vilen part 32

vilen part 32
আনু

সময় চলছে সময় এর মতো। কারও জন্যে সময় থেমে থাকে নাহ। পানির স্রোত এর মতো বইতেই থাকে।
দীর্ঘ ৩ দিন পর রোজিকে ডিসচার্জ করা হবে হসপিটাল থেকে মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ তবে রোজি কিছু টা দূর্বল। রোজি খানিকটা শুকিয়ে গেছে। রোজি সেই দিন এর পর থেকে নিলয়ের সাথে একটিও কথা বলে নি। নিলয় অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু রোজির মুখ থেকে একটা শব্দও বের করতে পারে নি আর নাহ পেরে রাগে চলে গিয়েছে হসপিটাল থেকে।

শিউলি ও আশা রোজির সাথে থাকে সারাক্ষণ। রোজির কী লাগবে বা কোথায় যেতে হবে তার খেয়াল রাখে। রোজির মা ২ দিন ছিলেন তবে প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় শিউলি বকতে বকতে বাড়ী পাঠিয়েছে। তিনিও না পেরে চলে গেছেন তারপরও তিনি কিছুক্ষণ পর পর কল করেন। তবে শিউলি ও আশার মধ্যে কেওই বলে নি সেই দিন কী হইছে। তারা বলেছে যে রোজির হঠাৎ শরীর খারাপ লাগছে। নাহলে নিলয় আবার তাদের চোখে ছোটো হতো কিন্তু রোজির তা হতে দেয় নি। রোজির নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা কিছু বলে নি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নিলয় রোজই রোজির কাছে যায় খেয়াল রাখার চেষ্টা করে কিন্তু রোজি কোনো রেসপন্স করে নাহ। নিলয় কেভিনে থাকলে রোজি জড়বস্তু এর মতো করে বসে থাকে যেনো তার কেনো অনুভূতি নেই। নিলয় রোজিকে কিছু বলতে নিলে রোজি পাত্তা দেয় নাহ তা। আজ সকালেও নিলয় এসেছে কিনৃতু রোজি কিছুই বলে নি তাই আর না পেরে অফিস চলে গেছে।
রোজি ঠিক করেছে আশা, শিউলিকে নিয়ে তার বাবার বাড়ী চলে যাবে। শিউলি ও আশা তাদের স্বামীদের উপর বিষন খেপে আছে। তাই তারাও দ্বিমত করে নি। রোজি ভেবেছে ডিসচার্জ করলে তারা এখান থেকে সোজা তার বাবার বাসায় চলে যাবে। শিউলিকে রোজি এবং আসার মতই দেখেন রোজের বাবা-মা। তাই রোজি এই প্লেন করেছে। অবশ্য রোজি নিলয়ের উপর খুবই অভিমান করেছে। তাকে একটা বার জিজ্ঞেস করলেই হতো কীন্তু নাহ সে শুনে নি।

বিকেল দিকে যেই ভাবা সেই কাজ রোজি রোজির বাবাকে কল করে আসতে বলে যেনো ডিসচার্জ করলেই তার বাবা সকল ফর্মালিটি শেষ করে তাদের নিয়ে যায়।
ঠিক ১ ঘন্টা পর রোজির বাবা এসে তাদের ৩ মেয়েকে নিয়ে বের হন বাড়ী যাবার উদ্দেশ্যে। রোজির বাবা আসামাত্র রোজির মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বাবাকে এতোগুলো দিন পর থেকে রোজির খুশির শেষ নেই। আগের সকল ব্যথা লাগে মেয়েটা ভুলে গিয়েছে। রোজির বাবা রোজিকে শিউলির কাছে দিয়ে বললেন,
বাবা : মা একটু ওকে ধরে দাড়াও আমি গাড়ি নিয়ে আসি?
শিউলি : আচ্ছা বাবা যান আপনি।
আশা : আমার কাছে দিলে কী হতো?
বাবা : তুই বাচ্চা ফেলে দিবি সাথে নিজেও পরবি তাই দেই নি মা।
শিউলি : ঠিক বলেছেন এই মেয়ে ঠুসঠাস পরে যায়।
আশা : চুপ শয়তান গুলো।
রোজির বাবা ৫ মিনিট এর মাথায় গাড়ি নিয়ে এলেন। শিউলি রোজিকে আস্তে আস্তে বসালো। সিট টা একটু নিচু করে দিলো যেনো আধশোয়া হয় রোজির যেনো কোনো প্রবলেম নাহ হয়। তারপর আশা ও শিউলি পেছনে বসে পরলো। রোজি সিটে ওভাবেই ঘুমিয়ে গেলো। এতোদিন ঘুমতে পারে নি বাবাকে কাছে পেয়ে শান্তি লাগছে তাই চোখের পাতা ভাড়ি হয়ে আসায় সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরেছে মেয়েটা।

