vilen part 33

vilen part 33
আনু

আজ প্রায় ২ মাস হয়েছে রোজি তার বাবার বাড়ী। রোজিকে কোনো ভাবেই নেওয়া যায় নি। এমন নাহ যে নিলয় চেষ্টা করে নি অনেক চেষ্টা করেছে সে রোজিকে নিজের কাছে আনার কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে!
সেদিন,
নিলয় রোজির দূরত্ব সহ্য করতে নাহ পেরে রোজিকে এক প্রকার টানা টানি করছিলো নিয়ে যেতে কিন্তু রোজি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে এবং বিষণ হাঁপাতে থাকে। হাঁপাতে হাঁপাতে সে নিচে বসে পরে এটা দেখে নিলয় রোজিকে মুক্ত করে দেয়। রোজি তখনও নিচে বসে হাপাচ্ছে। ইতিমধ্যে চোখে নোনাজল চলে আসে যা পানির স্রোত এর মতো বইছে ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে। নিলয় তাড়াতাড়ি এক গ্লাস পানি আনে তা রোজির কাছে এগিয়ে দেয় কিন্তু রোজির রাগ এতোটাই বেশি যে সে নিলয়ের কাছ থেকে পানি নেয় নাহ!

রোজি বেড সাইড টেবিল থেকে শিউলির দেওয়া একটা রিমোটের সুইজ চাপে। সুইজটি চাপার সাথে সাথে চারিদিকে শব্দ হতে থাকে শব্দ হতে না হতেই শিউলি এগিয়ে আসে দৌড়ে। রোজিকে এমন করতে দেখে সে একবার নিলয়ের দিক আর একবার রোজির দিক তাকায় তারপর পানি নিয়ে রোজিকে দেয় রোজিও তাড়াতাড়ি পানি নিয়ে ডকডক করে খেয়ে ফেলে। এটা দেখে নিলয় চুপ হয়ে রোজির দিক তাকিয়ে থাকে সেদিন নিলয় আর একটি কথাও বলে নি সোজা রোজির বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাড়ী চলে আসে প্রায় ১৮ দিন রোজির সামনে যায় নি সে।
রোজিও নিজের মতো থেকেছে। সরাদিন ঠিক থাকলেও রাতে মনের সাথে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠতো রোজি কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে পরতো সে নিজেও জানে নাহ। তবে এরই মাঝে শিউলি ও রেদোয়ান এবং আশা ও রোহিদ এর মাঝে সকল সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেছে। রোহিদ ও রেদোয়ান নিজেদের করা ভুল বুঝতে পেরে সকল কিছু তুলে ধরোছিলো তাই শিউলি ও আশা ও আর কিছু বলে নি মাফ করে দিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বর্তমান,
রোজি নিজের রুমে বসে জানালার দিক তাকিয়ে আছে। রোজির বারান্দায় অনেক ধরনের গাছ-পালা যা দেখে তার চোখ ও মন দুটোই শান্ত হয়। রোজির মা নিচে রান্না করতে ব্যস্ত রোজি আজ তার মার কাছে মুখ ফুটে পাস্তা খেতে চেয়েছে তাই রোজির মা রান্না বসিয়ে দিয়েছে। আশা ও শিউলি রোজির মা কে সাহায্য করছে। রোজির বাবা এই সময় বাগানে হাটেন। সবাই সবার কাজে ব্যস্ত শুধু রোজিই নিজের রুমে বিষন্ন মনে বসে আছে। রোজির মা ৫ টা পাত্রে পাস্তা পরিবেশন করলেন।

রোজির মা : এই তোরা পাস্তাগুলো নিয়ে যা।
শিউলি ও আশা : আচ্ছা মা।
রোজির মা ব্যস্ত গলায় বললেন,
রোজির মা : শুন একটা বাটি তোদের বাবাকে দিয়ে আয়।
শিউলি : আশা তুই দিয়ে আয় আমি উপরে নিয়ে যাই এগুলো।
আশা : আচ্ছা।
বলেই আশা একটা বাটি নিয়ে বাহিরে দৌড় দেয় তারপর বাটিটা এগিয়ে দিয়ে বলল,
আশা : বাবা নেও এটা খাও।
রোজির বাবা হাসি দিয়ে বললেন,
রোজির বাবা : তোমরা খেয়েছ?
আশা : এইতো খাব।
রোজির বাবা : যাও খাও গিয়ে আগে মা!
আশা : ওকে।

