাই ওনাকে আমি মেনে নিয়েছি!
রোজির বাবা আর কী বলবেন। তিনি ভেবেছিলেন মেয়ে তার এই ছেলে ও এই বিয়ে কে মানে না। এখন মেয়ে মেনে নিয়েছে তিনি বাধা হয়ে কেন দাঁড়াবেন এর মধ্যে মেয়ে আবার প্রেগন্যান্ট। দরকার নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার। তাই তিনিও মেনে নিলেন। শুধুমাত্র হুম বলে জায়গা করলেন!
রোজির মা ও নিলয়কে আর রোজিকে বসিয়ে খাবার মেরে দিতে লাগলো। নিলয় নিজে কি খাবে নিলয় খালী রোজিকাই খাওয়াচ্ছে এটা ওটা দিচ্ছে মাছ বেছে দিচ্ছে। রোজি এর মা এই জিনিসটা দেখে খুবই অবাক হলেন। কেননা রোজি মাছ বেঁচে খেতে পারে না তার মধ্যে যদি হয় এটা আবার ইলিশ মাছ। তিনি খুবই মুগ্ধ হলেন। দুজন খাবার খেয়ে দেয়ে কুশল বিনিময় করে উপরে চলে গেল।

উপরে গিয়ে নিলয় রোজিকে ফ্রেস করিয়ে আনে। নিলয় রোজিকে টেনে নিজের বুকে নিয়ে অনেক গল্প করে। গল্প করতে করতে রোজি ঘুমিয়ে যায়। এটা দেখে নিলয় রোজির মাথায় শব্দ করে একটা চু*মু খায়। তারপর নিলয় ও ঘুমের দেশে পাড়ি জমায়!
সকাল সকাল নিলয় আর রোজি বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। তারা দুজন সকালে উঠে ফ্রেস হয় এর মধ্যেতো নিলয়ের খুনশুটি আছেই। নিলয় রোজির যেকোনো কাজেই তাকে বিরক্ত করছে এটা সেটা বলছে। এরই মাঝে রোজি তৈরি হয়ে যায়। নিলয় রোজিকে ফলের জুস এগিয়ে দেয় আর বলে,

নিলয় : খাও এটা!
কিন্তু রোজি এটা দেখে বলে,
রোজি : না আমি এটা খাবো নাহ!
নিলয় : কেনো?
রোজি : এগুলো খেতে ইচ্ছে করে না তো।
নিলয় রোজির মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললো,
নিলয় : জান আমার আমার বাচ্চা কষ্ট পাবে তো?
রোজি : এটা না খেলে কষ্ট পাবে নাহ।
নিলয় : খাও প্লিজ আমার সুন্দরী?
রোজি : না!
নিলয় : খাও আমার পাখি?
রোজি : নাহ!
নিলয় : খাও আমার বউজান?
রোজি : নাহ বললাম তো তাই নাহ?
নিলয় এবার একটু রেখে বললো,
নিলয় : খাবে নাকি নাহ?
রোজি : নাাা

নিলয় : অন্য উপায়ে খাওয়াতে হবে বলেই নিজে কিছুটা জুস মুখে নিলো তারপর রোজির ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো। বেচারি আর কী করবে জুস গুলো গিলে নিলো।
রোজি : উুমম উুমমমম!!!!
রেচারি কথা বলতে নাহ পেরে মুখ দিয়ে শব্দ করতে লাগলো। নিলয় অনেকখন পর ছাড়লো। রোজি চেচাতে লাগলো,
রোজি : ছি ছি আপনি কী করলেন?
নিলয় : আবার করবো এখন বলো খাবে এটা নাহ আবার তাই করবো?
রোজি : না নাহ দিন খাচ্ছি?
নিলয় জুসটা এগিয়ে দিলো রোজিও নাক চেপে সেটা খেয়ে ফেল্ল। তারপর দুজন বের হলো রুম থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো। রোজির বাবা নিচে বসা। রোজি বাবার কাছে গেলো আর বললো,
রোজি : বাবা আমরা যাচ্ছি?
রোজির বাবা : তার মানে তুমি তাকে মেনে নিয়েছো?
রোজি : জি বাবা!