এদিকে নিলয়ের গার্ড এমন দৃশ্য দেখে নিলয় কে তাড়াতাড়ি ফোন করে কিন্তু নিলয় ফোন তুলে না। গানটি বারবার নিলাকে কল করার চেষ্টা করে কিন্তু নিলয় কোনভাবেই ফোন তুলে না তারপর না পেরে রোহিদের নাম্বার ডায়াল করে। রোহিদকে সকল কিছু বলতেই রোহিত দ্রুত পায়ে নিলয়ের কেবিনে দৌড় লাগায় কারন নিলয়কে সকল কিছু জানাতে তবে। রোহিদ কেবিনে নক না করেই ডুকে পরে রোহিদ। নিলয় রোহিদের এমন অবস্থা দেখে দাড়িয়ে পরে আর জিজ্ঞেস করে,

নিলয় : এনিথিং রং?
রোহিদ : ভাই ভই ভাবি
নিলয় রোহিদয়ের শার্টের কলার চেপে বলে,
নিলয় : কী হয়েছ রোজির সোজা বল?
রোহিদ : ভাবিকে ডিসচার্জ করেছে আজ তাই ভাবি আশা এবং শিউলি আপনার শ্বশুর বাসায় চলে গিয়েছে।
নিলয় হুংকার ছুড়লো,
নিলয় : শিট শিট শিট আমাকে কেউ কল করেনি কেনো, তারাতারি গার্ড পাঠাও আমার ওয়াইফ এর লাইফ ঝুঁকি আছে।
রোহিদ : আমি তা আগেই করেছি।
নিলয় আবার বললো,
নিলয় : রোজিরা পৌছেছে বাড়ী?
রোহিদ : জী ভাই তাই টেনশন এর কিছুই নেই।
নিলয় : ওদের বাড়ীর চারপাশে গার্ড দেও আরুস বা কিংহু লোক পাঠাবে এবার সকল কিছু শেষ করতেই হবে দেখছি।

রোজিরা বাসায় পৌছেছে এই ঘন্টাখানেক হবে হয়তো। রোজি ঘুমানোর জন্য রোজির বাবা বা আশা শিউলি এর মধ্য কেউই চায়নি রোজির ঘুম ভাঙতে তাই রোজিকে এই অবস্থয়ই রোজির বাবা কোলে করে মেয়েকে নিয়ে বাসয় ডুকেছেন তা দেখে রোজির মা ছুটে এলেন,
রোজির মা : আল্লাহহহ…..
শিউলি : শুসসসস মা চুপ করুন।
রোজির মা : ওর কী হইছে তুমি কোলে করে আনছে যে?
শিউলি : মা রোজি ঘুমিয়ে পরেছে তাই।
রোজির মা : আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যাই হোক মা তোমরা ফ্রেস হয়ে আসো খাবার দেই।
আশা : আচ্ছা!! চল শিউলি আমরা ৩ জন এক রুমপ শুবো আগে ফ্রস হয়ে আসি ওকে চল চল।
বলেই দুজন উপরে চলে গেলো রোজির বাবা ও তাদের পিছু পিছু রোজিকে তুলে নিয়ে গেলেন রুমে ডুকে রোজিকে শুয়িয়ে দিলেন রোজির মা কিছুখন পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মেয়ে এর সারা শরীর মুছে নরমাল কাপড় পরিয়ে দিলেন। মেয়েএর মাথায় একটা চুমু খেয়ে চলে গেলেন নিচে। রাতের খাবার বানাতে। মেয়ে এর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে।