বলেই বাড়ীতে ডুকে পরলো। নিচে দেখলো মা নেই তার মানে উপরে চলে গেছে তাই সেও উপরে চলে গেছে। সেও উপরে চলে গেলো গিয়ে দেখলো রোজি ইতিমধ্যেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আশাও খাওয়া শুরু করলো। খাওয়া শেষে রোজির মা সকল কিছু নিয়ে নিচে চলে গেলেন।
—– চারিদিকে অন্ধকার হয়েছে রাত নেমেছে। রোজি নিজের রুমে শুয়ে ছিলো। কোথা থেকে নিলয় এসে রোজির পাশে শুয়ে পরলো। রোজি এটা দেখে উঠে দাড়ায় উদ্দেশ্য শিউলি ও আশার রুম সেখানে শুবে। কিন্তু নিলয় রোজির হাত ধরে ফেললো এটা দেকে রোজি নিজের হাত ঝারা মারলো কিন্তু হাত ছুটাতে পারলো নাহ। রোজির পেটটা ভাড় হয়েছে তার প্রায় ৬ মাসের কাছাকাছি।

রোজি : হাত ছাড়ুন আমার।
নিলয় : নো!
রোজি : আমি ছাড়তে বলেছি নাহ?
নিলয় : বললেই হলো নাকি?
রোজি : আনাকে ছাড়ুন প্লিজ।
নিলয় : কেনো কই যাবে তুমি?
রোজি : আমি ওদের সাথে ঘুমোবো।
নিলয় : তা হবে নাহ এখানেই ঘুমবে তুমি আমার সাথে।
রোজি : বাধ্য নই আমি।
নিলয় : তুমি বাধ্য রোজ তুমি আমার ওয়াইফ ভালোবাসি আমি তোমায়।
রোজির এটা শুনে রাগ সপ্তম আসমানে উঠলো সাথে সাথেই নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে সরালো,
রোজি : চুপপপপ!! আপনার মুখে এটা মানায় না আপনি আআপনি কী নিজেও জানেন নাহ ভালোবাসা? ভালোবাসা মাই ফুট!!!!

বলেই পিছন ঘুরে চলে যাওয়ার জন্য উদ্ধত হয়। নিলয় এর যেনো রাগ বাড়ছে রোজির শেষ কথা “ভালোবাসা মাই ফুট” কানে বাজছে। রোজিকে টেনে আবারও নিজের কাছে আনলো,
নিলয় : কী বললি?
রোজি : যা শুনেছেন তাই।
নিলয় রোজির চুলগুলো শক্ত করে ধরলো রোজি কুকিয়ে উঠে,
নিলয় : কী বললি আবার বল?
রোজি : ভালোবাসা মাই ফুট।
বলতেই নিলয় রোজির কোমড় চেপে কাছে টেনে আনে রোজির কোমরে শক্তিশালী থাবা পরতেই,
রোজি : আ’হহহহ!!!!

করে উঠে নিলয় নিজের হাত রোজির পেটে রাখতেই পেট ফোলা লাগায় রোজির চুলগুলো ছেড়ে দেয়। রোজি হাফ ছেড়ে বাচলো। নিলয়ের মাথা গরম লাগছে সে আবারও রোজিকে কষ্ট দিতে চাচ্ছিলো। রোজি কান্না শুরু হয়ে যায় নিলয় নিজের চুল খামচে ধরে। নিলয় কিছুটা স্বাভাবিক হতেই রোজির হাত ধরে বলে,
নিলয় : জান সরি চলো আমরা আমাদের বাসায় যাই?
রোজি হাত জটকা মেরে ছাড়িয়ে বললো,
রোজি : চুপপপপ কী চান আপনি আমি যাব নাহ আপনার সাথে ইনফেক্ট থাকা সম্ভব….
নিলয় এবার রাগে রোজির মুখ চেপে ধরে বললো,
নিলয় : তুই আমার ওয়াইফ যেতেই হবে তোকে!!!
রোজি দ্বিগুণ রাগ নিয়ে বললো,