রোজির বাবা দাড়ালেন মেয়ের মাথায় হাত বুলালেন। মেয়ের মুখে তাকিয়ে থাকলেন। কালকে রোজির মা সব বলেছেন নিলয় কী কেয়ার করে তার মেয়ে এর কোনে আশা দাড়ানো মুখ কালো করে রেখেছে রোজি চলে যাবে বলে । তিনি আশাকে ডাকলেন দুই মেয়ে কে জরিয়ে ধরলেন। বুকে চেপে ধরেন মেয়েদের মাথা। চোখটা একটু ভেজা ভেজা অমেক খন মেয়েদের ধরে রাখলেন সেভাবে। কিছুখন যেতেই তিনি নিলকে ডাকলেন নিলয়ের হাতে রোজির হাত তুলে দিতে দিতে বললেন,
রোজির বাবা : নাও ও আজ থেকে তোমার। আমার মেয়েকে সামলে রেখো বাচ্চা মেয়ে আমার। অনেক ভালোবেসে স্নেহের সাথে বড় করেছি।তবে তোমার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। এর আগে যা হয়েছে মাফ করে দিও আমায় বাবা।

নিলয় : ছিছি কী বলছেন আমি কিছু মনে করি নি আর আপনার মেয়ে এর একফোটা চোখের পানি আমি ফেলতে দিবো নাহ!
এর ই মাঝে রোজির মা মুখে আচল গুজে আসলেন কাদছেন তিনি মেয়েটা কালকে এসে আবার চলে যাবে তার এই ছোট্ট মেয়ে টা মা হতে চলেছে ভাবা যায়? ভাবতে ভাবতে মেয়ে কে বুকে নিয়ে বললেন,
রোজির মা : না ভলো থেকো মায়ের কাছ মাঝে মাঝে এসো শরীর খরাপ লাগলে মা কে বলো বা আশা কে বলো মা চলে আসবো কেমন?
রোজি নিজেও কাদতে কাদতে বললো,
রোজি : আচ্ছা মা। তবে তুমি কাদছো কেনো?
রোজির মা : তুই কাদছিস কেন?
রোজি : এমনি!
রেজির মা : আমিও!
রোজি : হুম!
রোজির মা : কাদিস না শরীর খারাপ লাগবে।
রোজি : তাহলে তুমিও চুপ করো?
রোজির মা : আচ্ছা!

এগুলো বলতে বলতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়। অনেক খন গল্প করে দুজন বের হলো। রাস্তায় গাড়ি চলছে রোজি এবং নিলয় বসে আছে। দুজনেই নিশ্চুপ শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস এর শব্দ ছাড়া কিছু নেই। নিলয়ের বিরক্ত লাগছে যে মেয়ে টা একটা কথা ও বলছে নাহ। বাবার বাসায় এতো কী যে ওখান থেকে আনলেই মহারানি চুপ হয়ে যান। নিলয় জানে রোজি রেগে আছে কেনোনা মেয়েটা আসতে এমনি এমনি রাজি হয় নি। তাকে নিলয় ব্লাকমেইল করেছে অগত্যা রোজির হাড় মানা লেগেছে। তাই রোজি কিছুটা রাগ নিলয়ের উপর। এটা বুঝে নিলয় ডাকলো,
নিলয় : রোজ?
রোজি :……..
নিলয় : রোজজজজজ?
রোজি :।।।।।।।।।
নিলয় : কথা বলবে নাহ?
রোজি :।।।।।।।।।