রাগে গজগজ করছে নিলয় কিছুতেই রাগ সামলাতে পারছে নাহ কী করবে বুঝতেও পারছে নাহ তাই বসা থেকে উঠে দাড়ালো তারপর গটগট করে হাঁটা ধরলো উদ্দেশ্য রোজির বাড়ী। গাড়িতে উঠতেই পিছনে রোহওদ ও রেদোয়ান কে দেখলো। তাদের দেখে চোখ কুঁচকে বললো,
নিলয় : কী চাই?
রোহিদ : ভাই আপনও যেই উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন আমাদের ও সেইম উদ্দেশ্য।
নিলয় : অন্য গাড়িতে যাও।
রোহিদ : নাহ আপনার টায় যাব ভাই।
দীর্ঘ ২ ঘন্টার পথ ১ ঘন্টায় এসেছে। গাড়ি থেকে নামতেই তড়িগড়ি করে বাসার কলিংবেল বাজাল। তবে গেইট খলে না বলে আরও বাজাতে লাগলো। বারবার প্রেস করছে এটা দেখে রোজির মা একজন মেড কে বললেন,
রোজির মা : দেখ তো কে এসেছে বেল বাজাতেই আছে।

মেডটি দরজা খুলে নিলয়কে দেখতেই মাথা নিচু করে সাইড হলো নিলয় এক মুহুর্ত দেরি করলো নাহ গট গট করে ডুকলো ড্রয়িং রুমে রোজি, শিউলি, আশা বসে মুভি দেখছে। রোজিকে মুভি দেখতে দেখে নিলয়ের রাগটা যেনো বেড়ে গেলো আরো। রোজি নিলয়কে দেখে অবাক এই লোক এখানে কেনো আজব। রোজি কিছুখন তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। এটা দেখে নিলয় এর রাগ মাথায় তাই রোজির সামনে গিয়ে টুস করে রোজিকে কোলে তুলে নিলো। রোজির চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। নিলয় আর এক মুহুর্ত ও দাড়ালো নাহ গট গট করে উপরে চলে গেলো। এক এক করে রোহিদ ও রেদোয়ান একই কাজ করলো। আশাতো লাফাচ্ছে সে যাবে না তবে রোহিদ এর পুরুষালী শক্তির সাথে পারছে নাহ তারপর তারা উপরে যেতে লাগলো। এদিকে শিউলি ও রেদোয়ান এর কোলে ঠান্ডা হয়েই বসে আছে। তারাও উপরে যেতে লাগলো।
-নিলয় রোজিকে নিয়ে রুমে গিয়ে বললো,

নিলয় : কেনো এসেছো?
রোজি : কেনো বলবো?
নিলয় : বলতে বাদ্য তুমি রোজ রাগিও নাহ আমায়।
রোজি : আপনাকে আসতে বলেছে কে শুনি?
নিলয় : আমার ওয়াইফ আমি আসবেই।
রোজি : কাল ডিভোর্স দিয়ে দিব।
সাথে সাথে নিলয় রোজির মুখ আলতো করে চেপে ধরে এবং আস্তে আস্তে বললো,
নিলয় : এমন কথা বলতে নেই।

vilen part 31

বলতে বলতেই দেখলো রোজি কিছু নাহ বলে ওয়াসরুমে চলে গেছে বের হয়ে বিছানায় এক কোনে শুয়ে পরলো। রোজির নিশ্বাস একটু ঘন হতেই নিলয় রোজিকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে জরীয়ে ধরে ঘুমলো যদি জেগে থাকতো তাহলে নিলয় তা পরতো নাহ। নিলয় একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। কী করবে কিছু বুঝছে নাহ আবার কোবরা গ্যাং এর কারসাজি এর জন্যে টেনশন হচ্ছে। ভয় হচ্ছে রোজিকে নিয়ে। এমন অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে নিলয় ও ঘুমিয়ে পরলো।

vilen part 33

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here