রোজি : নাহ যান আপনি ডিভোর্স দি….
ঠাসসসসসসস!!!!
রোজি থাপ্পড় খেয়ে পরে যেতে নিলেই নিলয় ধরে ফেলে। রোজি নিজেকে কিছুটা দাসত্ব করেই নিলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়,
রোজি : আপনি আপনি ইন্টিমেট হওয়া ছাড়া কিছু পারেন? কিছু হলেই আমায় বিছানায় নিয়ে নিজের রাগ মিটান। আমাকে ভিতর থেকে জ্বলসে দেন আপনি এটা ছাড়া কিছু পারেন?
নিলয় : চুপপপ রোজ চুপপপপ।

রোজি : কেনো কেনো কেনো আমি চুপ করবো নাহ ? আপনি একখ আমার বাচ্চাকেও মেরে ফেলতে চাইছেন?
নিলয় : রোজজজজজ চুপ আমি ওর বাবা ওকে কেনো মারতে চাইবো আমি?
রোজি : আপনার সেই রাতের অত্যচার আমার বাচ্চার উপর এসে পরেছে আমাকে করেছেন আমি কিছু বলবো নাহ কিন্তু আমার বাচ্চা?
নিলয় : এটাই তো আমি বুঝি নি আমি বুঝতে পারি নি রোজ এমন কিছু হবে।
রোজি : যান এখন আপনি আমি দেখতে চাচ্ছি না আপনাকে।
নিলয় : নাহ এখন বলো তুমি যাবে কী না?
রোজি : যাব নাহ!!!

নিলয় : এতোদিন কম করে হলেও হাজার বার মাফ চেয়েছি কিন্তু তুমি নিজের টাই দেখছো এখন আমি আর কিছু ভাবতে বা বলতে চাই নাহ।
বলেই রোজিকে আস্তে করে নরম হাতে কোলে তুলে নিলো নিয়ে বাহিরে বের হলো। রোজি চিৎকার ও করতে পারছে নাহ কারন নাহলে রোজির মা বাবা সন্দেহ করবে। নিলয় রোজিকে তুলে সোজা নিজের গাড়িতে গেলো রোজি ছুটতে চেষ্টা করছে তবে পেট ভাড়ি থাকায় পারছে নাহ। রোজিকে আস্তে সামনের সিটে বসিয়ে নিলয় নিজেও বসে। তারপর গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় নিজের বাড়ী এর দিকে এদিকে রোজি চিৎকার চেঁচামেচি করেই যাচ্ছে। এতো চেচামেচি করায় হাপিয়ে উঠেছে বার বার তাও সে নিলয়ের সাথে থাকবে নাহ ঠিক করেছে।

vilen part 32

——-দীর্ঘ ১ ঘন্টা পর তারা পৌছায় নিলয় এর বাড়ী নিলয় দেখলো রোজি গভীর ঘুমে কেননা রোজি এখন একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠে আবার এতো দকল নিতে নাহ পেরে ঘুমিয়ে পরেছে। নিলয় ভাবতে ভাবতে রোজিকে আস্তে করে কোলে তুলে নেয় যার ফলে রোজি ঘুমের মধ্যে কেপে ওঠে নিলয় মুচকি হেসে রোজিকে কোলে নিয়ে বাড়ীতে ডুকে সোজা নিজের রুমে ডুকে গভীর রাত হওয়ায় চারপাশে কেও নেই ২/১ জন মেড ছাড়া আর বাহিরে নাইট শিপ্ট এর গার্ড ছাড়া। নিলয় রুমে গিয়ে রোজিকে শুয়িয়ে দেয় বেডে তারপর নিলয় ফ্রেস হতে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে এসে সে রোজিকে সুন্দর করে শুয়িয়ে রোজির শরীরে কম্ফোটার জরীয়ে নিজেও রোজির পেট জরীয়ে শুয়ে পরে।

vilen part 34

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here