নিলয় গাড়ি দাড় করালো গাড়ি থামতেই নিলয় রোজিকে টান দিয়ে নিজের দিক নিয়ে নিলয়ের কোলে বসালো। রাগে চোখ লাল হওয়া শুরু হয়েছে। কিছু বললো নাহ কিছুখন তাকিয়ে নিজের রাগ কন্টল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে নাহ। রোজি তো ভয় পেয়েছে ঠোঁটগুলো কাপছে। নিলয়ের দৃষ্টি সেখানে আটকে গেলো। কোনো হুসিয়ারি নাহ দিয়ে দখল করে নিলো ফেক্টরি না না থুক্কু থুক্কু নিজের বউ এর ঠোঁট। ঠোঁটে ঠোঁট বোলাতে বোলাতে রোজির বুকে,কোমরে হাতবোলাতে লাগলো। রোজি আহাম্মক হয়ে গেলো। কিছু বলতে ও পারছে নাহ কিছু করতে ও পারছে নাহ। কি করবে বুঝতে ও পারছে নাহ। ধাক্কা দিতে লাগলো রোজি দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। কিন্তু নিলয় কী আর তাকে ছাড়ে? কতদিন এগুলোর অনাহাড়ে ছিলো ভেবেই আরো গভীর করে স্পর্শ করছে। অনেকখন পর ছাড়ে নিলয় রোজিকে। মেয়েটা লাল নীল হলুদ হচ্ছে। মেয়েটা শ্বাস নিচ্ছে জোরে জোরে। কিছুটা শান্ত হতেই রোজি চেচিয়ে উঠে,
রোজি : লুচু কোথাকার!!!

নিলয় তো থ হয়ে আছে। কী বলবে বুঝতে পারছে নাহ। রোজি আবার বললো,
রোজি : যেখানে সেখানে শুরু হয়ে যান কেনো?
নিলয় : বউ আমি যদি যেখানে সেখানে নাহ শুরু হয় লোকজন বুঝতে পারবে যে আমি তোমার হ্যান্ডসাম জামাই?
রোজি : কেনো বোঝাতে হবে এটা?
নিলয় : নাহলে তুমি যেই আগুন সুন্দরী দেখা যাবে আমার বউ নিয়ে লোকজন টানা টানি করছে তাই নাহ?
রোজি : তাই বলে এতো লুচু?
নিলয় : বউ এর কাছে লুচু নাহ হলে বউ তো আমার উপর আঙ্গুল ওঠাবে যে আমার ছোটো ভাই এতো সুন্দর বউ দেখেও ফুসে ওঠে নাহ!
রোজি : কোন ছোটো ভাই আপনার ভাইও আছে?
নিলয় : যেই ছোটো ভাই ভাবছো এটা সেই ছোটো ভাই নাহ।
রোজি : তাহলে?
নিলয় : তুমি যেখানে ব’সে আছো সেই ছোটো ভাই!

বলেই চোখ টিপ মারলো। রোজি কথা বুঝতে পেরে কান দুয়ে যেনো গরম ধোয়া বের হচ্চে।গাল নাক রক্তিম হয়ে ওঠেছে। আর উওর দিতে পারলো নাহ তবে রোজির এই রুপ দেখে নিলয় তো পাগল হয়ে যাচ্ছে। নিলয় রোজির কাছে গিয়ে, রোজির গলায় মুখ ডুবালো রোজি কেঁপে উঠলো।
গলায় নাক ঘসছে নিলয়। রোজি কাঁপছে কিছু বলতে পারছে নাহ। কথা গলায় ধলা পাকিয়ে যাচ্চে। রোজি কাপা কাপা গলায় বললো,
রোজি : ক ক কী কক করছেন ছাড়ুন আমায়!
নিলয় নেশাক্ত গলায় বললো,
নিলয় : জান এমনি ই তুমি আমায় পাগল করে করে দেও আবার এর মধ্যে তোমার এই কাপাকপি, ঠোঁট লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া গাল, রক্তের ফোটার মতো নাকের ডগা দেখে মানে তোমার এগুলো দেখে আমার সব দাড়িয়ে যাচ্ছে!!

vilen part 23

রোজি : কী দাড়িয়ে যায়?
নিলয় কিছু বললো নাহ রোজির গলায় মুখ ডুবিয়েই রাখলো। ছোট্টো ছোট্টো চুমু দিতে লাগলো। অনেকখন এমনি পার হলো। তারপর নিলয় আস্তে আস্তে রোজিকে তুলে ওপর সিটে বসালো। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলো নিলয়ের বাড়ীর উদ্দেশ্যে। ধোয়া উড়িয়ে গাড়ি অদৃশ্য হয়ে গেলো!

vilen part 25

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here